এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বইমেলা কড়চা - ২০১৯ প্রথম ভাগ

    Rouhin Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৯৫০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আদি পর্ব - লটারি

    উপন্যাস ছাড়া নাকি প্রোলোগ লেখার নিয়ম নেই - তাই বুজুরগলোগ মাপ করবেন - এই উপন্যাসোপম আখ্যানে এই আদিপর্বটা প্রতিবারেই ঘাপলা হয়ে যায়, তাই এবারে এটা দিতেই হল। কারণ না দিলে মিস। বইমেলার লটারি এক জব্বর বস্তু - সে অভিজ্ঞতা না কহিলেই নহে। অতএব গিল্ড লটারির কথা অমৃতসমান - পূণ্যবানেরা আসুন আসুন - পিঁড়ে পেতে বসে পড়ুন। গিল্ড ফ্রী তে চা খাওয়ায়, এমন কি টপ বিস্কুটও খাওয়ায়, হাতে হাতে নিয়ে নিন বাবাসকল, মা সকল। কৃতাঞ্জলিপুটে বসে পড়ুন।

    ঘোষিত সময় দুপুর বারোটা। জনতা সাড়ে এগারোটা থেকেই ঘুরঘুর কচ্ছে, ফ্রী চায়ের অপেক্ষা না করে অনেকে এমন কি নিজের পয়সায় চা পর্যন্ত কিনে খাচ্ছে (ভাবা যায়? বাঙালি!) - এদিকে কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে বারোটায় কত্তামশাই মাইকে বললেন, এবার তাহলে শুরু করি? কোন এক বেয়াড়া বলে উঠেছিল, টাইম তো বারোটায় ছিল - তিনি মধুর হেসে জানালেন, বারোটায় তো সবাই এসে পৌঁছান না, তাই - এরপরে আর কথা চলে না - ওঁরা আমাদের জন্য এত ভাবেন!

    এই লটারির দুটি পর্ব - প্রথম পর্বে হয় লটারির লটারি, আর দ্বিতীয় পর্বে সেই লটারির ওপরে লটারি। ব্যস - বুঝে গেছেন তো? জলবৎ তরলং? মানে এরপরেও না বুঝলে আপনার বোধশক্তি আমার মতই ছাব্বিশ মার্কা ধরে নিতে হবে আর কি - আমি যেমন গত তিন চার বছরেও বুঝে উঠতে পারলাম না এটা কেন করা হয়, কী এর মেকানিজম, মেকানিকাল অ্যাডভান্টেজই বা কী। তা সে যাগগে - আমি যা বুঝিছি, তা আপনাদিগেও বুঝায়ে বলি - প্রথম পর্বে লটারির লটারি মানে হল আসল লটারির সময়ে আপনি কত নম্বরে সুযোগ পাবেন সেই লটারি। তারপর দ্বিতীয় পর্বে সেই তত নম্বরে এসে আপনার সামনে যতটা ফাঁকা মাঠ পড়ে থাকবে তাতে কতটা গোল করতে পারবেন তার লটারি। এবারেও যদি না বুঝে থাকেন তো আমি নাচার - গিল্ডের অফিস পাঁচ বা ছয় নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে একটু এগোলেই পাবেন একটু কষ্ট করে জেনে নিন না বাবা। এত্ত কথায় কথায় গু গুলে দেখেন আর একটু গিল্ড গুলে দেখতে পারবেন না?

    এ বছর আমাদের তিন জনের দল - সেনাপতি শেখরদা, সঙ্গে আমি আর হুতো। অয়নের আসার কথা - সে অবশ্য নিজেই ভুলে গেছে সেটা, আমরা চাষার মত আশায় বসে আছি। বসে আছি আর ঠেলাঠেলি করছি - লটারি তুলতে কে যাবে? আমি ভাবলাম শেখরদাকে সিনিয়রমোস্ট ফোস্ট বলে হয়তো বার খাওয়ানো যাবে - কিন্তু শেখরদাও কমদিন এইসব চণ্ডাল চড়াচ্ছেন না - পোড় খাওয়া লোক। খুব সাব্লাইম একটা হাসি দিয়ে বললেন ‘না না - তোমরাই যাও’ - বলে আরও প্রশান্ত মুখে লটারি দেখতে লাগলেন - যেন রবি শাস্ত্রী কোহলির খেলা দেখছে। আর হুতো এমন একটা মুখ করল, যেন উলটে খাওয়া দূরে থাক, মাছটা ভাজা হয় এটাই একটা বড় খবর - মিত্রোঁ, মাছ ভাজিয়া উল্টাইয়া খাইতে হয় -

    এদিকে লটারিতে প্রথম দিকে সব ১২০-১৫০ এর মধ্যে তুলছিল, তারপরে আস্তে আস্তে ১২, ২৪, ৩৫ করতে করতে ১, ৪, ৭,৮ এসবও উঠতে লাগল। আর গুরুচণ্ডা৯ আর আসে না। আমরা এদিকে হিসাব করেই যাচ্ছি, পঞ্চাশের মধ্যে পেলে কোথায় বাছা যাবে, পঞ্চাশের ওপরে হলে কি, একশোর ওপরে হলে আর কোন আশা আছে কি না - ইত্যাদি। কোথায় কোথায় গ্যাপ রয়ে গেল - স্ট্র্যাটেজি শুনলে অমল দত্ত লজ্জা পেয়ে যেতেন। ডায়মন্ড সিস্টেম, গোল্ড সিস্টেম, পোড়ামাটির নীতি - সব আলোচিত হয়ে গেল। শেষে যখন গুরুচন্ডা৯ ডাকল, যথারীতি আমার পেছনে আর কেউ নেই - আমিই বীরদর্পে এগিয়ে গেলাম এবং লটারিতে উঠল ১৫৯। আউট অফ ২১০। অর্থাৎ ১৫৮ জন বুজুরগ তাদের জায়গা বেছে নেবার পরে যা পড়ে থাকবে সেখানে আমাদের খেলা। বার্বাডোজের সবুজ ঘাসের পিচে সকালের শনশনে হাওয়ায় টসে হেরে পতৌদি যেমন মুখ করে ফিরে আসতেন, সেরকমভাবেই আমার প্রত্যাবর্তন। শেখরদার পিছন পিছন আমিও আহত অবসৃত - চুপচাপ রেডিও বন্ধ করে দিলাম - এ ম্যাচ আর দেখার কী আছে।

    কিন্তু বার্বাডোজ কখনো কখনো তিরাশির লর্ডস হয়ে যায়। গিল্ডের ঘাসের পিচে হুতো যে এরকম স্যুইং এর ভেল্কি দেখিয়ে ম্যাচ বার করে আনবে সে আর কে বা ভেবেছিল? বিকালে শুনি দুই নয় তিন - স্টল নং ২৯৩ - লিটল ম্যাগের পাশেই, এবং কর্নার প্লটে, সামনে গানবাজনার উপযুক্ত ফাঁকা জায়গা এবং তার পাশেই ফুড কোর্ট - শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে পেছন দিকে ঠিকই - তা সেরকম দু-একটা ছয় তো ওরাও মারবেই - সে মারুক। দেখা হচ্ছে কমরেড - ৩০ এর ভোরে।

    অনাদি পর্ব - স্টল

    লটারির দিন, শুরুর আগেই স্যারেরা জানিয়েছিলেন, এবারে ১০ তারীখেই মাঠ পাওয়া যাচ্ছে - সাফিশিয়েন্ট টাইম, ২১ তারীখের মধ্যে স্টল মোটামুটি তৈরী হয়ে যাবে, তারপর এসে আমরা সরেজমিন তদন্ত করে যেতে পারি। এমন কি ভোটবাজারের মোদীর মতই এও আশ্বাস পাওয়া গেল যে তখন যদি আমরা কিছু বায়না টায়না করি তবে তা জরুর শোনা হবে। ২৭ থেকে ২৯ এর মধ্যে স্টল পুরো রেডি, সিকুরিটি থাকিবে, আমরা বই রেখে আসতে পারি - চাই কি বিক্কিরিও করতে পারি (!) - তবে ৩০শে উদবোধনের দিনে কোন পাঁয়তাড়া চলবে না। হীরকরাণীর বক্তৃতার দিনে পেঁয়াজি চলে না এ তো প্রজারা মেনেই নিয়েছে - এ আর এমন কি কথা? পরে অবশ্য সব ডেটই একদিন করে পিছালো - ৩০ তারীখ বোধায় পাঁজিতে কুষ্মাণ্ড ভক্ষণ নিষেধ ছিল। তা এ সব মন কি বাত শোনার পরে কি খুশী না হয়ে পারা যায় বলুন? আচ্ছে দিন তো এসেই গেছে। বায়না করব বায়না করব - গিল্ড আমাদের মাতাপিতাসম না হোক অন্ততঃ পিতৃব্য-মাতৃস্বসাসম (হামাপকে হাইকুন কেস ভাববেন না যেন আবার) তো বটে। আহা দু-একদিন বেশী তো লাগতেই পারে - ২১ ছেড়ে আমরা ২৩শে যাওয়া মনস্থ করলাম। কী মজা, কী মজা!

    মজা টের পাওয়া গেল ২৩শেই - গিয়ে দেখি স্টলের জায়গায় চারটে বাঁশ দাঁড়িয়ে। মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে - তাই লিখি দিল বিশ্ব বাংলা স্টলের পরিবর্তে। আসলে ওই যে পিতৃব্যসম - পিতৃব্যরা ঠিক জানে কোন বেয়াড়া ভাইপো ভাইঝি বায়না করবেই - তো ল্যাও এবারে ফাঁকা মাঠে কী বায়না করবা, করো। না রহেগা বাঁশ - ইয়ে থুড়ি, বাঁশটুকু ছিল, অস্বীকার করার উপায় নেই - তবে তা দিয়ে বাঁশরী বাজানোর উপায় নেই - সে বাঁশের লক্ষ্য এবং গন্তব্য অন্য। অগত্যা গিল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নিতান্তই স্টলটা বানিয়ে দেবার বায়না করে আসা গেল - খেতেই না পেলে আর সংস্কৃতির দাবী কে জানাবে। পুঁজিবাদ বিজ্ঞান - তাই উহা সত্য।

    ২৬শেও প্রায় একই অবস্থা - তবে হ্যাঁ প্লাই লেগে গেছে বটে। কাজ হচ্ছে না একথা বলার উপায় নেইকো - উন্নয়ন এক্কেরে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ২৯ তারীখে সুমন জানাল প্রায় হয়ে এয়েচে, এবার বেঙ্গল মাস্ট মীন বিজনেছ। অতএব তিরিশের শুভ সকালে গাড়ি নিয়ে হাজির টিটিদিদি, সঙ্গে মারিয়া এবং বাঁচাইয়া। শেষোক্ত জন এই দলের প্রথম পুরুষ - সর্বার্থেই। প্রেস থেকে বই উঠে পড়ল গাড়ির ডিকিতে, নতুন বইএর মন কেমন করা গন্ধে মিশে গেল নতুন তালাচাবির গন্ধ। তারপর গাড়ি চলল গড়ফা, সেখানে আরো বই - পেটি পেটি। ততক্ষণে টিটিদির গাড়ির পেট ভরে গেছে - অতএব ট্যাক্সি - কালা-পিলা - কারণ তার অগাধ অ্যাপেটাইট।

    কলকাতা শহরে কালাপিলা পাওয়া, যে কিনা আপনার গন্তব্যস্থলে যেতে রাজি, এমন কি এক্সট্রা ভাড়াও চায় না - সে এক সাররিয়াল ব্যপার। কিন্তু ওই যে বলে অনুপ্রেরণা - একে তো আমাদের দিদি আছেন - তারপরে হুতো আছে - সেই অনুপ্রেরণার চোটে আমি আফ গঙ্গোও করে ফেললাম সেই অসাধ্য সাধন - মিনিট পনেরোর মধ্যেই কালাপিলা হাজির। দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি। ইতিমধ্যে টিটিদিদি এক মার্জার সুন্দরীকে মডেল বানিয়ে ফেলেছে। বাকি যাবতীয় পেটি এবং গাদা এবং ল্যাজা এবং মুড়ো সেই অ্যাম্বাসাডরে উঠে গেল - এবারে মিশন বইমেলা। চল পানসি বেলঘরিয়া।
    ইত্যাদি পর্ব - প্রেস

    হিজবিজবিজের এক বন্ধু ছিল, সে ছাতার নাম রেখেছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, গাড়ুর নাম পরম কল্যাণবরেষু। আমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী রেল স্টেশনের নাম রেখেছেন দীনদয়াল উপাধ্যায়, আরেক মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার নাম রেখেছেন সত্যজিৎ রায় ধরণী। তা আমরা তো একাধারে গুরু এবং চন্ডাল - অতএব এসব মহান ব্যপারে আমাদেরও কিছু অবদান থাকা দরকার বলে মনে করি - কিন্তু এতটা প্রতিভাবান কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে অভাব পুরন করেছেন বর্ণনা প্রেসের সর্বেসর্বা গোবিন্দবাবু। তিন বছর আগে যখন এক ব্যাগ নব্বই ছাপা হচ্ছিল, তখন গোবিন্দবাবুর এই প্রতিভার প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কুর্মাবতারের নাম রাখলেন কুমড়ো, তারপর খান্ডবদাহনের নাম রাখলেন সৈকত, অমর মিত্রের নাম রাখলেন অরুণ মিত্র। তো এই গোবিন্দবাবু একজন নমস্য ব্যক্তি বুঝতেই পারছেন। বাংলা প্রকাশনার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, “ছাপাখানার ভুত” শব্দটার সঙ্গে তাদের সকলেরই কমবেশী পরিচয় আছে। কিন্তু গোবিন্দবাবুকে আজ অবধি বিশ্বাস করাতে পারিনি যে ওনার কোন ভুল হয় বা হতে পারে। এক অসীম ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে তিনি এসবের উর্দ্ধে উঠে যান এবং গুরুসুলভ গাম্ভীর্যে প্রমাণ করে দেন যে ভুলটা আসলে আমাদেরই। অতএব তিনিই যে আমাদের উপযুক্ত বোনাফায়েড মুদ্রক, এতে কোন সন্দেহই নেই। গোবিন্দবাবুর দর্শন পেতে হলে শেষ দিন শেষ ঘন্টার মেলায় চলে আসুন। মেয়ের বাবা যেমন বৌভাতের নেমন্তন্ন খেতে আসেন, ঠিক তেমনই ভাব করে গোবিন্দবাবু আসেন মেলায়।

    প্রেস থেকে বই আসা একটা পর্ব বটে। আসার আগেই পাই ইয়াব্বড় ফর্দ ধরায় - লক্ষ্মীপূজোর বাজারের ফর্দের সাইজ ওর থেকে ছোট হয়। তারপর যখন প্রেসে যাই, গোবিন্দবাবু তার স্বভাবসুলভ ঔদাসিন্যে বলেন ‘দেখছি’। সে দেখা শুধু তিনিই দেখতে পারেন - আমরা দু-একবার চেষ্টা করে দেখেছি - ঠিক যে বইটা খুঁজি সেটা থাকে সবার নীচে। এবং অনেক সময় সে ধরা দিয়াও দেয় না - কারণ তার ওপরে গোবিন্দবাবুর নিজস্ব নাম লেখা থাকে - ফলতঃ সে নামের মর্মোদ্ধার যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ বোঝারই উপায় থাকে না যে ওটা কী বই। এবং গোবিন্দবাবু যতক্ষণ নিজের কাজ করছেন, ততক্ষণ কারো পিতৃব্যের সাধ্য নেই তাঁকে সেখান থেকে ওঠায়। অতএব তাঁর ভরসায় বসে থাকি। তিনি পান চিবোতে চিবোতে কাজ শেষ করে উঠে আসেন, তারপর ম্যাজিকের মত বেরোতে থাকে একের পর এক বই। বর্ণনা প্রেসের অধিক বর্ণনা দিয়ে আর আপনাদের অবর্ণনীয় কষ্ট দেব না - তবে এই সকল ধুন্ধুমার সত্ত্বেও এ কথা না বললে অন্যায় হবে যে আমাদের এই শেষ মুহুর্তে ম্যাটার দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছেপে দেবার বায়নাও দিনের পর দিন এই গোবিন্দবাবুই সহ্য করেন, এবং তাঁর সেই ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে - এ জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ।

    প্রথম পর্ব - মেলা শুরু

    ও হরি - এতক্ষণে প্রথম পর্বে আসা গেল। অর্থাৎ মেলা এবার শুরু হয়ে গেছে - লাগ লাগ লাগ লেগে যা ভেলকি। সেই যে ৩০ তারীখ আমরা ট্যাক্সিতে উঠে পানসি ছোটালাম - মানে আপনি যদি ভাবতে বসেন ট্যাক্সি কী করে পানসি হবে, তবে আপনি স্বাগত - ঋত্বিক তো বলেই গেছেন ভাবা প্র্যাকটিস করতে - অতএব ভাবা আপনার সংগ্রামী অধিকার - কিন্তু তার আগে এ-ও ভেবে নেবেন যে পানসি বেলঘরিয়া গেলে ট্যাক্সি করুণাময়ী আসে কি না। আমরা কিনা অ্যাডভান্স - অঙ্কে ফেলু মারা বুদ্দিজীবি, আমরা এসব আগেই ভেবে ফেলেছি - তাই দিব্যি তরতরিয়ে পৌঁছানু যথাস্থানে। এসে দেখি, ও মা! স্টল তো প্রায় রেডি! তবে কি না গেট নেই, এবং নেট নেই। গোটা বইমেলায় নেট নেই। স্টলের ভিতরে মেঝেতে একটা কালো ন্যকড়া ছিল - পরে জানতে পারলাম ওরে কার্পেট বলে। তাতে ৫০% কাপড় আর ৫০% ধুলো থাকে। আর আছে একটা টেবিল - উরিশ্লা - সে কী টেবুল রে ভাই - স্টলের সমান লম্বা পুরো - একটা দিক আটকে গন্ধমাদন হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন - অবস্থান করছেনও বলা যায়। এদিকে বইএর পেটিরা গাড়ি থেকে নেমে হাত পা ঝেড়েঝুড়ে স্টলে জাগা নেহি হ্যায় দেইখ্যা স্টলের বাইরের মাঠে জাঁকিয়ে বসেছেন। আমরা আর কী করি - তাঁদের সেখানেই চা জলখাবার চাট্টি খেতে দিয়ে ছুটলাম গিল্ডের অফিস - ডেকোরেটরের খোঁজে। গিল্ড কর্তারা চিরকালই অমায়িক, এবারে দেখা যাচ্ছে একটু বেশীই অমায়িক - যা-ই জিগাই, হাসিমুখে উত্তর দেন - উত্তর অবশ্য না-বাচকই হয়, কিন্তু না খিচিয়ে। ফলে মন খুশ হয়ে গেল। অনেক পাঁয়তারা করে ওঁদের ম্যাপ খুলিয়ে ২৯৩ এর অবস্থান বোঝানো গেল - তখন সেখানকার সুপারভাইজারের নম্বর দিয়ে বললেন যোগাযোগ করে নিন - উনি সব করে দেবেন। তবে একথা মানতেই হবে যে এই বিশ্বনাথবাবু (ডেকোরেটর) কিন্তু মোটামুটি যা চেয়েছি, করে দিয়েছেন - ওনার এক্তিয়ারের বাইরে না হলে। গেট লাগল, গেটে তালা লাগাবার হুড়কোও লাগল, “কার্পেট” হল টানটান, ধুলো পরিষ্কার হল কিছুটা - এবং সেই মহাটেবিলের মহাপ্রস্থান ঘটল। তার বদলে এল ছোট টেবিল। এদিকে মারিয়া তখন স্টল সাজাতে লেগে গেছে - ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন। এক্সটিরিয়রের জন্য ওদিক থেকে আছেন হুতোবাবু - একের পর এক ইন্সট্রাকশন পাঠিয়ে চলেছেন - সেই অনুযায়ী কনস্ট্রাকশন হয়ে চলেছে। ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র - সে এক অনন্ত প্রক্রিয়া। কালও স্টলে গেলে দেখবেন ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়রের কাজ হয়েই চলেছে। আর আপনারা যারা ‘মারিয়া’কে এখনো চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, মোদীর যেমন অমিত শাহ, দিদির যেমন ববি হাকিম, তেমনি পাই এর হল মারিয়া। কেউ কেউ বলেন গুরুমাতা ইন মেকিং - আমরা ফ্যাক্ট চেক করতে পারিনি।

    তা সে যাই হোক, সেই অনন্ত সজ্জাপর্বের মধ্যেই মেলা শুরু, জনসমাগম শুরু, বিক্রিবাটা শুরু, আর শুরু ছপি তোলা। যারা দূরে আছেন, তারা পারলে সবটাই ছবিতেই দেখে নিতে চান আর কি - ফলে সেই বিপুল চাহিদার জোগান দিতে বিপুল পরিমাণে উৎপাদন চলছে, চলবে। যে যেখানে যেমন পারছে ছবিছাবা তুলছে। নতুন বই এক এক করে আসছে - বিপুল দাসের তোমার সঙ্গে খেলা, আসামের নাগরিকপঞ্জী, মলয়দার নিজের বাছাই হাজির প্রথম দিনেই - তারপর একে একে মাঠে নামছে সব রথী-মহারথীরা - তন্বীদির মজুররত্ন, টিটিদিদির পাড়াতুতো চাঁদ, অমরদার নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান, দমদির সীজনস অফ বিট্রেয়াল, অর্চন আর অভিজিতের নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছের নতুন বাঁধাই সংস্করণ, এককের অতিনাটকীয় - মাঠ ময়দান তোলপাড় - হৈ হৈ রৈ রৈ মার মার কাট কাট ব্যপার স্যপার। গেছোদাদা এসে বইএর হিসাব লিখে নিলেন। তৃতীয় দিনে, অর্থাৎ দুই তারীখ আসার কথা পাইকিশোরীর - কিন্তু তার বিমান অত সহজে ওড়ে না। অগত্যা তিনি আবির্ভূত হলেন পরের দিন সকালে। মোচ্ছব জমে গেছে এতক্ষণে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৯৫০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumu | ***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৮49897
  • হিংস্র হাসি
    ভাল হয়েচে এই কলিম্যালা সেশ হয়েচে,আর এত ছবিছাবা নেয়া যাচ্চে না।

    সিকি ঐখানে গিয়ে চমশা লাগিয়ে ফটু তুলচ,ইদিকে দিল্লি মেলার কী হবে?

    ছোটাই,নিরুপায় হয়ে এইখেনে লিখে গেলাম,তোমাকে ফোনে পেলাম না,এসেমেস গ্যালো না।
  • | ***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৯49895
  • কি যে বলে না ইন্দ্রানী দি, এখন অনেক দিন ধরে অনেক লিখতে হবে। ভুলভাল ভেবো না।
  • ফরিদা | ***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৪49896
  • ছোটাই।
    একদম। "ফ্রেশ গার্ড" নাও। আবার শুরু হোক।
  • pi | ***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৭49898
  • মোটেও শেষ হয়নি।
    হা হা হা হা হা
  • I | ***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৪49899
  • গুরুর প্রকাশনায় এবার বেশ ঝকঝকে প্রফেশনাল টাচ এসেছে দেখে ভালো লাগলো।গুরু টিমকে অভিনন্দন।
    গুরুর কাজে জড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, কিন্তু বছরভর পেশা আর সংসারের টানাপোড়েনে নিজের বলতে সময় কিছু বাঁচে না। যেটুকু বাঁচে, ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
  • কুমু | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪০49900
  • হাঃঃ হাহাঃ
    আজ সেশ।আর ১২ ঘণ্টা ও নাই।☺
  • কুমু | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪১49901
  • হাঃঃ হাহাঃ
    আজ সেশ।আর ১২ ঘণ্টা ও নাই।☺
  • pi | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:১৭49902
  • তোমার হচ্ছে!
  • pi | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০49903
  • এর শোধ নেব। আমিও দিল্লিমেলায় যাবনা। তারপর শেস দিনে এমনি অট্টহাস্য করব!
  • pi | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২১49904
  • মামুর লেখা। বইমেলায় ঘুরেটুরে, রকমসকম দেখে আমারো বহুলাংশে তাই মনে হল।

    "বইয়ের বাজারে দুর্ভিক্ষ নাকি আসন্ন। বিলিতি মদও এখন বাংলা বইয়ের চেয়ে সস্তা, সোনার গয়না আর বইয়ের দাম প্রতিযোগিতা করছে, কে কাকে টপকে যাবে বোঝা যাচ্ছেনা। মোটা-মোটা গাব্দা-গাব্দা বই শুভদৃষ্টির আশায় মাল্টিন্যাশানালের বড়বাবু-বিবিদের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে। কেনার হিসেব সহজ। বস্তায় করে টাকা নিয়ে যান এবং হাতে করে বই নিয়ে এসে গাড়িতে চড়ুন। ব্যস। এরকম শেষবার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৩৭ সালের গোড়ার দিকেও আরামসে এক টাকায় ন-দশ কেজি চাল (এখনকার হিসেবে) পাওয়া যেত। পাঁচ-সাত বছরের মধ্যেই দুম করে অন্তত চারগুণ বেড়ে গিয়ে বাজার থেকে হাওয়া। তারপরই দুর্ভিক্ষ। মন্বন্তর। বাংলার রাস্তায় লাশের মিছিল। সে ছিল মজুতদারদের জমানা, নেহেরু যাদের ল্যাম্পপোস্টে ঝোলাবেন বলেছিলেন, কিন্তু পরে বেমালুম ভুলে যান । 'চাল কেনার লোক কই?' নির্ঘাত বলতেন সেই মজুতদাররা। সেটা মিথ্যে কথা ছিলনা। সত্যিই অত দাম দিয়ে কালোবাজারে কে কিনত চাল? কিন্তু তার মানে কি এই, যে, লোকে চাল চায়নি? চেয়েছে, ভীষণভাবে চেয়েছে। ভাতের অভাবে রাস্তায় রাস্তায় 'ফ্যান দাও' হাহাকার করেছে। তারপর লাশ হয়ে গেছে ফুটপাথে শুয়েই।

    বইয়ের বাজারে শোনা যাচ্ছে, এর কাছাকাছি জিনিস হচ্ছে এই ২০১৮ সালে। নাঃ মজুতদারের মতো কোনো স্পষ্ট ভিলেন নেই, কিন্তু ব্যাপারটা একই হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিওডি মডেল বলছে, অল্প করে ছাপুন, দাম রাখুন আকাশছোঁয়া। দশ কপি বিক্রি হলেই খরচা উঠে আসবে। ব্যস। এই মডেল অনেকটা মজুতদারদের মতই দাবী জানাচ্ছে, 'দাম দিয়ে বই কেনার লোক কই'? কিন্তু এত দামী বই কীকরে বেশি লোকে কিনবে? প্রশ্ন করলে স্মার্ট জবাবও প্রস্তুত। 'কেন? লোকে মদ খাচ্ছেনা? গয়না কিনছেনা? এগরোল খাচ্ছেনা?' কে বোঝায়, যে, বইয়ের গল্পটা আলাদা। বই এগরোল না, মাঝে-মাঝে শখ করে একটি দামী বোতল কেনার মতোও নয় । এমনকি গয়নাও নয়। লোকে যেমন দশদিন ধরে পনেরোটা দোকান ঘুরে, সেলম্যানদের পিন্ডি চটকে, একটাই গয়না কেনে, সেই একই কায়দায় সাতদিন ধরে বইমেলায় স্টলে স্টলে ঘুরে একটাই বই কিনে বাড়ি গেলে, তারপর বাড়িতে বন্ধু এলে 'জানিস আমার একটা বই আছে' বলে আলমারি খুলে দেখালে, সে খুব ভালো ব্যাপার হবেনা কারো পক্ষেই। কিন্তু ভালো-মন্দের কে কেয়ার করে। তাই বইয়ের বাজারও ম্যানমেড দুর্ভিক্ষের দিকেই সাধ করে পা বাড়িয়ে। লোকে বই চাইছে। 'ফ্যান দাও' বলে হাহাকার নিশ্চয়ই করছেনা, কিন্তু চাইছে। বেশি দাম বলে কিনছেনা, বা কম কিনছে। তারপর ফুচকা আর চিনেবাদাম খেয়ে বাড়ি যাচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন 'বই কেনার লোক কই?'

    এই উদ্ভট সংকটটি আমরা, শুনছি, শুনেই চলেছি। কেউ গুরুচণ্ডা৯র স্টলে বসে, আর আমি ফোন টোনে। শুধু শুনছিই, আমাদের ভিড়ভাট্টায় এই সংকট টের পাবার উপায় নেই। কারণ, আমরা সাক্ষাৎ দুর্ভিক্ষ-নিবারণী সমিতির লোক। সরকারি-বেসরকারি কোনো রকম ধরাবাঁধা গতে বিশ্বাস রাখিনা। আমরা একদম বুনিয়াদি জ্ঞান নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। লব্জে আগ্রহ নেই বলে লোকে অবিশ্বাসীও বলে। আমরা সোজা জিনিস যা বুঝি, লেখা আমরা লিখি এবং ছাপি মানুষকে পড়ানোর জন্য। এ একদম সমস্ত রাজনীতি, সমস্ত ব্রতকথার গোড়ার জিনিস। আমরা এও বুঝি, যে, বইয়ের একমেবাদ্বিতীয়ম বিষয়, নতুন স্টাইল বা ফর্ম, আর ক্রয়ক্ষমতার নাগালের মধ্যে থাকলে, চাটনি বা ওমুক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন কোনোটাই লাগেনা লোককে বই পড়াতে। এ একদম হাতেকলমে শেখা বিদ্যে।

    মেলা শেষ। আজই তার শেষদিন। কাজেই এটা স্রেফ মেলার জন্য লেখা নয়। গোটা বছর পড়ে আছে, সামনের বছর, তার পরের বছরও আছে। আমরা গোটা বছর, তার পরের বছর, তারও পরের বছর, এই ভাবেই বইকে নতুন-নতুন এলাকায় পৌঁছে দিতে চাই। তৈরি করতে চাই বিকল্প এক বাস্তুতন্ত্র, যেখানে কোনো দুর্ভিক্ষ থাকবেনা। সস্তা বই, ভালো বই, যেকোনো পাঠক পেয়ে যাবেন ঝপ করে। একলা করা যাবেনা পুরোটা। তাই দূরে দূরে আছেন যারা কাছে চলে আসুন। তাড়াতাড়ি। কারণ সময় সীমিত আর ওড়ার আকাশ বিরাট। কোটি-কোটি লোকের কাছে পৌঁছনো বাকি। বাদামভাজার দামে লাখেলাখে লোকের কাছে পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাদ্য নিয়ে যেতে হবে। জ্জয়গ্গুরু। "
  • Kaju | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:২২49905
  • প্রিন্টের খরচ সত্যিই অনেক বেড়ে গেছে। এখন একটু মোটা বইয়ের দিকে কেউ খুব একটা যায় না। দাম বেশি হলে নেবেই না কেউ। বরং এক ফর্মা পাতলা বইগুলো হুলিয়ে শেষ হয়ে যায়। শুধু বিঘে দুই গতবার দাম ছিল ১৮০/-, এবার বাধ্য হয়েই ২৫০/- করতে হয়েছে, তবু দুবারই সৌজন্য সংখ্যা দিয়েছেন সঙ্গীতাদি। অতজনকে প্রত্যেককে প্রতিবার। এবার ৭ বছরে পড়ল শুধু বিধে দুই। এর চেয়ে কত কম দামের পত্রিকা আজকাল আগেই বলে দেয় সৌজন্য সংখ্যা হবে না। চাই-ও না, নিজের লেখাটা ঠিকঠাক আছে কিনা মেলাতে একটু ছবি ব্যস। তারপর পরে যদি কিনতে পারি তো পারি। এই বাজারে পত্রিকা প্রকাশনগুলোর এখন থেকে পাতলা বইয়ের দিকেই খরচ করা উচিৎ। অনেক তো কবিতা গল্প হল। মোটা বই হলে কেবলমাত্র ভালো গবেষণাসমৃদ্ধ প্রবন্ধের হোক, যাতে নতুন কিছু তথ্য, আলোচনা জানা যাবে। অনেকেই রে রে করে আসবে, কিন্তু এটা আমার মনে হয়।
  • Kaju | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:২৬49906
  • বিধে না, বিঘে। টাইপো।
  • | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:৫৪49907
  • কেলোদাদা বলেছেন পাঁচা৯ তো হল, এবার একটা পঞ্জিকাও যেন গুরু আগামীবারে ছেপে ফ্যালে।
    নট আ ব্যাড আইডিয়া পঞ্জিকা রিরাইট করা। রিরাইট বলতে কি ভাবছি সেটা আরেকটু ডিটেলে ভাবতে হবে।

    আমার মনে হয় একটা আলাদা পোস্ট দিতে হবে এক্সপি লিখতে।
  • পত্রিকা | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:২৩49908
  • গুরুচণ্ডা৯ পত্রিকা ২০১৮’র বাছাই প্রকাশিত হয়েছে, মেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
    ১৩২ পাতার ম্যাগাজিন, দাম ১২০ টাকা। প্রবন্ধ, কূটকচা৯, গল্প, কবিতা।
  • Biplob Rahman | ***:*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩২49909
  • গুরুর বইমেলার ভেতরের কথা তাহলে এমন গূঢ়!

    বাপ্ রে! ভাগ্গিশ এই লেখা পড়ে মেলায় যায় নাই। নইলে টাশকি খেতাম, অক্কা খেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না।

    গোবিন্দ বাবুরে পছন্দ হইছে। তারে আদর কইরা "মাল" বইলা ডাকতে ইচ্ছা করতেছে। সেলফি তালিকায় বিনায়ক রুকুর পরের টার্গেট তিনিই, আগামীবার মেলাতে এই বাসনা পূরণের খায়েশ রাখি।

    রৌহিন দার নিরীহ আলাভোলা চেহারার নেপথ্যে এতো পেজগি? লেখাটা অনেক দিন মনে থাকবে। উড়ুক।
  • aranya | ***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৬49910
  • বিপ্লব, কলকাতা বইমেলায় গিয়েছিলেন?
  • Biplob Rahman | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৩49911
  • অরণ্য,

    মাইকে আজান দিয়ে গেলাম তো! এই নিয়ে দু কলম লিখছি।

    আমি আবারো সময় নিয়ে আসবো। শুভেচ্ছা
  • aranya | ***:*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৭49912
  • বিপ্লব, খেয়াল করেছিলাম, আপনি যাওয়ার প্ল্যান করছিলেন।

    খুবই খুশী হয়েছি, গেছেন শুনে, অনেক সময় তো প্ল্যান করেও যাওয়া হয় না।

    অভিজ্ঞতা লিখুন, পড়ার অপেক্ষায়
  • Biplob Rahman | ***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:২৮49913
  • অনেক শুভেচ্ছা।
  • pi | ***:*** | ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৭49914
  • শেষ হবে কবে?
  • pi | ***:*** | ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১০49915
  • এবারে কলেজস্কোয়ারের বইপার্বণে গুরু থাকছে!
    ১৩ থেকে শুরু!
  • r2h | ***:*** | ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩49916
  • এ বছরের কী খবর? লটারি কবে টবে? দরখাস্ত হয়ে গেল? অন্য জায়গার বইমেলাগুলির কী খবর? সোনারপুর বইমেলা কেমন চলছে, কে/ কারা খাটাখাটনি করছে?
  • পাই | 14.139.***.*** | ০৪ মার্চ ২০২২ ২২:৪৯504691
  • এই সুতোটা পড়তে, দেখতে কী ভাল লাগছিল! 
     
    আবার ততটাই কেমন যেন। কুমুদি, তৃণাদি কেমন নেই হয়ে গেল, এই ক'দিনেই, এই তো সেদিনের কথা ছিল! 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন