এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জনপরিসর কি কম পড়িতেছে

    শিমূল সেন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ আগস্ট ২০২০ | ১৪৪৭ বার পঠিত
  • জনপরিসর কি কিছু কম পড়িয়াছে

    অনিন্দ্য সেন, শিলচরের অসম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরিজির মাস্টারমশাই, এখন জেলে বন্দি। তাঁর অপরাধটা, অনেকে হয়তো বলবেন, নিতান্তই নির্বিষ। ৫ অগস্ট, অযোধ্যায় রামমন্দির-স্থাপনার পুণ্যমুহূর্তে, একটি বেচাল টিপ্পনি কেটেছিলেন এই ধৃত অধ্যাপক: 'এত হুলস্থূল কাকে নিয়ে, যিনি তাঁর বউকে ছেড়ে এসছিলেন– লোকলজ্জার ভয়ে?' গুয়াহাটির অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক মাতব্বর পোস্টটির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে, এবং অনিন্দ্যকে গ্রেফতার করা হয়। হুড়কো দেওয়া হয় তিনটি লাগসই ধারা: ২৯৪ (জনপরিসরে অশ্লীল কাজকারবার), ২৯৫এ (সোজা কথা: ধর্ম নিয়ে ব্লাসফেমি), ৫০১ (অবতারের মানহানি)। আজ হপ্তাদেড় কেটে গেল, অনিন্দ্য সেন জেলবন্দি।

    প্রশ্নটা ওঁকে নিয়ে নয়। প্রশ্নটা এইখানে, যে, জনপরিসর কি কিছু কম পড়িতেছে? অনিন্দ্য সেনের এই গ্রেফতারি, বোধ হয়, সেই ক্রম-সংকুচিত জনপরিসরেরই চোরা লক্ষণ। এমনিতেই মহামারী-ধ্বস্ত সময়ে, সত্যি বলতে, চেনা জনপরিসর বেবাক ধু-ধু, বদলে বিকল্পহীন জাঁকিয়ে বসেছে ফেসবুক-সহ বিবিধ ভার্চুয়াল উঠোন। এই ক্রান্তিকালে হঠাৎ রামমন্দির নিয়ে এত উতরোল যে হচ্ছে, নাগরিকের হয়তো সেই নিয়ে দু' কথার উষ্মা থাকতেই পারে। কিন্তু কোথায় বলবেন তিনি সেটা? নমো-নমো করে দৃশ্যমান রাস্তাঘাটে ইতস্তত কিছু সাংগঠনিক প্রতিবাদ চোখে পড়ছে বটে– কিন্তু আম-নাগরিক তাতে মিশে যাবেন, স্বাস্থ্য ইমার্জেন্সির এই মরশুমে এমন সহজ পরিস্থিতি ঠিক বিরাজমান নয়। ফলে কী আর করা, ঘরবন্দি মানুষের রাজনৈতিক অভিব্যক্তির শেষতম উপায় হয়ে উঠছে ফেসবুক।

    এটা যদি একটা দিক হয়, অন্য দিকটা আরও আশঙ্কার। সত্যি বলতে কি, নরেন্দ্র মোদী-শাসিত এই দেশে 'পাবলিক'কে সমঝে চলার ন্যূনতম আব্রুটুকু ঘুচে আসছে ক্রমশ। উদাহরণ চাই? ধরুন, মিডিয়া। গত ক' বছরে, মোদীর রাজপাটে প্রধানমন্ত্রী ঠিক ক'টি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন? উত্তর হওয়া উচিত এক (গত লোকসভা ভোটের শেষ ধাপে)– যদিও সেই একটিতে মোদীকে কার্যত স্তব্ধবাক বসে থাকতে দ্যাখা গেছিল। আবার ধরুন, আগে একটা রেওয়াজ ছিল, বিদেশ-সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হতে পারতেন সাংবাদিকরা। আর এখন? সে' পাট কবেই উঠে গেছে! উমেদার টিভি চ্যানেলগুলোয় ইতিউতি মুখ-দ্যাখানো ভাষণবাজি, আর মাসান্তে নিয়মতান্ত্রিক আকাশবাণী-মারফত রাষ্ট্রীয় ধারাবিবরণীই এখন এ-দেশি পাবলিকের শেষতম অন্ধের যষ্টি। সরকারি প্রণোদনায় ভারতে এত-কাল হয়ে আসা পাবলিক এডুকেশনের দীর্ঘ বৃত্তান্ত মনে করুন৷ এই আমলে? বেছে বেছে হামলা চলছে সরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে, আক্রান্ত হচ্ছে মুক্ত জনপরিসর। ও দিকে, ভরা উদারবাদী আবহাওয়ায়, অস্তিত্বই নেই যার, সেই জিও ইউনিভার্সিটি শিক্ষা-বিষয়ক সরকারি র‌্যাঙ্কিংয়ে উঠে আসছে এক পা এক পা। বৈচিত্র্য আর বিবিধতাকে দেহে ধারণ করে যে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা ভারতীয় ইউনিভার্সিটি-র অভিজ্ঞান– তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে নিয়ত, এবং তা ঘটছে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রত্যক্ষ মদতে।

    কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন, সব আমলই তো চেষ্টা করে থাকে এই উদার আবহের টুঁটি চিপে ধরার, হালফিলের শাসনতন্ত্রে এ' আর নতুন কী! এই 'নতুনে'র উদযাপন অবশ্য আমরা দেখে নিয়েছি, পাঁচ তারিখ। প্রায় মহাকাব্যিক ঢঙে, রাজসিক শিরস্ত্রাণে সজ্জিত 'প্রধান সেবক' ঘুরে বেড়ালেন অযোধ্যায় এ দিক সে' দিক– মরিয়া প্রমাণ করার চেষ্টা চালালেন যে তিনি রামভক্ত, অনুগত পূজারীমাত্র। সন্তর্পণ লক্ষ্যটা কী? তা হল: ভারতীয় প্রজাতন্ত্রকে ক্রমশ একটা আধ্যাত্মিকতার কাফনে মুড়ে-দেওয়া। এতেও গোল বাঁধতে পারে– ইতিহাস-মনস্ক কেউ কূট তর্ক জুড়বেন, আমাদের গোটা জাতীয়তাবাদের ইতিহাস জুড়েই কি এই আধ্যাত্মিক, অতীন্দ্রিয় সত্তার উদযাপন জেগে নেই? ভারতমাতা, যার বিনিয়োগে আজ বিজেপি একাকার করে দিচ্ছে জয়পুর থেকে যশবন্তপুর– তার উদ্বোধনই তো ছিল জাতীয়তাবাদের তুঙ্গ সময়ে, তার ভেতরেও তো সাজানো ছিল এই অলৌকিক সত্তার উপচার। তা হলে রাম নিয়ে এই আলাদা শোরগোল কেন? প্রশ্নটা স্বাভাবিক, তার উত্তরটাও কিঞ্চিৎ প্রত্যাশিত। ভারতমায়ের ঐতিহাসিক প্রতিবেশ আর আজকের সময়ের মধ্যে জেগে রয়েছে অসেতুসম্ভব দুস্তর ব্যবধান, দুই বিন্দুকে এক সরলরেখায় টানা কিঞ্চিৎ গোলমেলে। মাথায় রাখতে হবে, এই দীর্ঘ সময়সীমার ফাঁকফোকরে উপ্ত রয়েছে পঞ্চাশের দশক থেকে তিলে তিলে রূপায়িত, আম-ভারতীয় অভিজ্ঞতার এক অনিবার্য ঐতিহাসিক শর্ত: ভারতীয় গণতন্ত্র।

    ভারতে, ঐতিহাসিক ভাবেই, গণতন্ত্রের ভূমিকা নিহিত ছিল পার্লামেন্টে, খবরকাগজে: জনপরিসর-নির্মাণে, বিতর্কে, প্রতিযুক্তিতে। রাম কিংবা ভারতমাতার চরণতলাশ্রয়ে একান্ত গুটিসুটি-মারা ভক্তিবাদকে গণতন্ত্র, অন্তত আদর্শগত ভাবে, কখনওই সমর্থন করবে না– কখনওই প্রশ্রয় দেয় না এমন কোনও বিগ্রহকে, যে অদ্বৈত সত্তার বেবাক হাঁ গিলে নেবে যাবতীয় কূট বিরুদ্ধতা ও সপ্রশ্ন সংশয়। রাজানুগ্রহে, জোড়হাত প্রণামীতে কিংবা অলৌকিক জাতীয় সত্তার বিপুল নির্মাণে গণতন্ত্রের চিঁড়ে ভেজে না। অথচ এ' দেশে আজ তা'ই হচ্ছে– গণতন্ত্রের কাঠামোয় পড়ছে আধ্যাত্মিক কোনও দেবদূতের পোঁচ। জনপরিসরে তর্ক করা এ' দেশে আজ বাস্তবিকই বে-আইনি। প্রশ্ন ওঠে, কী নিয়ে কথা বলবে গণতন্ত্র? আর, বিস্ময়কর ভাবেই হয়তো, এই প্রশ্নের উত্তরে নিহিত রয়েছে ইদানীন্তন এই দেশে ঘনিয়ে-ওঠা গণতন্ত্রের সংকট– যে প্রশ্নে এই পনেরোই অগস্ট আলো ফেলা জরুরি।

    একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত, প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের স্বাভাবিক ফর্মুলা মেনেই, এ' দেশের মোদ্দা গণতান্ত্রিক রিচুয়াল, মানে নির্বাচনগুলো, টিকে ছিল জনতার চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতির ওপর। এই চাওয়া এবং পাওয়া ঠিক আদর্শরহিত কাস্টমার কেয়ারের পরিষেবাভিত্তিক রাজনীতিও নয়– তার মধ্যে নিহিত রয়েছে আদর্শগত বিরোধিতা, রাষ্ট্রক্ষমতার বিপ্রতীপে যাওয়ার সাহসিক ভঙ্গিও। রুটি-কাপড়ের রাজনীতিই বলি, বা বিদ্যুৎ-সড়কের, কিংবা, আর্থিক দুর্নীতি হলে কেন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, বা, আপৎকালীন জরুরি অবস্থা কতটা অগণতান্ত্রিক, ইত্যাকার নানাবিধ সমস্যা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দ্যাখা দিয়েছিল। মোদ্দায়, গণতন্ত্রে হক ছিল নাগরিকের: তার জীবন ও চর্যার থেকে বিযুক্ত, এমন কিছুই গণতান্ত্রিক অভিধানে ঠাঁই পায় নি। অথবা, আরও এক পা এগিয়ে বলা চলে, কোনও প্রভুবিগ্রহের প্রতাপে প্রজাশক্তি স্বয়ম্বশ হয়ে রয়েছে, এমন কোনও আদলও নেয় নি ভারতের গণতান্ত্রিক আদর্শ, দীর্ঘ কাল ধরেই। এমন এক ভারতের ছবি আঁকা হয়েছিল, যুক্তি, বাদ, প্রতিবাদ, তর্ক হবে যার সম্বল– এবং ভাবা গিয়েছিল, এই উপাদানগুলিই শ্রেয় কোনও আলোকবৃত্তে নিয়ে আসবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে।

    গ্লোবায়নের ঋতুতে যখন মানবিক ও চিন্তাশীল সব কিছুই খোলা হাটে বিকিয়ে যায়, গণতন্ত্রই বা তার বিরাট ব্যত্যয় হবে কেন? কালে কালে আম-মানুষের অধিকারের রাজনীতি ছেয়ে দেখা দিল পণ্যায়িত গণতন্ত্রের ইমারত। এই নতুন স্থাপত্যে, আদর্শ ইত্যাকার শব্দগুলি মামুলি খড়কুটোমাত্র, তার কোনও দৃঢ় ভিত্তি নেই। অস্থিরমতি শেয়ার বাজারের জুয়োখেলায় আবহাওয়া-মাফিক পণ্যের দাম যেমন ওঠে এবং পড়ে, রাজনীতির এই নতুন ভাষ্যেও পণ্যরতি, বিগ্রহপুজো, ব্যক্তিত্বের নতুন সব অভ্রংলিহ মিথ-নির্মাণের বাজার গড়ে উঠল। এবং, সচেতন, তার্কিক কোনও নাগরিকের শূন্যস্থানে আসীন হল আদর্শ-বিযুক্ত বাঁধা খদ্দের: হাওয়া যে দিকে, তিনিও সে দিকেই থাকবেন। উত্তরোত্তর পণ্যরতির এই করাল মেঘে যে কোনও মোহোত্তীর্ণ সংশয়ই টিকে থাকতে পারে না। ফলও হয়েছে তাই। ব্যক্তিত্বের প্রভা আজ তার গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতিকে ঢেকে দিতে পেরেছে৷ বাজারের যেমন পোক্ত কোনও নিশানা থাকে না, যখন-যেমন-তখন-তেমনের প্রগলভ রাজনীতি তেমনি ভাবেই নন-ইস্যুকে ইস্যু করে দ্যায়। কৃষিক্ষেত্রের দুরবস্থাকে আড়াল করে দেয় সিয়াচেন-বাহিত দূরাগত বক্তিমে। হাতের কাছে, ফলত, খবর হয় না।

    এই পণ্যশ্লিষ্ট গণতন্ত্র তো আছেই। তার থেকেও তাৎপর্যের যেটা: গণতন্ত্রের সঙ্গে এই তুমুল পণ্যবাদের অহি-নকুল বিরোধ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মোদ্দা জিয়নকাঠি যা, অর্থাৎ, নাগরিকের সম্মতি এবং হক: তা প্রশ্নের মুখে। খেলা ঘুরে গ্যাছে, নাগরিক সরকারকে প্রমাণ দ্যাখাতে বলছে না, বরঞ্চ উল্টোটাই ঘটছে। সরকার স্বতঃসিদ্ধ ধরেই নিচ্ছে যে সে সর্বেশ্বর– নাগরিকেরই ফিরতি দায় নিজেকে সন্দেহমুক্ত করা। লেভিয়াথান রাষ্ট্রের কল্পনায় এ রকমই একটি কূট জল্পনা কষেছিলেন টমাস হবস। বলাই যায়, হবসের চিন্তার অনুরণন আজও থেকে গ্যাছে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় 'বহু' কী ভাবে 'এক' হয়ে ওঠে, তার সনদই হবস পেশ করেছিলেন। হবস দেখিয়েছিলেন, কোনও 'কমনওয়েলথ'-গঠন-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আদতে, নিজের স্বত্বটি (হবসের ভাষায়: 'অথরিটি') বিলি করে দেয় প্রতাপশালী কমনওয়েলথের কাছে৷

    হবস বলেন নি হয়তো, কিন্তু এর পরেই জাঁকিয়ে বসে খেলা: যার কাঁধে এক বার বর্তেছে 'অথরিটি'র ভার, সে-ই তো, ঘটনাচক্রে হয়ে উঠবে গোটা কর্মকাণ্ডের 'অথর'! প্রতাপশালী, হাঁ-মুখো লেভিয়াথান গোটা কাণ্ডের যুগপৎ হোতা ও নট হয়ে ওঠে তখন। সরল করে বললে, সে নিজেই বানায় আর সে নিজেই অভিনয় করে। সে আসলে দাঁড়িয়ে থাকে একটা অনুলাপী দ্বিত্বোক্তির ওপর, সে নিজে আসলে প্রতিনিধিত্ব করে নিজেরই। সে গড়ে তোলে অলঙ্ঘ্য এক মিথ, যার উদ্দেশ্য ও বিধেয়, উভয়ত সে নিজেই। আবার, উল্টো দিকে দাঁড়ায় আর এক ভারী গোলমেলে শব্দ, 'সাবজেক্ট'। এমনিতে সাবজেক্ট মানে কর্তা। ক্রিয়ার নির্বিকল্প অনুঘটক সে। আবার, রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় 'সাবজেক্ট' মানে নিতান্ত 'প্রজা'। কিন্তু, হেঁয়ালি এখানেই: গণতন্ত্রের ক্রিয়ায় নাগরিক যেমন প্রকৃতই সাবজেক্ট হয়ে ওঠে, অর্থাৎ তার হক থাকে, তার সম্মতিতে টিকে থাকে শাসনকাঠামো– এ ক্ষেত্রে হয় তার ঠিক উল্টোটা। 'সাবজেক্ট' হয়ে ওঠে এক অর্থহীন বাক্যের নিরালম্ব ছুতোমাত্র।

    প্রশ্ন ওঠে এই: এ' রকম কোনও স্বৈরকাঠামোর দিকে কি আমাদের খাতায়কলম 'গণতান্ত্রিক' দেশ পরে অপসৃত হতে পারে? যখন, বিশেষত, গণতন্ত্রের আদর্শের মধ্যেই ঢুকে রয়েছে এই হেঁয়ালির বীজ, এই অঘটনের আয়রনি? ইতালির নাট্যকার পিরানদেল্লো বোধ হয় এর একটা উত্তর জোগান দিয়েছিলেন তাঁর 'নাট্যকারের সন্ধানে ছয় চরিত্র'-তে। যেখানে, 'অথরশিপ'-এর বাঁধা কাঠামো ভেঙে চরিত্ররা বেরিয়ে আসে, নিজেরাই বেঁধে নেয় বহুকৌণিক বাস্তবতার এক নাটক। 'প্রতিনিধিত্বে'র বাঁধা উভবতল গত ছেড়ে, স্থাপত্যশৃঙ্খল ধসিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র অনুরণিত হয় গোটা নাটকের মজ্জায় মজ্জায়।

    স্বৈরের এই সম্ভাবনা, অধ্যাত্মিক কোনও 'অথর'-এর কাছে নিবেদিতপ্রাণ এই ভাবভঙ্গি, আসলে, ধোঁয়াশা জাগায়। কূট প্রশ্ন খুঁচিয়ে তোলে তা: জনপরিসরের, বিরুদ্ধতার, বস্তুভিত্তিক গণতন্ত্রের এই আবহ ছেড়েছুড়ে আমরা কি কোনও বিকল্প ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ আগস্ট ২০২০ | ১৪৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন