

বিশেষ সংবাদঃ চিন এখন বিপাকে। করোনাকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন সম্পর্ক উত্তপ্ত হচ্ছিলই। সম্প্রতি চিনের সামগ্রী বয়কট করার আন্দোলন শুরু হওয়ায় চিন আরও সমস্যায় পড়ে। সকলেই জানেন প্রধানমন্ত্রীর করোনাবিরোধী ঘোষণার পরেই নানা জায়গায় স্লোগান উঠেছিল 'করোনা ভাইরাস দূর হটো'। সেটা ছিল চিন বিরোধী আন্দোলনের মুখবন্ধ। সাম্প্রতিক কালে এই আওয়াজ নিজেই মহামারীর আকার নিয়েছে। নানা জায়গায় মুখোশ পরে মিছিল হচ্ছে। দেয়ালে দেয়ালে কবিতা লেখা হচ্ছে 'চিনা ভাইরাস চিনের মাল, চিন থেকে আসা পঙ্গপাল চিনের কোকিল চিনের কাক একসাথে সব নিপাত যাক'। ভারতের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের পঙ্গপালের হামলাও যে চিন থেকেই এসেছে, সেটা অবশ্য সঠিক কিনা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ব্যাপারটা সরকার তদন্ত করে দেখছে। তবে পঙ্গপাল চৈনিক কিনা নিশ্চিত না হলেও, চিনবিরোধী আন্দোলন যে পঙ্গপালের চেয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের একটি প্রথম শ্রেণীর চ্যানেল সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে দেখিয়েছে, যে, এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার গতি করোনা ছড়ানোর চেয়েও বেশি। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে প্রচার করা যেকোনো ফেক নিউজ প্রাথমিক ভাবে গড়ে প্রায় পনেরো লক্ষ মানুষকে সংক্রামিত করে। তারপর হোয়াটস্যাপে গড়ে একেকজন প্রায় ৫ জনকে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেন। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংক্রমণের হার বাড়ে-কমে। যেমন নোটবন্দীর পরে নতুন নোটে যে জিপিএস চিপ লাগানো থাকবে, তা ছড়ানোর আর ছিল জনপ্রতি প্রায় ১০। এক্ষেত্রে সংখ্যাটি আনুমানিক ৭। সেটাও করোনার চেয়ে অনেক বেশি। টিভি চ্যানেলটির বিখ্যাত সঞ্চালক 'চিনের ভাইরাস বনাম আমাদের ভাইরাস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সমীক্ষার এই ফল ঘোষণা করে জানান, যে, 'এর থেকেই বোঝা যায়, চিনের চেয়ে ভারত এ ব্যাপারেও অনেক এগিয়ে'। এই অনুষ্ঠানের পরই বস্তুত আন্দোলন দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, দেয়ালে লেখা সময়সাপেক্ষ বলে, একটি রাজনৈতিক সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিটি শহরের প্রতিটি মোড়ে চিন-বিরোধী বিখ্যাত কবিতাটি ফেস্টুন হিসেবে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মর্মে এক কোটি ফেস্টুনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে। খরচের পরিমান সঠিক ভাবে জানা না গেলেও, এটুকু জান গেছে, যে, অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে ব্যাপারটা যত সম্ভব কম খরচে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংগঠনের এক মুখপাত্রকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে নাম গোপন রাখার শর্তে অবশ্য তিনি জানান, 'দেশের জন্য কোনো খরচই বাজে খরচ নয়। প্যাটেলের মূর্তির জন্য তিন হাজার কোটি খরচ করা হয়েছে। ফেস্টুনের জন্য খরচও আমরা জোগাড় করব। দরকার হলে আমফানের জন্য যে এক হাজার কোটির বাজে খরচ হচ্ছে, তার থেকেও কিছু নেওয়া যেতে পারে।'
এই তীব্র আন্দোলনে এমনিই চিনে ত্রাহিত্রাহি রব উঠেছিল। তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে গত কালের এক ঘটনা। অকল্পনীয় হলেও সত্যি, চিনের উইচুং অঞ্চলে গতকাল ভারতপন্থী স্লোগান উঠেছে। এর আগে সত্তরের দশকে ভারতে চিনপন্থী স্লোগান উঠলেও, চিনে ভারতপন্থী স্লোগান সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। উইচুং ই এ ব্যাপারে পথিকৃত। এই এলাকাটি চিনের বস্ত্র ও প্রিন্টিং শিল্পের শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে করোনার উপদ্রবে সেসব শিল্প বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল। সে নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভও প্রবল। স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে, চিন সরকার ওই এলাকায় শিল্প রক্ষা করার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। সে নিয়ে কিছু বিক্ষোভও হয়েছিল। কিন্তু এর সঙ্গে ভারতের কী সম্পর্ক? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝারি মাপের কারখানার মালিক জানান, 'ভারতের সরকার যে শুধু তার শ্রমিকদের দেখভাল করে তা নয়, বিদেশী শ্রমিকদের প্রতিও দয়ালু। সে কারণেই আমরা ভারতপন্থী'। তিনি আরও জানান, যে, চিনা সরকার স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে উদ্যোগী না হলেও ভারত থেকেই এসেছে এক কোটি ফেস্টুনের অর্ডার। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ছাপা হচ্ছে। কলকারখানা আবার জেগে উঠেছে। শ্রমিকরা পাচ্ছেন ওভারটাইম। এখনকার মতো সংকট মিটল বলেই আশা করা যাচ্ছে। এই দাবীর সপক্ষে তিনি সদ্য ছাপা একটি ফেস্টুনও আমাদের দেখান, যার ছবি নিচে দেওয়া হল।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে চিন সরকার এখনও পর্যন্ত দমন করে চললেও, এই আন্দোলনকে এখনও পর্যন্ত দমন করার সাহস দেখাতে পারেনি। চিনের শ্রমিকরা কাজ করছেন, এবং নির্দ্বিধায় ভারতপন্থী স্লোগান দিয়ে চলেছেন। সরকারের সাহসও হচ্ছেনা তাদের কেশাগ্র ছোঁয়ার। চিনবিরোধী আন্দোলন দুর্বার গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, এবং সাম্প্রতিক অতীতে প্রথমবার চিন ভয় পাচ্ছে। আমেরিকা নয়, ব্রিটেন নয়, ভারতই সেই ভয় দেখাতে পেরেছে।
চীনা রেঁস্তোরা, চীনা ফোন, চীনাবাদাম, চীনামাটি এসবও বাদ? :ডি
dc | 27.62.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ১৫:২৩94157
S | 51.68.***.*** | ১০ জুন ২০২০ ০৯:২৯94188
dc | 103.195.***.*** | ১০ জুন ২০২০ ০৯:৫৫94190
:|: | 174.254.***.*** | ১০ জুন ২০২০ ১১:২৪94193
Buro sadhu | 197.189.***.*** | ১০ জুন ২০২০ ১২:৩৭94196চীন ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী যদি কেউ করাতে পারে, উত্তেজনা কমাতে কেউ যদি পারে, টেবিলে ঝগড়া কেউ যদি থামাতে পারে, যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে শান্তি চুক্তি সই যদি কেউ করাতে পারে সেটা রাষ্ট্রসংঘ না সেটা ওল্ড মংক। চীনের কাছে সব আছে, সব নকল করতে পারে ওরা কিন্তু ওদের একটাই আপসোস -ওল্ড মংক নেই। সিকিমে বা লাদাখে যখনই দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মিটিং হয় ওরা মুখিয়ে থাকে এই একটা জিনিসের জন্যে। বদলে গুচ্ছের রাইস হুইস্কি, জিন, ওয়াইন দিয়ে যায়। প্রবলপ্রতাপশালী চীনের সেনা করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে স্রেফ একটা জিনিসের দিকেই। ওল্ড মংক। ভারতের অহংকার। যার সাথে না না ইতিহাস জড়িয়ে। আত্মনির্ভরশীল ভারতের মুখ ওল্ড মংক ও।
ওল্ড মংকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কপিল মোহন (১৯৪০-২০১৮)। চেষ্টা করতেন শেষ অবধি বাজারি চটকদার, বহুল বিজ্ঞাপিত সিন্থেটিক সুরার সাথে পাল্লা দিতে রোজ। দাঁতে দাঁত চেপে রাম বানিয়ে গেছেন বিশ্বস্ত মদ্যপায়ীদের জন্য। নিজে কিন্তু না সিগারেট খেতেন না মদ।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডে কুখ্যাত জেনারেল ডায়ারের বাবা ছিলেন এডমন্ড এব্রাহাম ডায়ার। ১৮২০ সালে ব্রিটেন থেকে মদ তৈরির যন্ত্রাদি নিয়ে হিমাচলের কসৌলে আসেন ব্রিওয়ারি খুলবেন বলে। এশিয়ার প্রথম ডিস্টিলারি খোলেন। নাম রাখেন কসৌল ডিস্টিলারি কোম্পানি। পরে আর এক সাহেব এইচ.জি ম্যেকিন কিছু শতাংশ শেয়ার কিনে নেন। পাহাড় রাজ্যের কোলে গড়ে ওঠা, ঝরনা জল দিয়ে তৈরি সুরা কারখানার নাম রাখেন ডায়ার ম্যেকিন ব্রিওয়ারি।
স্বাধীনতার পরে হাত বদল হয়ে এই কোম্পানি আসে সজ্জন ব্যক্তি নরেন্দ্রনাথ মোহনের হাতে। লন্ডনে গিয়ে ডিস্টিলারির বেশির ভাগ অংশীদার হন ইনি। হিমাচল, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রতে একাধিক কারখানা গড়ে তোলেন তবে শ'ওয়েলেসের ধারে কাছে আসতে পারেনি ব্যবসা। আসে তার মৃত্যুর পর। ছোট ছেলে কপিল মোহন বাজারে আনেন এক অমৃত পানীয়। স্বদেশী, স্বাদু, সহজলভ্য। সেদিন ছিল ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৪।
আবিষ্কার হল খুব গভীর ভাবে তাকিয়ে থাকা লাল ঘোলাটে রাম। এক পেটমোটা তেলের শিশির মত বোতলে। দাবিদাওয়াহীন আটপৌরে স্ত্রী এর মত। জল মিশিলে ও চলে তবে সাথে স্বচ্ছ বরফ কুচি, কোলা, ঠান্ডা জল হলে কিছু রাতে আদর বাড়ে। গ্লাসের গায়ে জলের বিন্দু। ঠোঁটে লাগা ঠান্ডা, অল্প যদিও। বাকিটা অতল খোঁজা। আরো গভীরতর। বাদামের একটা টুকরো গেলাসের নিচে পরে থাকে যেমন। রাম, জল, বরফ, চুমুক এর নিচে, অস্থিরতায়। তার ও নিচে। আরো অতল খোঁজার আকুতি। ওল্ড মংক শেখালো।
ওল্ড মংক তৈরি হয় ভেলি গুড় থেকে। ভেলি গুড়ে ঝরনার জল মিশিয়ে তা ফেলে রাখা হয়। সাধারণ ভাবে পচতে দেওয়া হয় জল হাওয়ায়। এরপর এতে মিশিয়ে দেওয়া হয় yeast। এটি এখনো ব্রিটিশ বন্য yeast হলেই ভালো। গ্যাঁজানো দরকারি ফ্লেবার মেশাবার আগে। মংকে মেশানো হয় ভ্যানিলা আর ডিস্টিল করা হয় চারকোল এর মাঝে। এই ভ্যানিলা ও কাঠকয়লার মিশেল এটিকে উষ্ণ কিন্তু স্মোকি করে তোলে। এরপর একে ঢালা হয় Oak Barrel এ। সাত বছরের জন্য কালকুঠুরি তে বন্দি করে।
এক বিরল ঔদ্ধত্য নিয়ে এর বিপণন বিভাগ চলতো। ৭০ বছরে একবার ও ওল্ড মংকের কোন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি কোথাও। মোহন বাবু এটি অর্থ-অপচয় ভাবতেন। এর চেয়ে মদের দাম সস্তা রাখা ও ভারতবর্ষকে এর স্বাদে আচ্ছন্ন করে তুলে উনি বেশি আগ্রহী ছিলেন। আজ ও হয়তো সে কারনে ওল্ড মংক কেবল একটি ব্র্যান্ড নয়, একটা অনুভূতি, একটা ভালোলাগা মন্দ লাগার বন্ধু হয়ে থেকে গেছে। আমি এরকম লোক চিনি যারা সিংগল মল্ট ছেড়ে ওল্ড মংক খান। সন্ধে নামলেই।
হয়তো সে কারনেই, ওল্ড মংককে জাতীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছিল কিছু বেহেড মাতাল। গৃহীত হয়নি তবে গেলাসে গেলাসে আজ ও বিপ্লব জাড়ি আছে। মুম্বাইতে একটা গোটা গোষ্ঠী আছে রামভক্তদের। নাম COMRADES — Council of Old Monk Rum Addicted Drinkers and Eccentrics! এরা প্রতি সন্ধে দেখা করে ঠেক এ, দু তিন পেগ খায়, নানা গল্প বিতর্ক হয় শেষে যে যার বাড়ি চলে যায়।
ইদানীং রামভক্তের সংখ্যা দেশে বৃদ্ধি পেলেও, হুইস্কি-ভক্তিই বাজার দাপাচ্ছে। রামের গেলাস কমই রোচে। নতুন ইচ্ছে, বিরাট স্বপ্ন দেখা, আইফোন, লম্বা গাড়ির সাথে পাল্লা দিতে সৌখিন স্কচ বা টেনেসি প্রয়োজন। রাম বড্ড মধ্যবিত্ত, সেকেলে শুনেছি। হয়তো সেকারনেই বাজার থেকে সম্পূর্ণ উবে যাওয়ার আগে, জোর টক্কর দিচ্ছে মংক। ভালোলাগার মংক।
ওল্ড মংক বোধহয় আমাদের পিছুটানটা। আমাদের প্রিয় বন্ধুর মতো। পকেটে যখন একটা নোট থাকতো তখন থেকে পাশে থেকে গেছে। অনেক কিছুই তো হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। অনেক বন্ধু, অনেক ঠেকের আলো, হাসির শব্দ, বৃষ্টি হলে আবগারি গেলাস। তাদের জন্যে আমাদের মন কেমন করে আজ ও। একটা অদ্ভুত বিষণ্ণতা আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। হাজার চেষ্টা করলেও আর ফিরে আসবে না সে সব জিনিস,ঘটনা,মানুষজন।
ওল্ড মংক আসলে রোজ রাতে প্ল্যানচেট করে এক টেবিলে নামিয়ে আনে অনেকখানি স্মৃতি। আমাদের বিষাকুন্ডগুলো ওই সন্ধে নামার পরে কিরকম উজ্জ্বল এক একটা আলোকছটায় বদলে যায়। কতো কথা মনে পরে, কতো হতাশা মুছে ফেলে, কতো অচেনা মানুষকে কাছে টানে। বোতলের দিকে তাকিয়ে আপনিও হয়তো কখনো বলেছেন- বন্ধু, কী খবর বল, কত দিন দেখা হয় নি।
©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
chagolchana | 45.124.***.*** | ১০ জুন ২০২০ ১৩:২৪94198
কল্লোল | 2409:4060:396:ba12:1860:242e:d040:***:*** | ১২ জুন ২০২০ ১৯:১৬94245
b | 14.139.***.*** | ১৩ জুন ২০২০ ০১:১৭94251কল্লোল দা, শিরি রাম বৃত্তান্ত সেরাম হইছে। :ডি
আগেই কইছিলাম, কবির সুমন লোকটা চীনপন্থী। নইলে কী আর এই গান লেখে!
"চীনা দুঃখ, চীনা সুখ
চীনা চীনা হাসিমুখ
চীনা আলো, চীনা অন্ধকার
চীনা মাটি, চীনা পাড়া
চীনা পথে কড়া নাড়া
চীনা রাতে চীনা চিৎকার"... (কলিকাল ইমো)
বুড়ো সাধু | 80.2.***.*** | ১৩ জুন ২০২০ ১৭:৫৮94271উফফ
এই হিরো আলম টি আবার কোত্থেকে উদয় হলেন ?
যাগ্গে কি আর উপায়
সুধন্য তালুকদার | 3.34.***.*** | ১৮ জুন ২০২০ ১৬:০৭94438এবার ঠেলা সামলাও চীন , নিজের লোকেরাই ছুঁড়ে ফেলে দিলো আজ বিপদের দিনে
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ নিয়ে নীরবতা ভাঙল বঙ্গ সিপিএম। পার্টির এই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হতেই অবস্থান স্পষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। আশ্চর্যজনকভাবে চিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দেশপ্রেমিক প্রমাণে মরিয়া হলেন সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা।
বুধবার পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত ও আমাদের কাজ শীর্ষক এক ভারচুয়াল সভায় সীমান্তে দু’দেশের সেনা সংঘর্ষ প্রসঙ্গে পাটির্র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেন, ‘৬২ সালের যুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট পার্টি চিনের বিরোধিতা করে। জোট নিরপেক্ষতাকেই সমর্থন করা হয়।যদিও সেটা দলের পলিসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ছিল এবং বামপন্থী ঐক্যের ক্ষতিসাধন করেছিল এবারেও চিন যা করছে তা সঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি। তবে যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। দু’দেশের মধ্যে কুটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। তাঁর দাবি, সিপিএমকে চিনের দালাল বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু অরুণাচল নিয়ে চিনের যে দাবি ছিল সিপিএম তার চরম বিরোধিতা করেছিল এবং সেক্ষেত্রে চীন এর কাছ থেকে দলের পরোক্ষে সাহায্য পাওয়ার রাস্তা বন্ধের ঝুঁকি নিয়েছিল পলিটব্যুরো । চিনের দাবি অন্যায্য ছিল। এই দাবি কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। তখন পার্টি চিনের দাবিকে অন্যায্য বলেছিল বলে জানান তিনি।