এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • একটা রহস্য গল্প, বা গল্প নয়

    অরিজিৎ মুখার্জী
    আলোচনা | বিবিধ | ১৪ অক্টোবর ২০০৭ | ১০১৮ বার পঠিত
  • আমি কখনো পোর্তুগাল যাই নি। আমার কোন পোর্তুগীজ বন্ধু নেই। পোর্তুগীজ বলতে চিনি শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর জোসে মোরিনহোকে। পোর্তুগীজ খাবার বলতে "নন্দুজ'-এর মুরগী ভাজা ছাড়া আর কিছু খাই নি। আমি পোর্তুগীজ ভাষার অ-আ-ক-খ - মানে তার পোর্তুগীজ ইকুইভ্যালেন্ট কি জানি না। কিন্তু আমি arguido মানে জানি। শুধু আমি নই, গোটা যুক্তরাজ্যের মানুষ যাঁরা খবরের কাগজ পড়েন, টিভি দেখেন, গুজব শোনেন, তাঁরা জানেন। এবং সম্ভবত গোটা দুনিয়ার এক বিরাট সংখ্যক মানুষ যাঁদের হাতের কাছে আন্তর্জাল আছে, তাঁরা জানেন। শুধু জানেন না, ন্যাচারাল পোর্তুগীজ অ্যাকসেন্টে কথাটা বলতেও পারেন - পাবে বা রেস্তোরাঁতে ওয়েটারকে ধন্যবাদ জানাতে ছোট্ট করে "ওব্রিগাদো' বলতে না পারলেও - আমার কথা নয় - দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে ম্যাথু নর্ম্যানের কথা।

    শুরুর কথাটা বলে নেওয়া দরকার।

    ৩রা মে, ২০০৭ - পোর্তুগালের প্রায়া দ্য ল্যুজ রিসর্ট থেকে হারিয়ে যায় চার বছরের ম্যাডেলিন ম্যাক্‌কান। ম্যাডির বাবা-মা - জেরি এবং কেট - দুজনেই লেস্টারশায়ারে ডাক্তারি করেন - কেট একজন জিপি, জেরি হার্ট স্পেশ্যালিস্ট - তখন রিসর্টের কাছে একটি ট্যাপাস বারে রাতের খাওয়া সারছিলেন বন্ধুবান্ধবের সাথে। রিসর্টে ম্যাডি আর ম্যাডির ছোট ভাইবোন ঘুমোচ্ছিলো। কেট, জেরি এবং কয়েকজন বন্ধু পালা করে দেখে আসছিলেন যে বাচ্চাগুলো ঠিক আছে কি না। ন'টা নাগাদ জেরি দেখে আসেন। সাড়ে ন'টায় ম্যাথু ওল্ডফিল্ড ঘরের বাইরে কান পেতে শুনে আসেন। রাত্তির দশটায় কেট দেখতে যান, এবং আতঙ্কিত অবস্থায় চেঁচাতে চেঁচাতে দৌড়ে আসেন - "ওরা ওকে নিয়ে গেছে, ওরা ওকে নিয়ে গেছে।' ম্যাডির প্রিয় সফট টয় "কাড্‌ল ক্যাট' - যেটা নিয়ে সে ঘুমতো, যেটা এর পরের কয়েকদিনের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে ওঠে - পড়ে আছে বিছানার এক কোণে। ম্যাক্‌কানরা বলেন রিসর্টের একতলার কোন জানলা দিয়ে কেউ নিশ্চয় ঢুকেছিলো, মার্ক ওয়ার্নার হলিডে গ্রুপ জানায় "ফোর্সড এনট্রি'-র কোন লক্ষণ নেই। ম্যাক্‌কান পরিবারের এক বন্ধু - জেন ট্যানার - একটু দেরীতে ডিনারে এসেছিলেন - তিনি জানান রাত সওয়া ন'টা নাগাদ তিনি কাউকে দেখেছিলেন - রিসর্টের কাছাকাছি - একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে যেতে - কিন্তু তখন কোন সন্দেহ হয়নি তাঁর। আশেপাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা এক মহিলা জানান যে তিনি কোন এক রাতে ম্যাডিকে তার বাবা-মায়ের জন্যে কাঁদতে শুনেছেন, কিন্তু সঠিকভাবে তারিখ বলতে পারেননি।

    পোর্তুগীজ পুলিশ তল্লাশি শুরু করে - দিনের পর দিন গোটা অঞ্চল খুঁজেও হদিশ মেলে না। পোর্তুগীজ আইন অনুযায়ী সেখানকার পুলিশকে অনুসন্ধান চলাকালীন গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়, কাজেই পুলিশের কাছ থেকে মিডিয়া কোন খবর পায় না। ওদিকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ প্রথমে রবার্ট মুরাট নামে এক ব্রিটিশ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে - ভদ্রলোক ওই অঞ্চলেই থাকেন - ব্রিটিশ অরিজিন হলেও এখন পোর্তুগালের বাসিন্দা - তাঁকে পুলিশের মনে হয়েছিলো "ওভার-এন্থুসিয়াস্টিক' - মুরাটের বক্তব্য তিনি কেট এবং জেরিকে সাহায্য করছিলেন পুলিশের সাথে ইন্টার‌্যাকশনে - ওই অঞ্চলের বাসিন্দা হিসেবে, এবং ইংরিজী-পোর্তুগীজ দুটোই জানার সুবাদে।

    টিভি-রেডিও-ইন্টারনেটে অ্যাপীল হয় - দেশে-বিদেশে ম্যাডিকে দেখা যেতে থাকে - কখনো স্পেনে, কখনো মরক্কোয়...কিন্তু মেয়েটার খোঁজ পাওয়া যায় না। দিন যায় - সপ্তাহ, মাস...অ্যাপীলের পরিধি ক্রমশ: বাড়ে - আরো বিখ্যাত ব্যক্তিরা নামেন - ডেভিড বেকহ্যাম, রিয়াল মাদ্রিদের অন্যান্য তারকারা টিভিতে অ্যাপীল করেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের কিছু খেলার আগে খেলোয়াড়দের গায়ে "ব্রিং ম্যাডি হোম' সম্বলিত টিশার্ট দেখা যায়। ফাইণ্ডম্যাডেলিন বলে ওয়েব সাইট তৈরী হয়, ফাণ্ড রেইজিং চলে...কেট এবং জেরি ব্লগ লেখেন...এই অবিশ্বাস্য ঙছ ক্যামপেন পীকে ওঠে যখন কেট এবং জেরি পোপের সঙ্গে দেখা করেন - ম্যাডির ছবিতে হাত রেখে পোপ বেনেডিক্ট বলেন যে তিনি ম্যাডির জন্য প্রার্থনা করবেন।

    শুরুর পরের কথা - দিন কাটে, ম্যাডির "সাইটিং' চলতেই থাকে বিভিন্ন দেশে, কিন্তু ম্যাডি নিখোঁজই থাকে। পোর্তুগীজ পুলিশ ব্রিটিশ ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের সাহায্য নেয় - ব্রিটিশ পুলিশ সাথে শিক্ষিত কুকুর নিয়ে প্রায়া দ্য ল্যুজে পৌঁছয় তদন্তের জন্যে। বার্মিংহ্যামের ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয়। তদন্তে কি হচ্ছে কেউ জানতে পারে না - অথচ খবর তো চাই - মিডিয়া প্রায়া দ্য ল্যুজে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকে - খবরের আশায়। ম্যাক্‌কানরা কি করছেন, কোন চার্চে যাচ্ছেন সেগুলোই ট্যাবলয়েডে জায়গা পেতে থাকে। এবং আস্তে আস্তে এর মধ্যে জায়গা করে নেয় গসিপ। কিছু পোর্তুগীজ মিডিয়ার কল্যাণে, কিছু এদেশীয় ডেইলি মেইল বা ডেইলি মিরর জাতীয়দের কল্যাণে।

    ফরেনসিক পরীক্ষার পুঙ্খানুপুঙ্খ রেজাল্ট জানা না গেলেও আকারে ইঙ্গিতে বেশ কিছু "ডিস্টার্বিং' খবর বেরোতে শুরু করে। দুটি কুকুরের মধ্যে একটি - যেটি রক্ত এবং "বডি ফ্লুইড'-এর গন্ধ পায় - সেটি ম্যাক্‌কান পরিবারের ভাড়া করা রেনো সীনিকের বুটের সামনে অতিরিক্ত অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে। আরেকটি, যেটি মৃতদেহের গন্ধ চিনতে পারে, সেটি কেট ম্যাক্‌কানের শরীরে গন্ধ পায় বলে জানা যায়। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল এই রেনো সীনিকটি ম্যাক্‌কান পরিবার ভাড়া করেন ম্যাডেলিন হারিয়ে যাওয়ার পঁচিশদিন পর। এই সমস্ত মেটিরিয়াল পরীক্ষা হয় বার্মিংহ্যামে, পুরো ফলাফল পোর্তুগীজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ মিডিয়ায় কেট ম্যাক্‌কান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে পুলিশ কেট এবং জেরিকে ফাঁসাতে চাইছে। দিন দুয়েকের মধ্যে পোর্তুগীজ পুলিশ কেটকে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করে - প্রায় দশ ঘন্টা ধরে - শেষে অফিসিয়ালি কেট এবং জেরিকে "arguido' - অর্থাৎ "অফিসিয়াল সাসপেক্ট' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। "arguido' - যে শব্দটার কথা লিখেছিলাম শুরুতেই।

    ২২১বি বেকার স্ট্রীট তো এদেশেই। কাজেই টিভির পর্দায় খবর শুনে আর ট্যাবলয়েডের প্রথম পাতায় লেখা পড়ে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের মধ্যের সুপ্ত শার্লক হোমস জেগে ওঠে। ধোঁয়া দেয় ট্যাবলয়েড। সিডেটিভের ওভারডোজ, বেশি ডোজের ক্যালপল - ইত্যাদি নানারকম হেডলাইন দেখেছি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের প্রথম পাতায় - সকলের খবরই নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাওয়া। কেট ম্যাক্‌কানের ডায়েরী একটা বহুচর্চিত বিষয় হয়ে ওঠে - কেট সেখানে ম্যাডেলিনকে নিয়ে নানা রকম সমস্যার কথা নাকি লিখেছেন - লিখেছেন তিনি একা ম্যাডেলিনকে সামলাতেন, ম্যাডেলিন অনেক সময়েই কথা শুনতো না, ঘরের কাজে জেরি বিন্দুমাত্র সাহায্য করতেন না - ইত্যাদি। সেনসেশন তৈরীতে পিছিয়ে থাকা সম্ভব নয় - সেনসেশনই কাগজের বিক্রী বাড়ায় - একদিন নিউজএজেন্টের তাকগুলো ছেয়ে গেলো "ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড'-এর বিশাল সাইজের হেডিং-এ - "Police Framing Maddy Mother' - জনৈক লিওনার্ডো সিলভা পোর্তুগীজ পুলিশের হাতে তাঁর স্ত্রীর হ্যারাসমেন্টের কথা বলেছেন - ওঁর স্ত্রীকে নাকি তাঁদের মেয়েদের খুন করার অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছে - এবং সেই একই ডিটেকটিভ ম্যাডেলিনের কেসেও তদন্ত করছেন। লিওনার্ডোর বক্তব্য ওঁর স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করে তাঁকে দিয়ে স্বীকারোক্তি বানানো হয়েছিলো, ওঁর ভয় কেট ম্যাক্‌কানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। আরো খবর বেরোয়। পোর্তুগীজ পুলিশকে ভিলেন বানিয়ে, ম্যাক্‌কানদের ভিলেন বানিয়ে, ফরেনসিক সায়েন্সকে ভিলেন বানিয়ে - রাতারাতি গোটা যুক্তরাজ্যের লোকে পোর্তুগীজ আইন এবং ফরেনসিক সায়েন্সে এক্সপার্ট হয়ে ওঠে। খবর বেরোতে থাকে। ম্যাক্‌কানরা পোর্তুগাল ছেড়ে লেস্টারে ফিরে আসেন। ঙছ ক্যাম্পেন চালু থাকে - প্রাক্তন বিবিসি রিপোর্টার ক্ল্যারেন্স মিচেল ম্যাক্‌কানদের অফিসিয়াল স্পোকসম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেন - ফরেন অফিসের চাকরি ছেড়ে। ভার্জিন মিডিয়ার বস স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন থেকে শুরু করে আরো কিছু নামকরা লোক ম্যাডেলিন ক্যাম্পেনের পিছনে দাঁড়ান।

    ম্যাডেলিনকে এখনো পাওয়া যায়নি। পোর্তুগীজ পুলিশ সমস্ত ডকুমেন্ট তুলে দিয়েছিলো এক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নীর হাতে, সেখান থেকে সব পৌঁছয় এক জাজের হাতে - কেট এবং জেরিকে চার্জশীট দেওয়া হবে কিনা - তার জন্যে। জাজের সিদ্ধান্তে এই মুহুর্তে চার্জশীট দেওয়া হয় না, তদন্ত চলতে থাকে। ম্যাডেলিন নিখোঁজ আজ ১৬১ দিন।

    =========================================================

    হয়তো কোনদিনই মেয়েটাকে পাওয়া যাবে না। হয়তো বা সেই অন্য মেয়েটার মতন বেশ কিছু বছর বাদে ফিরে আসবে সে। হয়তো ম্যাডেলিন মারাই গেছে - হয়তো সিডেটিভের ওভারডোজেই - বা হয়তো কোথাও লুকিয়ে থাকা কোন পিডোফাইল তুলে নিয়ে গেছে...কি হল ম্যাডেলিনের তা হয়তো জানা যাবে না - হয়তো যাবে। কিন্তু ট্যাবলয়েডে বেরনো কোন খবরই আর অতটা চাঞ্চল্যকর নয় যতটা চাঞ্চল্যকর এবং ডিস্টার্বিং এই গোটা ঘটনায় ট্যাবলয়েড মিডিয়ার রিয়্যাকশন বা ব্রিটিশ পাবলিকের গণহিস্টিরিয়া। এবং আমার অনভ্যস্ত চোখে এই অবিশ্বাস্য বড়মাপের PR ক্যামপেন...বেকহ্যাম, জিদান, রাউলের মতন ফুটবল দুনিয়ার মহাতারকারা, স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, স্বয়ং পোপ বেনেডিক্ট...

    দশই অক্টোবর ২০০৭-এর খবর - প্রতি বছর প্রায় লাখ খানেক হারিয়ে যাওয়া বাচ্চার ছবি যুক্তরাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল সেন্টার, জিপি ক্লিনিক, সার্জারীর ওয়েটিং রুমের টিভি স্ক্রীণে দেখানো হবে। এরা বা এদের পরিবারের কেউই সেলিব্রিটি হয়ে উঠতে পারেনি। এদের কজনের জন্যেই বা বেকহ্যামের মতন তারকা অ্যাপীল করেন...

    অক্টোবর ১৪, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৪ অক্টোবর ২০০৭ | ১০১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন