এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অংশুমানের ডায়রি | এসব হয়না – ৪

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ আগস্ট ২০২০ | ২৭৪২ বার পঠিত
  • | | | | | | |
    'অংশুমানের ডায়রি' গল্পটা ব্রতীশঙ্করের বেশ মনে ধরেছিল। জার্নাল এন্ট্রি একের পর এক। যা অংশুমানের তৎকালীন মানসিক টানাপোড়েনের দলিল বলা যেতে পারে। অংশুমান কি আসলে লেখক নিজেই? ব্রতী সেটা জানে না। সেই বিষয়ে বইয়ের শুরুতে 'লেখকের কথা'-য় বা মুখবন্ধে কিছু লেখা নেই। অংশুমান একটি অবিবাহিত ছেলে। সে চাকরি করে আর পাঁচজনের মতোই। একসময় অংশুমান গায়ক হতে চেয়েছিল। অংশুমান গায়ক হতে পারেনি কোনওদিন। অংশুমান সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায় না গল্পটা থেকে। কিন্তু তার ডায়রির এন্ট্রিগুলোতে এমন কিছু কথা ফিরে ফিরে আসে বারবার যা আমাদের বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যান্ত্রিক-অমানবিক দিকটিকে নগ্ন করে দেয়। অংশুমান খুশি নেই, এ কথা বোঝা যায় স্পষ্টতই।

    ব্রতীশঙ্কর মার্ক্সবাদী। মানে, পুরোপুরি না হলেও কিছুটা তো বটেই। ঠিক কতটা আরও মার্ক্সবাদী হলে পুরোপুরি মার্ক্সবাদী হওয়া যেতে পারে ব্রতীশঙ্কর জানে না। না, পার্টি করে না সে। যেকোনও প্রতিষ্ঠান যা মানুষের ব্যক্তিসত্তার উপর চেপে বসে তার সাথে মানিয়ে নিতে ব্রতীর সমস্যা আছে। অংশুমানের মধ্যে ব্রতীশঙ্কর যেন কিছুটা নিজেকে দেখতে পায়। আরেকটা মিলও রয়েছে তাছাড়া। ব্রতীশঙ্কর ছবি আঁকতে চেয়েছিল। ব্রতীশঙ্করের ছবি আঁকাটা হয়নি। আর ব্রতীও চাকরি করে কোথাও একটা। কোথায় তাতে কীই বা আসে যায়! চাকরি তো চাকরিই। ইচ্ছে হোক বা না হোক করতেই হবে। পেটের ব্যাপার। যে কাজ করতে পেলে বেশ ভালো লাগে নিজের তেমন কাজ যদি করতেই দেবে কেউ তাহলে আর টাকা দেবে কেন! টাকা তো তখনই দেবে যখন কাজটা করতে ইচ্ছে হবে না মানুষের কিন্তু কাজটাও আবার কাউকে না কাউকে দিয়ে না করালেই নয়। এই সার সত্য ব্রতী এতদিনে বুঝেছে। কিন্তু, কেন করাতে হবে কাজটা?--- না, একটা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। যে ব্যবস্থাটাও আবার নাকি মানুষেরই তৈরি করা।

    হাস্যকর!
    দুঃখজনকভাবেই হাস্যকর!

    যেন নিজেদের নাকের সামনে গাজর ঝুলিয়ে নিজেরাই দৌড়চ্ছে সবাই। ছটফট লাগছে তবু দৌড়চ্ছে। জানে যে গাজরটা নিজেদেরই ঝোলানো আসলে, তবু থামার উপায় নেই। থেমে গেলেই পৃথিবীর হৃদযন্ত্র থেমে যাবে। শিরা-উপশিরায় আর রক্ত পৌঁছবে না। কোষগুলো মারা যেতে শুরু করবে রক্তের অভাবে। তাই রোজ সকাল থেকে শুরু হবে এক নাটক!
    রোজ রোজ।
    একই।

    বিষাদময়!

    তবু এই বিষাদের বিস্বাদ নিয়েই ব্রতীশঙ্কর বেঁচে আছে আর পাঁচজনের মতোই। যেমন অংশুমানও ছিল সেই 'অংশুমানের ডায়রি' নামক গল্পটার ভিতর। তাই বোধহয় ডায়রির এন্ট্রিগুলো এত পছন্দ ছিল ব্রতীশঙ্করের। কিন্তু তাই বলে এরকমটা হবে সে কোনওদিনও ভাবেনি। আসলে যা ভাবা যায় তা ঘটবে না বলেই ভাবা যায়। বা ঘটলেও হুবহু সেরকমটা তো হবেই না। আর যা ঘটে তার গোটাটা ভেবে ফেলতে পারলে মানুষই ঈশ্বর হয়ে যেত একদিন সত্যি সত্যিই। তখন গল্প-নাটক-সিনেমা-শীতের সোয়েটার ছেড়ে বাস্তবতা বুনতো।

    আহা!
    কি মজা হতো!
    না?

    ডায়রিটা পড়ে ছিল একটা স্পটলাইটের মধ্যে। মেঝের রঙ কালো। যদিও স্বপ্নে আসলে রঙ হয় না বলে লোকে। তবে বোঝা তো যায়। অথবা স্বপ্নের যে স্মৃতি তাতে তো অন্তত মনে হয় যে সবকিছুরই যেন রঙ ছিল একটা। এটা সেই স্বপ্নের স্মৃতির বিবরণ। ব্রতীশঙ্কর ভাবছিল ডায়রিটা সে এগিয়ে গিয়ে তুলবে কিনা। ওই তো, 'অংশুমানের ডায়রি', যা কিনা তার এত পছন্দের। ডায়রিটা তুলে নিয়ে খুললেই পড়ে ফেলা যাবে যা যা গল্পে ছিল না। অংশুমান কে, কি হয়েছিল তার শেষ অবধি; সবটাই জেনে ফেলা যাবে। হয়তো তার নিজের ভবিষ্যৎ পরিণতির সঙ্গে খানিক মিলও থাকবে সেটার। এইসব ভাবছিল ব্রতী। আর তখনই সে ডাকটা শুনতে পেলো।

    - "এই যে শুনছেন?"
    ডায়রি থেকে কিছুটা দূরে বাঁদিকে যেন আরেকটা স্পটলাইট এসে পড়ে। দেখা যায় সেখানে এক যুবক। তার চার হাত-পা মাটিতে। যেন সে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসতে চাইছে ডায়রিটার দিকে। কিন্তু পারছে না। কারণ তার গলায় একটা লোহার শিকল পরানো। সেই শিকলের অপরভাগ আটকানো রয়েছে একটা দেওয়ালে। যুবকটি এগোতে গেলেই শিকলটা তার গলায় চেপে বসছে।
    - "ওটা আমার ডায়রি। একটু এগিয়ে দেবেন প্লিজ?"
    যুবকটি আবারও বলে।
    - "তুমি অংশুমান?"
    ব্রতীশঙ্কর জিজ্ঞেস করে তাকে। একটু সামনের দিকে ঝুঁকে সে ভালো করে তার চোখমুখ দেখার চেষ্টা করে। অনেকটা ব্রতীর মতোই দেখতে, কিন্তু পুরোটা নয়।
    - "হ্যাঁ। আমি অংশুমান। আর ওটা আমার ডায়রি। দিন না এগিয়ে একটু"
    যুবকটি বলে। ব্রতী তার কাছে এগিয়ে যায়,
    - "তুমিই অংশুমান? তোমার এই অবস্থা হলো কি করে?"
    বলতে বলতে।
    - "আমি তো গত তিরিশ বছরের ওপর এইখানেই পড়ে রয়েছি এই অন্ধকারে। আপনি এলেন তাই আলো জ্বললো। আজ অবধি কেউ এসে পৌঁছয়নি এতদূর। আমার ডায়রিটা একটু..."
    - "হ্যাঁ, দিচ্ছি।"
    ব্রতীশঙ্কর ডায়রিটা তুলে এনে অংশুমানের হাতে দেয়। ওইটুকু আসা-যাওয়ার মধ্যেই সে বুঝতে পারে তারও মাথার ওপর জ্বলছে একটা স্পটলাইট। তার নড়াচড়ার সাথেসাথে জায়গা পাল্টে নিচ্ছে আলোটা। আলোটা যেন তাকে ফলো করছে আসলে। ওদিকে ডায়রিটা ফিরে পেয়ে অংশুমানের মুখে ততক্ষণে যেন রক্ত ফিরে এসেছে। ডায়রিটা হাতে ধরে রেখে সেদিকে তাকিয়ে সে বলে ওঠে,
    - "জানেন, কতকিছু আছে এই ডায়রিতে? আমি লোকটাকে বলেছিলাম এরকম না করতে। ছাপলে গোটাটাই ছাপতো। নিজের বেছে নেওয়া অংশগুলো তুলে তুলে ছাপার কী মানে হয়? যা ছাপা হলো আর যা ছাপা হলো না, তাই দিয়ে লোকে তো ধরে বসে থাকবে ওইটুকুই আমি। আর তাছাড়া এটা উপন্যাস হওয়ার কথা ছিল। আপনি বলুন, আপনি তো পড়েছেন, আপনাকে বলছি। এই বইয়ের মধ্যে এই লেখাটা যায়?"
    ব্রতীশঙ্কর বুঝতে পারে প্রশ্নটা তাকেই করা হচ্ছে। কী বলা উচিৎ সে বুঝে উঠতে পারে না।
    - "কেন? যায় না কেন? বইটার নামই তো অংশুমানের ডায়রি! আমার তো গোটা বইটার মধ্যে এই লেখাটাই সবচেয়ে ভালো লাগে"
    বলে সে।
    - "কিন্তু আপনি বাকি লেখাগুলো দেখুন। সবকটায় নিটোল ন্যারেটিভ রয়েছে। এই একটা শুধুমাত্র জার্নাল এন্ট্রির ফর্মে লেখা। হাউ ইজ দিস জাস্টিফায়েড?"
    - "হুঁ। সেটাও ঠিক।"
    - "আসলে এটা উপন্যাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই লেখকের উপন্যাস ছাপতো না তখনও কোনও প্রকাশক। তার ওপর এরকম জার্নাল এন্ট্রির ফর্মে লেখা। তাই কেটেকুটে সে এই বইতেই জুড়ে দিয়েছে লেখাটাকে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আমাকে এই এতগুলো বছর ধরে।"
    লেখক কি তাহলে কোনও প্রতিষ্ঠান যা তার নিজের সৃষ্ট চরিত্রের ব্যক্তিসত্তার ওপর চেপে বসেছে, ভাবে ব্রতী।
    - "তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে অন্য কোনও বইতে যাও না কেন?"
    - "উপায় কি রেখেছে তার? আপনি নিজেই তো বললেন, গোটা বইটার নামই এই গল্পটার নামে। আমি না থাকলে তো বইটাই হবে না।"
    - "কিন্তু এসব আমায় বলে কী লাভ? আমি কে? তার চেয়ে তুমি কি তোমার লেখকের স্বপ্নে গিয়ে হানা দিলেই ভালো হয় না?"
    - "আমি তার সাথেও কথা বলতে গিয়ে দেখেছি। সে আমার কোনও কথাই শুনতে চায় না। আর কেউ না চাইলে তার স্বপ্নে গিয়ে দেখা দিতে পারি এতটা ক্ষমতাও আমার নেই।"
    - "কথা শুনবে না মানে? কথা তো তাকে শুনতে হবেই। নিজের কৃতকর্মের দায় সে এভাবে এড়িয়ে যেতে পারে না। তুমি তার সৃষ্ট চরিত্র। তোমাকে পুরোপুরি ভুলে যাওয়া কি তার পক্ষে সম্ভব, নাকি সেটা ঠিক দেখায়?"
    - "ঠিক বেঠিকের খেয়াল কি সে রাখে? সে তো লেখক হতে ব্যস্ত। ক্রমশ আরও লেখক হয়ে উঠতে।"
    - "তোমার লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে লেখক হতে চায় কি সে? সে কি নিজের লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে লেখক হবে? শোনো, আবার যাও তুমি। তুমি তাকে এবার বলবে পাঠক তোমার সঙ্গে আছে। পাঠক অংশুমানকে জানতে চায়। সত্যিকারের অংশুমানকে জানতে চায় পাঠক।"

    শেষ কথাগুলো বলার সময় ব্রতীশঙ্কর কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল বোধহয়। তার বাঁ হাতের আঙুলদুটো উঠে গিয়েছিল অংশুমানের দিকে। যেন সে কোনও বিদ্রোহী, নিজের অধিকারের কথা বলতে এসেছে।
    - "সব লেখক কি আসলে নিজের লাশের উপর দিয়েই হাঁটে না?"
    অংশুমান বলে। ব্রতীশঙ্কর দেখে অংশুমানের মুখটা বদলে গেছে। বদলে সেখানে হয়ে গেছে ব্যাককভারে ছাপা লেখকের মুখ।
    তার ঘুম ভেঙে যায়।

    ঘুম ভেঙে ধাতস্থ হতে একটু সময় লাগে ব্রতীর। তারপর সে তাক থেকে পেড়ে আনে বইটাকে। 'অংশুমানের ডায়রি'। আন্দাজ মতো একটা পাতা খুলে সে গল্পটা পড়তে যায়। কিন্তু লেখাটা পায় না। পাতা উল্টে সে ফিরে আসে সুচীপত্রে। সেখানেও নাম নেই লেখাটার। অথচ শেষবারও ছিল। বইটার নাম তো একই রয়েছে। তাহলে বইয়ের নামগল্পটা উধাও হলো কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর সে দেখতে পায় 'লেখকের কথা'-র একটি ছোট্ট প্যারাগ্রাফে। সেখানে লেখা রয়েছে, "যদিও বইটির নাম অংশুমানের ডায়রি, উক্ত গল্পটিকে এই সংকলনে রাখা গেলো না। অন্যান্য লেখাগুলির সঙ্গে তার আঙ্গিকগত পার্থক্যের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এই পর্যায়ের লেখালেখি যেহেতু ওই গল্পটি থেকেই শুরু তাই বইটির নাম দেওয়া হলো গল্পটির নামে। সম্ভব হলে পরবর্তীতে ওই নামে একটি স্বতন্ত্র উপন্যাস লিখে প্রকাশ করবার ইচ্ছে রাখি।"

    এইটুকু পড়ে বইটা বন্ধ করতে যাচ্ছিলো ব্রতী। শেষবেলায় বইটা বন্ধ হওয়ার আগে আরেকটা তথ্য চোখে আটকে গেলো।
    'প্রকাশকালঃ আগস্ট ১৯৮৮'...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | |
  • ব্লগ | ০২ আগস্ট ২০২০ | ২৭৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৮:৩২95860
  • এই লেখাটা পড়তে ভালো লাগছে।

    "সব লেখক কি আসলে নিজের লাশের উপর দিয়েই হাঁটে না?" এটা পড়ে মনে পড়ল: কী করে এমন লেখেন, যেমন লেখেন হুয়েলবেক, জিগ্যেস করায় বলেছিলেন, ইটস ইজি, আই জাস্ট প্রিটেন্ড দ্যাট আয়্যাম অলরেডি ডেড।

    শুনে ভাবি আমাদের ভাষার লেখকরা কত স্বাস্থ্যবান সে তুলনায়।

  • Anamitra Roy | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৯:২৬95862
  • হৃত্তিক-সলমনে ভরপুর বাংলাসাহিত্য! :D
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ আগস্ট ২০২০ ০৬:৩৭95884
  • প্রকাশকের ইচ্ছেয় শেকলবন্দী লেখক, লেখালেখি চলে যায় হাতের বাইরে, অনেকটা স্পট লাইটে। কাফকাজাত নিগুঢ় বাস্তবতা। 

    এইপর্ব থেকেই ধারাবাহিকটি পড়ছি। অনেকদিন পর অনামিত্র। আরও লেখ ভাই         

  • বিপ্লব রহমান | ০৪ আগস্ট ২০২০ ০৬:৪৫95885
  • পুনশ্চঃ  ১৯৮৮ সালের জুলাই-আগস্টে মহাপ্লাবন হয়েছিল না? ভারত ও বাংলাদেশের অনেকটাই বানভাসি হয়েছিল         

  • Anamitra Roy | ১১ আগস্ট ২০২০ ১৯:২৪96172
  • বিপ্লব দা, এটা ধারাবাহিক নয়, আলাদা আলাদা লেখা। সিরিজের মতো।
    মহাপ্লাবন হবে না? আমি জন্মেছিলেম যে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন