এই সাইটটি বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- বুলবুলভাজা অপর বাংলা
-
শ্যাওলা
শক্তি দত্ত রায় লেখকের গ্রাহক হোন
অপর বাংলা | ১২ জুন ২০১১ | ৮৩১♦ বার পঠিত - মা দুপুরবেলা একখিলি মৌরীভাজা আর দোক্তাপাতার গন্ধ মাখা পান মুখে দিয়ে একটু গড়িয়ে নেবার সময় পান না। পাড়ার সবাই কিছু কিছু ছিট কাপড় দিয়ে গেছেন, কারণ সবাই চান পুজোর সময় নিজের বাচ্চাদের জন্য সুন্দর সেলাই করা একটি জামা হোক। না না, মা এর জন্য খুশি খুশি মুখের প্রশংসা ছাড়া কিছু পাবেন না। এমনকি এঁরা কেউ কেউ বছরের অন্য সময়টা টুকটাক নিন্দেমন্দও করবেন। যেমনটা হয়ে থাকতো সেই সময়। মা ওসব মাথায় রাখেননা। শুধু মাথাটা অতিরিক্ত পরিশ্রমে সন্ধ্যের পর একটু ঘোরে তাই একটুখানি জবাকুসুম তেল মাখেন।
আমরা খেলি লালটুকটুক কচি করমচা ভরা সুন্দর কালচে সবুজ গাছের কাছে। সাদা সাদা ঝুমকো ফুল দোলানো গোলাপ জাম গাছের তলায়। নারকেল ফুল ছড়িয়ে থাকে উঠোনে। তার ওপর সুপুরী খোলে নৌকো চড়ে দুই ভাইবোন। সামনে পাতার দিকটা টানে মাঝি, ফুটফুটে ছোট ছেলে, তার নাম রায়ট। সবাই জানে রায়টের সময় তার জন্ম। রায়ট কি আমরা জানিনা। রাখী, বিপ্লব, এসবের মানেও আমরা জানিনা।
রেলস্টেশনে নদীরঘাটে পুজোর ভীড়। নাইয়র আসে নাইয়র যায়। প্রবাসীরা ফেরে, শহুরে সওদা কিনে। আমরা শুনি বাবা কাকা জ্যাঠা অপরিচিতদের সঙ্গে আলাপে প্রথম প্রশ্ন করেন, দেশ আসিল কই। সিলেট হবিবগঞ্জ ময়মনসিং জোয়ানসাই অষ্টগ্রাম কুমিল্লা কেন্দুয়াই। অথচ বাচ্চারা যেখানে থাকে স্কুলে পড়ে সেই জায়গাগুলোকে কেউ দেশ বলেনা। বাবা দাদুরা যে দেশের গল্প বলে তাদের নাম ম্যাপে অন্য রঙের মধ্যে লেখা পদ্মা মেঘনা আড়িয়াল খাঁর ধারে। স্বাধীনতার বছর বইতে লেখা থাকে উনিশশোসাতচল্লিশ।। কিন্তু বড়রা বলে পার্টিশনের বছর। সেবছর নাকি প্রতিমাদির বাবা রক্তাক্ত লুটিয়ে পড়েছিলেন ভৈরবের পুলে। আমরা স্বাধীনতার অর্থ বুঝিনা। আমরা পার্টিশনের অর্থ বুঝিনা।
অর্থ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথাও নেই। দুর্গা ঠাকুরের শাড়ী গয়না এসব নিয়েই চিন্তা। কালীবাড়ীর চাতালে গিয়ে অবাক হয়ে দেখি মাটির শাড়ীর আঁচলে কেমন সুন্দর ভাঁজ পড়ে। মাটির মালা দোলে কী বিভঙ্গে। আর অসুরের কানে কত বড় বড় বল-ওয়ালা রিং। লক্ষী সরস্বতী কার্তিক গণেশ আর তাঁদের মা কেমন সেজেগুজে তৈরী, আর বেচারা বাবা ভোলানাথ - তাঁর পরনে হাঁটুর ওপর বাঘের ছাল, খালি গা, ঝুঁটির ওপর সাপ। অর্থ নিয়ে আমার বাবারও বিশেষ মাথাব্যথা নেই। মার একটু আছে কারণ মাকে তো রান্না করতে হয়। আমরা আবার মাছ ছাড়া খেতে পারিনা। বাবার একটু কন্ডেন্সড মিল্ক ছাড়া চা ভাল লাগে না। এসোজন বসোজনের জন্যে নারকোলের সন্দেশ, তার নাম ইচার মাথা, আর গঙ্গাজলী সন্দেশের জন্যে চিনি লাগে। মা নিধু বিধু-র কবিতাটা খুব ভাল করে বুঝিয়েছেন তাই আমাদের পুজোর জামা না হলেও চলে। পুজোর ছুটিতে বাবা আসেন ষষ্ঠীর আগের দিন। সঙ্গে থাকে দেবসাহিত্য কূটিরের পুজাবার্ষিকী, তানসেন-গুলি, আর রেলগাড়ির হকারদের বেচা নানা অকেজো জিনিস। বাবা বেশ রাগী কিন্তু মজার মানুষ। পুজোয় বাবার চারদিন ছুটি, তবে ভাল হয় যদি চাকরী ছেড়ে চলে আসেন। তাহলে বেশীদিন থাকা যায়। মাঝে মাঝে বাবা ওরকম করে। ঢোকে বটে একটু দোষী দোষী মুখ করে, কিন্তু পরদিন থেকেই লিচু গাছে দোলনা বেঁধে দেয়, লিচু পাতা আর তালের রসে চুন মিশিয়ে দই বানিয়ে দেয়। তালপাতার সেপাই বানিয়ে দেয়, পর্দা টাঙিয়ে হ্যারিকেনের আলোয় সিনেমা দেখায়। আর হাতের লেখা লেখায় অর্থই অনর্থ। কিন্তু মা তখন মনখারাপ করে থাকে আমরা বুঝি। মা হাড়ে হাড়ে বোঝে অর্থ না থাকলে হাতের লেখার খাতাও কেনা যায় না। বাবা চাকরী করতে গেলেও মার চিন্তা। বাবা চাকরী ছেড়ে এলেও মার চিন্তা। আমরা সন্ধ্যায় দুলে দুলে পড়া করি মার চিন্তাটা যেন একটু কমে। মার যেন বায়ুচরা না হয়।
কাল ষষ্ঠীপূজা, মেনী পিসিদের বাড়ি ঘটপুজো হবে। তাদের বাড়িতে আমপাতার ঝালর ঝুলছে। আমাদের উঠোন, ঘরদোর ঝকঝকে। শিউলী গাছের তলায় মাদুর পাতা হয়ে গেছে। ভোরের ফুলগুলি মাদুরেই ঝরবে। দুরে রঞ্জন টকীজে মাইক বাজছে অব তু আযা, আনারকলির গান শিখা পিসিমণির খুব প্রিয় গান। আর খুব বেড়ে গেছে দূরের রাস্তায় রিক্সার প্যঁ¡পোঁ আওয়াজ। আমরা উৎকর্ণ, লামডিংএর গাড়ী বোধহয় এলো। বাবা এসে ভাইকে ডাকবেন। বাবার খুব আশা ভাই অল্পবয়সে অনেক বড় কিছু করবে। ভারতবর্ষের সম্রাট বাবর নাকি বারো বছর বয়সে রাজ্য শাষন করেছিলেন, বাবা তাঁর খুব গুণগ্রাহী।
বাবা সত্যি এসে পড়েছেন। ভাইকে ডাকেননি, আমাকে ডেকেছেন। মাও তাড়াতাড়ি হাতটাত মুছে এগিয়ে এসেছেন। বোন ছুটে এসেছে। বাবার সঙ্গে চেন বাঁধা কি সুন্দর কুকুরছানা - কী হবে ওর নাম! তিব্বতীরা এসেছিল। বাবা ভূটান সীমান্ত থেকে একটা উলের কোট আর কুকুরছানা কিনে ট্রেনে বুক করে নিয়ে এসেছেন, আমাদের পুজোর উপহার। মা চা নিয়ে এসে বললেন স্যুটকেসটা কই, ট্রেনের জামাকাপড় ছাড়ো তো আগে, নাও কাপড়টা ধরো। বাবার খেয়াল হলো, তাইতো, কুকুর তো নিরাপদেই এসেছে কিন্তু ওকে গার্ড সাহেবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে আর মালপত্র আনা হয়নি। তবে হ্যঁ¡, বোনাসের তিনশো টাকা থেকে দুচারটে জামা কাপড় কিনে নিলেই হবে। বাবা সর্বদাই নিরুদ্বিগ্ন। ওমা, পকেটও ফাঁকা। একটুক্ষণ স্তম্ভিত থেকে মা-ই বললো, পকেটমার হয়ে গেল?
ঘামে ভেজা ট্রেনের কয়লায় কালো ফাঁকা পকেট, মার সদ্য খুশী হয়ে ওঠা মুখে দুশ্চিন্তার অন্ধকার দেখে খেলুড়ে মেজাজের বাবা বসে রইলেন পূর্বপুরুষের ফেলে যাওয়া আরামকেদারায়। ঘরে বাটিতে ভাইয়ের জন্য রাখা দুধটুকু নারকোলের মালায় বোন ঢেলে দিল আমাদের পুজোর অতিথিকে। নূতন জায়গায় আপ্যায়ণ তার ভালই লাগছে মনে হলো, সে লেজ নাড়ছে। ভাই একটা ঘুঙুর-বাঁধা লাল দড়ি নিয়ে এসে তার গলায় পরানোর চেষ্টা করতে লাগল। নামকরণ নিয়ে তুমুল বিতন্ডা, আমাদের সঙ্গে সামিল পাড়ার সব ছোটোরা। এরই মধ্যে কখন মতৈক্যে পৌঁছনো গেল।। খুশী মুখ গাবদা গাবুস কুকুরছানাটির নাম হল বুলটুস। টিনের চাল, বাঁশের বেড়ায় ঘেরা অথৈ সুখের ঘর।
পিতৃপুরুষের ভিটে ছাড়ার বাধ্যতামুলক পাপে পাপী আমার বাবা। জীবনের জন্য জীবিকার জন্য কখনো একা কখনো সপরিবারে যাযাবরবৃত্তি তাঁর ভবিতব্য। আবার কারা হাঁকে - এখানে তোমরা বহিরাগত। আমরা চাইনা তোমাদের। এতদিনের পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি মিথ্যে স্মৃতির দোহাই মানিনা।
বাবা আবার প্রস্তুত, মুসাফির পথে নামবেন, গাঁটঠরী বাঁধা শেষ। বুলটুস আর এবার সঙ্গে যাবেনা। শ্যাওলার মতো ভেসে ভেসে এই যাওয়া এবং যাওয়া এবং যাওয়া।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। - আরও পড়ুনবাড়ি বৃত্তান্ত - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনফটো - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনশীত - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুন২০২১ - ২২ - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনআশ্বিন - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনপান্তাকোলাজ - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনউজাইন্যা - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনক্ষীরের পুতুল - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনহিসেব - Esha Ghoshআরও পড়ুনমন - নিরমাল্লোআরও পড়ুনমীরজাফর - PRABIRJIT SARKARআরও পড়ুনছেঁয়াবাজীর ছলনা - ২০ - দআরও পড়ুনআসাম জ্বলছে? - পার্থপ্রতিম মৈত্রআরও পড়ুনমালোপাড়ার বাংলাদেশ - ফিরোজ আহমেদআরও পড়ুনপরীক্ষার বন্ধু - শুভাশিস পালআরও পড়ুনহাঙ্গেরি এক - হীরেন সিংহরায়
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
byaang | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০২:১১89053- বাঃ! কী যে ভালো লাগল লেখাটা! খুব সুন্দর লেখা।
- Ishani | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৭89054
- শ্যাওলায় ফুল ফুটে উঠল যেন !
- hu | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৪:৫৩89055
- বড় ভালো!
- ranjan roy | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৬:২৫89061
- সরি দমু,
সত্যি দেখি নি। তবে আমি এবারই প্রথম পড়্লাম। উনি কি এখনও লেখেন?
- মোহর | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৬:৩৪89062
- বাহ!
- Tim | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৬:৫৭89063
- খুব মন কেমন করা লেখা। ভালো লাগলো।
- d | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৭:০১89056
- ইশশশ। বুলটুস যে একা পড়ে রইলো!
- ranjan roy | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ১০:১৭89057
- এতদিন কোথায় ছিলেন?
- d | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ১১:০৩89058
- রঞ্জনদা নীচের প্রকাশের তারিখটা দেখেন নি বোধহয়। ২০০১ র জুন
- hu | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ১১:১৯89059
- ২০১১ ঃ-)
- d | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৫ ১১:৩২89060
- অ্যাল! 2001 লিখেছি ভুল করে। ২০১১
- শিবাংশু | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৭:২৪89064
- বাহ...
- de | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৭:৩৫89065
- আমিও প্রথম পড়লাম - সুন্দর লেখা!
- Lama | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৯:২৭89066
- লেখিকা বেজায় ল্যাদ খেয়ে গেছেন। আবার কবে কিছু লিখবেন কে জানে। কাল হতে পারে, পাঁচ বছর পরও হতে পারে
- byaang | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৯:৩৫89067
- চালুনি বলে ছুঁচ, ইত্যাদি । লেখিকার দোষ না ধরে লেখিকার সন্তানরা একটু নিজেদের দিকে তাকালেও তো পারেন? ওনারাও কি একই দোষে দোষী নন? লেখিকাকে দিয়ে আবার লেখানোর দায়িত্ব আমি নিলুম। লেখিকার পাড়ায় একবার যাই, তারপর আপনারা দেখবেন, কেমন করে লেখা আদায় করতে হয়।
- Lama | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৫ ১০:২৪89068
- লামাহুতো গেল তল ইত্যাদি। চেষ্টা করে দেখ। পারিস যদি জিলিপি খাওয়াব
- Nina | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:০৪89069
- কি সুন্দর লেখা বাহ'
- Su | ***:*** | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১০:০৮89070
- খুব মন কেমন করা....
- Paramita Datta | ***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৩৮89071
- ভালো লাগলো ।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
পরীক্ষার বন্ধু : শুভাশিস পাল(লিখছেন... Madhabi Bijuli, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় , guru)
পুজোর ভিড়ে ছনেন্দ্রনাথ : রমিত চট্টোপাধ্যায়(লিখছেন... ., সুবর্ণরেখা, Sukdeb Chatterjee)
হাঙ্গেরি এক : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... মোহাম্মদ কাজী মামুন, হীরেন সিংহরায়, রমিত চট্টোপাধ্যায়)
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... কৌতুহলী, Eman Bhasha, কৌতূহলী)
বিপ্লবের আগুন - পর্ব ত্রিশ : কিশোর ঘোষাল(লিখছেন... )
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
নেক : মোহাম্মদ কাজী মামুন(লিখছেন... )
আলোক পাঠ - পর্ব দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় )
তোমার বাস কোথা যে...- ২৫ : Nirmalya Nag(লিখছেন... )
অর্থনীতির নোবেল, ২০২৪ : Anirban M(লিখছেন... Ranjan Roy, Debanjan Banerjee , যদুবাবু)
ছত্তিশগড়ের গেঁয়ো ব্যাংকঃ স্মৃতির কোলাজ (৩) : Ranjan Roy(লিখছেন... Pad Gaon, Ranjan Roy, হীরেন সিংহরায়)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
একটি দুর্ঘটনা ও কিছু কথা : দীপ(লিখছেন... )
এবার ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা : দীপ(লিখছেন... )
কবি ও সন্ন্যাসীর দৃষ্টিতে শক্তিতত্ত্ব : দীপ(লিখছেন... )
আমেরিকান নির্বাচন ২০২৪ : X(লিখছেন... X, X, পাপাঙ্গুল)
বেসরকারি পরিষেবার মহিমা! : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত