তিরিশে জুলাই, সোমবার, গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র ছাত্র সংগঠন জিকেসিআইইটি স্টুডেন্ট'স ইউনিটি-র উদ্যোগে মালদা মেন্ পোস্ট অফিসের কাছে ফোয়ারা মোড়ে বিকেল চারটে থেকে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা বছরের পর বছর কিভাবে জিকেসিআইইটি কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতারিত হয়ে আসছে সেই কাহিনী মালদা শহরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মালদা জিকেসিআইইটি-র ছাত্র আন্দোলন ২০১৬-র জুন মাসে শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ২ বছর অতিক্রম করেছে কিন্তু বহু ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার তথা মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের তরফে ছাত্রদের কিছু দাবী অংশত মেনে নেওয়া হলেও সমস্যা এখনও মেটেনি। বিভিন্ন জায়গায় চাকরীর পরীক্ষা দিতে গিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের পেশ করা রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট মান্যতা পাচ্ছে না। অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও। মালদা শহরের সাধারণ মানুষকে এই সমস্ত ঘটনার কথা জানিয়ে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করাই তাই এই পথসভার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া কর্তৃপক্ষের তরফে আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর বিষয়টিও আলোচনা হয়। বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যে সাতটা, তিনঘন্টা এই সভা চলে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আজকের সভায় জমায়েতের অঙ্ক ছিল পাঁচশো'র কিছু বেশি। ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও আজকের সভায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অধ্যাপকরা অংশগ্রহণ করেন। মালদা'র কালিয়াচক গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি মল্লিকা সরকার এদিনের সভায় বক্তব্য রেখে জিকেসিআইইটি-র প্রতারিত ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার কথা জানান। এছাড়াও আজকের সভায় ব্যক্তিমানুষ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত কিছু আইনজীবী। ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে তাঁরা আইনি জটিলতার ক্ষেত্রে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি থেকে যোগ দিতে আসা ছাত্রপ্রতিনিধিরা কবিতাপাঠ ও গানের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কর্তৃপক্ষের নৈঃশব্দ ও প্রতারণার প্রতিবাদে সভাস্থলে মস্তকমুণ্ডন করান জিকেসিআইইটি-র দুই ছাত্র, কুনাল ঘোষ এবং নাজমূল হক।