এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ  বুলবুলভাজা

  • ভাষাদিবসের বিশেষ: অনুভূতি সম্পৃক্ত ‘একুশে’গাথা

    অনমিত্রা চক্রবর্ত্তী
    আলোচনা | সমাজ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৬১৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৫ জন)
  • একুশের চেতনা - কথাটা প্রায়শই শোনা যায়, ফেব্রুয়ারি মাস পড়লে। সাধারণত। সে চেতনাকে এক একজন মানুষ এক এক ভাবে চেনেন, জানেন, উপলব্ধি করেন। এই নিবন্ধ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার, অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধির যাত্রাপথের। চেতনার উপলব্ধির।

    ২০১৮’র গরমের ছুটিতে আমাকে হঠাৎ করেই দেশে ফিরতে হয়েছিল। আসার কোন কথা ছিল না, মা-বাবা-সৌভিক কেউই জানত না যে আমি বাড়ি আসছি। হঠাৎ করেই টিকিট কাটা হয়েছিল। শিকাগো থেকে দোহার প্লেন ষোলো ঘণ্টার। আমার সিট পড়েছিল মাঝখানের একদম মাঝের সিটে। যারা কখনো ইন্টারন্যাশনালি ফ্লাই করেছে, তারা সবাই জানে যে এত লম্বা প্লেন জার্নির সবচেয়ে খারাপ সিট ওটা। প্লেনে উঠে আমার ক্যারি অন মাথার উপর বাক্সে তুলে দিয়ে আমি বসে আছি, তখনই দেখি আমার পাশের সহযাত্রী এসে আমার নাড়িনক্ষত্র নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে দিলেন। মধ্যবয়স্কা মহিলা, আমার মায়ের চেয়ে কিছু বছরের বড় হবেন, ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলছেন, চেহারায় দক্ষিণ এশীয়। প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে শুরুতে খানিক বিরক্তই লাগছিল। জিজ্ঞেস করলেন আমার বাড়ি কোথায়। কলকাতা বলতে দেখলাম বেশ প্রফুল্ল বোধ করলেন তিনি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি গেছেন কলকাতা, ইংরেজিতেই। উনি বললেন, হ্যাঁ, ’৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে। এবার আমি জিজ্ঞেস করলাম তাঁর বাড়ি কোথায়, বললেন করাচি, ছেলেমেয়ের কাছে আমেরিকায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। আমি খানিক আন্দাজ করতে পারলেও ওঁকে জিজ্ঞেস করলাম কলকাতায় উনি কেন গিয়েছিলেন। এবার আমার চমকাবার পালা। বললেন ওঁর জন্ম বর্তমান বাংলাদেশে, ওঁর বাবার জন্ম কলকাতায়। ঠাকুরদাদা বর্তমানের পাকিস্তানে জন্মেছিলেন। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন। দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান, ভদ্রমহিলার বাবা কলকাতায় জন্মালেও বড় হন পূর্ব পাকিস্তানে। ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার ম্যাজিস্ট্রেট। এই মহিলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ পাশ করেন ইংরেজিতে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ের ওপর হামলা হতে পারে বলে বাবা বাড়ি থেকে বেরোতে দেননি। বাড়ি থেকে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছিলেন - ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। ১৬ ডিসেম্বরের পর যখন পাকিস্তান রওনা দিয়েছিলেন, যাওয়ার আগে বাবা কলকাতায় তাঁর জন্মস্থল শেষবারের মত দেখে যেতে চেয়েছিলেন, তাই তাঁর কলকাতায় আসা। বর্তমানে তিনি করাচির একটি হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ান।

    মাতৃভাষার সঠিক সংজ্ঞা নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকদের মধ্যে নানারকম বিতর্ক আছে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির প্রথম বুলিকেই তার মাতৃভাষা বলা যায়, তাহলে এই মহিলার মাতৃভাষা বাংলা। বাড়িতে বাবা এবং মায়ের সঙ্গে উর্দু এবং ইংরেজিতে কথা বললেও চট্টগ্রামে বাড়ির কর্মচারীদের কাছে বড় হওয়ায় এঁর প্রথম বুলি কিন্তু বাংলাতেই ফোটে। খানিক ইংরেজিতে কথা বলার পর যখন জানতে পারি যে উনি বাংলা জানেন, আর আমাকে বলতে হয়নি। সুন্দর ষোল ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ওঁর সঙ্গে বাঙ্গাল ভাষায় কথা বলতে বলতে চলে এলাম। কারণ আমার কাছে এ অদ্ভূত এক অভিজ্ঞতা। আমি কখনো ভাবতেও পারিনা পাকিস্তানের নাগরিক এক মহিলা বাংলা বলতে জানেন, পড়তে জানেন। বললেন ’৭১ সালের পর আর কোনদিন ইলিশ মাছ খাননি, খুব ইলিশ ভাপা খেতে ইচ্ছে করে নাকি। আমার সঙ্গে বাংলাও বললেন প্রায় ৪৭ বছর পর। চোখের কোণ ভিজে আসে। কত স্মৃতি ভর করে মাথায়।

    আমার ঠাকুরদাদা আমাকে বলতেন এমন এক রূপকথার দেশের গল্প, যেখানে গোলাভরা ধান ছিল, আকাশখোলা মাঠ ছিল, শীল-চক্রবর্ত্তী-খানেরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকত, লক্ষ্মীপুজোয় ইচার মাথা খাওয়ার নেমন্তন্ন থাকত, ঈদে সেমাই খাওয়ার দাওয়াত থাকত। তারপর কী যে হল...

    ২০০৮ সালে প্রথমবার যখন বাংলাদেশ যাই, আমাদের বাড়ির সবার উত্তেজনার কথা বলে বোঝাতে পারব না। ঠাকুরদাদার বড় ভাই, আমার মেজোদাদু, যাকে আমি মেজোভাই বলতাম, খুব কেঁদেছিলেন। মেজভাই খুব ছোট, যখন নোয়াখালীর কলেরায় তাঁর মা মারা যান। একদিনে এগারো জন মারা যান আমাদের পরিবারে। গ্রামে কোন ডাক্তার ছিলনা, দাহ করার কাঠ ছিল না। ২০০৮ সালে মেজোভাইয়ের অনেক বয়স, দুবছর বাদেই মারা যান। বাবা তাও আস্তে আস্তে মেজভাইয়ের থেকে সব শুনে নোট করে নিয়েছিল – মাইজদি স্টেশনে নেমে দু মাইল হাঁটা পথ, তারপরেই দুর্গানগর গ্রাম। সেখানে আমাদের বাড়ি ‘দক্ষিণের ঠাকুরবাড়ি’। ওখানে এক শীল পরিবার আছে, শীলেদের বাড়ির ছোট ছেলে ছিল আমার ঠাকুরদাদার বন্ধু। আমাদের বাড়িতে একটা দেড়শ বছরের পুরনো বর্মা টিকের দেওয়াল ছিল। এই দেড়শ বছরের হিসেব তখন, যখন আমার ঠাকুরদাদারা দেশ ছাড়েন। আমরা যখন গল্প শুনছি, তখন তার বয়স দুশো। মেজভাইয়ের সে কী দৃঢ় বিশ্বাস, যে সেই টিকের দেওয়াল এখনো আছে। আমরা শুনে খুব হেসেছিলাম। ঠিক এইটুকু তথ্য নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে। তার কিছুদিন আগেই পড়ে ফেলেছি অ্যালেক্স হেলি’র ‘রুটস’। কেমন মনে হচ্ছিল আমিও যেন বেরিয়ে পড়েছি আমাদের শিকড়ের সন্ধানে। মাইজদি স্টেশনের পর দু মাইল গাড়ি এগোলে যে মোড় পড়ে, সেই মোড়ের মাথার যেই দোকানে বাবা রাস্তা জিজ্ঞেস করছিল, সেটাই শীলেদের সেলাইয়ের দোকান। বিধির কী বিধান! কিন্তু সেই মোড়ের গ্রামের নাম বদলে হয়েছে শাহজাদপুর। কিন্তু আমাদের বাড়ি লোকে এখনো চেনে ‘দক্ষিণের ঠাকুরবাড়ি’ নামেই। যদিও বর্তমান বাসিন্দা গ্রামের মৌলবী। শীলেদের ছোট ছেলে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কলকাতার ট্রায়াঙ্গুলার পার্কে ‘স্টাইল’ দোকানে। অনেকবার ভেবেছেন আমাদের বাড়ির কথা, কিন্তু ’৪৭-এর পরে আর কোন যোগাযোগ ছিল না বলে কীভাবে যোগস্থাপন করবেন বুঝে উঠতে পারেননি। পরে দেশে ফিরে নিজের দোকান খুলেছেন।

    সোজা গাড়ি করে নিয়ে গেলেন ‘আমাদের’ বাড়িতে। ’৫৩ সালে আমার প্রপিতামহ শেষবারের মত বাংলাদেশ গিয়ে বাড়িসহ সমস্ত জমিজমা বিক্রি করে দিয়ে অন্তিম নাড়ি ছিন্ন করে আসেন। কিন্তু আজও সেই বাড়ির নাম ‘দক্ষিণের ঠাকুরবাড়ি’। তখন ভরদুপুর। বাড়ির বর্তমান মালিক কোথা থেকে একটা ফিরছিলেন। তিনি কস্মিনকালেও আমার বাবাকে দেখেননি। শীল আমাদের পরিচয় দেওয়ার আগেই তিনি বিশুদ্ধ নোয়াখাইল্যা টানে বলে উঠলেন, “এ কে? এর তো একদম ঠাউরের চিত্তির।” এবার আমাদের অবাক হওয়ার পালা। বিজয়গড়ের অনেকেও নাকি বলত বাবা আর বাবার ঠাকুরদার চেহারার নাকি খুব মিল ছিল। আমি তাঁকে দেখিনি। দেখালেন সেই বর্মা টিকের দেওয়াল। আমরা বুঝতে পারলাম শেষ হাসিটা মেজভাইই হাসলেন। দেখালেন, যেই শ্মশানে একদিন আমাদের পরিবারের এগারোজনের দাহ হয়েছিল, আজ তা তাদের পারিবারিক কবরস্থান।

    এই তো আমাদের মিলেমিশে থাকার ইতিহাস। সত্তর বছর কেটে গেছে। কত মানুষ অজান্তেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি রেখে চলেছে। “কোন হালার পো হালা এনআরসি সিএএ এনপিআর আঙ্গো আলাদা করতে পারব?”

    আমি ভাবতে থাকি। ভাবতে থাকি সীমান্তের সেনার কথা, তাদের নাম নিয়ে সরকারের বারবার আমাদের চোখে ধুলো দেওয়ার কথা। এই সীমান্ত, এই ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, কাশ্মীর-ইন্দোপাক যুদ্ধ-ভাষা আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধ, এত এত মৃত্যু-ধর্ষণ-গুলি-বোমা কিছুই তো হওয়ার কথা ছিল না, যদি না দেশের আগে ক্ষমতা এত বড় হয়ে উঠত। সব যদি অন্যরকম হত, যেমনটা হলে এত রক্ত থাকত না, এত ক্ষয়ক্ষতি থাকত না, এত মৃত্যু থাকত না, তাহলে হয়তো আমিও চমকে উঠতাম না করাচি প্রবাসী এক মহিলার মুখে বাংলা শুনে। যেমন হইনা দীর্ঘদিন বাংলায় থাকা দক্ষিণ ভারতীয় কোন পরিবারের মুখে নিজের মাতৃভাষা শুনে।

    আজ ভাষাদিবস। বাংলাভাষা নিয়ে গর্ব করার দিন। ক্লাসে আমি গর্বভরে বলব আমার ছাত্রদের বলব আজকের দিনের ইতিহাস। প্রথমবার যখন বাংলাদেশ গিয়েছিলাম, বুঝে উঠতে পারছিলাম না সেটাকে বিদেশযাত্রা বলব, নাকি নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে যাওয়া। আমার ভাষাতাত্ত্বিক বন্ধুদের যখন বলি ভারতের কথিত ভাষা-উপভাষা সব মিলিয়ে পাঁচশোর উপর, তখন তারা অবাক হয়। আমি গর্বিত হই। আর ভাবতে থাকি। আজ থেকে সত্তর বছর আগে যদি পূর্ব এবং পশ্চিমে কতগুলো দাগ টেনে দেশের গণ্ডি দেগে না দেওয়া হত, তাহলে হয়তো আমাদের ভাষাভাণ্ডার আরও পূর্ণতর হত।

    এরকম দিনগুলোতে এই কথাগুলো বারে বারে মনে হয়। ১৫ অগাস্ট, ২৬ জানুয়ারি, – যেদিন দেশজুড়ে বেজে ওঠে জাতীয়তাবাদের ঢক্কানিনাদ, টিভিতে চলতে থাকে ‘বর্ডার’, ‘গদার’-এর মত সিনেমা, পাকিস্তানকে হেনস্তা করতে পারলেই ভারত উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠে ‘জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ নিয়ে নেবে, ঠিক সেইদিন এই গল্পগুলো স্মৃতিতে ভিড় করে আসে। আমাদের এক হয়ে থাকার ইতিহাস নাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে বলেই হয়তো ২১ ফেব্রুয়ারি বা ১৬ ডিসেম্বর আমাদের উদযাপনের অঙ্গ হয়ে ওঠে।

    অনেকগুলো ঘটনা বললাম আগে পিছে করে। আসলে এর প্রত্যেকটার সঙ্গে প্রত্যেকটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। শুধু অদৃশ্য লাইনগুলো যোগ করে নিতে হবে। একুশে তো শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদকে উসকে দেওয়ার দিন না, একুশ মানে তো মুক্তির চেতনা, স্বাধীনতার ভাবনা, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যের জন্য লড়াই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৬১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shah Fakhrul Islam | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৩102956
  • দারুণ লিখেছেন। কোন সীমানাই আমাদেরকে কখনো আলাদা করতে পারবে না। নাড়ির টান রয়েছে না!!!

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:২৩102957
  • দেখালেন, যেই শ্মশানে একদিন আমাদের পরিবারের এগারোজনের দাহ হয়েছিল, আজ তা তাদের পারিবারিক কবরস্থান।

    এই তো আমাদের মিলেমিশে থাকার ইতিহাস।....বাস্তবিক সম্প্রীতির কি বিশাল উদাহরণ! মন্তব্য করতে ভয় লাগলেও করলাম। কারণ একটি লেখায় আমার সব মন্তব্য মুছে দেয়া হয়েছে। সেটা অবশ্য এক দিক থেকে ভালই। কারণ অনেকেই গায়ে পড়ে বিশ্রি গালাগালি করছিলেন এবং আত্মরক্ষায় আমাকেও স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও সামান্য কিছু কড়া কথা বলতে হয়েছে। পরিবেশ খুবই কটু হয়ে গিয়েছিল। আমার এই মন্তব্যে কেউ অকারণ অশালীন মন্তব্য, ব্যক্তি আক্রমণ করেন না দয়া করে।

  • প্রভাস সেন | 117.194.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৩৯102968
  • অন্তরে ঐক্য ধারা প্রবহমান। তা ভুলিয়ে দেবার যাবতীয় প্রচেষ্টা ও চলেছে। লেখা টি সুখপাঠ্য । 

  • বাইরে দূরে | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:১৯102969
  • আমার একুশে ফেবরুয়ারীকে ভরিয়ে দিলেন আজ। ভাষার কোন সীমানা নেই। ভালোবাসার কোন ধরম নেই। 


    জয় হোক।

  • ভাসা ভাসা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০৯102974
  • একেবারে ভেতর অবধি ভিজিয়ে দেওয়ার মতো লেখা । ভাষার বন্ধন এমন একটা গভীর বন্ধন, যা অনুভূতির সাথে ওতপ্রোতো । অঙ্গাঙ্গি।


    তবে বাঁধন তো আর শুধু ভাষায় নয় আরও অনেক কিছুতেই জড়িয়ে । আর তাই সব কিছুর মতো ঐক্যের পাশে বিরোধ ও থাকবে। যতটা সাধ্যে কুলোয় সহমর্মিতার অনুষঙ্গগুলোকে চিনতে চিনতে পথ হাঁটা ।

  • বাইরে দূরে | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৪102975
  • তিরিশ বছর আগে প্রথমবার ঢাকায় গিয়ে আরঙ এর দেয়ালে লেখা দেখেছি


    “বাংলা বলতে হলে বাংলায় বলুন “


    আজকের লন্ডন মেলবোর্ন নিউ ইয়রক রোম মিলান বার্সেলোনা বারলিনের  অনেক  দোকানে  দেখেছি  গর্বের সংগে বাংলায় লেখা সাইন বোর্ডঃ লিখেছে বাংলাদেশ । 


     আমরাও নিজেদের গর্বিত মনে করি। 


    আমরা সবাই বাংগালি। 


    জয় হোক ।

  • বিপ্লব রহমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:২৭102987
  • এ লেখায় একটাই মন্তব্য এপারের চণ্ডালের,  “কোন হালার পো হালা এনআরসি সিএএ এনপিআর আঙ্গো আলাদা করতে পারব?” 

    আ মরি বাংলা ভাষা! 

  • Soma | 47.15.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:০২102996
  • দুর্দান্ত লিখেছেন ! 

  • যদুবাবু | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০০102997
  • আরো একবার বলেই যাই, দুর্দান্ত লিখেছেন। আমার সব ভালো লেখা পড়লেই একটা কথাই মনে হয়, আরেকটু বড়ো লিখলেন না কেন? আশা করি আপনার আরো লেখা পড়ার সৌভাগ্য হবে। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

Amor Ekushe, Amar ekushe, Ekushe February, 21 February, Pakistan-Bangladesh-India, Bangla Bhasha, International Language Day
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন