এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার ভাষা,প্রাণের ভাষা

    Farha Kazi লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৭০৭ বার পঠিত
  • ঘটনা এক:

    তখন কলেজে সদ্য ঢুকেছি। কলেজের জেরক্স সেন্টারে নোটস জেরক্স করতে গেছি। বকবক করা স্বভাব আমার। অতএব খুব কম সময়েই আলাপ করে ফেললাম সেন্টার দাদার সঙ্গে।
    বেশ খানিকক্ষণ গল্পের পরে দাদা নাম জিজ্ঞাসা করলো। নাম শুনে প্রতিক্রিয়া ছিলো “তোমার কথা শুনে বোঝা যায় না যে তুমি বাঙালী নও।”
    আমি খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম “আমি বাঙালী নই তো কি তবে?
    ধর্ম আর ভাষা গুলিয়ে ফেলবেন না। বাংলা ভাষার জন্য কত মুসলিম ছেলে প্রাণ দিয়েছে জানেন? বাংলায় যারা কথা বলে, বাংলা যাদের মায়ের ভাষা তারা সবাই বাঙালী। বাংলা ভাষা কারোর বাপের সম্পত্তি নয়। সাতপুরুষেরও বেশী সময় ধরে বাংলায় আছি। বাংলায় কথা বলি, বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়েছি। আপনার থেকে ভালো বাংলা জানি আমি। আমি যদি বাঙালী না হই, তাহলে আপনিও বাঙালী নন।”

    ঘটনা দুই:

    অফিস থেকে বাড়ি ফিরছি। তখন আমি আর ভাই বাঁশদ্রোণীতে ভাড়া থাকতাম। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। ভাইয়ের মেডিক্যাল কোচিং চলছে। অফিসের গাড়িটা বড়ো রাস্তার মুখে দাঁড় করিয়ে বাকি পথটুকু আমি হেঁটে চলে যেতাম, গাড়ি সরু রাস্তায় ঢোকালে ড্রাইভারের গাড়ি বের করতে অসুবিধা হতে পারে ভেবে।
    আমাদের গাড়িতে একজন সিকিউরিটি গার্ড থাকতো। নামার আগে অফিসের কাগজে নাম, তারিখ আর সময় লিখে সই করতে হতো। তখনি গার্ডের বলে উঠলো “দিদি সাবধানে যাবেন, জায়গাটা ভালো নয়.. বুঝতেই পারছেন কারা সব থাকে। এসব জায়গা মোটেই ভালো নয়।”
    আমি সইটা করতে করতে বললাম “কারা থাকে?”
    গার্ড বললেন “আরে ঐ মুসলমানরা। ওরা খুব ডেঞ্জারেস হয় ম্যাডাম।”
    আমি হেসে বললাম “আমিও মুসলিম। আমাকে আপনার কি ভয়ানক লাগছে খুব?”
    গার্ড অবাক হয়ে বলে উঠলো “ম্যাডাম, আপনি তো খুব ভালো। আপনারে দেখে মনেই হয়না আপনি বাঙালী নন। তবে আপনার আর ভয় নেই। ওরা মুসলমান মেয়েদের কিছু বলেনা।”
    আমি হেসে বললাম “দাদা, আমি বাঙালীই। একজন বাঙালীকে আপনার বাঙালী মনে হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? আমার ধর্ম এবং আপনার ধর্ম আলাদা হলেও আমরা দুজনেই বাঙালী। বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা।
    আর খারাপ লোক সব জায়গায় আছে। কেউ যদি আমার ক্ষতি করতে আসে সে আমাকে জিজ্ঞাসাও করবে না যে আমার ধর্ম কি! আর আমার গায়ে স্ট্যাম্পও মারা নেই যে আমি মুসলিম।
    অতএব, খারাপ লোকের কিছু করার হলে এমনিই করবে।
    তাছাড়া খারাপ লোক সব ধর্মেই আছে। হিন্দু রেপিষ্ট বা চোর ডাকাত কি হয়না? আপনিই ভাবুন তো!”
    গার্ড খুব অপ্রস্তুত হয়ে বলেছিলেন “ক্ষমা করবেন দিদি, আমি কখনো এইভাবে ভাবিনি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আসলে দিদি কেউ কোনোদিন আমাদের এইভাবে বুঝিয়ে বলেনি।আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এতো বুঝিনা। সবাই বলে তাই আমিও এটাই ভাবতাম। আপনিও বাঙালী, অবশ্যই বাঙালী।”

    এইরকম ঘটনা প্রতিটা মুসলিম বাঙালীর সাথে কমবেশী ঘটেছে। তুর্কি শব্দ “বাবা” কে বাংলা শব্দ বলতে হিন্দু বাঙালীর আপত্তি নেই। চেয়ার, টেবিল, আদালত, মঞ্জিল, উকিল ইত্যাদি বিদেশী শব্দকে হিন্দু বাঙালী আপন করে নিতে পারে। কিন্তু আব্বা,ফুফু, আম্মা, গোসল, পানির সাথে তাদের বিরোধ। তখনি বাঙালীর বাংলাসত্ত্বার আবির্ভাব হয়। নিজের ছেলেমেয়েকে বাংলা না শিখিয়ে ইংরাজী মাধ্যমে পড়িয়ে অন্যদের দিকে আঙুল তোলে ওরা বাঙালী নয়।
    বাংলা ভাষা আজ যেটুকু আছে বা যেটুকু থাকবে তা ঐ মোল্লা বরকত, শফিক, জব্বারের কারণে। এমনকি সারা বিশ্ব ব্যাপী ভাষাদিবস পালনের নেপথ্যেও আছেন এরকমই দুই মোল্লা। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎকালীন মহাসচিব কোফি আন্নানের কাছে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক ভাষাদিবস হিসাবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন।
    আজকে আমরা যে মোবাইলে বাংলা লিখছি যে অভ্র কিবোর্ডের সাহায্যে সেই সফ্টওয়্যারটির নেপথ্যে ডা. মেহদী হাসান খান, রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম নামক তিন মোল্লা আছে।
    আসলে মাতৃভাষার ধর্ম হয়না। মাতৃভাষা মায়ের ভাষা, অন্তর থেকে আসে। মাতৃভাষা মায়ের মতো। তাই সূদুর জার্মানীতে বসে একগাদা জার্মানের সামনে ব্যাথা লাগলেও অন্য কিছুর বদলে “ও মাগো” ই বেরোয় মুখ দিয়ে।
    ও মা , মা গো, আমার ভাষা... প্রাণের ভাষা।
    বাঙালী বলে স্বীকার না করলেও মনেপ্রাণে বাঙালী আছি, বাঙালী থাকবো। আমার মায়ের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখবো নিজের মধ্যে, পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে।

    বিঃদ্রঃ: (তাদের জন্য যারা এখুনি লাফিয়ে পরবেন বাংলাভাষা রক্ষায় হিন্দুদের ভূমিকা কেন লিখিনি)
    বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের ততটাই সম্মান করি যতটা ২১ শে ফেব্রুয়ারির শহীদদের করি।
    আমাদের দুর্ভাগ্য যে এপার বাংলার স্মৃতি বিস্মৃত বাঙালী বরাক উপত্যকার আন্দোলন মনে রাখতে পারেনি যেখানে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে মনে রাখতে বাধ্য করেছে ওপার বাংলার মানুষেরা।
    বাংলা ভাষা যদি বেঁচে থাকে তবে ওদের জন্যেই থাকবে। এপার বাংলা তো আস্তে আস্তে হিন্দী হিন্দু হিন্দুস্তানের অংশ হয়ে যাচ্ছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৭০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debarati Chatterjee | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:৫৬64331
  • ব্যাথা লেগে কাজ নেই আর।ব্যাথায় নয়, যেন বিস্ময়ে মা গো বল।
  • dd | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০২64332
  • ব্যাপারটা খুবি ইমোশনাল। ফারহার দুঃখ আমিও feel করছি।

    তবে অসুখটা গভীরে। শ্রীকান্তে "বাঙালি বনাম মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ" এখন যেরকম চোখে লাগে ,সে সময়ে সেটা বোধহয় অভ্যস্ত ছিলো। মহেশের লেখক এরকম লিখবেন, এখন তো ভাবাই যায় না।

    দুই প্রজন্ম মানে বছর পঞ্চাশ আগে প্রথমে মালদা ও পরে বর্ধমানে স্কুলে পড়েছি। কলকাতায় কলেজে পড়েছি মৌলানা আজাদে। প্রচুর মুসলমান সহপাঠী ছিলো। তখন দেখতাম প্রত্যন্ত গাঁয়ের কিছু মুসলমান ছেলে ভালো করে বাংলা বলতেই পারতো না। তারা নিজেদের উর্দুভাষী বলতো অথচ নিছক গাঁয়ের ছেলে - বহু জন্ম ধরে। অনেকটা কলকাতার অ্যাংলো ইন্ডিয়ান গোষ্ঠীর কিছু মানুষ যেমন ছিলো। তিন চার পুরুষ ধরে কলকাতায় কাটিয়ে বাংলা কিছুই জানতেন না।

    এক্ষেপশনই বেশী ছিলো। কিন্তু এরকম একটা গোষ্ঠী ছিলো। আগে আরো বড় ছিলো। হয়তো বাংলাদেশে হবার পরে বাঙালী হিসেবে গর্বিত আইডেন্টিটি সেটা অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
  • dd | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১১64333
  • এইটা বহুবার লিখেছি। আবার লিখছি।

    পশ্চিমবংগে বিশেষতঃকলকাতায় হিন্দু মুসলমানে একটা অদ্ভুত বিভাজন আছে, সেটা সাম্প্রদায়িক নয় পুরোটাই। অনেকটাই অর্থনীতির। ভালো স্কুলে বা কলেজে মুসলিম ছাত্র ছাত্রী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিলো। আপিসেও অফিসার গ্রেডে বা তার উপরে মুসলিম ছিলো হাতে গোনা। প্র্যাক্টিক্যালি নেই।

    ব্যাংগালুরুতে সেরকম নয়। পার্কসার্কাস, মেটিয়াবুরুজের মতন ধর্ম ভিত্তিক ঘেটো খুব কমই আছে। বহুতল বাড়ীর বাসিন্দা সব ধর্মের ও প্রদেশের। স্কুল কলেজে আপিসে মুসলিম ও খ্রীষ্টান প্রচুর।

    নাঃ, প্রেজুডিস তাই বলে দূর হয় নি। সে এখনো আছে। থাকবেও। ধর্ম ভিত্তিক আছে, কাস্ট নিয়ে আছে, প্রদেশ নিয়ে আছে। কিন্তু মেলামেশা অবাধ। ভরসা রাখি পরের প্রজন্মগুলো আরো উদার হবে।
  • sm | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৩64334
  • এগুলো তো প্রকাশ ভঙ্গীর রকমফের। আমরা বিশেষত হিন্দু বাঙালিরা---বিহারী, উত্তর প্রদেশ বাসী, দিল্লিবাসী--সব্বাই কে একধার্সে বলি, ওরা হিন্দুস্থানী।
    এর মানে কি?
    বাঙ্গালীরা নিজেদের হিন্দুস্থান বা ভারতের লোক ভাবে না?
    ব্যাপার টা এরকম মোটেও নয়। একচুয়ালি এইসব প্রদেশের লোকজনের ভাষা হিন্দি। তাই এদের হিন্দুস্থানী তে রুপান্তর ঘটেছে।
    অর্থাৎ যে টার্ম ইউজ করা হচ্ছে প্রকাশ টি অন্যরকম হয় যাচ্ছে।
    বাঙালি আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ তাও ওইরকম প্রকাশের রকমফের।শরৎ চন্দ্র হিন্দুস্থানী বা খোটটা শব্দও ইউজ করেছেন।সম্ভবত মুসলমান দের অনেকে উর্দু স্পিকিং বলে এমন টার্মের উদ্ভব হয়েছে।
    ভাষায় আত্মীকরণ থাকবেই। তাতে যদি কোন ভাষা বিলীন হ ক্ষতি নেই।যে ভাষা টিকে থাকার, সে তার মতো বেঁচে থাকবেই।
    বাংলাও ,পব বা বাংলা দেশের আদি ভাষা নয়। ঠিক যেমন আমেরিকার আদি ভাষা ইংলিশ নয়, বা ব্রেজিলের পর্তুগিজ নয়।
    প্রশ্ন হল, কে কতো বাঙালি তা নিয়ে নয়। হিন্দু বা মুসলিম বাঙালি জনতা পরস্পর কে কতটা সম্মান করে, সেটাই বিচার্য।
    যদি বাংলাদেশী মুসলিম লোকজন বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় বেশি সার্থক হন তো তাদের আন্তরিক অভিনন্দন।
  • aranya | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪১64335
  • ফারহা এখনকার কথা লিখছেন। আজকের দিনেও মুসলিম বাঙালী বাঙালী নয়, এমন ভাবলে তো মুশকিল
  • cm | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৪64336
  • গোটাটাই কে কার সঙ্গে নিজেকে আইডেন্টিফাই করবেন তারওপর নির্ভর করছে। মুসলমান আইডেন্টিটিতে বেশি জোর দিলে হয়ত অন্য ভাষার দিকে ঝোঁকার প্রবণতা আসতে পারে। বাংলাদেশে অবশ্য এখন যারা মানুষ নয় মুসলমান আইডেন্টিকে প্রাধান্য দেন তারাও নিশ্চিন্তে বাংলা বলতে পারেন, হিন্দু সব মেরে/ তাড়িয়ে খালাশ করে দেওয়া হয়েছে।
  • S | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৪64337
  • "ওরা বাঙালী নয়, মুসলমান" এটা পস্চিম বঙ্গে খুব কম ব্যাপার। একটু বুঝিয়ে বললে অবশ্যি অনেকেই বোঝে।

    ডিডিদার কথা প্রসঙ্গে, টলিউডেও মুসলমান নেই বললেই চলে (নুসরাত জাহানকে ছেড়ে)।

    মাইসোরের ভেঙে যাওয়া টিপু সুলতানের প্রাসাদ (কিছুই নেই) দেখিয়ে গার্ড বলছে "এখানে ইংরেজদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ হয়েছিলো"। এই কথার মাধ্যমে যে হিন্দুদেরই অপমান করা হলো, কে বোঝাবে?
  • sm | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪০64338
  • প্রথমে বাঙ্গালী কাকে বলে ক্লিয়ার হোক।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৮64339
  • ধর্ম -টরম জানি না। শুধু এটুকু জানি ভাষার মায়া কোথাও থেকে যায়। এই ভারত- বাংলাদেশ কচকচির থেকে অনেক দূরে শুধু এক ভাষায় কথা বলা কোথাও একটা আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি করে, যেটা সময় বিশেষে খুব কম্ফরটিং।
  • paps | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৭:২১64340
  • sm, “তোমার কথা শুনে বোঝা যায় না যে তুমি বাঙালী নও”- এই কমেণ্টের মাধ্য়মে ধর্মে মুসলিম লোকজনকে বাঙালি নামক সেটটি থেকে এক্সক্লুড করে দেওয়া হয়। এই কমেণ্টের মাধ্য়মে ধর্মে মুসলিম লোকজনকে বাঙালি নামক সেটটি থেকে এক্সক্লুড করে দেওয়া হয়। এটা বুঝতে বাঙালির ডেফিনিশন জানার দরকার নেই।
  • paps | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৩64346
  • বড়েস এর প্রফেসারের কথাটা দারুণ, নোট করে রাখলাম ভবিষ্য়তে ব্য়াবহার করার জন্য়।
  • pi | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:২৭64341
  • এই ঘটনাগুলো ঘটেনা বলে যারা অস্বীকার করেন বা ঘটলেও ইগনোর করতে বলেন, তাঁরা ঐ দ্বার বন্ধ করে ভ্রম রুখছেন বা বালিতে মুখ গুঁজছেন।
  • লোটাস | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৮64342
  • আমি অনেকবার এর উল্টো শুনেছি I পশ্ছিম বঙ্গের অনেক বাঙালি মুসলিম নিজেদের খালি মুসলমান বলে উল্লেখ করে I আসল কথা ব্রিটিশরা যে ভেদভাব নিজেদের প্রয়োজনে সৃষ্টি করেছিল তা মজ্জায় মজ্জায় মিশে গেছে
  • paps | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৪৬64343
  • পাই একদম ঠিক বলেছেন। লোকজন বুঝতেই পারে না বা চায় না যে 'বাঙালি'একটা এথনিক আইডেণ্টিটি মাত্র। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগসূত্র নেই।
  • S | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৫০64344
  • জোকায় প্রফেসার বলেছিলেন যে মানুষের আইডিন্টিটিগুলোর মধ্যে ভাষা হলো কোর, ধর্ম হলো শেল। কোরটা বদলানো যায়্না। শেলটা ফেলে অন্য শেল নেওয়া যায়।
  • S | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৫১64345
  • দেখেছেন কি গন্ডগোল হয়ে গেছে। ঃ)

    "ওরা বাঙালী নয়, মুসলমান" এটা পস্চিম বঙ্গে খুব কম ব্যাপার।

    এটা আসলে হবে

    "ওরা বাঙালী নয়, মুসলমান" এটা পস্চিম বঙ্গে খুব কমন ব্যাপার।
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৮64347
  • "চেয়ার, টেবিল, আদালত, মঞ্জিল, উকিল ইত্যাদি বিদেশী শব্দকে হিন্দু বাঙালী আপন করে নিতে পারে। কিন্তু আব্বা,ফুফু, আম্মা, গোসল, পানির সাথে তাদের বিরোধ। তখনি বাঙালীর বাংলাসত্ত্বার আবির্ভাব হয়।"

    এইটি দেশ বিভাগের পর বাংগালি মুসলমানের ওপর জোর কেরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বচন ও আচরণে হিন্দুয়ানি মুছে ফেলার প্রচেষ্টায়! পরে তা বাংগালি মুসলমানের অভ্যাসে (পড়ুন, গজকচ্ছপ সংস্কৃতিতে) দাঁড়িয়েছ।

    যেমন, ধুতি পাঞ্জাবির সংগে কোটের বদলে পাঞ্জাবি পায়জামা শেরওয়ানি, ঢাকাই আদি মিষ্টির দোকান মরণ চাঁদের পালটা মুসলিম সুইটস, সাধনা ঔষধালয়ের বিপরীতে হামদর্দ, মঘা ইউনানি দাওয়াখানা, আর নিত্য ব্যবহার্য ধুতির বদলে লুংগী, শাড়ির বদলে সালোয়ার কুর্তা ওরনা, উর্দু রীতি মেনে ১০০% ভাগ গরু খেকো মুসলমান হওয়ার প্রচেষ্টায় আম্মা, আম্মাজান, আম্মু, আব্বা, আব্বু, খালা, ফুফু, দুলাভাই, পানি ইত্যাদি ইতং। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর "আব্দুল্লাহ" বইটিতে বাংগালি মুসলমানের আচার ও কুসংস্কার খুব স্পষ্ট ধরা পড়েছে।

    মাঝখানে বাংগালি মুসলামানের নিজস্বতাই খোয়া যেতে বসেছিল পাকিস্তানি ধর্ম ভিত্তিক উগ্র সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে। ভাগ্যিস একটি '৫২, ৬২, ৬৯, ৭১ ঘটে গেল এই বাংলায়, পেয়ারে পাকিস্তান ভেংগে খান খান হলো।

    কিছু গজকচ্ছপ স্বত্তেও আমরা ফিরে পেলাম বাংলা ভাষাভাষী একমাত্র দেশ, একুশের অলংকার, ৭১ এর গৌরব, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, পহেলা বৈশাখ, নবান্ন উৎসব, ইলিশ মাছ, রসগোল্লা, শীতলপাটি, সুন্দরবন, এমন কি বইমেলা থেকে গুরুচণ্ডালীর বিতর্কের বারান্দা।

    ফারাহ কাজীকে ধন্যবাদ, এই রকম সন্দীপনী করে আরো লিখুন!
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:২১64348
  • *টাইপো= একুশের অহংকার
  • pi | ***:*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৪64349
  • কিকিদি, এটা পড়েছ?
  • kiki | ***:*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৭:১৬64350
  • পড়লাম। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন