এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • তাদের গল্প, যাদের দেখেও দেখি না, শুনেও শুনিনা

    সৌমী আচার্য্য
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ০৫ মার্চ ২০২৩ | ১৫২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • দীর্ঘক্ষণ চুপ করে বসে নদীর বয়ে যাওয়া শুনতে ইচ্ছে করে। একটু পরে আকাশের অন্ধকার বুকে ফুটে উঠবে হীরার কুচি। ঠিক তখন একটা একটা করে দীর্ঘশ্বাস ভাসিয়ে দেব। ফেরার পথে বুড়ো থানে বসে থাকা জটিবুড়িকে এককাপ চা খাইয়ে গল্প শোনাব। সে বুড়ির খপ্পরে পড়লে কথা বলতে বলতে মুখে ফ্যানা জমে ওঠে।

    "ওরা কী করে জানবে রলি নদীতে প্রদীপ ভাসাতে এসে মা আমার ভেতরে ঢুকে পড়ার পর আমার ক্লান্ত পা দুটোর বয়স এখন আশি!"

    'পুত্রার্থে' গল্পটা শোনার পর জটিবুড়ি বলল, আহা এমুন কইর‍্যাই তো সন্তানের ভিতরে মা বাইচ্চা থাকে, তাই না! বড় ভালো লিখসে গো। বড় ভালো। আমার মা মরসে সেই কুন কালে। তবু য্যান মনে হয় এই বুঝি নদী থিকা উইঠ্যা আসব, মা মরসে যখুন তখুন আমার বয়স তিন তবু ঠিক চিনতে পারুম। আমি আয়নায় মারে দ্যাখতি পাই রোজ।

    কথা বাড়াতে ইচ্ছে করবে না বলেই হাঁটব। আমার পাশেপাশে যারা ভীড় জমাবে তাদের গা থেকে উঠে আসা ধোঁয়া গন্ধে ভয় পাব না। না জেনে না চিনে অযথা ভয়ে একটা অভিশপ্ত জীবন আঁকব না, এটুকু অন্তত আমার উত্তরণ ঘটবে আমি নিশ্চিত। গুনিনের বুকের ভিতর কোন ঝড় গেঁথে তুলেছেন লেখিকা সেকথা ভাবতে ভাবতে বরং অন্ধকারের গায়ে আঙুল রাখব। কেউ হয়ত গল্প শোনাবে তাদের গুনিন হবার কাহিনী। ভুলভ্রান্তিতে ভরা ভয়ংকর দানবীয় ইতিবৃত্ত। লেখিকাও যে 'গুনিন' গল্পে বুক মুচড়ে ওঠা শব্দটুকু লিখেছেন, ভাবতে থাকব...

    "গুনিন চিন্যা লেওয়া কি সোজা? তারা হামারঘের ভিতরেই মিশ্যা আছে। তুই অন্তত হামাকে দোষ দিস না, আজমিরা।"

    যদিও বড়ো রাস্তার বাঁকে আসতেই একটা অন্য দৃশ্যপট উন্মোচিত হবে। যে দৃশ্যপট ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে রোজ রক্ত হয়ে ঝরছে কিন্তু উদাসীন সব মৃতের দল কেবল মোমবাতি মিছিলে হেঁটে যায়। তাই আমিও বোবার মতো সমাজের সব মানুষের সঙ্গে একসাথে বসে দেখব কী ভাবে এক সদ্য কিশোরী মুন্নির নরম বুকে থাবা বসায় লোলুপ পুরুষ। বাঁচায় না কিন্তু সাবধান করে যে সে কে? ছিঁড়ে খায় না কিন্তু শিকারির টুঁটিও চেপে ধরে না যে তার জন্য ঠিক কেমন মন গড়ে তুলব আমি? চিৎকার করতে থাকে অব্যক্ত শব্দরা। কিন্তু সেই 'কণ্ঠস্বর' মুন্নির ভেতরটাকে উল্টেপাল্টে দেয়।

                "এবার থাম। মেরে ফেলবি নাকি!"

    সে কি জীবন দিয়েছিল? নাকি মুন্নির সর্বনাশ হয়ে যাওয়া উপভোগ করেছিল? জানে না মুন্নি জানে না। তীব্র সংঘাতে চোখ দিয়ে জল পড়ে মুন্নির। পাঠকের চোখেও জল। একটা মেয়ের জীবনের চেয়ে রাজনীতির পাশার দান কত বড় তার হিসেব মেলাতে মেলাতে পথ পেরিয়ে আসব অনেকটা।

    মাথার ভিতর একটা সুর বেজেই চলেছে। সোনার কেল্লায় যে রাজস্থানি সুরটা বারবার ফিরে আসত। এই সুর খানিকটা তেমন। গাড়ি আমায় নিয়ে চলেছে ঘরের দিকে। কত কথা হয়ে চলেছে, সব বুঝতে পারছি কিন্তু উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে না। আমি যেন ঘুমিয়ে গিয়েছি। দূর থেকে শুনতে পাচ্ছি সব হিসেব নিকেশ। কিন্তু সত্যি যদি একদিন এমন ঘুম আসে? যেখানে আছি আর নেইয়ের মাঝে রয়ে যাবে। সেদিন কাদের জন্য শেষবারের মতো ঘুরে দাঁড়াব? কেবল মাত্র বেড়াল কুকুরদের ভালোবেসে ফিরতে পারব কি? ঈশা পারছিল।

    "ঈশা তখন ধীরে ধীরে হাঁটছিল। যেন তার পায়ে ভারী পাথর বাঁধা এইভাবে টেনে টেনে হাঁটছিল। হাতিদের কৌম সমাধিতে ছড়িয়ে থাকা বড় বড় হাড়, শ্যাওলা পড়া লম্বা ভাঙা গজদন্তের টুকরো টাকরা পেরিয়ে, হলুদ ঘাসের পেছনে বড় বড় শ্বাসটানা মৃত্যুমুখী বাঘিনীটিকে একটুও বিরক্ত না করে অনেক দূর থেকে পায়ে পায়ে ফিরে আসছিল।"

    কিন্তু ফেরার মতো সেই আশ্চর্য ভালোবাসার সোপান নিজেকেই গেঁথে তুলতে হয় যে। অকিঞ্চিৎকর জীবনের কোথাও এতটা মহৎ সঞ্চয় মোটেই নেই। ম্লানমুখে গুনব আজুরা স্বপ্ন। মনে পড়বে কোনো এক কুয়াশা দিনে দেখা হয়েছিল এক বাসনওয়ালির সাথে। ঝাঁকার ভারে মুখ ঝুলে পড়েছে বুকের উপরের অংশে। টিকটিক করে নড়ছে নকুলদানার মতো একরত্তি খোঁপা। 'মোর বিটাছ্যেলেটা মানুষ লয়রে বেটি। উয়ার পিসাবের গন্দ আমার মুখের ভিতর দিএ ভকভক কর‍্যে বেরিএ আসে। তবু পড়্যে থাকি। উটা মরল্যে উয়ার মুটা রূপার চেইনটা সবার আগে ছিনায় লিব।' সেদিন আমি অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম। দখলের জন্য মানুষ ঠিক কতটা সহ্য করতে পারে? মাথায় ঝাঁকা তুলতে তুলতে সে বলেছিল, 'উ যদি রাইতে মরে তাইলে ওর মরা মুখটা থিক্যেও পিসাবের গন্দ বেরোবে ইটাই মোর সপনো। থরথর করে কেঁপে ওঠে মন। ঠিক তেমন উত্তরাধিকার পড়তে পড়তে ভেতরঘরে ঝড় ওঠে। লেখিকা মনস্তত্ত্বের কোন অভ্যন্তরে আলো ফেলেছেন ঠাহর করতে পেরে সিঁটিয়ে যাই। ভেতর যার বদলায় তার বাইরের রূপ তুচ্ছ। দখলের অধিকার, ক্ষমতার অধিকার কতখানি সাংঘাতিক হতে পারে, সেই অমোঘ বাণীতেই ইতি টানেন লেখিকা।

    "এতদিন জীবন তাকে যা যা থেকে বঞ্চিত করেছে, অর্থ, সম্মান, ক্ষমতা, সবের পাইপয়সার হিসেব বুঝে নেবে লছমি।"

    শুধু কী মানুষ নাহ্! অবলা প্রাণীদের গভীর ভাবে বোঝেন বলেই লেখিকা আরো ভাবনায় ফেলতে পারেন পাঠককে 'বেড়ালে পাওয়া জীবন' গল্পে এত নিপুণ ভাবে তাদের এঁকেছেন যে পাঠক নিরীক্ষণ করতে থাকবে এর পর থেকে সব বিড়াল ও কুকুরদের। ওদের দেখা আর অনুভব করার ভিতর আকাশ পাতাল প্রভেদটা বুঝে যাবেন হয়তো পাঠক। কিন্তু পশুপাখিদের কাছে নিজের পরিচয়টা কি বদলাতে পারব!

    "দুনিয়ায় সবচেয়ে ভয়ানক প্রাণী এই মানুষ, হিংস্রতায় ভালুক, বুদ্ধিতে বাঘ, দৃষ্টিতে রাতচরা পেঁচা, শ্রবণে বাদুড়ের থেকেও বেশি শক্তি নিয়ে চলা দো-পেয়ের দল, অন্যের জীবন তছনছ করে মৃত্যু আর ধ্বংস ডেকে আনতে যাদের জুড়ি নেই!"

    শিউরে উঠি 'শেয়াল-মারা' গল্প পাঠে। তবে এই গল্প শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস দিয়ে যায় তৃষিত পাঠক হৃদয়ে। কিছুটা মানবিকতা আজও রয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। গর্ভবতী শেয়াল মারার স্ত্রী আর সঙ্গীহারা শেয়ালী তাদের ভিতর যে দৃষ্টির আদান প্রদান হয় সেই অব্যক্ত কথা দুই মায়ের।

    বাড়ি পৌঁছে নিজের সন্তানের দিকে তাকাতেই রু এর মুখ মনে পড়বে আমার। কারণ আমার একা সন্তানটি মন দিয়ে স্পাইডারম্যানের সঙ্গে গল্প করছে। এই একলা জীবনের ভিতর মন্টি এসে গেলে হয়তো এই গল্পটাও অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু মন্টি চলে যাওয়ার পর রু কীভাবে থাকবে, সেটা তার একান্ত চাওয়া। তার সব মিথ্যে আসলে সত্যি মিথ্যে।

    একলা রাতের ভিতর জেগে ওঠা এরপর অনিবার্য। গল্পগুলো রয়ে যায় আশেপাশে। কথাগুলো বটের ঝুড়ি হয়ে ভিতর অবধি পৌঁছে যাবে। হাত খানিক তফাতে লেখিকার হাসিমুখ, উজ্জ্বল বড়ো টিপ। যাদের দেখেও দেখি না, শুনেও শুনিনা, তারা ভীড় করে রয়েছে তাঁর চারিপাশে। কী ভীষণ যত্নে 'মানসাই' উপন্যাসের স্রষ্টা লিখে চলেছেন একের পর এক ছোটগল্প। তীব্র, অমোঘ, নির্মেদ, গতিময় সব গল্পের চরিত্রেরা কৃতজ্ঞতায় চেয়ে রয়েছে লেখিকার দিকে। তাদের প্রত্যেকের মুখে জীবন্ত ভাষার তুলির টান দিচ্ছেন লেখিকা। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকব। যতক্ষণ পর্যন্ত না দৃশ্যটা শিকড় ছড়িয়ে গভীরে চলে না যায়। এরপর আমার অপেক্ষায় মেঘ জমছে। হাঁটছি কঠিন এক প্রান্তর বেয়ে। কী জানি ফেরার পথ খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।




    গুনিন ও বেলেহাঁস
    লেখকঃ প্রতিভা সরকার
    প্রকাশকঃ গুরুচণ্ডা৯
    মূল্য – ১১০ টাকা




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৫ মার্চ ২০২৩ | ১৫২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 203.163.***.*** | ০৬ মার্চ ২০২৩ ১২:২৩517044
  • খুবই ভালো লাগল। যে কারও ক্ষেত্রেই লেখার পরিপূরক  হয় এইরকম আলোচনা। 
  • ~ | 65.49.***.*** | ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৯517045
  • ভালো হয়েছে। 
  • সুস্মিতা দত্ত | 2401:4900:3fad:63a4::23e:***:*** | ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৩517047
  • পাঠ প্রতিক্রিয়াটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। অসম্ভব ভালো লেগেছে গুনিন ও বেলেহাঁস ও স্বয়ং লেখকের সাথে সামান্য আলোচনা করার সৌভাগ্য হয়েছে।
    আরও লেখা পড়ার অপেক্ষায়।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩১517131
  • প্রতিক্রিয়া নিজেই এক পাঠ-অভিজ্ঞতা হয়ে গেল! অপুর্ব! 
  • | ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:২০517135
  • ভারী চমৎকার রিভিউ।  বইটা পড়া। কিন্তু তাও রিভিউ এত ভাল লাগল পড়তে! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন