এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • অমীমাংসিত মীমাংসার খোঁজে

    মুহিত হাসান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২১ নভেম্বর ২০১১ | ৮৮০ বার পঠিত
  • মূলত কথাসাহিত্যিক হলেও আহমাদ মোস্তফা কামাল (জন্ম ১৯৬৯) প্রাবন্ধিক হিসেবে ইতিমধ্যেই বিদগ্ধ পাঠককুলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর প্রথম প্রবন্ধ সংকলন সংশয়ীদের ঈশ্বর (২০০৬) প্রকাশ হবার পরপরই যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিলো ও সমালোচকদের কাছে সমাদরও পেয়েছিল। সম্প্রতি (২০১০) প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দ্বিতীয় প্রবন্ধ সংকলন শিল্পের শক্তি শিল্পীর দায়। আগের বইটির মতো এটিও দুটি পর্বে বিভক্ত, প্রত্যেক পর্বে তিনটি তিনটি করে মোট ছয়টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।

    বইয়ের একদম শুরুতেই লেখক বলেছেন যে, এইসব প্রবন্ধের সৃষ্টি হয়েছে মূলত প্রশ্ন হতে। তাঁর মনে প্রায়শই শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অথবা রাজনীতির মতো আপাত "মীমাংসিত' বিষয় নিয়ে নানান প্রশ্নের জন্ম হয়,ফলে সেসব "মীমাংসিত' বিষয় আর মীমাংসিত থাকে না তা নিতান্তই অমীমাংসিত হয়ে যায়। তখন তিনি নিজস্ব সংলাপের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে একটি মীমাংসা বা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তিনি হয়তো মীমাংসার খোঁজ পাননা, কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তও দৃষ্ট হয়না। তাও তিনি প্রশ্নগুলোকে নিয়ে ভাবতে চান এবং সেই ভাবনাগুলো অন্যদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য এক প্রকারের তাড়না অনুভব করেন। আর সেই তাড়না হতেই এ বই তৈরি হয়েছে। আমরা বলতে পারি, এসব বিষয় সম্বন্ধে পাঠকের মনে নতুন ভাবনার উদ্রেক ঘটিয়ে তাঁর মনে কিছু আনকোরা প্রশ্নের জন্ম দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বইটি রচনা করা হয়েছে।

    বইটির প্রথম পর্বের উপশিরোনাম "শিল্প ও শিল্পী সম্পর্কে কিছু বোঝাপড়া'। এ পর্বে সন্নিবেশিত প্রবন্ধত্রয়ী শিল্পী-শিল্প-সাহিত্য ইত্যাকার বিষয়কে ঘিরে আবৃত।

    এ পর্বের প্রথম প্রবন্ধ "জনপ্রিয় সাহিত্য,জনপ্রিয়তার সাহিত্য'। লেখক এ দীর্ঘ প্রবন্ধে সরাসরি তুলোধুনো করা কিংবা নির্দ্বিধায় মাথায় তোলার আবেগতাড়িত বিচারের বাইরে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ধারার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণে প্রয়াসী। সেকালের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হতে একালের আনিসুল হক পর্যন্ত প্রায় সকল উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় লেখকদের স্বরূপ, চারিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যের আলোচনা এতে লভ্য। লেখক প্রথমে মূলধারা ও জনপ্রিয় ধারার সাহিত্য/সাহিত্যিকদের সংজ্ঞায়নের চেষ্টা করেছেন। তারপর তিনি মূলধারার শিল্পস্রষ্টারা (যেমন, হুমায়ূন আহমেদ বা ইমদাদুল হক মিলন) কেন জনপ্রিয়তার মরীচিকায় হারিয়ে যান তার একটি অন্তরঙ্গ ব্যাখা দেন। আমরা লক্ষ করি,নিজেকে শিল্পিত করা অথবা শিল্পের দায় মেটানোর ব্যাপারে যেসব লেখক নির্লিপ্ত এবং অনুৎসুক লেখাটিতে তাঁদের প্রতি কামাল কখনো প্রচ্ছন্ন, কখনো সরাসরি বিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি। উদ্ভট,অমার্জিত ও বস্তাপচা সস্তা বিনোদনমূলক শিল্পসাহিত্যের ডামাডোলের মধ্যে কালোত্তীর্ণ, বিমূর্ত কিংবা চিরন্তনতার মূল্যে শিল্পিত সাহিত্য যে ক্রমশ হারিয়েই যেতে বসেছে, এ জন্য লেখকের যে আফসোস বা মন:পীড়া সেটাই আসলে গোটা প্রবন্ধের মূল সুর হয়ে বাজে। আমাদের জানামতে বাংলা জনপ্রিয় সাহিত্যের অন্দর-বাহির পুরোটাই এখানে প্রথমবারের মতো যথাযথ ও অকপটভাবে আলোচিত, তাই প্রবন্ধটিকে জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যের পয়লা তর্ক-তদন্ত বললেও আশা করি অত্যুক্তি হবে না।

    "সমালোচনা,সমালোচক ও পাঠক' প্রবন্ধের ভেতর হাসান আজিজুল হকের বহুল আলোচিত-বিতর্কিত রচনা "সাহিত্য সমালোচনা কীভাবে সম্ভব?' পাঠের ছাপ ও প্রতিক্রিয়া আছে বলে মনে হয়। কিন্তু এটি আদতে শিল্প-সাহিত্য সমালোচনা,সমালোচক আর সাহিত্য পাঠকের বিষয়ে আহমাদ মোস্তফা কামালের একটি নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত গভীর পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনা বিশেষ। এ গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধে লেখক সাহিত্য সমালোচনার প্রকার, নেতিবাচক সমালোচনার দোষত্রুটি, লেখক-সমালোচক-পাঠকের মিথস্ক্রিয়া বা ভাবনা-উপলদ্ধি,সমালোচকের ঠিকুজি-কুলজি, সমালোচনার প্রযোজনীয়তা এইসকল বিষয়-আশয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। কামাল তাঁর লেখার শুরুতেই "কিচ্ছু হয়নি' বলে যেকোন শিল্প-সাহিত্যকে অনায়াসে বাতিল করে দেবার বহুদিনের প্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাঁর মত এই,শুধু বর্জন কিংবা গ্রহণ দিয়ে একজন সমালোচকের শিল্পবোধ প্রকাশ পায়না। শিল্পভোক্তা বা পাঠককে শিল্পের মূল রসসৌন্দর্য উপভোগে সহায়তা করাই হল সমালোচকের আসল দায়িত্ব। আবার একেক জন পাঠকই তো স্বয়ং একেক জন সমালোচক তাদের মূল বই পড়ার আনন্দ কোনো সমালোচকের মুখাপেক্ষী নয়। তাই বলে লেখক এখানে সমালোচনার প্রয়োজনীয়তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেননি। সৌখিন সমালোচকদের দাপট এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমালোচকদের দুরবস্থার জন্য সমালোচনা সাহিত্যের ইদানীংকালের যে বিশৃঙ্খল অবস্থা সেজন্যেও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তবে পরিশেষে লেখক আবার পাঠককেই স্বীকৃতি দেন যুগে যুগে সাহিত্য-শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। সাহিত্যের সৃষ্টি, বিকাশ এবং তার রস উপভোগের ব্যাপারে সমালোচনার ভূমিকা প্রধান নয়, তা নিতান্তই পাঠ-সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে—এ-ই হল উক্ত প্রবন্ধের কথাসার।

    সংশয়ীদের ঈশ্বর গ্রন্থের "ধ্যানের জগৎ জ্ঞানের জগৎ' প্রবন্ধে কামাল একজন মানুষ কেন লেখে সেই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করেছিলেন। এবার তিনি আলোচ্য বইয়ের নাম প্রবন্ধ "শিল্পের শক্তি, শিল্পীর দায়'-এ একজন পাঠক কেন পড়েন, একজন শ্রোতা কেন গান শোনেন বা মোদ্দা কথায় কোনো ব্যক্তিবিশেষ ঠিক কী কারণে শিল্প উপভোগ করেন সে প্রশ্নেরই জবাব খুঁজেছেন। তবে নেহাতই এর জবাব খোঁজাই লেখকের একমাত্র উদ্দেশ্য নয় সংশ্লিষ্ট জিজ্ঞাসার উত্তরসমূহ বিশ্লেষণ করে শিল্প ও শিল্পীর দায়-দায়িত্ব, শক্তি-সামর্থ্য এবং শিল্প-সাহিত্যের প্রায়োগিক কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের মীমাংসা করাই তাঁর মূল লক্ষ। লেখক এখানে প্রচলিত (লেখকের ভাষায় "চরমপন্থি') "শিল্পের জন্য শিল্প' আর "জীবনের জন্য শিল্প' এই দুই মতবাদের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে উপরোক্ত বিষয়-আশয় আলোচনা করতে চেয়েছেন। তাঁর মতে শিল্প হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে একজন মানুষের চিন্তা-চেতনা,মনোজগতকে পাল্টে দিতে পারে, ব্যক্তিকে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। জীবনসত্যের মুখোমুখি করে একরকম আশ্রয় বা বেঁচে থাকার প্রণালী পাল্টে দিতে পারে, কিন্তু তা সমাজকে সেভাবে পাল্টাতে কখনোই পারে না। তবে তিনি এ কথাও বলতে ভোলেননি যে, শিল্পই প্রজন্ম হতে প্রজন্মান্তরে সমাজকে গড়ে তোলে বা পাল্টায় ধীরে ধীরে,পরোক্ষভাবে। যদি শিল্পই না থাকতো তাহলে তো আদিম মনুষ্যসমাজ তো সভ্যই হতো না। তাই তাঁর ফয়সালা এই, শিল্পের দায় ও বাহ্যিক মানবীয় প্রয়োজনের দায়— এই দুয়ের সমন্বয় ঘটান যারা তাঁরাই মহান শিল্পী। এ ছাড়া যেসব শিল্পী সব সামাজিক দায় ভুলে শুধু দেশকাল-নিরপেক্ষ শিল্পসৃষ্টিতে মগ্ন তাঁরাও মহান। সমকালে প্রয়োজন না হোক, ভবিষ্যতের মানুষেরা তাঁদের মনের গড়ন অবশ্যই দেবেন তাঁদের শিল্প হতেই। অবশ্য তিনি একইসঙ্গে এও স্মরণ করিয়ে দেন, শিল্পীর মূল দায় হল শিল্পকে যতটা সম্ভব শিল্প করে তোলা, এটা যত বেশি হবে মানবজাতিরও ততই উপকার হবে। এই প্রবন্ধে শিল্পের প্রয়োজনীয়তা,দায়ভার এবং চিরন্তনতার একটি সুসংহত মূল্যায়ন পাওয়া যায়।

    আলোচ্য বইয়ের দ্বিতীয় পর্বের উপশিরোনাম হল "বাংলাদেশ: সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি'। এ পর্বের প্রবন্ধ তিনটিতে যথাক্রমে বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিষয়ে প্রথাগত ধারার বাইরে গিয়ে নতুনভাবে আলোকপাত করে ভিন্ন ব্যাখা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।

    "রাজনীতির দর্শন ও কর্মসূচি' শিরোনামের সুদীর্ঘ রচনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শ,দর্শন এবং কর্মসূচি নিয়ে চুলচেরা আলোচনা করা হয়েছে। লেখক এখানে রাজনৈতিক দলসমূহের দর্শন, ক্ষমতাকালীন কর্মকাণ্ড, আন্দোলন, কৌশল ইত্যাদি বিষয় বিশ্বস্ততার সঙ্গে খতিয়ে দেখতে ইচ্ছুক। এক্ষেত্রে তিনি দল-মত ও নিন্দা-প্রশংসার উর্ধ্বে থেকে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শিক দিকের একটি ভাষ্য রচনা করতে চেয়েছেন। এ কাজটি বেশ দুরূহ এবং কষ্টসাধ্য হওয়া সত্ত্বেও তা অবশেষে সম্পন্ন করতে পেরেছেন— যা বেশ প্রশংসার দাবি রাখে।

    এর পরের প্রবন্ধ "বাঙালির সংস্কৃতিচিন্তা' কয়েকজন সংস্কৃতি তাত্ত্বিকের রচনার সাহায্য নিয়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে একটি সম্যক ও গ্রহণযোগ্য ধারণা নির্মাণের প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। তবে আরো কিছু তথ্য ও পূর্ববর্তী দূয়েকজন গবেষকের বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা থাকলে রচনাটি হয়তো আরকটু পূর্ণতা পেতে পারতো।

    গ্রন্থের সর্বশেষ প্রবন্ধ "ইতিহাসের বিকৃতি, ইতিহাসের কারচুপি'-র শিরোনাম পড়ে মনে হতে পারে এখানে বুঝি সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে ইতিহাসের বিকৃতি নিয়ে যে কথা হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা কার হয়েছে। কিন্তু সেই মোতাবেক রচনাটিতে ইতিহাসের বিকৃতি-কারচুপি নিয়ে বিশ্লেষণের অবকাশ থাকলেও লেখক পরে আর সেদিকে যাননি। এ জন্যই বইটির অন্যসব সূক্ষ্ম লেখার পাশে প্রবন্ধটিকে তুলনামূলকভাবে ম্লান লাগে। তাই পরে তাঁর কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ ও পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ প্রত্যাশা করছি, আশা করি তা তিনি লিখে উঠতে পারবেন।

    এই প্রবন্ধগুচ্ছ হতে আমরা কী পেলাম-কী না পেলাম সেই কূটতর্কে না যাওয়াই ভালো। শুরুতেই বলা হয়েছে প্রত্যেকটি প্রবন্ধে পরিবেশিত ধারণা অমীমাংসিত। লেখক হয়তো "অমীমাংসিত' মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন মাত্র। অস্বীকার করা যাবে না, তিনি তাৎক্ষণিক যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাও চিরস্থায়ী নয় এবং সবাই তাতে একমতও হবেন না। কিন্তু আসল কথা হল, এ বইটি গভীর চিন্তা ও মৌলিক প্রশ্ন নিয়ে লেখা বলেই পাঠককে ভাবাবে। বইটি থেকে অনেক পাঠকই কিছু-না-কিছু চিন্তার খোরাক পাবেন এবং সেসব তাঁদের নিজস্ব মৌলিক চিন্তার পুঁজি হিসেবেও কাজে আসতে পারে। এছাড়া বইটি আমাদের চিরচেনা আপাত স্থির বিষয়গুলো একটু নতুনভাবে দেখতে ও মূল্যায়ন করতে শেখায় । পাঠকের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তি। বলা যায় বইটি আমাদের পুরোনো চিন্তার বদ্ধ ঘরে টাটকা তাজা সুবাতাস নিয়ে আসবে।

    প্রবন্ধগুলোর ভাষাতে বেশ একটা সরস আড্ডার মেজাজ ও "ওয়ান টু ওয়ান' আলাপচারিতার আমেজ রয়েছে, যা পাঠককে শুরু হতে শেষ অব্দি টানবে। লেখক নিজে একজন অধ্যাপক হলেও প্রবন্ধগুলোর বিষয়ভাবনা কিংবা বক্তব্য প্রকাশে অধ্যাপকসুলভ গাম্ভীর্য ও পাণ্ডিত্য ফলানোর চেষ্টা করেননি। শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়ানো তাঁর প্রবন্ধের গঠন অনেক গোছানো, শৈলী মার্জিত এবং বিশ্লেষণ বস্তুনিষ্ঠ। এসবকিছু মিলিয়ে বইটি সুখপাঠ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

    ইদানীং প্রায়শ এমন অভিযোগ শোনা যায় যে, বাঙালি তরুণ লেখকদের মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে অর্থাৎ তারা মৌলিকভাবে চিন্তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং যুক্তিতর্কনির্ভর জ্ঞানচর্চায় দক্ষতা দেখাতে পারছে না। লেখক তাঁর এ বইয়ের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তরুণ লেখকদের সবার বেলায়ই উক্ত অভিযোগ খাটে না। বর্তমানে আমাদের প্রবন্ধসাহিত্যে চিন্তার দারিদ্র্য, দৈণ্যদশা ও আকালের মধ্যেও আহমাদ মোস্তফা কামাল শিল্পের শক্তি,শিল্পীর দায়-বইতে এক ব্যতিক্রমী ও গভীর মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। এ জন্যে তাঁকে অভিবাদন।

    শিল্পের শক্তি,শিল্পীর দায়/আহমাদ মোস্তফা কামাল। ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন,২০১০। প্রচ্ছদ: সাইম রানা । ১০৪ পৃষ্ঠা। ১৭০ টাকা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ২১ নভেম্বর ২০১১ | ৮৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন