এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নৈহাটি-গরিফা শিল্পাঞ্চল ঃ প্রদীপের নিচে অন্ধকারের একটি পুরোন কিসসা

    শৌভ চট্টোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মে ২০০৯ | ৭০৪ বার পঠিত
  • ভোটপুজোর বচ্ছরকার, থুড়ি, পাঁচবচ্ছরকার মোচ্ছব এখন শেষের মুখে। হাওয়া আক্ষরিক অর্থেই বেজায় গরম। চ্যানেলে চ্যানেলে বিভিন্ন দলের প্রচার, মুখ ঢেকে যাওয়া বিজ্ঞাপন। আর এই সব প্রচারে,টিভি ও মিডিয়ার তর্কে, কাদা-ছোঁড়াছুড়িটুকু বাদ দিলে, অবধারিতভাবেই উঠে আসছে উন্নয়নের কথা। বারবার। চাষীর উন্নয়ন, শ্রমিকের উন্নয়ন, মেয়েদের উন্নয়ন। বিবাদে-বিতর্কে তো বটেই, এমনকি বিজ্ঞাপনেও কেবল উন্নয়ন। দেয়ালে উন্নয়ন,হোর্ডিংএ উন্নয়ন,এমনকি, নির্বাচনী টিভি বিজ্ঞাপনেও, দেখা যায়, এক শিল্পী, ছবি আঁকতে আঁকতে, আমাদের জানিয়ে দেন যে বামফ্রন্টকে ভোট না দিলে রাজ্যের উন্নয়ন সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    হতেও পারে হয়তো বা। নাও হতে পারে। সেসব দলীয় চাপান-উতোর এই লেখার বিষয় নয়। শুধু এই উন্নয়ন, অথবা তার বকলমে শিল্পায়নের তুমুল ঢক্কানিনাদের আড়ালে যে ছোটখাটো কয়েকটা ঘটনা বা তথ্য চাপা পড়ে যাচ্ছে, সেটুকু স্মরণ করিয়ে দেবার জন্যই এই ছোট্টো লেখা। এখানে শুধু আলোর নিচের কয়েকটি ছোটো অন্ধকারের বলয়ের কথা বলা হবে। বড় বড় শিল্পের ভারি ভারি কথার আড়ালে হারিয়ে যেতে থাকে যেসব ছোট-ছোট স্থানীয় সমস্যার কথা, শিল্পায়নের গ্র্যন্ড ন্যারেটিভের আড়ালে বেমালুম উবে যেতে থাকে যে খুচরো অস্বস্তিগুলো, সে নিয়ে সামান্য দু-চারটি কথা বলার জন্যই এই লেখা।

    এই কয়েক মাস আগে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাটার শহিদোচিত প্রস্থানের পর যখন সারা-রাজ্য "হায় টাটা! হায় ত্রাতা!' এইরকম বিলাপের মধ্যে দিয়ে কেঁদেও কূল পাচ্ছে না, তখন একে একে বন্ধ হয়ে গেছিল বা যেতে বসেছিল নৈহাটি-গরিফার কারখানাগুলি, আমরা জানতেও পারিনি। অবিশ্যি এই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলি টাটা-র ন্যানো প্রজেক্টের মত অতখানি হাই-প্রোফাইল ছিল না -- নিতান্তই মামুলি কিছু জুটমিল, রঙের, কাগজের কারখানা, বা এইরকম আরো কিছু ছোট-বড় মিল-ফ্যাক্টরি। কিন্তু, এই অঞ্চলের মানুষের রুটি-রুজির সংস্থানের ক্ষেত্রে এদের অবদান ছিল যথেষ্টই। অথচ, তা সত্ত্বেও, শিল্পদরদী রাজ্যে এদের বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকানো গেল না।

    জুটমিলগুলির ক্ষেত্রে একটা কথা ধুয়োর মত বারবার ঘুরেফিরে আসে -- পাটশিল্পে না কি লাভ নেই, বাজারে পাটের চাহিদা নিম্নমুখী। আর তাই, কারখানাগুলো চালু রাখা মানে মালিকের সর্বনাশ। কিন্তু, তথ্য অন্য কথা বলে। ২০০৪-০৫ সালে দেশীয় বাজারে চটের চাহিদা ছিল প্রায় ১৩.৭৪ লক্ষ মেট্রিক টন। আর আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা ছিল প্রায় ২.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। তার ওপর, খাদ্যদ্রব্য রাখার জন্য চটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার ফলে চটের চাহিদা সাম্প্রতিক কালে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, চীন, কোরিয়া বা নেপালের মত দেশ যখন পাটজাত পণ্য সামগ্রীতে বৈচিত্র্য এনে আন্তর্জাতিক বাজার দখল করতে সচেষ্ট, তখন আমাদের দূরদর্শী মিলমালিকরা শুধুমাত্র A - Tweel আর B - Tweel বস্তা বানিয়েই খুশি (যদিও, সেই আশির দশকেই J.M.D.C. বা I.J.I.R.A -র মত পাট-গবেষণা কেন্দ্রগুলি ডজন খানেক নতুন ধরণের পাটজাত সামগ্রী তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিল)। এর পরেও যদি লাভ না হয়, তাহলে তার দায় শ্রমিকের, মালিক ফাঁকতালে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে বহুতল বাড়ি বানাবেন, মল বানাবেন -- হাজার হোক, সেটাও তো উন্নয়ন?

    আসলে, সমস্যাটা অন্য জায়গায়। প্রথমত, মালিকের পোষা নামজাদা ট্রেড ইউনিয়নের ততোধিক নামজাদা নেতাদের বদান্যতায়, শ্রম আইনের ছিটেফোঁটাও মানতে হয় না মালিককে, কোনও জুটমিলেই। ফলে, একটি কারখানার এক বছরের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এখন কম শ্রমিক ও কম যন্ত্র দিয়ে মাত্র সাত-আট মাসেই পূরণ করে ফেলা সম্ভব, অবশ্যই শ্রমিককে ভূতের বেগার খাটিয়ে। এর ওপর, পাট ওঠার মরসুমে যদি কৌশলে মাস চারেক কারখানা বন্ধ রাখা যায়, তাহলে "উৎপাদন বন্ধ, তাই চাহিদা নেই', এই অজুহাত দেখিয়ে অনেক কম দামে চাষীর কাছ থেকে পাট কিনে নেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ, বছরের বেশ কয়েক মাস কারখানা বন্ধ রাখলে মালিকের দু'তরফেই লাভ। শুধু তাই নয়, যদি ছক কষে কারখানাটিকে BIFR -এর আওতাভুক্ত করা যায়, তাহলে SICA আইনের ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর ঝঞ্ঝাটও থাকে না। আর ঠিক এই কারণেই, এই রাজ্যে শ্রমিকদের PF ও FSI বকেয়ার পরিমাণ, এই মুহুর্তে, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা এবং বকেয়া গ্র্যাচুইটির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকারও ওপরে। দুর্ভাগ্যবশত, এখানে সরকারেরও হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই, আইনের ধারা মেনে। তা ছাড়া, ফড়ে আর প্রোমোটারদের হাতে চলে গেছে বা যাচ্ছে একের পর এক কারখানা, সরকারি-বেসরকারি যোগসাজশে -- আজ্ঞে না, কারখানা চালানোর উদ্দেশ্যে নয়, কারখানার গাছ, ফার্নিচার, জানলা-দরজা, মায় মেশিন-পত্তর অবধি বেচে দিয়ে নিজের পকেট ভরতি করার জন্যে। আর তারপর, কারখানার জমিতে আবাসন-মল-শপিং কমপ্লেক্স বানালেই বা ঠেকাচ্ছে কে! ঠিক এই সমীকরণ মেনেই বন্ধ হয়ে গেছে নৈহাটি অঞ্চলের গৌরীপুর জুটমিল বা নদীয়া জুটমিলের মত একদা-বিখ্যাত কারখানাগুলো।

    এ তো গেল শুধু জুটমিলের কথা। এছাড়াও এই নৈহাটি অঞ্চলেই বন্ধ হয়ে গেছে আরও বেশ কিছু কারখানা, যাদের মধ্যে রয়েছে জেনসন-নিকলসন, কন্টেনার্স অ্যান্ড ক্লোজার্স, ইন্ডিয়ান পেপার পাল্প এবং গৌরীপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন। জেনসন-নিকলসন বন্ধ হয়ে যায় ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখন অবিশ্যি কথা ছিল যে মাত্র তিনমাসের মধ্যেই ফের খুলে যাবে কারখানাটি। কিন্তু, কে আর কবে কথা রেখেছে! ২০০৯ সালেও একইভাবে বন্ধ আছে জেনসন-নিকলসন। শ্রমিক অসন্তোষ, ঘেরাও, লক আউট ইত্যাদি কোনোকিছুই হয়নি এখানে, তবুও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কারখানা বন্ধ। কারখানার একমাত্র শ্রমিক ইউনিয়নের (যা কি না সরকারি বামদলের ছত্রছায়ায় পুষ্ট) নেতারা এখনো আশা দিয়ে যাচ্ছেন "আজ খুলবে, কাল খুলবে' বলে। আর এই প্যাঁচে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মিলের আবাসনে যে তিরিশটি মজুর-পরিবারের ১৫০ জন মানুষ বসবাস করছেন, তাঁদের জীবন।

    ১৯৮৩-তে কোনো এক অজানা কারণে কন্টেনার্স অ্যান্ড ক্লোজার্স ডিনোটিফিকেশনে যায়, আরো পাঁচটা অন্য কোম্পানির সঙ্গে। কিন্তু, বাকি কোম্পানিগুলি সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করে লিক্যুইডেশনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পায়; ফলে, শ্রমিকদের নিয়মমাফিক বেতন পেতে অসুবিধা হয়নি। অথচ, সি.সি. কোম্পানির ক্ষেত্রে এই নিয়মের অন্যথা হয়। শ্রমিক ও কর্মচারিদের মাইনে কমতে কমতে শূন্যে এসে ঠেকে। অবশেষে, ১৯৮৫ সালে টিকমানি নামে এক লোহার ব্যবসায়ী প্রায় জলের দরে কারখানার যাবতীয় সম্পত্তি কিনে নেন। কারখানা হাতে চলে আসার পরই সমস্ত বিদেশি যন্ত্রপাতি রাতারাতি বাইরে পাচার হয়ে যায়। কোনো তরফে এর কোনো প্রতিবাদ শোনা যায়নি।

    গৌরীপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন বা ইন্ডিয়ান পেপার পাল্পের (আই.পি.পি) গল্পও কমবেশি একই রকম। আই.পি.পি-কে ইচ্ছাকৃতাবে চুরি-দুর্নীতির জালে ফাঁসিয়ে রুগ্ন করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে, মিলের প্রধান পরিচালক, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট আত্মীয়ের ভূমিকা ছিল বলে শোনা যায়। যখন সামান্য কিছু অর্থ হাতে ধরিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের অবসর নিতে বাধ্য করা হয়, তখন ইউনিয়নগুলি নির্বাক দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল। ২০০৩ সালে মিল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সামান্যমূল্যে মিল কিনে নেয় বালাজি গ্রুপ। আই.পি.পি-র শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সামান্য কিছু শ্রমিককে বাছাই করে, মাত্র একশো টাকা মজুরি দিয়ে, সেখানে এখন আবার উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা চলছে। লাভের গুড় কিন্তু খেয়ে নিয়েছে মালিক -- শ্রমিক কমে গেছে, একলাফে কমে গেছে মজুরিও। আর মিলের মালিকানা চলে গেছে বেসরকারি হাতে।

    এই কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শুধু যে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন তা-ই নয়, নৈহাটি-গরিফার সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোটাই আজ ভাঙনের মুখে। বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা, হতাশা এবং আত্মহত্যার হার। একদিন যে মানুষটি কারখানার শ্রমিক ছিল, সে আজ ভ্যানরিকশা চালায়, আর তার বৌ বাবুদের বাড়ির ঝি। তাদের সন্তানদের ইশকুল থেকে ছাড়িয়ে এনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়ের গুমটিতে কিংবা গ্যারাজে।

    চারিদিকে বড় বড় শিল্পের ভারি ভারি কথার আড়ালে হারিয়ে যেতে থাকে এইসব ছোট-ছোট সমস্যার কথা। অথবা, সত্যিই কি এই ঘটনাগুলো এতটাই সামান্য? সরকারি বন অনুযায়ী শিল্পায়নের যে গ্র্যান্ড ন্যারেটিভটি তৈরি করার চেষ্টা চলছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামকে সামনে রেখে, এই ঘটনাগুলি কি তার মুখে একটা বড়-সড় প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে দেয় না? রাজ্যে শিল্পায়নের পেছনে রাজনৈতিক দলগুলির সদিচ্ছাই বা ঠিক কতটুকু? যেখানে বারবার শিল্পায়ন-হেতু কর্মসংস্থানের কথা উঠে আসে, সেখানে এইসব কাজ-হারানো শ্রমিকদের বিষয়ে নিশ্ছিদ্র নীরবতা নানান সন্দেহের উদ্রেক করবে, এটাই স্বাভাবিক। আজকাল তো, এমন কি, বড় কোনো কারখানার আশেপাশে গজিয়ে ওঠা পান-বিড়ির দোকানকেও কর্মসংস্থান হিসেবে দেখানো হয়। অথচ, রাজ্যের চারদিকে বন্ধ হয়ে যেতে থাকা কারখানাগুলিকে যথাযথভাবে চালু করলে যে আখেরে সত্যিই অনেক মানুষের কাজের যোগান আসবে, সে ব্যাপারে কারোর কোনো হেলদোল নেই। বড়-বড় শিল্পে পুঁজির বিনিয়োগ হয় প্রচুর, কিন্তু অটোমেশনের সুবাদে সেখানে বহুলসংখ্যক শ্রমিকের আদৌ কোনো প্রয়োজন হয় না -- তারা গিয়ে জোটে ছোটখাটো অ্যান্সিলিয়ারি কারখানাগুলোতে, ঠিকে শ্রমিক হিসেবে। তাহলে কি সংগঠিত শ্রমিকদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে তাদেরকে অসংগঠিত ঠিকে শ্রমিকে পরিণত করাটাই রাজনৈতিক দলগুলির প্রকৃত উদ্দেশ্য?

    অনেক আগে এক আধ-পাগলা বৃদ্ধ আমাদের সামনে তর্জনি নেড়ে বলেছিলেন -- "ভাবো, ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিশ করো।' আমরা কি সেটুকুও করব না?

    সূত্র:
    "বন্ধ কারখানা বিপন্ন শ্রমিক আক্রান্ত নগরজীবন' -- নৈহাটি শিল্পাঞ্চল বাঁচাও মঞ্চ এর প্রতিবেদন।
    "নৈহাটি জুট মজদুরদের ভুখা অবস্থান' -- শীর্ষেন্দু দত্ত, সংবাদমন্থন।

    মে ১০, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ মে ২০০৯ | ৭০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন