এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কাব্য

  • পুজোর কবিতা

    গুরুচন্ডা৯ লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১৩৬০ বার পঠিত
  • প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব

    কবিতা লেখা ও পড়ার, কবিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাবার পরেই অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন আসে, তার বহুমুখী অভিঘাত নিয়ে। যেহেতু কবিতা একটি মাধ্যম যেখানে একজন লেখক ও পাঠক একটি স্বতন্ত্র পথে নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করছেন, তাই এই বিষয়ে কোন সাধারণ উপলব্ধি বলে কিছু হয়না। আমরা এরকম বলতে পারিনা যে জীবনানন্দের বনলতা সেন যা বলতে চেয়েছিলেন তার "মানে" ঠিক এই। কবি ও পাঠকের কথোপথন অনেকটা দুটি মানুষের মধ্যে একান্ত নিভৃত টেলিফোনে বাক্যালাপের মত হয়ে দাঁড়ায়। আগে একটা সময় মনে করা হত এই কথোপকথনের নিজস্ব ব্যাকরণ থাকা উচিত, কালক্রমে সেই মজবুত বাঁধন অনেক আলগা হয়েছে। এখন লেখক ও পাঠক দুজনের ব্যক্তিগত যাপন ও দর্শনের প্রত্যক্ষ প্রভাব নির্দিষ্ট করে দেয় লেখায় কী থাকবে, পাঠকের সেই জিনিস ভালো লাগবে কিনা, এবং ব্যাকরণ বহির্ভূত কবিতা বলে সেইভাবে আর হয়ত কিছু নেই, যদি কবিতার সার্থকতা ভালো লাগা দিয়ে নির্ধারিত হয়। অবশ্য ভালো লাগার বাইরেও, শিল্পবোধ বা বহুদিন ধরে মানুষকে ভাবিয়ে তোলার নিরিখেও কবিতার ভালোমন্দ বিচার হয়, এবং কী সেই আশ্চর্য ভারসাম্য যা কবিতাকে কালজয়ী ও পাঠকের অন্তরঙ্গ করে, সেই কূট তর্ক আপাতত আমরা সরিয়ে রাখবো।

    নাট্যমঞ্চে যেমন আলোর বৃত্ত ফেলে ফেলে ঠিক করা হয় দর্শকের কী দেখা উচিত, সেইভাবে জীবনদর্শনের ফোকাস দিয়ে কবি ঠিক করেন কী লিখবেন, পাঠক ঠিক করেন সে জিনিস তার পছন্দের কিনা। এই দ্বন্দ্ব, এই কখনও ভালো কখনও খারাপ লাগার চর্চাকেই কেউ কেউ কবি ও পাঠকের মধ্যে ঘটে চলা নিরন্তর লড়াই বলেছেন।

    এই পর্বে লিখেছেন যশোধরা রায়চৌধুরী, চিরশ্রী দেবনাথ, হিন্দোল ভট্টাচার্য, সাম্যব্রত জোয়ারদার, হীরক সরকার, সোমনাথ রায়, জগন্নাথদেব মন্ডল এবং সোনালী সেনগুপ্ত।



    লেখা
    যশোধরা রায়চৌধুরী

    খসড়া লেখার কাছে ফিরে যেতে হয়
    বারে বারে ছাঁচ ভেঙে খুলে দিতে হয় মাতব্বরি
    হতাশা আছড়িয়ে ফেলে ভেতরের থেকে যেন হিরে পাই,
    আশা আমলকি

    করতলে ধরি তাকে, অনন্ত বলয়ে ভাঙা আলোবৃত্ত দেখি
    খসড়া লেখার প্রতি ভাঙা অক্ষর থেকে চুঁইয়ে আসে সম্ভাবনামুখ
    এইসব কাছিয়ে কাছিয়ে আমি যদি আজ জড়ো করতে পারি
    ভুলে যাব গতিহীন মোটাদড়িবাঁধা দিনগত
    ভুলে যাব অপমান অবক্ষয় বিবিধ নিহত
    ভাইবোনেদের দেহ, এবং লোহার দাগে দগ্ধ শরীরিণী
    যত ধর্ষিতার দেহ, এক দুই চিহ্ন দিয়ে বিক্রী হওয়া, বাজারে বাজারে
    যেভাবে চিহ্নের কাছে রয়ে গেছি চিহ্নের খপ্পরে
    সেইভাবে অসহায়, অন্যায়ের কাছে রয়ে গেছি এ লেখায়

    খসড়া লেখার কাছে পাকে পাকে খুলে যাবে যাকিছু বেদনাভরা , কালো
    লাল দাগে আঙুলের মায়া রাখবে স্নেহ রাখবে মমতাও তবে
    বিষাদী চিত্তের আজ সুখ নেই, শুধু প্রতিহিংসালোভ আছে
    সেটুকুও যদি আজ ছেড়ে ফেলি, খুলে ফেলি নীলাভ সন্তান
    গলায় জড়ানো তার শ্বাসরোধী মাতৃগর্ভনাড়ী

    কিছুটা আরাম পেতে পারি


    মৃদঙ্গ ধ্বনি
    চিরশ্রী দেবনাথ


    এক

    রাখাল নৃত্য করিও মোহবালক
    যেভাবে লোকতাক হ্রদে মণিপুর কন্যার দুল হারিয়ে গেলে
    মিশমি পাহাড়ে ঝড় ওঠে
    ...দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী প্রবাহ স্বেদহীন আলিঙ্গন দেয়
    নৃত্য করিয়ো তুমি
    নৃত্যে জড়িয়ে ভুলায়ো তাকে,
    ট্রিগারের শব্দ কি সে একা বইতে পারে বাতাস বিমুখ হলে
    ~~~~

    দুই

    ফুটেছে ধানপ্রভা,
    মৃদঙ্গের শব্দনাদে গাভীর চোখের দীঘল বাঁকপ্রিয়তমাষু
    এমত সময়ে বাঁশের ফুল, প্রজাপতির ঝাঁক
    নাগেশ্বরা প্রৌঢ়া ধূম বহায়, লাজহীন মৈথিলী সুর
    মোহন প্রিয় হতে হতে বেলা ধুয়েছে, কাঁসার পাত্রে শুধু জন্মদাগ
    ~~~~

    তিন

    এই দেখো রাক্ষসী হয়েছি, গিলেছি লুসাই হিলের মুখ
    অমাবস্যাকাল ভাঙচুর হয়েছে নীরবে হৃদয়ে,
    খবর রেখেছে জাতীয় রাজনীতি দীর্ঘদিন আমাকে
    দমাদম বুট হেঁটে গিয়েছে , বুকের বারান্দা খুলেছি বার বার
    গুয়া পানের নেশা খুব দ্বিধাহীন, স্বয়ংপ্রভ, তবুও এক প্রেমের চিঠি, আশঙ্কিত নির্মাণ


    নকশালবাড়ি
    হিন্দোল ভট্টাচার্য

    বিপ্লব, আশ্চর্য শব্দ, দেওয়াল খসিয়ে ঝরে পড়ে
    আমি তাকে বলি তুমি বুনোঝোপ দেখেছ কখনও?
    সে আরও খরগোস হয়-
    একা একা নিজেকে লুকোয়, যেন ধরা পড়ে গেছে।
    ও কীসের দাগ? দেখি গাছে গাছে লকলকে আঁচড়।
    এ ভরা বসন্তকালে, আগুন আদর করে কাকে?
    মুখ তোলে ভগবান,-
    বলে, সব মিথ্যে কথা্‌, বিশ্বাস কোর না।
    মুক্তির দশক ছিল কোনও এক বসন্তের দেশে
    এখন দেওয়ালে কোনও পুরনো ঠিকানা নেই,-
    রঙ চটে গেছে।
    পুরনো সমস্ত বই রূপকথা হয়ে যায়
    লালকমল-নীলকমল দেশে।
    আদর থাকে না, তার কেবল আঁচড় পড়ে থাকে।


    নির্বাচিত অংশের প্রতি
    সাম্যব্রত জোয়ারদার

    #
    ওভার দ্য হরাইজন একমাত্র সাঁকো যার সাইকেল ভিজে সপসপে কার সাথে কথা হবে গুঞ্জরিয়া পেরোলেই পতঙ্গেরা বুঝি কাটিহার প্যাসেঞ্জার এতোই মন্থর মেঘ উড়তে উড়তে শেষপর্যন্ত দাঁড়িয়েই গেল এইসব বেগুনি ফুল দিগন্তের সরুসিঁথির নীচে

    #
    বুনোঝোপের গন্ধ বেতসের ফুল জলাজংলা নিচু ঢাল নেহাত এক নিরুদ্দেশ বাউলা তাই পতঙ্গেরা একমহূর্ত স্থির পরক্ষণে উড়ে যায়...

    #
    বিকলাঙ্গরা বসে আছে শরতে রোদ্দুরে ছাতুঅলারাও শরতে রোদ্দুরে জংধরা পুরাতন সাইকেল গ্রিজ মাখা করতল গ্যাটিস ও পুলটিস গামছা বিক্রেতা দেহাতি মানুষেরা একবেলা কাজের খোঁজে ভিড় করে আছে রাস্তা মেরামতির ঠিকাদার করলার জল আপাতত স্থির একবুক হবে খুঁজে আনতে হবে শুধু কারা বিষ ঢালছে প্রতিদিন দিনান্তের রুটিতে

    #
    সাদা বকফুলের বাঁক তেমনই এক নদী হেমন্তের আঁধার কোনও এক অতীতের ডিঙি জল কাটছে রাজ-বাইমের মতন হিলহিলে শাকবুড়ি তুলে আনছে কলমিলতা হেলেঞ্চার ঝোপ দয়ামায়া শরীর বড় অসুখের স্তনের লাবন্য মাঠ ধানকাটা শেষ হলে নগ্ন এক ক্ষুধা জ্বলে যাচ্ছে তার ভাঙাঘরে


    হীরক সরকার

    ১.
    বেথোভেন এর ফুর এলিস এ ডুবে যেতে যেতে
    ফিরে পাই জ্যাঠাইমার চুলের সুগন্ধি তেল,
    ফিরে পাই কিছু অসংলগ্ন দুপুরের রোদ
    হলুদের গন্ধ, আর লোডসেডিং এর বিকেল।

    এখন যখন কানাকড়ি বুঝে নিচ্ছে সবাই,
    অনেক দূর থেকে শুনতে পাই
    মা বলছে,
    "আরেকটা মাছ দিই ?"
    ~~~~

    ২.
    একটা ট্যাক্সি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকে
    কাঁধে কাঁধ মিশে যায় মধ্যরাত্রে,

    নীলাঞ্জন মেঘ বেয়ে রাজপুত্র আসে,
    যুদ্ধশেষে নিয়ে যায় তোমাকে
    যুগান্তর হতে আসে বিবাহের কার্ড
    তাহার পূর্বে শুভ লেখা থাকে।


    কুমারিল
    সোমনাথ রায়

    যতভাবে বলি ‘ভালোবাসি’, নতুন মাত্রা আসে প্রেমে
    যতবার বলি ‘ভালোবাসি’,
    প্রেম ততবার ফিরে ফিরে-
    মন্ত্রের প্রকৃত আবাহন- বাঁধা পড়ে আছে দেবদেবী
    স্বরের গোপন নাদ থেকে
    স্মৃতির লুকোনো ঘরবাড়ি
    নদীর কুয়াশা ঢাকা চর
    ছবির আঁচড়-দাগ সবই
    প্রায় শূন্যের থেকে যেন নেমে আসে বাউল ভৈরবী
    --যেমন সংখ্যা রাখা সুরে
    যেমন যুদ্ধে রাখা ব্যুহ
    যেমন অংকে আঁকা ছবি
    নিয়মের সিরিজ সমূহ
    আকাশে তারার ঝাঁক থেকে
    পাখিদের দল উড়ে আসে
    অজপা মাত্রা বাঁধা থাকে
    নতুন পাতার আশেপাশে

    প্রত্যেক আহ্বান থেকে উঠে আসে প্রতি মাতৃকা
    শঙ্খের জোড় থেকে কেউ
    প্রেম দ্যায়, কেউ বা হত্যা-


    দত্তবাড়ির ছাতে শরতকাল
    জগন্নাথদেব মন্ডল


    শরতরোদে বেড়ালের কাচচোখপানে চাইলে পাপ হয়।
    শ্বেতপায়রার পালকে খর রৌদ্র পিছলে গেলে ময়ূর ডেকে ওঠে বনে।

    এই দিনে কে যেন কাকে ডাকে সাম্য দত্ত নামে।
    এই ডাক বোধনের শঙ্খধ্বনি মনে হয়।

    সেতু থেমে লাফ দিয়ে বেণুর দেহ দহে তলিয়ে যায়।
    বাতিঘরের পাশে অার্য দত্তর প্রাচীন অাত্মা শবরীর মতো বসে থাকে।

    বিসর্জনের ঢাক বাজে।দর্পণে দেবীচোখে জল টলোমলো টলোমলো করে।

    চিলের ছাতের পাশে গুলমোহর বুড়ো হয়।
    সপ্তপর্ণ বৃক্ষকে পাকিয়ে ধরে ধূসর স্মৃতি বর্ণের সর্প।
    মনে হয়,সমস্ত কিশোরবেলার শরতকাল দত্তবাড়ির ছেলেদের সাথেই কাটিয়েছি।


    তিনটি মেয়েলি কাব্য
    সোনালী সেনগুপ্ত


    ব্রা

    কয়েকটা ফিকে রঙের
    কয়েকটা নরম, হালকা
    কিছু সাটিনের ফিতে
    কয়েকটা তার দিয়ে বাঁধা আছে
    শক্ত গন্ডি কিংবা লক্ষ্মণরেখা
    পেরোলেই থাবা সেই অচেনা জন্তুর
    ভিতরে থাকলে কাঁটার আরাম
    দিনের শেষে লাল দাগের উপর
    আলতো হাত বুলোনো
    বোরোলীন লাগালেও সারে না।
    লেসও আছে, কিন্তু যে দেখার
    সে আর দেখে কই।
    কাউকে দেখিয়ে বেড়ানোও যাবে না।
    শুধু পার্লারের মেয়েটা একগাল হেসে
    দিদি, এই নতুন জিনিসটা দেখুন,
    চোখ চকচক করে ওঠে।
    মাত্র চারশো তিরিশ!
    কাজটা একবার দেখুন!
    নরম এমব্রয়ডারির উপর আঙুল খেলা করে
    স্ট্র্যাপটা কি নরম, কেটে বসবে না
    বেল্টের মতো, বাঘনখের মতো
    লোমশ কনুইয়ের নিচে
    পাঁজরের লাল দাগের মতো।
    এক মুঠো আরামের যৌনতা,
    জিভের আদর, লালা
    প্রবেশ নয়, শুধুই আশ্লেষ।

    প্যাকেটবন্দি হয়ে বাড়ি যায় আদর।
    কেউ দেখেনি আজও
    সে নিজে ছাড়া।
    ~~~~

    কাঁটা

    বিরক্ত হচ্ছে সবাই
    গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সদরে।
    যাবেই যখন তেজ করে
    আর কিসের এতো মাখামাখি!

    পুরুষটি ঘড়ি দেখছে বারবার।
    সব মাল চলে গেছে আগেই
    শুধু দুটো সুটকেস,
    পরীক্ষার মার্কশিট, সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ডিপ্লোমা
    সরকারি কাগজ
    ল্যাপটপ, ট্যাবলেট।
    চার্জার।
    শিশুটি দাদুর বাড়ি
    অবাঞ্ছিত এই ছিঁড়ে যাওয়া
    দেখতে হবে না তাকে।

    মায়ের চৌকাঠে হাত রেখে
    নারীটি দাঁড়িয়ে
    তার শরীর ভেঙে ঢেউ উঠছে
    আসন্ন বিষাদের। তেজ, তাও বুঝি।

    ঘরের ভেতরে কোথাও একটা ড্রয়ারে
    পড়ে আছে খোঁপার কাঁটাগুলো।
    ছোট ছোট ঝুটো মুক্তো গাঁথা।
    আর কি খুঁজে পাওয়া যাবে
    পর্দা টেনে দেওয়া এই দোতলার একটেরে
    চিররাত্রি।
    কালরাত্রির্মহারাত্রির্মোহরাত্রিশ্চ দারুণা

    কাঁটাগুলো পেছনে ফেলে আসা যায় না
    নারীটি তাই এখনো
    দাঁড়িয়ে আছে।
    অনুমতির অপেক্ষায়।
    ~~~~

    মাসিক

    শেষ বোধহয় এইবারই।
    সাদা খাম, পার্পল খাম
    সবুজ খাম
    ডানা ও ওড়াউড়ি।
    থেমে গেলে,
    অপার, অসীম
    বিস্ময়ে উজ্জ্বল, করুণ
    এক নৈঃশব্দ্য।

    গোটা পৃথিবীটা
    এইবার টহল দেওয়া যেতে পারে।
    দিন গুণতে হয় না
    সাদা জলে
    দেখতে হয় না রক্তের প্রবাহ।
    ডানা এখন অবিরাম।

    শুধু আটকে যাচ্ছে
    সেই ঊর্ধ্বমুখী আনন্দ।
    পিচ্ছলতা ধার করে আনে সে
    হাল ছাড়ে না
    তার পর একসময়ে

    উঠে বসে সনি:শ্বাসে বলে
    দূর দূর !

    সেদিনও মাথা ধরতো
    আজকেও মাথা ধরছে।
    ওষুধের দোকানেই যেতে হবে
    ফের।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব
  • কাব্য | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১৩৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | ***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৪85888
  • প্রথমপর্বের মত এই পর্বেও প্রাক কথন ভালো লেগেছে।নিজের সঙ্গে নিজের কথোপকথনও তো চলে কবির-কোথাও পড়েছিলাম-শিল্পী উপচানো অনুভূতি ধুয়ে কেচে রোদে শুকোতে দিয়েছে আর জানলা দিয়ে কুয়াশা ঢুকে পড়েছে-নিজের সৃষ্টিকেই সে আর চিনতে পারছে না-ইন্টারপ্রিটেশন বদলে বদলে যাচ্ছে-এই ক্রাইসিসের মধ্যে সে নিজেকে খুঁঅজছে-পরবর্তী সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে।

    প্রতিটি কবিতা আলাদা করে অভিনিবেশ দাবি করে। সেই মন সেই সময় পেলেই লিখব।
  • i | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০২85889
  • আজ শুধু সোনালীর কবিতার কথা একটু ব'লে পালাবো। নববর্ষ সংখ্যার কবিতা অন্য একটা প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছিল স্বীকার করি। এই তিনটি কবিতা তার থেকে আলাদা। তিনটি ছবি। আলাদা আলাদা। প্রতিটি ছবিতেই একটা গল্প নিহিত রয়েছে -গল্প খোঁজা উস্কে দিতে শব্দের কী ব্যবহার! ২য় কবিতার পর্দা টেনে দেওয়া চিররাত্রির পরেই কালরাত্রির্মহারাত্রির্মোহরাত্রিশ্চ... মুগ্ধ করল।
    গণেশ পাইন একটা কথা বলেছিলেন ( বিষাণ বসু মশায় পুরোনো কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন )- বুদ্ধিরও হৃদয় আছে, হৃদয় যার খোঁজ রাখে না।
    সোনালীর লেখা পড়ে এই সব মনে হয়-
  • dd | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০২85890
  • হ্যাঁ, কবিতা বোধহয় একটু দুয়োরানি। একসাথে অনেকগুলি লেখা একত্তর থাকে, লোকে কমেন্টও করে কম।

    আসলে গদ্য (প্রবন্ধ তো বটেই, ফিকশনও) নিয়ে অনেক লেখা যায়। কবিতা নিয়ে ভালো লেগেছে, মুগ্ধ হলাম,চমৎকার ,বেশ বেশ - এ ছাড়া বেশী কিছু কমেন্ট করা সাধরান লোক(মানে আমি)'দের পক্ষে কষ্টকর।বোঝাবুঝির তো ব্যাপার নেই, অনুভুতির ব্যাপার।

    সব কবিতার মধ্যে বেশী ভালো লেগেছে সোনালী,হিন্দোল আর হীরকের কবিতা।
  • b | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২৬85891
  • গনেশ পাইন নন, ব্লেজ পাস্কাল।
    Le cœur a ses raisons que la raison ne connaît pas.
  • i | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০০85892
  • এ বাবা! সরি।
    সরি বি, সরি সোনালী।
  • ঈশিতা ভাদুড়ী | ***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৬85893
  • প্রত্যেকটি কবিতাই খুব ভাল লাগল। সোনালীর কবিতা একটু বেশি ভাল লাগল।
  • r2h | 162.158.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২০ ১৫:৩২91910
  • এই যে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন