এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাষার ছলনে ভুলি

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ১২৫১ বার পঠিত
  • ফেব্রুয়ারী মাস পড়তেই আমাদের সব চোখ ছলছল, বুক ধড়ফড়। নিজেদের হাজার সমস্যা এবং ফূর্তি শিকেয় তুলে এই মাসের অন্ততঃ তিনটে সপ্তাহ আমরা ওঁকে নিয়েই ব্যস্ত। কাগজে কাগজে গুলতানি, উনি কি মৃতপ্রায়, উনি কি আবার আগের মহিমায় (মানে সে যে কত আগের মহিমা সেটা আমরা কেউই ঠিকঠাক জানিনা) ফিরে আসবেন, নাকি ওঁর অন্তর্জলী হয়ে গেছে ! এই মুহুর্তে পরিস্থিতি চরমে, সবাই নিজের পছন্দমত দাওয়াই বাতলাচ্ছে, কেউ বলছে বদ্যি ডাকতে কেউ বলছে পুলিশ আর কেউ শহরের মাঝখানে মস্তবড় হাট বসিয়ে ওঁর চিকৎসার খরচ তোলার চেষ্টা করছে, সেখানে আবার রথ দেখার সঙ্গে কলা বেচার ব্যবস্থাও হয়ে যাচ্ছে একরকমভাবে। কেউ আবার শুধু মা মা করে ডেকে চলেছে, তালে ভুল করে ফেলায় মাঝে মাঝে ভুলভাল লোকে সারা দিয়ে ফেলছে।
    এই অবস্থায় সেদিন ন্যাড়া আ্মাকে ধরল বাজারের পাশে “এই শোন এত গোলমাল কিসের জানিস ?”
    পাশেই একটা বেলগাছ, আমি সেদিকে সভয়ে তাকাতে তাকাতে বললাম, ‘আহা, জানোনা বুঝি, বাঙলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা।।।’ বেশ একটু ভাব এসে গেছিল, তাতে জল ঢেলে দিয়ে ও বল ‘বাঙলার, মানে বাঙলাদেশের ? কি হয়েছে, ঝড়ঝাপ্টা না সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ?’
    ওর অজ্ঞতায় ভারী বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘না না সেসব কিছু নয়, বাঙলা মানে বাঙলা ভাষা। কি অবস্থা হয়েছে জানো, দু দিন পর এই ভাষাটার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। আজকালকার বাচ্চারা।।।’
    আমাকে থামিয়ে দিয়ে ন্যাড়া বলল, ‘দাঁড়া দাঁড়া, বাঙলা মানে কোন বাঙলার কথা বলছিস, পূর্বের বাঙলা না পশ্চিমের বাঙলা মানে বাঙাল বাঙলা না ঘটি ?’
    ‘মানে----! আঃ বলছি না দেশের কথা নয়, ভাষার কথা হচ্ছে।।।তার আবার পূর্ব-পশ্চিম কিসের ?’
    ‘তোর এই একটা দোষ সহজে কিছু বুঝিস না ! ভাষার কোনও দিক নেই ? ভাষা কি স্কেলার রাশি নাকি ! ঘটি বাঙলা আর বাঙাল বাঙলা দুটো কি এক !’
    কি বলব ভাবছি, ও-ই আবার শুরু করল, ‘দেখ পূর্ব বাঙলা থেকে শুরু করে পশ্চিমে মেদীনিপুর অবধি গোটা অঞ্চলটা যদি ঘুরিস, দেখবি একই জিনিসের (ছেলে) নাম পুবে যদি হয় পুলা বা পোলা, মাঝে সেটা হল ছেলে আর পশ্চিমে হল ‘ছ্যানা’। মাঝের লোক বলছে ‘বেড়ালে মুড়ি ছড়িয়েছে’ আর উত্তর-পূর্ব কোণের লোক বলছে ‘মেকুরে হুড়ুম হুক্কাইসে’। এখন তুইই বল এই দুটো কি এক ভাষা হতে পারে !’
    আমি বলি, ‘দেখ, প্রচলিত ভাষা আর লেখ্য ভাষায় একটা তফাৎ তো থাকবেই, না ?’
    ও বলল, ‘আহা, লেখ্য ভাষা যেন সকলের এক ! তুই-আমি লিখছি ‘বাবা-মা-কাকা-দিদি কিন্তু সিরাজুল লিখছে ‘আব্বা-আম্মা-চাচা-আপা।।।তার মানে বাঙলাভাষার দেশ আর দিক তো আছেই ধর্মও আছে। ও শুধু স্কেলার-ভেক্টরের কম্ম নয় আরো বেশি কিছু দরকার। তাই জন্যই তো লোকজন বাংলা নিয়ে ভারী ধন্দে পড়ে যাচ্ছে আর কি ! মানে ওই যাকে বলে কনফিউশন আর তাইতো এটা ওটা মিশেল দিচ্ছে’।
    আমি বললাম ‘কন্‌ফিউশান থেকে লোকে বাঙলা ভুলে যাচ্ছে ! যাক একটা নতুন কথা শুনলাম বটে ! অবশ্য তুমি ওই স্কেলার-ভেক্টর কি সব বললে সেও দুর্দান্ত মৌলিক ভাবনা’
    আমার হাল্কা খোঁচাটা বিশেষ গায়ে না মেখে ও বলল ‘হ্যাঁ রে ওটাই আসল ঝামেলা। লক্ষ্য করে দ্যাখ বাঙলায় গালাগালি গুলোও কিরকম গোলমেলে। নিরীহ কিছু শব্দ খামোখাই কেন যে গালাগাল হয়ে ওঠে তার কিছু মাথামুন্ডু নেই। এই যেমন ধর শালা; একটা মিষ্টি সম্পর্ক, অথচ সেটা হয়ে উঠল গালি কিন্তু একই যুক্তিতে দেওর কিম্বা ননদ কিন্তু গালি হল না। তারপর দ্যাখ শুয়োরের বাচ্চা হল গালি কিন্তু বাঘের বাচ্চা হল প্রসংশা অথচ বাঘের চেয়ে শুয়োর অনেক নিরিহ প্রাণী, হিংস্র নয়, তেমন কোনও ক্ষতি করতেই পারে না ! মানে সোজা কথায় বাঙলা গালাগালির কোন যুক্তি নেই, ব্যাকরণ নেই’।
    আমার মনে পড়ে গেল আমার পরিচিত একজনের কথা। খুব অপছন্দের নেতা বা অভিনেতাদের নামগুলো উনি গালাগালি হিসেবে ব্যাবহার করেন। যেমন ‘আরে ও তো একটা ম মিত্র, ও আর এর চেয়ে ভালো কি বলবে !’
    কিন্ত সে সব গন্ডোগোলের কথায় না গিয়ে আমি গম্ভীরভাবে বললাম ‘কোথা থেকে কোথায় চলে এলে ! হচ্ছিল বাঙলা ভাষায় কথাবার্তা বলা নিয়ে আর তুমি সব ছেড়ে গালাগালি নিয়ে পড়লে কেন বল তো---‘
    ন্যাড়া বলল, ‘কারণ আছে। গালাগালি একটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা মানুষ কি ভাষায় গালি দিচ্ছে সেটা থেকে তার চরিত্র সামাজিক অবস্থান এইসব চট করে ধরে ফেলা যায় না বল ! এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ আর কি আছে ! আর শুধু তো রেগে গিয়েই মানুষ গালি দেয় না, অকারণেও দেয় আর অনাবিল আনন্দ পায় । এই অকরণে মুখখারাপ করার যে প্রবণতা ইংরেজীতে তার একটা গালভরা নাম আছে, জানিস ঃ ক্যাপ্রোলেলিয়া। সেদিক থেকে দেখলে গালাগালিও সংস্কৃতির একটা অংশ’।
    আমি এতক্ষণে একটা জুতসই কথা খুঁজে পেলাম, ‘অপসংস্কৃতি বলো !’
    ‘ওই তো কিছুই ঠিকঠাক জানিস না, অপসংস্কৃতি বলে কোন কথা নেই, কথাটা হল অপকৃতি, অপকীর্তি ভাবিস না যেন।।।সে যাই হোক মোটের ওপর এটা তো বুঝলি গালাগালি মানুষের একটা মূলগত প্রবণতা। তো তুই এবার ভাব, একটা ভাষা, তার গালাগালির কোনও মানে নেই, একই কথা কখনও গালি কখনও প্রসংশা, এটা কন্‌ফিউসন নয় ?’
    আমি বললাম ‘দ্যাখো তোমার আপত্তি যদি শুধু গালি নিয়ে হয়।।।’ কথা শেষ হল না, ও আমাকে থামিয়ে বলে চলল, ‘তারপর দ্যাখ, বাবা আমাকে চিরকাল বাঁদর বলে ডেকে এসেছে, নিবারণ স্যার অবস্থা বুঝে কখনো গাধা কখনো শুয়োর বলে ডাকেন আর বন্ধুদের কথা তোকে নিশ্চই বলে দিতে হবে না। তারা তো গোটা একটা প্রাণীর নামও খরচ করে না, বিশেষ বিশেষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়। এরা সবাই আমার প্রিয়জন, আমাকে ভালবাসে, তাই এদের এইসব ডাক নিশ্চই গালি নয়, কিন্তু উল্টোটা ভাব তো একবার !’
    ‘মানে ?’
    ‘মানে আমিও যদি বাবাকে ভালোবেসে মুরগী আর স্যারকে হুলো বলে ডাকি, কি হবে ! অথচ তুই তো জানিস আমি বেড়াল আর মুরগী দুটোই কত ভালোবাসি। বন্ধুদের ব্যাপারটা অবশ্য আলাদা, ওখানে প্রক্রিয়াটা উভমুখী। কিন্তু কন্‌ফিউসনের জায়াগাটা বুঝতে পারছিস তো ? গালাগালি আর গলাগলির ভাষা এক হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর বাঙলার ওই তিনরকমের স-কার দু রকমের উ-কার, কে কখন কোথায় বসে তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই, ঝামেলার একশেষ। কিন্তু তোকে এসব বোঝাতে হচ্ছে কেন, তুই তো এসব জানিস---’
    আমি বললাম ‘হ্যাঁ, সে তো জানিই আর এও জানি এইসব ঝামেলা সব ভাষাতেই কমবেশি আছে। হিন্দিতে পুলিশ কেন স্ত্রীলিঙ্গ, কে কখন তুমি কখন আপনি হচ্ছে তার কিছু ঠিক আছে ?’
    ও বলল, ‘না না সে সব তো ঠিকই’
    আমি আরো উৎসাহে বলে চললাম, ‘আর ইংরেজী ? তার অবস্থা কিছু কম গোলমেলে নাকি ? ‘স’ লিখতে গেলে কোথায় এস আর কোথায় এস-এইচ, ‘সন’ লিখতে গেলে কোথায় এস-আই-ও-এন আর কোথায় টি-আই-ও-এন নাকি স্রেফ এস-ও-এন তা তুমি মুখস্থ না করে এমনি এমনি ঠিক লিখবে কি করে ? এফ-আই-এস-এইচ ‘ফিস’ যে কেমন করে জি-এইচ-ও-টি-আই হয়ে যেতে পারে সে সমীকরণ তো তুমি-আমি নয়, খোদ বার্নার্ড শ’ দেখিয়ে গেছেন; এগুলো কন্‌ফিউসন নয় ?’
    ন্যাড়া লাফিয়ে উঠল, ‘আলবৎ কন্‌ফিউসন ! আমি তাই তো বলছি ভাষা নিয়ে মানে কোনও ভাষা নিয়েই বেশী মাতামাতি করা কোনো কাজের কথা নয়, সব ভাষাই সমান ঝামেলার’
    যাব্বাবাঃ! এবার গোটা ব্যাপারটাই যে একেবারে ঘেঁটে ঘ’ হয়ে গেল ! আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, ‘তুমি কি বলতে চাও ঠিক করে বল তো !’
    একগাল হেসে ন্যাড়া বলল, ‘আচ্ছা ভাষা বলতে তুই কি বুঝিস ?’
    প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় ছোটবেলার পড়া মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘ভাষা হল সঠিক ভাবে মনের ভাব প্রকাশের উপায়’
    ও বলল, ‘ব্যাস ব্যাস ওতেই হবে। আমার স্লোগান হল সঠিক ভাব প্রকাশের জন্য ভাষা নয় ভঙ্গীকে সঙ্গী করুন। তাতে অনেক সুবিধে, লোকের বেশি কথা বলার প্রবণতা কমবে, একেক জায়গায় এ্কেক ভাষার ঝামেলা কমবে। ভঙ্গীর বৈচিত্র্য কম বলে সারা পৃথিবীতে একটা ভঙ্গীর একটাই মানে হবে, যেমন ধর কুকুরছানা খুশি হলে যেমন সারা পৃথিবীর সব দেশে একই ভঙ্গীতে ল্যাজ নাড়ায়, রেগে গেলে লোকে যেমন একই ভঙ্গীতে থাপ্পড় কষায়।।।কি রে অন্য দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস, কি বল্লাম বুঝতে পারছিস ?’
    আমি চুপ করে মনে মনে সঠিক ভাব প্রকাশের ভঙ্গীটা খুঁজতে লাগলাম। ন্যাড়া উসখুস করতে লাগল, একটু পরে বলল, ‘আচ্ছা, এখন আসি বুঝলি, আমার আবার একটু পরে ভাষাদিবসের সার্থকতা নিয়ে একটা আলোচনাসভায় যেতে হবে। তোর সঙ্গে কথা বলে একটু গা ঘামিয়ে নিলাম, বুঝলি !’
    আমি বললাম, ‘হাঃ হাঃ হাঃ !’ ও আমার দিকে একবার সন্দেহের নজরে তাকিয়ে হনহন করে অন্যাদিকে চলে গেল।
    আমি বুঝতে পারলাম, ভাবপ্রকাশের উপায়টা আমি ভালই রপ্ত করেছি।

    (পুনশ্চ ঃ এই লেখা নেহাৎই রম্যরচনা, পড়ে মুচকি হাসুন বা তেড়ে গালাগাল দিন, কোনোভাবেই ভাবাবেগে আঘাত লাগতে দেবেন না !)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ১২৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ই না সি | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:১৬68716
  • ইয়ে, মানে বার্নার্ড শ, মানে, না বোধ হয় . . . .
  • Abhyu | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:২৭68717
  • ন্যাড়াদা আজকাল এই রকম কথা বলে?
  • I | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:৩১68718
  • ন্যাড়াদা'র বেশ দুর্দিন তাহলে বলতে হবে।
  • pi | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:৩৩68719
  • কিন্তু শালা যে কারণে গাল সে যুক্তিতে তো ননদ বা দেওর হতে পারবেই না ! আর খিস্তি তো মূলতঃ সেক্সিস্টই।

    তবে তির্যকের অন্য লেখাগুলোর মত এটা লাগলো না। একটু ঘেঁটে যাওয়া মনে হল। ঃ(
  • | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:৩৬68720
  • আগেই জানতাম ন্যাড়াদা কঠিন আঁতেল!
  • ন্যাড়া | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:১৬68721
  • ফের যদি আমার নামে পোইট্‌রি লিখবি তো মারব এক থাপ্পড়।
  • একক | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:০৩68722
  • এই লেখাটা ঠিক যেখানে এসে ইন্টারেস্টিং সেখানেই শেষ । তাই আগের অংশ টা পড়ে মনে হচ্ছে কেমন পিকে সুলভ গরু খোঁজা ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন