এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭১৪ বার পঠিত
  • ২।

    স্নানের সময় হয়ে গেছে। কোনো মতে মাথায় একটু তেল লাগিয়ে বাথরুমে ঢুকল শোভা। বোনেদের মধ্যে সবার আগে ওই স্নানে যায়। কারন মেজদির কলেজের ক্লাস শুরু হয় দেরিতে আর কিরন যতক্ষণ পারে পরে নেয়।
    কলঘরের দড়জাটা এঁটে দিল শোভা। বড়মামাদের বাথরুমের সাথে ওদের কলঘরের কোনো মিলই নেই। বড়মামাদের বাথরুমে শ্বেত পাথরের মেঝে,বাথটব। বাথরুমের তাকে নানান প্রসাধনি। সেখানে ওদের কলঘরটা বড়ই ম্যাড় ম্যাড়ে। সিমেন্টের মেঝে, পলেস্তরা খসা দেওয়াল আর তেল সাবান - ব্যস, এইটুকুই। তা হলই বা, এতে এমন কিই বা অসুবিধে?
    প্রথমবার গায়ে জল পড়া মাত্র প্রতিদিনের মতই চমকে উঠল ও। শরীরের তাপমাত্রার চাইতে অনেকটাই কম জলের তাপ। তবে আস্তে আস্তে সয়ে যাচ্ছে ঠান্ডাটা। মাথা থেকে জলের ধারা নেমে ধুইয়ে দিচ্ছে ওর পা। স্নানের মাঝে শোভার চোখ পড়ল বাথরুমের পারদ ওঠা ছোটো আয়নাটার ওপর। এই আয়নাটায় বাবা দাড়ি কাটে। আয়নায় এখন শোভার সিক্ত প্রতিবিম্ব। দেওয়াল থেকে আয়নাটা নামালো শোভা। সময় নিয়ে দেখল নিজেকে। এমনিতে ওর সাজগোজের কোনো বালাই নেই, আয়নার সামনেও দাঁড়ায় কদাচিৎ; কিন্তু আজ কেন কে জানে নিজেকে দেখতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে। শোভার হাতে আয়নাটা ঘুরছে ইতি উতি। আয়নাতে দেখা দিলো কিশোরী স্তনের ঝাপসা ছবি। শরীরের নবতম অতিথিদ্বয়। লজ্জা পেল শোভা। দেরি হয়ে যাচ্ছে, আয়নাটাকে দেওয়ালে ফিরিয়ে দিয়ে ঝটপট স্নান সেরে বেড়িয়ে এলো কলঘর থেকে।
    কিরন আর শোভা খেতে বসেছে পাশাপাশি। মেজদি পরিবেশন করছে। ও একটু পরে খাবে। মায়ের কাজ গুলোতে ওরা চার বোন সময় মতন হাত লাগায় মহা আনন্দে। বড়দা বাজার করে বটে কিন্তু বাবার তা সর্বদা মনঃপুত হয়না। তাই বেশিরভাগ দিন বাবাই যায় বাজারে। টানাটানির সংসারেও বাবা খুব সুন্দর গুছিয়ে বাজার করে। মরসুমি ফল যখন যা ওঠে, বাবা সুবিধে মতন সবার জন্য অন্তত একটা করে হলেও নিয়ে আসে। শোভা অবশ্য নিজে কোনোদিন অভাবের কথা টের পায়না। তবে বড়মামাদের বাড়ি গিয়ে ওর এই বোধোদয়টা হয়েছে ওদের বাড়িতে-সংসারে অনেক কিছুই নেই। এই বোধটা কিন্তু নবদ্বীপে থাকতে ওর কোনোদিন হয়নি। মনোরঞ্জন জেঠুদের নিজেদের দোতলা বাড়ি। গ্রামের দিকে জমি জমাও আছে বেশ। কিন্তু জেঠুর ছেলেমেয়েদের সাথে ওরা অবাধে মেশে। ওদের বাড়িতে গিয়ে কোনোদিন কোনো হীণমন্যতা জন্মায়নি শোভাদের মনে। তার কারন হয়ত, মনোরঞ্জন জেঠুরা বড়লোক হলেও ওনাদের বাড়িতে বিজাতীয় কোনো আসবাব চোখে পড়ে না।
    মাছের মাথাটা মেজদি শোভার পাতেই দিল। শোভা জানে মেজদি ওকে সবার চাইতে বেশি ভালোবাসে। কিরন চুপচাপ খাচ্ছে। মেয়েটা খুব শান্ত। মেজদি উঠে গেছে হাত ধুতে। মুড়োটা কিরনের পাতে চালান করল শোভা। কিরন হেসে বলল, "আমি মুড়ো ভালোবাসিনা রে সেজদি, তুই খা।"চোখ পাকিয়ে শোভা বলল, "সেদিনের গাঁট্টাটা মনে আছে তো! তুই কি রে! রোজ রোজ মেজদি আমার পাতে মুড়ো দেয় আর তুই সহ্য করিস? আমি তোর জায়গায় থাকলেনা...."
    ভয় পাওয়া চোখে কিরন জিজ্ঞেস করল, কি করতিস রে? খাওয়া শেষ করে উঠতে উঠতে শোভা বলল - প্রথমে তো খুব এক চোট ঝগড়া করে নিতাম যা হোক, তারপর তোর পাত থেকে মুড়োটা তুলে খেয়ে নিতাম!

    স্কুলে ঢুকে দু বোন দু দিকে চলে গেল। শোভাদের ক্লাসরুম তিনতলায়। কিরনদেরটা একতলায়। শোভার ক্লাস নাইন। এ বছর থেকে স্ট্রীম চেজ্ঞ হয়েছে। আর্টস নিয়েছে শোভা। ওর নিজের অবশ্য অঙ্ক করতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু বাড়িতে বাবা-মেজদি দুজনাই আর্টসের। সায়েন্স নিলে বাবাকে মাস্টার রাখতে হবে আলাদা করে। তবে আর্টস ও কিছু খারাপ নয়। লজিক পড়তে তো শোভার খুবই ভালো লাগে। আর ভালো লাগে ভূগোল। তবে সেখানে লজিকের মতন উদ্ভাবনের জায়গা নেই। আদি অন্ত কাল ধরে পৃথিবী ঘুরে চলেছে সূর্যের চারপাশে। তাকে তুমি বদলাতে পারবেনা। বদলাতে পারবেনা সূর্য থেকে তার দূরত্ব। রাতারাতি দু-একটা সাগর বা মহাদেশও লোপাট করা সম্ভব নয় পৃথিবীর বুক থেকে - আর তাই বইয়ের লেখাগুলোও পাল্টাবেনা! এক হতে পারে, যদি কোনো দেশ অন্য দেশকে জয় করে বা দেশভাগের মতন কোনো ব্যাপার ঘটে তবে পাল্টাতে পারে বইয়ের লেখাগুলো। তবে সেটা তো ভূগোল হোলোনা! সেটা হোলো রাজনীতি।
    কিন্তু লজিকে দ্যাখো! তোমার যদি যুক্তির জোর থাকে তবে বইয়ের লেখা কথাগুলোর বাইরেও কিছু একটা ঘটতে পারে। আর শুধু বই কেন,ব্যবহারিক জীবনেই দেখো। এই যে দেশ ভাগের পর আঠারো বছর পেরিয়ে গেল, আজও লোকে জিন্না সাহেবকে গালমন্দ করে। কিন্তু ওনার যুক্তিটা যদি আমরা দেখি তবে? তবে হয়ত ওনাকে অতটা খারাপ মানুষ বলে মনে হবেনা। প্রতিযুক্তিও নিশ্চয়ই আছে! আর তাইতো কোনো কিছুকে দুম করে মন্দ বা ভালো, কালো বা ধলো বলে দেওয়া যায়না।
    ক্লাসে ঢুকে লাস্ট বেঞ্চের আগের বেঞ্চে গিয়ে বসল শোভা। এই বেঞ্চে ওর সাথে বসে মালবিকা আর ব্রততী। পেছনেরটায় বসে শ্যামলী আর অজ্ঞনা। ওদের পাঁচজনের দল।
    ক্লাসের যে কোনো ব্যাপারেই আছে ওরা - বন্যা ত্রানে চাঁদা তোলা থেকে ক্লাসের বাইরে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা - এই পাঁচজন থাকবেই!

    ঘণ্টা বেজে গেছে। শেফালিকাদি ক্লাসে ঢুকলেন। রোলকলের পরে পড়ানো শুরু করেছেন শেফালিকাদি। আজকের বিষয় ডিডাকটিভ আর ইনডাকটিভ লজিক এর পার্থক্য। দিদিমণি বলছেন, ইনডাকটিভ লজিকের জোর তুলনামূলক ভাবে কম। যদি ধরা যায় সকল মানুষের দুটি চোখ আছে এবং রামের দুটি চোখ আছে। তবে ইনডাকটিভ লজিক বলে -শ্যাম যদি একজন মানুষ হয় তবে শ্যামেরও দুটি চোখ আছে। এখানে যুক্তির জোরটা পলকা। কিন্তু ডিডাকটিভ লজিক যেহেতু কেস স্টাডি-র ওপর দাঁড়িয়ে সেহেতু ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তা বলে সেও অভ্রান্ত নয়! কারন কেস স্টাডিতে খুব অল্প সংখক স্যাম্পল এর ওপরই কাজ করা হয়। সেই স্যাম্পল সেট এর বাইরে নিয়মের বত্যয় দেখা যেতেই পারে।
    খুব মনযোগ দিয়ে শুনছে শোভা। বাড়িতে খুব বেশি না পড়লেও ক্লাসের পড়া ও মনযোগ দিয়েই শোনে। কিন্তু এক একদিন মোটেও পড়া শুনতে ইচ্ছে করেনা ওর। সে সব দিনগুলোতে ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়া আর আকাশপাতাল ভাবা - এই করেই সময়টা কাটিয়ে দেয়।
    ক্লাস শেষের ঘণ্টা পড়ে গেছে। শেফালিকা দি যতক্ষণ পড়াচ্ছিলেন ততক্ষণ যেন একটা তন্ময়তার মধ্যে ছিলো ও। আসলে ওর স্বভাবটাই ওরকম। যখন যেটা করে প্রাণ দিয়ে করে। তার মধ্যে একাত্ম হয়ে যায়। ওর এই স্বভাবের জন্য সকলে ওকে খুবই পচ্ছন্দ করে। শুধু মা মাঝে মাঝে বলে - কষ্ট পাবি রে! জীবনে সবকিছু অত সিরিয়াসলি নিতে নেই। লাইফ ইজ নট দ্যাট আ সিরিয়াস বিজনেস শোভা বুঝে পায়না মা কেন বলে কথাগুলো। শুধু এই কথা গুলো বলার সময় মা যেন মনে মনে অনেক দূরে কোথাও চলে যায়। হ্যাঁ, এটা বুঝতে শোভার অন্তত কোনো অসুবিধে হয় না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumu | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৯46742
  • খুব ভাল লেখা,কৌশিক।আরো লিখুন,তাড়াতাড়ি।
  • hu | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:১৭46743
  • খুব টানটান লেখা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • kaushik | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:০০46744
  • কুমু'দি, hu -
    ধন্যবাদ। সামনের সপ্তাহে পরের পর্ব দিয়ে দেব।

    ভালো থাকবেন।
  • nina | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:১১46746
  • চলুক চলুক---
  • kiki | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৫৯46745
  • বাহ! দারুন।।
  • kaushik | ***:*** | ২২ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:১৭46747
  • চলবে! তবে একটু টাইম লাগছে, দেখি কত তাড়াতাড়ি করা যায় :))
  • Du | ***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৪২46748
  • হারিয়ে গেছে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন