এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • বাঁধের বিরুদ্ধেঃ একটি পীড়নের ধারাবিবরণী - ২

    প্রিয়াঙ্কা বরপূজারী লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২৬ জুন ২০১২ | ৯১৬ বার পঠিত
  • ঘাগোর থেকে গোগামুখ টাউন স্কোয়্যার পর্যন্ত বিস্তৃতি প্রায় ৮কিমি মত। উত্তর লখিমপুর (লখিমপুর জেলা সদর) থেকে যেতে ঘাগোরের ২কিমি আগে পড়ে বোগিনদী থানা। আর ঘাগোরের পরে আসে চুলধোয়া পুলিশ আউটপোষ্ট, তারপর ১৯ আসাম ব্যাটেলিয়নের বাঁশের তৈরি নতুন ক্যাম্প, তারপরে গোগামুখ থানা – যেটা ধেমাজি জেলার অন্তর্গত। জেলা সীমান্তগুলো দিয়ে সহজেই লোক চলাচল করতে পারে। পুলিশ আর সিআরপিএফ-এর জওয়ান এই ৮কিমি বিস্তৃতি সর্বক্ষণ পাহারা দেয়। ছোট সিআরপিএফ ক্যাম্প, যেগুলো দেখতে সাধারণ অসমিয়া বাড়ি ঘরের মতই কিন্তু সামনে বালির বস্তার আড়াল – প্রায়ই দেখা পাওয়া যায়।

    সুবনসিরি ব্রিজের পরে এনএইচ ৫২র থেকে প্রায় ৩কিমি দূরে রূপহি গ্রাম। এখানে মিশিং উপজাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিছু খোঁজখবর নেওয়ার পর আমরা পৌঁছলাম আনন্দ(বাবুল)মিলির বাড়ি। অন্যান্য মিশিং উপজাতির সদস্যদের বাড়ির মতই এই বাড়ির কাঠামো –উঁচু খুঁটির উপর পুরোটা বাঁশ দিয়ে তৈরি – এটাতেও একটা ছাং ঘর আছে। অনেক কম বয়সী ছেলেপুলে আমাদের সঙ্গে হেঁটে যায়, আমাদের বলতে আমি ও আমার সেই দিনের গাইড পুরন্দর মিলি (টিএমপিকে বা তকম মিশিং পরিং কেবাং বা অল মিশিং স্টুডেন্টস’ ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা)। বাবুল ঢুকে এসে বলল মে ১১ থেকে সে গ্রেফতার এড়িয়ে চলছে।

    রূপহি থেকে ঠেকেরাগুড়ি খুব একটা দূরে নয়। সঙ্গের ছেলেরা জানায় যখন পুলিশ আর সিআরপিএফ ট্যাঙ্কারে আগুন লাগানোর ঘটনায় সম্ভাব্য জড়িতদের ধরতে আসে, তখন তাদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গলের গভীরে পালিয়ে যায়। ওই অঞ্চলের অন্যান্য আন্দোলনকারীদের মত বাবুলও বিশ্বাস করে যে বাঁধ বিরোধী আন্দোলনকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ও তার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ট্যাঙ্কারে আগুন লাগানো হয়।

    বাবুলের প্রশ্ন তোলে, “ফায়ার ব্রিগেড দু’ঘন্টা পরে কেন এল? পুলিশ কেন ফটোগ্রাফারদের জ্বলন্তট্যাঙ্কারের ছবি তুলতে দিল না?” তার কথা অনুযায়ী, ট্যাঙ্কারের থেকে ২০০ মিটার দূরে যে পুলিশরা দাঁড়িয়ে ছিল তারা কেউই গাড়ির আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে এগিয়ে আসেনি। তাছাড়া কেউ জানত না ট্যাঙ্কারটা কোথায় চলেছে কারণ ড্রাইভার চেকপোষ্টে চালানের কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। তাকে যখন এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন সে বলে যে পুলিশ তার কাগজপত্র নিয়ে নিয়েছে। “এটা খুবই সন্দেহজনক” বলে বাবুল ফোনে কাউকে ডাকতে ডাকতে।

    “পুলিশ কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে?” জিজ্ঞেস করায় বাবুল রাগতভাবে উত্তর দেয় “পুলিশ জানিয়েছে ট্যাঙ্কারে ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল আর তার (ফোটো) থেকে যারা ট্যাঙ্কারে আগুন লাগায় তাদের চেনা গেছে।”

    কুড়ি বছরের রাজীব সইকিয়া – নিবাস রূপহি – শিক্ষাগত যোগ্যতা – মাধ্যমিক, বর্তমানে বন্ধু রীতা সইকিয়ার সঙ্গে পলাতকের জীবনযাপন করছেন। এরা দুজনে আগে বিভিন্ন জিনিষ সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করত। এখন দুজনে বাইকে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খাদ্য ও রাত্রের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই ভিক্ষে করতে করতে। বাবুল বলে, “এখানের এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ভালো। তার ফলে সে আমাদের কাছে খবর পৌঁছে দিতে পারে। সেই আমাদের জানায় যে বগীনদী পুলিশ ৫৩ জনের খোঁজ করছে যার মধ্যে আছে দেবো ভুঁইয়া, দীপক নেয়গ, প্রনব সইকিয়া আর রাজীব ও রীতুর সঙ্গে আমি। সেই একই লোক আমাদের জানায় যে হোমগার্ডের চাকরি দেবার কথা দিয়ে পুলিশ গ্রামগুলো থেকে ছেলে তুলছে।” এভাবে ছেলে তোলার সঙ্গে মিল আছে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া আর ওড়িশার কলিঙ্গনগরে যেভাবে স্পেশাল পুলিশ অফিসারস (এসপিও) নিয়োগ করা হয় তার।

    এই সময় ভিতরে আসেন নিজম মিলি। তাঁর গাম্ভীর্যপুর্ণ চেহারা দেখে মনে হয় এনাকে কোনও শক্ত প্রশ্ন, যেমন তাঁর ছেলে কি সত্যি নিজের গ্রামের লোকেদের আক্রমণ করার কাজ নিয়েছে? - করাটাই শক্ত। মিলি কয়েক মাস আগে পর্যন্ত একটা ওষুধের দোকান চালাতেন। এই সময় তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন। বার বার ডাক্তার এলেও কাজের কাজ কিছু হয় না। “শেষ পর্যন্ত ডিবারগড়ে আসাম মেডিকেল কলেজের এক ডাক্তার আমার কানের নিচে একটা অপারেশন করে। জানিনা এটার কোনো প্রয়োজন ছিল কিনা কিন্তু তার পরে আমার অনেক সময় লেগেছে ফের চলাফেরা করতে,” বলেন মিলি।

    মিলির স্নাতক ছেলে তার এক আত্মীয়র কাছে শুনে পুলিশের দেওয়া কাজটা নেয়। উনি বলেন, “ওরা কথা অনুযায়ী কাজটা হোমগার্ডের মতই কিন্তু ঠিক হোমগার্ডের নয়।”
    আমি জিজ্ঞেস করি, “ওরা কি বলেছে যে ওকে এসওপি হওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে?”
    “হয়ত, সেরকমই কিছু। কিন্তু ওকে বলা হয়েছিল ছ’মাস পরে পুলিশ সুপার ওর চাকরি পাকা করবেন।”
    “ওর মাইনে কত?”
    “৪৫০০ টাকা।”
    “ওকে কি ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে? ওরা কি ছেলেদের অস্ত্র চালানো শেখাচ্ছে?”
    “ওর এখনও কোনো ইউনিফর্ম নেই। ওরা এখন ছেলেদের ডান-বাম-ডান করে কি করে মার্চ করতে হয় তাই শেখাচ্ছে। যেন ছেলেরা বাম ডান কাকে বলে জানে না!”
    মিলির ছেলেকে চাকরির জন্য দরখাস্ত করতে হয়, তার পরে ইন্টারভিউ দিতে হয়, এর পরে তিন দিনের ট্রেনিং-এর পরে তাকে সিলেক্ট করা হয়। এটা ২৫ দিন আগের কথা। তারপর থেকে এখন সে বগীনদী পুলিশ থানা আর চুলধোয়া আউটপোষ্টের মধ্যে যাওয়া আসা করছে।

    বাবুলের মতে এই নিয়োগগুলো হচ্ছে যাতে পরে সরকার এই ছেলেগুলোকে গ্রামের বাঁধ নির্মাণ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারির কাজে লাগাতে পারে। মিলি বলেন এই সম্ভাবনার কথা তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, “ও সেই পুলিশের লোকেদের মধ্যে ছিল না যারা ট্যাঙ্কারে আগুন লাগানোর ঘটনার পরে আমাদের ও আশেপাশের গ্রামের লোকজনকে মারধোর করে।”

    বাবুল এই সময় আমাকে ঐ এলাকার একটা চটজলদি ম্যাপ এঁকে দেয় আর আমরা রওয়ানা দিই না-আলি গেরগেরিয়া গ্রামের দিকে গগন বোরার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। ঘন সবুজের মাঝে মাঝে ছড়ানো মাটি এবং বাঁশের তৈরি বাড়িঘর। বাঁশের বেড়ার ওপর শুকোচ্ছে মেয়েদের রঙিন চাদর আর সাদা গামোসা (তোয়ালে বা গামছার সমগোত্রীয়)। এদিক সেদিক অলসভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে গরু। এর মধ্যে দিয়ে সরু ফিতের মত একফালি রাস্তা চলে গিয়েছে একটা খোলা জায়গায় একটা ছোট দোকানে। এই দোকানটা চালায় ২৭ বছর বয়সী গগন আর তার স্ত্রী ইখারাণী। দোকানের লাগোয়া তাদের বাড়িতে আশেপাশের থেকে আসা আত্মীয়স্বজনরাই এখন বোরাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে আর সবে হাঁটতে শেখা ছেলের দেখাশোনা করছে।

    “আমার স্বামী ১১ই মে শিলপাথরে (ধেমাজি জেলায় একটা দূর গ্রাম) গিয়েছিল আর ফেরে রাত ১০টায়। ফেরার পথে ট্যাঙ্কারে আগুন লাগানোর কথা শুনতে পায়। পরের দিন সকাল আটটা নাগাদ যায় না-আলি তিনিয়ালি (না-আলির T-জংশন) আমাদের দোকানের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে। ১১:৩০টা নাগাদ কিছু ছেলে এসে আমাকে বলে যে আমার স্বামীকে মারধোর করে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি ওদের কথা বিশ্বাস করি না। ভাবি অন্য কারোর কথা বলছে। কিন্তু ওরা জানত গ্রেফতার হওয়া মানুষটা আমার স্বামীই,” বলে ইখারাণী।

    মূল লেখা ঃ  http://www.priyanka-borpujari.blogspot.com/2012/05/damning-dam-protesters.html
    লেখিকার যোগাযোগ - aa.priyanka@gmail.com
    অনুবাদ : মীনাক্ষী মণ্ডল

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৬ জুন ২০১২ | ৯১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শুদ্ধ | ***:*** | ০২ জুলাই ২০১২ ০৫:৫৮90091
  • এই লেখাটার প্রথম পর্বের মতন এই দ্বিতীয় পর্বের জন্যও লেখিকা প্রিয়াঙ্কা বরপূজারী এবং অনুবাদক মীনাক্ষী মন্ডলকে ধন্যবাদ জানাই। খুব জরুরী লেখা। সারা দেশ জুড়ে এভাবেই বড় পুঁজি আর তার স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সব কিছু। কিন্তু শিক্ষিত সমাজের বৃহদাংশই চোখ সরিয়ে আছেন এই অস্বস্তিকর সত্যের দিক থেকে। এই চোখে সরিয়ে থাকা কখনো স্বার্থের খাতিরে, কখনো অসহায়তায়। কিন্তু ফলাফল এক। আর সে ফল ভোগ করবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরো বেশী করে। কথায় বলে প্রতিবেশীকে মারতে পুকুরে বিষ দিলে সেই বিষ নিজের বাড়ির লোককেও ছাড়ে না। বিষ প্রভেদ করে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন