জেণ্ডার পলিটিক্স না বুঝেই পপুলার লাইন নামানো। 'পলিটিকাল কারেক্টনেস' টুকুও নেই। আর শুধুমাত্র অত্যাচারের গল্প, যা তখনও ছিল এখনও আছে ,, শোনানোর মধ্যে পলিটিকাল কারেক্টনেস আসার জায়গায় বা কই!
মাস্টার ডিন্কর চরিত্রটি আমার নিজের দাদা করেছে
Hothat Bangali der Hindi niye eto matha betha ta bes sondeho jonok.
Cinema ta dekhini, Hindi cinema dekhte temon bhalo lage na bole-tobe apnar review pore mone hocche- ekbar analysis korar jonye dekha jete pare :-)
হঠাৎ কেন হবে? হিন্দি আগ্রাসন অনেক পুরনো ইস্যু, দিনে দিনে প্রাসঙ্গিকতা বাড়ছে।
পুরো রিভিউ এ লেখক একটাই কথা বারবার লিখেছে যে 1900 সালে বাঙালি ,বাঙালি নারীর পোশাক কেমন ছিল। উনি বোধহয় সিনেমার শুরুটা fiction বলে যে লেখাটি থাকে সেটা না দেখতে পেয়েই এইসব করেছে। অভিনয় নিয়ে একটাও শব্দ নেই !!!
এটাতেই বুঝে নেয়া দরকার এটা কোন ধরনের রিভিউ
রাম জন্মানোর আগেই ‘রামায়ণ’ রচিত হয়ে থাকলে রবীন্দ্রনাথের জন্মের আগেই বাঙ্গালী রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলে ক্ষতি কি? ‘আন্না কারেনিনা’-য় এক ভারতীয় স্পিরিচ্যুয়াল গ্রুপ রাশিয়ায় এসেছে এটা দেখাতে গিয়ে নিয়ে বাংলায় গান গাওয়া হয়েছে...দেখা হয়নি অবশ্য। ‘বুলবুল’-ও দেখা হয়নি। চারপাশের তোলপাড়ে মনে হচ্ছে দেখতে হবে। তবে, বাংলাদেশীদের নিয়ে একটি মন্তব্য ভাল লাগল না। আমাদের সামগ্রিক শিক্ষার মান এখনো অব্দি খুব খারাপ সেটা আমরা নিজেরাই স্বীকার করি। হতদরিদ্রদের জন্য মাদ্রাসা, মধ্যবিত্ত ছেলে-মেয়েদের জন্য বাংলা শিক্ষা মাধ্যম আর উচ্চবিত্তদের ইংরেজি মাধ্যম...বাংলা মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা এম,এ, পাস করেও এক পংক্তি ইংরেজি শুদ্ধ ভাবে লিখতে-বলতে পারছে এটা বেশ কম। প্রমিত বাংলা বলতে পারেন না অনেক মন্ত্রী-সচিব বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। আবার এত কিছুর ভেতরও স্প্যানিশ-ফরাসী-ইতালীয় এবং অবশ্যই ইংরেজিও একদমই কেউ শিখছে না বা পারছে না সেটাও ঠিক নয়। ইউরোপীয় অনেক দেশেরই রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা ইংরেজি ভাল জানেন না। আবার সেসব দেশে অনেক শিশুই ‘পলিগ্লট’ বা বহুভাষীও হয়। যাহোক, শিক্ষায় ভারতীয়দের গড় মান আজো উন্নততর ধরে নিচ্ছি। আবার পশ্চিম বাংলায় আমাদের প্রজন্মের কেউ কেউ আদৌ কম্পিউটার বা ইংরেজি পারেন না এমনো দু/একজনকে দেখেছি।
যদি ধরে নিই ছবিটা হিন্দি না বাংলা না স্প্যানিশ তাতে কিছু এসে যায় না তাহ'লে শুরুতে স্থান কাল জানিয়ে কি ধাঁধা দেওয়া হ'ল? বুঝতে পারিনি নিশ্চয়। আরও বুঝলাম না ভাষাটা যখন গৌণ তখন ছবিটা বাংলা ছবি হ'লেও তো কিছু পার্থক্য হ'ত না। একটু সুবিধে হ'ত যে দেবর বৌদি বাংলায় লিখতে পারত। যাকগে এসব নিতান্ত টেকনিক্যাল ব্যাপার। যা যা দেখানোর তাই সব দেখানো হয়েছে, নানা অনুষঙ্গ - চারুলতা, রবি ও নতুন বৌঠান, চড়া গোলাপী রং- এর ছড়াছড়ি (কোথায় যেন খুব লাল রং-এর ব্যবহার ছিল) - মনে পড়িয়ে দিয়েছে । অনেক কিছু পাওয়া গেছে , চিত্রনাট্য অতিসরলীকৃত হলেই বা কি। পল্লবগ্রাহীতা বলে তুচ্ছ করলে সেটা নিতান্ত ঈর্ষার পরিচয়। আর পলিটিক্যালি কারেক্ট হ'লে খারাপ কি, ভালই তো।
না- না- সেটা কিছু মনে করিনি। সামগ্রিক ভাবে আমাদের শিক্ষার মান খুব গর্ব করার মত না। তাই ভারতীয় ত’ বটেই, এখন নেপালী-ভুটানীরাও আমাদের কাজের বাজারে ঢুকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকছে। এক বাংলাদেশী শুদ্ধ ব্যকরণে দুই লাইন ইংরেজি পারলে ত্রিশ জন বাংলাদেশী তার বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে অফিস থেকে তাড়ায়। যত ভুল বা অপ্রমিত বাংলা বলবেন, তত বিদেশে ট্রেনিং থেকে প্রমোশন সব পাবেন। এসব আছে। তবে, উর্দূ নিয়ে আর একটু বলা যায়। আমাদের অফিসে এক বিহারী চাচী ছিলেন। অফিসে রান্নার কাজ করতেন। ঢাকায় পাক আমলে তাদের ভাল দালান-কোঠা ছিল। একাত্তরের যুদ্ধে অধিকাংশ বিহারীই পাক বাহিনীর বাঙ্গালী গণহত্যার পক্ষে ছিল বলে স্বাভাবিক ভাবেই যুদ্ধের পর বাঙ্গালীরা প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ওদের অনেক দালান-কোঠা, ব্যবসা বা দোকান-পাট দখল করে। এই চাচীদেরও তাই হয়। এখন রিফিউজি ক্যাম্পে বস্তির মত ঘরে থাকে আর অফিসে রান্না করে। বয়স হয়ে গেলেও খুব ফর্সা আর সবুজ চোখের এই মহিলা এসেছেন উত্তর ভারত থেকে। একদিন দু:খ করে বলছিলেন, ‘আমার আম্মা লাখনৌ শহরের মেয়ে আর সে বলতো ফার্সি উর্দূ যেইটা আমরা আর বলতে পারি না। দেশভাগের পর ঢাকায় চলে আসছি আর আমরা বলি সাধারণ উর্দূ। আমার ছেলে-মেয়েদের উর্দূতে বাংলা মিশানো।”
এগুলো উৎকৃষ্ট সিনেমা কেউ বলছে না।জনপ্রিয় সিনেমা। হলিউড এর ব্লক বাস্টার লায়ন কিং, মাকানাস গোল্ড,অভাতার,আয়রন ম্যান,স্পাইডার ম্যান,ব্যাট মান,কিং কং, র্যাম্বো, ইন্ডিপেন্ডেনস ডে, ইটি - এগুলোর মধ্যেই বা কি এমন উৎকর্ষ খুঁজে পেয়েছেন? সিনেমা দেখতে হলে আসে, পয়সা উসুল করতে ।খুব জ্ঞান এর বোঝা নিয়ে কি করবে জন গণ?
হিন্দি ছবির হলে নাচ , গান, ঢিসুম ঢাসুম।বাংলা হলে একটা সুন্দর গপ্পো, গান আর কিছু মেলোড্রামা।
আমার তো যেকোনো দিন ঋত্বিক ঘটকের চেয়ে তপন সিনহা বা সত্যজিৎ ভালো লাগে।কারণ তপন সিনহার ছবিতে গপ্পো থাকে ,কি বলতে চাইছে সেটা বোঝা যায়।
শোলে ভালো লাগে। শক্তি বাবুর,গ্রেট গ্যম্বলার ভালো লাগে।খাইকে পান এর নাচ ভালো লাগে। দো লবজো কি হ্যায় এক কাহানী শুনতে দারুন লাগে।
আর্ট ফিল্ম বলে,যেগুলো হতো কিছু কাল আগে।সেগুলো বিশ্রী লাগে।বরঞ্চ এখন নতুন কম বাজেট এর অন্য ঘরানার হিন্দি ছবি ,যেমন ভিকি ডোনার, অন্ধা ধুন,থ্রি ইডিয়েটস,মুন্না ভাই, বজরঙ্গী ভাইজান,অপহরণ,এগুলো ভালো লাগে।
শক্তি সামন্ত, সেই হিসাবে কলকাতার বাঙালি নন। ইউ পি তে বড় হয়েছেন।ইউ পি র কালচার মজ্জায় ঢুকে ছিলো।
ভালো হিন্দি জানেন বলে,বিমল রায় কাজ দেন।এই বিমল বাবু যে কতজন কে উঠিয়েছেন,তার হিসাব নেই।
এনি ওয়েজ,শক্তি বাবু হিন্দি সিনেমায় বাঙালি কালচার প্রমোট করেছেন।রাজেশ খান্না কে ধুতি পরিয়ে একটিং করিয়েছেন।আবার কলকাতার টলিউড এর সিনেমায় টিপিক্যাল হিন্দি ছবির মালমশলা ঢুকিয়েছেন।বিচক্ষণ ডিরেক্টর হিসাবে জানতেন,বাংলা সিনেমা শিল্প ক্ষয়িষ্ণু।টিকে থাকতে গেলে, বোম্বাই আইটেম ঢোকাতে হবে। এখন যেমন সাউথ এর ছবি,রিমেক হচ্ছে। কি করা যাবে?
বাংলা সিনেমায় এখন না থাকে কোন গপ্পো।না থাকে ভালো কমেডি।না আছে,সিনেমা দেখে যাবার মজা।
কলা কুশলী দের স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু খারাপ নয়।অডিয়েন্স ও ছোট নয়।
ওহ, শুনে খুব খুশি লাগছে, দাদা! আশা করি আপনার বক্তব্য সত্য হয়ে উঠবে। অন্যথায় আমাদের কাজের বাজারটি কেবল ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান বা পাকিস্তানীরা নয়, নেপালি ও ভুটানীয়রাও জিতেছে। ধন্যবাদ.@ dc
খুব গভীর একটি লেখা, সকল নির্দেশক ও তার টিমের এইজন্যই কিছু pre production ও research work করা দরকার
নেটফ্লিক্সের এখন যে হিন্দি ভাষার সিনেমা গুলো আসছে আমি খুব বেশি দেখিনি মাত্র দুটি সিনেমা দেখেছি বার্ড অফ ব্লাড এম্রান হাশমি শাহরুখ খানের এবং বেতাল । এর আগে একটি সিনেমা দেখেছিলাম সেটা অবশ্য সরাসরি torrentডাউনলোড করে লায়লা । লায়লা আমার কিন্তু গল্প হিসেবে খুব ভালো লেগেছে। বার্ড অফ ব্লাড কনটেন্ট একেবারে খারাপ লেগেছে আমার মনে হয় এটি আমার দেখা সবচেয়ে নিচু স্তরের সিনেমা সবকিছুই খারাপ হয়েছিল এবং মনে হয়েছে যে পরিচালক যেসব যেসব দর্শকের কথা ভেবে সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন তারা একেবারেই পরিণত মনের নয় । তুলনামূলকভাবে বেতাল এবং লায়লা অনেকটাই বাস্তবোচিত বলে আমার মনে হয়েছে । দুঃখের বিষয় নেটফ্লিক্সের বেশিরভাগ সিনেমায় এখন ওই বার্ড অফ ব্লাড জাতীয় নিম্নস্তরের সিনেমাগুলির যেসব দর্শকদের কথা ভেবে বানানো হয় তারা পরিনত মনের মত নয় এই কারণেই নেটফ্লিক্সের হয়তো এতটা খারাপ আপনারা কি বলেন?
বিভ্রান্তিকরভাবে বাউলগান ‘কলঙ্কিনী রাধা’কে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষ্কা শর্মা প্রযোজিত ‘বুলবুল’ সিনেমায়। অপমান করা হয়েছে হিন্দুধর্মকে। তাই বয়কট করা হোক নেটফ্লিক্সকে”, এমন রবই তুলেছেন ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা।দেশের হিন্দুত্ববাদীদের নিশানায় অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) একের পর এক কাজ! উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ‘পাতাললোক’ নিয়ে প্রযোজক অনুষ্কার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, এমনকী কলকাতা উচ্চ আদালতেও। এবার, ‘বুলবুল’ (Bulbul) সিনেমায় একটি জনপ্রিয় বাংলা লোকগীতি ‘কলঙ্কিনী রাধা’ ব্যবহারের জন্য ফের হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়লেন অনুষ্কা শর্মা।