২৩শে মে সকালে যখন টিভি খুলে বসেছি, তখনও জানতাম না ইভিএমের ভিতরে কি চমক লুকিয়ে রয়েছে। প্রথম যখন নির্বাচনের ট্রেন্ডগুলো একে একে পর্দায় ভেসে উঠছিলো, বিশ্বাস করুন, খুব হতাশ লাগছিলো। গত এক বছরে হাঁটা প্রত্যেকটা মিছিল, ব্রিগেডের ঐতিহাসিক ভিড়, এতো মানুষের এতো লেখালেখি, এতো পরিশ্রম, - তার পরে এই মানুষের এই সার্বিক প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।
কিন্তু, on a hindsight, এখন মনে হচ্ছে যা হয়েছে, এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।
জমি চষতে গেলে পুরোনো মাটি উপড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে শুরু করাই ভালো।
ভোটের এই পূর্ণাঙ্গ মেরুকরণ বুঝিয়ে দিলো বাঙালির চরিত্র বাকি ভারতের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।
অন্তত, বাঙালি যে লিবারেল, রাজনীতি সচেতন, সংস্কৃতিমনস্ক, এই মিথ্যে আত্মসন্তুষ্টি থেকে বেরিয়ে এসে রিয়ালিটি ফেস করা সহজ হবে সিরিয়াস রাজনৈতিক কর্মীদের পক্ষে।
মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, গজদন্তমিনারে বসে রাজনীতিটা হয়না এই শিক্ষা নিতে হবে।
বামরাজনীতি কখনোই শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক হতে পারেনা- এটা একটা ডায়নামিক প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার সাথে নির্বাচনী ফলাফলের one to one correlation নেই। তাই বামেদের কৃষক লং মার্চ নাসিক থেকে মুম্বাই- গোটা মহারাষ্ট্রের বুকে ঝড় তুলে দিলেও সংসদীয় রাজনীতিতে তার বিশেষ প্রভাব পরেনা। বাজারি মিডিয়া ভুখা কৃষকের বদলে ফিল্ম স্টারের বিয়ে, সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত চালানো ইত্যাদি "গুরুত্বপূর্ণ" বিষয়ে প্রাইম টাইম ডিবেট করে। "নেশন কি দেখতে চায়" সেটা ঠিক করে দেয় এই মিডিয়া হাউসগুলোর পিছনে থাকা কর্পোরেট দৈত্যরা। কারণ কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অভাব অভিযোগের কথা নির্বাচনী ন্যারেটিভ স্থির করে দিলে এদের একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিহত হবে।
আচ্ছা, আপনাদের মধ্যে যারা ট্র্যাডিশনাল বাম ভোটার, তাদের কজন কমরেড জিভা পাণ্ডু গাভিটের নাম শুনেছেন? সিপিএমের ডাকসাইটে আদিবাসী নেতা, সাত-সাত বারের বিধায়ক। অথবা কমরেড অশোক ধবলের কথা? অল ইন্ডিয়া কিষানসভার সম্পাদক এই মানুষটার নিপুণ সাংগঠনিক দক্ষতার ফলে মহারাষ্ট্রের কৃষকসমাজের মধ্যে কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতি একটা গভীর আস্থা গড়ে উঠেছে। এছাড়াও রয়েছেন কমরেড কিষান গুজার, কমরেড সুনীল মালুসারে- যাঁদের মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন দেখা গেল লাল ঝান্ডা হাতে সাত দিন ব্যাপী নাসিক থেকে মুম্বাই ঐতিহাসিক কৃষক পদযাত্রায়। সেদিন দীর্ঘ যাত্রাপথে কৃষকের পায়ের রক্ত আর পতাকার রং একাকার হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের সরকারকে এই আন্দোলনের সামনে মাথা নত করে কৃষকদের দাবি মেনে নিতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভাইরাল হয়েছিল লং মার্চের ছবি, যে বাজারি মিডিয়াও বাধ্য হয়েছিল সেই খবর দেখাতে। বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের পাতাতেও জায়গা করে নিয়েছিল কৃষক আন্দোলনের ছবি। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে মিডিয়ায় এই আন্দোলনের পিছনে অল ইন্ডিয়া কিষানসভার ভূমিকা চেপে যাওয়া হল। সুকৌশলে প্রচার করা হলো যে পুরোটাই স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
এত বড় একটা আন্দোলন যে সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ছাড়া সম্ভব নয়, এটা বুঝতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়তে হয়না। অথচ এই সাধারণ বোধবুদ্ধিগুলো পর্যন্ত মিডিয়া রিপোর্ট দেখলে আমাদের গুলিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা কৃষক লং মার্চের কথা যদি বা জানতে পারছি, এর পিছনে কিষান সভার ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা সেভাবে জানতে পারছি না। আন্দোলনের পিছনের রাজনৈতিক সলতে পাকানোর গল্পগুলো অজানাই থেকে যাচ্ছে।
এর পরেও কমরেড জিভা পাণ্ডু ডিনডোরী আসন থেকে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মাত্র ৯.৬% ভোট পেয়ে হেরে গেলেন। অর্থাৎ কৃষক আন্দোলনের বিপুল সফলতা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হলো না। তার কারণ এটা ছিল নিতান্তই এক অসম লড়াই। মহারাষ্ট্রে আজও বামপন্থীদের penetration খুবই কম। ৬টা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র কালভান বাদ দিলে বাকি পাঁচটাতে সংগঠন দুর্বল। এর সাথে আছে বিজেপির অর্থবল ও পেশিশক্তি। তবু, এই পরাজয়ের মধ্যে গৌরব আছে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মননে বামপন্থী রাজনীতির প্রতি যে গভীর আস্থা রয়েছে, তাতে করে মহারাষ্ট্রের বা তারো আগে রাজস্থানের সফল কৃষক আন্দোলনের সুফল পেতেই পারত এ রাজ্যের সিপিএম। কিন্তু এই নির্বাচনে তাদের প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়েই দিশাহীনতার অভাব ছিল স্পষ্ট।
এটা তো ঘটনা যে গত কয়েক বছরে, বিশেষত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভয়াবহ সন্ত্রাস হয়েছে। চিটফান্ড-গরু চালান-বালি-কয়লা-রিয়েল এস্টেট-ফিল্ম প্রভৃতি বিভিন্ন সেক্টরের যে বিপুল কালো টাকার inflow হয়েছে, তাতে তৃণমূল দস্তুরমত একটা প্যারালাল এডমিনিষ্ট্রেশন চালাচ্ছে। বুদ্ধিজীবীরা বিক্রি হয়ে গেছে, আর প্রশাসন দলদাস।
মানুষের ভোট দেবার প্রাথমিক গণতান্ত্রিক অধিকারটা পর্যন্ত লুঠ হয়ে গেছে। এর ফলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রামবাংলার খেটে খাওয়া মানুষের যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে, তাতে তার স্বাভাবিক বিকল্প হওয়ার কথা ছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সারা দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে যে সিপিএম, বাম রাজনীতির আঁতুরঘর পশ্চিমবঙ্গে আজ তাদের কৃষিক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার দাবির কথা বলার ক্রেডিবিলিটি নেই।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যে ঐতিহাসিক ভুল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার করেছিল, পার্টিকে আজ এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তার মাশুল গুনতে হচ্ছে।
সিঙ্গুর অধ্যায় বাংলার সিপিএমের যে ক্ষতি করেছে তা বহুমাত্রিক। আমি একথা বলছি না যে সেই সময়ের প্রেক্ষিতে বেসরকারি পুঁজি টানার চিন্তায় কোনো ভুল ছিল। কিন্তু একথা অনস্বীকার্য যে প্রয়োগের দিক থেকে পদ্ধতিগভাবে এতগুলো ভুল একসাথে হয়েছিল যে পুরোটাই তালগোল পাকিয়ে গেল।
বেসরকারি উদ্যোগপতি কারখানা করবে, সরকারের কাজ তাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা। কিন্তু সেকাজে জমি অধিগ্রহনের দায় একান্তভাবেই মালিকপক্ষের। সরকার বড়জোর negotiation এর ক্ষেত্রে facilitator এর ভূমিকা পালন করতে পারে।
জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যে সামাজিক, রাজনৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, সেটা প্রমাণিত। সেই সময়ে কৃষিজীবি মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে, মিডিয়া এবং একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করেন, সেটা এখন ইতিহাস। তার বোঝা রাজ্যকে টানতে হচ্ছে গত আট বছর ধরে। সিপিএম নিজের শ্রেণী চরিত্র খুইয়ে অনেকাংশে শহুরে মধ্যবিত্তের দল হয়ে গেছে। কৃষিজীবি মানুষের কাছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোর কাছে তৃণমূল আর বিজেপি, অর্থাৎ বাঘ আর ভালুক ছাড়া অল্টারনেটিভ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক স্পেস লুপ্তপ্রায়।
এটা অনস্বীকার্য যে বামেরা সংগঠন ধরে রাখতে পারেননি। যে বামকর্মী মার্ক্স না পড়েও সাম্যবাদের মূল সুরে আকৃষ্ট হয়ে পতাকা ধরেছিলেন, তার রাজনৈতিক উচ্চারণের জায়গাটা ক্রমশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিজমের বিপদ সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতার ফলে জ্বলন্ত কড়াই থেকে বাঁচার তাগিদে সরাসরি বিজেপি নামক আগুনে ঝাঁপ দিয়েছেন।
তথাকথিত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বরং বাম আমলেও ছিল। তাই যারা ন্যানো আসার আনন্দে আত্মহারা হয়ে হঠাৎ করে বামফ্রন্টকে ভোট দিয়েছিল, তারা সুড়সুড় করে বিজেপিতে চলে গেছে।
কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে আগে এ রোগ দেখিনি। আমার বিশ্বাস, তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে স্রেফ তৃণমূলকে হারানোর জন্য। রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়নের বিরুদ্ধে গ্রামবাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে না। এই ভোট তৃণমূলের বিপক্ষে যতটা, তার কনামাত্র বিজেপির পক্ষে নয়। পাটিগণিত দেখে এটাকে বামেদের রক্তক্ষরণ মনে হলেও আসলে বিজেপির এই উত্থান তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ম্যান্ডেট।
বাংলায় বিরোধী স্পেস প্রস্তুত ছিল। বামপন্থীদের ক্রেডিবিলিটির অভাবে বিজেপি সেটা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। কৃষিজীবি মানুষের আস্থা এখনো বামেরা ফিরে পায়নি।
viable অল্টারনেটিভ এর অভাবে ট্র্যাডিশনাল বাম ভোটারের একটা বড় অংশ (প্রধানত হিন্দু) বিজেপিকে ঢালাওভাবে ভোট দিয়েছে। এরা সবাই ওভার নাইট সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়নি। ফ্যাসিস্ট শক্তির বিপদ সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব এবং তৃণমূলের অপশাসনের প্রতি তীব্র ঘৃণা এদের বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
অন্যদিকে মুসলিম ভোটার বিজেপির ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। মমতা সেই আতংককে কাজে লাগিয়ে এদের মসিহা হয়ে উঠেছে।
এইভাবেই বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার ভোটের পরিপূর্ণ সাম্প্রদায়িক বিভাজন হয়েছে।
এটা আটকানোর রাস্তা মানুষকে শক্তিশালী বিকল্প দেওয়া। একমাত্র বামেরাই সেটা পারে।
বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রে anti incumbemcy ফ্যাক্টর স্ট্রংলি কাজ করতে শুরু করবে এই টার্মে।
তৃণমূল ফিনিশড।
এইটাই বামেদের ঘুরে দাঁড়াবার সেরা সুযোগ।
বিরোধী দলের ভূমিকা বামপন্থীরা ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারলে এই মানুষের আবারো লাল ঝান্ডার তলায় জড়ো হবেন। ২০২১ এই হয়ত সেই সন্ধিক্ষন।
কিন্তু তার জন্য এ রাজ্যের বামপন্থীদের আবারো নিজেদের রাজনৈতিক ক্রেডিবিলিটি ফিরে পেতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন নিজেদের শ্রেনী অবস্থান স্পষ্ট করা। এক্ষেত্রে কেরালার উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সবরিমালা রায়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, এমনকি শিক্ষা ও কৃষ্টির গরিমায় গর্বিত মালয়ালিদের মধ্যে পর্যন্ত যখন আরএসএস সাম্প্রদায়িক বিভেদের বিষ প্রথমবারের মত ঢোকাতে আংশিকভাবে সফল হয়েছে, এমন ঝড়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে কেরালার পার্টি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে দৃঢ়তার সাথে পালন করেছে। ইতিহাস কম্যুনিস্ট পার্টির এই গৌরবময় ভূমিকা মনে রাখবে। একথা ঠিক যে এবারের নির্বাচনে এলডিএফের ফলাফল খারাপ হয়েছে। কংগ্রেসের নরম হিন্দুত্ব অন্তত আপাতভাবে জয়ী। কিন্তু যদি তলিয়ে ভাবা যায়, এ ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে আপস না করার ফলে বামপন্থীদের যে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হলো, এমনকি সংসদীয় রাজনীতিতেও তা দীর্ঘমেয়াদি সুফল দেবে। কেরালার ৪৮% সংখ্যালঘু ভোটারের একটা বড় অংশ লোকসভায় কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছে কারণ কেন্দ্রে বিজেপিকে প্রতিহত করার শক্তি এই মুহূর্তে বামেদের নেই। কিন্তু ২০২১ এর বিধানসভায় এরা সিপিএমকেই ভোট দেবেন। এবং আমার বিশ্বাস, টানা দ্বিতীয়বার বিজয়নের নেতৃত্বে বামেরা কেরালায় সরকার গড়বে।
পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের কাছে এটা একটা বিরাট বড় শিক্ষা হওয়া উচিত- নির্বাচনী পাটিগণিতের কথা না ভেবে তাদের মার্ক্সবাদের মূলে ফিরতে হবে। কৃষকের আস্থা ফিরে পাওয়া সহজ হবেনা, গণআন্দোলনের পথে শ্রমজীবী মানুষের সাথে নিবিড় সংযোগ করতে হবে। ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি যে আসলে মেহনতি মানুষের স্বার্থবিরোধী এবং বৃহৎ পুঁজির গভীর ষড়যন্ত্র, একথা একমাত্র কমিউনিস্টদের পক্ষেই রাজনৈতিক ভাবে বলা সম্ভব। ইতিহাস সাক্ষী, বামপন্থীরাই পৃথিবী জুড়ে চিরকাল ফ্যাসিবাদকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। একথা সবথেকে ভালো ভাবে জানে আরএসএস। তাই ভোটের বিচারে যতই হ্রাসপ্রাপ্ত হোক না কেন, সারা দেশে আজও মার্ক্সিস্টরাই তাদের সবচেয়ে বড়ো ইডিওলজিকাল অপোনেন্ট।
দক্ষিণপন্থী রাজনীতি বাজারের স্বাভাবিক নিয়মেই কর্পোরেট স্পন্সরশিপের বলে বলীয়ান। ইলেক্টরাল বন্ডের ৯৪.৫% যখন বিজেপির নির্বাচনী তহবিলে যায়, তখন এই তত্ত্বে এমপিরিকাল সিলমোহর পরে। মানি-মাসল-মিডিয়া এই তিন এমের বিরুদ্ধে এই অসম যুদ্ধে তাই দরকার বৃহত্তর বাম ঐক্যের। নিজেদের ক্ষুদ্র ইগো অনেকসময় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গভীর আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন।
রাজনীতির আসল উদ্দেশ্য হলো মানুষের হৃদয় ও মস্তিষ্কে জায়গা করে নেওয়া। সেই লড়াই জারি থাকবে। কলম চলবে, মিছিলও।