এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ধংসস্তূপ: বিন্যস্ত ও সততই অমরত্ব পিয়াসী

    শৌভ চট্টোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ আগস্ট ২০১০ | ১৫১৮ বার পঠিত
  • অরূপরতন ঘোষ; ধ্বংসস্তূপ (কলকাতা: নতুন কবিতা, ২০০৯); পৃষ্ঠাসংখ্যা ৬৪; মূল্য ২৫ টাকা ISBN অনুপস্থিত

    অরূপরতন ঘোষের লেখা ধ্বংসস্তূপ নামক কবিতার বইটি আমার হাতে আসে ২০০৯ খ্রীষ্টাব্দের ২৯শে জুন। ইতিপূর্বেই আমি অরূপরতন ঘোষের লেখা লং ড্রাইভ (কবিতা সংকলন), সূর্যহীন (উপন্যাস) এবং জাদুকর আজিজুল ও অন্যান্য (গল্প সংকলন) পড়ে ফেলেছি ও দেখে নিয়েছি তাঁর-ই নির্মিত দুটি ছোট ছবি, জিরো মাইলস ও মৃত কাঞ্চনের লোভে। এর ফলে, ধ্বংসস্তূপ-এর ব্যাপারে আমার আগ্রহ ছিলো ন্যায্য ও প্রাসঙ্গিক।

    ধ্বংসস্তূপ-এর প্রথম যে কবিতাটি আমাকে যারপরনাই মুগ্ধ এবং আবিষ্ট করেছে সেটির নাম উজ্জ্বলতা, কবিতাটি আমি, এইখানে, সম্পূর্ণ উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারি না -
    "এই আপেলের গুণ ... আমি কোথায় রাখবো!
    আলোর মতো
    পাহাড়ী হ্রদের বুকে জড়িয়ে ধরছে।
    মধু ও চন্দ্রিমার মাঝে রাখা একখানি ছুরি
    সামান্য সন্দেহবার্তা!
    গাঢ় ও চকচকে'

    আমি লক্ষ্য না করে পারি না এই কবিতার নির্মাণচাতুর্য। ও কীভাবে এটি নিজেকে আলাদা করে তুলছে বাংলা কবিতার প্রথাগত নির্মাণের থেকে।
    প্রথম লাইন -- "এই আপেলের গুণ ... আমি কোথায় রাখবো!'আমাদের টেনে-হিঁচড়ে কোনো দৃশ্যের সামনে দাঁড় করাচ্ছে না। একটি বক্তব্য, একটি প্রকাশ, এটুকুই। বরং, তার পরের দু'লাইনে যেন একটি দৃশ্যের অবতারণা ঘটবে, এরূপ প্রত্যাশা জাগে। একটি পাহাড়ী নিসর্গচিত্র, ভোরের ঈষৎ আলোয় যা মেদুর ও নিদ্রালু।

    কিন্তু পরক্ষণেই সেই দৃশ্যের ঘোর ভেঙে যায়। "মধুচন্দ্রিমা' -- এই শব্দটিকে নিয়ে একটি বিপজ্জনক জাগলারির মধ্যে দিয়ে বিবাহ-নামক ব্যবস্থাটি, ও সেইসঙ্গে নারী-পুরুষের সম্পর্কের অন্তর্গত মিথটি ভেঙে দিতে থাকেন অরূপরতন। শেষ লাইনের অসম্পূর্ণ বাক্যাংশ "গাঢ় ও চকচকে'সেই ব্যবস্থার বহিরঙ্গের আপাত-উঙ্কÄলতার প্রতি কটাক্ষ, এমনই মনে হয় আমার। আবার, একইসঙ্গে, এই বাক্যাংশটিকে আমি জুড়ে দিই প্রথম লাইনের আগে, একটি বৃত্তের পথ সম্পূর্ণ হয় -- "গাঢ় ও চকচকে এই আপেলের গুণ'। ও এইভাবে আদিম পাপের মোটিফটি আচমকাই সামনে চলে আসে।

    তো, এই কবিতাটির বিষয়ে আমার মুগ্‌ধতার কারণ আমি এভাবেই প্রকাশ্যে আনি। এতাব্‌ৎকাল, জীবনানন্দ থেকে শঙ্খ-সুনীল-শক্তি, এমনকি উৎপলকুমার বসু অবধি বাংলা কবিতা শাসিত হয়েছে চিত্রকল্প দ্বারা। লাইনের পর লাইন বসিয়ে একটি ধারাবাহিক ছবি ফুটিয়ে তোলার প্রবণতা ছিল লক্ষ্যণীয়। ছবি, যা সংকেতবহুল ও ইঙ্গিতবাহী। অথচ, এই কবিতায় সেই চিত্রকল্পের ধারণাটি প্রায় য্যানো তামাদি হয়ে আসে, বরং শব্দের অন্তর্গত ক্রিয়া ও পারস্পরিক যোগসাজশকে কাজে লাগিয়ে একটি ধারণা বা একটি ভাবকে ফুটিয়ে তোলা হতে থাকে। একটি লাইনের সঙ্গে পরবর্তী লাইনের সম্পর্কের বদলে জোর দেওয়া হয় একটি শব্দের সঙ্গে পরবর্তী শব্দের সম্পর্কের ওপর। এটিকে আমি "শব্দকল্প' আখ্যা দিই।

    যেমন গ্রন্থ কবিতার প্রথম অংশটি --

    "বিশপের আবৃক্ষু কথা। প্রার্থনীয় আমিও রয়েছি। পুরোনো কবিতায়,
    শব্দে...এমনকি স্থিরচিত্রময় হে গোমুখী ভাস্কর্যে। সহ্য হয়ে, আলো
    হয়ে বেণু ...'
    আবারো, যেন জোর করেই আটকে দেওয়া হলো চিত্রকল্পের অবতারণা। বরং, বিশপ, প্রার্থনীয়, সহ্য ও প্রমুখ শব্দের স্বতশ্চল প্রবাহে লেগে রইল শিল্পবস্তুর প্রতি মগ্ন পাঠকের বা দর্শকের অসহায় মুগ্‌ধতা। এমনকি, আবৃক্ষু ও গোমুখী ভাস্কর্য শব্দের ভিতরে নিসর্গের ঘ্রাণ। কিন্তু সব মিলিয়ে কোনো ছবি ফুটে উঠল না, উঠল কি?

    শুধু প্রচলিত শব্দই নয়, এই নির্মাণক্রিয়াটি অব্যাহত রাখার জন্যে লেখককে তৈরি করে নিতে হয় নতুন শব্দাবলী—মন্দিরত্ব, রু, হ্রিং, ব্রীহন দারুকা, নিবেগ ও ইত্যাকার উদ্ভাবিত শব্দের ভিতরেই লুকিয়ে থাকে ছবি, অথবা ছবির ইশারা। ও সেই কারণেই, আমি চিত্রকল্পের বদলে শব্দকল্প কথাটি ব্যবহার করতে প্রণোদিত হই।
    শব্দ নিয়ে অন্য এক ধরণের খেলা চোখে পড়ে ম্লেচ্ছকাহিনী কবিতার প্রথম অংশে। এইরকম-

    "সে তার নির্লোম ও মেদহীন চরুখানি খানিক উৎপাটন করে। মুশলবৃষ্টি ও যদুদের সম্মিলিত বর্ষামঙ্গল না হইতে পারে ইহা! তবু ইঙ্গিতে যাদুকরী ও মোহময়। মলয় ধিতি ইকোর পরে যেম্‌ৎ হয়। রাস্তায় রাস্তায় চরু ভাসে। ঝোঁকা ভুবনখানি ও নির্লোম পর্যন্ত বাস ও রিক্সায়। ছবি তুলি (ফোটোগ্রাফি করি)। ইহাদের ভুবনায়ন হয়।'

    এইখানে স্পষ্টতই একটি বর্ষাদিনের ছবি ফুটে উঠতে দেখি। জলে প্রতিফলিত শহরের ছবি, হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে মেয়েদের সতর্ক চলে যাওয়া, বাসে ও রিক্সায়। সেইসঙ্গে, যদুবংশের আচমকা উল্লেখে একটি আসন্ন ধ্বংসের আঁচ লেগে থাকে। অথচ গোটা কবিতায় জল কিংবা বৃষ্টি এই শব্দগুলি অনুচ্চারিত থেকে যায় (যদিও বর্ষা শব্দটি, একবার হলেও, উঁকি মেরে গ্যাছে)। ও তার বদলে জ্ঞচরুঞ্চ শব্দের অনুপ্রবেশ লক্ষিত হয়। এই চরু, যা হতে পারে জল, হতে পারে বৃষ্টি অথবা অন্য কিছু। সব মিলিয়ে প্রতীকের ব্যাবস্থাটাই এখানে উল্টেপাল্টে যায়। সিগনিফায়ারগুলি নিজেদের জায়গা বদল করতে থাকে অবিরল। এক নতুন শব্দব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটান লেখক।

    ও লেখক নিজেও এ ব্যাপারে অবহিত থাকেন আগাগোড়া। সে জন্যেই কথা কবিতায় লেখা হয় এইসমস্ত লাইনগুলি--

    "ধ্বংসস্তূপের সমস্ত লেখাই পূর্ণত ঢেকে রাখা যায়। এর কোনো লেখাই চিৎকার করতে পারে না। এর কোনো লেখারই কোনো অভিমান নেই। এ লেখায় শব্দেরা রয়েছে। তারা চল্‌ৎশক্তিহীন ও নিতান্তই লেখকের অভিরুচিমতো পাশাপাশি বসে যায়।'
    অর্থাৎ, এই গোটা ব্যাপারটাই যে আসলে শব্দ দিয়ে বানিয়ে তোলা একটি অস্থায়ী নির্মাণ, সেই সচেতনতাটা লেখার মধ্যেও চারিয়ে যায়। লেখাগুলি নিজেই নিজেদের বিষয়ে কথা বলতে থাকে। ও পাঠককে জানিয়ে দ্যায় তাদের স্বভাবচরিত্র। কেউ কেউ হয়তো একে উত্তরাধুনিক প্রবণতা বলে অভিহিত করবেন, তবে এই প্রবণতাটি যে বাংলা কবিতায় নতুন, এ কথা আমি মেনে নিই। তিন নম্বর লেখা থেকে
    আরেকটি উদাহরণ-

    " কাহিনী ও দানো -- ধ্বংসস্তূপের এই দুটি লেখা স্ব স্ব রকমে ভাষ্য আশ্রয়ী হয়ে আছে। এইবার আমি তৃতীয় লেখাটি লিখতে যাচ্ছি। যখন টেলিফোনে সংবাদ এসেছে। চিত্রময় হয়ে উঠছে শহর। সাংস্কৃতিক স্থানগুলো যথেষ্ট সুচারু এবং মালায় সাজানো ইত্যাদি হয়েছে। দেওয়ালে পোস্টারের ফাঁকে আমি হাত বাড়িয়ে আছি।'

    যেহেতু এটি একটি নির্মাণ, তাই এর মধ্যে মিশে থাকবে পূর্ববর্তী অন্যান্য নির্মাণের ছায়া। এ কথা নিতান্ত যুক্তিগ্রাহ্য বলেই মনে হয় আমার। ও তাই, যখন দেখি যে অরূপরতন তাঁর কবিতার ভেতর যদৃচ্ছা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন শ্যামল সিংহ কিংবা তাপসকুমার লায়েকের মতো তুলনায় স্বল্প-পরিচিত কবিদের লেখা লাইন, তখন আমি নিতান্তই স্বাভাবিক ও অনুত্তেজিত অবস্থায় শিস দিতে থাকি। শক্তি-সুনীল-বিনয়-উৎপল নয়, বরং উত্তরবঙ্গের শ্যামল সিংহ বা শহরতলীর তাপসকুমার লায়েক। ও এইভাবে বাংলাবাজারে লেখালিখির পিছনের রাজনীতি ও ক্ষমতার ছকটিকে আমি প্রত্যক্ষ করি।

    বেলুনওয়ালা কবিতাটি এইখানে সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া গেল --

    "এসো শান্তি এসো শৃঙ্খলা
    কাঠ-খোদাইয়ের আগে
    স্মরণ করি সকালবেলা
    কোনো পাপ নেই, কোনো পূণ্য নেই
    নদীতে ভেসে যাওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই

    গল্পের ভেতরে নড়ে হাতি
    বর্ষারও নেই বেশি দেরি
    তরাই শহরে বসে এই কথা লিখেছিলেন কবি শ্যামল সিংহ। তাঁর সূর্যাস্ত আঁকা নিষেধ গ্রন্থটিতে। ঐখানে যে নববর্ষের রোদ পড়ে, তা বারান্দায়। ভুটান পাহাড় থেকে তখন কিনে আনা হয় কমলা রঙের মদ। তাঁরই লেখা "চাঁদ ও খোঁড়া বেলুনওয়ালা' গ্রন্থটিও আমি পড়েছি।
    এমন কি বেলুনে চড়লে কী কী হয় তাও দেখেছি আমি। যেমন নীচে উথাল ও পাথাল পৃথিবী চোখে পড়ে। জলাভূমি বেঁকে যায়। এবং নীচে অনন্ত সুনীল অপেক্ষা করতে থাকে।
    তবে এ দৃশ্যের সঙ্গে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে দেখা সেই পরিচিত দৃশ্য --
    আফ্রিকান অরণ্যভূমি জুড়ে লক্ষ লক্ষ জেব্রা ছুটে বেড়াচ্ছে
    এর বাস্তবিক এবং প্রবণতাজনিত তফাৎ রয়েছে।'
    এই কবিতাটিকে আমি, আমার বিচারে, একটি অনবদ্য কবিতা (রাজনৈতিক) হিসেবে চিহ্নিত করি।
    ক্ষমতার রাজনীতি অন্যান্য কবিতাতেও অনুভূত হয়। ডেমোক্রাসি কবিতার এই অংশটি মনে পড়ে যায় তখনই -
    "এই মুহূর্তে ডোরবেল বাজে। আমি উঠে যাই। ও টেবিলের বইগুলি তাক করে ছুঁড়ে মারি দরজায়। দেখি কালপুরুষের বেশে স্বয়ং দাঁড়িয়ে আছে। আশ্চর্য সকালের রোদ…য্যানো তারকার মতো ক্ষমতা রয়েছে ফুটে।'
    এইখানে এ কথা বলা জরুরি বলে মনে হয় আমার, যে এই বইটি দুটি পর্বে বিন্যস্ত। প্রথম পর্ব -- সংস্থাপন, যেখানে প্রাচীন (ত্‌ৎসম) ও নির্মিত শব্দের ভেতর দিয়ে কবিতাকে বাঁচিয়ে তোলার, সংস্থাপিত করার একটা চেষ্টা (বা ভান) ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় অংশে, যার নাম ধ্বংসস্তূপ, এসে সেই প্রচেষ্টাটি পরিত্যক্ত হয়। কেননা, কবিতা যে আদতেই শব্দের পর শব্দ জুড়ে বানিয়ে তোলা একটি কৃত্রিম নির্মাণ (যার পেছনে রাজনীতির ছায়া রয়েছে), সেই চেতনাটা ততক্ষণে দিনের আলোর মতৈ পরিষ্কার ও গ্রহণযোগ্য হয়ে এসেছে।

    সব মিলিয়ে, ধ্বংসস্তূপ কে আমি কবিতা ও তার নির্মাণের কৃৎকৌশলের ওপর লেখা একটি জটিল সন্দর্ভ হিসেবে পাঠ করার প্রয়োজন অনুভব করি।
    এই বই কবিতার মৃত্যু ও পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।
    আমেন।

    ---
    কবি সংবাদ
    অরূপরতন ঘোষ নিয়মিত লেখালিখি করেন কৌরব, নতুন কবিতা, অ্যাশট্রে, অবসরডাঙা, ভিন্নমুখ: এখন, প্রতিষেধক, বৈথরী ভাষ্য ইত্যাদি ছোট পত্রিকায়। প্রকাশিত বই - ফেরিঘাট (কবিতা, ২০০০), মর্ত্য (কবিতা, ২০০৫), সূর্যহীন (উপন্যাস, ২০০৭), লং ড্রাইভ (কবিতা, ২০০৮), জাদুকর আজিজুল ও অন্যান্য (গল্প, ২০০৯), ধ্বংসস্তূপ (কবিতা, ২০০৯)

    ৯ই অগস্ট, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ আগস্ট ২০১০ | ১৫১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন