বিহারের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কেমন?
দীপঙ্করঃ আমাদের অভিজ্ঞতার নিরিখে বিহারে এবার নির্বাচনে যা হল, সেরকম নির্বাচন ইতিপূর্বে দেখিনি। সেটা শুধু ভোটের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে নয়। আমরা কম সংখ্যক আসনে লড়েছিলাম, আরও বেশি সংখ্যায় লড়লে আরও বেশি আসন জিততে পারতাম। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল, এবার যা হল এরকম নির্বাচন বিহারে দেখিনি। বিহারের এবারের নির্বাচন একটা সর্বাত্মক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা বিভিন্ন দাবি দাওয়ার আন্দোলন আর তার সাথে মানুষের লকডাউনের অভিজ্ঞতা, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ হারানো, শ্রমিকদের সমস্যা, কৃষকদের সমস্যা, সবকটাকেই একটা অভিমুখ দেওয়া গিয়েছিল। সব মিলিয়ে একটা ব্যাপক বিক্ষোভের পরিস্থিতি ছিল আর তা থেকেই তৈরী হয়েছিল এবারের নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা, এবং বিজেপিকে এই প্রথম তাদের অ্যাজেন্ডা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের অ্যাজেন্ডার মুখে পড়তে হল। এটা একটা খুব বড় ব্যাপার।
পশ্চিমবঙ্গে এই অভিজ্ঞতার প্রভাব কিছু পড়বে?
দীপঙ্করঃ পশ্চিমবঙ্গে হয়তো এটা একই ভাবে রেপ্লিকেট হবে না। কারণ ঠিক এইরকম জোট পশ্চিমবঙ্গে হবেনা। কারণ বিহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রে, রাজ্যে, দুই জায়গাতেই বিজেপির জোট সরকার ছিল। পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি আলাদা। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকতম কোনো বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ে উঠবে, সেরকম আশা নেই। কিন্তু মূল বিষয়গুলো, যেমন লকডাউনের অভিজ্ঞতা, অর্থনীতির মন্দা, রোজগারের সমস্যা, কৃষকের সমস্যা এই ব্যাপারটা পশ্চিমবঙ্গেও মোটামুটি একই রকম। একইভাবে কৃষি বিলের প্রভাবও খুব আলাদা কিছু নয়। এইসব গুলোরই একটা সর্বভারতীয় চরিত্র আছে, যেমন সর্বভারতীয় শ্রমিক ধর্মঘটের আছে। এইসবগুলোকে যদি আন্দোলনের রূপ দেওয়া যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গেও একই রকম আলোড়ন তোলা সম্ভব। কেন্দ্রে বা রাজ্যে আলাদা সরকার থাকাটা এক্ষেত্রে সমস্যা নয়। সমস্যা হল, ২১শে রাম এবং ২৬শে বাম, এরকম একটা কথা ফিসফিস করে ছড়ানো হচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই কোনো বামের মাথা থেকে বেরোয়নি, বুদ্ধিটা আরএসএস এর। কিন্তু কথাটা ছড়িয়ে গেছে। বা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা বিভাজন তৈরির জন্যই ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে, কৃষকদের নিয়ে, শ্রমিকদের নিয়ে, শিক্ষানীতি নিয়ে আন্দোলন করতে পারলে আশা আছে।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএমএল লিবারেশনের ভূমিকাটা ঠিক কী হবে এ বছর এবং সামনের বছর?
দীপঙ্করঃ পশ্চিমবঙ্গে আমাদের বিহারের মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই। কিন্তু এ রাজ্যেও আমরা ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের ধারা। মানুষের অ্যাজেন্ডাগুলোকে আন্দোলনের রূপ দেবার চেষ্টা করব। বাম শিবিরের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলব।
পশ্চিমবঙ্গে বড় বাম শক্তিদের কী অবস্থা বুঝছেন?
দীপঙ্করঃ পশ্চিমবঙ্গ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বিজেপির বিপদটা মারাত্মক। বাম ভোট ক্ষয়িষ্ণু। ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, এক এক করে নির্দিষ্ট গেম প্ল্যান করে বিজেপি রাজ্যগুলোকে দখল করছে। পরবর্তী লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু একটা অংশের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতার অভাব আছে। ত্রিপুরা বা আসামে কী হচ্ছে, এই নিয়ে অনেকেরই ঠিক ধ্যানধারণা নেই। বা, থাকলেও, কোনো অজ্ঞাত কারণে, বিজেপিকে এরা আরও পাঁচটা বুর্জোয়া পার্টির সঙ্গে এক করে দেখে। ফ্যাসিবাদ যে সম্পূর্ণ অন্য মাত্রার ব্যাপার, এই নিয়ে বোঝাপড়ার অভাব আছে, কোনো কোনো মহলে। একটাই আশার দিক। গত দশ বছরে যারা বাম আন্দোলনে এসেছে, বিশেষ করে নতুন ছাত্র যুব আন্দোলনের কর্মীরা আরএসএস ব্যাপারটা নিয়ে ওয়াকিবহাল।
বাম ভোট ক্ষয়িষ্ণু বললেন। এই নিয়ে চালু তত্ত্বটা হল, বাম গণভিত্তি ভেঙে ভোট বিজেপিতে গেছে। বাংলার সিপিএম নেতারা এটাকে অস্বীকার করেছেন। সীতারাম ইয়েচুরিও কিছুদিন আগে বাম ভোট বিজেপিতে গেছে বলেছিলেন। এখন বোধহয় অন্য কথা বলবেন। আপনার কী মত?
দীপঙ্করঃ বামেদের যে গণভিত্তি ছিল তার ভোট যদি বিজেপিতে না যায় তো গেল কোথায়? নিশ্চয়ই সব ভোটই শুধু বিজেপিতে চলে যায়নি। কিছু অন্যান্য দলেও গেছে, কিন্তু একটা বড় অংশ বিজেপিতে গেছে তো বটেই।
কেন গেল মনে হয়? সেটা অস্বীকার করাই বা হচ্ছে কেন?
দীপঙ্করঃ কেন গেল, এর অনেকরকম সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে। এক, ২০১১র হারটা তৃণমূলের কাছে হয়েছিল। সেটার জবাব দেওয়াটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রাজ্নীতিতে ওইভাবে ২০১১র জবাব যে ২০২১ এ হয়না, সেটা বোঝা নিয়ে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। দুই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার একটা মানসিকতা কাজ করে থাকতে পারে। এক্ষেত্রেও সমস্যাটা হল বিজেপি ঠিক কী জিনিস, সে ব্যাপারে বোঝাপড়ার অভাব। বিজেপির পিছনে আছে আরএসএস, তারা বাংলায়ও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে ফেলেছে। এরা শুধু জিততে চায়না, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলটাই বদলে সাম্প্রদায়িক করে দিতে চায়। কিছুদূর করেও ফেলেছে। সে এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
তিন নম্বর যে ব্যাপারটা আমি আগেও বলেছি, সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে বাংলায় বিজেপির উত্থানকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার একটা প্রবণতা আছে। যে কারণে স্লোগান হয়, কেন্দ্রে মোদী এখানে দিদি। অর্থাৎ বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ফলস ইকুইভ্যালেন্স। তৃণমূলের ব্যাপারে আমার কোনো ইলিউশন নেই। তারা এক সময় এনডিএ তে ছিল, এখন বিরোধী। কোনোদিন অবস্থা অন্যরকম হলে আবার যোগ দিতেও পারে। কিন্তু তৃণমূল আর বিজেপি এক নয়।
আপনি শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনের কথা বললেন। বাংলার ক্ষেত্রে এন-আর-সি ও একটা বড় ইস্যু ছিল। প্রায় স্বঃতস্ফূর্তভাবেই বিরাট মিটিং মিছিল হয়েছে। মানুষ আতঙ্কিতও ছিলেন। নির্বাচনে এটাও কি ইস্যু হতে পারেনা?
দীপঙ্করঃ হ্যাঁ, এন-আর-সি নিয়ে বিপুল আন্দোলন শুরু হয়েছিল। করোনাকালে অবশ্য সবই একটু থিতিয়ে এসেছে, কিন্তু আন্দোলন হচ্ছিল। তারপর এনপিআর নিয়েও ক্ষোভ, আতঙ্ক ছিল। বিজেপি এটার কাউন্টার করতে সিএএ নিয়ে এল, সেটা নিয়ে প্রচার করে ম্যানেজ করতে চেষ্টা করল। প্রচারটা হল, এবার শুধু মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেওয়া হবে, হিন্দুদের কোনো ক্ষতি হবেনা। সিএএ নিয়েও আন্দোলন হল, গোটা দেশ জুড়ে। সেটায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল মুসলিম জনতা, বিশেষ করে মহিলাদের অংশগ্রহণ। সেটা খুবই ভালো ব্যাপার। কিন্তু এর সঙ্গে বিজেপির প্রচার যোগ করে লোকের মনে হতে শুরু হল ওটা কেবল মুসলমানদের আন্দোলন। তা কিন্তু আদৌ নয়। সমস্ত সম্প্রদায়ই এতে বিপদে পড়বেন। কিন্তু প্রচারটা ওইরকমই দাঁড়াল। আন্দোলনটা একটা বিশেষ জনগোষ্ঠীর আন্দোলন হিসেবে পরিচিত হয়ে গেল। আন্দোলনটা ব্যাপকতর করে তুলতে ছাত্রযুবরা চেষ্টা করেনি তা নয়, করেছে, কিন্তু সেভাবে জনতাকে সংগঠিত করা যায়নি। নানা দুর্বলতা ছিল। যেমন নেতারা তৈরি মঞ্চ পেয়ে অনেক জায়গায়ই শুধু বক্তৃতা দিয়ে চলে এসেছেন। সংগঠন তৈরি করেননি। আর করোনাকালে তো সব উদ্যোগেই একটু ভাঁটা পড়েছে। কিন্তু এন-আর-সি নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।
২০২১ এর ভোটে কী হতে চলেছে? কোনো ভবিষ্যদ্বাণী?
দীপঙ্করঃ ভবিষ্যদ্বাণী নয়। রাজনীতি খুবই গতিশীল ব্যাপার। এটা ঘটনা যে, তৃণমূলকে আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার সামনাসামনি হতে হবে। আর উল্টোদিকে বিজেপি এক ভয়াবহতর বিকল্প। বিজেপির মত একটা গণতন্ত্র-বিরোধী ফ্যাসিবাদী শক্তি পশ্চিমবঙ্গে নিজেকে গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে তুলে ধরতে চায়। কর্পোরেটের হাতে দেশকে বিকিয়ে দেওয়া ও দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক ধ্বংস ডেকে আনা পার্টি বাংলায় উন্নয়নের কথা বলছে। রাজ্যের সমস্ত অধিকার ও অর্থ কেড়ে নিয়ে ফেডারেলিজমের উপর কেন্দ্রের বুলডোজার চালানো পার্টি এ রাজ্যেও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলে দ্রুত উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাবে। এই অবস্থায় মানুষের দাবীকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে হবে, বৃহত্তর চিত্রকে মাথায় রাখতে হবে। ঝাড়খণ্ডে মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, কিন্তু বিহারে কোনো মতে এনডিএ ক্ষমতায় টিকে গেছে। বিজেপি আসামে ক্ষমতায় এসে এনআরসি এনপিআর ডিটেনশন ক্যাম্পের আক্রমণ নামিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষমতায় এসে সেই আক্রমণ নামানোর অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী নির্বাচনে আসাম আর বাংলা দুই রাজ্যই যাতে বিজেপি বিপদকে রুখে দিতে পারে সে জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কমরেড দীপঙ্কর তৃণমুলের মোকাবিলা করার কথাই বলেছেন; বিজেপি- তৃণমুলকে এক লাইনে রেখে বিজেপিকে সুবিধা না দিয়ে, বিজেপির ফ্যাসীবাদকেই প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছেন। এবং যথার্থ বলেছেন।
কমঃ দীপঙ্কর কখনো তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা বলেন নি। এনিয়ে অযথা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এখানে কোথাও জোটের কথা বলেছেন বলে দেখলামনা।
কংগ্রেস সিপিএম জোট ভেঙে গেলেই, লিবারেশনের সমর্থক রা , বাম ঐক্যের কারণে দলে দলে সিপিএম প্রার্থী কে ভোট দিচ্ছেন, তার জন্যে তাদের দএর বিহারে জয়ী রা এসে প্রচার করছেন, এটা ভাবাই কঠিন। :-)))) কাটিহার , কিসানগণজ সংলগ্ন বাংলায় এ ঘটনা ঘটলেই বিরাট অবাক ব্যাপার হবে। :-))) দক্ষিন বংগে তো ভাবতেই পারছি না :-))))))))))))
ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য গদ গদ হয়ে মমতা ব্যানার্জি সিপিএম, কংগ্রেস লিবারেশন , অন্য সমস্ত অ-বিজেপি দল কে এক জায়্গায় করার মহত উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম কোন নির্দিষ্ট খবর আছে? দীপংকর কি বাংলার হরকিশেন সুরজিত হয়ে সে চেষ্ট করবেন?
সিপিএম ও কংগ্রেস ঃযেহেতু একদম ই ছোটো পার্টি এখন, বেস্ট হল, একা একা লড়ে কিছু শক্তি বাড়িয়ে যাঅবার চেষ্টা করা , জোট ইমিডিয়েটলি ভাঙা উচিত। কংগ্রেস কর্মী রা কেন সিপিএম কে ভোট দেবে আমি ক্লিয়ার না। গতবার ই তো দেয় নি। সিপিএম এর উচ্চতম নেতৃত্তএর, ছাত্র দের বিজেপি বিরোধী ক্রেডিবিলিটি আছে, তাতে তাদের ভোট বাড়বে কিনা জানি না।
এখানে যেটা মেন ব্যাপার। ওয়েস্ট অফ ওয়েস্ট বেংগল এর মুসলমানের সংগে স্পেস শেয়ারিং এর কোন অভিজ্ঞতা নেই, ইস্সাও নেই, ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস নেতারা ভালো করে প্রচারে নামলে যদি কিছুটা উদ্ধার হয়, (লিবারেশনের মূল শক্তি নর্থ বিহারে, এখানে ঝাড়খন্ড বর্ডারে, বিশেশ ইনফ্লুয়েন্স আছে কিন জানি naa) ওভারল ওয়েস্ট অফ ওয়েস্ট বেংগলে বিজেপির শক্তি বাড়বে। ইস্টার্ন বর্ডার এ যতটা বিজেপির শক্তি বাড়বে বলে ধরা হচ্ছে ততটা বাড়বে না। মতুয়া , মুসলমান, আগে আসা উচ্চবর্ণ কেউ ই এনার্সি প্রসংগ উঠলে কমফর্টেবল হবে না। উত্তরবংগে বিজেপি বাড়বে, আসামের ত্রিপুরার বহিরাগত তত্ত্ব ওক্খানে চলে, সেটাকে ঠ্যাকন দিয়ে কমানোর কিছুটা ক্ষমতা লিবারেশন আছে, অন্তত লোয়ার নর্থ বেংগলে, কিসানগঞ্জ, কটিহার এর বাংলা সংলগ্ন এলাকায় যদি বিহারের লোকেরা এসে ব্যাপক প্রচার করে।
এবার মিডল বেংগল, অধীরের প্রার্থী রা জিতবেন, তবে কাদের ভোটে জিতবেন বলা কঠিন, কংগ্রেসের বীরভূম বর্ধমান, er লোকেরা সিপিএম কে কেন ভোট দেবে আমি জানি না, হুগলি কলকাতা , দুটি পরগন এগুলো টি এম সির বড় জায়্গা। এখানে টি এম সি নিজে হারতে ন চাইলে বা তার বড় নেতার বিজেপি তে চলে না গেলে তাদের ই জেতার কথা। এখানে ধর্মের পোলারাইজেশন হবে, তবে আশা করা যায় সব উচ্চবর্ণ হিন্দুরা বিজেপি কে ভোট দেবে না। কিছু মুসলমান ভোট বিজেপি পেয়ে গেলে চাপ আছে, তবে পেতেই পারে প্রচুর টাকার খেলা হবে প্লাস তৃণমূলের সরকার অনেক্দিনের কিছু লোক তো খচএ থাকবেই, মুসলমান হোক আর হিন্দু ই হোক। আর মুসলমান রা বীর্ভূম মুর্শিদাবাদে অনেকেই ভাগ হয়ে ভোট দেবেন, সেটাই নর্মাল। বিজেপি কেও অনেকেই দেবেন।
এর পরে মেদিনীপুর, এটা খুব ক্রিটিকাল, কারণ পূর্ব ও পষিম মেদিনীপুর এ সুইপিং ভোট কোন একট পক্ষে গেলে সে বেরিয়ে যাবে। এখানে তো অধিকারি রা আছে। অধিকারি ভোট বিজেপি তে গেলে বাংলার কপালে দুঃখ হ্যাজ।
সিপিএম সারা রাজ্যেই ভোট পাবে, তবে কোথাও ই জেতার মত ভোট পাবে কিন বলা কঠিন। ব জেতা বা হারার পক্ষে অদৌ ফ্যাকটর হবে কিনা বল কঠিন। তবে দুই বর্ধমান, মেদিনিপুর, মালদা, দিনাজপুর দক্ষিন মিলে কিছু সিট থাকতে পারে। এটা এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী বলা। পরে বদলাতেই পারে।
আজকের আবাপ।
দেখা যাচ্ছে বিতর্কটা ভালমত আছে। বাম শিবিরের মধ্যেই আছে। আমরা বাইরে থেকে আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে চলেছি - এমনটা নয়।
বিজেপি বড় শত্রু না তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়ে বাম শিবিরে বিতর্কের সুর চড়ল। বাংলায় বিজেপিই বামেদের পয়লা শত্রু হওয়া উচিত বলে লিবারেশনের তত্ত্ব সিপিএম নেতারা নাকচ করে দেওয়ায় আজ লিবারেশন সিপিএমকেই পাল্টা আক্রমণ করল। লিবারেশনের পলিটবুরো সদস্য কবিতা কৃষ্ণনের কথায়, বাংলায় সিপিএম নেতারা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে এক করে দেখানোর যে তত্ত্বের কথা বলছেন, তাতে বিজেপিরই লাভ হবে। আগে তৃণমূলকে সরানো, তার পরে বিজেপিকে বুঝে নেওয়ার ধারণাও ভ্রান্ত।
বিহারে ভোটে বাম দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে ভাল ফল করার পরে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন নেতৃত্ব যুক্তি দিয়েছিলেন, বাংলায় বিজেপিই বামেদের ‘প্রধান শত্রু’ হওয়া উচিত। কিন্তু সিপিএম সেই তত্ত্ব খারিজ করে বলেছিল, তৃণমূলকে না-হারিয়ে বিজেপিকে হারানো যাবে না। এ বার সিপিএমের ‘অগ্রাধিকার ও তুল্যমূল্য বিচার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কবিতার মন্তব্য, বাংলায় সিপিএম নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লম্বা বক্তৃতা করেন। পাদটীকায় বিজেপি জায়গা পায়। হওয়া উচিত উল্টোটা। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটাই বামেদের প্রধান কাজ।
বিহারের ভোটের পরে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেন— তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও, বিজেপিকেই মূল নিশানা করতে হবে। কিন্তু বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলে দেন, তৃণমূলের প্রতি নরম হওয়ার প্রশ্ন নেই। ইয়েচুরি বলেছিলেন, সেটা হলে বিজেপি একাই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ফায়দা তুলবে। তাতে বিজেপিকে হারানো যাবে না। বাংলায় লিবারেশনও একই তত্ত্বে বিশ্বাসী বলেও সিপিএম নেতারা জানিয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁদের মতপার্থক্য স্পষ্ট করে দিয়ে আজ কবিতা বলেছেন, “আমরা বিজেপিকেই পয়লা শত্রু চিহ্নিত করছি। বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তকে অস্বীকার করলে তা চূড়ান্ত বোকামি হবে। বিজেপি সুপ্ত মুসলিমভীতিতে হাওয়া দিচ্ছে। সিপিএম সেটা স্বীকারই করছে না, মানুষকে সতর্ক করা বা তার বিরুদ্ধে লড়াই তো দূরের কথা। সিপিএম মোদী ও মমতার মধ্যে মিথ্যে সাযুজ্য টানে। ওঁদের ‘মোদী ভাই দিদি ভাই’-এর স্লোগানের কি কোনও প্রভাব পড়ে?” কবিতার যুক্তি, সিপিএম নেতারা তাঁদের প্রতি মানুষের অসন্তোষ মানতে চান না। ভাবেন, কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট হওয়ায় তাঁরা হেরেছিলেন। সিপিএমের উচিত আগে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ভুল স্বীকার করা।
"এ বার সিপিএমের ‘অগ্রাধিকার ও তুল্যমূল্য বিচার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কবিতার মন্তব্য, বাংলায় সিপিএম নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লম্বা বক্তৃতা করেন। পাদটীকায় বিজেপি জায়গা পায়। হওয়া উচিত উল্টোটা।"
এই কথাটাই আগের দিন বলার চেষ্টা করছিলাম। দলীয় নীতিতে বলা আছে দু'দলই সমান শত্রু। কার্যত ভাষণগুলো শুনলে বোঝা যায় ৮০-৯০% জুড়ে আছে কেবলই তৃণমূল। বিজেপির কথা কেবল বুড়ি ছোঁয়ার মত করে। হতেই পারে মুসলিম সম্র্থক বেস পুরোটা তৃণমূলের দিকে চলে গেছে বুঝতে পেরে অবশিষ্ট হিন্দু সমর্থক বেসকে ধরে রাখার তাগিদ থেকেই এই রকম আচরণ। কিন্তু এটা কি আদৌ কাঙ্খিত ফল দেবে? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
সিপিএম তৃণমূলের সংগে জোট বাঁধার উদ্যোগ নেবে না। সিপিএম কে মেরে তাড়িয়েছে তৃণমূল। খুব ই রিসেন্ট। অতএব এটা হবে না। বাইরে থেকে মনে হচ্ছে , বিজেপি কে এক ঘরে করলে, সবচেয়ে ভালো। আমি পার্সোনালি তা মনে করি না , নানা রকম ফ্রন্ট থাকাই ভালো বা আলাদা আলাদা দল, নইলে মেডিয়ার - কেন্দ্র - সকলে মিলে দায়িত্ত নিয়ে শুধুই কমিউনাল লাইন্স এ ভোট করে দেবে। রিলিজিয়াস পোলারাইজেশন টা দুটো মাত্র গ্রুপ থাকলে বেশি হবে।
মমতা ডিরেক্টলি নিজে সামান্য উদ্যোগ নিলে কংগ্রেস সহজেই তৃণমূলের সংগেই যাবে। কংগ্রেসে এর দিল্লী লিডারশিপ কেন তৃণমূলের সংগে জাবে না , গিয়ে দুটো সিট গ্যঁ্ড়ানোর চেষ্টা করবে না সেটা বুঝি না।
লিবারেশন কি তৃণমূলের সংগে যাবার উদ্যোগ নিচ্ছে? নিতেই পারে, ইন ফ্যাক্ট নিলে ভালো, কারণ ১৭ বামপন্থী দলের জোট এর তো কোন ইলেকটোরাল প্রেজেন্স কিসু নেই। তাছারা মমতা জিতলে যদি লিবারেশন কিচু নেগোশিয়েশনের জায়গায় থাকে, কটা সিট পায়, শ্রম বিরোধী আইন গুলো , স্ট্রাইক বিরোধী রেটোরিক গুলো, কিছুটা টোন ডাউন করাতে পারবে আর মমতার ও নিজেকে লিবেরাল বলতে সুবিধে হবে। তাতে তো আর প্রয়োজনে বিজেপির সংগে মমতার যাওয়া আটকাবে না, কিছুই তো আগে আটকায় নি। মমতা কে কেন্দ্র করে আইডিওলোজিকাল পজিশন নেওয় খুব ই কঠিন। কারণ ওনার আইইডিওলোগিকাল পজিশন গুলো যেটা তৈরী সেট মূলতঃ সিপিএম কে নেগেট করে তৈরী । অতএব তৃণমূল কে সংগে নিয়ে বিজেপি বিরোধী বড় ফ্রন্ট গড়তে চাইলে লিবারেশন কেই দায়িত্ত্ব নিতে হবে। :-)) হরকিষেন সুরজিত যেরকম নিতেন, ছোটো দল হওয়া সত্তএও। নিচ্ছে কিনা জানতে পারলে ভালো হত।
কংগ্রেসের সংগে জোট করার কথা য় সিপিএম এগিয়েছে। কংগ্রেসের সমর্থক দের , অধিকাংশ নেতার , তাতে বিশেষ অগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। অতএব সিপিএম কেন এগিয়েছে তারা বলতে পারবে। সিপিএম er একা লড়াই উচিত। সিপিএম er ভোট যতটুকু আছে, এটাকে কনসোলিডেট করা উচিত। বিশেশ কিসু তো নেই ও।
আর সিপিএম এর ছাত্র আর উচ্চতম নেতৃত্তএর বিজেপি বিরোধী, ক্রেডেনশিয়াল আছে। তারা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার তো করবে। অসুবিধে কি? সিপিএম ক্ষয়িষ্ঞু শক্তি, এর রেটোরিকে কি আছে, তাই নিয়ে লিবারেশন এর মাথা ব্যাথ কিসের আমি ক্লিয়ার না। শক্তিশালী বিজেপী বিরোধী পার্টি হিসেবে লিবারেশন যদি তৃণমূল কেই দেখে, তৃণমূল কেই মনে করে দেশে সেকুলারিজম এর পক্ষে গুরুত্ত্ত্বপূর্ণ, তাহলে তৃণমূলের সংগে জেতে লিবারেশনের অসুবিধে কোথায়? উদ্যোগ নিলে খুব স্বাভাবিক ই হবে ব্যাপারটা।
একদম সঠিক !!পশ্চিম বঙ্গে বাম বলতে আমরা বুঝি প্রধানত সিপিম ।..এই দল টা এখনো আত্মসন্তুষ্টি আর উন্নাসিকতায় ভুগছে ।..এনারা মাঠেময়দানে ।..অলিতে গলিতে এখনো এমন ভাব করেন যেন তৃণমূল তথা মমতা কে হারাতে পারলেই সব হয়ে যাবে !!ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া.... বিনয়ী হওয়া ..মানুষের কাছে আসল সমস্যা গুলো নিয়ে যাওয়া ।..এগুলো এনারা ভুলে গেছে!! শুধু মিছিলে হাঁটা ..দু একটা গরম গরম ভাষণ দেয়া ....শহর কেন্দ্রিক কিছু জন হিত কর কাজ করা ছাড়া আর তো কোনো আন্দোলন হয় নি !!বিজেপি যে কি ভয়ানক ভাবে বিষ ছড়াচ্ছে ।..তা কি এনারা বোঝেন না ??ঠিক বোঝেন কিন্তু ওই যে ।..গোঁ ধরা ভাব ।.."দাড়াও আগে তৃণমূল তাড়াই ।..তার পর বিজেপি কে দেখে নেবো ""'।এই রকম আর কি !!দাদা রা আবার রাগ করবেন না যেন !!
সিপিএমের সবাই একইরকম ভাবছেন এমনটা নয়।বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গতবছর গণশক্তিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিজেপিকেই মূল শত্রু বলেছেন।একইভাবে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছিলেন, তৃণমূলকে তাড়াতে গিয়ে বিজেপিকে সুযোগ করে দেবার অর্থ হল সিপিএমের আত্মধ্বংস।
হানুদা, আর কি বলি দুঃখের কথা, মুর্শিদাবাদের একটা জায়গা নবগ্রাম, হদ্দ গরিব, সেখানে কম্যুনিটি কিচেন করতে গিয়ে সেকি হ্যাঙ্গাম, সবাই ভেঙে দ্যায়। শেষমেশ বিজ্ঞান মঞ্চের ব্যানারে গিয়ে শান্তিকল্যাণ।
বন্ধুগণ,
বাজে প্রস্তাবে কান দেবেন না। বিরোধীদের সঙ্গে জোট বাঁধালে মুশকিল আছে। বিরোধী ভোট তিন ভাগ হোক - বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, বা চার ভাগ, বা পাঁচ ভাগ, তাহলে আমাদের সুবিধে হয়। সব বিরোধী ভোট বিজেপির দিকে গেলে মুশকিল আছে, ওরা জিতে যেতে পারে। ২%, ৩%, ৫% - যত অল্পই হোক, বিরোধী ভোট বিভিন্ন পার্টিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাক, সেটাই আমরা চাই।
ইতি,
শান্ত কিশোর
সহকারী স্থপতি, টিএমসি
কঙ্গ্রেসের সাথে জোট করেই বামেদের এত সমস্যা, তার উপরে নাকি তিনো। কঙ্গের সঙ্গে জোটের সময় কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল আপাতত সাম্প্রদায়িকতা (মানে বিজেপি) প্রধান শত্রু ইত্যাদি। তিনোদের ক্ষেত্রে তো সেটাও বলা যায় না। আজকে বিজেপিকে দুরে রাখতে তিনোর সাথে জোট করলো, তিনো দুদিন পরে বিজেপির সাথে জোট করে বসলো।
তিনো রা কালকে বিজেপির সঙ্গে জোট করে বসলে কি হবে!! ন্যাকামির চূড়ান্ত! কি আর হবে, বাামেরা সড়ে আসবে।
বামেরা এমনিতেই নীতিবোধের জলাঞ্জলি দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তলে তলে, বিজেপি কে ভোট দিতে তাঁদের বাঁধছে না। খালি মুুুখে বক্তৃতা চলছে বিজেপি আমাদের শত্রু ! উহাদের থেকে ও তিনো দের থেকে সমদূরত্ব ইত্যাদি !
আরে, বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চাইলে প্রকাশ্যে করুক।
লিবারেশন এর পক্ষে প্রকাশ্যে তৃণমূল, বামেদের পক্ষে প্রকাশ্যে বাম ছাড়া আর প্রায় সবকিছুই, ,,তৃণমূলের পক্ষে প্রকাশ্যে বিজেপি বা জামাতি, বিজেপির পক্ষে প্রকাশ্যে ডিক্টেটরশিপ এগুলো করা একটু মুশকিল। তবে কংগ্রেস ই একমাত্র ট্রান্সপেরেন্টলি উঠে যাচ্ছে:---))))))
বোধিবাবু পষ্ট করে বলুন ত বামভোট বিজেপিতে গিয়েচে কি যায়নি? বামেদের নিজস্ব ভোট বিজেপিতে গেলে তার দায় বামেরা নেবে নাকি অন্য কেউ? দেশবিদেশের আঁতেল থিওরি বাদ দিয়ে সোজাসাপটা হ্যাঁ বা না উত্তর দিন।
একটা নতুন পার্টি ১৮ টা সিট পেল, লোক সভায়, সেটা ক্লিয়ারলি এমনি এমনি হয় নি। আকাশ থেকে ভোট পড়ে নি। তবে সিপিএম এর সমস্ত সমর্থক , সমস্ত স্তরের সমস্ত কমিটি , দায়িত্ত্ব নিয়ে বিজেপি কে সমর্থন করেছে এরকম কোন এভিডেন্স নেই। অতএব আপনার প্রশ্নের উত্তর না।
বিজেপি কে যখন সবচেয়ে বড় মেডিয়া খুল্লম খুল্লা সমর্থন করছে, আর একটা তৃণমূল বনাম বিজেপি বাইনারি তৈরী করছে, তখন প্রচুর মিথ তৈরী হবে স্বাভাবিক, এবং বেশির ভাগ মিথ i চুড়ান্ত দক্ষিনপন্থী।
মমতা মুসলমান তোষণ করে উল্টে দিচ্ছেন এটা যেমন সম্পূর্ণ বাজে কথা, তেমনি সিপিএম er উচ্চতম নেতৃত্তএর উদ্যোগে বিজেপি কোলে বসিয়ে নিজে বিলীন হবার জন্য পরিশ্রম করছে এটাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বাজে কথা। ২০১১ / ২০১৬ প্রতিট ভোটেই বামেদের ভোট কমেছে। এবং বিজেপি কে তৃণমূলের একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে দেখার পেছনে কিছু কমারশিয়াল ইন্টারেস্ট কাজ করছে।
মমতা পাবলিক ডোমেনে নিজের রক্ষনশীল ধর্মভীরু আচরণ গোপন করেন নি, তাতে বাংলার সেকুলার সংস্কৃতির ক্ষতি একটা হয়েছে। পুলিস কর্তা কালিপুজোয় সাহায্য করছে এটা সমর্থন যোগ্য না। তেমনি মমতা সহজে মুসলমান সমাজের উপরে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ধর্মীয় নেতাদের , সমাজের রক্ষনশীল অংশের সাহায্য নিয়েছেন বলে, মুসলমান তোষণ করে উল্টে দিয়েছেন এটা একেবারেই বাজে কথা। সাচার কমিটির রিপোর্টে বাংলার সরকারী চাকরি তে মুসলমান দের কম উপ্পস্থিতি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, সেটাকে মমতা কাজে লাগান, পোলিটিকাল ইসলামের লোক দের এখন নতুন কোন রিপোর্ট বেরিয়েছে বলে জান নেই। মুসলমান রা চাকরি পেয়ে ফাটিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা নেই। পারক সারকাসে হেলমেট না পরা, মোয়াজ্জেম দের পয়সা দেওয়া এগুলো ইলেকশন ইসু হয়েছে, বিজেপির প্রচারের জোরে। ক্লাব এবং মুসলমান পুরোহিত দের পয়সা দিয়ে একেবারেই মমতা ভালো করেন নি, কিন্তু সেটা ম্যানেজ করতে গিয়ে এখন হিন্দু সিম্বলিজম রাম পুজো , পurohita দের ভাতা এসব করঅছেন। কিন্তু এটাকে হিন্দু বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিপিএম তোষণ বলে খুব হই হই হয়েছে এরকম কোন খবর নেই।
ঠিক তেমনি আরেকটি মিথ হল, সিপিএম এর সবাই বিজেপি। ঘটনা যেগুলি ঘটেছে সেটা মোটামুটি এরকম।
- ঘটি ভোট, বিশেষতঃ পশ্চিমবংগে পশ্চিমে, বিজেপি সবচেয়ে বেড়েছে, সেখানে সিপিএম নন্দীগ্রাম, লাল গড় , নেতাই এর সময় থেকে কোনঠাসা। এখানে কি তাহলে, মাওবাদী, শুভেন্দু, আর তৃণমূলের দাক্ষিন্যে বিজেপি বেড়েছে, মমতার দেওয়া স্ট্যান্ডার্ড তত্ত হল, ওঝানে ঝার্খন্ড থেকে গুন্ডা এনে বিজেপি ভোট করেছে। তাহলে বলতে হবে প্রশাসন ও সংগঠন দুই ই দুর্বল তৃণমূলের সেখানে যার জন্য বিজেপি বেড়েছে।
-- উত্তরবংগে আসাম মডেলের এন আর সি r প্রচারের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে, কারণ সেখানে জাতি ইসু বহুদিন ধরেই আসাম এর মত জটিল। পাহাড়ে বিমল গুরুং এর উত্থান, পাহাড়ের হাসি, তামাং হত্যা, বিনয় এর উত্থান, বিমলের নিরুদ্দেশ যাত্রা ও পুনরায় আবির্ভাবে , সিপিএম er এগুলি তে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রক ভূমিকা রয়েছে, এটা কেউ i দাবী করবে না। উদয়ন গুহরা সিপিএম এর উদ্যোগে তৃণমূলে গেছেন এই দাবীও কেউ করবে না।
এই দুটি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিজেপি। অতএব কার দায় সে প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় এই জায়গা গুলিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি বেড়েছে।
-- সিপিএম ব বামেরা যাদের সমর্থন এক সময়ে পেয়েছে, রিফিউজি রা, তাদের অনেকেই বহুদিন আগে থেকেই বামেদের ছেড়েছেন, নইলে কলোনী এলাকায় বামেদের সমর্থন কমে না। নিম্নবর্ণ দের ভোট তৃণমূলের ছিল, সেটাকে বিজেপি টানার চেষ্টা করছে। সেট পুরোপুরি চলে গেছে , এরকম এভিডেন্স নেই, তবে এই ফাইট টা ক্রিটিকাল। কিন্তু সিপিএম এর যে শিল্পায়নের যে ন্যারেটিভ, সেটা ডিবান্ক্ড হবার পর থেকে, নতুন কোন রাজ্যস্তরেr জেনেরাল অস্ত্যর্থক ন্যারেটিভ নেই, এই হালের রিলিফ ওয়ার্ক ছাড়া, কিন্তু সেট তো আর শ্লোগান না, অগন্তান্ত্রিক রাজ্য সরকার এর বিরোধিতা আছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, এনার্সি বিরোধিতা আছে, বিজেপির বিরুদ্ধে।, অতএব সিপিএম জানে তারা সরকার গড়ার জায়্গায় নেই। কিন্তু তাদের শক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টা তারা করছে। কংগ্রেস কেনো সিপিএম e ইন্টারেস্টেড আমার জানা নেই। তার পক্ষে অনেক সোজা হত তৃণমূলের সংগে গেলে। হয়্তো অর্গানাইজেশন যে ভাবে চুরি যায় তাতে ভয় পায়।
বিজেপি কে অ্যাসপিরান্ট হিন্দু বাংআলি দুর্দান্ত ভদ্রলোকীয় অপশন হিসেবে দেখছে কিন্তু সেটা এখনো বোঝা যায় নি, পুর ভোট হলে বোঝ যেত, হ্যা ব্যক্তিত আনেকডোটাল অভিজ্ঞতা বিজেপির ফ্যাসিস্ট রেশনালাইজেশন এর গ্রহণযোগ্যতা শিক্ষিত মানুষের মধ্যে বেড়েছে। এটা দুঃখের হলেও সত্যি। এবং এর পার্টি লাইন নেই আর, অনেকের অনেক্দিনের ভোটার ই ঘোর বিজেপি হয়ে উঠেছে। এবং যদি শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে শিক্ষিত বাঙালি সব ভোট উজাড় করে নাও দেয়, তাহলেও, হিন্দুত্ত্ব রাজনীতির প্রভাব বাড়বেই, তাদের তইরী করে দেওয়া রেফারেন্সেই ডিবেট হবে।
সিপিএম এবার ও রাজ্যের সর্বত্রই কিছু ভোট পাবে, কিন্তু ভালো সার্ভে ন করে বল মুশকিল, সেগুলো আদৌ সিটে কনভার্ট হবে কিনা।
তবে এগুলি তে লিবারেশেন এর দুশ্চিন্তা কোন কারণ নেই, কারণ তাদের হারানার কিছু নেই। কিছু সিট জিততে গেলে তৃণমূলের সংগেই যেতে হবে। প্রকাশ্যে সেটা দীপংকর কে বোঝান।
লজিক এর দিক থেকে বাম আমলে তৃণমূল বাড়াটা বামের ব্যর্থতা হলে ধর্মীয় টার্মস এর রাজনীতি তৃণমূল এর আমলে বাড়লে তার নৈতিক দায়িত্ব কেন তৃণমূলের হবেনা বলা কঠিন।
মমতা, এবং তার নকু বন্ধু রা এবং আবাপ ধর্মী সাংবাদিক কথা ২০১১ পর্যনত বলে এলেন কেরালা কিউবা আর দিল্লির দিকে তাকাতে গিয়ে বাংলাকে অবহেলা করছে বাঙালি সিপিএম। সেটাতে এখন লজিকষ হল , রাজ্যের দিকে তাকাবে ন না, শুধু আসাম ও গুজরাট দেখুন। মেন এখানে সব ঠিক। :--))))) হাস্যকর বোকা বোকা কথা। লিবারেশন ১৭ দলের জোট ভেঙে দিয়ে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ জোট করছেনা কেন?
একবার যদি সংসদীয় রাজনীতির চোরা বালিতে পা দিতে হয়েছে ..সমঝোতা ..শত্রূর সঙ্গে আপোষ ....অশুভ আঁতাত এইসব করতেই হবে !!ওসব নীতি , আদর্শ নিয়ে চললে তো হবে না !!আর বুদ্ধদেব বাবু বা কেউ কবে কোন সত্যি কথা টা বলেছিলেন তা আর কে শোনে ??এই সময়ে একমাত্র লক্ষ্য হোক বিজেপি নামক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন কে বধ করা ।..নাহলে উত্তর সুরী দের কাছে কোনো জবাব দেয়ার কিছু থাকবে কি ??
কেরালা মDel