এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • রবি ঠাকুর ও এক শহুরে শান্তিনিকেতনের ইতিকথা।

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ০৪ মে ২০২৫ | ১১৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • রবি ঠাকুর ও এক শহুরে শান্তিনিকেতনের ইতিকথা।
     
    সেই বছরেই আমরা প্রথম স্কুল থেকে দিনপঞ্জি হাতে পেলাম। একালের স্কুলগুলোতে যেমন রঙচঙে কাগজে ছাপা স্কুল ডাইরি দেওয়া হয়, তেমন কিছু নয়। ধবধবে সাদা কাগজে সাইক্লোস্টাইল করা পাতা আটের একটা ছিমছাম হাতে লেখা পুস্তিকা। তাই হাতে পেয়ে সবাই আমরা একেবারে আহ্লাদে আটখানা। স্কুল থেকে আমাদের বলে দেওয়া হলো – ‘এটাকে যত্ন করে রাখবে সবাই। গোটা বছরের স্কুলের কার্যক্রম এখানে দেওয়া আছে।বাড়িতে বাবা মাকে দেখাবে।’ আমরা সবাই সানন্দ সভয়ে ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম।
     
    যে সময়ের গপ্পো বলছি , সেই সময়টা ফেলে এসেছি আজ থেকে কমবেশি ছয় দশক আগে। এ কি বাপু , টু মিনিটসে নুডুলস তৈরি করে, গপাগপ খাওয়ার কাল! এতোদিন পরে স্মৃতির সুতো খুলে খুলে লাটাই খালি করা কি আর সহজ কাজ? যাইহোক, সন্ধেবেলা আমাদের পারিবারিক গুলতানির আসরে সবাই হাজির হতেই ব্যাগ থেকে সেই দিনপঞ্জি বের করে বাবার হাতে দিলাম। চোখে চশমা চড়িয়ে গম্ভীর গলায় বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ওটি ঠিকঠাক দেখেছি কিনা ? এবারেও যথারীতি ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম।
     
    দিনপঞ্জির অমন সাদামাটা চেহারার কথা মনে করলে এখনও খানিকটা স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ি। চোখ বুঝলেই যেন দেখতে পাই দিনপঞ্জির মলাটের হাতে আঁকা ছবি ও লেখাগুলো। একদম ওপরে গোল অভিজ্ঞান স্মারকের ছবি। নীল প্রেক্ষাপটে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখা। নিচে লেখা সেই মহামন্ত্র – তেজস্বিনাবধীতমস্ত – তোমাদের অধ্যাপন ও অধ্যয়ন তেজোময় হোক। এই বাণীকে জপমন্ত্র করেই যেন শুরু হলো সেদিনের সেই ছোট্ট স্কুলের পথ পাড়ি দেওয়া। আমাদের যিনি হেডমাস্টার মশাই, তাঁর ছিল বুক ভরা স্বপ্ন। নিজের হাতে তৈরি ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটিকে সময়ের বাঁধা সীমান্ত পার করে অনেক দূরপথের পথিক করে তোলার স্বপ্ন।কিন্তু সেসব স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে হলে অর্থেরও তো প্রয়োজন। আমাদের স্বপ্নদীপ্ত ছোট্ট পিদিমে তখন তেলের জোগান ক‌ই ? তাই সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মেল হয়না। তবুও যতটুকু পাই,তাতেই আমরা বেজায় খুশি।
     
    দিনপঞ্জির মলাটে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা আরও কয়েকটি কথা তখনই মনে ঢেউ তুলেছিল প্রবল ভাবে। “রবীন্দ্র শিক্ষাদর্শে পরিচালিত সহ - শিক্ষামূলক, সহ - পাঠক্রমিক বিদ্যালয়।” আমরা কি তাহলে ইট কাঠ কংক্রিটের মোড়কে মোড়া শহরের বুকে এক শান্তিনিকেতন নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম? 
     
    আজ থেকে ছয় দশক আগে তিন জন ছাত্র আর ছয় জন ছাত্রীকে নিয়ে শহর লাগোয়া শহরতলির বুকে এক সহ - শিক্ষামূলক বিদ্যালয়ের স্থাপনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেওয়ার মতো বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে সূচনা হয়েছিল সহ - শিক্ষামূলক পাঠদানের প্রক্রিয়া। যতটুকু জানি, তেমন প্রয়াস ছিল দেশের মধ্যে প্রথম। তবে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে রবীন্দ্রনাথকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক অনেক তির্যক মন্তব্য, অতিক্রম করতে হয়েছে বিস্তর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধা। আমাদের ছোট্ট স্কুলকেও এমন অবাঞ্ছিত বাধার সামনে পড়তে হয়েছে গোড়ার দিকে । কিন্তু সেই সব বাধাকে নিজেদের ঐকান্তিক উপলব্ধি ও বিশ্বাসের জোরে সেকালে অতিক্রম করেছি আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় । হয়তো তাই এক নয়া ইতিহাসের রচনা করতে পেরেছিলাম।
     
    সেকালে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র জনপ্রশাসন ব্যবস্থা ছিলোনা। শান্তিনিকেতনে আশ্রমিক শিক্ষার্থীদের যাঁরা পঠনপাঠন ও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের একরকম ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্র ধরেই শিক্ষকতার ব্রত সাধনে যুক্ত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনে আশ্রমিক জীবন যাপনের পর সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন এমন মানুষ‌ও বিরল ছিলেননা। রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল সান্নিধ্যে তাঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষাদানের এক অনন্য ধারার পথিক হয়ে উঠেছিলেন। আজ‌ও পরম শ্রদ্ধায় সেই সব মানুষের কথা আমরা উল্লেখ করি। 
     
    আমাদের শহুরে শান্তিনিকেতনে যাঁরা শিক্ষক বা শিক্ষিকা হিসেবে আমাদের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই পাকা জহুরীর মতো চয়ন করে নিয়ে এসেছিলেন হেডমাস্টার মশাই। শান্তিনিকেতনের মতো আমরাও তাঁদের দাদা আর দিদি বলেই সম্বোধন করতাম। এমন আত্মিক সম্বোধনের যে কি প্রবল প্রভাব আমাদের সবার শিক্ষাজীবনে তথা পরবর্তী নির্মিতির ওপর পড়েছিল তা বলে শেষ করতে পারবোনা। আমরা কখনোই তাঁদের ভয় পেয়ে পালিয়ে বেড়াইনি । আর তাঁরাও আমাদের দেখভাল করেছেন সহোদর দাদা - দিদিদের মতো। এক আশ্চর্য মিথোজীবিক সম্পর্ক!
     
    খালি হেডমাস্টার মশাইকে তাঁর পদগরিমার জন্য এই চেনা রীতির বাইরে রাখা হয়েছিল, যদিও তাতে তাঁর আন্তরিকতার ও ভালোবাসার কোনো খামতি ছিলো না। প্রচণ্ড রাশভারী এই মানুষটিকে আমরা যতোটা ভয় পেতাম , শ্রদ্ধা করতাম ও ভালোবাসতাম তার থেকে অনেক অনেক বেশি। তাঁর কথা বলতে বসলে রাত কাবার হয়ে যাবে। আসলে আমাদের দাদা, দিদিরা কেউই বড়োসড়ো ডিগ্রিধারী ছিলেন না। তাই বিদ্যার গরিমা কখনোই তাঁদের স্বাভাবিক আচরণের ওপর সামান্যতম প্রভাব ফেলেনি ।তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ভালো মানুষ , মানুষ তৈরির নিপুণ কারিগর। আর হয়তো সেই কারণেই আপন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তাঁরা আমাদের মন গুলোকে ভালোবাসার বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে দিতে পেরেছিলেন দক্ষ চিত্রকরের মতো করে।
     
    সহশিক্ষামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবার ফলে সবথেকে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন আমাদের অভিভাবকেরা। বাড়ির একটি সন্তানকে ভর্তি করা হলে বাড়ির অন্যদের‌ও অগ্রজের পেছন পেছন ঐ একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেওয়া হতো। সকলেরই এক অনন্য ব্র্যান্ড মার্ক শোভিত হয়ে বড়ো হয়ে ওঠা। তবে সেকালে এমন সব পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে চলতি অভিভাবক সমাজ প্রথম থেকেই যে খুব উচ্ছ্বসিত ছিলেন তা বোধহয় নয়। একালের মতো না হলেও সেকালের অভিভাবকরাও ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন, ফলে মাঝে মাঝেই শিক্ষার্থী সংখ্যায় টান পড়তো। আমরা সবাই একটা চমকপ্রদ কিছু করে দেখানোর অপেক্ষায় ছিলাম। ১৯৬৯ সালে সেটাই ঘটলো। এরপর আর আমাদের ছাত্রাল্পতায় সেভাবে ভুগতে হয়নি। নতুন নতুন বন্ধুদের ভিড় লেগেছিল বছরভর।
     
    রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন যে পাঠ্যপুস্তকের বাঁধা কথার মধ্যে শিশুমনকে বেঁধে রাখলে তা কখনোই মুক্তমনা মানুষ হিসেবে তাদের নির্মাণের উপযোগী হবেনা। তাতে কিছু পুঁথি পোড়ো গুরুগম্ভীর গুরু মশাই হয়তো তৈরি করা যাবে, পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবে না। তাই শান্তিনিকেতনের শিক্ষা অনেক অনেক রঙিন ছিল। খোলা মাঠে গাছতলায় বসে পঠনপাঠন বিকাশমান কৈশোরক মনকে মুক্ত,উদার ভাবনায় ভাবিত করে। তাদের করে তোলে সুদূরের পিয়াসী। প্রকৃতির মধ্যেই রয়েছে পূর্ণতার আভাস। তার প্রতি শিক্ষার্থীদের হৃদয় ও মনকে পরিচালিত করতে পারলে গুরুমশাইদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। ছেলেপিলেরা তখন সেই আশ্চর্য বাঁশিওয়ালার পিছু ছাড়তে চায় না।
     
    সেকালের শান্তিনিকেতনের চারপাশের পরিবেশ একালের মতো ঘিঞ্জি, কংক্রিট সর্বস্ব ছিলোনা। ফলে বাতায়নের পাশেই ছিল মুক্তির অনাবিল হাতছানি। আমাদের শহুরে শান্তিনিকেতনে সেই সুযোগ কোথায়? গৃহস্বামীর বদান্যতায় পাওয়া,ব্যস্ত রাজসড়কের পাশে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির গুটিকয় ঘরে, মেঝেতে চাটাই বিছিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের সন্দীপন পাঠশালা। সারাদিন গাড়িঘোড়ার স্বঘোষিত চলাচলের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো সবাইকে। এমন পরিবেশে প্রকৃতি ছিলেন দুয়োরাণী হয়ে। হয়তো তাই ক্লাস ঘরের অপ্রতুলতার কারণে পরীক্ষামূলক ভাবে গাছের তলায় শুরু হলো পঠনপাঠনের কাজ, গরমের ছুটিতে কদম কদম পা বাড়িয়ে সবাই মিলে পৌঁছে যাওয়া হতো একটু দূরের কোনো গ্রামে, সেখানে গিয়ে হাতেকলমে দেখা ও শেখা হতো গ্রাম জীবনের নানান খুঁটিনাটি বিষয় – কুমোর পাড়ায় চাক ঘুরিয়ে নানান মৃৎ উপকরণের নির্মাণ, বেড়া জাল টেনে মাছ ধরা, গুড় জ্বাল দিয়ে বাতাসা তৈরি, ঠকা ঠাই ঠাই করে নেহাইয়ের ওপরে গরম লোহাকে পিটিয়ে কামারশালায় নানান ধরনের প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি জিনিস তৈরি… সব কিছুকে প্রত্যক্ষ করে একটা স্পষ্ট ধারণা করেছিলাম সেই স্কুল জীবনে। এসব শিক্ষাতো ব‌ই থেকে মিলবে না,অথচ এসবের মধ্যেই রয়েছে নতুন ধরনের শিক্ষা , বাস্তব জীবনের শিক্ষা। স্কুলে কী শেখানো হচ্ছে, কীভাবে শেখানো হচ্ছে? - সেসব নিয়ে অভিভাবকদের তেমন উৎকন্ঠা ছিলনা। আমরা বাড়ি আর স্কুলকে একাত্ম করে নিয়েছিলাম। আমাদের অভিভাবকেরা এই বিষয়ে স্কুলের সঙ্গে পূর্ণ সহমত ছিলেন। কোনো দ্বন্দ্বের অবকাশ ছিলোনা।
     
    সেই বয়সেই আমরা বেশ বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের মধ্যে একটা অন্যরকম ভাবনার , ভিন্ পথে চলার পরিসর তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়টা আমাদের অভিভাবকেরাও বেশ টের পাচ্ছিলেন। তাই তাঁরাই আমাদের নিরন্তর উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন। বর্ষার জল পাওয়া নবীন চারাগাছের মতো আমরাও তরতরিয়ে বেড়ে উঠছিলাম। আসলে শিক্ষার পর্বটি যদি যথার্থই আনন্দময় না হয় , কতগুলো তত্ত্বকথা মুখস্থ করিয়েই যদি শিক্ষার প্রারম্ভিক পর্বটিতে নীরস করে তোলা হয় তাহলে যে তা বিকার‌ও বিক্ষোভের জন্ম দেয়। রবীন্দ্রনাথ কখনোই এমনটা চাননি। আর তাই, তাঁর ভাবচ্ছায়ায় বেড়ে ওঠা আমাদের ছোট্ট স্কুলকেও সেভাবে বেড়ে উঠতে দেননি আমাদের দাদা দিদিরা। আজ এতো বছর পরে, চারদিকের বিপুল আয়োজনের বহর দেখে আমার সেই ফেলে আসা সময়ের শহুরে শান্তিনিকেতনের কথাই বারংবার মনে পড়ে। শুধু আমি কেন,যারাই এই পাঠশালায় কোনো না কোনো সময় অতিবাহিত করেছে তাঁরা সকলেই আমার সুরে সুর মেলাতে। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
     
    রবির আলোয় শরীর ভিজিয়ে চলতে চলতে অনেক কথা পেরিয়ে এসেছি। এবার কথা গুটিয়ে আনার পালা। শেষ করবো এক মজার গপ্পো দিয়ে। টিফিনের ঘণ্টা বেজেছে বেশ খানিকক্ষণ হয়েছে। কোনো রকমে টিফিনের বাক্স ফাঁকা করে অনেকেই ছুটেছি উল্টোদিকের বাগানবাড়িতে। সেখানে চলবে ক্ষণিকের মুক্তির উল্লাস যাপন। আমাদের মধ্য থেকে অতি উৎসাহী কয়েকজন আমগাছে আম ঝুলতে দেখে প্রবল উৎসাহে গাছ বাইতে শুরু করেছে। হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বাকিরা তাদের উৎসাহিত করে চলেছি। এমন সময় সহসা অকুস্থলে এসে হাজির হয়েছেন আমাদের হেডমাস্টার মশাই। তাঁকে দেখে আমাদের প্রাণপাখি পাঁজর পিঞ্জরের বাইরে ফুরুৎ। কম্পমান কলেবর তখন ইষ্ট স্মরণে ব্যস্ত। 
    তিনি এসে বললেন – ওভাবে কেউ গাছে ওঠে? যারা গাছে উঠেছিলে তারা এদিকে এসো। আজ তোমাদের গাছে চড়া শেখাবো।বলেই পরনের ধুতিটাকে খাটো করে গুটিয়ে নিলেন, গায়ের পাঞ্জাবিটা খুলে একজনকে ধরতে দিলেন ; আর তারপরেই তরতরিয়ে গাছে চড়তে শুরু করলেন পাকা গেছো দাদার মতো। আমরা সবাই বিস্ময়ে হতবাক। হেডমাস্টার মশাই অবশ্য নির্বিকার চিত্ত। খানিক বাদেই নেমে এলেন তিনি। “ শোনো বাপুরা, জীবনে চড়াইয়ের পথ সবসময় খাড়াই। সতর্ক থাকতে হবে সবসময়। এটাও কিন্তু শিক্ষা, খুব বড়ো শিক্ষা। চলো, ক্লাস শুরুর সময় হলো”। আমরা সবাই স্কুলে ফিরে এলাম।
    স্কুল আমাদের কখনোই বিদ্যা বিষয়ী করে গড়ে তুলতে চায়নি। কোনো দিন কেউ মুখ ফুটে বলেননি তোমাকে এই হতে হবে। স্কুল চেয়েছিলো কিছু ভালো মানুষ হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে। আর সেই চাওয়া থেকেই হয়তো আমরা সবাই অমলকান্তি হতে চেয়েছিলাম, “ ক্ষান্তবর্ষণ কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর” শরীরে জড়িয়ে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ০৪ মে ২০২৫ | ১১৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ০৪ মে ২০২৫ ১৮:২৮731075
  • বাঃ, এই রকম এক স্কুলের কথা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
  • Avijit Chakraborty | ০৪ মে ২০২৫ ১৮:৩৯731076
  • সহস্র কয়েক ছাত্রের মতোন আমিও এই শিক্ষা প্রণালীর মধ্যে বড়ো হওয়া একজন। আমার বধ্যমূল বিশ্বাস যে আমার কৈশোরে এই শিক্ষাঙ্গন থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তা আমার মনে, আমার বিশ্বাসে, আমার উপলব্ধিতে প্রচুর প্রভাব ফেলেছে। যা আমাকে আজকের দৈনন্দিন জীবনে বেশ তৃপ্তি দেয়।
     
    বিশেষ করে পড়াশোনার বাইরের সমস্ত activities যেমন এলাকা সবুজায়ন, রক্তদান, পারিপার্শ্বিক এলাকার জঞ্জাল পরিষ্কার, camping, scouting, rock climbing, আকাশের তারা চেনা থেকে শুরু করে গাছ চেনা, পাখি চেনা ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কতো কি, আমাকে আজকের আমি হতে, আমি আমার মতোন এই ভাবনায় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে। এটা আমি ভীষণভাবে উপলব্ধি করি।

    জীবনের প্রতিটা কঠিন পরিস্থিতিতে মনে করি, সামনে hold less একটা rock. সেটাতে climb করতে হবে। কৈশোরের সেই পাথর জয় গুলো আজকের কঠিন পরিস্থিতি গুলোকে নিশ্চিন্তে অতিক্রম করার সাহস এবং ধৈর্য যোগায়।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৪ মে ২০২৫ ১৮:৪১731077
  • এটা আমার স্কুল। এখানেই আমার বড়ো হ‌ওয়া। জীবনকে নতুন নজরে দেখা । ছোটো যে হায় অনেক সময় বড়োর দাবি দাবিয়ে চলে। ভালো থাকবেন। ধৈর্য্যের সঙ্গে লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
  • ব্যাসদেব দাশগুপ্ত | 45.113.***.*** | ০৪ মে ২০২৫ ২১:৩৯731085
  • আমি নিজে আজ যা হতে পেরেছি বা যেভাবে সবকিছু ভাবি (যা আর পাঁচজনের মতো নয়) তার পুরোটাই এই স্কুলের ছাত্র হবার সৌভাগ্য বশত। এখনো চোখ বুজলে দেখতে পাই প্রতি শনিবারের সকালে মতিঝিল কলেজের মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো, গ্রীষ্মাবকাশে ক্যাম্প, আর হেড মাস্টার মশাইকে। বাকি কথা আমার ভাই অভিজিত চক্রবর্তী তার মন্তব্যে অবিলম্বে বলেছে।
     
    ব্যাসদেব দাশগুপ্ত 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:110e:a5e9:8000::***:*** | ০৫ মে ২০২৫ ০৬:২৪731089
  • রূপকথার স্কুল। তাইতো অর্ধ শতাব্দী পরেও লেখকের মন জুড়ে আছে। পড়লে স্বপ্নের মত মনে হয়।
    আজকের দিনে এমন আদর্শ অচল পয়সার মত। পাঠের সঙ্গে আনন্দের কোন যোগ নেই।একটি অসরকারী বিদ্যালয়ের ক্লাস ওয়ানের ইংরেজি গ্রামার বই দেখে আঁতকে উঠেছিলাম।ছোট থেকে চোখ ,কান বন্ধ রেখে অনেক  শেখালেই যে অনেক শিখবেনা একথা কেউ বোঝেনা 
  • Souvik Sen | ০৫ মে ২০২৫ ০৭:৪৭731091
  • কিশোরভারতী... ভাগ্যিস এই স্কুলে পড়েছিলাম! ভাগ্যিস হেড মাষ্টারমশাই আর দাদা, দিদিদের পেয়েছিলাম!... ভীষন ভালো লাগলো। অনেক স্মৃতি!
  • Dipanjan | 24.16.***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ০৮:৪১731092
  • অপূর্ব লাগলো দাদা আপনার লেখা পড়ে। মনে হলো সেই দিনগুলোতে আবার ফিরে গেলাম। আরো লিখুন আপনি। 
  • সুবীর রায় | 115.187.***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ০৮:৫৫731093
  • এভাবে বলা যেতে পারে যে আমি কিশোর ভারতীতে পড়েছিলাম বলে আমার জীবন অনেকটাই উতরে গেল।। আমাদের হেডমাস্টারমশাইয়ের যে প্রগতিশীল ভাবনা এবং দূরদৃষ্টিতার কর্মকান্ড  ছিল তা সমসাময়িক  প্রায় কোনো স্কুলেই পরিলক্ষিত হোতো না। শুধু মাত্র পড়াশুনোই  হয়তো হোতো। একারণেই কিশোর ভারতী  এখনও বাংলা মিডিয়াম স্কুলের মধ্যে আপন আলোকে প্রজ্জ্বলিত। 
    আমরা ভাগ্যবান, আমরা কিশোর ভারতীয় হিসাবে গর্বিত মনে করি নিজেকে। স্কুল জীবনের অসংখ্য স্মৃতি,  ভান্ডারে ঠাসাঠাসি করে রয়েছে।  হেডমাস্টারমশাইয়ের  স্বপ্নের এই পাঠ্য নিবাসে আমরা, দাদা-দিদিরা শ্রদ্বামিশ্রিত ভালোবাসার বন্ধনে একে অপরের সাথে আবদ্ধ ছিলাম এবং এখনও আছি।  
    আপনার লেখায় আবার এক ঝলক আবেগ উথলে উঠলো কিশোর ভারতী নামক আবেগের পাত্র থেকে। এ আবেগ আমার মজ্জায়, শিরা উপশিরায়। 
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 49.37.***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ১৫:৩১731103
  • কিশোর ভারতী আমাদের আবেগ, আমাদের গর্ব, আমাদের ভালবাসা। ছোটবেলায় স্কুলে পাওয়া শিক্ষা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে, জীবনে চলার পথে এখনো সেই শিক্ষাগুলো কাজে লাগে। হেডমাস্টারমশাই ছিলেন সমাজের মধ্যে কয়েক দশক এগিয়ে থাকা একটা মানুষ, চিন্তাভাবনায় আর কাজেকর্মে।
     
    লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ফিরে গেলাম সেই কোন ছোটবেলায়। 
  • ডা সৌরভ চক্রবর্ত্তী | 160.238.***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ২২:০০731104
  • আমার জীবনে বাবা মা এর পর সবচেয়ে বড় অবদান আমার স্কুলের।
    বিশেষ করে কিছু দাদা দের,যাদের জন্য আজ জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি।
    আজ ও সোমনাথ দা একটা কথা খুব মনে পরে, ক্লাস ৯,দাদা বলেছিলাম চক্কবতী একদিন বিশ্ব জয় করবে, আমার বড় অনুপ্রেরণা ছিল সেই কথাটা।
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী | 2405:201:8016:6b:4f10:b885:7e72:***:*** | ০৫ মে ২০২৫ ২৩:২৭731106
  • আমার শহুরে একখন্ড শান্তি নিকেতন  স্কুল কিশোর ভারতীর আমি ও সেই অতি প্রথম যুগের ছাত্রী।যে বাড়ি থেকে একজন এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা রাখতো বলতে গেলে সেই বাড়ির পড়ুয়া সবাই এই স্কুলের ই খাতায় নাম লেখাতো।তখন সবে আমাদের এই শিক্ষাঙ্গন গড়ে উঠতে শুরু হয়েছিল,তাই সবাই সবার সঙ্গে এক আত্মীয় তার   সম্পর্কে  জড়িয়ে পড়তো। প্রচলিত ধ্যান ধারনার বাইরে, যুগের থেকে প্রায় কয়েকশো পা এগিয়ে চলা আমার জীবনের প্রথম পাঠের কারিগর এই স্কুল কে আমি আজও মনে মনে প্রণাম করি। আদর্শ শিক্ষক শিক্ষিকা কেমন হ ওয়া উচিত  তার চিত্রকল্প আমাদের মনে তারাই এঁকে দিয়েছিলেন। আজ এই লেখার মাধ্যমে সত্যিই লেখক আমাদের মনের সব আবেগ নতুন করে উস্কে দিয়েছেন।এই বিদ্যালয় আমার গর্ব।
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ২৩:৪৬731107
  • এখন এই স্কুলের কী  অবস্থা?  ছাত্রছাত্রী ?
  • Somnath mukhopadhyay | ০৬ মে ২০২৫ ০০:২১731110
  • @ &/ এমন সময়ের বুকে দাঁড়িয়েও এই স্কুল স্বমহিমায় বিরাজমান। এখানকার উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বে আজ‌ও এই প্রতিষ্ঠানের গৌরব অক্ষুন্ন।  সহশিক্ষার ব্যবস্থা সরকারি বিধিনিষেধের কারণে আজ লুপ্ত। পরিকাঠামোয় ঘাটতি থাকলেও ছাত্রদের আসাযাওয়া ও অভিভাবকদের বিশ্বাসের কোনো ঘাটতি নেই। ছাত্র শূন্যতার হাহাকার নেই।
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৬ মে ২০২৫ ০০:৪০731111
  • তার মানে এখন শুধু ছাত্র ? তারা কোথা থেকে আসছে ?
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৬ মে ২০২৫ ০১:০৪731113
  • এই ছাত্র  ছাত্রীরা  বেশিরভাগ  কোথা থেকে? 
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৬ মে ২০২৫ ০১:০৮731114
  • এই যাঁরা  প্রাক্তন কৃতী , তাঁদেরই নাতিপুতিরা কি ?
  • Sandip | 109.43.***.*** | ০৬ মে ২০২৫ ০২:১২731115
  • পুরোনো সেই দিনের কথা 
  • Somnath mukhopadhyay | ০৬ মে ২০২৫ ০২:১২731116
  • অনেক রকমের প্রশ্ন উঠে আসছে।
    ১.এখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ্শিক্ষিকারা এসেছেন বটে, তবে স্কুলে এখন কেবল ছাত্ররাই পড়ে। 
    ২. স্কুলটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হলেও তার শিক্ষার্থীদের সকলেই ছাত্র।
    ৩. ছাত্রদের অধিকাংশ‌ই ঐ এলাকার মধ্য থেকেই আসে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ছেলেরাও আসে।
    ৪. নাতি পুতিরাও আসে। আমি আমার ছেলে ভাইপোকে এখানেই পড়িয়েছি।
    এই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় মনে হয় সব লোপাট হয়ে গেছে। ২০২২ সালে এই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। আসলে আমাদের প্রথম দিনের প্রভাতী সুর বাঁধা হয়েছিল উচ্চগ্রামে। তাই তার রেশ এখনো অনেকটাই অম্লান রয়ে গেছে। একদিন ঘুরে আসুন। এখানে আমার বেশ কিছু লেখা আছে আমার  স্কুল নিয়ে।
    অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ মে ২০২৫ ০২:৪৩731118
  • 'ছেলে-ভাইপোর' জমানা আর 'নাতিদের' জমানা- স্কুলশিক্ষায় আকাশপাতাল তফাৎ হয়ে গেছে এই দুই জমানায়। সেই ছেলে আর ভাইপোদেরই শুধিয়ে দেখুন ক'জন আপন সন্তান ওই স্কুলে ভর্তি করবেন।
  • #:+ | 2405:201:8000:b11b:e851:7234:7d96:***:*** | ০৬ মে ২০২৫ ১৯:৪০731124
  • লেখক এই লেখাটি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের কথা মাথায় রেখেই হয়তো লিখেছেন এবং তা উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করেছেন - এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা পাঠক সংখ্যা দেখে আন্দাজ করতে পারি। এই সময়ের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় রবীন্দ্রনাথের মুক্ত উদার আনন্দময় শিক্ষা ভাবনার কণা মাত্র অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয়না। পাঠ্যপুস্তকে‌ গুটিকয়েক রবীন্দ্র রচনার সংযোজন করেই যদি মনে করা হয় যে রবীন্দ্রনাথের মুক্ত শিক্ষার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে, তাহলে তা হবে ভাবের ঘরে চুরির নামান্তর। দুঃখের বিষয় আজ আমরা তেমন‌ই করছি।
    আজ থেকে ছয় দশক আগে লেখকের স্বপ্নের পাঠশালা সম্পূর্ণ এক ভিন্ন ভাবধারায় গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। আজকের দিনে তার হাল কী হতো, বা আদৌ অমন করে শিক্ষা পরিচালনা সম্ভব হতো কিনা! সেসব প্রশ্ন সত্যিই অবান্তর। লেখাটি পড়তে পড়তে আমার বারংবার মনে হয়েছে যে ঐভাবে ভাবতে পারলে আমাদের তথাকথিত শিক্ষা একালের মতো অর্থহীন হয়ে উঠতো না। মনে রাখতে হবে , সময়ের সাথে সাথে, সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের সাথে সাথে আদর্শ বদলে যায়, বদলে যায় শিক্ষার স্থূল আয়োজন ও অভিমুখ। তবে যে স্বপ্নের বীজ বুকে জড়িয়ে পথিকের পথচলা, সেই স্বপ্ন কখনোই মরেনা। স্বপ্ন অমলিন থাকে।
    লেখাটির জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এমন অকথিত কাহিনি নিয়ে ধারাবাহিক লেখা চাই।
     
  • বহ্নি ভট্টাচার্য | 2409:4065:c00:81cf::f4c8:***:*** | ০৮ মে ২০২৫ ০৯:৩৯731163
  • খুবই সুন্দর... কিন্তু একটাই খারাপ লাগা, নিজের পরবর্তী প্রজন্ম কে চাইলেও হয়ত আর এই পরিবেশে বড় করা যাবে না...আজকের যুগে প্রয়োজন এমন বিদ্যালয়ের, এমন মানুষদের.. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন