এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শিক্ষকরা পথে 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৬৩১ বার পঠিত
  • এটা আরজিকর ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​নয়, ​​​​​​​যেখানে ​​​​​​​একটা ​​​​​​​মর্মান্তিক ​​​​​​​ঘটনা এবং প্রশাসনের চূড়ান্ত অপদার্থতার পর, চর্চা হল স্রেফ অজস্র আষাঢ়ে গুজব নিয়ে। গুজব নিয়ে প্রশাসনের কোনো দায় থাকা সম্ভব না, ফলে তারা ফাঁকতালে পাশমার্ক পেয়ে বেরিয়ে গেল স্রেফ ধৈর্য দেখিয়ে। কিন্তু এখানে গুজব কিচ্ছু নেই। সবই আদালতে হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে কেউ কনটেস্টই করেননি, ফলে ওটা প্রমাণিতই বলা যায়। এবং সেটার মাপ কম না, আন্দাজ ২৫% নিয়োগে গরমিল আছে। এবং এর জন্য বিকাশরঞ্জন বা আদালত বা গ্রহান্তরের জীব, কাউকে দোষ দিয়েই  লাভ নেই।  রায়ে ​​​​​​​যে ন্যাচারাল ​​​​​​​জাস্টিসের ​​​​​​​নীতি ​​​​​​​মানা ​​​​​​​হয়নি, ​​​​​​​তার ​​​​​​​সঙ্গে ​​​​​​​আমি ​​​​​​​একমত ​​​​​​​না, ​​​​​​আগেও ​​​​​​​লিখেছি। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​তারপরেও, দুর্নীতি ​​​​​​​না ​​​​​​​হলে ​​​​​​​এসব ​​​​​​​কিচ্ছু ​​​​​​​ঘটতনা। ​​​​​​​উকিলের ​​​​​​​কাজ ​​​​​​​উকিল ​​​​​​​করবেই, ​​​​​​​এজেন্সি রাজনৈতিক কাজ করবেই, আদালত রায় ​​​​​​​দেবেই, কিন্তু ​​​​​​​এতদূর ​​​​​​​জিনিসটা ​​​​​​​গড়াতই ​​​​​​​না, ​​​​​​​দুর্নীতি ​​​​​​​না ​​​​​​​হলে। দুর্নীতির ​​​​​​​দায়ে ​​​​​​​মন্ত্রী ​​​​​​​তো ​​​​​​​বিচারাধীন হয়ে জেলে ​​​​​​​আছেন, বলেও ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​লাভ ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​কারণ, ​​​​​​​তিনি দোষী হন বা না হন, এই ​​​​​​​দুর্নীতিটা চোখের ​​​​​​​সামনে হতে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হয়েছে। এবং ​​​​​​​খুব ​​​​​​​কম ​​​​​​​করে ​​​​​​​ধরলে, ​​​​​​​সরকার ​​​​​​​নাকে ​​​​​​​তেল ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​ঘুমিয়েছে। ​​​​​​​এবার, ​​​​​​​এই ​​​​​​​কেলেঙ্কারির ​​​​​​​দায় ​​​​​​​আর ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​নেবেনা, ​​​​​​​রত্নাকরের ​​​​​​​মতো ​​​​​​​সরকারকে ​​​​​​​নিজেকেই ​​​​​​​নিতে ​​​​​​​হবে। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​তাদেরই মেটাতে হবে। কীকরে ​​​​​​​মেটাবেন জানা ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​মেটাতে ​​​​​​​হবে। 

    কীকরে মেটাবেন জানা নেই বললাম, কারণ, জটিলতা আছেই। প্রথম সম্ভাব্য জটিলতা, যে ওএমআর শিট ধরে যোগ্য-অযোগ্য বিচার করা হবে, সেই ওএমআর শিট গুলো (সফট কপি) বৈধ কিনা কেউ জানেনা। এসএসসি আগেই আদালতে বলেছে তারা জানেনা বৈধ কিনা, আদালতও সন্দেহপ্রকাশ করেছে। ওদিকে যোগ্যরা বলেছেন ওগুলোই বৈধ, অযোগ্যরা বলেছেন, ওগুলো বৈধ নয়। আদালত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি। তাহলে স্রেফ সন্দেহের বশে কীকরে সবাইকে ছাঁটাই করে দেওয়া যায়, সেটা জানা নেই। কিন্তু সেটা আজকের কথা নয়। এসএসসিকে ফাইনাল তালিকা প্রকাশ করতে হলে ওগুলোকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এসএসসি সেটা করবে কিনা, এক্তিয়ার আছে কিনা, অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা, সেটা আইনী প্রশ্ন। 
    দ্বিতীয় সম্ভাব্য জটিলতা হল ওগুলো বৈধ হিসেবে ধরে নিলেও, আবার হিসেব, এত তাড়াতাড়ি করা যাবে কিনা। এসএসসি তো একটা পরীক্ষার ফল বার করতেই বছর গড়িয়ে দেয়। চারদিনে তারা নিখুঁত হিসেব করবে? এরপর আবার শুনছি কাউন্সেলিং এর তারিখের কথা। চার নম্বর পর্যন্ত বৈধ, তার পরে আর নয়। কারণ প্যানেল ততদিনে এক্সপায়ার করে গেছে (এটার সত্য-মিথ্যা যাচাই করিনি)। 

    এরকম আরও কিছু থাকতে পারে। কিন্তু দায়টা সরকারের। ফলে ন্যূনতম যেটুকু প্রত্যাশা, সেটা স্বচ্ছতা। যাই হোক, খোলসা করে, পরিষ্কার করে বলা। সেটা সরকারি তরফে দেখা যাচ্ছেনা। এর একটা কারণ হতে পারে, সরকার জেনে গেছে, যে, এইসব মধ্যবিত্তদের চাকরির আন্দোলনে তাদের কিছু এসে যায়না। আরজি করে মধ্যবিত্ত অত উত্তাল হল, হাসপাতাল কার্যত বন্ধ হয়ে গেল, তাতে তো শাপে বর হল।গরীবের ভোটপ্রাপ্তি আরও বাড়ল। এটা আরেকটা ওইরকমই আন্দোলন। এবং অনেক ছোটো মাপের। কটা শিক্ষকের চাকরি থাকল বা না থাকল, তাতে বৃহত্তর জনসমষ্টির কিছু এসে যায়না। পশ্চিমবঙ্গে বস্তুত একটা সুস্পষ্ট শ্রেণীবিভাজন হয়ে গেছে ভদ্রলোক বনাম গরীব, উচ্চবিত্ত বনাম নিম্নবিত্তের। মধ্যবিত্তরা প্রবল আলোড়ন তোলেন, টিভির টিআরপি বাড়ান, কিন্তু তাঁদের মোটে ১০% ভোট। সমাজের চালক তাঁরা নন। শিক্ষকদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষকদের ইশকুলে পড়েনা। যারা পড়ে, তাদের কাছে এটা প্রতিভাত হবে এই ভাবে, যে, সরকার তো ঠিকে কাজের ব্যবস্থা অন্তত করে দিয়েছিল, তাতেও দেখো এরা পড়ালনা। 

    এই অবস্থাটা ভাঙা স্রেফ শিক্ষকদের কাজ নয়। এখন যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের এই মুহূর্তে কিছু করার নেই, কিন্তু বাকিদের দায় বিস্তর। তারপরেও সরকারের দায় আরও অনেক বেশি। সেটা শুধু দুর্নীতি নয়, কোনো দূরদৃষ্টি ছাড়াই, কোনো নীতি ছাড়াই একটা শিক্ষাব্যবস্থা চালানোর। গাদা-গাদা ইশকুল উঠে যাচ্ছে, পড়াশুনোর মানের ঠিক-ঠিকানা নেই, মধ্যবিত্তরা ক্রমশ কেন্দ্রীয় বোর্ডের দিকে চলে যাচ্ছে। সরকার যেন তাতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে, দায় কমল। আর কেন্দ্রীয় বোর্ড মানে বেওসা। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান। চড়ামূল্যের বেসরকারিকরণ এবং হিন্দিস্তানের মতাদর্শ প্রচারের দিকে পুরোটা চলেছে। এখানে বিরোধীপক্ষের একটা ভূমিকা থাকা উচিত। গরীব লোকের হাতের বাইরে ক্রমশ চলে যাবে শিক্ষা। অবৈতনিক শিক্ষা একটা ফালতু জিনিস আর পয়সা দেওয়া বেওসায়ি কেন্দ্রীয় বোর্ড আসলে মোক্ষ, এইরকম অবস্থা তৈরি হবে। এই অবস্থায় স্রেফ মধ্যবিত্তের চাকরির আন্দোলনে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা এবং নিচের তলার মানুষের স্বার্থে তাঁরা গলা তুলবেন, এটাই প্রত্যাশিত। কারণ, তাঁদেরও রাজনৈতিক ফায়দা ওখানেই। স্রেফ টিভির টিআরপি বাড়ানোতে কোনো লাভ নেই। গোদী-মিডিআর আছে, কেন্দ্রীয় দলের আছে, কিন্তু ওই বহিরাগতদের এখানে ধরছিনা। 

    এসব আদৌ হবে কিনা বলা কঠিন। একটু আগে দেখলাম, জুডারা চলে এসেছেন ঘটনাস্থলে। আশঙ্কা হয়, এবার এমন কিছু হবে, যাতে আন্দোলনের লক্ষ্যটাই ঘেঁটে যাবে। এবং ফেবুনিবাসী ও টিআরপি-পিয়াসী বিরোধীপক্ষ তাতেই নেচে উঠবেন। আশঙ্কা ঠিক না হলেই খুশি হব।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২০542531
  • দুর্নীতিগ্রস্ত চোর গুলো কখনো ই  সৎ শিক্ষকদের চিহ্নিত করবে না। তাদের দায়বদ্ধতা যারা ঘুষ দিয়েছে তাদের প্রতি। ওরা চিহ্নিত হলে পাড়ায় পাড়ায় পিটুনি শুরু হবে। কাল পুরো ২৬ হাজারকেই মনে হয় যোগ্য ঘোষণা করা হল। প্রথম চারটে কাউন্সেলিং এ ডাক পাওয়া সবাই যোগ্য ঘোষণা করা হল। এই ডাক পাওয়াদের মধ্যে সাদা খাতা আছে। মনে হয় সেই বাম থেকে তিনু হওয়া মন্ত্রীর মেয়ে আছে।
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫১542544
  • বিধান নগরের পুলিশ করুণাময়ী মোড়ে সুলভ শৌচালয় তালা দিয়ে দিয়েছে।
    নির্লজ্জ অসভ্য সরকার!
  • x | 2402:8100:25cb:525b:4d5:bdff:fe2f:***:*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৭542545
  • তালিকা প্রকাশ না হলে কারা বেতন পাবেন, কারা স্কুলে যাবেন তা নির্ধারণ হবে কী ভাবে? প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, “আপনারা বলছেন আমরা যোগ্য-অযোগ্য নির্ধারণ করতে পারিনি। কিন্তু আপনারা যদি ১৭ তারিখের কেসটি দেখেন, যেখানে আমরা ক্ল্যারিফিকেশন চাই, সেখানে খুব পরিষ্কার করে ১৭,২০৬ জন— তাঁরা যোগ্য। এটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে।”  তখন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় পাশ থেকে বলেন, “যোগ্য নয়। মোট শিক্ষক যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তার মধ্যে পুরো ভাগটি দেওয়া আছে। সেখানে ১৭,২০৬ জনের উল্লেখ রয়েছে।”

    এরই মধ্যে আচার্য সদনে ‘ঘেরাও’ হয়ে থাকা এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আমাদের আধিকারিকেরা ১৭,২০৬ জনের মধ্যে কারা অযোগ্য সেই তালিকা প্রস্তুত করবে। প্রস্তুত হলে সেটি স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৩542546
  • আচ্ছা ব্রাত্য বসুর একটা পুরোন ভিডো ছিলো না? সেই যে -- তিনোমূল করলেই চাকরি হবে, কেন হবে , কী করে হবে, বলব না!
    ক্কী তেজ ছিলো মাইরি!
    এ আবার নাকি বুদ্ধিজীবি।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৬542547
  • কদিন আগে থেকে ওই ভিডিও নতুন করে ঘুরছে।
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৭542548
  • বটে? লিংক চাই। আছে?
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৯542549
  • পেইচি!

     
     
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩২542550
  • এখন ম্যাও ম্যাও করে কথা ঘোরাচ্ছে, ভয়ে তো ইয়ে শুকিয়ে কিশমিশ। তাই ইনিয়ে বিনিয়ে ম্যাও ম্যাও...
    ভিডোয় সে কী দাপট ছিলো! ধরা কে সরা জ্ঞান করার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। তখন খুল্লমখুল্লা চাকরি বিক্রি হচ্ছিলো।
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৭542551
  • হেব্বি তোৎলাচ্ছে মালটা।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩৭542552
  • ব্রাত্য এর কোটা য় কিছু চাকরি ছিল।।সেগুলো দলের লোকদের দেবার কথা বলেছিল । এর বাইরে কয়েক হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছিল। তারা কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়েছিল অথবা পরীক্ষা দেয় নি।
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৩542554
  • ট্রান্সফার হতেও মটা টাকা ঘুষ দিতে হতো। ম্যান্ডেটরি ঘুষ। নইলে দরখাস্ত কেবলই ঘুরবে। আমি দুজনকে জানি। শিক্ষক।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৭542555
  • পুরো স্ক্যাম অভিষেকের নেতৃত্বে কালীঘাটের কাকুর সাহায্যে হয়েছে। উপেন বিশ্বাস আর নজরুল দুই পুলিশ জানত। পাড়ায় পাড়ায় এজেন্টরা টাকা নিত স্লিপ দিত। চাকরি না দিতে পারলে সুদ সমেত ফেরত দিত। বস্তা বস্তা টাকা অভিষেকের লিপ্স এন্ড বাউন্ডসের ব্যাংকে জমা দিত কালীঘাটের কাকু। পার্থ শিক্ষা মন্ত্রী ছিল। ওর কাছে পৌঁছে যেত ওর মোটা কমিশন। ও ওর নানা গার্ল ফ্রেন্ড আর মেয়ে জামাই দের কাছে টাকা রাখত। অভিষেক ছাড়া আর সবাই হাজতে ঢুকেছিল। মোদির পাজামার দড়ি পরিয়ে পিসি ভাইপো কে হাজতের বাইরে রেখেছে।
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৮542557
  • ওদের কোটায় মেরেকেটে দুটো কি তিনটে চাকরি থাকার কথা। তার জন্য অতো লম্ফ ঝাম্প, অত আস্ফালন ব্যালেন্স করা যাচ্ছে না। হুঙ্কার যখন মিউ মিউ হয়ে যায়, বাকি সম্পত্তি কিশমিশ, তখন ওরম অজুহাত দিলেও, শাক দিয়ে রেওয়াজি খাসি ঢাকার চেষ্টাটা ভেরি পুওর। সাধে এত তোৎলাচ্ছে?
  • . | 194.56.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৯542558
  • সে তো রঞ্জন নাকি চন্দন!
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৭542559
  • ট্রান্সফার হতে বা মনের মত কলেজে চাকরি পেতে বাম আমল থেকেই ঘুষ চালু ছিল। প্রথমে গ্রাম মফস্বল থেকে কমরেড বা নেতার বউদের এনে কলকাতার কলেজগুলো ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বিশেষ করে যেসব কলেজে বামদের প্রভাব কম সেখানে আনা হত। পরে টাকার ব্যাপার শুরু হয়। স্কুলেও হয়ত একই mechanism। এছাড়া স্কুলে সব পেপার ঠিক থাকলে এক লাখ করে দিতে হত ডোনেশন। তাই টিচাররা কাজে যোগ দিয়েই 'চাটাই পাততো' মানে বাড়িতে মাস স্কেলে কোচিং।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৪542560
  • ওই আইপিএস আর সিবিআইয়ের ভিডিও ফেসবুকে ঘুরত। তখন এইসব জেনেছিলাম। পার্থ ধরা পড়ার আগে ওর কোন স্ক্যাম জানতাম না। আমার ক্ষতি করেছিল তাই আমি মামলা না করে ঘুম থেকে উঠে রোজ শাপ দিতাম আর কাগজে খুঁজতাম কবে জেলে যাবে তার খবর। হতাশ হতাম। এখন খুব আনন্দ।
  • . | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১০542564
  • এখন প্রেসিডেন্সির ভাত খাচ্ছে।
  • দীপ | 2402:3a80:1989:b243:578:5634:1232:***:*** | ২৩ মে ২০২৫ ১৫:০০731594
  • রিভিউ পিটিশনের শেষ সম্ভাবনাও শেষ হল । এই মাত্র ।
     
     সুপ্রিম কোর্টে ৪ মিনিটে জাস্টিস সঞ্জয় নাথ এবং কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ ডিসমিস করল বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষকদের আজকের আবেদন ।
    সওয়ালের পেছনের যুক্তি ছিল - আমরা ও এম আরে শুন্য না পেয়ে দশ পেয়েছি । বলা হচ্ছে আমরা ৫৩ পেয়েছি । এই জাতীয় । অর্থাৎ স্বীকার করে নেওয়া হল 
    দুর্নীতিটা স্যার হয়েছে । কিন্তু শূন্য র বদলে দশ পেয়েছি । 
    সওয়াল করলেন এঁদের হয়ে ভারত বিখ্যাত আইনজীবী মুকুল রোহাতগি, করুণা নন্দী। অপর পক্ষে ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস সামিম এবং অন্যান্যরা । 
     
    অর্থাৎ ল'ইয়ার মমতার "প্ল্যান ডি" বঙ্গোপসাগরে গেল । 
     
    কে দিল টাকা এই বড় বড় আইনজীবী নিয়োগের ? 
    সরকার ? নবান্ন ? বিকাশ ভবন ? 
    ভায়া মন্ডল ফক্স ? 
     
    উত্তর সবার জানা । ব্যাখ্যায় যাব না । আজই সব মিলিয়ে পঞ্চাশ লাখ গেল আমার আপনার টাকা । 
     
    কিন্তু তার থেকেও বড় ঘটনা রিভিউ পিটিশনের শেষ সম্ভাবনাও জলে গেল । এখনো শিক্ষিত সমাজের কোন ব্যক্তির কোন সিম্প্যাথি কি তৃণমূলের পাওয়ার অধিকার আছে ? 
    ভেবে দেখবেন । 
     
    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:fcba:c311:8d11:***:*** | ২৩ মে ২০২৫ ২১:২৭731598
  • @PRABIRJIT SARKAR | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৭,
     
    "উপেন বিশ্বাস আর নজরুল দুই পুলিশ জানত।"
     
    এর মানে কি উপেন বিশ্বাস আর নজরুলও জড়িত ছিল? 
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৪ মে ২০২৫ ০৭:২২731605
  • এরা তৃণমূলে ঢুকেছিল। তার আগে একজন আই পি এস আরেকজন লালু কে জেলে পাঠানো সিবিআই কর্তা ছিল। এদেরই দুই পুলিশ বলেছি। এরা দলে থেকে এই দুর্নীতি জানতে পেরে কিনা জানি না  দল ছেড়ে দিয়েছিল। তারপর এদের ফেসবুকে ওই পাপ চক্র নিয়ে ডিটেল দিয়েছিল। এরাও ওই দুর্নীতিতে জড়িয়ে ছিল কিনা জানি না। এদের মধ্যে কে একজন এক 'সৎ' দালালের খবর দিয়েছিল যে এডভান্স নিয়ে কাজ করত। যদি চাকরি করে না দিতে পারত তাহলে সুদ সমেত এডভান্স নেওয়া টাকা ফেরত দিত।
  • দীপ | 42.108.***.*** | ২৮ মে ২০২৫ ১৮:৩০731725
  • দাবী উঠুক নতুন রিক্রুটমেন্ট প্রসেস এস এস সির হাতে কোনমতেই নয় । 
    আবারো টাকা তোলার ছক হবে । হবেই । ব্রাত্যরা ঘুরপথে লোক ঢোকাবে । ভাইপোর অফিস থেকে নাম যাবে । হরিশ চ্যাটার্জির কোটা পূরণ হবে । দালালরা নতুন পথে মাঠে নামবে । হয়তো "প্রশ্ন" আগাম পৌঁছে যাবে ডেস্টিনিয়েশনে ।
     আবার সেই নিয়ে মামলা হবে । বিপদে পড়বেন শেষে যাঁরা খেটে চাকরি পাবেন, তাঁরা ।

    অতএব চোর মমতা, চোর ব্রাত্য, চোর এস এস সির তত্বাবধানে পরীক্ষা নয়, কোনমতেই । 
    দাবী উঠুক । 
    কালক্ষেপ না করে । 

    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • দীপ | 2402:3a80:4314:1467:678:5634:1232:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ১৪:০৮731740
  • উপেন বিশ্বাস ও নজরুল ইসলাম এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তবে দীর্ঘদিন আই পি এস অফিসার হবার সুবাদে এসব খবর পেয়েছিলেন। সেসব নিয়েই কথা বলেছেন।
  • দীপ | 2402:3a80:4314:1467:678:5634:1232:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ১৫:১৮731741
  • প্রবীণ কর্মকার, বয়স ৩৪ বছর । 
    আমাইপাড়া উদ্বাস্তু বিদ্যাপীঠ এর 2016 SLST দ্বারা নিযুক্ত নবম দশম স্তরের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। 
    Murshidabad থেকে Petitioner ছিলেন । Diary No.  30364, Serial (review)227  ...

    এই অভিশপ্ত প্যানেলের একজন যোগ্য শিক্ষক । সামাজিক অসম্মান, আর্থিক অনিশ্চয়তা , অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের হাতছানি আর সহ্য করতে পারলেন না! 

    মানসিক চাপ সহ্য করতে পারলেন না । গতকাল 1:30নাগাদ স্ট্রোক করে পরলোকগমন করেছেন ।
     
     
    -সংবাদসূত্র
  • দীপ | 2402:3a80:1989:a690:578:5634:1232:***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ১৫:৪৪731774
  • "মিছিল শুরুর আগেই রাস্তায় অপেক্ষারত চাকরিহারাদের তুলে নিয়ে গেল পুলিশের। 'আমায় কেন তুলে নিয়ে যাচ্ছেন, আমি কী করেছি' , প্রশ্নের উত্তর মিলল না। তার আগেই ঠাঁই হল প্রিজন ভ্যানে।  

    দেখা গেল রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন দুই মহিলা চাকরিহারা শিক্ষিকা। তাঁদেরও তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে উঠে চিৎকার করে প্রশ্ন...'আমায় কেন নিয়ে যাচ্ছ ....সরে যেতে বলেছিলেন সরে গেছি, তাও তুলছেন কেন?' উত্তর মিলল না। তাঁরা খাতায় কলমে এখনও সরকারি কর্মচারি হলেও, তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ।"
     
     
    -সংবাদসংস্থা
  • দীপ | 2402:3a80:198d:1e47:778:5634:1232:***:*** | ০১ জুন ২০২৫ ১০:০২731818
  • চাকরিচুরি নিয়ে পল্লব কীর্তনিয়ার বলিষ্ঠ প্রতিবাদ!
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন