ভূমিকা
নতুন অফিসার জয়েন করার পর এই প্রথম আমার সঙ্গে তার চার চক্ষুর মিলন হল। মানে সাক্ষাৎ হল। তারপর থেকেই ভদ্রলোক আমার পেছনে কাঠি করা শুরু করলো। বিষয়টা ইউনিয়নের কানে তুললাম। কিন্তু সেখানে দেখলাম সবটাই ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’। আমি একজন বছর বিয়াল্লিশের গোলগাল ভদ্রমহিলা। বত্রিশ চৌত্রিশ সাইজের ব্লাউজ দেখলে দোকানেই বলে ফেলি বাবা একসময় এগুলো আমার গায়ে কি ঢিলা হত। মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করি ইস আবার যদি কখনও গায়ে হয়। আমি জানি বামফ্রন্টের ভারতবর্ষে সমাজতন্ত্র নিয়ে আসার মতো এ আমার ভ্রম স্বপ্ন। যাই হোক আমি জন্ম থেকেই প্রায় সকল সম্পর্কের মানুষের কাছ থেকে ল্যাং খেতে খেতে এখন আমি লেংরে লেংরে হাঁটি। সুতরাং অফিসার এহেন আচরণ করবে এটাই যেন স্বাভাবিক।
আয়নার সামনে
আয়না নিয়ে পৃথিবীর প্রায় সকল সাহিত্যে নানারকম ব্যাপার স্যাপার আছে। কত সব বিখ্যাত বিখ্যাত ছবিটবিও আছে। লেডি অফ শ্যালটের সেই বিখ্যাত আয়নাটির কথা অনেকেই জানে। যখন আয়না আবিষ্কার হয় নি তখনও স্বচ্ছ জলে নিজেকে দেখবার আকাঙ্ক্ষা, আগ্রহ মানুষের ছিল। কিন্তু আয়না নিয়ে আমার আর কোনও ভ্যানতেরা নেই। কারণ বহুদিন ধরে আয়নার সামনে দাঁড়ালে, বসলে, শুলে, ভেংচি কাটলে, নিজেকে আদর করলে আমি আমাকে দেখতে পাই না। প্রত্যেকবারই দেখি অন্য কেউ। সে মেয়ে, মদ্দা, হিজড়ে যে কেউ। প্রথম প্রথম ব্যাপারটায় খুব ঘাবড়ে যেতাম। এখন স্বমেহনের মগ্নতায় বিষয়টা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করি (খানিকটা গাজারুদের মতো)। আজ অফিসারের কাছে সম্পূর্ণ বিনা কারণে ঝাড় খেয়ে নিজের চেয়ারে এসে বসে বসে কাঁদছি। কেউ সহানুভূতি দেখালো না পাছে অফিসারের কোপে পড়ে। বাড়ি ফিরে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম। কি আশ্চর্য! আয়নার ভিতর লেবু পিসি। কাঁচা নর্দমার মতো মুখের স্রোত। স্রোত না ঠিক, খাটা পায়খানার বুড়বুড়ি কাটা কৃমি। দেখলাম লেবু পিসি বলছে, ‘শুয়োরের বাচ্চা, বাঞ্চোৎ আমি কি তোর বাবার চাকরি করি?’
নিজের প্রতিবিম্ব লেবু পিসিকে দেখায় কেমন যেন হালকা হয়ে গেলাম। এবং আশ্চর্য তারপর থেকে অফিসারের কটু কথা আর গায়ে মাখি না।
তৃতীয় সুর আর ষষ্ঠ সুর
এই সুর দুটির মিলনে আস্ত আমি। আমার জীবনের মুখরা, অন্তরা, সঞ্চারী জুড়ে প্রকটভাবে বেঁচে আছে সে সুর। জীবন আমায় কিছু দেবে না তবু কি অসম্ভব লোভ আমার। ক্লান্তিকর আর অসম্মানজনক সম্পর্কগুলো দিনের পর দিন যখন চাবকে যাচ্ছিল আমায়, আমি বুড়ো বয়সে, হেঁড়ে গলায় গান শিখতে শুরু করলাম। কিন্তু সমস্ত সুর জুড়ে ঐ তৃতীয় আর ষষ্ঠ সুরের কথন। আমি অফিসারের ঘরে গেলে ভদ্রলোক কোনোদিন বসতে বলেন না আমায়। একদিন হাঁটুর ব্যথা কটকটিয়ে ওঠায় নিজেই বললাম, ‘স্যার একটু বসছি’।
এপারে আমি ওপারে অফিসার। মাঝখানে টেবিল। অফিসার এমনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন যেন আমি কোনও ধুরন্ধর অ্যান্টিক ব্যবসায়ী। কিন্তু আমি অফিসের নিরীহতম একটা ফাইলে সই করাতে এসেছিলাম। শেষের পাতায় দাগ কাটা ছিল না। উনি বললেন, ‘আপনি দাগটাও কাটেন নি?’
মৃদু হেসে বলি, ‘কেটে নেব স্যার’। তারপর ফাইল বগলে চেপে ‘আসছি স্যার’ বলে মনে মনে বিড়বিড় করি, ‘তৃতীয় সুর আর ষষ্ঠ সুর খুকি চলল বহু দূর’।
জগৎ অফিসারময়
আমি ক্রমশ সমস্ত মানুষের ভেতর অফিসারকে আবিষ্কার করতে শুরু করলাম। এবং আমার মস্তিষ্ক এই বিষয়ে যত সংকেত দিতে থাকে তত আমি কেন্নোর মতো গুটিয়ে যেতে থাকি। একাকীত্ব বোধ প্রতিদিন ফুল ফোটার মতো আমার মনোজগতের বোঁটায় বোঁটায় সঞ্চারিত হতে থাকে। নিঃসঙ্গতার বোধ আমায় চুমু দিয়ে আলিঙ্গন করে। ছোটবেলাকার রাশভারী বাবাকে দেখলে কাপড়ে চোপড়ে হয়ে যেত। পরে বুঝেছিলাম বাবা আসলে অফিসার। সাত ভাইবোনের জন্ম দিয়ে মা গ্রুপ ডি কাম বাবার নাইট গার্ড হলে কি হবে মাঝে মাঝেই আমাদের সামনে অফিসার হয়ে উঠত সংহার মূর্তিতে। তখন বেলনা, খুন্তি, হাতা যা পেত তাই দিয়ে বেদম কেলাতো। সাত ভাইবোনের আমি ছিলাম সেজো। এতগুলো বাচ্চাকাচ্চার মধ্যে বড় আর ছোটোই একটু সম্মান পায়। আরগুলো সব এলেবেলে দুধ ভাত। লেখাপড়ায় ভাল ছিলাম কিনা বুঝতে পারি না। তবে চাকরি একটা পেলাম। কালো কেলো নাক বোঁচা আমার বিয়ে দিতে বাবা মাকে অনেক কাঠখড় পোয়াতে হত। শুধু ঐ চাকরির জোরে গোত্রান্তর হলাম। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সকলে মায় ওদের উনিশ বছরের পুরনো কাজের লোকও ছিল নির্বাচন কমিশনের হেড অফিসার। আমি জুজু হয়ে থাকতাম। প্রায়দিন খাতার শেষ পাতায় দাগ না কাটার মতো কাপ, ডিশ, কাঁচের গ্লাস ভাঙতাম। পরের মাসে আমার স্বামী অফিসার আমার মাইনে থেকে সেগুলোর যত্ন করে দাম কেটে নিত।
বাপ কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া
এত কাণ্ডের মধ্যেও প্রাকৃতিক নিয়মেই আমার ছেলে হল। অফিসে করুণাদি বলল, ‘এবার তোর অবস্থা যদি কিছু বদলায়’।
আমি সাঁইবাবার ফটোয় কখনও বিভূতি ঝরা দেখিনি। কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট দেখতাম ও হাসলে বিভূতি ঝরে পড়ছে। শাশুড়ি অফিসার হয়ে গিয়ে কটমট করে তাকাত, তারপর সুর করে বলতো, ‘ওমা কি ডান মেয়েছেলে গো, কেউ নিজের সন্তানকে ওভাবে দেখে!’
সত্যি কি দেখতাম জানি না। কিন্তু ওকে দেখে আমার মনে হত এ যেন পৃথিবীর সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়। আমার শরীরের রক্ত মাংসে পুষ্ট ঐ একরত্তি মাংসপিণ্ড। ছেলে বড় হল ঠিক যেভাবে জুনিয়ার অফিসার থেকে সিনিয়ারে পৌঁছায়। ওর হাবভাব, চালচলন পুরদস্তুর আমলা। একজন দক্ষ অফিসার যেমন অফিসে দুই ইউনিয়ন গোষ্ঠী অথবা কর্মচারীদের ভেতর ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিসি চালিয়ে নিজের ফায়দা তোলে অথবা কাজ হাসিল করে, আমার ছেলেও তেমনি আমি এবং ওর বাবার ভেতর এই ভেতর ঘুন্নার কাজটা করে চলেছে। আমি টের পেতাম। কিন্তু অফিসে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট নিয়ে বিশাখা গাইডলাইনের ন্যাকামোটার মতই চুপ করে থাকতাম। কারণ ফাইল সই করাতে গিয়ে অফিসার যদি আমায় বলে কোন জায়গাটা বেশি ইম্পর্টেন্ট বার করে দিন আর সেই ফাইলের পাতা ওল্টানোর সময় অফিসার যদি আঙুল ছুঁয়ে দেয়ে এবং সেই স্পর্শ আমার ঘিনঘিন করে এটাকে কি বলে ধর্মাবতার? বিশাখা আইনের কোনও বাবা কি কিছু প্রমাণ করতে পারে? তেমনি আমার আত্মজর সকল কিছু বুঝেশুনেও চুপ করে থাকি। বিশাল বিশাল বট অশ্বত্থ গাছেরা অবসাদগ্রস্ত ভগ্ন মন্দিরের উপর ঝুঁকে পড়লে যে অবস্থা হয় আমারও অবস্থা তাই। দেওয়ালের ভাঁজে ভাঁজে বাদুড়, চামচিকের বিষ্ঠার গন্ধে মন ভরে যায়। তবু আমায় প্রশ্বাস নিতে হয় বাঁচার তাগিদে। কারণ বেঁচে থাকাটা একান্ত জরুরি।
অকম্প্রজ্ঞান
মনসামঙ্গল কাব্যে যেমন দেখি চাঁদ সদাগর সর্বস্ব খুইয়েও তার ইষ্টকে ছাড়ে নি। অর্থাৎ শিব ভক্তি তার অটল। শেষ পর্যন্ত দেবী মনসার পুজো করলেও বা হাতে। শিব কিন্তু দুঁদে অফিসারের মতই ভক্তের জন্য কিছুই করে নি। গোটা মঙ্গলকাব্য জুড়ে চাঁদের ওয়ান সাইড লাভ। অফিসেও তেমনি দুঁদে অফিসারের সঙ্গে থাকে একনিষ্ঠ চেলা। তোতা কাহিনীর মতো তারা হ্যাঁতে হ্যাঁ, নাতে না দিয়ে যায়। অফিসারের বাচ্চা হলে সেই কর্মচারী অথবা কর্মচারিণীটি নিজেই যেন পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্বের গর্বে টনটন করে। মিষ্টি খাওয়ায়। আমিও সেই মিষ্টি খাই। অজাতশত্রুর মতো মাথা নেড়ে নেড়ে বলি –
আমি ফিরছি –
না আমি ফিরছি না
আমি থাকছি –
না, আমি থাকছি না।
পুরো বিষয়টা একটা উভযোজী মিথ্যে। চেতনার খণ্ড খণ্ড পাথরে পাথরে ঘষা লেগে স্ফুরণ। আমি আলেয়ার মতো দপ করে জ্বলে উঠি। আর তখনই আয়নায় দেখতে পাই আমার বাপের বাড়ির পাশের মাঠটায় কারা যেন ফিরোজা রঙের চুড়িদার পরা এক তরুণীকে ধর্ষণ করে মাথা কেটে লাশ বানিয়ে শুধু ধড়টাকে ফেলে রেখে গেছে (চুড়িদারটা অবশ্য ছেঁড়া ছিল)। আমি কিছু বলার জন্য আঁকুপাঁকু করি। কিন্তু মুখ না থাকায় কিছু বলা হয় না।
আসলে সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই
আমি এখন মার্কারির মতো জ্বলজ্বলে দিনের বেলাতেও ঘুরঘুরে অন্ধকার দেখি। আর অন্ধকার হলেই আমি পেঁচা হয়ে যাই। তখন সব পরিষ্কার দেখতে পাই। দেখতে পাই ‘লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে’। আমার ভিতর আস্তে আস্তে একটা ‘ফ্রিডকীনিক’ অনুভূতি হতে শুরু করে। করাত চাকার মতো দানবীয় দুটো হাত বার করে আমার প্রেমিক অফিসার বলে যাকে ভেবেছিলাম সে আলিঙ্গন করতে আসছে। গ্রীষ্মের দুপুরে কুকুরের জিভের মতো ল্যাল ল্যাল করছে তার চোখদুটো। বার্নারের হুহু আগুনের লকলকে চিতার মতো চারপাশ পুড়িয়ে জীবনের আর সব অস্তিত্ব খাঁক করে দিতে চাইছে প্রেমিক অফিসার। শ্লোগান দিচ্ছে মোবাইলে ‘বদল বদল জায়গা বদল’। আদিম কামনার স্বপক্ষে জোরালো যুক্তি বোঝাচ্ছে আমায় ‘আসলে যে সংসার নিয়ে তুমি গর্ব করো সেটা তোমার সংসারই নয়’।
কি অসম্ভব আধিভৌতিক তার গলার স্বর। সময় ক্রমশ মাতাল হচ্ছে। আমি উদ্বাহু হয়ে নেচে নেচে কীর্তন করছি – ‘জয় রাধে রাধে, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে.........’।
পায়ের তলার মাটি থেকে মাথা পর্যন্ত ঘুঘরো পোকার ডাক উঠে আসছে। শরীর জুড়ে দু’মুখো সাপের কিলবিলানী। রিভলভিং চেয়ারে অফিসারের কায়দায় লোকটা বসে। আমি ছিঁড়ে যাওয়া ঝুটো মুক্তোর মালার পুঁতিগুলো মেয়েবেলার শিউলি ফুল কুড়ানোর মতো মন দিয়ে কুড়োই। মালা গাঁথা হয় না। তার আগেই হাত ফস্কে পড়ে যায়। কয়েক হাজার সেন্ট্রিগ্রেড ইস্পাত গলানোর আগুন গিলে নেয় পুঁতিগুলো। আমি লেডি ম্যাকবেথের মতো ডানকানকে হত্যা করতে গিয়েও পারি না। বাবার মুখের আদল দেখি। কিন্তু সমাজের ABCD সকল শ্রেণীর অফিসাররা সহজেই আমাকে ‘The four witch of the play’ বলে সীলমোহর দিয়ে দিল। আমি দুচোখে মেটে রঙের আকুতি নিয়ে জগৎ সংসার দেখি। বুঝতে পারি এখনই আমার একটা ঝাঁকুনির দরকার, যাকে বলে ‘ঝাঁকিদর্শন’।
উপসংহার
শুরু থাকলে শেষ থাকবে। খানিকটা মুড়ো ল্যাজার মতো। ঘষা কাঁচের মতো আবছা একটা রহস্যের কুয়াশা জড়িয়েছিল যেন আমার সারা অঙ্গে। সাপের খোলস ছাড়ার মতো তারা ছাড়িয়ে যায়। চকচকে পিচ্ছিল শরীর নিয়ে শীতঘুম থেকে বেড়িয়ে আসি। দেখি সেই আমার পিছনে কাঠি করা অফিসারের বদলি হয়ে গেছে। পাবলিক ফেয়ারওয়েল নামে ঢ্যামনামো করছে। ফুল মিষ্টি কলমের প্যাকেট নিয়ে অফিসার হাসছেন। বলছেন, ‘অফিসে আমরা সকলে একটা যৌথ পরিবারের মতো থাকি। আমার তরফ থেকে কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে মনে রাখবেন না’।
আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘এই যে দিদিমণি আজ আপনার কবিতা শুনবো’।
আমি পা দোলাতে দোলাতে বলি, ‘আমি তো কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছি স্যার’।
উনি মুখ দিয়ে চু চু শব্দ করেন। বলেন, ‘ছেড়ে দিলেন কেন?’
বলি, ‘আপনি যে বলতেন অফিসে কবিতা করলে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিংস আনবেন’।
অফিসার আরক্ত হয়, ‘আরে আমি কাজে ফাঁকি দিয়ে অফিসে ঐ সব করতে নিষেধ করেছিলাম’।
অফিসারের মুখে ‘ঐসব’ কথাটা নিষিদ্ধ আপেল খাওয়ার মতো শোনায়। টেবিলে রাখা পেপার ওয়েটটা ঘোরাতে ঘোরাতে বলে, ‘বাড়িতে করতে পারতেন’।
দাঁত বার করে বলি, ‘সেখানে সংসারকে ফাঁকি দেওয়া হয় স্যার’।
অফিসার ফোঁস করে বলে, ‘তবে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে করুন’।
নিরীহ গলায় বলি, ‘সেখানে পাগল বলে সকলে ঢিল ছোড়ে যে’।
অফিসার ওর পোকা দাঁত দেখিয়ে হাত তুলে বলে, ‘ইস তবে কি হবে’।
আমার স্নায়ু টানটান। উত্তেজনায় ধনুকের ছিলায় টঙ্কার ওঠে। আমি অদৃশ্য এক ম্যাজিক মিররের সামনে দাঁড়াই। আঃ কি শান্তি! লেবু পিসি। চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। ধনুকের ছিলার তীর লেবু পিসির মুখ দিয়ে চোঁ করে বেড়িয়ে আসে – ধুর বা ............ ।