এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • কেন্দ্র ও পরিধি থেকে দেখা বঙ্গভঙ্গের অশ্রুসজল ইতিবৃত্ত

    সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৮১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • দুই মলাটের মধ্যে গ্রন্থিত তিনটি আখ্যান। তিনটিরই বিষয় স্বাধীনতা লাভের সময়ে বাংলার বিভাজন ও অগণিত মানুষের জীবনের ওপর তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব । লেখক তানভীর মোকাম্মেল। পড়লেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

     

    ইতিহাসের নিষ্ঠুর কৌতুক এই যে হাজার হাজার বছরের বহতা নদীতে বাঁধ পড়ল; জ্যামিতি থেকে উঠে আসা এক বক্ররেখা তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক দুর্বুদ্ধি ও অস্তায়মান শাসকের প্ররোচনা হয়ে প্রান্তর, বনরাজি ও ফসলের খেত জুড়ে মানুষের কান্না বুনে দিল। পুরাকালের জম্বুদ্বীপ থেকে জেগে ওঠা শকুন্তলা পুত্রের নামাঙ্কিত এই উপমহাদেশ ছিন্ন শরীরের মতো তিন টুকরো হয়ে পড়ে থাকল ইতিহাসের রুধিরাক্ত মানচিত্রে তবু বাঙালি মেধা তেমন বিচলিত হল না। পশ্চিম প্রান্তে পাঞ্জাব সীমান্তে সাদাত হাসান মান্টো, ভীষ্ম সিং সাহনি-সহ অজস্র শব্দজীবী পাওয়া যায় যারা আগুন আর রক্ত, রক্ত আর অশ্রুর বিস্তারকে হৃদয়ের পানপাত্রে ধরে রেখেছেন। কিন্তু পূর্বপাড়ে বঙ্গভূমিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তেমন নজরে পড়ে না। ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’ আমাদের যাত্রা অনেক পরে; কেয়াপাতার কোনো নৌকা কিন্তু পঞ্চাশ দশকেও আমাদের আশ্রয় ছিল না। সত্তর দশকে পাকিস্তান কিংবদন্তির অবসান হলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির যে আবেগ দেখা যায় তা স্মৃতিবিধুরতা থেকে জাত। এমনকি দুঃখের হলেও সত্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দুর্বলতা থেকে জাত উল্লাস বা সামরিক বিজয়ের মাদকতা। এখন বাংলা কাব্য বা সংস্কৃতিতে যে পার্টিশন চর্চা তা অনেকটাই অ্যাকাডেমিক অথবা স্থিরতর উপকূলে পা রাখার পরে অতীতের মায়াবী পুনরাবলোকন। কলকাতার পতনশীল মাঝারিয়ানা যে নস্টালজিয়াকে নোয়ার ভেলা ভাবতে চায়, পূর্ব বাংলার স্মরণরেখা তার অন্যতম সম্বল হতে বাধ্য। ঋত্বিক ঘটক বা নিমাই ঘোষ এবং নারায়ণ সান্যাল প্রমুখ কয়েকজনকে বাদ দিলে বঙ্গ বিভাজনের সাংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া হতাশাব্যঞ্জক। হতে পারে পাঞ্জাবের মতো দ্রুততায় আমাদের নাড়ির বাঁধন কাটেনি, হতে পারে একটি ধারাবাহিক উপন্যাসের মতো জেগে থাকা গমনপথ আমাদের জ্বলন্ত নিয়তি উপহার দেয়নি। পাঞ্জাবে জনবণ্টনের পরে রুদ্ধদ্বার হয়ে যায়। বাংলায় ধর্মের ভিত্তিতে লোক বিনিময় হয়নি। দেশ বিভাজনের অনেক পরেও ফজলুল হক ও বিধান রায় যৌথ জনসভা করেছেন। যে দ্বিধাকম্পিত হৃদয়ে পূর্বপ্রান্তের হিন্দু ও মুসলমান দ্বিজাতি তত্ত্বের শিকার হয়েছেন তা অন্য স্তরে বিবেচ্য। কিন্তু স্মর্তব্য যে এমনকি ঋত্বিক ঘটকের ছবিও উত্তর-বিভাজন মনোবিকলনের কথাই বলে। দেশবিভাগের দলিল একমাত্র নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’। আজ যে স্মৃতিকথা সমারোহ, পশ্চিমবাংলায় উদ্‌বাস্তু মানুষের প্রথম পদধ্বনিতে তেমন চিন্তার পরিসর রচিত হয়নি।




    ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাঙালি শরণার্থীর দল



    এখানেই তানভীর মোকাম্মেল-এর স্বাতন্ত্র্য। দেশবিভাগের অনেক পরে জন্মানো সত্ত্বেও বিধবার সিঁথির মতো র‍্যাডক্লিফ সাহেবের কলমের আঁচড় তাকে শুধু কাঁদায় না, ভাবায়ও। একদা যে জেলার কবি মধুসূদন দূর প্রবাসে লিখেছিলেন—“সতত হে নদী তুমি পড়ো মোর মনে”, সেই জেলার মানুষ তানভীর গভীর বেদনায় ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ দাঁড়িয়ে থাকেন। একজন শিল্পী হিসেবে তিনি শুধু এই অভিসম্পাতের স্মৃতি বহন করেন না, জানতে চান যে রাতে সময়ের দুয়ার ভেঙে এমন ঝড় প্রলয়ের পথ ছেড়ে দিল অকাতরে সেই রাত্রির জরায়ু কোথায়। বেহুলার বাসরঘরে কী করে এমন গরল ছিদ্র রচিত হল। মূলত চলচ্চিত্রকার বলে তিনি কাহিনিচিত্রে ও প্রামাণ্যচিত্রে অবিরত অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন। তাঁর শিরায় শিরায় এই উপলব্ধি যে এই খননকার্য শুধু অতীতের প্রত্ন-সম্পদ উদ্ধারের অভিযান নয়, জীবনানন্দ দাশ যাকে বলেন ইতিহাসচেতনা তা পাহারায় না থাকলে কোনো শিল্পকর্মই মহাকালের সিলমোহর পাওয়ার অধিকার অর্জন করে না। ফলে তানভীর যুগপৎ হয়ে ওঠেন ইতিহাসের ধারাভাষ্যকার। আর আমার মনে হয় আমাদের স্মৃতির মহাফেজখানায় তাঁর সংগৃহীত উপাদান একদিন যথাযোগ্য সম্মান পাবেও।

    এই মুহূর্তে অবশ্য আমরা তাঁর তিনটি লিখিত আখ্যান আলোচনা করব। ‘কীর্তিনাশা’, ‘চিত্রা নদীর পারে’ ও ‘দুই নগর’—যাদের তিনি উপন্যাস হিসেবেই পাঠকসমীপে নিবেদন করেছেন। এই কাহিনিত্রয়ের মধ্যে ‘চিত্রা নদীর পারে’ প্রথম ছায়াছবি হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল। পরে লেখক চিত্রনাট্যটিকেই উপন্যাসে রূপান্তরিত করেছেন। এরকম প্রয়াস ঋত্বিক ঘটকের ‘কোমল গান্ধার’ ছবিটিকে নিয়েও হয়েছে। ছবিটির একটি উপন্যাসরূপ ছেপেছিল সে যুগের জনপ্রিয় সাপ্তাহিকী উল্টোরথ। ‘দুই নগর’ উপন্যাসের ভূমিকায় তানভীর সঠিক ভাবেই লিখেছেন, “সব ধরনের বিরাগ সৃষ্টি হয় অজ্ঞতা থেকে। পরস্পরকে না জানা থেকে।” আজ এই উপমহাদেশে এর থেকে সত্য বাক্য আর নেই।

    কিন্তু কোন্‌ ধরনের জানা? খবরের কাগজের পাতায় যা উৎকীর্ণ থাকে? সেরকম জানা তো লেখকের ভাষায়, ‘দুই নগর’ উপন্যাসে যেমন লেখা আছে, “দেশভাগের ইতিহাসটা তো জটিল নয়—১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা, মুসলমানদের পৃথক স্বার্থের দাবিদাওয়া তোলা; ১৯১৩ সালে হিন্দু মহাসভা গঠন, ১৯২৩ সালে বেঙ্গল প্যাক্ট যা ১৯২৫-এ চিত্তরঞ্জন দাশের অকালপ্রয়াণে আর কার্যকর হতে পারল না, ১৯৩৭-এ ফজলুল হকের কৃষক প্রজাপার্টির সঙ্গে ঐক্য না করে কংগ্রেসের ফজলুল হককে মুসলিম লিগের দিকে ঠেলে দেওয়া, ফজলুল হকের নানারকম সুবিধাবাদী দোদুল্যমানতা, ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টে কলকাতার সেই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা—দি গ্রেট কলকাতা কিলিং। পরে ১৯৪৬-এই নোয়াখালি ও বিহারে ভয়াবহ সব দাঙ্গা এবং ৪৭-এ এসে দেশবিভাগ।” তবু লেখক জানেন ঘটনার এই বয়ানের আড়ালে রয়ে গেছে আর-এক বয়ান। পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে, গাঙ্গেয় উপত্যকা, মেঘনা, ধলেশ্বরী থেকে ভেসে ওঠে মৎস্যকন্যা। তিনি চলে যান নাস্তিক পণ্ডিতের বজ্রযোগিনী গ্রামে, চলে আসেন ইছামতীর নৌকা যুদ্ধে, কত পরাণকথা বটের ঝুড়ির মতো নেমে গেছে ইতিহাসের ঘন অন্ধকারে! এই যে ‘কীর্তিনাশা’ আখ্যানে টিচার্স রুমে কালিকাপ্রসাদ বাবু বলে ওঠেন, “যদি একসঙ্গে খাইতে পারতাম, হয়তো একসঙ্গে থাকতেও পারতাম।” এ কি কথার কথা? শ্রী নগর বাজারের আদর্শ হোমিয়োহল কি গান্ধি-জিন্না বৈঠকের চাইতে কম গুরুত্বের জায়গা? যোগেন মণ্ডল চলে এলেন। তানভীর, তাঁর চরিত্র রসিকলালের বকলমে ছড়া কাটেন—“জিন্নাহ গেল করাচি/গান্ধি গেল মারা/বর্ণ হিন্দু গেল কইলকাতা/আমি চাঁড়াল পড়লাম ধরা!”

    না ব্রাহ্মণ, না নমশূদ্র, না মুসলমান, কারও হিসেবের খাতাই মেলেনি। তানভীর মোকাম্মেলের তিনটি লেখা শেষ করে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে থাকা আমার। বঙ্কিমচন্দ্র কবে বলেছিলেন হাশিম শেখ আর রামা কৈবর্ত্তের মঙ্গল না হলে কার মঙ্গল? আমরা না বুঝতে পেরে আলেয়ার মায়ায় সাড়া দিয়েছি। তানভীর আমাকে বাসমতী চালে ভেজা শাদা হাতখানির কথা মনে করিয়ে দিলেন। আহা! আমি তো সেই জেলারই মানুষ যেখান থেকে বেহুলার স্বর্গাভিযান।

    তানভীরের উপন্যাস ত্রয়ী শিল্পরূপের সাফল্য কতটা অর্জন করতে পারল তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে, কিন্তু যে অশ্রুসজল ইতিবৃত্তকে তিনি কেন্দ্র ও পরিধি থেকে দেখলেন তাও এক ঐতিহাসিক কর্তব্য। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।




    বিষাদ নদী: দেশভাগের তিনটি আখ্যান
    তানভীর মোকাম্মেল
    ধানসিড়ি
    ৩০০ টাকা


    ধানসিড়ির বই পাবেন
    কলেজস্ট্রিটে : ধানসিড়ি বইঘর ২০বি সূর্য সেন স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০১২; ফোন - ৭৫৯৬৮৮৮৬৯৫
    দে বুক স্টোর (দীপু), দে'জ, ধ্যানবিন্দু এছাড়া পাবেন রিড ইন (সন্তোষপুর), সংকলন (কৃষ্ণনগর), পুনশ্চ (মালদা)
    অনলাইনে readbengalibooks.com, Flipkart
    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৮১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মৌলিক | 2409:4066:21b:4173::1942:***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৩২97070
  • মনোগ্রাহী আলোচনা

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন