এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৩০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৩০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::ab:***:*** | ২৬ মার্চ ২০২২ ০০:৩৯505570
  • অবশ্য এটা মনে হয় একটা ভিডিওর ক্ষেত্রে করেছে। কারণ লাইভ তো শোনা-দেখা যাচ্ছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::b3:***:*** | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৮:০৫505574
  • চায়নার সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস বেশ কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ইন্ডিয়ার বেশ প্রশংসা করেই চলেছে। আজকে একদম এডিটোরিয়াল নামিয়ে দিয়েছে "Ukraine crisis mirrors China-India common interests: Global Times editorial"

    https://www.globaltimes.cn/page/202203/1256836.shtml

    এখন দেখতে হবে যে জিওপলিটিকাল কি কি ইকুয়েশান বদলাতে চলেছে।
  • Joshita Ghoshal | ২৬ মার্চ ২০২২ ১৭:০১505588
  • এদুটো লিংকও থাকুক
     
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::f5:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০২:২১505599
  • তিনি বোধয় একটু নিজের দেশের দিকে নজর দিলে পারতেন।
    ইনফ্লেশান মারাত্মক জায়্গায় চলে গেছে। তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। সেই সন্কট মেটাতে মাডুরোর সাথে বন্ধুত্বের কথা ভাবা হচ্ছে। ওদিকে ইয়োরোপকে তেল আর এলেনজির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। তার মানে গ্রীন টেকনজি এখন বিশ বাঁও জলে আর ওয়েলকাম ফ্র্যাকিং। এমনিতেই কয়েকমাস ধরে সাপ্লাই চেন ঠিকমতন চলছে না। এখন শোনা যাচ্ছে খাদ্যদ্রবেও টান পড়তে পারে। এক্সপার্টরা বলছেন এই বছরে ইকনমিক গ্রোথ আগের (এমনিতেই কম) এস্টিমেট ২% এর থেকেও কম হবে। ফেড ইন্টারেস্ট রেট বাড়ালে সেই এস্টিমেট হয়তো আরো কমবে। এদিকে না বাড়িয়েও পারবেনা, এতো ইনফ্লেশান। তেলের দাম আবার কবে একশোর কম হয় সেটা দেখার। নিজের অ্যাপ্রুভাল এতটাই কম যে এইবারের মিডটার্মে দলের ভরাডুবির সম্ভাবনা।
    এই পরিস্থিতিতে নিজের গদিটার দিকে বেশি নজর দিলেই ভালো করতেন।
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৩:১০505600
  • বিদেন একরকম কথা বলেছেন, হোয়াইট হাউস অন্য কথা বলছে।
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৩:১৭505601
  • putin cannot stay in power দাদু কহিলেন
     
    অথচ হোয়াইট হাউস বলছে যে দাদু রেজিম চেইঞ্জ চান না!
     
    দাদুর কি শরীল খারাব?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::ed:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৩:৪২505602
  • কালকেও এক্দল সৈন্যকে বলেছেন যে তারা নাকি ইউক্রেনে যাবে। সিআইএ বলে দেয়নি নাকি যে সব কথা বাইরে না বলতে।
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৩:৫৬505603
  • আরেকটা জিনিস অনেকে সন্দেহ করছে। বায়োলজিক্যাল ওয়ার। ইরাক যুদ্ধের সময়ও এরকম হুমকি দেবার পরপরই কেমিক্যাল অথবা বায়োলজিক্যাল অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছিল, দোষ দেওয়া হয়েছিল হুসেনকে। এখন হপ্তাখানেকের মধ্যে সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি এখানেও না হয়।
    অন্য পয়েন্ট, দুরকম পরষ্পরবিরোধী বিবৃতির পর আলোচনা হচ্ছে কোনটা ঠিক। সকলেই উত্তরটা এড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ দাদু ছড়িয়েছে আবেগ উত্তেজনার বশে।
    তিন। এইযে বারবার উশকোনো হচ্ছে, ন্যাটো টেরিটোরির এক ইঞ্চিতেও যদি ঢোকো তবে টেরটি পাবে — এই উশকানিতে লাভ নেই। তবে সামনেই সপ্তাহেই যদি ইউক্রেনের মধ্যে বায়ো অস্ত্রাদির ব্যবহার করা হয় (রাশিয়া করবে না) তবে পোল্যান্ড বর্ডারে যে হাজার সাতেক সৈন্য অপেক্ষা করছে তাদের ঢুকিয়ে দেবার যুক্তি তৈরি করা যাবে।
    এবং, আজ দুপুরেই খবরে শুনলাম রাশিয়া নাকি ফসফরাস বোমা ফেলেছে। পরে এই খবরটা আর পুনরাবৃত্তি করে নি। কোনও ফুটেজও দেখাতে পারে নি মিডিয়া। 
    ফ্রস্টবাইটে রুশসৈন্য মরছে ধরণের গুল গল্পও ছড়ানো হচ্ছে। ইয়োরোপে এখন বসন্ত, দিনের বেলা বেশ গরম। তুষার নেই।
    এ সবই প্যানিক তৈরির জন্য।
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৪:১৭505605
  • আজ দোহা ফোরামেও উনি বক্তব্য রাখেন।
    উনি অনুরোধ করেছেন তেলের সাপ্লাই/প্রাডাকশন বাড়াতে ইয়োরোপের সুবিধার্থে।
    তেল উৎপাদনকারি আরবদেশগুলো এবং নাইজেরিয়া তাতে রাজি হয় নি।
    তাতে তেলের দাম বাড়লে বাড়ুক। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তাতে কিস্যু এসে যায় না।
    কদিন আগে রুবলের দাম খুব পড়ে গেছল, এখন স্টেবল হচ্ছে।
     
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৪:৫২505606
  • রাশিয়া বায়ো অস্ত্রাদি ব্যবহার করবেনা এতো সব খবর ঠিক কোথেকে জানা গেলো ? :)
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৫:০৯505607
  • বিডেন কে অন্তত মিড্ টার্ম ইলেকশন নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়। রাশিয়া এতই মহান দেশ যে ওসবের সমস্যাই নেই। পুতিন এর বিরোধীদের পয়সনিং করা হয় বা জেল। তাও অনেক ভালো বলতেই হবে। আগে গুলাগ এ পাঠানো হতো। 
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৫:৩৮505610
  • আর হ্যা , S- বালাকোট কে সাপোর্ট করেন কিনা এখনো লিখলেন না তো ? তাহলে ধরে নিতে পারি করেন নিশ্চয় ? 
     
    আফটার অল প্রধান সেবক ও তো একদম পুতিনের মতোই মনরো ডকট্রিন মেনেই শত্রুর ঘরমে ঘুষকে মেরেছিলেন। খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে। তফাৎ শুধু স্কেল এর। তাই না ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::109:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৬:৪২505612
  • তিনটে ব্যাপার।
    এক, যেভাবে ন্যারেটিভের তৈরীর সঙ্গে সঙ্গে একই ঘটনার ফ্যাক্ট বদলে যাচ্ছে। ধরে নিন মারিওপোল থিয়েটার বম্বিং। প্রথমে বলা হল যে সেখানে শিশুরা আছে জেনেও বম্বিং করেছে রাশিয়া। হয়তো সত্যিই করেছে। সেই নিয়ে রাশিয়ার নিন্দামন্দ হল। হপ্যাই উচিত। কিন্তু দুইদিন পরেই খবর পাওয়া গেলো যে কেউ নাকি মরেনি। যাক সবাই খুব নিশ্চিন্ত হলাম। এরপর প্রশ্ন উঠলো যে এতো বম্বিংএর পরেও সবাই বেঁচে আছে? এখন আবার নতুন খবর যে ৩০০ জন মারা গেছে। এই ব্যাপারটা একাধিকবার ঘটেছে।
    দুই, নিওনাজিরা যে ইউক্রেনে রয়েছে, সেই সংক্রান্ত প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু সেই সব প্রমাণ না দেখে বেশিরভাগ ডিসিশান নেওয়া হচ্ছে যে না নাজিরা ছিলোনা। কেউ কিন্তু বলছেনা যে তাতে কি হয়েছে নাজিরা ছিলো তো, তাই বলে সৈন্য ঢুকিয়ে দিতে হবে।
    তিন, ইউক্রেনের দায়িত্বে থাকা আন্ডারসেক্রেটারি বললেন যে ইউক্রেনে আমেরিকার কিছু বায়োরিসার্চ ল্যাব আছে আর সেইসব ল্যাব রাশিয়ার হাতে পরলে নাকি মুশকিল কারণ রাশিয়া সেগুলো থেকে নাকি বায়ো ওয়েপন তৈরী করতে পারে। রাশিয়ার যদি বায়ো ওয়েপন ব্যবহার করারই হয়, তাহলে রাশিয়ায়ও নিশ্চই কিছু ল্যাব ট্যাব আছে, সেখান থেকেই তো আনতে পারে। হ্যাঁ, দুপক্ষেই প্রচুর ফল্স ফ্ল্যাগিং চলছে। ফলে এইসব ব্যবহার হলে কে যে ব্যবহার করছে, কোনওদিনই জানা যাবেনা।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::105:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৬:৫৬505614
  • আমার মনে হয়্না যে অন্তত আমেরিকার ঊর্দি পড়ে সৈন্য ঢুকবে। হয়তো সাদা পোষাকে ন্যাটোর কিছু সৈন্য ঢুকবে আগামী কয়েকদিনে। এখন অফিশিয়ালি বুটস অন গ্রাউন্ডের ম্যান্ডেট নেই সরকারের কাছে।
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:১২505615
  • যুদ্ধের সময় প্রোপাগান্ডা সবাই করে। এতো নতুন কিছু নয়। সে বালাকোটে ও প্রধান সেবক বলেন ৩০০ টেরোরিস্ট মরেছিল। উল্টোদিকে বলে কিছু কাক মরেছিল। রাশিয়াও করছে নিশ্চয় , সে যেমন কিছু রাশিয়ান লিঙ্ক তুলে দিচ্ছেন। ভাষাটা জানিনা বলে বুঝছি না। 
    কিন্তু যত সমস্যা কি শুধু ওয়েস্টার্ন ন্যারেটিভ নিয়ে ? রাশিয়া এগ্রেশন নিয়ে সমস্যা নয় ? বা রাশিয়া ফসফরাস বোম্ব না ফেলে এমনি গুলি চালিয়ে লোক মারলে সেরকম সমস্যা নয় ?
     
    নিও নাজি আছে কি না জানিনা। সেই জন্যেই কালকে জিগিয়েছিলাম ইউক্রেন এ নাজি সমস্যা কি ১৯৭১ বাংলাদেশ লেভেলে পৌঁছেছিল ? লক্ষ লক্ষ লোক রাশিয়াতে মাইগ্রেট করছিলো ? মানে রাশিয়ান এগ্রেশন টা ঠিক কোন পয়েন্ট থেকে জাস্টিফাই করছেন ?
     
    আর হ্যা- বালাকোট ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::ca:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:২১505616
  • এইযে লোকে একটা সহজ জিনিস বুঝতে পারছেনা যে ওয়েস্টের পলিসির সমালোচনা মানেই রাশিয়ান ইনভেশনের সমর্থন না - এইটা ওয়েস্টার্ণ মিডিয়ার তৈরী বাইনারির ফলাফল। আর এইটাই আমার আসল বক্তব্য।
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:২৭505617
  • ঠিক আছে। ওয়েস্ট এর যাবতীয় বাইনারি সরিয়ে সোজা প্রশ্ন। 
     
    আপনি এক্ষেত্রে রাশিয়াকে সরাসরি এগ্রেসর নেশন মনে করেন কি না ? 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::10b:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:৩১505618
  • অব্শ্যই মনে করি। এটা আবার কিধরনের প্রশ্ন হল।
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:৩৬505620
  • ঠিক আছে। একটা স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করার জন্যে থ্যাংকু। 
     
    তাহলে এগ্রেসর নেশন কে থামানোটাও জরুরি আশা করি? প্রোপাগান্ডা টাও সব জায়গায় যুদ্ধের পার্ট। তাহলে ওয়েস্ট এর প্রোপাগান্ডা নিয়েই শুধু এতো সমস্যা কেন ? 
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৬505621
  • যেখানে বিশেষ করে গুরুচন্ডালি ছাড়া আর নিউট্রাল মিডিয়া খুঁজে পাওয়া গেলোনা। তাহলে এটা তো স্বতঃসিদ্ধ। 
     
    যেকোনো মিডিয়া হাউস প্রোপাগান্ডাই করবে। হয় একদিকের হয়ে। নয় অন্যদিকের। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::112:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৮505622
  • আমার মতে ওয়েস্টার্ণ মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা যুদ্ধটা থামানোর জন্য নয়, যুদ্ধটা লম্বা টানার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ইউক্রেন দেশটা ক্রমশ একটা রাবলে পরিণত হচ্ছে। কারণ ওয়েস্টের মূল টার্গেট রাশিয়াকে হারানো, ইউক্রেনকে বাঁচানো নয়। তারা চাইছে রাশিয়াকে হারাতে অ্যাট দ্য কস্ট অব ইউক্রেন। আর এর ফলে হয়তো আরো ওয়াইডার কনফ্লিক্টে জড়িয়ে পড়বে পৃথিবী। আমি এইটার বিরোধী। ওয়েস্ট তার ডিপ্লোম্যাটিক ক্ষমতা যতটা যুদ্ধটা টানার জন্য ব্যবহার করলো, তার একাংশও যুদ্ধটা থামানোর জন্য ব্যবহার করেনি।

    টার্কি আর ইজরায়েলকে দেখুন। ইউক্রেনকে ক্রমাগত হেল্প করে যাচ্ছে ইউম্যানিটারিয়ান আর অস্ত্র দিয়ে। কিন্তু তার বাইরেও সিরিয়াসলি ডিপ্লোম্যাটিক সলিউশান খুঁজছে। কনফ্লিক্ট বন্ধ করার সিরিয়াস প্রচেষ্টা করেছে। বাকীরা বুকে ইউক্রেনের ফ্ল্যাগ লাগিয়ে ইউক্রেনিয়ানদের রাশিয়ার ট্যান্কের সামনে এগিয়ে দিচ্ছে।
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৩২505626
  • ওয়েস্ট বাঁ ওয়েস্টার্ন মেডিয়া ঠিক কি কি করতে পারতো যুদ্ধটা থামানোর জন্যে ?  পুতিনকে হাতজোড় ​​​​​​​করে ​​​​​​​ক্ষমা ​​​​​​​চাওয়া ​​​​​​​?
     
      সত্যি কি আপনারা বিশ্বাস করেন মিডিয়া হাউস গুলো এতো পাওয়ারফুল যে ইচ্ছেমতো যুদ্ধ বাঁধাতে পারে বা থামাতে পারে ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::cc:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৪২505628
  • ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া হাউসগুলো (এখন ইন্ডিয়াতেও) এমনিতেই বেশ হকিশ। সবসময় একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ তৈরী করে রাখে যাতে ডিফেন্স স্পেন্ডিং বাড়তে থাকে। তাছাড়া এইসময় গুলোতে এরা পুরোপুরি সরকারি মেমোর উপর ভরসা করে চলে। ইরাক যুদ্ধের সময় সেসবের অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে মিডিয়াগুলো জাস্ট সরকারের প্রোপাগান্ডা মেশিনের পরিণত হয়। এইযে এখানে অনেকে জন স্টিউয়ার্টের ভক্ত। জন স্টিউয়ার্টের অন্যতম বড় অ্যাচিভমেন্ট ছিলো যে মেইন স্ট্রীম মিডিয়াতে হি ওয়াজ ওয়ান অব দ্য ফিউয়েস্ট (অ্যান্ড প্রোবাবলি দ্য স্ট্রঙ্গেস্ট) ভয়েসেস টু ক্রিটিসাইজ আইরাক ওয়ার। কিন্তু তখনও নাকি তাকে নেটওয়ার্ক থেকে বলে দেওয়া হয়েছিলো যে যুদ্ধের সময় বুশের সমালোচনা করা যাবেনা - তাই অনেক ঘুর পথে করতে হত।
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৪৭505629
  • আর মেডিয়েশন এর কথাই যখন উঠলো , তখন এটাও জিগাই আজকে আম্রিগা বা ইউকে ইউক্রেন রাশিয়া র মধ্যে যুদ্ধ থামানোর জন্যে মডারেশন করতে চাইলে রাশিয়া রাশিয়া রাজি হবে তো ? আমার তো মনে হয় রাশিয়া প্রথমেই বলবে এরা প্রো-ইউক্রেন। 
     
    আজকে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের মধ্যে গন্ডগোল বাধলে চীন মডারেট করতে চাইলে ইন্ডিয়া রাজি হবে ? আপনি কি সিউর যে ইন্ডিয়া বলবে না চীন প্রো পাকিস্তান ? তাহলে চীন যদি সাইডলাইনে বসে থাকে তখন কি অভিযোগ তোলা হবে চীন কেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছে না ? 
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৫২505630
  • যুদ্ধের সময় কোন দেশের সরকার ওপেনলি মিডিয়া কে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার দেয় ? সেই এক্সাম্পল টাও দেখা যাক। তাহলে তো নাহয় বলা যাবে ওয়েস্টার্ন মিডিয়া পার্শিয়াল। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::c5:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৫৭505631
  • ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁ কিন্তু পুতিনের সঙ্গে ক্রমাগত কন্টাক্ট রেখে গেছে। সোলজ যে কেন আরো অ্যাক্টিভ হলনা, সেটা কিছুতেই বুঝলাম না। জার্মানীর অনেক লেভারেজ ছিলো পুতিন আর রাশিয়ার উপরে - সেটা ইউজই করলো না। ইজরায়েল তো আমেরিকার সবথেকে বড় অ্যালাই - অথচ বেনেট যথেষ্ট পজিটিভ রোল প্লে করেছে। রাশিয়া কখনই বলেনি যে ওরা তো আমেরিকাপন্থী ইত্যাদি। ইনফ্যাক্ট একটা সময় মনেই হচ্ছিলো যে একটা পীস ট্রিটি বা ডীল বোধয় হয়েও যাবে - দুইদিক থেকেই সেরকম আভাসও পাওয়া যাচ্ছিলো। তারপরেই সবকিছুতে জল ঢেলে দেওয়া হল।

    চীন যদি পাঁচিলে বসে থাকে, তাহলে ইন্ডিয়া কখনই আপত্তি করবেনা। কিন্তু চীন যদি একদিকের হয়ে যুদ্ধে নামতে যায়, এক্দল যেমন ১৯৭১এর যুদ্ধে করতে গেছিলো, তাহলে অবশ্যই ইন্ডিয়া আপত্তি করবে সঙ্গত কারণেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন