এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গাছ ও সূর্যোদয়

    Saswata Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ | ২১৯৯ বার পঠিত
  • কাল একজন আহির ভৈরবের আলাপ শোনাচ্ছিল ফোনে। কখনও হারমোনিয়ামে, কখনও খালি গলায়। সকালের দ্বিতীয় প্রহরের রাগ; যে গাইছিল তার দেশে তখন সকাল। আমার সন্ধ্যা। ভৈরবের সবচেয়ে পরিচিত ‘প্রকার’ বোধহয় এই আহির ভৈরব। শুদ্ধ ধৈবত, কোমল নিষাদ। পূর্বাঙ্গে ভৈরব রাগ আর উত্তরাঙ্গে কাফি – এই দুইয়ে মিলে আহির ভৈরব। কোমল ঋষভে আন্দোলন থাকে এই রাগে।

    গাইতে গাইতে সে বলল, কেন জানি না আমার মনে হয় এই রাগের ষড়জে সকালের সূর্য-ওঠাটুকু ধরা আছে। এই বলে অনেকক্ষণ সে রয়ে গেল ‘সা’-এ। চোখ বন্ধ করলাম। দিগন্ত ছাড়িয়ে আস্তে আস্তে উঠে আসছেন সূর্য। তারপর কোমল ঋষভে ঢেউ উঠছে। ছোটো ছোটো তরঙ্গে চরাচর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে প্রথম আলো। তার চরণধ্বনি ফুটে উঠছে ওই ঋষভের আন্দোলনে। মেঘের গায়ে রঙ লাগছে – শুদ্ধ গান্ধার, শুদ্ধ মধ্যম, শুদ্ধ ধৈবত। অনেকক্ষণ ধরে সে গেয়ে শোনায়। জীবনে হিসেবের বাইরে একটা সকালবেলা পেয়ে যাই আমি।

    সে বলে, দেখো এই যে আলাপ, এর মধ্যে দিয়েই একটু একটু করে ফুটে উঠছে রাগ। না, উঠছে না, কারণ আমি পারছি না। কিন্তু ওঠার কথা। তুমি শুনছ তো?

    জানাই শুনছি। আমার আকাশে তখন সূর্যোদয় হয়ে ফুটে ওঠে রাগ। কোমল ঋষভের সামান্য আন্দোলন।
    একসময় শোনা শেষ হয়। এর পর সে কলেজ যাবে। দিনের শেষে ফিরে আসবে ট্রেন ধরে। বাড়ির কাজ করবে। ছাদে উঠে সন্ধ্যাতারা খুঁজবে। তখন কোথায় থাকবে এই আহির ভৈরব? নাকি গাওয়া শেষ হলেই মিলিয়ে যাবে সে?
    এই কথাটার উত্তর খুঁজতে হলে ভাবতে হবে সঙ্গীত অর্থাৎ Music-কে কি রাখা যায় কোথাও? যদি রেখে দেওয়া যায়, তাহলে আহির ভৈরব থাকবে। এখন Music ঠিক কী যে তাকে রেখে দেওয়া যাবে? কী এই নিয়ে অনেক অনেক কথা আছে। সেসব কথা মূলত শুরু হয় ‘Organized Sound’ এই বলে। কিন্তু অনেক Organized Soundই Music নয়। যেমন মানুষের বক্তৃতা। কিংবা একটানা মেশিনের আওয়াজ। এরপর দার্শনিকরা কিছু term জুড়ে দিয়েছেন। মূলত দু’টি – appeal to ‘tonality’ এবং appeal to aesthetic properties or experience. এই দু’ইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়টিই বেশি ভাবায়।

    Appeal করা মানে কী? একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোহিত করা? ক্ষণকালের আবেশ সৃষ্টি করে আবার মিলিয়ে যাওয়া? নাকি কোথাও গিয়ে ছুঁয়ে থাকা বহুক্ষণ?

    হ্যাঁ, কেউ বলতেই পারেন এই সবক’টি প্রশ্নের উত্তরই ব্যাক্তিনির্ভর। কিন্তু এটুকুকে মেনে নিলে মনে হয় হঠাৎ করেই ভাবনা থেমে গেল মাঝপথে। তাহলে? ব্যাক্তিকেও বরং আরেকটু ভালো করে দেখি – চেতন ও অবচেতনে ভাগ করে।
    যিশুর জন্মেরও প্রায় চারশো বছর আগে প্ল্যাটো তার Republic –এ লিখলেন – Music is a moral law. It gives a soul to the universe, wings to the mind, flight to the imagination and life to everything.
    অর্থাৎ সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পর্ক এই সৃষ্টির আত্মার। প্ল্যাটোর আরও কয়েকশো বছর আগে ভারতবর্ষের তপস্বীরা জানিয়েছিলেন ‘নাদ ব্রহ্ম’এর কথা। শব্দের শক্তি থেকে সৃষ্টির উৎপত্তির ধারণা।

    এখন এই ‘আত্মা’ শব্দটিও বড় গূঢ়। কথাটা নিয়ে ভাবি। স্পর্শের অতীত, অনুভবের অতীত, তাকে দেখাই যায় না। মাঝে মাঝে মনে হয় একট নিশ্চল জীবন্ত গাছের যে প্রাণ, তাকেই বুঝি আত্মা বলে। গাছকে দেখে যেমন আমরা প্রাণ টের পাই না, অথচ সে থাকে, তেমনই মানুষের মধ্যে যতটুকু ওই গাছ, সেই তার আত্মা!

    এখন কোথায় থাকে মানুষের মধ্যেকার এই গাছ? নিশ্চয়ই তার অবচেতনে। আর সঙ্গীত যায় তার কাছে। অর্থাৎ এই আহির ভৈরব উচ্চারিত হওয়ামাত্র সন্ধান করে আমার অস্তিত্বের মধ্যে এই গভীর দেশ যেখানে মানুষ আমি লগ্ন হয়ে আছি প্রকৃতির সঙ্গে। রাগ তার কাছে যায়, তার পাতায় পাতায় থাকে।

    এইবার প্রশ্ন উঠতে পারে এই ‘লগ্ন হয়ে থাকা’ আসলে কেমন ভাবে থাকা? নানা ভাবে এর উত্তর ভাবা যায়। নির্দিষ্ট কোনো সমাধানবিন্দুতে পোঁছন যায় কি, জানি না। কাল আহির ভৈরব শোনার পর আমিও ভেবেছি একরকম পথে। সে কথাটুকুই বলি।

    সৌন্দর্য্যের কথা ভাবতে গিয়ে দার্শনিকরা একটা সুন্দর শব্দ খুঁজে পেলেন – Harmony! তারা বলছেন – Beauty is harmony manifesting its own intrinsic nature in the world of form. এই Beauty-র মধ্যে সঙ্গীতের সৌন্দর্য্যও আসে। আর মানুষ বহু বহু বছর আগে থেকে কোনো শিক্ষা ছাড়াই এই Harmonyকে অনুভব করতে পেরেছে। প্ল্যাটো বলেছিলেন মিশরে কাব্য ও সঙ্গীতের চর্চা রয়েছে অন্তত দশ হাজার বছর আগে থেকে এবং এতই অপরূপ এই শিল্প যে শুধুমাত্র দেবতা বা দেবতার মতো মানুষের পক্ষেই এদের সৃষ্টি করা সম্ভব! ‘Mysteries’-এ প্ল্যাটো লিখলেন যে বীণা (lyre) আসলে মানুষের সম্পূর্ণ অস্তিত্বেরই এক ছদ্ম রূপ। বাদ্যযন্ত্রের দেহটি মানুষের রক্তমাংসের শরীর, তারগুলি তার স্নায়ু আর বাদক তার আত্মা। স্নায়ুগুলিকে বাজিয়ে বাদক যা সৃষ্টি করছে তা আসলে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (harmonious) মানুষের নিত্যকর্মই; যদি প্রকৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে মানুষ, এই সম্প্রীতি যায় নষ্ট হয়ে।

    খুব প্রাচীন এক দর্শনের ধারা হচ্ছে – Musica universalis বা Harmony of the Spheres. এখন এই ‘Spheres’ কারা? এরা সবাই মহাজাগতিক গোলক অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র। এইখানে এসে ‘Music’ কিন্তু কোনো শ্রুতিগোচর নাদ থাকছে না। একইসঙ্গে সে হয়ে পড়ছে গণিত ও আধাত্ম্যিক এক ভাবনা। এবং এই বিংশ শতাব্দীতেই পিথ্যাগোরাসকে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে গণিত ও সঙ্গীতের ভুবনেও দেওয়া হল রাজাসন! উনিই ‘diatonic scale’-এর আবিষ্কারক!

    একদিন Harmony নিয়ে ভাবতে ভাবতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন পিথ্যাগোরাস। একটা কামারশালের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি শুনতে পেলেন লোহার পাতের ওপর নেহাই দিয়ে পিটছে লোকজন। এবং হাতুড়ির মাপের ওপর নির্ভর করে বদলে যাচ্ছে আওয়াজ। ভালো করে ব্যাপারটা লক্ষ্য করার পর দোকানে ঢুকে আরও কিছু জিনিষপত্র নিরীক্ষণ করে diatonic scale-এর প্রাথমিক ধারণা পেলেন পিথ্যাগোরাস। এরপর অনেক আশ্চর্য কাজ রয়েছে তাঁর, যেমন Pyramid of dots!

    ফিরে আসি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের লগ্ন থাকায়। এই ‘লগ্ন-থাকা’টুকু নিয়ে ভাবতে ভাবতে যেই এসে পড়ব ‘consciousness’ এর কথায়, অমনি সব অভিন্নতা যাবে মিলিয়ে। কারণ এই consciousness-এর দ্বিতীয় নেই কোনো। না, শুধু অদ্বৈতবাদই নয়, কী বলছে Dr. Lanza-র Biocentric Theory? সাতটি নিয়মের উল্লেখে ব্রহ্মাণ্ডের বস্তুবাদী ধারণাকে সরিয়ে উনি ভাবতে বলছেন তার নতুন তত্ত্বের আলোয় যার মূল হচ্ছে এক অখণ্ড চৈতন্যের প্রতিভাস!
    সঙ্গীত আসলে স্পর্শ করে এই অবিচ্ছিন্ন চৈতন্যধারাকে। আর তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। সে থাকে, কোত্থাও যায় না। আমার ভেতরকার যে অচিন বৃক্ষ, তার ওপর আহির ভৈরব এনে রাখে সূর্যোদয়ের আলো। অবিনশ্বর এক আলো! তার অস্ত নেই।

    আমার সারাদিনের সমস্ত ভাবনা, বিশেষ করে যেখানে যতকিছু সুন্দর, সবের কেন্দ্রে ফুটে ওঠে অপু! আমি ভাবি ও কি খুঁজে পাচ্ছে ওর আহির ভৈরব, রেখে দিতে পারছে তাকে সারাদিন সারারাত? কলেজে যেতে যেতে, নাটকের রিহার্সালে, সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে ও কি অনুভব করছে গভীর রাত্রিকালেও ওর ভেতর এক অনন্ত সূর্যোদয়?

    অপুও সুন্দর গান করে আপনমনে। খুব স্পষ্ট টের পাই নিজস্ব গান রয়েছে ওর। এ এক বিরাট পাওয়া। অপুকে শান্ত হয়ে এই চৈতন্যের কথা ভাবতে বলি। বাইরে নয়, ওর ভেতর দিকে চেয়ে খুঁজতে বলি কোন পথে গেল গান! মানুষ যে কত সুন্দর, কত পূর্ণ এই বোধের অনুভবই তাকে অমরত্ব দেয়। অপুর জন্য আমি এই অমরত্ব প্রার্থনা করি দিনভর। স্বামী শিবানন্দ রাধা এক জায়গায় লিখছেন – When I practiced five hours of mantra a day, I became keenly aware that sounds have images. I have seen the sounds of Hari Om like soap bubbles, each one having only one color, and that color vibrating strongly. Some were tiny bubbles and some were very big, almost big enough to travel on. I just have to jump on and see where the sound goes. It inspired me to ask: Once a sound is released, where does it go?

    অবাক হয়ে এই কথাগুলো পড়ি। বারবার পড়ি। অপু কি পারছে নিমগ্ন হয়ে এই জিজ্ঞাসার পথে হাঁটতে? না, উত্তর নয়, আগে তো এই জিজ্ঞাসায় পৌঁছতে হবে আমাদের। ওকে বীজমন্ত্র সন্ধানের কথা বলি। বলি একা হতে। অপু তো এক আশ্চর্য হ্রদের নাম। সেই এক অতলান্ত রূপের সাগরে ওকে সন্ধানী ডুব দিতে বলি। আমরা কেউ থাকব না, কিন্তু যদি ও পারে, সুর সঙ্গে রয়ে যাবে ওর। চিরকাল। সেই অনন্ত শুশ্রূষায়, সখ্যে আর কখনও কষ্ট পাবে না অপু, কেন না সুর বিশ্বাসঘাত জানে না। জানে না দূরে সরে যেতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ | ২১৯৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    জবাব - Saswata Banerjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | ***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৫৫70040
  • শাশ্বত, আপনার মননে জাদু আছে। কেমন সম্মোহিত হয়ে গেছি পড়তে পড়তে।
    আপনাকে একটা অনুরোধ, দাবীও বলতে পারেন, আপনাকে বলা যায়, যিনি এমনভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন তাকেই বলা যায়, তাই বলছি। সম্ভব হলে, ইংরাজি অংশগুলো অনুবাদ করে নেবেন, বিদেশী নামগুলো বাংলায় লিখবেন। আমার কাছে, লেখাটা শুধু পড়ার নয় দেখারও বটে।
  • kk | ***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৫৫70041
  • খুব ভালো লাগলো। আরো লিখুন শাশ্বত।
  • ranjan roy | ***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৪৯70042
  • অনেকক্ষণ ধরে একটু একটু করে পড়লাম। একটা ঘোর মত লাগল।
  • Saswata Banerjee | ***:*** | ০৮ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৩৯70043
  • ভালোলাগা জানাবার জন্য ধন্যবাদ। ইংরাজি অংশের অনুবাদ করতে গিয়ে দেখেছি অনেক সময়েই ভালো হয় না। অন্তত আমি যথাযথ করতে পারি না। যা বলা আছে ইংরাজিতে সে-কথা, সেই অনুভব ফুটে উঠছে না বাংলায়। সে কারণেই অপরিবর্তিত রেখে দিই। মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা। আমি চেষ্টা করব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন