এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সফরনামা-5

    Roshni Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ | ১৫০৯ বার পঠিত
  • আমার পি এইচ ডি করার সময় স্কলারশীপের শর্ত অনুযায়ী আমাকে সপ্তাহে দুটো ক্লাস পড়াতে হতো। তা প্রথম সেমেস্টারে জয়েন করার এক সপ্তার মধ্যেই খবর পেলাম এবার নতুন বলে আমাকে একটাই ক্লাস পড়াতে হবে। বায়োলজি ১০১, মানে একদম সদ্য কলেজে ঢোকা ফার্স্ট ইয়ারের বাচ্ছাদের ল্যাব করাবো আমি সপ্তায় দুদিন। এর আগে কোনোদিন ক্লাসে পড়াইনি তাও আবার ইংরেজিতে লেকচার দিতে হবে। এক সিনিয়রকে ধরলাম, "কান্তাদি, তুমি প্লিজ আমার প্রথম দিনের ক্লাসটা নিয়ে নেবে? তাহলে তোমাকে দেখে কিভাবে পড়াতে হয়, সেটা একটু আইডিয়া করে নেবো।" কান্তাদি রাজি হতেই প্রথমদিন দুরুদুরু বুকে ঢুকলাম আমার ভবিষ্যৎ ক্লাসরুমে।

    আমি ঢুকতেই এক অত্যুৎসাহী বালক চেঁচিয়ে উঠলো "আমার পাশে বোসো, এখানে জায়গা আছে." তাকিয়ে দেখি, বেশ বড়ো ঘর, তাতে ৬টা টেবিল রাখা। এক একটা টেবিলের পাশে ৫টা করে চেয়ার। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দেখি খুব আশা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তা বসলাম গিয়ে ওর পাশে।
    "আমার নাম ইমরান। তোমার নাম কি?"
    "আমি রোশনি।"
    "তোমার বই কোথায়? বই বের করো। এই ক্লাসটা কিন্তু ভীষণ টাফ. বই না থাকলে পারবে না।"
    " বই আছে। বের করছি।"
    "তোমার কোনো অসুবিধে হলে বোলো। আমি হচ্ছি বায়োলজি এক্সপার্ট।. এক কাজ করো। তুমি আজ বিকেলে ফ্রি আছো? চল, আমরা কফিশপে মিট করি, তারপর নয় তোমাকে আমি বায়োলজি বোঝাবো। বাই দি ওয়ে, তোমার কোনো জেলাস বয়ফ্রেন্ড নেই তো?"
    আমি খুব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কি উত্তর দেব ভাবতে ভাবতেই কান্তাদি ক্লাসে ঢুকলো "ক্লাস তোমাদের টিএ র সাথে আলাপ করিয়ে দি। রোশনি, পরের উইক থেকে ওই তোমাদের ক্লাস নেবে।" আড়চোখে ইমরানের দিকে তাকিয়ে দেখি বেচারার মুখটা একদম সাদা হয়ে গেছে। ক্লাস শেষ হতে হতেই দৌড়ে এসে আমাকে ধরলো "প্লিজ, প্লিজ কিছু মনে করো না, তুমি টিচার আমি বুঝতে পারিনি।" আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো বেচারার কাঁচুমাচু মুখ দেখে, তাও হাসি চেপে বললাম "পরের বার ক্লাসে আর ডেট খোঁজার চেষ্টা করোনা।" ইমরানের সাথে সেই আমার প্রথম আলাপ।

    ক্লাস শুরু হতে ধীরে ধীরে ক্লাসের সব ছেলেমেয়েগুলো সাথে পরিচয় হলো। ইমরানের সাথেও। কথায় কথায় বলেছিলো ও মিডল-ইস্ট থেকে পড়তে এসেছে। মনে মনে ভাবতাম নিঘ্ঘাৎ কোনো আরব শেখের ছেলে, তা নয়তো বাপের পয়সায় আমেরিকাতে আন্ডারগ্রাড পড়তে পারে। ছাত্রেরা যেহেতু বুঝে গেছিলো আমি একদম বাচ্চা টিএ, আমাকে টিচার হিসেবে পাত্তা দিতো না ক্লাসের কেউ, বরং বন্ধুর মতোই মিশতো ছেলেমেয়েগুলো। কে কবে কার সাথে ডেটে গেছে, কে নাইটক্লাবে গিয়ে আউট হয়ে গেছে, কার ব্রেক-আপ হয়ে মন খারাপ, অন্য কোন টিচার ভালো, কে খারাপ সবই আড্ডা হতো ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে।

    ইমরান ছিল ক্লাসের বদমায়েশিগুলোর পান্ডা। অসম্ভব দুস্টু ছেলে, মাথায় সারাক্ষন কুবুদ্ধি কিলবিল করছে, আর ওর যোগ্য সহচর বেন, ব্রুকলিনের এক জিউয়িশ ছেলে। প্রথম কদিন ওই ডেটিং ফিয়াস্কোর পর যা একটু চুপচাপ ছিল, তারপরেই নিজমূর্তি। এই ক্লাসের ফাঁকে কারোর পেছনে লাগছে, এই গিয়ে অন্য কারোর ডিসেকশন ট্রে পাল্টে দিয়ে আসছে, সারাক্ষন হাতমুখ সমানে চলছে। ক্লাসের যেকোনো গন্ডগোল বা আবদারে সবার আগে ইমরানের গলা শোনা যায়। পড়াশুনায় যে অসাধারণ তা নয় তবে খারাপও বলা চলেনা। তবে কোনো জিনিস না জানলেও চেষ্টা করতো উত্তর দিতে। মাঝেমাঝে উত্তরগুলো কিম্ভুতকিমাকার হয়ে যেত।

    একবার অনেক খেটে ক্লাসে সমসংস্থ আর সমবৃত্তি অঙ্গ পড়ালাম। প্রথমটা মানে যে অঙ্গগুলোর বোন স্ট্রাকচার এক কিন্তু ফাঙশনটা আলাদা, যেমন মানুষের হাত আর বাদুড়ের ডানা আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ফাঙশনটা এক কিন্তু বোন স্ট্রাকচার আলাদা, যেমন প্রজাপতির ডানা আর বাদুড়ের ডানা। পরীক্ষায় সেটাই লিখতে দিয়েছিলাম। ইমরানের খাতায় দেখি সংজ্ঞাটা ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু উদাহরণ লেখা বাইসাইকেল-ট্রাইসাইকেল আর এরোপ্লেন-হেলিকপ্টার। কৌতূহল সামলাতে না পেরে জিগেস করেছিলাম এরকম অদ্ভুত আনসার কোত্থেকে জোগাড় করলো ও. খুব গম্ভীর মুখে ইমরান উত্তর দিয়েছিলো "ডেফিনেশনটা মনে ছিল কিন্তু উদাহরণ গুলো যে বায়োলজি থেকে দিতে হবে সেটা ভুলে গেছিলাম।" এই সরল স্বীকারোক্তির পর আর কি বলবো বুঝে পাইনি।

    তা এরম ভালোয়-মন্দয় মিশিয়ে দেখতে দেখতে নভেম্বর চলে এলো. আর কয়েকদিন পড়ালেই সেমেস্টার শেষ। ভাবতে একদিকে ভালোও লাগছিলো আবার এদের সাথে আর দেখা হবে না সেটা ভেবে খারাপও লাগছিলো একটু একটু। এরকমই এক বরফঝরা নভেম্বরের সকাল, ক্লাসে ঢুকে দেখি সেরকম কেউ আসেনি তখনো, আদ্ধেক ক্লাস ফাঁকা। ইমরান এসেছে, কোনের দিকে একটা ল্যাপটপের প্রায় স্ক্রিনের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে বসে আছে। আমি ঢুকেছি, বাকিরা গ্রিট করছে দেখেও মুখ তোলেনি ও।
    একটু অবাক লাগলো, অন্যদিন সবার আগে ইমরানের গলা পাওয়া যায়। পাশে গিয়ে দেখি একটা ফটো খোলা। একটু রসিকতা করেই জিগেস করলাম "কি? কালকের নাইটক্লাবের ফটো নাকি?" এতক্ষনে আস্তে আস্তে ইমরান মুখ তুললো, "নাহ, নাইটক্লাব না, আমার বাড়ির ছবি। কালকে ইমেইল করেছে।" স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি একটা ভাঙাচোরা বাড়ি, ছাদটার আদ্ধেক নেই, দরজাটা ভেঙে কোনোমতে একপাশে ঝুলছে, জানলাগুলোর পাল্লা বলতেও কিছু নেই। গলার বিস্ময়টা লোকাতে পারিনি "তোমার বাড়ি মানে? তোমার দেশের বাড়ি নাকি আগে থাকতে?" মনে মনে ভাবছি যার বাবা মা এদেশে ছেলেকে নিজের টাকায় পড়তে পাঠিয়েছে তাদের বাড়ির এরম অবস্থা!!!! ইমরান খুব ম্লান হেসে বললো আমার দেশের বাড়ি প্যালেস্টাইনে। নাম শুনেছ জায়গাটার? খুব কিন্তু কিন্তু করে বললাম খুব বেশি কিছু জানিনা, ইজরায়েলের পাশে এটুকুই জানি। আমার গলাটা ওর কানে ঢুকলো না, ওকে তখন কথায় পেয়েছে, আস্তে আস্তে বলে চললো "সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের পর আমাদের ঘাড়ে ইসরাইলকে চাপিয়ে দেওয়া হলো। কেউ কোনো আপত্তি শুনলো না। এখন নিজের দেশে আমরা সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন। বাড়িঘর এরম ভাঙ্গাই থাকে আমাদের সব সময়, ঠিক করে লাভ কি? আস্ত বাড়ি দেখলেই তো আর্মি এসে ভেঙে দিয়ে যায়। যে বাবা মা পারে ছেলেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়, নিজে না খেয়ে দেয়ে ছেলের বিদেশে থাকার পয়সা যোগায়। কারণ দেশে থাকলে হয় গেরিলা ধরবে নয় ইস্রায়েল আর্মি। আমার বাবামাও নিজের সবটা সঞ্চয় ভেঙে আমাকে আমেরিকাতে পাঠিয়েছে। আমার ইচ্ছেয় পাস্ করে চাকরি পেয়ে ওদেরকে এখানে নিয়ে এসব কিন্তু সেও তো এখনো তিন বছর বাকি।সবসময় আতঙ্কে থাকি খবর পাবো যে ওরা আর নেই। "
    ক্লাসে তখন একটা পিন পড়লেও শব্দ হবে, সবাই এইরকম চুপ। হঠাৎ দেখি বেন উঠে এসে ইমরানকে জড়িয়ে ধরেছে, "প্লিজ মন খারাপ করিস না, বাকি জিউইশদের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি তোর কাছে। জানিস, আমার কাজিন থাকে ইসরায়েলে। ও কবিতা লেখে, লেখক হতে চায়, মারামারি করতে চায় না. কিন্তু ইসরাইলের বাধ্যতামূলক আর্মি জয়েনিং পলিসির জন্য ওকে এখন বন্দুক হাতে ঘুরতে হয়. আমরাও চাইনারে মারামারি করতে। কিন্তু আমাদেরও তো কোনো say নেই. আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি এই বোধহয় খবর পাবো, আমার কাজিন মারা গেছে। জানিস, ওর মাত্র ২১ বছর বয়েস।" ইমরান দেখি আস্তে আস্তে বেনকে বুকে জড়িয়ে ধরলো। সবাই ততক্ষনে ওদের দুজনকে ঘিরে ধরেছে। সেদিনের পর থেকে মাঝে মাঝে ইমরানের বাড়ির খোঁজ নিতাম। ওকে কয়েকটা কোর্সের সাজেশনও দিয়েছিলাম যাতে ও বেরিয়েই চাকরি পেতে পারে।

    সেমিস্টার শেষ হওয়ার পরে ইমরানের সাথে যোগাযোগ ছিল না. প্রথমদিকে মাঝে মাঝে মনে পড়তো ওর কথা পরের দিকে ভুলেই গেছিলাম। বছর পাঁচ ছয় পরের কথা, পিএইচডি শেষ করে বেরিয়ে গেছি ততদিনে। একদিন কি মনে করে স্কুলের মেইল আইডি খুলেছি, দেখলাম প্রচুর স্প্যাম জমে গেছে। ডিলিট করতে করতে দেখি লাইফ রেডিওলোজি থেকে একটা মেইল করেছে, সাবজেক্টে লেখা ইম্পরট্যান্ট। স্প্যামই মনে হলো, তাও মেইলটা খুললাম। দেখি লেখা আছে "রোশনি, জানিনা তোমার মনে আছে কিনা, আমার নাম ইমরান। তুমি ২০০৬ এ আমার বায়োলজি ক্লাসের টিচার ছিলে। তুমি আমার জীবনের একটা খুব দুঃসময়ে আমাকে অনেক সাহস জুগিয়েছিলে, আর সেজন্যই মেইলটা করছি তোমায়। তোমার পরামর্শমতন আমি রেডিওলোজি পড়েছিলাম। বেনও. আমরা দুজনে এখন একসাথে একটা বিজনেস করছি। বাবাকে আনতে পারিনি কিন্তু মাকে নিয়ে এসেছি আমার কাছে। আমি ভালো আছি এখন। ভালো থেকো। ইমরান।"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ | ১৫০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঙ্গ দারোগা | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০২54812
  • দারুণ লাগল।
  • Du | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:১৩54813
  • পৃথিবীটা ভালো আছে এখনও
  • rabaahuta | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:১৬54814
  • খুব ভালো লাগলো।
  • rabaahuta | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৬54815
  • মন্তব্যগুলির মধ্যে রঙ্গ দারোগা নামটি নজর টানলো। রূপসী সিনেমার ব্ল্যাকার দমনে রঙ্গ দারোগার খ্যাতি ছিল।
  • সিকি | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:২০54816
  • বাঃ। মন ভালো করা লেখা।
  • roshni | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৪54817
  • অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। আগেরগুলো পোস্ট করছি এক এক করে।
  • pi | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৯54807
  • এই ভালোগুলো যদি আরো দেখতে পাওয়া যেত !
    বড় ভাল লাগল।
  • sch | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৫54808
  • 1,2,3,4 পড়ার ইচ্ছে বেড়ে গেল
  • | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:২৯54809
  • আঃ বড় ভালো লাগল।
  • রৌহিন | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ১০:১৬54810
  • জীবনে জীবন যোগ -
  • ranjan roy | ***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ১১:৫১54811
  • পড়ে চুপচাপ বসে আছি। আমাদের দেশে কেন এমন হয় না? হয়্ত হচ্ছে, জানতে পারি নি।
    হ্যাঁ, এবার ১,২,৩,৪।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন