রোসো, কাকা আসছে।
অন্তত ২০২০ র ফল দেখাচ্ছে যে শুধু রেসিজম দিয়ে ট্রাম্পিজম ব্যাখ্যা করা যায় না। ২০২০ ভোটের আগে অবধি আমিও ভাবতাম, রেসিজম, জেনোফোবিয়া, মিসোজিনি এসবের জ্গাখিচুড়ি হলো ট্রাম্পিজম। কিন্তু "লিবারাল" মিডিয়ার সর্বাত্মক চেষ্টার পরেও যখন ট্রাম্প সেকেন্ড হায়েস্ট ভোট পায়, যখন এটা পরিষ্কার যে কোভিড এসে না পড়লে ট্রাম্প হাসতে হাসতে জিততো, তখন এটা মেনে নিতে অসুবিধে নেই যে ট্রাম্পিজমের পেছনে আরও কারন আছে।
পড়তে ভাল লাগল। মোটামুটি মো-শা জুটিও খানিকটা এই লাইনেই খেলছে।
এই সুশান্ত সিং রাজপুত নিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং জিনিষ খেয়াল করছিলাম ফেসবুক ট্যুইটার জুড়ে। কাউস্বামী রিয়াকে নিয়ে হিস্টিরিয়া তৈরীর সময় বা তার কিছু আগে থেকেই বিভিন্ন মহিলা, যাদের একটা ভাল অংশ অর্থ্করী কোনও কাজের সাথে তেমন যুক্ত নন তাদের মধ্যে রিয়া চকরব্র্তীর প্রতি বিদ্বেষ একেবারে যে কোনও স্বাধীন মেয়ের প্রতি অন্ধ বিদ্বেষ ফেটে পড়ছে। বেশ কিছু গ্রুপ তৈরী হয়ে গেছে সুশান্ত এর তথাকথিত 'খুন'এর বিচার চেয়ে। এই গ্রুপে টিপিকাল আইটিসেলের ফেক যেমন আছে, তেমনি আমাদের বান্ধুর বন্ধুর সাথে মিউচুয়াল লোকজনও আছে আবার মিউচুয়ালদের ফেকও আছে। কিন্তু মহিলাদের সংখ্যা o তাদের প্রিচিঙের ধরণ বেশ উদ্বেগজনক। (কাল আবার দেখলাম এর মধ্যে একটা ইজরায়েল অ্যাঙ্গেলও এনে ফেলেছে )। ২০২১ এর প্রাক্কালে এই বাবদে তাড়িপার প্রচুর পয়সা ঢালছে সেটা যেমন ঠিক, তেমনি একটা ভাল সংখ্যক মহিলা কোনও ইন্সেন্টিভ ছাড়াই এদিকে ঝুঁকছে এটাও ঠিক।
*দৃশ্যত কোনও ইন্সেন্টিভ ছাড়া।
করোনা আসায় অতি কষটে সৃষ্টে শুধু প্রেসিডেন্ট টা পাওয়া গেছে আর হেসেখেলে মারিয়ুয়ানাটা পাওয়া গেছে
করোনা না এলে বাইডেন খুড়োর দাঁত গুলো আর দেখতে হতো না
মারিয়ুয়ানা নিয়ে চুপটি করে থাকতে হতো
এই লেখাটার রেফারেন্সে বোধি ভাটে যা লিখেছে তার রেলেভ্যান্ট অংশ তুলে দিলামঃ
এই প্রবন্ধের রাজনৈতিক পজিশন টা নিয়ে হয়তো লক্ষ্য করেছো, আজ্জো অনেক দিন ধরে বলেছে।ইশান ও ট্রাম্প জেতার পরে এই লাইনেই আনন্দবাজারে প্রবন্ধ লিখেছিল। ২০১৬ তে। শিকাগোতে আগে সোনালি মাথা ছিল, এখন কালো কালো মাথা ইত্যাদি। শকিং লেখা। ইশানের কাছে আশাই করা যায় না। জাস্ট মুহুর্তের প্রতিক্রিয়ায় লেখা। আকার সংগে বড় এস আর আমার সংগে তর্ক ও হয়েছে। আজকের ন্যাড়ার প্রবন্ধ, ইশান, আকাদের এই পজিশন টা - হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস গ্লোবালাইজেশন দ্বারা চিটেড বোধ করেছে, তাই তারা ট্রাম্প এর মধ্যে মেসাইয়া খুঁজে পেয়েছে, এই পজিশন টার ঐতিহাসিক ভিত্তি একেবারেই দুর্বল, কিস্যু হয় নি।
আমি জানি না, ওদের মত ক্লিয়ারলি প্রোগ্রেসিভ প্রতিভাবান ইনটেলেকচুয়াল রা এটাকে, কেন, জাস্ট কেন, বেসিকালি ডেমোক্রাট আর লেবার লেফ্ট এর বিরুদ্ধে কনকটেড পজিশন টাকে আনক্রিটিকালি মেনে নিয়েছে। বা অন্তত সেটাকে নিয়ে তর্ক করার অপশন বেছে নিয়েছে। অন্যের দেশে আছি এই চোরা হীনমন্যতা ছাড়া আর কোন কারণ নেই। এবং এই হীনমন্যতা টা তাদের উপরে ইমিগ্রান্ট হিসেবেই সে দেশের পপুলার কালচার চাপিয়েছে। অথবা স্থানীয় লোকদের চাকরি জেতে দেখে সিম্প্যাথাইজ করেছে। সেটা অবশ্য একটা খুব ই মানবিক রিয়াকশন । এবং আমাদের এই বাল আইটি সারভিসের আইডিওলোজির থেকে বেরোনোর একটা চেষ্টা। কিন্তু যুক্তিহীন, কারণ শস্তার কালার্ড ইমিগ্রান্ট লেবার কে ক্যাপিটাল পুষবে, আউটসোর্স করবে, স্থানীয় মানুষকে কর্মহীন করবে, আউটসোর্স করবে, দেশপ্রেমী হয়ে ওয়ার এফর্ট কে সমর্থন করবে, আর লোক কে খ্যাপাবে, এই লজিকালি ইনকোহেরেন্ট জিনিসগুলো কে একটা জিনিস দিয়েই মেনে নেওয়া হয়, লজিক অফ প্রফিট। প্রফিট যেন এমন একটি অবুঝ সবুজ কাঁচা অপু, যাকে বাড়তে না দিলে অনর্থ হবে।
aভালো চাকরির খোঁজে তারা সেদেশে গিয়ে কোন অন্যায় তো করেই নি, সে দেশের ইকোনোমিকে সমাজ কে রক্ষনশীল ভুত দের হাত থেকে রক্ষা করেছে। আমাদের দেশ তাদের ভালো কাজ দিতে পারে নি, তারা গেছে বেশ করেছে। ক্যাপিটাল যত্র তত্র ঘুরে বেড়াবে, লেবার যাবে না, e হয় না। ফাল্তু যুক্তি। এতে কালো চামড়া হিসেবেই আমাদের সাবস্ক্রাইব করার কোন অর্থ নেই। আমাদের বাম ট্রেনিং টা কালার ব্লাইন্ড বা বলা যেতে পারে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি জমানা থেকে বেরোতে পারে নি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর প্রবন্ধরচনা যোগ্য সামাজিক ইতিহাস এক জিনিস না। আমরা যারা আউটসোর্সিং এর দ্বারা লাভবান তারা কি রাজনৈতিক ভাবে দলে দলে আন্দোলন করেছি, ভাই অসংখ্য লোকের চাগরি খেয়ে আমাদের চাগরি দ্যান, হ্যা ভালো করে পড়াশুনো করে ছি কাজের দাবী করেছি। আমরা যারা সারভিস সেক্টরে র উন্নতি তে গত পঁচিশ বছরে উন্নতি করেছি, পয়সার মুখ দেখেছি, তারা কি পিটিশন দিয়েছিলাম, পরিযায়ী শ্রমিক রা, যারা মূলতঃ স্মল ম্যানুফ্যাকচারিং ধরে রেখেছে, তাদের ভাই একটু হাঁটান, বসে বসে চর্বি হবে, দেশ আলস্যে ভরে যাবে? হ্যাঁ আমাদের একটা সামগ্রিক দায় আছে, এই সব সরকারকে আমরাই ভোট দিয়ে এনেছি, কিন্তু ঘটনা হল, মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেক সময়েই পলিসির ফসল সেটা তো বুঝতে হবে। সুতরাং আমেরিকায় ট্রাম্পের সমর্থনের বাড়ার পেছনে যুক্তি একটাই, সরল ও গোল গাল শ্বেতাংগ রা ভয় পেয়েছেন, তাঁদের রেস হেজেমনি নষ্ট হবে, এবং এই ভয় টা তাঁরা প্রথমবার পান নি, পেলে ইনস্টিটিউশনাল রেসিজম বলে শব্দ যুগল তৈরী হোতো না।
এই পজিশন টা কে আমেরিকান রাজনৈতিক বিতর্কে হিলি বিলি কান্ট্রি পজিশন বলা হয়। আমি এই পজিশন টার ঠিক উল্টো দিক থেকে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম, বৈজয়ন্ত রাই ছেপে ছিল,, তাতে আমার মূল বক্তব্য ছিল, এটাকে মেনে নিতে হলে মেনে নিতে হয় যে ম্যানুফাকচারিং বুমের সময়ে ইমিগ্রেশন এর সমস্যা, রেসিজম এর সমস্যা ছিল না, আমেরিকার নিও কলোনিয়ান এজেন্ডা ছিল না, তার হেজেমনিক পজিশনে মিলিটারি অ্যাগ্রেসন এর কোন ভূমিকা ছিল না। সারা বিশ্বের যে কোনো রংগের প্রতিভাবান দের জন্য আমেরিকার বা জেনেরালি শ্বেতাংগ সমাজ খুব মুক্তমনা ছিল। এসব আজগুবি তত্ত্ব তে সাবস্ক্রাইব করছো দেখে খুব ই দুঃখ পেলাম। কথায় কথায় পার্সোনালি খচে গিয়ে যাতা বলা র একটা স্টাইল হয়েছে আজকাল গুরুতে, আশা করি সে ভাবে রিয়াক্ট করবে না। করলেও অবশ্য কাঁচকলা।
বোধির সমালোচনার জবাবে কতকগুলো ব্যাপার ক্লিয়ার করে দেওয়া ভাল -
১। কোন ইডিওলজিকাল পজিশান থেকে এই লেখাটা লেখা হয়নি। ইডিওলজি দিয়ে প্রবন্ধ লেখা যায় না, প্রবন্ধ লিখতে লাগে তথ্য আর যুক্তি। যদিও লেখাটাকে আমি প্রবন্ধ বলছি না - আলোচনা বলছি কারণ এখানে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা থাকলেও হাইপোথিসিস আছে বেশি। এবং এখানে স্পষ্ট কোন রাজনৈতিক পজিশন আমি নিচ্ছি না। বরং বলছি যে রেসিজমকে ট্রাম্পিজমের প্রাইম-মুভার বলে ধরাটা বিপজ্জনক কারণ রাজনৈতিকভাবে সেটার মোকাবিলা করা হলেও ট্রাম্পিজম যাবে না। তাই বোধির "এই প্রবন্ধের রাজনৈতিক পজিশন টা নিয়ে হয়তো লক্ষ্য করেছো" সমালোচনাটা রঙলি প্লেসড।
২। "হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস গ্লোবালাইজেশন দ্বারা চিটেড বোধ করেছে, তাই তারা ট্রাম্প এর মধ্যে মেসাইয়া খুঁজে পেয়েছে, এই পজিশন টার ঐতিহাসিক ভিত্তি একেবারেই দুর্বল, কিস্যু হয় নি।" এই সমালোচনার সপক্ষে কোন তথ্য নেই, যুক্তি নেই। কাজেই সমালোচনা হিসেবে এটাকে ফেলে দেওয়া গেল। যদি পার্সেবল তথ্য বা যুক্তি আসে (চারটে বই ও লেখকের নামের অধিক), তব দেখা যায়গা।
৩। "অন্যের দেশে আছি এই চোরা হীনমন্যতা ছাড়া আর কোন কারণ নেই।" - এইটা আর এরপরে যা আছে তা সম্পূর্ণতই স্ট্রম্যান। তৎসহ আমার, ঈশানের ও আজ্জোর সাইকো-অ্যানালিসিস।