#পুস্তকালোচনা — #আনন্দনগরীর_সেকাল — #দেবযানী_ভট্টাচার্য
বই = আনন্দনগরীর সেকাল
লেখক = দেবযানী ভট্টাচার্য
প্রকাশক = গাঙচিল
পৃষ্ঠা সংখ্যা = ২০১
মুদ্রিত মূল্য = ২৭৫ টাকা (প্রথম প্রকাশ)
———————————————————————————————————————
পুরোনো কলকাতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা এই বইটিতে নিম্নলিখিত অংশগুলি আলোচিত। —
১) নামকরণের কিস্যাকয়েক —— এখানে কলকাতার নামকরণ কেমনভাবে হলো সেই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেখানে "কলিকাতা" নামের উৎপত্তির পিছনে পাঁচটিরও বেশী মতবাদ কারণসহ দেখানো হয়েছে।
২) যত রথ তত পথ —— এখানে কলকাতার নানা বিখ্যাত রাস্তা যেমন — চৌরঙ্গী রোড, সার্কুলার রোড, থিয়েটার রোড, রাসেল স্ট্রিট, উড স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, পার্কস্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, ডেকার্স লেন, কিড স্ট্রিট, চিৎপুর রোড, হেয়ার স্ট্রিট, প্যারীচরণ সরকার স্ট্রিট, জানবাজার রোড, শম্ভুনাথ পণ্ডিত লেন ইত্যাদি সহ চল্লিশটারও বেশী রাস্তার নামকরণের ইতিহাস নিয়ে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
৩) ঘাটা আঘাটা গল্পে গাঁথা : প্রথম পর্ব —— এখানে কাশীপুর শ্মশান ঘাট, রতন বাবুর ঘাট, নিমতলা ঘাট, বৈষ্ণব দাসের ঘাট ও চাঁদপাল ঘাট-এর নামকরণের ইতিহাস গল্পের ছলে জানানো হয়েছে। এখানেই জানা যায় যে গৌরী সেন কার কাছ থেকে টাকা পেয়ে ঐরকম ধনী হতে পেরেছিলেন।
৪) ঘাটা আঘাটা গল্পে গাঁথা : দ্বিতীয় পর্ব —— এখানে বাবুঘাট, টুনুবাবুর ঘাট, রাজকৃষ্ণের ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, কুমোরটুলি ঘাট, থানাবাড়ি ঘাট, গোলাবাড়ি ঘাট, চাঁপাতলার ঘাট, কাঁচাগদি ঘাট, পাথুরিয়া ঘাট প্রভৃতি সহ কুড়িটিরও বেশী ঘাটের ইতিহাস দাদু-নাতির কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায়।
৫) বাহন বাহার —— এই পর্বে পালকি, বিভিন্ন রকমের ঘোড়ার গাড়ি, বাষ্পচালিত ট্রাম, রিকশা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ব্রিটিশ-শাসিত কলকাতার প্রথম ধর্মঘট এবং তার পরিণতি নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া ছোট করে রেল এবং স্টিমার নিয়েও গল্পচ্ছলে তাদের কলকাতার় আগমনের ইতিহাস জানানো হয়েছে।
৬) তড়াগের তল্লাশে —— এখানে লালদীঘি, কালীকুণ্ড, গোলদীঘি, মনোহর দাস তড়াগ, সিংহী বাগানের পুকুর, জোড়াসাঁকোর পুকুর, হেদুয়ার মতো দীঘি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৭) মন্দির শৈলী ও সেকাল —— এই অংশের আলোচ্য বিষয়গুলি হলো — কলকাতার বিভিন্ন মন্দিরের নাম, তাদের স্থপতি ও অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, মন্দির তৈরীর পাঁচটি রীতি (প্রতিটি রীতির উদাহরণ সহযোগে)।
৮) বনেদি বাসিন্দা —— এখানে সাবর্ণ চৌধুরী, মিত্র, শেঠ, বসাক, দত্ত, গাঙ্গুলী, ঘোষ প্রভৃতি পরিবার সহ কলকাতার পনেরোটিরও বেশী বনেদী পরিবার নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
৯) কলকাত্তাইয়া জীবনযাপন —— ঘুড়ি উড়ানো, পাখির লড়াই অনুষ্ঠিত করা, মদ্যপান সহযোগে বনভোজন করা, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ফুর্তি করা ছাড়াও সেইসময়ের কলকাতার বাবু কেমন ধরনের কাজ করে জীবন কাটাতেন বা বাবু হিসেবে খ্যাত হতেন, তা এখানে বিবৃত।
১০) চাকর চরিত —— সেকালের কলকাতার ব্রিটিশ সাহেবদের জন্য কাজ করা খানসামা, হুঁকোবরদার, বেবি সিটার, আয়া, আবদার, কম্প্রোডার, বেকার ইত্যাদি পঁচিশেরও বেশী প্রকারের চাকর এবং তাদের দিয়ে কাজ করানোর কাহিনী নিয়ে এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে।
১১) কোটাল ও কোতোয়ালী —— সেই সময়ের কলকাতার পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তর লালবাজার বা হরিণবাড়ি কয়েদখানার হাল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশ যে সেই সময়ে খাজনাও আদায় করতো তা এখান থেকেই জানা যায়।
১২) কল্লোলিনীর পালাপার্বণ —— এখানে বাঙালির বারো মাসে অনুষ্ঠিত তেরোটি পার্বণের কথা বলা হলেও আলোচনার মূলত হয়েছে সেকালের দুর্গাপূজা নিয়েই।
১৩) পাঁচপেঁচির বিনোদন —— সেইসময়ের কলকাতার সাধারণ মানুষের বিনোদন হিসেবে যাত্রা, কবিগানের লড়াই, সঙের নাচন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১৪) বাংলায় অ্যাংলো থিয়েটার —— কলকাতায় বিদেশী নাটক অর্থাৎ থিয়েটারের শুরুর কাহিনী এখানে জানা যায়। আর এখান থেকেই জানা যায় যে প্রথম থিয়েটার আয়োজনের গৌরব ইংরেজদের নয়, রুশীদেশীয় এক নাট্যকারের। এর সাথেই হোয়েলার প্লেস থিয়েটার, চৌরঙ্গী থিয়েটার, দমদম থিয়েটার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন নাট্যাশালার কথা জানানো হয়েছে।
১৫) সখের থ্যাটার —— আগের অংশে আলোচিত থিয়েটারগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুষ্ঠিত নাটক নিয়ে ছিল, আর এখানে বাংলা ভাষার নাটক শুরু করা ও নাট্যশালা প্রতিষ্ঠা করার কাহিনী জানানো হয়েছে।
১৬) হেঁজিপেঁজির পুঁথিপত্তর —— পুরোনো কলকাতার সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য লেখা বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এখানে। বটতলার বই অর্থাৎ সস্তায় ছাপানো বইয়ের নামোল্লেখের মাধ্যমে সেই সময়ে বইপড়া এবং বইপাড়ার হাল জানানো হয়েছে।
১৭) বড়দিনের বড় মজা —— চার্নকের সময় থেকে পরবর্তীকালে কলকাতায় Christmas বা বড়দিন কেমন করে পালন করা হতো তার বিবরণ এখানে দেওয়া আছে। কলকাতার ব্রিটিশদের সেই দিনের দৈনন্দিন কাজকর্ম সহ উৎসব উপলক্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরকারের বিশেষ কার্যকলাপও এখানে উল্লিখিত।
১৮) সেকেলে সার্কাস —— পুরোনো কলকাতার বিদেশী সার্কাস এবং নবগোপাল মিত্র, প্রিয়নাথ বসু প্রভৃতি ব্যক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দেশী সার্কাস নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
১৯) নিউমার্কেটের ওল্ডস্টোরি —— এখানে কলকাতা কর্পোরেশন দ্বারা স্থাপিত নিউমার্কেটের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিউমার্কেট নিয়ে লোকমুখে চলা বেশ কিছু কাহিনীর সত্যতা এখানে বিচার করা হয়েছে।
২০) সেকালের কফিবাড়ি —— এখানে পুরোনো কলকাতার কফি পানের বিভিন্ন জায়গা ও তদসংলগ্ন আড্ডাখানা নিয়ে আলোচনা করে হয়েছে। ইন্ডিয়ান কফি বোর্ড দ্বারা নির্মিত কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের প্রায় একশত পঁচাত্তর বছর আগেই যে কলকাতায় কফি হাউসের প্রচলন শুরু হয়েছিলো তা এখানেই জানা যায়।
২১) পাদরির গুদাম ওরফে —— এই অংশে পুরোনো কলকাতার খ্রীষ্টান কবরখানা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় আর্মানি সেমেট্রি, সেন্ট জন গির্জার সেমেট্রি, নর্থ ও সাউথ পার্ক স্ট্রিট সেমেট্রি, তিরেত্তা বেরিয়াল গ্রাউন্ড, লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি ইত্যাদি গোরস্থান এবং তাতে থাকা বিখ্যাত মানুষদের কবরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কবরখানাকে "পাদরির গুদাম" হিসেবে অভিহিত করার কারণটিও এই অংশের শেষে দেওয়া আছে।
২২) এ বি শিখে বিবি সেজে —— অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকের কলকাতায় বনেদী বাড়ির এবং সাধারণ মেয়েদের শিক্ষালাভ নিয়ে এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে যেখানে কলকাতার নারী শিক্ষার প্রসারে জন বেথুন, রাধাকান্ত দেব, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মদনমোহন তর্কালঙ্কার, ডেভিড হেয়ার প্রভৃতির ভূমিকা তো আছেই, তার সাথে চন্দ্রমুখী বসু, কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, বিধুমুখী মিত্র ইত্যাদি কৃতী ছাত্রীদের ব্যাপারেও জানানো হয়েছে।
২৩) ফঙ্গবেণে ফিরিঙ্গি —— এই অধ্যায়ে কলকাতায় পর্তুগিজদের আগমনের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
২৪) কলকাত্তাইয়া চিনেদের চিনে নিই : প্রথম পর্ব —— এখানে সর্বেশ্বর রায় নামক এক ব্যক্তি চিনে খাবার খেতে যাওয়ার আগে কলকাতার চিনেদের উৎস, আগমন ও তাদের ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তার পরিবারের সাথে গল্পচ্ছলে আলোচনা করেছেন।
২৫) কলকাত্তাইয়া চিনেদের চিনে নিই : দ্বিতীয় পর্ব —— এই পর্বে সর্বেশ্বর রায় পরিবারের সাথে কলকাতার চিনে-অধুষ্যিত অঞ্চলে গিয়ে চিনে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে কলকাতার চিনেদের শিক্ষা, পারিবারিক ও সামাজিক প্রথা, উৎসব প্রভৃতি নিয়ে তার পরিবারের সাথে গল্পের আকারে আলোচনা করেছেন।
২৬) কলকেতার কল্পতরু : প্রথম পর্ব —— এখানে গদাধর চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস-এর সঙ্গে কলকাতার নানা বিখ্যাত মানুষের সম্পর্ক নিয়ে একজন বয়স্ক চরিত্র চায়ের এক আড্ডায় কয়েকটি ছেলের সাথে আলোচনা করেছে।
২৭) কলকেতার কল্পতরু : দ্বিতীয় পর্ব —— এখানে আগের পর্বের পর সেই চরিত্রটি পরের দিনে আড্ডায় এসে শ্রীরামকৃষ্ণের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করেছে।
২৮) নিঃসঙ্গ ভাষাশাস্ত্রী —— এখানে বহুভাষাবিদ হরিনাথ দে-এর জীবন নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
বইটিতে কলকাতার ইতিহাস গল্প বলার ভঙ্গিমায় জানানো হয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণ তথ্য থাকলেও আমার পড়তে ভালোই লেগেছে। কিন্তু এর মধ্যে আবার ছয়টি পর্বে (ঘাটা আঘাটা গল্পে গাঁথা — প্রথম পর্ব, ঘাটা আঘাটা গল্পে গাঁথা — দ্বিতীয় পর্ব, কলকাত্তাইয়া চিনেদের চিনে নিই — প্রথম পর্ব, কলকাত্তাইয়া চিনেদের চিনে নিই — দ্বিতীয় পর্ব, কলকেতার কল্পতরু — প্রথম পর্ব, কলকেতার কল্পতরু — দ্বিতীয় পর্ব) লেখকের জায়গায় কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে গল্প বলা হয়েছে, যেটা পাঠকের দৃষ্টিকোণ বদলে দেওয়ার মাধ্যমে গল্পপাঠের স্বাদ বদলে দিয়েছে। আর এই পরিবর্তনের ফলে বইটির মান বেড়েছে বলেই আমার মনে হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস (বিশেষত কলকাতার ইতিহাস) নিয়ে আমার জ্ঞান সীমিত হওয়ার তথ্যগুলি ঠিক না ভুল, সেটা আমি ধরতে পারিনি। তবে বইটির মধ্যে যে সমস্ত বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার অনেকগুলো নিয়ে স্বয়ং গবেষকরাই একাধিক (এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পরষ্পরবিরোধী) মত প্রকাশ করেছেন [পূর্ণেন্দু পত্রী তাঁর লেখা "কলকাতা সংক্রান্ত" বইয়ের "ইংরেজরা হলো জমিদার" অংশে জানিয়েছেন যে ১৬০০ টাকার বিনিময়ে সাবর্ণ চৌধুরীদের কাছ থেকে সুতানটি, গোবিন্দপুর ও কলকাতা গ্রামতিনটির মালিকানা কিনে নিয়ে, অন্যদিকে তাঁর লেখা "কলকাতা কলকাতা" বইয়ের "কলকাতার সৃষ্টিকর্তা কে?" অধ্যায়ের দ্বিতীয় পর্বে ঐ অর্থের পরিমাণ ১৩০০ টাকা বলে জানানো হয়েছে।]। যদিও বইটির তথ্যসূত্রে যেসকল বইয়ের উল্লেখ আছে, সেগুলো এই বিষয়ে প্রামাণ্য বই হিসেবে খ্যাত।
তবে বইটি পড়তে গিয়ে চিত্রের অভাব ভালোমত বোধ করেছি। যেমন — পুরোনো কলকাতার map, পুরোনো কলকাতার রাস্তাঘাটের চিত্র অথবা কলকাতার বিভিন্ন মন্দিরের চিত্র বা বিভিন্ন যানবাহনের চিত্র ইত্যাদি। পরবর্তী সংস্করণে এইগুলো যোগ হলে বইটির নান্দনিক মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলেই আমার মনে হয়েছে।
সবমিলিয়ে বইটি পড়তে ভালোই লেগেছে। বাকি পাঠকদের কেমন লাগে জানার প্রতীক্ষায়। বহু সংখ্যক পাঠকের কাছে বইটি পৌঁছালে পরবর্তীকালে এই বইটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো।
———————————————————————————————————————
এই বইটি পড়ে আলোচনা লেখার জন্য এই বইগুলি পড়তে হয়েছে (কারণ আমার কলকাতার ইতিহাস নিয়ে জ্ঞান সীমিত) —
১) কলিকাতা দর্পণ — রাধারমণ মিত্র;
২) শ্রীপান্থের কলকাতা — শ্রীপান্থ;
৩) পুরনো কলকাতার কথাচিত্র — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৪) এক যে ছিল কলকাতা — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৫) কলকাতার প্রথম — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৬) কলকাতার রাজকাহিনী — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৭) পুরনো কলকাতার পড়াশোনা — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৮) কলকাতা কলকাতা — পূর্ণেন্দু পত্রী;
৯) কলকাতা সংক্রান্ত — পূর্ণেন্দু পত্রী;
১০) পুরনো কলকাতার কথাচিত্র — পূর্ণেন্দু পত্রী;
১১) কলিকাতা পরিচয় — রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়;
১২) রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ — শিবনাথ শাস্ত্রী;
১৩) বটতলার বই : উনিশ শতকের দুষ্প্রাপ্য কুড়িটি বই — অদ্রীশ বিশ্বাস সম্পাদিত;
১৪) সেকালের চিত্র — কালীকৃষ্ণ ঘোষ;
১৫) ভাষাপথিক হরিনাথ দে — সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এগুলো পড়ার পরেও আমার জ্ঞান অসম্পূর্ণ আছে বলেই আমার ধারণা, তাই পাঠকদের আরো বই পড়তে অনুরোধ করবো।