আজকে ভারতে চাঁদরাত। অনেকটা দূরে বসে আমি ভাবছি কি হচ্ছে আমার বাড়িতে, আমার পাড়াতে। প্রতিবারের মতো এবারেও নিশ্চয়ই সুন্দর করে সাজিয়েছে পুরো শহরটা।
আমাদের বাড়ির সামনের ক্লাবে সার সার দিয়ে বসে আলুকাবলি, আচার, ফুচকা, আইসক্রীম এবং আরো কতকি খাবারের স্টল!
আমি বহুদূরে অতলান্তিক পেরিয়ে অন্য এক মহাদেশে, তবু মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছি নতুন জামা পরে ছোটো ছোটো বাচ্চারা দুইহাতে মেহেন্দি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবার কাছে ম্যাচিং ছোট্টো ব্যাগ যাতে সারাবছরের জমানো টাকা আছে। সেই টাকা দিয়ে তারা বুঝতে পারছে না আই ... ...
বিয়ের বিপদ
পর্ব:১
কথায় আছে ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়..
বিয়ের ক্ষেত্রেও একদম তাই। বিয়ে করা মানেই ফকির হওয়া আর সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া।
অতএব, বিয়ে করলে তার ফল ভুগতেই হবে। কথায় আছে না সাদি কা লাড্ডু, যো খায়া ওভি পস্তায়া, যো নেহি খায়া ওভি পস্তায়া!
যাইহোক, বিয়ে করা এবং মধুচন্দ্রিমায় ইতালি ঘোরার পরে মোটামুটি ভাঁড়ে মা ভবানি দশা। তার উপর বিয়ের মতো ডেঞ্জারেস একটা বিষয়কে হজম করা। সবথেকে বড়ো ব্যাপার বিশ্ব খুঁত ভরা একটা লোকের সাথে অ্যাডজাস্ট করা।
ধরো, ... ...
ঘটনা এক:
তখন কলেজে সদ্য ঢুকেছি। কলেজের জেরক্স সেন্টারে নোটস জেরক্স করতে গেছি। বকবক করা স্বভাব আমার। অতএব খুব কম সময়েই আলাপ করে ফেললাম সেন্টার দাদার সঙ্গে।
বেশ খানিকক্ষণ গল্পের পরে দাদা নাম জিজ্ঞাসা করলো। নাম শুনে প্রতিক্রিয়া ছিলো “তোমার কথা শুনে বোঝা যায় না যে তুমি বাঙালী নও।”
আমি খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম “আমি বাঙালী নই তো কি তবে?
ধর্ম আর ভাষা গুলিয়ে ফেলবেন না। বাংলা ভাষার জন্য কত মুসলিম ছেলে প্রাণ দিয়েছে জানেন? বাংলায় যারা কথা বলে, বাংলা যাদের মায়ের ভাষা তারা সবাই বাঙালী। ব ... ...
জুতোপর্ব:
নতুন দেশ, ঝাঁ চকচকে রাস্তা... ছবির মতো শহর, সাজানো গুছানো এক্কেবারে সিনেমার মতো।
আহা ইউরোপ শুনলেই DDLJ এর শাহরুখকে মনে পরে।
“তুঝে দেখা তো এ জানা সনম”... আল্পস পর্বত, রাইন নদী, বরফ, টয়ট্রেন, নীল আকাশ, রাস্তাভর্তি টিউলিপ, ড্যাফোডিল! কি সুন্দর ভাবতে লাগে না?
ক্লাস টেনে আমাদের ইংরাজী পাঠ্যবইয়ে কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থের একখান কবিতা ছিলো... ড্যাফোডিল!
“When all at once I saw a crowd,
A host, of golden daffodils;
Beside the lake, beneath the trees, ... ...
রান্নাঘর পর্ব:
ডিসেম্বরের চার তারিখ কলকাতা ছেড়েছিলাম , সেদিন উষ্ণতা ছিলো ২৭ ডিগ্রী, রৌদ্র করোজ্জ্বল একটা দিন। ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নামলাম -২ ডিগ্রীতে। আগের দিনই প্রবল তুষারপাত হয়েছে।
এক ধাক্কায় মাইনাসে... ২৭ থেকে -২ এর পার্থক্য -২৯ ডিগ্রী, যাকে বলে থার্মাল শক। ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্ট মাটির উপরে...নীচে রেল স্টেশন। শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে বুঝতেও পারিনি বাইরের অবস্থা!
Mainz hauptbahnhof এ নামা মাত্রই জমে গেলাম! প্রধান ট্রেন স্টেশনকে এরা hauptbahnhof বলে। জার্মানরা বড্ডো জটিল ... ...
পরবাস পর্ব:
অদ্ভুত একটা দেশে এসে পড়েছি! এদেশের আকাশ সবসময় মেঘাচ্ছন্ন.. সূর্য ওঠেই না বললে চলে! হয় বৃষ্টি নয়তো বরফ!!
বর্ষাকাল আমার খুবই প্রিয়.. আমি তো বর্ষার মেয়ে, তাই বৃষ্টির সাথে আমার খুব আপন সম্পর্ক। কিন্তু এদেশের বৃষ্টিটাও বাজে! এরা অতি সন্তর্পণে ঝরবে! কেন রে বাবা! ঝমঝমিয়ে নাম না একবার!! তা নয়, টিপ টিপ করে পড়ছে। যেন একটু বেশি জোরে বৃষ্টি হলেই মাস্টারমশাই খুব বকে দেবে!
কলকাতায় অফিস যাওয়ার সময় খুব চাইতাম একটু মেঘ করুক, সেইসময় আমি অফিস পৌঁছে যাই টুক করে! আর এখানে চাইছি সূর্য উঠ ... ...