এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অর্থনীতি

  • ভারতীয় অর্থনীতির হাঁড়ির হাল—ঠিক কত ধানে কত চাল?

    মৈত্রীশ ঘটক
    আলোচনা | অর্থনীতি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪৭০৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • হাওয়া কোন্‌ দিক দিয়ে বইছে বোঝার জন্য যেমন আবহবিদ হতে হয় না, তেমনই ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান হাঁড়ির হাল বুঝতেও আপনার অর্থনীতিবিদ না হলেও চলবে। আপনি তথ্য মিলিয়েই দেখুন বা শুধু চারপাশের অবস্থা দেখে বুঝুন, মার্চ ২০২০-র পরে ভারতীয় অর্থনীতি যে বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ দেখায়নি, উলটে সংকুচিত হচ্ছে ক্রমশ এটা বোঝার জন্য কোনো পুরস্কার নেই। কোভিড সংক্রান্ত সংকটকাল প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত এবং এতদিনে আমরা ওইসব ‘ঋণাত্মক বৃদ্ধি’ জাতীয় অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার করা ছেড়ে সরাসরি কোদালকে কোদালই বলছি—এই পরিস্থিতিকে অর্থনীতির সংকোচন বা হ্রাস বলতে শিখেছি (পাঠক একবার ভাবুন তো, যখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে তখন সেটাকে যদি আমরা ‘বৃদ্ধি’ না বলে ‘ঋণাত্মক সংকোচন’ বা ‘ঋণাত্মক হ্রাস’ বলি, কেমন শোনাবে সেটা!)।

    অতএব সম্প্রতি ভারতীয় সংখ্যাতত্ত্ব এবং পরিকল্পনা প্রয়োগমন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় সংখ্যাতাত্ত্বিক কার্যালয় (National Statistical Office—NSO) ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের জন্য (এপ্রিল থেকে জুন) যে জাতীয় গড় উৎপাদন (Gross Domestic Product - GDP)-এর সম্ভাব্য হিসাব দিয়েছেন তা বস্তুত যা সাধারণভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তারই একটা সরকারি স্বীকৃতি বলা যেতে পারে। সত্যি বলতে কী, ২০১১-১২ অর্থবর্ষকে ভিত্তিবর্ষ ধরে প্রথম ত্রৈমাসিকে এই ২৩.৯% অর্থনৈতিক সংকোচনের হার বিশেষজ্ঞরা সাধারণ ভাবে যা আশঙ্কা করছিলেন তার থেকেও বেশি। তাই ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সামগ্রিক সংকোচনের হারের মূল্যায়নকেও উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অর্থনীতিবিদেরা। বিগত জুন মাসে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (International Monetary Fund—IMF) ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক প্রকাশনাটি বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির আনুমানিক ৪.৫% হ্রাস দেখিয়েছিল। অন্যান্য বিভিন্ন জাতীয় আর্থিকসংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের হিসাবে এই হ্রাসের আন্দাজ পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু এসব হিসাবই NSO-র হিসাব প্রকাশ হবার আগে। এই রিপোর্ট বেরোনোর পরে নানা আর্থিক সংস্থাগুলি এখন ২০২০-২১ বর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক হ্রাসের হার ৭% থেকে ১১.৫% অবধি দেখাচ্ছেন।

    এর ফল কতটা খারাপ হতে পারে?

    ঐতিহাসিক ভাবে দেখলে ১৯৯৬ সালে ত্রৈমাসিক জিডিপি তথ্য বের হতে শুরু হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনোদিন ভারতীয় অর্থনীতি কোনো একটা ত্রৈমাসিকে ২৩.৯% নীচে নেমে যাবার কোনো নজির পাওয়া যায় না। এমনকি যখন শুধু বার্ষিক হিসাব করা হত, তখনকার বহু পুরোনো তথ্য ঘেঁটেও স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র চারবার দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির বৃদ্ধির বদলে সঙ্কোচন হয়েছে: ১৯৫৭-৫৮; ১৯৬৫-৬৬; ১৯৭২-৭৩ এবং ১৯৭৯-৮০। এ পর্যন্ত ১৯৭৯-৮০-র ৫.২% সঙ্কোচনই সর্বাধিক নিম্নগমনের রেকর্ড।

    যদি ধরেও নিই যে আগামী তিনটি ত্রৈমাসিকেই বৃদ্ধির হার ০ তে আটকে রইল (অর্থাৎ সংকোচন বা বৃদ্ধি কোনোটাই হল না)—যদিও সেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অবাস্তব ভাবনা, তাহলেও বার্ষিক সংকোচনের হার অন্তত ৬% তে গিয়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ সালে ভারতীয় অর্থনীতির সংকোচনের পরিমাণ স্বাধীনতা-উত্তর ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সর্বাধিক হতে চলেছে।

    এই অবস্থার জন্য যদি মূলত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সংকটকেই দায়ী করতে হয় তা হলে আমাদের এটাও মনে রাখা দরকার যে কোভিড শুধুমাত্র ভারতের সমস্যা নয়। সারা বিশ্ব জুড়েই অর্থনীতির হ্রাসের পিছনে এর প্রবল প্রভাব রয়েছে এ কথা অনস্বীকার্য। সুতরাং ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ এবং এর প্রভাবই বা কতটা বুঝতে হলে আমাদের ভারতের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অবস্থাটাও তুলনা করে দেখতে হবে বইকি। আইএমএফ-এর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের হিসাব অনুযায়ী ২০২০-২১ সালে বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপি হ্রাসের হার দাঁড়াবে ৪.৯%, উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির ক্ষেত্রে এই হার ৩% এবং নিম্ন আয়ের অল্প উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই হার ১%। অবশ্যই এই সমস্ত সংখ্যাই আনুমানিক মাত্র—কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়েও ভারতীয় অর্থনীতির হাল, বিশেষত অন্যান্য উন্নয়নশীল এশীয় দেশগুলি, যেমন মালয়েশিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া বা ফিলিপাইন্সের মতো দেশগুলির সঙ্গে তুলনায় বেশ খারাপই দেখাচ্ছে বলা যায়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের ত্রৈমাসিকেই বৃদ্ধি/হ্রাসের হার নিয়ে জি-২০ দেশগুলির আইএমএফ-এর পরিমার্জিত হিসেব দেখাচ্ছে ভারতের অর্থনৈতিক সংকোচনের হার সবচেয়ে বেশি।

    জিডিপির হিসাব যা দেখাচ্ছে, অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকগুলির হিসাবও কি সেরকমই দেখাচ্ছে?

    ভারতের ক্ষেত্রে তার মোট জিডিপির অর্ধেকেরও বেশি আসে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রগুলির লাভক্ষতির হিসাব প্রায় সবটাই আনুমানিক—ফলে এই ক্ষেত্রের ওপর আঘাতটা কতটা খারাপ ভাবে এসেছে তার কোনো সঠিক হিসাব আমাদের কাছে নেই। তবুও এই সংকট সৃষ্টি হবার পরে কিছু গবেষকের সার্ভের মাধ্যমে আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে যা দিয়ে একটা মোটামুটি অনুমান করা চলতে পারে। এই ধরনের একটি গবেষণাসংস্থা, আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে-র মাঝামাঝি সময়কালে ভারতের মোট ১২ টি রাজ্যের স্ব-নিয়োজিত কর্মী, দৈনিক মজুরির কর্মী এবং সাধারণ কর্মচারীদের আয়ের ওপর কোভিড পরিস্থিতির প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে দেখিয়েছেন এঁদের গড় আয় প্রায় ৬৪% (অর্থাৎ সরকারি হিসাবের জিডিপি সংকোচনের আড়াই গুণেরও বেশি) কমেছে। লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স (LSE)-এর সেন্টার ফর ইকোনমিক পারফর্মেন্স-এর গবেষকদের আর-একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলের সাধারণকর্মীদের এপ্রিল এবং মে মাসের মোট আয় জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় প্রায় ৪৮% কমে গেছে। যদি খুব রক্ষণশীল ভাবেও হিসাব করা যায় যে মে-র মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত এই অবস্থার কিছুটা অন্তত উন্নতি হয়েছে তাহলেও এই গবেষণাগুলি এবং অনুরূপ অন্যান্য গবেষণা অনুযায়ীও এটা, স্পষ্টই প্রতীয়মান যে জিডিপির প্রকৃত হ্রাসের পরিমাণ এই সরকারি ২৩.৯%-এর অনুমানের চেয়ে অনেকটাই বেশি।

    বেকারত্বের বিপুল বৃদ্ধিকেও এই সংকটের আর-একটি দ্যোতক হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভারতীয় অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (Centre for Monitoring Indian Economy—CMIE)-এর হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল এবং মে মাসে ভারতে বেকারত্বের হার ২৩% পর্যন্ত উঠেছিল, যা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় তিনগুণ, এবং জুন মাসে তা নেমে দাঁড়ায় ১১% তে। আমরা যদি এই ত্রৈমাসিকের জিডিপি হ্রাসের পরিমাণ দেখি তাহলে এই বেকারত্বের হারের সঙ্গে তা মোটামুটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই প্রতিভাত হয়।

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আর-একটি গুরত্বপূর্ণ দ্যোতক, অন্তত শহর ও মফস্‌সলের ক্ষেত্রে, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ। বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা দেখাচ্ছে লকডাউন শুরু হবার পর ভারতে দৈনিক বিদ্যুতের ব্যবহার মার্চের শেষ অবধি গড়ে ৩০% কমেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের তিন মাস ধরলে এপ্রিল, মে এবং জুনে এই দৈনিক ব্যবহার গড়ে যথাক্রমে ২৪%, ১৩.৫% এবং ৮.২% কমেছে।

    অতএব একটা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির মাপকাঠি হিসেবে জিডিপির প্রচুর সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এই জিডিপি রিপোর্ট থেকে আমরা অন্তত দুটি বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি।

    প্রথমত এই সংকটকালীন অর্থনৈতিক সংকোচনের পরিমাপ ভারতের জন্য বেশ বড়ো মাপের—নিজের অতীত রেকর্ডের আধারেই হোক বা অন্যান্য দেশের সমসাময়িক অবস্থার তুলনাতেই হোক।

    দ্বিতীয়ত জিডিপি যেভাবে গণনা করা হয়, তাতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের উৎপাদন বা আয়ের হিসেব অনেকটাই আন্দাজে করতে হয়। তাই অসংগঠিত ক্ষেত্রে আয় বাড়লে বা কমলে তা জিডিপির বৃদ্ধি বা হ্রাসের হারে পুরোপুরি ধরা পড়ে না। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ওপর অন্যান্য যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাদের ফল থেকে থেকে জানা যাচ্ছে জিডিপি হ্রাসের যে হার নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম তা অসংগঠিত ক্ষেত্রে এই সংকটের প্রকৃত আঘাতের পরিমাণ বেশ খানিকটা কম করে দেখাচ্ছে। এখানে যেহেতু আমাদের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ নিয়োজিত, তাই এই সিদ্ধান্ত এড়ানো মুশকিল যে এই সংকট দেশের দরিদ্রতর অংশকে অন্যান্য শ্রেণির তুলনায় বেশি করে আঘাত করছে। তাই ভারতের সুবিশাল দরিদ্র জনসংখ্যার কথা মাথায় রাখলে বোঝা যাবে যে ২৩.৯% জিডিপি হ্রাসের এই অঙ্ক আসলে ভারতীয় অর্থনীতির প্রকৃত সংকটের হিমশৈলের একটু চূড়ামাত্রকে প্রকাশ করছে।

    এখন এমনটা যদি হত যে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও অতিমারির বিস্তার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, একটা কথা ছিল। তার তো কোনো লক্ষণ নেই। তাই গণস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি দুদিক থেকেই ভারতের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আর, সেখানে সব দোষটাই ভাগ্য বা ভাইরাসের ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না।



    প্রথম প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২০




    মৈত্রীশ ঘটক লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের একজন অধ্যাপক এবং ব্রিটিশ অ্যাকাডেমির একজন নির্বাচিত সদস্য

    লেখকের অনুমতিক্রমে অনুবাদ: রৌহিন ব্যানার্জী

    মূল লেখাটি: https://www.ndtv.com/opinion/so-how-bad-is-indias-economic-crisis-brace-yourself-2289116

    গ্রাফিক্স: https://twitter.com/GitaGopinath/status/1301178474351202306
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪৭০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শেখর সেনগুপ্ত | 115.97.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:০৯96927
  • "এমনটা যদি হত যে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও অতিমারির বিস্তার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, একটা কথা ছিল। তার তো কোনো লক্ষণ নেই। তাই গণস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি দুদিক থেকেই ভারতের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আর, সেখানে সব দোষটাই ভাগ্য বা ভাইরাসের ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না।"

    ১০০ ভাগ সহমত লেখকের বক্তব্যের সঙ্গে। তবে এটাও চিরন্তন সত্য যে ব্যর্থতার দায়ভাগ কোনও শাসকই নিতে চায় না। 

    আর রৌহিনকে ধন্যবাদ, ঝরঝরে অনুবাদের জন্য। 

  • দীপাঞ্জন | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২৫96933
  • এই গ্রাফটা মিসলিডিং |

    1) সার্স-কোভ-২ সংক্রামণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে | ভারতের পিক যেমন চীনের আট মাস পরে, নিউ ইয়র্ক আর পশ্চিম ইউরোপের ছয় মাস পরে| তাই অর্থনীতির ওপর ভাইরাসের প্রভাব বুঝতে গেলে টাইম শিফ্ট করতে হবে | একই কোয়ার্টার দেখলে হবে না |

    2) ভারত, চীন আর OECD অর্থনীতি স্ট্রাকচারালি আলাদা | লকডাউনের প্রভাব যে আন্ডার-ইন্ডাস্ট্রিয়ালিজড, লেবর আর কন্টাক্ট ইনটেনসিভ ভারতে তুলনামূলক ভাবে বেশি হবে সেটাই প্রত্যাশিত | তা থেকে প্রমাণ হয় না, মন্দা মূলত কোভিড জনিত নয় | নাও হতে পারে, অন্য অনেক স্ট্রাকচারাল সমস্যা থাকতেই পারে, গত বছর থেকেই মন্দার সংকেত আসছিলো, সেসব ঠিক | কিন্তু অন্য দেশের অর্থনীতি কোভিডএর ফলে কতটা কমেছে তার সাথে সরাসরি তুলনা করে সেই সিদ্ধান্তে আসা যাবে না |
  • dc | 103.195.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২৫96935
  • আমার মনে হয় দুটো কম্পারিজন করতে পারলে ভালো হয়ঃ গত ছ মাসে বিভিন্ন দেশের পার ক্যাপিটা ইনকাম হ্রাস (ওপরের ১% বাদ দিয়ে), আর গত ছ মাসে ভারতের আর্বান আর রুরাল পপুলেশানের পার ক্যাপিটা ইনকাম হ্রাস। তাহলে লকডাউনের প্রভাব আন্দাজ করা যাবে। দুক্ষেত্রেই ইয়ার অন ইয়ার করা যায়। তবে এই ডেটার জন্য সার্ভে করা দরকার।
  • শ্রীরূপা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:4060:210c:e2f3::263:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:৫০96952
  • সহজ ভাষায় অর্থনীতির ভেতরকার চেহারাটা যেভাবে লেখক তুলে ধরেছেন তার প্রশংসার ভাষা নেই। এই ধরনের লেখা আরো আসতে থাকুক,আমরা সমৃদ্ধ হই। এভাবেই বেড়ে চলুক বাংলা ভাষায় অর্থনীতি চর্চা। আর এর জন্য অবশ্যই অনুবাদককে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

  • রৌহিন | 2401:4900:104e:d5d:478d:9a98:caa1:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫৭96959
  • ডিসি যে কম্পারিজন এর কথা বলেছেন সেরকম কিছু হয়েছে কিনা খুঁজে দেখছি। ঠিকই বলেছেন, ওটা পেলে আশা করা যায় দীপাঞ্জনবাবুর পয়েন্টটাও অ্যাড্রেসড হবে। 

    কিছু পেলে এখানে অবশ্যই দেব

  • সৈকত মিস্ত্রী | 42.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৮96964
  • কিছুদিন আগে অর্থনীতি ও জীবনবিজ্ঞান  নিয়ে জনৈকের লোখা পড়ছিলাম। বর্তমানে করোনা বনাম অর্থনীতিকে একদল জীবন বনাম জীবিকার সংঘাত দোখাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন অর্থীনিতি নিজেই জীবন।অর্থনীতি শুধু সেনসেক্সের ওঠা পড়া নয়। বাঁচা, পুষ্টি,  বৃদ্ধি সবটাই অর্থনীতি। বর্তমান সরকার  সেই ধারাটাকে মারতে শুরু করে ২০১৭ থেকে।এখন সব দায় করোনার উপর দিচ্ছে। 

    পার ক্যাপিটা , জীবনমান সবটার তুলনামূলক  আলোচনা দরকার । করোনার আগে ও পরের সময়ের। 

  • প্রভাস চন্দ্র রায় | 2409:4060:2117:5fb1::821:***:*** | ০১ এপ্রিল ২০২১ ১২:৩৮104391
  • লেখাটি পড়লাম। ইকনমিক্সের জটিল বিষয়গুলিকে এড়িয়ে মোটামুটি সর্বজনবোদ্ধ হিসেবে সহজ ভাষায় লেখা, যা আমাদের মতো মানুষেরও বুুঝতে অসুবিধা হয় না। লেখার মধ্যে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কথা, নিম্নগামী জিডিপির কথা বলা হয়েছে, তা আমাদের মনে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যথেষ্ট আশঙ্কা জাগায়। 


    সম্প্রতি কিন্তু আমাদের দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে ভয় হয় এই নতুন সংক্রমণ বিজেপির ব‍্যর্থতার নতুন অজুহাত হবে না তো ?

  • শুদ্ধসত্ত্ব দাস | ০১ এপ্রিল ২০২১ ২৩:০৩104394
  • "calling a spade a spade" এর বাংলা অনুবাদ "কোদাল কে কোদাল বলা" হয়না। এইটা একটা বাগ্ধারা। আক্ষরিক অনুবাদ করা যায়না। "Mother Bhobani in treasury"- র মতো বেখাপ্পা শোনায়।


    "নিজের অতীত রেকর্ডের আধারেই হোক" - এইখানে "আধার" শব্দটা হিন্দির মতো ব্যাবহার করা হয়েছে। আপনি সম্ভবত নিরিখে বলতে চেয়েছেন

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন