এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • 'কিছু মানুষ কিছু বই'

    Nahar Trina লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৮৮৪ বার পঠিত
  • পূর্ণেন্দু পত্রীর বিপুল-বিচিত্র সৃষ্টির ভেতর থেকে গুটিকয়েক কবিতার বই পর্যন্তই আমার দৌড়। তাঁর একটা প্রবন্ধের বই পড়ে দারুণ লাগলো। নিজের ভালোলাগাটুকু জানান দিতেই এ লেখা। বইয়ের নাম 'কিছু মানুষ কিছু বই'।

    বেশ বই। সুখপাঠ্য গদ্যের টানে পড়া কেমন তরতরিয়ে এগিয়ে যায়। নামেই স্পষ্ট, এখানে কিছু মানুষ আর বই নিয়ে প্রবন্ধ সাজানো। আলোচনা গড়িয়েছে প্রথম ভাগ কিছু মানুষ প্রসঙ্গে, পরের পর্ব পঠিত বই প্রসঙ্গে। বইটিতে নানা গুণী মানুষ সম্পর্কে যেমন অনেক অজানা বিষয় জানা যাবে, একইভাবে বই সম্পর্কিত অনেক নতুন তথ্য/অপঠিত বইয়ের নাম পাওয়া হবে। বই পড়ার সাথে এমন প্রাপ্তি বড়ই সুখকর, আনন্দের।

    মানুষ নিয়ে আলোচনা পর্বে প্রথমে আসেন বিবেকানন্দ। যিনি অধ্যাত্মজগতের বাসিন্দা হয়েও জীবনযাপনের বা জীবনগঠনের সমস্ত প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে সংলগ্ন করে নিয়েছিলেন নিজের জীবনদর্শন। তাঁকে ঠিকঠাক মনে রাখেনি স্বাধীন ভারতবর্ষ। বড় আক্ষেপ নিয়ে তাই লেখক বলেন, '১৮৯৩ এ যাঁর শিকাগো ভাষণ পৃথিবীর সামনে বজ্রের গলায় আর বিদ্যুতের ঝলকে জ্বেলে দিয়েছিল পরাধীনতা সত্ত্বেও এমনই এক জ্যোতির্ময় ভারত বর্ষের ছবি যে, তখনই পৃথিবীর উৎসুক চোখ আর মন ভারতবর্ষের দিকে তাকাতে শিখল, করুণায় নয়, কৃতজ্ঞতায়। ভারতবর্ষের সূত্রেই সমগ্র প্রাচ্য বা ওরিয়েন্ট হয়ে উঠল এক আকস্মিক সূর্যোদয়ের দেশ।' লেখকের বুকে বুঝি তাই প্রচ্ছন্ন ক্ষোভ পাক খায়, স্বামীজীর ঘেরটোপ থেকে বিবেকানন্দকে মুক্তি দেয়া গেলো না। কারণ 'এখনো, বিবেকানন্দ বললে আমরা বুঝি ধর্ম। বুঝি ভক্তিবাদ। বুঝি অদ্বৈতবাদ। হয়ত আরেকটু এগিয়ে বড়ো মাপের একজন সমাজ সংস্কারক। ' রামমোহনের আধুনিকীকরণ হয়েছে, হয়েছে রবীন্দ্রনাথেরও। কিন্তু বিবেকানন্দের বেলায় পথরোধ করে দাঁড়ায় কিছু স্বার্থসিদ্ধির কূটকাচালি। তাঁর অপরাপর সাহিত্যকে পাশকাটিয়ে 'আনন্দমঠ' হয়ে ওঠে সে সিদ্ধির বাইবেল; এক্ষেত্রে সেটি চমৎকার কিস্তি। রাজনীতির সাথে ধর্মকে মিশিয়ে দেয়া গেলে লাভ বৈ ক্ষতি নেই। তাই আধুনিকতার মহাযজ্ঞের বাঁক বিবেকানন্দে এসে অন্যদিকে মোড় নেয়।

    সাহিত্য জীবনের আদিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পদ্য রচনায় মত্ত ছিলেন। আর কবিতাগুলোও হতো আদিরসাত্মক। অতি অল্পবয়সের বিবাহিত বঙ্কিম কাছছাড়া স্ত্রীর সাথে কিভাবে দেখা করে আবার নিজের বাড়িতে ফিরে পড়ার টেবিলে আসীন হতেন তার মজাদার বর্ণনা পড়ে পাঠক মজা পাবেন। রিচার্ডসনের বহু বিখ্যাত ইংলিশ কবিদের নিয়ে করা স্মরণীয় সংকলন(এটিতে বাঙ্গালি কবি কাশীপ্রসাদ ঘোষের কবিতা স্হান পেয়েছিল) থেকে অপরাপর বিখ্যাতদের টপকে কেন তিনি তেমন পঠিত নন, এমন একজন উইলিয়াম ড্রামণ্ডের কবিতার অনুবাদ কার্যটি করেন পাঠককে তার সলুক সন্ধান দেবার সাথে সাথে, বঙ্কিমের উপন্যাসে নারী ও প্রেমের প্রাধান্য; তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলোর গড়নে কোন ইউরোপীয়ান কবির প্রভাব সবচে' বেশি ইত্যাদি জেনে নেবার চমৎকার উৎস এ পর্ব।

    ব্রিটিশ শাসিত তৎকালীন ভারতের রাজকর্মচারী ডি এল রায়ের(দ্বিজেন্দ্রলাল রায়) 'বঙ্গ আমার জননী আমার' বিখ্যাত গানটি রচনার প্রেক্ষাপট এবং তাকে ঘিরে তাঁর মিত্র-বন্ধুদের আন্তরিক উচ্ছ্বাসের যে চনমনে দৃশ্যকল্পটি ‌এ অধ্যায়ের প্রায় শুরুতে বর্ণিত হয়েছে, তাতে পাঠক যেন সে বর্ণনার ক্যালাইডোস্কোপে চোখ রেখে দিব্যি সেই মুহূর্তকে দেখে ফেলেন। হয়ে যান সেই স্মরণীয় ক্ষণটির সাক্ষী। যেহেতু ডি এল রায় রাজকর্মচারী, কাজে বহুবিধ আতংক পাশ কাটিয়ে তাঁকে রচনা করে যেতে হয়। কিন্তু তাঁর কলম ইংরেজদের পক্ষে ভাড়া খাটতে রাজি ছিল না। এখানে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে ডিএল রায়ের বিস্তর ফারাক! বঙ্কিম যেখানে রাজকর্মচারী হিসেবে প্রভুর আনুকল্য ধরে রাখতে সচেষ্ট, তীব্রভাবে হিন্দু সম্প্রদায়িকতায় আক্রান্ত, ডি এল রায় সেসবের তোয়াক্কা না করে স্বতন্ত্র। যে কারণে তাঁর গানের ধমণীতে স্বদেশ প্রেমের শক্তির ক্ষেত্রে বিভক্তির সুর বাজেনি, তার কোনো ঘাটতিও হয়নি। বরং প্রবল এক জোয়ারে ভাসতে ভাসতে হয়ে উঠেছে বীজমন্ত্র। ইংরেজ শাসনের বর্বরতার ভয়ে আঁকিয়ে নন্দ লাল বসুর আঁকা স্বদেশী পোস্টার গুলোর মত তাঁরও বহু গান আগুনে আত্মহুতি দিয়েছে। ভাগ্যিস আগুন ডিএল রায়ের সব গান গিলে খায়নি!

    '১৯০৫ এর ১৬ অক্টোবর। ৩০ আশ্বিন। ্ইংরেজদের হাতে বঙ্গভঙ্গের দিন। তার প্রতিবাদে সারা দেশে রাখী বন্ধনের প্রস্তাব রাখেন রবীন্দ্রনাথ। সে ডাকে সারা পড়ে যায় চারদিকে। ডি এল রায়ের কাছে ছুটে যান হেমেন্দ্রমোহন বসু, আর্জি চট জলদি লিখে দিতে হবে দিনটি উপলক্ষ্যে একখানা গান। পনের কুড়ি মিনিটের মধ্যেই লেখা হয়ে যায় গান। বিকেলের জনসমাবেশে স্বকণ্ঠে পরিবেশিত হয় সে গান। দ্বিজেন্দ্রলাল শুধুই গানের মানুষ ছিলেন না। অজস্র নাটক-প্রহসন, গদ্য, কবিতা, চিঠি ইত্যাদিতেও তিনি সোনা ফলিয়েছিলেন। 'সত্যি সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ (ভারতবর্ষ)' সুবিখ্যাত এ বাক্যটি ডি এল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের সংলাপ। এটি বহুল চর্চিত বটে, কিন্তু গান ছাড়া তাঁর বাকী সৃষ্টিগুলো বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে আজ। 'এসব ছাড়িয়ে যে দরকারি দ্বিজেন্দ্রলালকে চেনা হয়নি পুরোপুরি, তিনি ছন্দের। ছন্দের যে বেহিসেব তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সেখানে হাত পাতলে আধুনিক বাংলা কবিতা পেয়ে যেতে পারে নিজেকে নতুন করে গড়ার পৌরুষ।'
    লেখকের এমন মন্তব্যের সাথে অনেক পাঠকই সহমত হবেন।

    বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ভারী ইচ্ছে ছিল তাঁর রচিত কোনো একটা বই নিয়ে চলচ্চিত্র হোক। তবে বন্ধুদের খোঁচাখুঁচির মুখে নিরীহ জবাব ' দেখুন, আমার দ্বারা বই বগলে করে টালিগঞ্জের স্টুডিওয়ে স্টুডিয়তে ঘোরা সম্ভব হবে না।' তবে তাঁর ইচ্ছের চমৎকার পূরণ ঘটেছিল, বাংলা চলচ্চিত্রের বরপূত্রের হাতে। নিজ চোখে তাঁর উপন্যাসের সেলুলয়ডীয় উড়ান তিনি দেখে যেতে পারেননি। বাংলা চলচ্চিত্র আর বাঙলার সংস্কৃতির কতটা পরিচিতি এসেছে সে ফিতের হাত ধরে, সেটাও জানা হয়নি তাঁর। চলচ্চিত্রের বিষয়টা দেখা না হলেও সিগনেট প্রেস থেকে 'পথের পাঁচালী'র কিশোর সংস্করণ 'আম আঁটির ভেঁপু'র নজরকাড়া অলঙ্করণময় বইখানা তিনি দেখেন এবং ভারী তৃপ্ত হন। বিভূতিভূষণের হাত ধরে আরো দু'জনকে এখানে পরিচয় করিয়ে দেন লেখক। যাঁদের পরিচয় জানলে পাঠককূল 'ওম্মা এঁদের তো চিনি (বিশেষ করে দ্বিতীয় জনের বেলায় বাঙ্গালিকে থামানো কঠিন)!' বলে আহ্লাদিত বোধ করবেন। একজন হচ্ছেন সিগনেট প্রেসের কর্ণধার, দিলীপ কুমার গুপ্ত বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রচারক সেসময়কার। 'আম আঁটির ভেঁপু' নামের কিশোর সংস্করণটির লেখকের নাম বিভূতিভূষণ লেখা হলেও আদতে সেটার পুরোটাই দিলীপকুমারেরই রচনা। এ তথ্য তাঁর একাত্ম স্বজন ছাড়া তেমন কারও জানা নেই। পাঠক হিসেবে আমিও তথ্যটি জেনে দিলীপকুমারের উদ্দেশ্যে মনে মনে সেলাম ঠুকলাম। আরো যখন জানবো, এই মানুষটির নিরন্তর উৎসাহ উদ্দীপনা, পৃষ্ঠপোষকতায় 'পথের পাঁচালী' উপন্যাসকে নিয়ে সিনেমা করতে এগিয়ে আসবেন সেই মানুষ। পরবর্তীতে যিনি হবেন বিশ্ব চলচ্চিত্রঅঙ্গনে বাংলা চলচ্চিত্র আর সংস্কৃতিকে পরিচয় করিয়ে দেবার মুখপাত্র। যাঁর হাতের আঁচড়ে 'আম আঁটির ভেঁপু'র অমন নজরকাড়া অলঙ্করণে সেজে ওঠা, সেই সত্যজিৎ রায়। তখন দিলীপকুমার নামের মানুষটির প্রতি ভালোবাসা ছুটে যেতে চাইবে। আর এই উপভোগ্য প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে লেখকের চমৎকার লাইনখানা পাঠককে পড়াবার লোভ এড়ানো গেলো না ,' ইতিহাসের হাসি মোনালিসার হাসির চেয়ে ঢের বেশি রহস্য দিয়ে মোড়া কখনো কখনো।' তালি! আর নতুন করে জানবো এক নতুন বিভূতিভূষণকে, যিনি চরম রকমের সিনেমাখোর। সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত 'বিভূতিভূষণের অপ্রকাশিত দিনলিপি' বইটি সাহিত্যিক হিসেবের বাইরে,একজন তুখোড় চলচ্চিত্র ও নাট্যপ্রেমি বিভূতিভূষণকে এনে দাঁড় করায়। যিনি ত্রিশের দশকে, চলচ্চিত্র ও নাট্য আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। বইয়ের পাতা ফুঁড়ে চমৎকার আরো তথ্য বেড়িয়ে আসে, যা পড়ে পাঠক আপ্লুত হবেন।

    বুদ্ধদেব বসুকে নিয়ে( বিষ্ণু দে' ও এসেছেন প্রাসঙ্গিকভাবে)'মুক্ত মনের মানুষ' শিরোনামের এ অধ্যায়টি এতটাই মুক্তখচিত যে সবটুকু টুকে দেবার লোভে জেরবার অবস্হা। তাই, ধুস্! কিছুই বলছিনে বাপু! নিজেই পড়ে 'আহারে বাহারে' করে নেয়া হোক, বলে পাতা উল্টাচ্ছি।

    এরপর কমলকুমার মজুমদারকে নিয়ে মহার্ঘ স্মৃতি চারণ। কমলকুমারের পরেই কিছু মানুষ পর্বের এ সাড়িতে এসে দাঁড়ান কবি অরুণ মিত্র। আলোকময় মানুষগুলোর মিছিলের শেষ মানুষটির নাম সত্যজিৎ রায়। চলচ্চিত্রে আসবার আগে তাঁর সাথে লেখকের ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে খানিক আলাপ গড়ায়। তারপর পথের পাঁচালীর সুবাদে তৎকালীন বাঙলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনের ব্যাপক বিশদ বর্ণনা। লেখক নিজেও সেলুলয়েডের কারিগর উপরন্ত সত্যজিতে মনপ্রাণ উজার, কাজে তাঁর প্রতি লেখকের ব্যক্তিগত আবেগের নদীতে চলে তার যথার্থ সন্তরণ।

    ***

    কিছু মানুষের অধ্যায় পেরিয়ে বই এসে যায় 'কিছু বই' পর্বে। এ অংশের প্রথমে এসেছে অবনীন্দ্রনাথের রচনাবলীর আলোচনা। সে আলোচনায় উঠে আসে 'আলোর ফুলকি' খাতাঞ্চির খাতা, বুড়ো আংলা হানাবাড়ির কারখানা, বাদশাহী আংটি ইত্যাদি সরস বর্ণনা।

    ২য় বই গোপাল হালদারের রচনবলী। এখানে জেলের বসে রচিত গোপাল হালদারের 'একদা', 'অন্যদিন' ও ত্রিদিবার বিস্তারিত অলোচনা । গোপাল হালদারের ট্রিওলজি 'ত্রিদিবা' কে লেখক একধরনের 'ডিসকভারি অব ইণ্ডিয়া'র আরেক ভার্শন বলছেন। কেন, সেটা জানতে হলে পাঠককে সে বইয়ের দ্বারস্হ হতে হবে।

    'বাংলা বই, তাঁরা এবং তিনি' এ অধ্যায়ে তিনজন বিস্মৃত প্রায় প্রতিভাধর মানুষকে আন্তরিকতার সাথে স্মরণের তাগিদ আছে। প্রথম জন যোগীন্দ্রনাথ সরকার, শিশু সাহিত্যিক হিসেবে পরিচয়ের তাগিদকে সঙ্গত কারণ দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে প্রকাশনায় তাঁর পরিশ্রমের লাভের গুড় খেয়ে নেয়া আমাদের মত পিঁপড়াদের 'খাইনি তো!' ভাব ধরার মুখে ঝামা ঘষেছেন। দ্বিতীয় জন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। এখানেও উপেন্দ্রকিশোরকে শিশু সাহিত্যিক হিসেবে আলোচনায় আগ্রহী না হয়ে আলো ফেলেছেন তাঁর অপরাপর কীর্তিতে। যেখানে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী 'নিজস্ব লেখাজোখার বাইরে বাংলা শিশু সাহিত্যের একজন প্রবল সংগঠক, প্রসিদ্ধ প্রকাশক, একটি অবিস্মরণীয় শিশু সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক এবং সর্বোপরি বাংলার গ্রন্থ প্রকাশনার মরা গাঙে ভরা জোয়ার বইয়ে দেওয়ার এক একক ও অনন্য প্রতিভাবান আবিস্কারক।' আজকাল আর সেভাবে তাঁদের এসব কীর্তির কথা স্মরনের শিষ্টাচার দেখানোর সময় নেই আমাদের হাতে। এটা নিয়ে লেখক তাঁর মনের ক্ষেদ জমা রেখেছেন এ অধ্যায়ের বুকে। তৃতীয় জন হলেন মনেপ্রাণে খাঁটি বাঙ্গালি 'আম আঁটির ভেপু'র লেখক, কৃষ্ণা হাতি সিংয়ের 'কোনো খেদ নেই' এর অনুবাদক দিলীপকুমার গুপ্ত। এই মানুষটি সেসময়ে বাংলা সাহিত্যের বিস্তারের জন্য যথাসাধ্য করে গেছেন। "ভারতবর্ষের বিজ্ঞাপন শিল্পের আধুনিকতার জনক যিনি, যিনি সত্যজিৎ রায়ের প্রতিভার আদি উন্মোচক, এই মানুষটিকে আমরা ততখানি চিনতে চাইনি, পৃথিবীর অন্য কোনও দেশ হলে চিনতে বাধ্য হত যতখানি।" ভারতের প্রাগৈতিহাসিক প্রকাশনা ব্যবস্হা আধুনিকতার স্তরে পৌঁছে যায় এই মানুষটির হাত ধরেই। স্মরণের বেদীতে আজ আর এই তিন গুণী মানুষের জন্য আন্তরিকতায় সাজানো হয় না নৈবেদ্যের ফুল! বরং উটকো কিছু প্রকাশনীর ভুলভাল বানানে রমরমিয়ে চলা উৎসব চলে প্রতি বছর- এ হতাশা নিয়েই লেখকের তীব্র ক্ষোভ -আফসোস।

    আঁকিয়ে ভাস্কর রামকিঙ্কর পরের জন।' কনটেম্পোরারি ইণ্ডিয়ান আর্ট' 'রামকিঙ্কর চিত্রমায়া' বইটির নিয়ে কিছু আলাপ গড়িয়েছে এ পর্বে।

    ঋত্বিক কুমার ঘটকের 'সিনেমা এণ্ড আই' নিয়ে সাজানো এ অধ্যায়। তুলনামূলকভাবে এ অধ্যায়টি সবচে' ছোট। যা নিয়ে ঋত্বিকভক্ত পাঠকের আক্ষেপ হতেই পারে।
    লেখকের সাথে এই প্রতিভাময়, জেদী-অভিমানী- ভুল সময় আর ভুল দেশে জন্ম নেয়া মানুষটির ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্র ধরে আলোচনা খানিক গড়ানোর সুযোগ যেখানে ছিল; সেখানে
    কেন তিনি তার সদ্ব্যবহার করলেন না, সেটি ভেবে পাঠক মন হতাশ- কৌতূহলীও হয় বৈকি।

    রামেন্দ্রকুমার আচার্য চৌধুরী নামের এই কবির লেখালিখিটা শুরু হয় বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতায়'। তাঁরই পঁয়ত্রিশ বছরের যাবতীয় কর্মের ফলাফল 'ব্রহ্ম ও পুঁতির মউরি' পুরষ্কারপ্রাপ্ত বইটি নিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতি ভাবনার কথা আছে এ পর্বে।

    পরের বই হিসেবে আলোচনায় ওঠে আসে দেবেশ রায়ের অসাধারণ সৃষ্টি 'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত'। নীরদচন্দ্র চৌধুরীর 'আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ' বইটির প্রসঙ্গ তুলে একেবারে 'ছিলল্যা কাইট্টা লবন লাগানো' যাকে বলে এ অধ্যায়টি! এখানে নীরদচন্দ্র কে নিয়ে 'আমার আত্মস্মৃতি'র লেখক সজনী কান্তের সাথে লেখকের মনোরম আলোচনাও যুক্ত হয়েছে।

    ঐতিহাসিক সুশোভন সরকারের 'নোটস অন দা বেঙ্গল রেনেসাঁস' এর অনুবাদ 'বাংলার রেনেসাঁস প্রসঙ্গে'আলোচনা। ইতালীয় রেনের্সাস নিয়ে অমলেশ ত্রিপাঠীর 'ইতালির র‍ণ্যেশাঁস বাঙ্গালীর সংস্কৃতি' বই নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা আছে। পর্বটি সমৃদ্ধ হবার মত।

    রবীন্দ্রনাথের ছবি সংক্রান্ত বই 'রবীন্দ্র চিত্রকলা: রবীন্দ্র সাহিত্যের পটভূমিকা' লেখক সমেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, অ্যান্ড্রু রবিনসনের 'দি আর্ট অব রবীন্দ্রনাথ' রতন পারিমুর সম্প্দনায় ললিতকলা একাডেমি থেকে বের হওয়া বই 'রবীন্দ্রনাথ টেগোর' ইত্যাদি বই নিয়ে রবীন্দ্র চিত্রকলার নানান বিষয়ের আলোচনা- সমালোচনা ইত্যাদি আছে এ পর্বে।

    অমিতাভ চৌধুরীর লেখালিখি, তাঁর বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র 'কুট্টি', আর বই 'কুট্টি জুট্টি' কে নিয়ে পর্বটা সাজানো।

    মতিনন্দীর পঠিত বই 'সাদা খাম' নিয়ে আলোচনায় চলচ্চিত্রকার বনুয়েল উঁকি দিয়ে যান। প্রাসঙ্গিক ভাবেই জগদীশ গুপ্তের নাম উচ্চারিত হয়।

    'তবুও অভিমান, তবুও অভিযোগ': কবি রাম বসু ও মঙ্গল চরণ নামের দুই কবির স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যাওয়ার অভিমান বুকে চেপে 'স্বনির্বাচিত কবিতায়' সংকলনের স্মৃতি নিয়ে অভিযোগের তর্জনী ঘোরান তাঁদেরই দিকে , কেন এই নীরবতা! সম্পূর্ণ অপরিচিত(আমার) কবি দু'জন লেখকের কবি জীবনের শুরুতে ভীষণ প্রভাব রেখেছিলেন, তাঁদের নীরাবতায় তাই অভিমান, তাই অভিযোগ। পরের অধ্যায়টিও আরেক অপরিচিত লেখক মৃণাল ঘোষ আর তাঁর বইয়ের আলোচনা এসেছে।

    'খুলে দিয়েছে সিংহদ্বার' শিরোনামে অরুণ নাগ সম্পাদিত 'হুতোম প্যাঁচার নকশা' বইটির প্রতি সঠিক মনোযোগের অভাবটা বুকে বেজেছে লেখকের। এই শ্রমপুষ্ট বইটিতে পাঠক 'বহু স্ববিরোধিতায় আক্রান্ত কালী প্রসন্ন সিংহের পরিচয়, বহু মত সংঘর্ষের জটিলতায় আচ্ছন্ন হুতোম প্যাঁচার নকশার আসল রচয়িতার হদিশ, নকশায় স্বনামে-বেনামে উপস্হিত বহু ব্যক্তি ও সামাজিক ঘটনার ঐতিহাসিক পরিচয়' সহ আরো কত মনোজ্ঞ বিষয়ের অবতারনা আছে সংকলনে, তার লোভনীয় বর্ণনায় পড়ুয়া বই প্রিয় পাঠক ঘায়েল হবেন নিশ্চিত।

    'কিছু মানুষ কিছু বই'য়ের সমাপ্তি টানা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে রবিন উড লিখিত, চিন্ময় গুহ অনুদিত বই দিয়ে। সে বইয়ের নানান খামতির জবাব হিসেবে চলচ্চিত্র সমালোচক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চলচ্চিত্র,সমাজ ও সত্যজিৎ রায়' বইটির সলুক সন্ধান দিয়ে এ অধ্যায় এবং বই আলোচনার পূর্ণচ্ছেদ। 'কিছু মানুষ কিছু বই' এর মনোজ্ঞ আলোচনায় পাঠক ঋদ্ধ হবেন। আলোচনায় আসা মানুষগুলো সম্পর্কে আরো খানিকটা কৌতূহল এসে ভর করবে পাঠকের উপর। আরো কিছু বই পড়ে নেবার তাগিদ জাগবে ভেতরে। কেননা এমন ধারার লেখালিখি 'কতভাবেই না আমাদের মনের, মননের দু পাল্লা জানালায় পৌঁছে দিতে পারে চমকে তাকানোর আকাশ!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৮৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুশান | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬63097
  • চমৎকার লেখা।

    বইটির প্রকাশক কে? প্রসঙ্গত, দিলীপকুমার গুপ্তের প্রচলিত ণাম ছিল ডি কে। বনলতা সেন এর সত্যজিৎ কৃত প্রচ্ছদ ও সংস্করণের মূলেও ডি কে। তিনি তরুণ কবিদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । তাঁকে নিয়ে শক্তির একটি অসামান্য এলিজি আছে।
  • dd | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৮63098
  • একটা কথা মনে পড়ছে, তাই লিখ্লাম।

    সেই যুক্তফ্রন্টের আমলে - যতীন চক্কোত্তি তখন পুর্ত্ত মন্ত্রী - সারা শহর ভরিয়ে দিচ্ছেন অখাদ্য সব স্কাল্পচারে। বরাৎ পাচ্ছেন যে কেউ, এমন কী মৃৎশিল্পী রমেশ পালও। কিন্তু কোনো স্থপতি নয়। এই আমলের ওয়াক্স মিউসিয়ামে বা শহরে যেসব বিভৎস পুতুল আছে - সেই দশা।

    পুর্ণেন্দু পত্রী রামকিংকর বেইজকে নিয়ে বের হলেন শহর পরিক্রমায়। সব "স্ট্যাচ" দেখাবেম তাঁকে। রামকিংকরও খোলা মনে তার মতামত দিলেন। খুব প্রসংশা করেছিলেন হাইকোর্টের সামনে ক্ষুদিরামকে। প্রবোধ দাশগুপ্তের "দিল্লী চল" নেতাজীও পছন্দ হয়েছিলো। বাকী প্রায় সব গুলোকেই গুছিয়ে ঝেড়েছিলেন।

    আবাপে দুই কিস্তিতে বেরিয়েছিলো সেই লেখা। দু একজন অবশ্য আপত্তি করেছিলেন, রামকিংকর দিয়ে এইসব বিতর্কিত মন্তব্য না করালেই পারতেন।

    জানি না, আলোচ্য বইটির রামকিংকর বেইজের স্মৃতিচারনায় পত্রীবাবু এটির কথা উল্লেখ করেছিলেন না কি? আর কোনো আর্টিস্টের কথাও বলেন নি?
  • rabaahuta | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫০63099
  • 'প্রবোধ দাশগুপ্তের "দিল্লী চল" নেতাজী' কোথায়?
  • dd | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৬63100
  • আকাশবানী ভবনের সামনে না? তাই তোমনে হচ্ছে।

    ডান হাত, আর ডান পা - একই সাথে বাড়িয়ে, কাঁধে একটা ট্রেঞ্চ কোট।

    লোকে প্রতিবাদ করেছিলো। একই সাথে ডান পা,ডান হাত বাড়িয়ে কেউ মার্চ করে না কি? প্রবোধবাবু পুরোনো ফোটোগ্রাপ দেখিয়ে ছিলেন, নেতাজীর ছবি। সেটাই ওনার মডেল ছিলো।

    এতোদিন আগের কথা, সব ভুলে যাই। লালবাহাদুর শাস্ত্রী সেটির "উদ্বোধন" করে বলেছিলেন "বহোৎ তেজী হ্যায়"। তুলনা করবেন শ্যামবাজারের মোড়ের ঘোড়সওয়ার নেতাজীর কদর্য্য মুর্ত্তির।
  • r2h | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:০৫63101
  • ও আচ্ছা, এইবার বুঝেছি, মনে করতে পারছিলামনা।
  • Dibyendu Singha Roy | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০১63096
  • খুব খুব ভালো লাগলো ।
    পূর্ণেন্দু পত্রী ভীষণ গুণী মানুষ ছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় তার কলকাতা সংক্রান্ত কিছু বই ও প্রচ্ছদ , ইলাস্ট্রেশনের বাইরে তেমন কিছুই পড়িনি । যদি প্রকাশকের নামটা দিতেন তাহলে এই খুবই উপকার হতো ।
  • Nahar Trina | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৩২63102
  • গুরুর পাঠক হিসেবে পুরনো হলেও এখানে এটাই প্রথম লেখা। পড়বার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আলাদা করে প্রত্যেকের মন্তব্যের উত্তর কিভাবে দিতে হয় এখনও শিখে ওঠতে পারিনি। তাই একসাথেই সবার উত্তর দিচ্ছি। অনুগ্রহ করে নতুন সদস্যের খামতিটুকু ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন সবাই।

    Dibyendu Singha Roy আর কুশান আপনারা দু'জনই এ বইয়ের প্রকাশনা সংস্হার নাম জানতে চেয়েছেন। 'কিছু মানুষ কিছু বই' প্রকাশ করেছে দে'জ পাবলিশিং হাউস। ডি. কে সম্পর্কে তথ্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন কুশান।

    dd যে ঘটনা উল্লেখপূর্বক প্রশ্ন করেছেন, সে বিষয়ের আল ধরে পত্রী একদমই হাঁটেননি। এখানে রামকিঙ্করের গুণগান অন্য প্রসঙ্গ নেই আসলে। অন্য আর্টিস্ট বলতে অবনীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ এঁদের কথা এসেছে বইতে। আলোচনার সূত্র ধরে আপনারা যা বলেছেন, সে সম্পর্কে একেবারেই(আমার পড়াশোনা খুবই কম ভাই!) জানা ছিল না। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
  • aranya | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৫২63103
  • ভাল লাগল, মূল লেখা এবং মন্তব্য গুলো।
    আরও লিখবেন তৃণা
  • Nahar Trina | ***:*** | ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০২63104
  • লেখা কতটা পাঠযোগ্য হবে জানিনা, তবে লিখবো নিশ্চয়ই aranya. আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন