নিয়মিত বকি এবং লিখি মূল ধারার সংবাদমাধ্যমে। সুতরাং ঝাঁকের কই ঝাঁকেই থাকবে। ফলে আমার লেখা পড়ে একটু যারা গভীরে ভাবেন তাদের ভুরু কুঁচকোনোটাই স্বাভাবিক। সেইরকমই একটা লেখা আমি লিখি ছাব্বিশে জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালির পর, যা আঠাশ তারিখ ছাপা হয় মূল ধারার বাংলা সংবাদমাধ্যমে। আমার প্রাথমিক বক্তব্য ছিল আন্দোলনের একটা বড় অংশ শান্তিপূর্ণ হলেও, তাতে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল এই দীর্ঘ লড়াইকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, ছাব্বিশে জানুয়ারি সন্ধেয় কৃষক এবং বাম নেতাদের বক্তব্যে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আন্দোলনে নামলে এবং সেখানে ঝামেলা হলে তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে কোন লাভ নেই। ফলে মিছিলে বিজেপি লোক ঢুকিয়ে গোলমাল পাকিয়ে দিয়েছে কিংবা লালকেল্লায় ঢুকে পড়া বিক্ষোভকারীরা সত্যিকারের কৃষক নয়, এই ধরনের বক্তব্যে রাজনৈতিক লাভের সম্ভাবনা কম। আর এই ধরনের আন্দোলনে যে কিছুটা গোলমাল হবে,তেমনটাই স্বাভাবিক। ফলে সেই প্রেক্ষিতে অধিকতর রক্ষণাত্মক হওয়ার কারণ খুব পরিষ্কার নয়। সারমর্মে, বিজেপির চোখে চোখ রেখে যে কৃষক আন্দোলন গত দুমাসের বেশি সময় ধরে চলেছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনাবলী সেই পথেই চলছিল। কিন্তু তারপর কৃষক নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়া আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে নি। বরং আপাত পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, অন্তত জাতীয়তাবাদী আমজনতার সহানুভূতির তুলাদণ্ডে। সবশেষে আমি এই আন্দোলনকে বিজেপির বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং তৃণমূলের সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেখার কথা বলেছিলাম। কারণ সেই দুই আন্দোলন থেকেই রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছিল দলগুলি।
প্রায় সবকটা জায়গাতেই একেবারে বিষয় ধরে ধরে আমার যুক্তিকে কেটেছেন কয়েকজন পাঠক, যাঁরা আমার বন্ধুস্থানীয়, এবং মোটের ওপর বিজেপি বিরোধী। তাঁদের প্রথম বক্তব্য, গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৯১ কোটির মধ্যে ৬১ কোটি, আর তার ৩৭ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি, যা আদতে ২৩ কোটির কম। অর্থাৎ মোট ভোটারের চার জনের মধ্যে তিন জন ভোট দেয়নি বিজেপিকে। আর গোটা জনসংখ্যার নিরিখে প্রতি ছয় জনে একজন বিজেপির ভোটার। এই ধরনের সমর্থন নিয়ে অতিমারী পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে সংস্কারমুখী কৃষি আইন লাগু করা উচিৎ নয়।
এবার আসা যাক দায় ঝেড়ে ফেলা নিয়ে আলোচনায়। বন্ধুবর বলছেন, কৃষক নেতারা দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক নয় কি? শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সামাল দেওয়াটা অসুবিধাজনক। তাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর সামান্য পুলিশি জুলুম হলেই জনগণের সহানুভূতি আরও বেড়ে যায়। শাহিনবাগের দাদিদের তুলতে তাই অত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল বিজেপিকে। তুলনায় ঝামেলা পাকানো লোকদের নিয়ন্ত্রণ করা সোজা, তাদের ওপর স্বচ্ছন্দে বলপ্রয়োগ করা যায়। জনতাও অখুশি হয় না। সেই জন্যই "এজেন্ট প্রভোকেটিয়ার" শব্দবন্ধটি এসেছে। এক্ষেত্রেও এমন কিছু লোক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারা চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। লালকেল্লার মত জায়গায় বিনা বিরোধিতায় এরা ড্যাং ড্যাং করে কীভাবে ঢুকল সেটাও বোঝার বিষয়। বাবরি মসজিদ ভাঙার সাথে এ ঘটনার তুলনা হয় না। তার জন্য অনেক আগ্রাসী প্রচার হয়েছিল। সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে দেশের একটা বড় অংশের সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাব আছে। তারপর কয়েকটি জায়গায় দাঙ্গাও হয়েছিল এবং অনুসিদ্ধান্তে রাজনৈতিক লাভ কোন দলের হয়েছিল সেটাও সবাই জানি। সিঙ্গুরের প্রসঙ্গও এখানে খাটে না। সেখানে তিন দশকের পুরনো সরকারের বিরোধিতা বেশি প্রভাব ফেলেছিল। বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ জন্মাচ্ছিল নানা কারণে। এমন কোনও বিষয় কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে নেই। বরং দেশের যে বড় অংশের মানুষের সহানুভূতিশীল সমর্থন কৃষকেরা পাচ্ছিল তার একাংশ পাশ থেকে সরে যেতে পারে মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের প্রচারে। কারণ হিংসাকে কেউ প্রকাশ্যে চট করে সমর্থন করে না। সরকার তাই এবার খোলাখুলি ধরপাকড় শুরু করতে পারবে। সেই পরিস্থিতিতে কৃষক নেতারা এক পা পিছিয়ে বিচক্ষণতারই পরিচয় দিয়েছেন। এতে পরবর্তীকালে দু পা এগোতে সুবিধা হবে। এই যুক্তির পক্ষে একটি ঘটনা এর মধ্যেই লক্ষ করা গেছে। ২৮ এবং ২৯ তারিখের মাঝের রাত-ভোরে গাজীপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর চোখের জলে আপ্লুত হয়ে আবার মাঠে নেমেছেন কয়েক হাজার কৃষক। তিনি বলেছেন আত্মহত্যা করবেন, তবু এই লড়াই থেকে পিছোবেন না।
আগের জন বাংলায় লিখেছিলেন, ফলে হোয়াটস্যাপ থেকে তুলে সামান্য পরিবর্তন করে টুকে দেওয়া গেছে। পরের জন বাঙালি হলেও বহুদিন মহারাষ্ট্রবাসী। ফলে তাঁর ইংরিজিটাই আসে ভাল। এক্ষেত্রে বঙ্গানুবাদ বদলে ভাবানুবাদ হয়ে গেল কিনা সে ধন্দটুকু তাই থাকল। তিনি দিয়েছেন মোট পাঁচখানি পয়েন্ট। প্রথমত এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে চল্লিশটির বেশি কৃষি সংগঠন যুক্ত, এবং সেভাবে কোন নির্দিষ্ট মুখপাত্র নেই। ফলে সমন্বয়ের অভাব কিছুটা থাকতেই পারে। তবে শুধু কৃষক নেতৃত্ব কেন, যোগেন্দ্র যাদবের মত কয়েকজন শহুরে নেতাও এই আন্দোলনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত লালকেল্লায় যথেষ্ট সুরক্ষাবিধি বর্তমান। কী করে এত সহজে কৃষকেরা সেখানে ঢুকে পড়ল? মূল ধারার সংবাদমাধ্যমই দেখিয়েছে যে পুলিশ সেখানে বসে হাসিমুখে মজা দেখছে। তাহলে কি এর পেছনে কেন্দ্রের শাসকদলের কোন চাল আছে? তৃতীয়ত, এর মধ্যেই দুশোর বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগে নাম আছে বেশ কয়েকজন কৃষক নেতার। তাহলে অন্যদিকে দীপ সিধুর বিষয়ে কী করছে সরকার? তাকে তো পরিষ্কার দেখা গেছে সমর্থকদের নিয়ে পতাকা উত্তোলন করতে। সে ছিল আবার বিজেপির বিভিন্ন নামী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট। চতুর্থ, যে যুব বিক্ষোভকারী ট্রাক্টর সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, সেখানে কি হয়েছিল তার সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। এটা ঘটনা যে টেলিভিশনে দেখা গেছে দু-একটি ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীরা অবিবেচকের মত ট্রাক্টর নিয়ে দ্রুতবেগে পুলিশের দিকে ধাওয়া করেছেন। এ ঘটনা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু তার সঙ্গে মৃত্যুর বিষয়টি কিভাবে এবং কতটা সম্পর্কিত সেই অনুসন্ধান জরুরি। সব শেষে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে এই আন্দোলন মোটেই শুধু পাঞ্জাব, হরিয়ানা, আর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের নয়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের চাষিরাও আছেন। মুম্বাইতে কিংবা বাঙ্গালোরেও বিক্ষোভের উত্তাপ লক্ষ্য করা গেছে। ফলে এটা গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী আন্দোলন।
তবে বিশ্লেষক হিসেবে অন্যমতের কথাগুলোকেও একবার মনে করিয়ে দেওয়া যাক। প্রান্তিক কৃষকেরা মোটেই এই লড়াইয়ের মুখ্য অংশ নয়। এই যুদ্ধ একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে সম্পন্ন কৃষক এবং মধ্যস্বত্বভোগী মাঝারি পুঁজির। অর্থাৎ সরকারের কাছে ঋণ নেওয়া দু-একজন লক্ষ কোটি টাকার মালিক এক দিকে, আর সরকারি সহায়তা পাওয়া কয়েক লক্ষ জন লক্ষ বা কোটি টাকার মালিক অন্যদিকে। সুতরাং সারা দেশের কৃষক আন্দোলন হিসেবে এই লড়াইকে অভিহিত করা শক্ত। দ্বিতীয়ত, মূল ধারার সংবাদমাধ্যমকে অস্বীকার করা এই মুহূর্তে অসম্ভব। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে। ফলে জাতীয়তাবাদের বিষয়টা থাকবেই, এবং সেখানে কৃষি বিক্ষোভ কিছুটা হলেও সহানুভূতি হারিয়েছে। সেখান থেকে কৃষক নেতাদের চোখের জল কতটা সহানুভূতি ফেরাতে পারে তা দেখার।
আর সবশেষে আমার মত মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষকদের বিপদটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন? বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা আমাদের বলবেন ভোঁতা এবং অশিক্ষিত, আর দক্ষিণপন্থী দেশপ্রেমিকরাও মুখ ঝামটা দেবেন অতি পাকা বলে। ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতিতে বেশ কয়েকটি বিন্দুর থেকে সমদূরত্বে একটি বিন্দু খুঁজে পাওয়া সম্ভব, কিন্তু রাজনীতিতে এমন ক্ষেত্রে সকলেই বিরোধী বলে ধমকাবেন। বিশ্লেষক তাই সর্বদা পক্ষপাত এবং গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট।
কথা এবং যুক্তির প্যাচ পয়জার ছেড়ে আসল ব্যাপার বলুন ।..এই মুহূর্তে এই কৃষক আন্দোলন ।..সে স্যুট বুট পরা হোক আর ছেড়া ধুতি পরা হোক ।..মোদী সরকার নামক হিটলার শাহী কে কঠিন বার্তা দিলো কিনা ।..গণআন্দোলন চিরকাল এক ধারায় এক প্যাটার্ন নিয়ে চলে না ।..কিন্তু ওই বিজেপি 'র শুওরের বাচ্চা দের মুখে থাপ্পড় টা লাগিয়েছে ন তো এনারাই !!কোনো বুদ্ধি জীবি বা কোনো সাদা পোশাকের শ্রমিক করেনি ।..হয়তো আগামী দিনে করবে বা করবে না ।..কিন্তু সোজাভাষায় বলুন দাদা ।..এই কৃষক আন্দোলন আলোড়িত করতে পেরেছে এই সময়ে ।..যখন আমরা সবাই নপুংশক বৃত্তি করে চলেছি নিজ নিজ বৃত্তে !!!
এই যুদ্ধ একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে সম্পন্ন কৃষক এবং মধ্যস্বত্বভোগী মাঝারি পুঁজির।
সম্পন্ন কৃষক কত টাকার মালিক - সেটা বোঝাতে লক্ষ বা কোটি টাকার মালিক বলা হয়েছে, আমি যা বুঝেছি।
তাহলে তো দুই দিকেই লক্ষ কোটি টাকার মালিক কৃষকেরা আছে বোঝাবে না?
মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষকরা কত সহজেই এই রকম আন্দোলনকে সম্পন্ন কৃষক এবং মধ্যস্বত্বভোগী মাঝারি পুঁজির আন্দোলন বলে দাগিয়ে দেন। বিদেশে থেকেও এবং ফেসবুকে না থেকেও আমি যে খবর পাই এনারা সেই খবরটুকুও রাখেন না এটা খুবই বিস্ময়কর। যাঁরা গুরুতে লেখেন তাঁরা অন্ততঃ গুরুতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো পড়বেন এটা প্রত্যাশিত।
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=20282
মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষকদের বর্তমান বা ভাবী সরকারের গুডবুকে থাকার একটা দায় থাকে।
চালাকির দ্বারা মহৎকার্য্য হয় না ঠিক ই। তবে প্রবন্ধ লেখা মহৎঅকার্য্যের মধ্যে পড়ে না। আর গুরুচন্ডালি ওয়েবসাইট, এই ভদ্রলোকের কোন প্রবন্ধ ছেপেছে কিনা , তিনি মেডিয়ায় বিখ্যাত হবার আগে এটা একটু জানতে আগ্রহ ছিল। কেবল ই বড় নামের পিছনে ছুটলে ওঁছা প্রবন্ধ ঘন ঘন পাবার একটা অতি সরল সম্ভাবনা আছে, যেটা কিনা একেবারেই সমস্যাসংকুল না।
এই প্রবন্ধটা কেন ফাঁদা হয়েছে বুঝলাম না। শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছিল দিল্লি যাবো,গেলাম দিল্লি রোডে!
অত্যন্ত হতাশ করলে গুরু ! এসব লেখাও পড়তে হল !!
এটা কি মূলধারার সংবাদমাধ্যমের লেখা পড়ানোর বিজ্ঞাপন ছিল ? মূলধারার সংবাদমাধ্যমের মূলধারার ?নাকি লেখক সেখানে লেখেন সেটি জানানোর ?
মূলধারায় ট্র্যাশ বেরলে সেই ট্র্যাশের যাবতীয় সমালোচনার ট্র্যাশতর উত্তরের ডাস্টবিন কি অ-মূলধারার মাধ্যমগুলি ? মূলধারার পদমূলে এমনতর ঠাঁই পেলে ধন্য হয়ে যায় ?
মূলধারার দুপয়সার সাম্বাদকরা চাকরি খুইয়ে গুরুতে আসছে নাকি? হাবজ গাবজ লিখে দিচ্ছে ছেপেও যাচ্ছে।
সময় নষ্ট শুধুধু
সিকি টা যে অন্ধকারে হারিয়েছে সেখানে টর্চ টা না জ্বেলে, যেখানে আলো আছেই সেখানে টর্চটা ধরলেন! তাতে কি আর সিকি পাওয়া যাবে। না খোঁজা টা বেশ ফন্দি করে গুলিয়ে দেওয়া যাবে!গোটা লেখাটা হতাশাজনক!
ইনি এত খই ভাজলেন কী করতে ? বুুুুুঝলামনা ।
কিসুই বোঝা গেলনা। না লিখলে, থুড়ি, খই না ভাজলে , খুব কি অসুবিধে হত?
এটি একটি বাজে প্রবন্ধ। সব আন্দোলনে সবাইকে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু এরকম স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যে লড়াই করার স্পর্ধা দেখাচ্ছে লক্ষ মানুষ - এই শীতে , কত কষ্ট সহ্য করে ..... এটাকে ছোট করা হলে হবে এক মহা অন্যায়। তার থেকে এই অন্যায় লাঘব করার জন্য লেখক কিছুদিন কলম বন্ধ রাখুন।