এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:668:4959:6089:a5ee:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১৭733101
  • রঞ্জন দা, আপনি আমার সঙ্গে একমত হলেও আমি আপনার সঙ্গে পুরোটা একমত না মাইরি ;-) কারণ আপনি ভাষার চলন আর প্রমিতকরণ তথা আরোপন আর স্টেট ব্যাকিং আর আলাদা স্টেট এর আলাদা ব্যাকিং আর তার সময় অনুযায়ী এলিট অংশগ্রহণের তারতম্য এইগুলি ধরছেন না, কেবলই সংকীর্ণ অর্থে ফিলোলোজিকাল আলোচনা করছেন। ম্যাট্রিক্সটা খালি সোজা মত করে লিলে হবে ?? :-) এ ভাবে এগোলে, আমরা কি করে সৈকত প্রথমরে ইনছাল্ট কইরা কথা কবো  ;-)  
  • b | 117.238.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৩733102
  • রঞ্জনদা ধন্যবাদ। এই লিস্ট দেখে আমার ধারণাটা আরো পোক্ত হল । 
     
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:668:4959:6089:a5ee:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৭733103
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:a401:47ce:fd19:2658:ae9a:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৩
     
    হিজি, আমি উত্তর দিয়েছি তবে বলেছি ওটা হয়তো প্রধান বিষয় না। আমার ছোটো করে মত হল ব্রজদুলাল বাবুর আর্লি মেডিয়েভাল সংক্রান্ত কাজের পর থেকে, আর উম্বের্তো ইকো দের মেডিয়েভাল নিয়ে লেখার পর থেকে, কলোনিয়াল হিস্টোরিয়োগ্রাফি বা ন্যাশনালিস্ট হিস্টোরিয়োগ্রাফির পিরিয়ড স্ট্রাকচার ধাক্কা খেয়েছে, তাই কলোনিয়াল আধুনিকতার আগের আর্বানিটি নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে। ভারতীয় শহর মানেই মৃচ্ছকটিকম বা বসন্তসেনার জগত আর তার পরে বম্বে প্রেসিডেন্সি, মাঝে সুদু তাজমহল, বিষয়টা এরকম আর নেই। 
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ০২:০৩733107
  • Bodhi
    আমার সীমিত ক্ষমতা l
     
    তুমি যে লেভেলের কথা বলছ সেটা আমার এলেম এর বাইরে l
    তোমরা চালিয়ে যাও l
     
    2 কিন্তু সৈকত বা কাউকেই insult করার কথা কেন? এই বিতর্কে আমার উদ্দেশ্য সেটা তো নয় l
     
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:668:61a4:d82b:b6b1:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ০২:০৭733108
  • উফ ফ বাবা, অনভ্যাসে আপনার কত কি গেছে :-)))
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:668:61a4:d82b:b6b1:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ০২:২৪733109
  • আরেকটা কথা অবশ্য না বললে নয়। আমি রাজনৈতিক ভাবে যেটা ভেবেছি সেটা অবশ্য সাধারণ ভাবে বাঙালি ন্যাশনালিস্ট অবস্থানের কাছাকাছি ----
     
    ভোটের দিন ক্ষণ  তারিখ দিয়ে বাঙ্লা ভাষার উপরে, বাঙালির উপরে অত্যাচার আলাদা করে হয়েছে, বা বাঙলা ভাষার অবমাননা করে বা ভোটের আগে বাঙালির উপরে অত্যাচার করে বিজেপি, তৃণমূলকে সুবিধে করে দিচ্ছে এই কথাগুলি যথেষ্ট আজগুবি। এবং এই দাবী যে, এই করে অর্থনৈতিক বা প্রশাসনিক গাফিলতিকে ঢাকা হচ্ছে বা বিতর্ক টাকে সরানো হচ্ছে, ভোটের কথা মাথায় রেখে, এটা আরো আজব দাবী। 

    এটা বোঝা দরকার, অর্থনৈতিক বিষয়ে সাধারণ মানুষের ন্যুনতম সুরাহার বিষয়ে সরকারের নির্লজ্জ ব্যর্থতাটা, এখন ভোটের রুটিন নিরপেক্ষে সত্য, এবং বিশেষ করে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই বিষয়টি তীব্রতর হয়েছে। বাংলা ভাষার উপরে, হিন্দী ছাড়া সব ভাষার উপরে আক্রমণের ইতিহাসটি ও নির্বাচনের দিন ক্ষণ মেপে খুব হচ্ছে না, বহুদিন ধরেই হচ্ছে। ঠিক যেমনটি হচ্ছে মুসলমান, নানা ধরণের আদিবাসী ও দলিত এবং মহিলাদের উপরে, এবং তাঁদের জীবনের পার্থিব আকাঙ্খাগুলিকে তাঁদেরই সত্বা ও সংস্কৃতি বিরোধী বলে প্রচার করা হচ্ছে। এবং ভাষার উপরে আক্রমণটা যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আক্রমণের অংগ এটাও খুব পরিষ্কার করে বোঝা দরকার। 

    আরো বিষয় হল কথ্য ভাষার বৈচিত্র , প্রমিত এবং সাধারণিকৃত ভাষার, সরকারী কাজকর্মের ভাষার প্রয়োজনের বিষয়টি কিছুুটা আলাদা, দুটোর রাজনীতি ও যথেষ্ট আলাদা, কারণ একটি সামাজিক নিয়ন্ত্রন, ধারণার প্রকাশ বা তার বিরুদ্ধে পথচলতি তীর্যক ভাবের পরিসর যা সেই ভাষারই সম্পদ, অন্যটা সরাসরি রাজনৈতিক প্রযুক্তি। 

    অহমিয়া সত্ত্বার রাজনীতি বাঙলা ভাষার উপরে যে আক্রমণ শুরু করেছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসে, এখন সেটাই সারা দেশের মডেল। ভারতীয় বাঙালি, আমি বাংলাদেশি নই, আমি রোহিংগা নই বলে আর্তনাদ করে বাঁচবে বলে মনে হয় না। বাংলা আমাদের ভাষা, তার অসংখ্য কথ্য রূপ দেশে ও বাংলাদেশে মূলতঃ ছাড়িয়ে রয়েছে , এবং ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের পরে নতুন করে ধর্মীয় বা ভাষার প্রশ্নে ভারতীয়দের মধ্যে নতুন বিভাজন বা অকারণে একটা প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের প্রতি, আরেকটা প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত একটি জনজাতির প্রতি ঘৃণার চাষে আমরা অংশগ্রহণ করব না, এই সুস্থ স্বাভাবিক কথাগুলিকে শ্লোগানের আকারে বলাটা সুস্থ রাজনীতির প্রবক্তাদের কাজ হওয়া উচিত।

    এবং তাতে করে অর্থনৈতিক, নারী নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক বিষয়ে প্রতিরোধের ধার কমে যাবে এটা ভাবা ও মুর্খামি কারণ ধার বাড়াতে থাকলেই কমার প্রশ্ন থাকবে না। চলতি রাজনীতি এক বিষয় কেন্দ্রিক কখনোই না। 
     
    ----
    উপরের কথা গুলো আমি প্রতীক এর একটা লেখা ইন্ট্রো করতে গিয়ে বলেছি। 
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৫২733113
  • Bodhisattva 
    100% সত্যি কথা l
    কতদিন ধরে চাইছিলাম যে এই কথাগুলো কেউ তো বলুক,  জোর গলায় বলুক l
     
    আমি আজকাল খোলাখুলি রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে যাই l
    বুড়ো হয়েছি,  ক্লান্ত l
     
    কিন্তু insult নিয়ে বোকার মত কথা বলার জন্যে সরি l
    ঠিক বলেছ, টিউব লাইট হয়ে গেছি l ভোঁতা  এবং মরচে ধরা l
  • Ranjan Roy | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৯733114
  • @ সত্যেন্দু সান্যাল,
               আমি দেশের বাইরে আছি। তাই হাতের কাছে বই নেই। যদ্দূর মনে পড়ছে নেতাজির 'দিল্লি চলো' প্রবন্ধ সংগ্রহে ভাষা ও লিপি নিয়ে প্রবন্ধটি রয়েছে।
    তবে এখানে বিপরীত দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণ পাচ্ছি। 
     
     সাভারকর চাইতেন লিপি হবে দেবনাগরী, ভাষা হনে সংস্কৃত--তবেই ভারতবর্ষে ঐক্য স্থাপিত হবে।
    নেতাজি চাইতেন  লিপি হবে রোমান, ভাষা হিন্দুস্তানি --অর্থাৎ উর্দু মিশ্রিত হিন্দি।
     
    আই এন এর মার্চিং সং মনে করুনঃ
    কদম কদম বঢ়ায়ে জা,
    খুশি কে গীত গায়ে জা,
    ইয়ে জিন্দগী হ্যায় কৌম কী,
    কৌম পে লুটায়ে জা।
     
    উর্দু শব্দের ছড়াছড়ি একেবারে!
     
    সাভারকর সুভাষচন্দ্রের ভাষা ও লিপি প্রশ্নে অবস্থানকে তীব্র আক্রমণ করলেন । তাঁর লেখা থেকেও পাওয়া যাচ্ছে সুভাষের বক্তব্য।
     
    তথ্যসূত্রঃ
     
    ১ সাভারকর,’বিবিধ লেখ’, পৃঃ ৮০-৯১ এবং 
    ২  বৈভব পুরন্দরে, ‘সাভারকর’, পৃঃ ২৩৮। 
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:c53b:648b:ae15:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৪733120
  • @ রঞ্জন রায় 
    আপনার স্মৃতি উদ্ধৃত 'দিল্লি চলো' প্রবন্ধ সংগ্রহ বইটি আমার অজানা ছিলো,নেতাজির ভাবনা-চিন্তা বিষয়ে এইটি প্রামান্য বই অবশ্যই।
    তবে এইটিতে ভাষা বিষয়ে কোন আলোচনা নেই। পরে দেশে ফিরলে চর্চা হতে পারে।
    মনে হয় যেহেতু আই-এন-এ প্রধানতঃ যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো এবং এর মধ্যে পাঞ্জাবি হিন্দু শিখ ও মুসলমানদের প্রাধান্য ছিলো সে হিসেবে হিন্দুস্তানির চয়ন প্রয়োজনীয় ছিলো।
  • MP | 115.187.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৬733122
  • দুঃখীর অবস্থায় উপেক্ষা কোরো না, প্রিয়, চোখে জল এনে কথার ছলে,
    যে বিরহ-যন্ত্রণা সহ্য হয় না, হে প্রাণ, কেন তুমি চিঠি পাঠাও না?
    বিরহের রাত চুলের মতো দীর্ঘ, মিলনের দিন ক্ষণস্থায়ী জীবন সম,
    সখী, প্রিয়তমকে না দেখে কিভাবে কাটাই আমি এই অন্ধকার রাতগুলি?
    হঠাৎ হৃদয় থেকে দুই চোখের জাদু, শত ছলনা করে শান্তি কেড়ে নেয়,
    কে শুনবে আমার কথা, হে প্রিয়, তোমার কাছে পৌঁছাবে কি আমার বাণী?
    জ্বলন্ত মোমের মতো, সূর্যকিরণে ধূলিকণার মতো ব্যাকুল, শেষ পর্যন্ত
    না চোখে ঘুম, না দেহে শান্তি, না তুমি আসো, না পাঠাও চিঠি।
    প্রিয়তমার মিলনদিনের শপথ, হে 'খসরু', দারিদ্র্যের আর্তনাদ শোনো,
    আমি মনকে শান্ত করবো যদি পাই প্রিয়ার কোনো সংবাদ।
     
    Zihal-e-Mishkin কাব্যের বাংলাতে অনুবাদ করলাম | ডিপসিক ব্যবহার করেছি | যারা উর্দু জানেন , কতটা ভুল হলো জানাবেন প্লিজ |
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:80ac:3ab0:a7fe:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:২৬733135
  • কলিকাতাস্থ মান্যবরেরা আজ বাইশে শ্রাবনে তৃনমূল আয়োজিত রাখি উতসব এবং নানান নেতার বক্তব্য শুনেছেন হয়তো।
    এই সঙ্গে বাংলাদেশস্থ দুইজনের আলোচনা ও সংলগ্ন করলাম।
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 149.142.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৪733139
  • ছোট বি'র সাথে একমত। পাকিস্তানি দোকানে গেলে দুটো ভাষা দেয়া রকমই  লাগে। রঞ্জন দা যে পরিমণ্ডল এর কথা বলছেন তা সতন্ত্র। 
  • Ranjan Roy | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ১২:০২733144
  • না, হিজি-বিজ-বিজ,
    পাকিস্তানে দোকানে গিয়ে হিন্দি ও উর্দূর ফারাকটা বোঝা যাবে না।
    কারণ, পাকিস্তানে খালিস উর্দূ রাষ্ট্রভাষা, ওখানে খড়িবোলী হিন্দির অস্তিত্বই নেই।
     
    ভারতের রাষ্ট্রভাষা খড়িবোলী হিন্দি; অথচ পাশাপাশি উর্দূ টিকে আছে।
    হিন্দি ভাষী দেখা হলে  অভিবাদনে বলবে--নমস্কার! অথবা জয় রামজী কে!
    উর্দূ ভাষী বলবে--আসালেকুম সালাম! 
     খাড়িবোলী হিন্দিওলা আপনাকে বলবে শ্রীমানজী! উর্দূওলা বলবে--জনাব। 
    দুটো ভাষার তফাৎ স্পষ্ট বোঝা যেত যখন আকাশবাণীতে হিন্দি ও উর্দূতে খবর পড়া হত।
    জানিনা আজকাল উর্দূতে খবর পড়া হয় কিনা।
     
    সমস্যা হোল আপনারা  হিন্দি বলতে খড়িবোলী হিন্দিকে আমল দিচ্ছেন না, যদিও ওটাই রাষ্ট্রভাষা হিন্দি। আপনারা কথ্য   হিন্দুস্তানিকেই (হিন্দি+ উর্দূ) হিন্দি অথবা উর্দু মনে করছেন। যেটা মুম্বাইয়া সিনেমায় বলা হয়। পাকিস্তানি দোকানেও খদ্দেরের সুবিধের জন্য খালিস উর্দূ না বলে হিন্দুস্থানিই বলা হয়। 
     
    খড়িবোলী হিন্দি চলছে সরকারী গেজেটে, সমস্ত চিঠিপত্রে, হিন্দি খবরের কাগজে, পাঠ্যপুস্তকে। এমনকি পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অর্থনীতি, সব বিষয়ের বইয়ে--কলেজ স্তরেও।
     
    তফাত বুঝতে হলে পাকিস্তানি দোকান নয়, গোবলয়ে যান। রাজস্থান, পাঞ্জাব, ইউপি, বিহার, উত্তরাখন্ড, এম পি ও ছত্তিশগড়ে। গিয়ে দোকানদার, স্কুল শিক্ষকদের জিজ্ঞেস করুন-- হিন্দি ও উর্দূ তো বলতে গেলে একই, খালি লিপির তফাৎ, তাই না? ক্যা কহতে হ্যায় আপ?
     
    দেখুন কী উত্তর আসে।
     
    আর দুটো ভাষা যদি একই  হত তাহলে দেশভাগের পর নেহরুজীর আমলে খড়িবোলী হিন্দি বনাম উর্দূ নিয়ে এত বিতর্ক, ভোটাভুটি হোল কেন? নেহরু পরিবার তো দুটো ভাষাই ভাল করে জানতেন!
    একটু ভাবুন।
  • MP | 2409:4060:e83:96e9:374d:3eba:e6ed:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৪733145
  • @ রঞ্জন বাবু , আপনি তো অনেকবার পাকিস্তান গেছেন আচ্ছা ওখানে তো পাঞ্জাবি পাশতুন সিন্ধি বালুচ কাশ্মীরি সরাইকি অনেকে আছে তারা কি সবাই হিন্দুস্তানিতেই কথা বলেন আপনার সঙ্গে ? মানে পাকিস্তানে সবাই কি হিন্দুস্তানিতেই নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করে ?
  • অজ্যোচ | 149.88.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২৭733149
  • রঞ্জনবাবু লিখেছেন - "ভারতের রাষ্ট্রভাষা খড়িবোলী হিন্দি"
     
    ভারতের কোন‌ও রাষ্ট্রভাষা নেই। ভারত সরকারের রাজভাষা হিন্দি এবং সহায়ক রাজভাষা ইংরেজি। রাজ্য সরকারগুলোর অন্য রাজভাষা থাকতে পারে, যেমন‌ ওড়িশার ওড়িয়া ইত্যাদি। 
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:218f:4fe7:5f2c:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৩৪733153
  • ভারতের ভাষা বৈচিত্রের গভীরতা কেবল ঠেট হিন্দি বা খালিস উর্দুর লিপির পার্থক্যে সীমাবদ্ধ নয়। উদাহরন স্বরূপ মারোয়াড়ির দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। মারোয়াড়ির লিখন হুবহু দেবনাগরী স্ক্রিপ্টে লেখা হয়ে থাকে। কিন্তু মারোয়াড়ির শব্দ সম্ভার হিন্দির থেকে স্বতন্ত্র। এর বাক্য নির্মান পদ্ধতি ও আলাদা। এ ছাড়া রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় বাচনভঙ্গি ও পৃথক। জয়পুর বা বিকানের বা যোধপুরের কথ্য ভাষায় বিস্তর তফাৎ আছে।
    অর্থাত এই যে “Othering” এর শিকড় গভীর।
    এমতাবস্থায় বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান এর সুচেতনা দূরতর দ্বীপ হয়ে থাকার আশঙ্কা প্রবল। সে অনেক শতাব্দীর কাজ……..অনন্ত সূর্য্যোদয় ও দূর অস্ত…………
     
  • MP | 2401:4900:3f04:26c4:6b07:67f8:b5a3:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৩733154
  • @সত্যেন্দু , রাজস্থানের ভাষা গুলোতেও কি পারসিক তুর্কি আরবী শব্দের ছড়াছড়ি যেমন বাংলাতে আছে ? আপনি কি বলেন ?
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:218f:4fe7:5f2c:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪৪733158
  • @ MP,
    আমি মোটেও রাজস্থানের বিভিন্ন dialects বিষয়ে পারঙ্গম নই। মারোয়াড়ি, শেখাওয়াটি, হাদৌটি ইত্যাদি নানা ভার্সন আছে। এদের মধ্যে loan words এর সংখ্যা আমার সম্পূর্ন অজ্ঞাত।
    আপনো জয়পুরে দৈনন্দিন কথোপকথনে হিন্দুস্তানিই ব্যবহার করে থাকি। রাজস্থানীরা আমার সঙ্গে বাক্যালাপ করলে ঐ হিন্দুস্তানিই ব্যবহার করে। কিন্তু এদের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় অনেকাংশ হিন্দি শব্দের থেকে আলাদা দেখতে পাই। রাজস্থানী খবরের কাগজে কিন্তু হিন্দুস্তানিই ব্যবহৃত হয়।
    রাজস্থানী উচ্চারনে ও কিছু অক্ষরে একটি বিচিত্র accent থাকে। একটি ল-ড় মিশ্রিত উচ্চারন আছে যেটি অন্যত্র শুনিনি। হিন্দির “সোনা” এখানে “হোনো” হয়ে যায়। হিন্দির “আপকা” এখানে “থারো” হয়ে যায়।
     
  • Ranjan Roy | ১০ আগস্ট ২০২৫ ০১:২৮733164
  • @MP 
     
    না,  আমি একবারও পাকিস্তানে যাইনি l
  • MP | 2409:4060:2e14:3ffd::57c8:***:*** | ১০ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৪৮733167
  • @রঞ্জন  , প্রবাসে নিশ্চয় অনেক পাকিস্তানী মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে আপনার ! ওখানে তো পাঞ্জাবী পশতু , সরাইকি  , সিন্ধি , বালুচ , কাশ্মিরি  অনেক ভাষা আছে  শুনেছি  তাহলে  নিজেদের  মধ্যে  কথোপকথনে তারা  অন্য কোন  ভাষা  বলেন  নাকি  শুধু  হিন্দুস্তানীতেই  বলেন যেরকম  বলিউড  দেখায়  তা  জানতে  ইচ্ছা  রইলো l 
  • agantuk | 73.189.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৫ ০৫:১৮733193
  • Ranjan Roy | ১১ আগস্ট ২০২৫ ১১:২১733196
  • @এমপি
     
     প্রবাস বলতে হেলসিংকি।
    না, কোন পাকিস্তানি মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় নি। বাস্তবে, কোন বিদেশির সঙ্গে আলাপ হয় নি কিছু ট্যাক্সিচালক ছাড়া। 
  • Ranjan Roy | ১১ আগস্ট ২০২৫ ১১:২৪733197
  • আমার একটি প্রশ্নঃ
     হিন্দিভাষী লোকজনের কাছে বাংলা ও অসমিয়া ভাষা কি প্রায় এক মনে হয়? 
    তাহলে বাঙালি কানে হিন্দুস্তানি ও উর্দু এক লাগতে পারে। 
     
    কিন্তু সংস্কৃত এবং তৎসম শব্দবহুল খড়িবোলী হিন্দি কী করে উর্দুর সমান মনে হয়?
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c7b:4518:7581:c3f4:f6e0:***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৫ ১০:০৩733293
  • @ রঞ্জন রায়,
     
    আপনার প্রশ্নের প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেলো, জয়পুর শহরে এমন অনেক হিন্দিভাষী আছেন যারা বাংলা বা অহমিয়া ভাষায় স্বচ্ছন্দ। আমার সঙ্গে এঁরা বাংলায় কথা বলে নিজের multi-lingual skills জাহির করা পছন্দ করেন। And no, none of them have ever accused me of being a বাংলাদেশী। তবে হ্যাঁ, বয়োজ্যেষ্ঠ রাজস্থানীরা যখন শোনেন আমি বাঙালি হয়েও কখনো গঙ্গাসাগর এ পুন্যস্নান করিনি, তখন আমার ধর্মপ্রানতা নিয়ে সন্দিহান হন বটে।
    উর্দু ভাষার ৯০% ক্রিয়াপদ এবং বাক্যগঠন প্রনালী প্রাকৃত থেকে ধার করা।
    এই বিষয়ে একটি লিখন সংলগ্ন হৈল।
     
     
    BTW, "বোলনা" শব্দটি প্রাচীন সৌরশেনী প্রাকৃত থেকে ধার করা। 
    হেলসিংকিতে বসে এই শব্দটির versatility উপভোগ করুন।
     
  • তৃতীয় পক্ষ | 155.4.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০২৫ ১২:১২733294
  • রঞ্জনবাবু আপনি সম্ভবতঃ শব্দভাণ্ডার দিয়ে ভাষার পরিচয় চিহ্নিত করছেন আর আপনার বিরুদ্ধমত ভাষার কাঠামো দিয়ে। একারণে হিন্দি আর উর্দু এক না আলাদা এই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। 
     
    এইভাবে ভেবে দেখতে পারেন - বাঙলা ভাষার প্রচলিত ততসম-তদ্ভব শব্দরাজিকে আরবী-ফার্সী দিয়ে প্রতিস্থাপনা করলে কি তা অন্য ভাষা হয়ে যাবে? 
    "ফজরে উঠিয়া আমি দিলে দিলে বলি - তামাম রোজ আমি যেন নেক হয়ে চলি" জাতীয় ফাজলামি কিন্তু বাংলা-ই। হাস্যকর রকমের খারাপ বাঙলা কিন্তু কোনোমতেই অন্য ভাষা নয়।   

    সেরকমই 'কভিকভি মেরে দিল মে খয়াল আতা হ্যাঁয়' কি উর্দু? আর 'ইয়দা-কদা মেরে মস্তিষ্ক মে ভিচার উৎপন্ন হোতা হ্যাঁয়' তার প্রকৃত হিন্দি অনুবাদ? তাহলে "বাজ-আওকাৎ মেরে কলব মেঁ এক তাসাভুর উভারতা হ্যাঁয়" বললে তা কোথায় দাঁড়ায় ? (আমার হিন্দি-উর্দু দুইই ডডনং, কাজেই গুস্তাখি মাফ।) তবে ভুলচুক যাই হোক - আমার প্রতিপাদ্য হল যেএই দুই বাক্যের উপরিকাঠামোটি - "x" মেরে "y" মে এক "z" -যা কিনা এই ভাষান্তরে বদলাচ্ছে না। এই কাঠামো হিন্দি আর উর্দুর ক্ষেত্রে মোটামুটি এক।
     
    হ্যাঁ,উর্দুর এয়ান-ইজাফত সম্পর্কে আমি অবহিত আছি। গুল-ও-বুলবুল কিংবা জোশ-এ-জবানী জাতীয় কনস্ট্রাক্ট উর্দুর স্পেশালিটি যা হিন্দিতে হয় না। কাজেই এখানে একটা ব্যাকরণ-কাঠামোগত ফারাক ও রয়েছে। সম্ভবতঃ আপনার বিরূদ্ধমত একে উপেক্ষণীয় মনে করছে। 
     
    এই ভাষাতাত্বিক বিতর্কের একটা করোলারি হল যদি আপনি "কভি কভি মেরে দিল" আর "ইয়দা-কদা মেরে মস্তিষ্ক" কে আলাদা ভাষা মানেন তাহলে সম্ভবতঃ গোসল-গোশ্ত-ফজর ইত্যাদির প্রয়োগে যে বাঙলা  তৈরি হয় তাকে বাঙলা মানতে পারবেন না। আর এইখানেই মূল সমস্যা। 
     
    ব্যস আমার কথাটি ফুরুলো। 
  • Ranjan Roy | ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২১:৫৯733299
  • @তৃতীয় পক্ষ
     
     .১ আমেরিকার , স্কটল্যাণ্ডের ,আয়ারল্যান্ডের এবং ইংল্যান্ডের ভাষা -- শব্দ ও উচ্চারণের ভিন্নতা এবং বৈচিত্র্য সত্ত্বেও-- ইংরেজি।  কেন? গ্রামার, সিন্ট্যাক্স কমন বলে। লিপি এবংবর্ণমালাও এক বলে।
     
    একইভাবে দুই বঙ্গের ভাষা--একটা তৎসম বহুল, অন্যটি আরবি ও ফার্সি শব্দের অপেক্ষাকৃত অধিক ব্যবহার-- এসব সত্ত্বেও  নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষা। 
    কেন? ব্যাকরণ, যাতে বাক্যগঠন ও সিন্ট্যাক্স দুটোরই কমন বলে। লিপিও এক। 
     
    ঠিক যেমন আমেরিকায় গচ্চা/গন্না/গট্টা গোছের আমেরিকান ইংলিশ বলা হয় তেমনই বাংলাদেশে আরবী শব্দবহুল বাংলাভাষা বলা হয়। 
     
    ২  উর্দূ ও হিন্দি কিছু কমন থাকলেও আলাদা ভাষা। 
    আপনি বলিউডের যে উদাহরণ দিয়েছেন( কভী কভী মেরে দিল মেঁ)  তা হোল হিন্দুস্তানি-- খালিস উর্দূ এবং খড়িবোলী হিন্দির মধ্যেকার সেতু ভাষা।  উর্দূ শব্দ মিশ্রিত হিন্দি।  এই ভাষাতেই হিন্দি বলয়ের অধিকাংশ আম পাবলিক কথা বলে। 
    আপনারা যাঁরা হিন্দি ও উর্দূর সমসত্ত্ব নিয়ে যুক্তি দিচ্ছেন তাঁরা উদাহরণ নিচ্ছেন হিন্দুস্থানী থেকে, উর্দূ থেকে নয়।
     
    ৩  উর্দূ চেনার সঠিক উপায় পাকিস্তানি রেডিওর বা বিবিসি বা আকাশবাণীর উর্দু প্রোগ্রাম /খবর শোনা। 
    জানিনা আজকাল আকাশবাণীতে উর্দূতে খবর পড়া হয় কিনা।
     
    ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ (বাংলাদেশের জন্ম এর সময় আমার বাবা শুনতেন।
    দেখুন, তখন হিন্দি নিউজে পড়া হত পূর্বী পাকিস্তান , পশ্চিমী পাকিস্তান।
    কিন্তু সেটাই আকাশবাণীর উর্দূ নিউজে  মাশরিক-ই-পাকিস্তান, মাঘ্রিব-ই-পাকিস্তান। উত্তর হোল শামল, দক্ষিণ  জা! 
     
    ৪ আমি যে প্রশ্নটি বারবার রিপিট করছি সেটা নিয়ে বলুন।
    যদি হিন্দি=উর্দূ একই হয়,  তাহলে নেহরু মৌলানা আজাদের মত উর্দূ বিশেষজ্ঞ থাকতে খড়িবোলী হিন্দি  বনাম হিন্দুস্তানি বিতর্ক হোল কেন? ভাষা নিয়ে কমিশন বসল কেন? 
     
    ৫ হিন্দি/উর্দূর সঙ্গে দুই বঙ্গের বাঙ্গলা বিবাদের তুলনা চলে না। কারণ এই দুই ধরণের বাংলার মাঝে 'হিন্দুস্তানি' গোছের কোন সেতুভাষা নেই। 
     
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c7a:c2d2:383f:3032:afa3:***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৩০733300
  • রঞ্জন রায় এবং তৃতীয় পক্ষ,
     
    একবার আমার এক বূদ্ধ সিলেটি-র সাথে কথাকথি হয়েছিলো। 
    আমি বুঝতে পারছিলাম যে উনি বাঙালি, কিন্তু কি বলছিলেন বুঝতে পারছিলাম না।
    আপনাদের কি এই ভাষার বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে?
    সিলেটি কি বাংলার উপভাষা না স্বতন্ত্র এক ভাষা?
  • তৃতীয় পক্ষ | 185.94.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৫ ১১:৪৮733306
  • রঞ্জনবাবু,
    লিপির ভিন্নতাকে আপাতত যদি উপেক্ষা করি, তাহলে কি আপনি হিন্দি আর উর্দুকে এক ভাষা বলে ধরবেন? বিশেষত যখন দুইয়ের মধ্যে গ্রামার, সিন্ট্যাক্স কমন অথবা ব্যাকরণ, যাতে বাক্যগঠন ও সিন্ট্যাক্স দুটোরই কমন
     
    শব্দভান্ডারের বিবিধতা রয়েছে, কিন্তু লক্ষণীয়, উর্দু শব্দভান্ডার বলতে কিছু নেই। পুরোটাই আরবি ও ফারসির লোনওয়র্ড। 
    'খালিস উর্দু' বলে কি কিছু আর আলাদা ভাষা আছে? খালিস তো আরবি শব্দ - যার অর্থ 'শুদ্ধ'  বা 'আদি ও অকৃত্রিম' ( ম' খালিস আলাইহতিরাম = উইথ অল রেস্পেক্ট) 
     
    খড়ীবোলি হল স্টান্ডার্ড ডায়ালেক্ট - লিটেরাল অনুবাদ (খাড়ী = Standing ≈ Standard) এও ঠিক স্বতন্ত্র ভাষা নয়। বরং হিন্দুস্থানির ডায়ালেক্ট।  
     
    আর হিন্দুস্থানিকে যদি আপনি একটি স্বতন্ত্র ভাষা ধরেন, তাহলে হিন্দি আর উর্দু উভয়কেই কোনো পৃথক ভাষা বলে মানা যায় না। কারণ মোটামুটিভাবে স্বীকৃত যে হিন্দি আর উর্দু উভয়েই হিন্দুস্থানির আলাদা রেজিস্টার। উইকিতে দেখতে পারেন - অথবা আর বিশদে দেখতে চাইলে  গুগল বুকস থেকে Dictionary of Historical and Comparative Linguistics - ১৪৯-১৫০ পৃষ্ঠা।
     
    তথাপি, আপনি কি হিন্দি ≠ হিন্দুস্থানি ≠ উর্দু বলতে চাইছেন? এর স্বপক্ষে আপনার যুক্তিগুলি কী? এই তিন ভাষার বাক্যগঠন আর সিনট্যাক্সের পার্থক্য কোথায়? সে পার্থক্য কি 'খেয়েছি' বনাম 'খাইসি' আর 'আমাদের' বনাম 'আমাগো' এর চেয়ে বেশী?
     
    "যদি হিন্দি=উর্দূ একই হয়, তাহলে নেহরু মৌলানা আজাদের মত উর্দূ বিশেষজ্ঞ থাকতে খড়িবোলী হিন্দি বনাম হিন্দুস্তানি বিতর্ক হোল কেন?"  - এ প্রশ্ন সম্ভবতঃ ভাষাতাত্বিক নয়। নেহরু বা আজাদ ভাষাবিদ নন, তাঁরা ছিলেন রাজনীতিবিদ অতএব তাঁদের কাছে হিন্দি ভাষা আর উর্দু ভাষা এক না আলাদা তার থেকে এই দুই ভাষা সম্পর্কিত রাজনৈতিক পরিচয় আলাদা কি না সেটা স্বাভাবিকভাবেই বেশী প্রাসঙ্গিক হবে। আজ নরেন্দ্র মোদীর হাতে যথেষ্ট মেজরিটি থাকলে তিনি আরেকটা কমিশন বসিয়ে বাঙলা ≠ বাংলাদেশী প্রমাণ করে দিতেন। সে রাজনৈতিকতার আমি থোড়াই কেয়ার করি! 
     
    আর সব শেষে লিপির ভিন্নতা বিষয়টিকে রেদুক্তিও আদ আবসুর্দুম করে দেওয়ার জন্য উল্লেখনীয় - ভাষা আর লিপি আলাদা বস্তু। এক ভাষাকে ভিন্ন লিপিতে লিখে ফেললে তা পৃথক ভাষা হয় না। উদাঃ তুর্কী বিফোর এ্যান্ড আফটার কামাল পাশা। 
  • Ranjan Roy | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ১৩:০০733326
  • প্রথম আপত্তিঃ
     আমি ভাষাবিদ নই। কানে শুনে এবং সাধারণ লোকে যেভাবে ওই ভাষাগুলোকে চেনে আমি সেই প্রেক্ষিত থেকে বলছি।
     
    ১ মৌলানা আজাদ আরবি ও উর্দুর পন্ডিত নন?
    কাশ্মীরের নেহরু উর্দু ও হিন্দির তফাত বোঝার জন্য যথেষ্ট সমঝদার নন?
    ২ ফরাসী ভাষা, জর্মন এবং ইংরেজি --সবই একই লিপিতে লেখা হয়। তাহলেও  সেগুলো আলাদা ভাষা।  যদিও সবার আদি উৎস লাতিন। 
    ৩ কিন্তু একই ভাষা, দুটো আলাদা লিপি সমান্তরাল চলে  এমন উদাহরণ? 
    তুর্কির উদাহরণ খাটে না। ওরা  আগের লিপি পরিত্যাগ করে নতুন লিপি নিয়েছে।
     কিন্তু যেখানে বর্ণমালা, লিপি ও উচ্চারণ সমান্তরালে চলছে সেখানে লিপি এবং বর্ণমালা  ভাষার আইডেনটিতির অঙ্গ হয়ে  গেছে সেখানে কী বলবেন?
     
    ৪ আসামী ভাষা এবং বাংলার বর্ণমালা এক,  পেটকাটা ব দিয়ে  র লেখা হয় এমন উদাহরণ হাতে গোণা।
        কিন্তু আসামী আর বাংলা কি একই ভাষা? গ্রামারে সিন্ট্যাক্সে কোথায় ফান্ডামেন্টাল তফাৎ?
     
    মনে হয় আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিন্নসুরে কথা বলছি।
    উর্দু ১২শ শতাব্দীর আগে ছিল না। আজকের হিন্দুস্তানীও ছিল না। এলিটের ভাষা ছিল সংস্কৃত, আম আদমির প্রাকৃত।
    সেখানে ফার্সি ও আরবি মিলে হোল হিন্দুস্তানি যা উত্তর ভারতে সবাই বোঝে।
    তার থেকে আরবি ফার্সি বাদ দিয়ে কেবল তৎসম শব্দের উপর জোর দিয়ে কৃত্রিম ভাবে শুরু হোল খড়িবোলী হিন্দি।
    কিন্তু  সত্তর বছরের অভ্যাসের ফলে এখন উত্তর ভারতের পাঠ্যপুস্তক, সরকারি কাজকর্ম সবই চলে খড়িবোলী হিন্দিতে। ওটাই এখন স্ট্যান্ডার্ড। এখন আর কানে বাজে না।
    আপনাদের অনভ্যস্ত কানে বেসুরো লাগবে।
    একটা কাল্পনিক কিন্তু বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি।
     
    আমি ব্যাংকের এক শাখার থেকে হেড অফিসে চিঠি লিখছি। বিষয় আমার এখানে কিছুদিনের জন্যে এক স্টাফ ডেপুটেশনে পাঠাতে। দেখতে এরকম হবে।
     
    প্রতি,
    মহাপ্রবন্ধক,
    -------ব্যাংক
    প্রাধান কার্যালয়
    ঠিকানা
    ==========
    বিষয়ঃ  এক কার্মিক কী অল্পকালীন প্রতিনিযুক্তি 
     
    আদরণীয় মহোদয়,
     সনম্র নিবেদন হ্যায় কি হমারী শাখা মেঁ এক করণিক কী অল্পকালীন প্রতিনিযুক্তি কী আবশ্যকতা হ্যায়।
    কারণ, বর্তমান পক্ষকালীন জমা অভিযান হেতু  হমারী শাখা মেঁ প্রাপ্ত নকদ রাশি কী অধিকতা  হো গয়া। ইসকী উচিত প্রবন্ধন হেতু বর্তমান মেঁ উপলব্ধ সেবাযুক্ত কী সংখ্যা  অপর্যাপ্ত  হ্যায়।
    বিশেষ রূপ সে এক মহিলা করণিক আকস্মিক অস্বস্থ হো কর অবকাশ পর হ্যায়। 
     অতঃ মহোদয় সে প্রার্থনা হ্যায় কি হমারী ইস নিবেদন কো সহৃদয়তা পূর্বক বিচার করকে কিসী নিকটস্থ শাখা সে এক সেবাযুক্ত কো হমারী শাখা মেঁ  ন্যুনতম পন্দ্রহ দিন কে লিয়ে  প্রতিনিযুক্তি পর প্রেষিত করনে কী কৃপা করেঁ।
     
    ভবদীয়
     
    শাখা প্রবন্ধক
     
     
    দেখুন অভ্যাসে এসে গেছে উর্দু/ফার্সি বাদ দেওয়া।
     
    কাজেই ভাষাতাত্ত্বিক বিচার,  আগে কী ছিল কে মাতা কে পিতামহী --এসব তত্ত্বজিজ্ঞাসা আজ অর্থহীন। এসব দিয়ে দক্ষিণপন্থী প্রচারের মোকাবিলা করা যাবে না।
    .১ আজকের শতাব্দীর ভারতে দাঁড়িয়ে বলতে হবে-- ঠিক আছে, খড়িবোলী হিন্দি আর খালিস উর্দু --দুটো আলাদা ভাষা হলেও  ভারতে উদ্ভুত । দুটোই সংবিধান স্বীকৃত ভাষা। কেউ সুয়োরাণী দুয়োরাণী নয়। দুটোই সমান মর্যাদা এবং সরকারের সমান পৃষ্ঠপোষকতার দাবি করে।
    ২ কোন ভাষাকে ধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত করা ভুল।
      হিন্দু শাস্ত্র হিন্দিতে লেখা হয় নি, হয়েছে সংস্কৃতে।
     কুরান উর্দুতে লেখা হয় নি, হয়েছে  আরবিতে।
     
    হিন্দুস্থানিতে লেখাপত্র আগের মতন শুরু হোক। যেমন সুনন্দ'র জার্নালে নারায়ণ গাঙ্গুলি লিখেছিলেন--আমরা কি ইন্তেজার করি ? না প্রতীক্ষা করি? 
    বোলচালের ভাষা হিন্দুস্থানির জয় হোক। 
    হিন্দি ও উর্দু   থাক পাশাপাশি, সম্মানের সঙ্গে।   
  • তৃতীয় পক্ষ | 155.4.***.*** | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪৪733338
  • ®রঞ্জনবাবু - ভাষার সাথে মানুষের পরিচয় জড়িত আর মানুষের পরিচয়ের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে রাজনীতি। কাজেই একই ভাষাকে আলাদা লিপিতে লিখে, তার রাজনৈতিক পরিচয় বদল করা হিন্দী-উর্দুর ক্ষেত্রে ইউনিক ব্যাপার নয়। একই ভাষা, দুটো আলাদা লিপি সমান্তরাল চলে  এমন উদাহরণ চাই? বসনিয়ান ভাষা চলবে? 
     
    শুধু বসনিয়ান নয় বসনিয়ান ক্রোয়েশিয়ান এবং সারবিয়ান এই তিন ভাষা (সম্ভবতঃ আজকাল মন্তেনেগ্রিন ভাষাও) মূলতঃ একই আজকাল স্রেফ রাজনৈতিক কারণে টেনে তিনটুকরা করা হয়েছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন