এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • চাকরি গেল ২৬০০০ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭৩৯ বার পঠিত
  • রায়টা পুরোটা পড়লাম। সারসংক্ষেপ বলতে তিনটে পয়েন্ট। এক, দুর্নীতি এবং বেনিয়ম হয়েছে। এই নিয়ে রায়ে এবং পড়ার পর আমার কোনো সন্দেহ নেই।  দুই,  এই রায়টা ন্যাচারাল জাস্টিসের যে নীতি (নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়), সেই নীতি ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​হয়নি। ​​​​​​​এটা ​​​​​​​আগে সমাজমাধ্যমেই ​​​​​​​​​​​​​লিখেছিলাম। তিন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে যে তথ্যটা দিয়েছেন, যে, কাউকে টাকা ফেরত দিতে হবেনা, সেটা ভুল। 

    এবার, ​​​​​​​আরেকটু ​​​​​​​গভীরে ​​​​​​​ঢুকে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যাক, ​​​​​​​কেন ​​​​​​​দুর্নীতি। ​​​​​​​২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার কোনো ওএমআর শিট পাওয়া যায়নি, ওগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ম মেনেই, এসএসসি বলেছে, আদালতও আংশিকভাবে একমত হয়েছে। এসএসসির সার্ভারে স্ক্যানড কপিও পাওয়া যায়নি। তাহলে দুর্নীতি বোঝা গেল কীকরে? এসএসসির দুই ভেন্ডার, তাদের কাছে আলাদা করে স্ক্যানড কপিগুলো পাওয়া গেছে। মিলিয়েও দেখা হয়েছে। এসএসসিও সেখান থেকেই ডেটা নিত (এটা আইনী না বেআইনী  বলা নেই, ধরে নিচ্ছি আইনী বা ধূসর এলাকায় পড়ে)। এই স্ক্যানড কপি এবং এসএসসির সার্ভারে থাকা নম্বর মিলিয়ে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে গরমিল আছে। এই মেলানোর কাজটা এসএসসিই করে কোর্টে দিয়েছে। এর অনেকগুলো সারণী আছে রায়ে। আমি সারসংক্ষেপটা দিলামঃ 
    ১। প্যানেলের বাইরের ১৪৯৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। 
    ২। ৯২৬ জনের র‌্যাঙ্ক বদলানো হয়েছে। 
    ৩। ৪০৯১ জনের ওএমআরে গরমিল ধরা পড়েছে। 
    সব মিলিয়ে ৬২৭৬ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগ অংশটাই কিন্তু অশিক্ষক কর্মচারী। যেমন, ওই ৪০৯১ এর মধ্যে ২৫২৩ জনই অশিক্ষক।ফলে ২৬০০০ নিয়োগের মধ্যে ৬২৭৬ টা কেসে, যার বেশিরভাগ অংশটাই অশিক্ষক, দুর্নীতি, বেনিয়ম অবশ্যই হয়েছে। 

    কিন্তু তার পরেও বিচারটা ন্যাচারাল জাস্টিসের নীতি মেনে হয়নি। কেন হয়নি? বিচার এবং তদন্তটা কেমন হবার কথা ছিল? খুবই সাধারণজ্ঞান বলে, ৬২৭৬ টা গরমিল থেকে শুরু করা উচিত। অবশ্য হিসেবটা এসএসসি দিয়েছে, তারা কিছু ঢেকেচেপে দেখাতেও পারে। তদন্তকারী সংস্থার উচিত, ২৬০০০ ওএমআর স্ক্যান ধরে মিলিয়ে দেখা, কোথায় কোথায় গরমিল। তারপর সেটা থেকে কারা এই গরমিলে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করা। কেন খুঁজে বার করা, এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা। এটাকেই বলে তদন্ত এবং ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রক্রিয়া, যাতে করে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায় এবং কোনো নির্দোষ সাজা না পায়। 

    এর কোনোটাই হয়েছে বলে রায়ে দেখলাম না। পুরো আলোচনাটাই হয়েছে, প্যানেল বাতিল করা হবে কি হবেনা, সেটুকু নিয়ে। আদালত বহু পুরোনো কেস নিয়ে আলোচনা করে কয়েকটা নীতিতে পৌঁছেছে, যার ভিত্তিতে এই বিচারঃ 
    ১। যদি নিয়োগে পদ্ধতিগত জালিয়াতি হয়, পদ্ধতিটার ইন্টিগ্রিটি আন্ডারমাইন করা হয়, তাহলে পুরো ফলাফলটাই বাতিল করে দিতে হবে।  যদিও যতটা সম্ভব, স্বচ্ছতার সঙ্গে অসৎ এবং সৎদের আলাদা করতে হবে। (এর কোনো লক্ষণ রায়ে নেই)
    ২। পুরো প্রক্রিয়াটাই বাতিল করে দেবার জন্য স্বচ্ছ এবং পুঙ্খানুঙ্খ তদন্ত করে সন্তোষজনক মালমশলা প্রয়োজন। কিন্তু  পদ্ধতিগত বেনিয়ম যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হবার দরকার নেই। মোটামুটি ঠিক হলেই হবে। এবং প্রোবাবিলিটি টেস্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে। (সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে প্রমাণের দরকার নেই, আর প্রোবাবিলিটি টেস্ট, এই দুখানাই ন্যাচারাল জাস্টিসের উল্টো। সংখ্যাতাত্ত্বিক ভাবে গরীব লোকেরাই চুরি করে, অতএব গরীব হওয়াটা চুরির পক্ষের যুক্তি, এটা ন্যাচারাল জাস্টিস নয়) 

    এর পর আরও দুটো নীতি আছে, লিখলাম না। যেটা লিখলাম, সেটাও আমার ভাষায়, আসলটা দরকার হলে রায় খুলে পড়ে নেবেন, ১৭ আর ১৮ পাতা। তা, এই নীতিমালার উপর দাঁড়িয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা হয়েছে। সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে পদ্ধতিগত দুর্নীতি, বেনিয়ম প্রমাণিত হয়নি, বিচারক মোটামুটি একটা ধারণায় পৌঁছেছেন, এবং গোটা প্যানেল বাতিল করেছেন। এটা ন্যাচারাল জাস্টিস নয়। আমি বলছিনা, রায়ের সিদ্ধান্তের ঠিক আগেই বলা আছে, যে, জালিয়াতিকে ভ্যালিডেট করার জন্য, এই কেসে, ন্যাচারাল জাস্টিস প্রয়োগ করা যাবেনা। ইংরিজি বাক্যটা এরকমঃ In light of the facts of this case, we are of the opinion that the principles of natural justice cannot be invoked to validate the fraud that has occurred.  

    এই ঘোষণার পর বিচারক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, ১। অসৎ চাকুরেদের চাকরি যাবে, এবং মাইনে ফেরত দিতে হবে। ২। সৎ চাকুরেদের চাকরি যাবে কিন্তু মাইনে ফেরত দিতে হবেনা, এমনকি আগে যদি কোনো সরকারি চাকরি করতেন, সেখানে জয়েনও করতে পারেন। ক'জন অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ইশকুল মাস্টারি করতে এসেছেন, সেটা অবশ্য জানা নেই। এগুলো সারসংক্ষেপে, এছাড়াও আরও কটা সিদ্ধান্ত আছে,  ইচ্ছে হলে রায়ে পড়ে নিন, কিন্তু মোদ্দা কথা এইটুকুই। সৎ আর অসৎ অবশ্য আমার অনুবাদ। ইংরিজিতে বলা আছে টেইন্টেন্ড অর্থাৎ কিনা কলঙ্কিত এবং অকলঙ্কিত। রায় জানে কারা কলঙ্কিত এবং কারা অকলঙ্কিত, কিন্তু তার পরেও সকলেরই চাকরি গেল। এটা ন্যাচারাল জাস্টিসের নীতি নয়, রায়েই লেখা আছে। তার জন্য প্রচুর পরস্পরবিরোধী রেফারেন্সও দেওয়া আছে। তার থেকে উনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সকলকেই মানতে হবে। কিন্তু তার মানে এই না, যে, সবাই এতে একমত হবেন। এই আমিই যেমন, মনে করি, আইন যেহেতু অন্ধ, তাই প্রিন্সিপল অফ ন্যাচারাল জাস্টিস সমস্ত ক্ষেত্রে অন্ধভাবে প্রয়োগ করা উচিত। আমরা একবিংশ শতকে প্রবেশ করেছি। এখানে একজন নির্দোষও যেন সাজা না পায়। 
     
    মুজতবা আলির দেশে-বিদেশেতে এক অদ্ভুত কয়েদির গল্প আছে। মা খু চিহল পঞ্জম হস্তম। সবাই সেই গপ্পো জানেন, আর বললাম না। এখন সেই গপ্পোটা মনে পড়ছে। ৬২৭৬ জনের বেনিয়ম নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাতে যারা জড়িত তাদেরকে তদন্তকারী সংস্থা, আদালত চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে পারেনি। দেওয় উচিত ছিল, পারেনি। তার পরিবর্তে পেল অন্য হাজার-কুড়ি লোক। তারা ওই পঞ্জম হস্তম। এই সৎ চাকরিহারাদের প্রতি সম্পূর্ণ সমবেদনা রইল। যদি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, করব, যদিও কীভাবে জানিনা। 
     
    পুঃ 
    অনেকেই দেখছি, আবার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন বলছেন। উদ্দেশ্য সৎ, কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ অলীক একটা ব্যাপার। আমাকে তিনমাস পড়ে মাধ্যমিক দিতে বললেও এখন ফেল করব। আট বছর আগে এমএসসি করেছে যারা তাদের আবার দিতে বললে সেই ফল আরেকবার করে দেখাতে পারবেনা। কাজেই ওটা রাস্তা না। অনেকে দেখছি হেবি ফূর্তি পেয়েছেন। বিকাশবাবু বললেন মিষ্টি খাওয়াব, এই শিক্ষকরা পচা আম। সে ফূর্তি ধ্বনিত হচ্ছে টুকটাক। কিন্তু চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনাদের চারদিকেই সৎ প্রার্থী দেখতে পাবেন। বেশিরভাগ অংশটাই চুরি করে চাকরি পায়নি। তাদের ঘটি হারিয়েছে। যাঁরা ফূর্তি পেয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ আবার হাওয়া ঘুরে গেছে দেখে কাউন্সেলিং-ফেলিং করবেন বলছেন। এও সম্পূর্ণ ঢপের কথা। আসলে চাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি এবং ন্যাচরাল জাস্টিসের পক্ষে দাঁড়ানো। যাঁরা এতটুকু দুর্নীতি করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের শাস্তি এবং একই সঙ্গে এই দানবিক রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। তবে কাজ হবে। এতে ডাম-বাম কারোরই আপত্তি থাকার কথা না। 

    এবং মুখ্যমন্ত্রী। কাল তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে সম্পূর্ণ ভুল কথা বললেন। "অসৎ" প্রার্থীদের সমস্ত মাইনে ফেরত সত্যিই দিতে হবে। আদালতের রায় তাইই। এটাও ভয়াবহ, কিন্তু উনি জানেননা। দুর্নীতি তো হয়েছে বটেই, সেটা উনি ঠেকাতে পারতেন, ঠেকাননি। হতেই পারে, এতে রাজনীতি আছে, ত্রিপুরায় এই করেই সরকার বদল হয়েছিল, কিন্তু ব্যাপারটা এই দিকে গড়াতই না, এই বিপর্যয়ের সামনে পড়তেই হতনা, ঠিক সময়ে রাশ ধরলে। এবং এখন এই পরিস্থিতিতেও উনি দিশেহারার মতো মিস ইনফর্মড। আজ থেকে ২৬০০০ লোকের চাকরি নেই, ইশকুলগুলোতে কে পড়াবে তার ঠিক নেই, শিক্ষাব্যবস্থাটাই উঠে যাবার মুখে। স্কুলে ছুটি দিয়ে লাভ নেই, তিনমাস পরে ফিরিয়ে নেব ভেবেও লাভ নেই, ওসব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আইনজ্ঞরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন জানিনা, একটাই উপায় আছে বলে আমার মনে হয়, দুর্নীতি যতটা হয়েছে, তার দায় নেওয়া, এবং সৎদের আবার চুক্তিতে নিয়োগ করা। তিনমাস দেরি না করে, এখনই। এইটা নিয়ে রাজ্যসরকারকে চূড়ান্ত চাপ দেওয়া উচিত।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • π | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০০542092
  • আজকাল কোন পোস্ট আর কর‍তে ইচ্ছে করে না, কিন্তু কালকের রায়ের পর এতটাই রাগ, বিরক্তি, অক্ষম অসহায়তার বোধ হচ্ছে, এটুকু ভেন্ট আউট করাটা একেবারে নিজের জন্যেই বলা যায়। হয়তো স্বগতোক্তিই। উক্তিও তো না, প্রশ্ন। হয়তো তার মধ্যে বেশ কিছু রেটরিকাল প্রশ্ন। মনে পড়ে গেল, ঋতেন বলত, আমাকে রেটরিকাল প্রশ্ন করা নিয়ে। সেসব থাক।

    কালকের রায়, সেনিয়ে কিছু মানুষের উল্লাস দেখে একটা কথা মনে হচ্ছিল। যারা নানা জায়গায় আজ স্থায়ী চাকরি করছেন,  নিজের যোগ্যতার নিরিখেই নিযুক্ত হয়ে, কোনরকম দুর্নীতি, অনিয়ম, বেনিয়মের আশ্রয় না নিয়ে, যদি বলা হয় সেই চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় কেউ কেউ বেনিয়ম, দুর্নীতি করে পেয়ে গেছে, তাই আপনার চাকরি কাল থেকে চলে যাবে আর আপনাকে আবার সেই আগের মত সব পরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে চাকরি পেতে হবে, সেটা কেমন হবে?  মানে, যেকোন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এরকমটাই হতে পারে। লোকজনকে নিজেদের যোগ্য শিক্ষকদের জায়গায় বসিয়ে দেখতে বলছিনা, নিজেদের জায়গায় বসেই দেখতে, ভাবতে বলছি। কী মনে হয়? 

    এবার পরের প্রশ্ন, যেভাবে আর যখন বোঝা গেল, অযোগ্যরা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে, আর সেটা ভেন্ডারের ওএমআর আর এসএসসি সার্ভারের নাম্বারে গরমিলে যখন সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত, তাদের কেন জেরা করে এই দুর্নীতির মাথাদের সামনে আনা হয়নি বা এখনো আনা হচ্ছে না বা এদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছেনা?  যারা যারা যেভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যেকোনভাবে যুক্ত, এই শৃঙ্খলের গোড়া থেকে আগা অব্দি সবাইকে সামনে এনে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া এতদিনে কেন হয়নি, আজও কেন হচ্ছেনা,  সেই নিয়ে রায়েও কোন নির্দেশ নেই কেন? এই শাস্তিপ্রক্রিয়ার দাবি অবিলম্বে আসা দরকার, মনে করি।

    এই ৬০০০ কে যদি অযোগ্য বলে প্রমাণাতীত ভাবে চিহ্নিত করাই যায়,  তাহলে বাকিরা বাই ডিফল্ট  অযোগ্য নন, এটা কেন বলা যাচ্ছেনা, কেন তাঁদের চাকরি যাবে, কেন তাঁদের যোগ্য বলে প্রমাণ করা যাবে না, কেন এস এস সিকে সেটা প্রমাণ করতে বাধ্য করা যাবেনা, আর এস এস সি কেন ছাড় পেয়ে যাবে, রায় পড়েও এসব প্রশ্নের কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর পাইনি।

    এই ২০০০০ জনকে আবার সেই একই এসএসসি পরীক্ষার মত কিছুতে বসতে হবে?  অনেককেই দেখছি, লিখছেন যে এঁদের বিনা পারিশ্রমিকে আগামী কয়েক মাস কোচ করবেন, তাঁদের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এই দশ বছর বাদে ওই ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকায় নাম তুলতে বলা অবাস্তব। আবসার্ডও বলা চলে। যদি কোনভাবে যোগ্যতা প্রমাণ করতেই হয় ( যদিও আগেই লিখেছি, কেন করতে হবে সেটাই যুক্তিবুদ্ধিতে বোধগম্য নয়), তাহলে যাঁর যাঁর নিজের বিষয় ভিত্তিক, ক্লাসে পড়ানো ভিত্তিক, অশিক্ষকদের ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ ভিত্তিক মূল্যায়ন হোক। এতদিনের পারফরম্যান্স রিপোর্ট, ছাত্রদের ফিডব্যাক এরকম কিছু থাকলে সেসবও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে আনা হোক। যদি না থাকে, সেসব অবিলম্বে চালু করা দরকার, এই ঘটনা না ঘটলেও এই দাবি থাকত।

    আজ থেকে চাকরিহারাদের জন্য যেভাবে সম্ভব, সরকারের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।  এই ঘটনার দায় সরকারের, এঁদের ভরণপোষণেরও, নয় কি? 

    আর সবশেষে, সবচেয়ে জরুরি কথা। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা। যাদের পড়ানোর জন্য এই পদগুলি, সেই পড়ুয়াদের  কী হবে?  এমনিতেই শিক্ষা, সরকারি শিক্ষা, বাংলা মাধ্যমের শিক্ষা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি বলে গত বেশ কিছু বছর ধরে একটা অসম্ভব হতাশা আর বিরক্তিতে থাকি, বহু লোকজনের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা হয়েছে, কিছুই কাজের কাজ না হওয়া হতাশা বাড়িয়েছে   মাত্র, কিন্তু এটা সেই বোঝার উপরে শাকের আঁটি বা মরার উপরে খাঁড়ার ঘা তো নয়, এটা মোটামুটি মৃত্যুঘ্ণটাই বাজিয়ে দেওয়া।  কালকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সের বহু কিছু ভুলভাল তথ্য দেওয়া দেখে তাজ্জব বনতে বনতে ওই ৩০ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া আর তদ্দিন অব্দি চালিয়ে নেওয়ার নিদান শুনে বেবাক বেকুব বনে গেছি!  ছুটি ছুটিতে ছয়লাপ করে এম্নিতেই তো পড়াশুনাব্যবস্থাটাকেই ছুটি তুলে লাটে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে বহুদিন ধরে, আবারো তারই আশ্রয়!  অবিলম্বে এই ছুটি বাতিলের ব্যবস্থা করা উচিত আর পড়াশুনা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার দায়িত্ব সরকারের।  আবারো, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোকের ফ্রিতে কোচ করা সেই সমস্যা মেটাতে পারেনা।  সরকার এর দায়িত্ব নিক, উপায় বের করুক, যতদিন না স্থায়ী উপায় বের হয়, দরকারে এই শিক্ষকদেরই নিযুক্ত রাখুক,  যেকোন পদ্ধতিতে, যাতে সরকারি স্কুলের উপরে নির্ভরশীল পড়ুয়াদের এই কারণে আর কোন বেশি ক্ষতি না হয়। শিক্ষাব্যবস্থার স্থায়ী ক্ষতগুলো সারানো নিয়ে কথা চলুক। কিন্তু এখন আপাতকালীন পরিস্থিতি। দুয়ারে সংক্রান্তি।
  • দীপ | 2402:3a80:198b:8ed2:678:5634:1232:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৪542093
  •  সরকার এতোদিন দায়িত্ব নিয়েছিলো বুঝি?
  • দীপ | 2402:3a80:196c:495d:778:5634:1232:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২৫542098
  • একটা দুঃখ প্রকাশ অব্দি নেই, একটা বক্তব্য নেই নিজেদের ভুলটা স্বীকার করে? জানি না আর কতদিন মিথ্যের বেসাতি দেখবো। চেনা পরিচিত যাদের চাকরি আজ চলে গেছে, তাকাতে পারছি না তাদের দিকে। যারা সুপ্রিম কোর্ট কে গালি দিচ্ছে, হয় আইন বোঝে না, নইলে আবেগে চলে। আইন আবেগ বোঝে না। আজ অভয়া কেসে কিছু করার যাচ্ছে না, তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ায়। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে যোগ্যদের ক্ষেত্রে। তারা যে যোগ্য তার কোন প্রমাণ নেই। কে ভালো ছাত্রী তাই দিয়ে কিছু হয়না আদালতে। একজন নিরপরাধ যেন অযথা শাস্তি না পায় এই কথার ও কোন দাম সত্যিই নেই আদালতে। কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তার কোন পরিষ্কার ভাগ হাজারবার বলা সত্ত্বেও হাই কোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে দিতে পারেনি এস এস সি। ফলে এটা যে হবেই একদিন জানা ছিল। খুব সচেতন ভাবেই এটা করা হয়েছে যাতে যোগ্য অযোগ্য খুঁজে না পাওয়া যায়। তথ্য প্রমাণ সব হওয়া। উল্টে এবার ক্যাবিনেটে পাস সুপার নিউমেরিক নিয়ে তদন্ত হবে। এবার আসল খেলা। এসব কুচদের মেরে ভয় দেখিয়ে আসল ড্রিল হবে সেটিং করবি কিনা বল। এখন অনেক বিল পাস করতে হবে। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়। আরে জনসাধারণ তো বলি প্রদত্ত। বিজেপির তো অনেক টাকা আছে, কালকেই হাজার পাঁচেক করে ভাতা দেবে বললেই কী হিন্দু, কী মুসলমান সব খেলা ঘুরে যাবে। বলবে? ভুলেও বলবে না। এখানে তারা আসতেও চায়না আবার বামেরা আসুক সেটাও চায়না। অতএব এই অরাজকতা চলতেই থাকবে। ২৬ হাজার চাকরি গেছে তো হয়েছে টা কী, লাখে লাখে সাপোর্টার আছে, ভাতাজীবি আছে, বুদ্ধিজীবী আছে। অনেকে তো বেশ খুশি দেখলাম! একটা জায়গা বলুন যেখানে স্বচ্ছ নিয়োগ হয়েছে। রেট চার্ট আছে সব চাকরির। অতীতে বামেরা ও দুর্নীতি করেছে কিন্তু এভাবে লার্জ স্কেলে , প্রাতিষ্ঠানিক সত্যিই দেখিনি। যেখানে ক্যাবিনেটে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়, এস এস সি আদালতে বলে যোগ্য অযোগ্য সবাইকে রাখতেই এই ব্যবস্থা তারপর এর দায় শুধু সেই সময়ের শিক্ষামন্ত্রীর? এর পরেও বলবো ভুল? এগুলো ভুল? রাজ্যের ভিসি, উপদেষ্টা, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সব জেলে, এই লজ্জা রাখবো কোথায়। কী মরতে যে শিক্ষকতার লাইনে এসেছিলাম ভাবলে এখন নিজের গালে নিজেকে চড় মারতে ইচ্ছে করে। এরপরেও জাস্টিফিকেশন শুনছি। এর পরেও গলাবাজি শুনছি। অভয়া হাসছে। ঠিক আর কতটা নীচে এই জাতি নামতে পারে দেখার জন্য বসে আছি। আত্মঘাতী বাঙালি হাততালি দিয়ে লাইন করে হা হা রিয়েক্ট করে যান।
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:196f:d26f:878:5634:1232:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৩542099
  • কোলকাতা হাইকোর্টের বহু পুরোনা রায়ে বলা ছিলো যে ৭-৮ হাজার জালি ক্যান্ডিডেট পাওয়া গিয়েছে SSC দায়িত্ব নিয়ে এদের বাছাই করে বাদ দিয়ে দিক, তাহলে বাকি প্যানেল বাতিল করা দরকার পড়বেনা। তখন ইগো দেখাতে গিয়ে আর রাজনৈতিক অভিসন্ধি করতে গিয়ে SSC সেই দায়িত্ব নিতে চায়নি। পুরো ম্যাটারটি ঘেটে দেওয়ার পেছনে SSC মূল দায়ী। ওরা নামেই অটোনমাস বডি, সরকারের কথা ছাড়া একটাও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা অপদার্থ প্রধানগুলি।
  • mulo | 167.103.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৮542101
  • "দুর্নীতিতো খানিকটা হয়েছে" -এখন মুলোদের সমর্থন  চলেছে 
  • r | 2405:8100:8000:5ca1::350:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫৯542102
  • mulo,
    তৃণমূল সরকারকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে।
  • a | 115.64.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫০542105
  • । 
     
    দুর্নীতি যে হয়েছে সেটা স্পষ্ট। সেদিক থেকে দুটো আলাদা প্রশ্ন উঠে আসে 
     
    ১। যে প্রক্রিয়াটা এই দুর্নীতির মাধ্তমে সম্পন্ন হয়েছে তার কি হবে। এই বিষয়ে রায় বেরিয়েছে। আমি যেটুকু বুঝেছি, সেটা হল ৭০০০ জনকে অযোগ্য বলে চিন্হিত করা গেছে, বাকিদের মধ্যে এই যোগ্য অযোগ্য ভাগাভাগি করা যায়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাই তর্কাতীত ভাবে প্রমাণিত অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে, বাকিদের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। এই ভাগ করার দইত্ব এস এস সির ছিল, সেটা তারা পালন তো করেইনি, উল্টে পুরো বিষয়্টাকে এদ্দিন টেনে গেছে 
     
    ২। দ্বিত্র্র‌্য বিষয় হল এতে কে জড়িত - সে বিষয়ে মামলা চলছে তো অনেকগুলো। তার সাথে এই রায়ের যোগসূত্রটা জোর করে আনা হচ্ছে কেন? ইন ফ্যাক্ট রায়ে তো বলেছে তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে। 
     
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:6969:5216:995a:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৩542106
  • 'এই ভাগ করার দইত্ব এস এস সির ছিল, সেটা তারা পালন তো করেইনি, উল্টে পুরো বিষয়্টাকে এদ্দিন টেনে গেছে' 
     
    - এসএসসি নামেই অটোনমাস, আসলে সরকার যা চায়, তাই করে। সুতরাং যোগ্য অযোগ্য ভাগাভাগি সরকার করতে পারে নি, বা করতে চায় নি 
  • পাপাঙ্গুল | 2402:8100:25cc:89d8:5c15:d0ff:feba:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৯542107
  • এখানে অনেক পার্টি জড়িত। তাদের মধ্যে আদালত সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। সিবিআই তাদের কর্তাদের কাছে দায়বদ্ধ। সরকার ও শাসকদল দায়বদ্ধ সাধারণ মানুষের কাছে। সরকার চাইলে প্রথমে ধরা পড়ার পরই আলাদা তালিকা করতে পারত কিন্তু করেনি কারণ তাতে শাসক দলের স্বার্থ জড়িত। উল্টে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে অযোগ্যদের কাজে রাখতে চেয়েছে। সরকার যদি অযোগ্যদের সংখ্যা না জানে তাহলে কত শূন্যপদ তৈরি করতে হবে সেটা জানল কি করে? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে হবে বা সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার কে হবে , সেটা সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। কিন্তু সরকার পাল্টে দেবার ক্ষমতা আছে। সেটার ভোটবাকসে প্রভাব নিয়ে তাই আশঙ্কা থাকবে।  
  • পাপাঙ্গুল | 2402:8100:25cc:89d8:5c15:d0ff:feba:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৩542109
  • সরকারের উচিত ভুল স্বীকার করে এক্ষুনি যোগ্যদের পাশে দাঁড়ানো।
  • দীপ | 2402:3a80:198b:4eb7:678:5634:1232:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৪২542113
  • সবই বুঝলাম কিন্তু দুটো প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছি না।

    ১) OMR শিট গুলো একবছরের মধ্যে নষ্ট করলি তাও ঠিক আছে। ধরেনিলাম ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর OMR জমিয়ে রাখতে গোডাউন লাগছে। তাই জায়গা বাঁচাতে পুড়িয়ে দেওয়া ভালো। কিন্তু ওই OMR গুলোর ডিজিটাল স্ক্যান কপিগুলো নষ্ট করার কী দরকার ছিল। সেগুলো জমিয়ে রাখতে তো দুটো হার্ড ডিস্ক লাগে। তার দাম বড়জোর ৫০০০/- টাকা করে ১০০০০/- টাকা। আর জায়গা বলতে  বড়জোর একটা ৩০০/৪০০ পাতার বই এর সমান। সেটা এসএসসি এর অফিসের আলমারিতে এক কোণায় থেকে যেতো। কার কী অসুবিধা হতো? ওই হার্ড ডিস্ক টা ধ্বংস করার কী কারণ থাকতে পারে?

    ২) OMR শিট গুলো স্ক্যান করে সাধারণত নরম্যাল PDF ফরম্যাট এ রাখা হয়। এনারা স্ক্যান করে editable PDF ফরম্যাট এ রাখলেন। কেন? উত্তরপত্র পড়ে edit করার প্রয়োজন এর সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে এটা না ভাবলে তো “editable” করার দরকার নাই। বরং নরম্যাল pdf হলে মেমরি অনেক কম লাগবে সেগুলো হার্ডডিস্কে সেভ করে রাখার জন্য। কোন পরিস্থিতিতে ক্যান্ডিডেট দের উত্তরপত্র edit করার প্রয়োজন হতে পারে বলুন তো! ক্যান্ডিডেট দের উত্তরপত্র তো পরীক্ষার পর আর কোনোভাবে edit যাতে করা না যায় সেটাই তো পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার দেখার দায়িত্ব।

          যাইহোক আরও একটা প্রশ্ন মাথায় আসছে, যে এই বুদ্ধি দিয়েছিল যে editable PDF করো যাতে পরে প্রয়োজন মতো উত্তরপত্রে পরিবর্তন করে নম্বর বাড়ানো কমানো যায়, সে এটা বলে  দেয়নি যে, কাজ হয়ে যাবার পর সবগুলোকে আবার non editable নরম্যাল PDF করে দিতে হবে?
  • দীপ | 2402:3a80:198b:4eb7:678:5634:1232:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৪৪542114
  • সোজা কথা স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন!
  • দীপ | 2402:3a80:198b:9c93:678:5634:1232:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪২542124
  • অভিনন্দন জাইনবেন দিদি! আফনের পছছিম্বঙ্গ সরকারের দুইটা বিশাল বড় এক্সপার্টাইজ ও অ্যাছিভমেন্ট...১। কিলিং...২। ফুলিং...!!!
     
    লিখলেন রোদ্দুর রায়।
  • দীপ | 2402:3a80:198b:1d8f:678:5634:1232:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০০:২৩542126
  • আগামী সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সমবেদনা অনুষ্ঠানে যাবেন, উনাকে সরাসরি প্রশ্ন করুন মিরর কপি ( ডিজিটাল এভিডেন্স) হার্ডডিস্ক কোথায় আছে? কুমিরের কান্না না করে, যোগ্যদের পাশে থাকলে হার্ডডিস্ক পুনরুদ্ধার করে দেখান।
    অযোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা কে দিয়েছিল?
     
    শিক্ষায় যে বিপর্যয় নেমে এসেছে এর দায় উনাকে নিতে হবে।।
     
    ফেসবুক 
  • দীপ | 2402:3a80:198b:113e:678:5634:1232:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১০542141
  • গত কয়েকদিনে যা যা বুঝলাম, মোটামুটি এইরকম ( বোঝাটা ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে কেউ শুধরে দেবেন) 

    ১) যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একদল clearly tainted, মানে ওই যাঁদের সাদা খাতা পাওয়া গেছে ইত্যাদি। এঁদের চাকরি গেছে + টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ১০০ জনের স্কেলে ব্যাপারটা যদি ভাবি, তাহলে হয়তো ৩০ জন এরকম। নাম দিচ্ছি ক্যাটেগরি D। 

    ২) বাকি ৭০ জনের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য মিশে আছে। তর্কের খাতিরে ধরছি, ৪৫ জন যোগ্য, ২৫ জন অযোগ্য। ধরা যাক, ক্যাটেগরি A ও C। যেহেতু কমিশন তথ্য-প্রমাণ সব লোপ করে হাত ধুয়ে বসে আছে, তাই প্রমাণ পাওয়া সম্ভবই নয় যে কোন ক্যান্ডিডেট ওই ৪৫ জনের মধ্যে পড়েন, কে ২৫ জনের মধ্যে। এবং অনিয়ম যে হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে। তাই, "tainted কারা তো জানাই গেছে, বাকি সবার চাকরি থাকল না কেন" এই কথাটা বলার জায়গা নেই। কে A তে পড়েন, কে C তে, কোর্ট জানেন না। যাঁরা জানাতে পারতেন, ইচ্ছে করেই জানাননি। 

    ৩) এর বাইরে আরেকটা বিপুল দল আছে, যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যোগ্য ছিলেন, কিন্তু ভয়ানক কারচুপির জন্য তাঁদের নামই ওঠে নি লিস্টে। ১০০ টি পদের স্কেলে, ধরি এঁরা আরও ১০০ বা তারও বেশি। নাম দিই দল B? এঁরাই দীর্ঘদিন রাস্তায় বসে কাটিয়েছেন, আমরা ভ্রূক্ষেপমাত্র করিনি। মামলাটা হয়েছিল, যতদূর জানি, এঁদের দাবি মেনে। 

    ৪) D যে বাতিল হবেন, বলাই বাহুল্য। A আর C কে আলাদা করা যাচ্ছে না। অতএব আইন ( A+C) সবারই চাকরি বাতিল করেছে। এতে A এর ওপর অবিচার হয়েছে, অবশ্যই। যাঁদের চাকরি গেল কেরিয়ারের মাঝপথে, তাঁদের কথা ভাবলেও হাড় হিম হয়ে আসছে। কিন্তু, ( A+C) কে as it is রেখে দিলে B এর প্রতি অবিচার হত আবার। এবং একই সঙ্গে A ও B এর উভয়ের প্রতিই natural justice serve করা যাবে, এমন পদ্ধতি সম্ভবত নেই। যদি বা থাকতও, তথ্যপ্রমাণ লোপ করে সে পথ সযত্নে বন্ধ করেছেন ক্ষমতায় আসীন ব্যক্তিরা। 

    ৫) কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় যোগ্য-অযোগ্য ব্যাপারটা 0 আর 1 এর মত বাইনারি নয়। সবটাই আপেক্ষিক। মাধ্যমিকে অকৃতকার্য-অকৃতকার্যর মতও নয় যে ২০০ জন পরীক্ষা দিলে ২০০ জনই পাশ করতে পারে, ঠিকমত পড়াশুনো করলে। নির্বিচারে (A+C) কে বহাল রেখে দেওয়া মানে, ওই পোস্টগুলো B দলের জন্য চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাই কোর্টের কিছু করার ছিল না সম্ভবত। 

    A এর মধ্যে অনেক যোগ্য শিক্ষক ছিলেন। তাঁরা যে continue করতে পারলেন না, তার দায় কোর্টের নয় বা  মামলাকারীদের নয়। তার দায় একান্তভাবেই তাঁদের যাঁরা A ও C কে আলাদা করে বাছবার উপায় রাখেননি। 

    ৬) নিরপরাধরা কেন শাস্তি পাবেন, সঙ্গত কারণেই সেই প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু again, এটা অপরাধী-নিরপরাধের বাইনারি নয়। A যেমন নিষ্কলুষ, B ও তো তাই! "শাস্তি" হিসেবেও নেওয়া হয়নি স্টেপটা, বলা হয়েছে ক্লিন শ্লেটে selection এর অঙ্কটা আবার করতে ( যেহেতু নোংরা কাটাকুটিতে শ্লেটে পাঠযোগ্য কিছুই নেই আর) । এখনও যখন প্রশাসকরা বলছেন অপসৃত যোগ্য শিক্ষকদের পাশে থাকবেন, তাঁরা A -র কথা বলছেন ( যদিও C কে ছাঁকনি দিয়ে ফিল্টার করছেন না), এবং B এর অস্তিত্ব পুরো উপেক্ষা করছেন। 

    ৭) কমিশনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা A আর C কে আলাদা করতে দেননি এই ভেবেই, যে A-এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাঁরা C দের পার করিয়ে দেবেন। সেটা একবার করা গেলে 
    ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যাপারটা normalized হয়ে যেত। এবং ভয়ঙ্কর প্রিসিডেন্স সেট হত। 

     ৮) ফলে ব্যাপারটা এখন একটা বিশাল optimization problem. (A+B+C) এই মোট সংখ্যা থেকে খুঁজে বের করা কোন ১০০ জন সবচেয়ে যোগ্য, তুলনামূলকভাবে। এর সমাধান চট করে হবার নয়। সমস্ত stakeholders দের নিয়ে বসে, বিশেষজ্ঞদের মতামত দিয়ে রাস্তা খুঁজে বের করাটাই কাম্য। এবং সেটার প্রথম ধাপ হল নিজেদের গাফিলতি, দুর্নীতি সবটা স্বীকার করা, এবং সেই পথে পুনর্বার না হাঁটার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। নইলে আমজনতা ( যাদের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি বেতন হয়) কী করে সদিচ্ছাটা টের পাবেন? 

    ৯) ও হ্যাঁ ( C+D) কে অসৎপথে চাকরি দেওয়ার জন্য শুধু A বা B victim হন নি, victim হয়েছে অজস্র ছাত্রছাত্রীও যারা এই জাল শিক্ষকদের কাছে পড়েছে, বা যাদের বোর্ড পরীক্ষার খাতা এঁদের হাতে মূল্যায়িত হয়েছে।
     
    লিখেছেন রাখা দাশগুপ্ত।
  • দীপ | 2402:3a80:198b:113e:678:5634:1232:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১১542142
  • রাকা দাশগুপ্ত।
  • উফফ_ | 117.199.***.*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১০542145
  • দীপ ফেসবুকের পোস্ট গুরুতে কেন কপি পেস্ট করেন কেউ বলতে পারেন? 
    আমার ধারণা উনি কেবলমাত্র দুটো সাইটে বাংলায় লেখা বাক্য পড়তে ও লিখতে পারেন। ফেসবুক আর গুরুচণ্ডালি। ফেসবুকে পাওয়া লেখা ফেসবুকে শেয়ার করাই যায়, কিন্তু তাতে লোকে মূল পোস্টদাতার প্রোফাইলই দেখতে পাবেন, দীপের আর গুরুত্ব কী থাকল। তাছাড়া অম্বিকেশ মহাপাত্র কেসের পর থেকে ফেসবুকে নিজের নামের প্রফাইল থেকে ফরোয়ার্ড তথা শেয়ারিং বেশ রিস্কি।  তৃণমূল বা বিজেপি যাকেই গালি দেওয়া হোক তাদের ক্যাডারেরা বাড়ি বয়ে এসে কেলিয়ে যেতে পারে।  এখানে অর্থাৎ গুরুতে পেস্ট করলে বেশ এক প্ল্যাটফর্মের লেখা অন্য প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো "" গুরুত্বপূর্ণ "" ""কাজ"" করাও হল, নিকের দৌরাত্মে খানিক অ্যানোনিমিটিও হল, আর এই গুরু সাইটের প্রতি এতদিনের সঞ্চিত ঘৃণা থেকে নতুন ক্রিয়েটিভ কনটেন্টের পরিবর্তে অন্য জায়গার জিনিস কপি পেস্ট করে খানিক সাইট নোংরা করে ইউজারদের বিরক্তি উৎপাদন করাও হল।
    আর কিছু মনে হয় কারোর?
  • hi | 2405:8100:8000:5ca1::149:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১৪542146
  • গুরুতে সব অজ্জিনাল থিংকার। কার্টেলের বাইরের মাল এখানে হজম হয় না। আর পাঁচজন কোথায় কি লিখল গুরুরা তা পড়েও দেখবে না।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:3dd0:878:5634:1232:***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৯542165
  • আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে:

    ১. প্রথমে SSC দিয়ে দুর্নীতি করাবো।
    ২. তারপর, এভিডেন্স লোপাট করবো এবং জমাও দেবোনা।
    ৩. এরপর, নিজের দলের চামচা টিচারদের মুখ করে কোর্টকে খিস্তি খাওয়াবো।
    ৪. সেন্টু মেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবং সময় ওয়েস্ট করতে সভা ডাকবো।
    ৫. সেই সভায় নিজের দলের চামচাদের ঢুকিয়ে বাকি পাস বিক্রি করে আরও দুর্নীতি করবো আর টাকা কামাবো।

    মস্ত প্ল্যান হ্যায়। বাহঃ দিদি বাহঃ, বাহঃ দিদি বাহঃ!
  • দীপ | 2402:3a80:198d:4817:778:5634:1232:***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২৫542166
  • যোগ্য vs অযোগ্য । 
    ইনডোরের সামনে তুমুল বুঝে নেওয়ার লড়াই ।  
    শহীদ মিনার  ময়দানে পাস বিলি করছিলেন নবান্ন অ্যাপয়েন্টেড এজেন্টরা । তারাও মার খেলেন । পথে পাস ছিনতাই হল ।
    ওদিকে ইনডোরের সামনে বেধড়ক মার খেলেন বেশ কিছু শিক্ষক । কে যোগ্য কে অযোগ্য, বোঝা গেল না । একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার, সবাই বলছেন "আমরা যোগ্য"।
    এই খেলাটাই খেলেছেন মমতা ব্রাত্য । সারা রাত অনেকেই শহীদ মিনার ময়দানে রাত কাটিয়েছেন । যাঁরা পাস পাননি, রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে চেচাচ্ছেন " আমরা কারা ? যোগ্য যাঁরা।"
    ওদিকে সোয়া ১২ টায় আসব বলে সোয়া ১১ টায় চলে এসেছেন মঞ্চে, অবস্থা বেগতিক বুঝে । পৌনে ১২ টায় শুরু করে দিলেন সভা । যাতে বাইরের ক্যামেরায় সব দৃশ্য আড়ালে চলে যায় ।
    এদিকে অভিযোগ ভুয়ো নথি নিয়ে পাস জোগাড়ের চেষ্টা, তাড়া খেলেন তিনি, আটক হলেন পুলিশের হাতে । অভিযোগ করলেন কেউ কেউ "পাস" বিক্রি হচ্ছে ।
    নোট : শিক্ষা মন্ত্রীকে অনেকদিন বাদে পাওয়া গেছে,  ইনডোরে । মঞ্চে । সেজে গুজে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে । 
    নোট : কয়েকজন যোগ্য শিক্ষকদের দিয়ে বক্তৃতা দেওয়ানো শুরু । বেশ বোঝা যাচ্ছে । হোমওয়ার্ক করানোর কাজটি সুনিপুণ ভাবে করেছেন ব্রাত্য ।
    একজনকে ( মেহবুব, তৃণমূলী চাকরি হারা শিক্ষক ) দিয়ে বলানো হল এই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রিভিউ পিটিশন দেব না । অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির দিকে আঙুল তোলানো হল । বলেই দিলেন "ষড়যন্ত্র হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে" ।
    আর ঘোষণা যিনি করছিলেন সেই তৃণমূলী শিক্ষক বলে দিলেন " আইন আমরা মানি না" 
    ( আদতে মুখ্যমন্ত্রীর মনের ডায়লগ ) ।
    সাজানো চিত্রনাট্যে একজন রাণী রাসমনির উপাচার্যকে দিয়ে এবার "মমতাকে তেলবাজি" শুরু হল ।
    আবুল বাশারকে এরপর মাইক্রোফোনে আনা হল । মমতা বন্দনা করানোর জন্য ।  শুরু করলেন
     " বিচার ব্যবস্থার ওপর আর আস্থা রাখা যাচ্ছে না । পুলিশের মানবিক মুখ তৈরি করে দিয়েছেন  মুখ্যমন্ত্রী ।"
    চেয়ারের জল মোছা কবি সুবোধ সরকারকে আনা হল মাইক্রোফোনে । দেদার তেল দিলেন মমতাকে । বললেন "উনি নাকি রাতে ঘুমোতে পারছেন না ,মমতা ভারতের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী ।কন্যাশ্রী, লক্ষীর ভাণ্ডারের মুখ্যমন্ত্রী।"
    নেতাজি ইনডোর তাতা শুরু হয়েছে । 
     
    অবস্থা বেগতিক বুঝে সোয়া বারোটায় বক্তৃতা শুরু করে দিলেন চুরির নেতৃত্ব দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী । 
    "চাকরি খেকো দের ধিক্কার।
    কেউ কিছু ভুল করে থাকলে তার দায়িত্ব আমরা কেন নেব ?
    জানা সত্বেও সিপিএমের কারুর চাকরি খাইনি " 
    একটা দুটো কাজ করতে গেলে একটা দুটো ভুল হয়
    আমাদের ভুল সংশোধনের সময় দেওয়া হয়নি।"
     
    নেতাজি ইনডোরের ভেতরেই বিক্ষোভ শুরু । 
    তারই মধ্যে বলে চলেছেন মমতা , " ভুল করা আমাদের অধিকার‌। চন্দ্রচুড় আমাদের কথা বুঝেছিলেন।(খান্না সাহেব) সত্যিটা বোঝেন নি ।
    রায়ের পেছনে খেলা নেই তো ?"

    # এরপর কবিতা আওড়াতে শুরু করলেন ।
    (এপ্যাং ওপ্যাং নয়) । 

    "আমরা লইয়ার কাদের দিয়েছিলাম শুনুন, অভিষেক মনু সিংভি....
    এবার আমরা নিচ্ছি কপিল সিব্বল, রাকেশ দ্বিবেদি, কল্যাণ ব্যানার্জি। অভিষেক মনুও থাকবে।
    শিক্ষা ব্যবস্থা বিরোধীরা ভেঙে দিয়েছে, ২০২২ থেকে নোংরা খেলা শুরু হয়েছে।
    বিকাশ ভট্টাচার্যকে আইসোলেট করা উচিত।
    জেলে ভরে দিলেও আই ডোন্ট কেয়ার।
     যাত্রা পালার মাধ্যমে ভুল বোঝানো হচ্ছে ।
    প্ল্যান এ বি সি রেডি,  আপনারা স্কুলে যান ।
    ভলেন্টিয়ার সার্ভিস যে কেউ দিতে পারে স্কুলে।
    আপনাদের চাকরি ব্রেক হবে না।
    কারা যোগ্য কারা অযোগ্য সুপ্রিম কোর্ট দিক।
     
    ( এস এস সি নয়, বিকাশ ভবন নয় সুপ্রিম কোর্টকে দিতে  হবে!!!)

    সুপ্রিম কোর্ট যদি ক্লারিফিকেশন না দেয় আমি 
    অন্য পথে বুঝে নেব।
    যাঁরা যোগ্য ভরসা রাখুন । আপাতত ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস দিন।
    কেউ কারুর উস্কানি শুনে প্ররোচিত হবেন না ।( টাকা ফেরতের জন্য কালীঘাট প্লিজ যাবেন না)
    আম (আমি) আর আমড়া এক নয়।
    আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন, তারপর অযোগ্যদেরটা দেখব।
    কি এভিডেন্স আছে সেটা পরীক্ষা করে দেব । আলাদা করে বৈঠক করব ।"
     
     এরপর , ইনডোর তেতে ওঠার পালা... কাওতালি শুরু । 

    " আপনাদের (যোগ্যদের) চাকরি গেলে যেমন ক্ষতি, তেমনি অন্যদের (চোরদের ) চাকরি যাওয়া অন্যায় ।"

    # ইনডোর জুড়ে লালবাজারের বাউন্সাররা ঢুকে গেলেন দর্শক আসনে ।

    সময়ের আগেই মঞ্চ ছেড়ে পালালেন মুখ্যমন্ত্রী......
    বিধ্বস্ত, স্তম্ভিত চাকরি হারা ছেলে মেয়ে গুলো তখন চোখ মুছে চলেছেন । 
    শেষ হল টুপি পরানোর শয়তানির সভা । 
    যাঁরা গিয়েছিলেন বুঝলেন কি ?

    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৩542169
  • বেশ কিছু বঞ্চিত (যোগ্য হয়েও ডাক পাননি) -দীপ বাবুর শেয়ার করা রাকার পোস্টে গ্রূপ বি -তারা আর টি আই করে ওএমআর সিটের মিরর ইমেজ পেয়েছে এই কদিন আগে। চোরদের দলের কর্তারা কোর্টে এসব দেয় নি। পনের বিশ লাখ ঘুষ নিয়ে নিয়োগ করেছে তাদের ভাসিয়ে দেয় কি করে! উনি সততার প্রতিমূর্তি না? তাই সবাই ভোগে যাক।
    আজ সভায় বলছে সবাই কাজে যান। চোররা ও যাক। কোর্টে কপিলকে লাগিয়ে কিছু একটা করবেন।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:f8c7:878:5634:1232:***:*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৮542232
  • বাঁচতে চাইছো, সেটাই তো অপরাধ।
    সম্মান চাও? অপরাধ সে তো আরো !
    কেন্নোর মত কুঁকড়ে গুটিয়ে থাকো
    নয়তো গর্তে ঢুকে যাও, যদি পারো!!

    মার খেতে খেতে দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ ?
    পালাবার কোন পথ জানা নেই কারো ?
    তবে এইবার একার গন্ডী ছেড়ে
    একজোট হও, সপাটে পাল্টা মারো!!

    -শতরূপা সান্যাল 
    ৯।৪।২০২৫
    কলকাতা
  • দীপ | 2402:3a80:198f:6c26:878:5634:1232:***:*** | ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২৬542273
  • BREAKING NEWS 
    চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করবেন তাঁদেরই লাথি মারা পুলিশ অফিসারই !
     
  • PRABIRJIT SARKAR | ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩৪542274
  • কতটা লজ্জাহীনা এই নারী!
  • দীপ | 2402:3a80:198b:34fe:678:5634:1232:***:*** | ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০৪542302
  • "মমতা ব্যানার্জী এবং পশ্চিমবঙ্গর শাসকদল এরাজ্যের "জনগণ"-কে আক্ষরিক অর্থে "টেকেন ফর গ্রান্টেড" অবস্থায় নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, ওদের পূর্ণবিশ্বাস আছে যে ওরা যত অন্যায়, চুরি, খুন, ধর্ষণ করুক, এখনকার বৃহত্তর স্বার্থপর, 'অরাজনৈতিক' ভাতাজীবি বাঙালি ভোটব্যাঙ্ক তাদের সাথেই থাকবে দুপয়সা বিস্কুট খাওয়ার লোভে।

    কেন বলছি? কারণ গতকালই আমরা দেখলাম যে রিতন দাস নামের এক সরকারী উর্দিধারী গুন্ডা যে কিনা শিক্ষকদের মারলো 'ক্রিমিনাল' মনে করে, সেই কিনা ওই DI অফিস অভিযানের তদন্তের ভার পেয়েছে। স্বাভাবিক, মমতার মতো জালি, খুনি, রেপ সমর্থক মূর্খমন্ত্রীর কাছে এর চেয়ে বেশি আশা করা যায়না। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিলো কীভাবে যেখানে রাজ্যজুড়ে মমতা এবং তৃণমূল নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে? কারণ, ঐ যে জনগণ হলেন "টেকেন ফর গ্রান্টেড।" তৃণমূলের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে একটা এলেবেলে তদন্ত করে দিলেই (সেটা এখনও হবে) মানুষ ভুলে যাবে, ভোটব্যাঙ্ক বেঁচে যাবে, ভাতাজীবিরা "দয়ার শরীল" অশিক্ষিত জোচ্চোর মূর্খমন্ত্রীর পাশেই থাকবেন। কিন্তু, সেটা হলোনা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার মধ্যে (তৃণমূলী লুম্পেন এবং গুন্ডা ছাড়া) রোষ দেখা দিলো। সিদ্ধান্ত বদল হলো। কিন্তু গোটা ঘটনায় জনগণ নিজের "ঔকাত" বুঝতে পারলো। তারা মমতার এবং তৃণমূলের ছুঁড়ে দেওয়া দুটাকার বিস্কুটের কুকুর ছাড়া আর কিছুই না। না আছে তাদের সম্মান, না আছে আত্মসম্মান।

    কিন্তু, এই ধৃষ্টতা আসে কোথা থেকে? সিম্পল। মমতার ইতিহাস এবং গড়ে ওঠাটাই এইসব জালিয়াতি, কেলেঙ্কারি, এবং জনতাকে ভুল বোঝানো দিয়ে। যে মনীশ গুপ্ত বাম আমলে স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন, যার কথায় নাকি মমতার মাথায় "গুলি মারা হয়েছিল" (ব্রেন নেই সেটা নিশ্চিত), সেই মনীশ গুপ্ত তৃণমূলের মন্ত্রীসভা উজ্জ্বল করলেন মমতার আমলে। আবার, যে লালু আলম মমতাকে মেরে প্রায় মমি বানিয়ে দিয়েছিল, সেই লালু আলম এখন তৃণমূলের বড় নেতা এবং সংগঠক। মাঝ থেকে যেটা ঘটেছে সেটা হলো মমতার কথায় উস্কানি খেয়ে কিছু মানুষের প্রাণ গেছে, প্রাণ যাওয়ার পরেও তাদের পরিবার যে মমতার উপর ভরসা করেছিল তাদের কুকুর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মমতার যা নোংরা চরিত্র এবং ওর যা নীতিহীনতা, আমি নিশ্চিত যে বিরোধীদের আগে বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের প্রাণ ও স্যাক্রিফাইস করবে স্রেফ ভোটের সময় এক্সট্রা কিছু ব্রাউনি পয়েন্ট স্কোর করার আশায়। এই শিক্ষকদের মধ্যে মেহবুব মন্ডল, মৃন্ময় মন্ডল, চিন্ময় মন্ডল, সঙ্গীতা সাহা, রূপলেখা, আজহারুদ্দিনদের প্লান্ট করে এরা সমগ্র চাকরিহারা শিক্ষকদের সাথে একই খেলা খেলছে। অবিলম্বে সঠিক ডিসিশন না নিলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে এবং আবার কুকুর বানানো হবে।

    রইলো বাকি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের কথা, এখনও সুযোগ আছে নিজের ভালো বোঝার। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মমতার পোষ্য হওয়া থেকে বাঁচুন, নইলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুখ দেখাতে পারবেন না, সে আপনি যতই চুরির টাকা রেখে যান। আমিন।"
     
    লিখেছেন বিজয়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন