এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বোঝা-নো !

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১১০৯ বার পঠিত
  • সবজান্তা হওয়ার জ্বালা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন রাজা বিক্রমাদিত্য। উত্তর জানা থাকলে মুখ খুলতেই হবে নাহলে মাথা ফেটে চৌচির হবে কিন্তু মুখ খুললেই বেতাল পালাবে গাছে। এই অনন্ত ‘লুপ’ থেকে কত সহজেই বেরিয়ে পড়া যেত যদি একটা উত্তর জানা না থাকত ! আসলে সবজান্তাদের ব্যাপারটাই এইরকম, সামনে ভুলভাল জিনিস দেখলে কিছুতেই মুখটি বুজে থাকার উপায় নেই কিন্তু আবার ঠিক কথাটা বুঝিয়ে বললে লোকে হামেশাই বলে থাকে ‘জ্ঞান দিচ্ছে’। অবশ্য সে কথাটা নেহাৎ মিছে কথা নয়। একটি সবজান্তা লোক যখন কিছু বলে বা লেখে তাকে সবসময় একটা ভাবনা তাড়া করে ফেরে যে লোকে ঠিকঠাক বুঝল কিনা, তাই সে যতটা সম্ভব বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে আর সেই বুঝিয়ে বলার ঠ্যালায় অনেকের প্রাণ আইঢাই করে।
    তবে এই বুঝিয়ে বলার রোগ যে সুধু সবজান্তাদেরই আছে এমন বললে নেহাৎই অবিচার হবে। যারা কিঞ্চিৎ বিভ্রান্ত বা আত্মবিশ্বাস কিছু কম, এই রোগ তাদের মধ্যেও বিলক্ষণ আছে। এই যেমন সেদিন খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনের পাতায় দেখলাম ‘মাসাজ পার্লারে’র বিজ্ঞাপন। ‘সুন্দরী মহিলা দ্বারা ফুল বডি ম্যাসাজ ও বোল্ড রিলেশনের মাধ্যমে দেহে মনে পূর্ণ সতেজতা লাভ করুন’। এমনিতে এখন এইসব ‘ম্যাসাজ পার্লার’ জাতীয় ইঙ্গিত যাদের বোঝা দরকার তারা এমনিই বোঝে, না হলে খুব জোর ওই সুন্দরী মহিলাটুকু লেখাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তারা যে বুঝতে পারছে সেই কথাটা যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে সে বুঝতে পারছে না, তাই অনাবশ্যক(!)ব্যাখ্যা। না হলে ম্যাসাজ করতে কেনই বা সুন্দরী মহিলা, কেনই বা বোল্ড রিলেশন ইত্যাদি ইত্যাদি।
    বিজ্ঞাপনের কথা তবু ছেড়ে দেওয়া যায় কিন্তু বাস্তবে এই বেশি বোঝা আর বেশি বোঝানো লোকেদের নিজেদের সমস্যা যত বেশি, তাদের নিয়ে অন্যদের সমস্যাও তত। যেমন এই লোকেরা কোন জোক্‌স বললে আপনি যদি না হাসেন, ধরে নেবে আপনি বোঝেন নি এবং আপনাকে জোক্‌সটা বোঝাতে বসবে; এমনকি আপনি যদি হাসেনও তাহলেও রেহাই নেই, আপনার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করবে যে আপনি ঠিক বুঝে হাসছেন কিনা এবং শেষমেশ হয় নিজে থেকে ব্যাখ্যা করে দেবে না হয় আপনাকে জিজ্ঞেস করেই ফেলবে কি বুঝলেন বলুন তো ! মানে সমস্যাটা দ্বিমুখী; আপনি যে কোনভাবেই এড়িয়ে যাবেন তার জো নেই, আপনাকে বুঝতে হবেই। আলাদা আলাদা বিষয়ে এইরকম সবজান্তাদের সঙ্গে দিনে হাজারবার আপনার আমার দেখা হয়, বিশেষভাবে নজরে পড়ে না। কিন্তু কিছু কিছু লোক সবব্যাপারেই এইরকম, তারাই ঝামেলায় ফেলে। তবে ব্যাপারটা ওই বেশি বোঝনদারদের দিক থেকেও ভাবার আছে। তারা কিন্তু আপনার ভালোই করতে চায় এমনকি ঠিক যে নিজের মত চাপিয়ে দিচ্ছে এমনও নয় সবসময়। এরা কেবল চাইছে নিজের বোঝাটা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বা বলা ভালো বোঝার অভ্যেসটা গড়ে তুলতে। জগতে যে এত কিছু বোঝার ছিল বা আছে তা হয়ত আপনি জানতেই পারতেন না এইরকম কারুর সঙ্গে আলাপ না হলে। এদের সঙ্গে কোথাও খেতে গেলে প্রতিটি মেনু আপনাকে খেতে হবে বুঝে, দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে গেলে আপনাকে থিমটাও বুঝতেই হবে। একটা দুর্দান্ত বালুচরী শাড়ি পরেছেন, খুব প্রসংশা পেলেন কিন্তু সেই সঙ্গে আপনাকে বুঝতে হল এই শাড়ির অঙ্গ জুড়ে কোন পৌরাণিক কাহিনী কিভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । এইরকম লোকের বাড়ি গিয়ে যদি আপনি যদি তাঁর গৃহসজ্জার সুখ্যাতি করেন, তাহলেও আপনাকে বুঝতে হবে রবীন্দ্রনাথের পাশে কেন গৌতম বুদ্ধকে রাখা হয়েছে। আর এঁরা আপনার বাড়িতে এলেও আপনাকে বোঝাতে হবে কেন দেওয়ালের রঙ নীল না হয়ে সবুজ হয়েছে। ব্যাপারটা জ্ঞানবর্ধক সন্দেহ নেই কিন্তু যারা এত বোঝাবুঝির মধ্যে থাকতে চায় না তাদের কাছে বড্ড চাপের।
    তবে বেশি বোঝানোর রোগ যাদের আছে তাদের পক্ষে সবচেয়ে কঠিন হল গল্প-কবিতা জাতীয় কিছু লেখা। কারণ প্রথমত এই বুঝিয়ে বলার রোগ সব চরিত্রের মজ্জায় ঢুকে থাকে তাই চরিত্রেরা যা দেখে শোনে ভাবে, সবই অতীব দীর্ঘ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ। কিন্তু লেখক নিজের চরিত্রদেরও সেভাবে বিশ্বাস করে না তাই আড়াল থেকে বেশীর ভাগ কথা সে নিজেই ‘বর্ণনা’ করে যায়। এখন এই বর্ণনা যদি শুধু চেহারার বা সাজ পোষাকের বা প্রকৃতির দৃশ্যের মত সহজ সরল বিষয় হয় তো একরকম; কিন্তু যদি হয় কোন জটীল কিছু যেমন ধরুন কিছু একটা শ্যুটিং হচ্ছে, কি কোন কারখানার ভেতরে কিছু তৈরী হচ্ছে, সেই দৃশ্য যদি বর্ণনা করতে হয় তো হয়ে গেল ! অন্ততঃ একপাতা ধরে আপনাকে পড়ে যেতে হবে ক’টা ক্যামেরা, কোন্‌টা কোথায়, কোথা থেকে নামছে, কত ডিগ্রী কোণে কিভাবে ছবি তুলছে, কোন মেশিনটা কিরকম দেখতে, কিরকম আওয়াজ, কত ইঞ্চি কত সেন্টিমিটার ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনিতে আপত্তির কিছু নেই, তবে অনেক সময়ই এই এত বোঝানোটা মূল কাহিনীতে আদৌ বিশেষ লাগে না বরং অনাবশ্যক ‘ডিটেলিং’ পাঠককে বিরক্ত করে, গল্প-উপন্যাস ‘রচনা’র মত শোনায় এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে লোকে পাতা উল্টেও যায়। আর তা ছাড়া কখনও কখনও ব্যাপারটা বেশ অন্ধের হস্তীদর্শনের মতনও হয়ে দাঁড়ায়, মানে অনেক কথা খরচ করে সবটাই ভস্মে ঘি ! কি অপচয়।।।!
    আরও করুণ অবস্থা হয় কবিতার ক্ষেত্রে, গদ্যে যদিবা উপায় আছে কবিতায় তো বুঝিয়ে বলার কোন জায়গাই নেই, এমনকি বিশেষ দরকারই নেই কারণ কবিতা যে পড়ছে সে যেভাবে বুঝছে সেটাই কবিতার মানে। সে কথা বুঝিয়ে বলা মানুষেরা জানেন না এমন নয়, আপনি কোনো কবিতার মানে বুঝতে গেলে এঁরাই হয়ত আপনাকে বলবেন যে কবিতার মানেবই হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু ওই যে নিজের প্রকৃতিই এমন যে বুঝিয়ে বলার প্রবণতাটা ছাড়তে পারেন না। তাই কবিতায় একটা রূপকের ব্যবহার করলে কি একটা ব্যাক্তিগত রেফারেন্স দিলেই মনটা ছোঁক ছোঁক করে সেটা ব্যাখ্যা করার জন্য। যেমন হয়তো বাইশে জুলাই কবির নিজের জন্মদিন, কোন কবিতায় জন্মদিনের রূপক হিসেবে বাইশে জুলাই কথাটা লিখে হয়তো নিজের বেশ পছন্দ হল কিন্তু মনে প্রবল অস্বস্তি হতে লাগল যে লোকে পড়ে কি বুঝল ! এই প্রবণতাকে প্রশ্রয় দিলে শেষ অবধি রেফারেন্স-ফুটনোট-ব্রাকেট-কন্টকিত কবিতা কিম্বা কবিতার সঙ্গে মানেবই পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া উচিৎ কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কিছু আমার চোখে পড়েনি। এর একটা কারণ হতে পারে যে এই ব্যক্তিরা হয়ত কবিতা লেখার সময় এই অহেতুক বুঝিয়ে বলার প্রবণতাকে শেষ পর্যন্ত জয় করে ফেলেন আর দ্বিতীয় কারণ হতে পারে যে যথেষ্ট বুঝিয়ে বলতে না পেরে হতাশ হয়ে কবিতা লেখা (বা প্রকাশ করা) ছেড়ে দেন। দ্বিতীয়টা সত্যি হলে আবারও বলতে হয় কি অপচয় !
    পড়ানোর সময়ে বুঝিয়ে বলা চিরদিনই ভাল কাজ বলে ধরা হয় কিন্তু সেখানেও বেশি বোঝানোর জ্বালা কম নয়। মানে ধরুন সুকুমার রায়ের ছড়া পড়ছেন ‘আর তো সবাই মামাগাগা আবোল তাবোল বকে, খুড়োর মুখে গুংগা শুনে চমকে গেলে লোকে’।।। কিম্বা সহজ পাঠ থেকে ‘ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি।।।’ আর আপনার কানের কাছে কেউ ব্যাখ্যা করেই চলেছে আবোলতাবোল বকা কিরকম গুংগা মানে কেন অন্যরকম, ছায়ার ঘোমটা কি করে টানা হয়।।।নিশ্চই অসহ্য লাগবে। কারণ এই অপরাধে কিছুদিন আগে একটি সাতবছরের শিশু আমার কাছে বাঙলা পড়তে অস্বীকার করেছে। তার মতে আমি কবিতার বাইরের কথা এত বেশি বলি যে ওর নাকি ‘বুঝতে’ অসুবিধে হয় !
    এই বার বোঝা গেল তো বুঝিয়ে বলা লোকের সঙ্গে আমার কোথায় দেখা হয়!* আপনারও চেনা চেনা লাগছে নাকি !

    *(কোথায় দেখা হয় বুঝেছেন ? বলুন তো কোথায়।।।আয়নায় !)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১১০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:০৪74698
  • উঃ মাইরি! আমাকেও আয়না দেখিয়ে ছাড়লেনঃ))
    আর কক্খনো হীরক-রাজা টইয়ে পলিটিক্যাল কমেন্ট করব না!!!
  • arindam | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:০৮74696
  • ভাল লেখা।
  • ## | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ১১:২৯74697
  • শেষের ফুটনোটটা না দিলে একটু সামান্য অসম্পূর্ণই থাকত।
  • jhiki | ***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫০74699
  • এটা দারুণ লিখেছেন।
  • kiki | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৫:১১74700
  • ঃ)
  • PM | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:০৭74701
  • ব্যাপক
  • Pubদা | ***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:০০74702
  • হে হে হে :) :)
  • arindam | ***:*** | ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:৫২74703
  • সবজান্তা নই, কিন্তু একটা বানান ভুল চোখে পড়লো - "প্রসংশা" নয় "প্রশংসা" হবে! -ঃ)
  • saiful hasan | ***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৫:১৬74704
  • ধন্যবাদ, আপনার কবিতার কথা গুলো খুব ভালো লেগেছে। আমি আপনাকে কোন প্রকার অফার করছি না। আমার মানে হয় এই ছোট তথ্যটি আপনার উপকারে আসতে পারে rentalhomebd.com।
  • Du | ***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৩৪74705
  • ঃ) সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে -"বুঝেছ তো ?"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন