এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • শুধুই লকডাউন?

    Tapas Kumar Das লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ এপ্রিল ২০২০ | ৩৯১৩ বার পঠিত
  • আমার বাড়িতে, ইলাহাবাদে, একজন সবসময়ের জন্য সাহায্যকারিনী ভদ্রমহিলা আছেন গত কয়েক মাস হলো। বিভিন্ন জটিল কিছু সমস্যা (যা এখানে আলোচনার ,বিষয় নয়, প্রয়োজন নেই) দেখা দেওয়ায়, এবং সেইসব আমি, অনেক চেষ্টা করেও, একাহাতে খুব বেশি মাস সামলাতে না পারায়, বাধ্য হয়ে ওনাকে আনতে হয়। অসুস্থ অবস্থায় আমার মা'র যিনি দেখাশুনা করতেন এক কালে, সেই ভদ্রমহিলা এঁকে ঠিক করে দেন, কাটোয়া জেলায় তাঁদের ই পাড়ার মানুষ ইনি। প্রৌঢ়া অত্যন্ত ভালোমানুষ - অন্যের জন্য ভাবেন, মানুষের প্রতি প্রভূত মায়া মমতা।

    আমি সারা রাত কাজ করি, সকালে ঘুমোতে যাই। আজ ভোর চারটেয় শুনি ওঁর মোবাইল (আজকাল সবারই মোবাইল থাকে) বাজছে। আমি বেশ অবাক হলাম। তারপর শুনলাম উনি ধড়ফড় করে উঠে ফোন ধরে কার সাথে কথা বলছেন। আমি এই ভেবে ঘাবড়ে গেলাম যে এটা তো তাহলে বিজ্ঞাপনের ফোন নয়, চেনা লোকের ফোন, এবং এই সময়ে ফোন করেছে মানে নিশ্চই কোনো এমার্জেন্সি। এবারে তাই যদি হয় তাহলে এই লকডাউনের বাজারে উনি যদি বাড়ি ফিরতে চান তাহলে কি ভাবে কি করবো - এইসব বসে বসে ভাবছি - উনি ফোন সেরে শুয়ে পড়লেন, মানে ওঁর শোয়ার জায়গার লাইট নিবে গেলো দেখলাম। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

    একটু আগে দুপুরে উনি আমাকে বললেন - `দাদা ভোরে একটা ফোন এসেছিলো তাতে করে আমি একটা ভয়ানক খবর পেয়েছি, সাবধানে থাকতে হবে !' জানা গেলো ওঁর এক আত্মীয় থাকেন মধ্যপ্রদেশে দুর্গ এর কাছাকাছি, তিনিও কারো বাড়িতে সবসময়ের কাজ ই করেন, তিনিই ফোন করেছিলেন। করে জানালেন দুর্গ এ তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে খুব সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। একদল মুসলমান, ভিখারি সেজে লোকের বাড়ি বাড়ি করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভিক্ষে চাইতে ঢুকছে খেতে পায় না বলে, তারপর থালা বাড়ি গেলাস ছুঁয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে, সেই দিন ই বাড়িরই লোকেদের করোনা হয়ে যাচ্ছে! ফলে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে আমার এখানকার মহিলা কে ফোন করেছেন যাতে কেউ খাবার চাইতে এলে যেন তাদের ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেওয়া না হয়। যিনি ফোন করেছেন তিনি অবশ্য করোনা ছড়িয়ে দেওয়া দেখেন নি, কিন্তু তিনি নাকি খুব ই বিশ্বাসযোগ্য এক মানুষের কাছে শুনেছেন - `সে খুব শিক্ষিত লোক দাদা, তিনি কি আর ভুল বলতে পারেন?'

    তা বটে। `শিক্ষিত' লোকেরা ভুল কেনই বা বলবে।

    আমি অশিক্ষিত, তাই আমি অনেক্ষন ধরে ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কেন এগুলো হতে পারে না, হওয়া সম্ভব না। আমি বলছি বলে উনি চুপচাপ শুনে মুখের ওপরে কোনো প্রতিবাদ করলেন না বটে, কিন্তু পরিষ্কার বোঝা গেলো সেভাবে কনভিন্সড হন নি।

    বুঝতে পারলাম, লক ডাউনের পর/চলাকালীন খিদের জ্বালায় মানুষ উদ্ভ্রান্ত হয়ে হাত পাততে শুরু করলে, `মুসলমান করোনা ছড়াচ্ছে' বলে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার জমি প্রস্তুত হতে খুব দেরি নেই আর।

    ক্ষিদে ভাঙিয়ে, অন্যরকম ভাবে করে খাওয়ার লোকের ও অভাব নেই। কলকাতার শহরতলীর এক জায়গায় ছোট পর্দার এক নায়িকা হাসিমুখে ক্ষুধার্তদের অন্নদানের এক ছবি দিয়েছেন বিখ্যাত এক বাংলা দৈনিকে। হাসি হাসি মুখে তিনি পোজ দিচ্ছেন হাতে আলুর প্যাকেট নিয়ে। তিনি যে অ-নে-ক মানুষের ত্রাতা, সেটা বোঝানোর জন্য ছবিতে গোটা দশেক বাচ্ছা, খুব, একেবারে গায়ে গায়ে, ঘেঁষাঘেঁষি করে (এক সেন্টিমিটারেরও কম পাশাপাশি দুজনের দূরত্ব নিয়ে), যাতে ক্যামেরার ফিল্ড অফ ভিউ তে সবাই আসে, ওনাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের এভাবে দাঁড় করানো হয়েছে ওঁর ছবি তোলার জন্য, উনি ই করিয়েছেন নিশ্চয়ই, বা ওনার সম্মতি নিয়ে মিডিয়ার লোক। `ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে, তোমারে করেছে রানী ' - গানটার ই যা অভাব, নেহাত ই প্রিন্ট মিডিয়ায় এক্যুস্টিক ফাইল ইনক্ল্যুড করা যায় না।

    এই মহিলার আরেকটু বেশি প্রতিষ্ঠিত ফিল্মি দুনিয়ার দাদা দিদিরা লক ডাউনের বাজারে মদ মাংস সাঁটাচ্ছেন, আর তেড়ে `আমার করোনা ডায়েরি' লিখছেন। কোনো নায়িকা আবার ভীষণ ই সেজেগুজে কয়েকটা কুকুর খাওয়াতে খাওয়াতে প্রচুর সেলফি তুলে বলছেন আর জন্মে তিনি কুকুর বিড়াল হয়ে জন্মাবেন, মানুষ জন্মে ঘেন্না ধরে গেছে তাঁর চারদিক দেখে, কারণ লোকজন এর মধ্যেও ফেসবুকে ছবিছাবা দিচ্ছে, তাই লোকে তাঁকে মানুষের বাচ্চার বদলে কুকুরের বাচ্চা বললে তিনি খুশি হবেন। তারই মধ্যে তিনি জানিয়ে দিতে ভুলছেন না সকালে উঠে তিনি গরম জল, জিরের জল, আদা মধু দেওয়া জল, আরো কি কি সব জল আর গরম কফি খান ফিট থাকার জন্য, ওটস পাচ্ছেন না বলে মাছ ভাত ক্ষেত্রে বাধ্য হচ্ছেন, জানিয়ে দিতে ভুলছেন না ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের ওঁর ভালো করে চেনা হয়ে গেছে, এবং তিনি লবিবাজি করেন না। বিখ্যাত দৈনিক বাংলা পত্রিকা গুলো রোজ এইসব ছাপিয়ে প্রচুর টিআরপি কামাচ্ছে।

    ক্ষিদে একটা বিশাল ক্যাপিটাল। কতরকম যে ব্যবসা সম্ভব ক্ষিদে ভাঙ্গিয়ে।

    ওদিকে কিছু লব্ধপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক আবার এই ক্রান্তিকালেও `আম্রিগা' তে কি কি হয়, ভারতে তা হয়না কেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন নিয়মিত। হয়তো কোনো এক কালে আম্রিগা তে গেছিলেন, তাঁদের জেট ল্যাগ সারাজীবনের মতো রয়ে গেছে, ভিকটিম অফ ইটারনাল ল্যাগ। বেচারা।

    ভারতবর্ষকে কি অসম লড়াই লড়তে হচ্ছে ভাবুন একবার। শুধু করোনা ই তো ভাইরাস নয়, ওপরের মানুষগুলো ও একইরকম ক্ষতিকারক ভাইরাস। তারপর আছে ক্ষিদে। অনন্ত, অসীম ক্ষিদে নিয়ে কোটি মানুষ আকাশ জোড়া হাঁ করে বসে আছেন - ভাত দাও! ভাত দাও!

    আমি স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের লোক নই, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই যে টুকু জানি (আমার ভুল হলে ডাক্তার বাবু বন্ধুরা শুধরে দেবেন অনুগ্রহ করে) , আজ পর্যন্ত যতজন মানুষ সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সর্বমোট সংখ্যা, ভারতবর্ষে শুধু এক বছরেই (২০১৮, উদাহরণস্বরূপ) টিউবারকুলোসিস আক্রান্তদের সংখ্যা তার বহু বহু গুন বেশি। ডেটা যা দেখাচ্ছে, ২০১৮ সালে টিবি রোগীর (শুধু ২০১৮ তে ধরা পড়া) সংখ্যা সাতাশ লক্ষ, মারা গেছেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। আমি যতদূর জানি, এই মৃত্যু অধিকাংশই গরিব মানুষের, দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা মানুষের। গবেষণা সেটাই বলে। `সোশিও ইকোনোমিক ইনিকোয়ালিটিজ অফ টিউবারকুলোসিস ইন ইন্ডিয়া' - রাজেস্বরী রামচন্দ্রণ এবং এম. মুনিয়ানদি র এই গবেষণা পত্র (এবং আরো অনেক গবেষণা) তা অনেক দিন আগেই খুব পরিষ্কার ভাবে দেখিয়ে দিয়েছে।

    এর ওপরে আছে আন্ত্রিক টাইফাস কলেরা এবং আরো বহু ছোঁয়াচে রোগে আরো লাখখানেক মৃত্যু, এক ই বছরে। সেই ধরণের মৃত্যু গুলির ও প্রধান ভিকটিম দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষরাই। থাকার জায়গার অভাব, পানীয় জলের অভাব, শৌচালয়ের অভাব, অশিক্ষা, খেতে না পাওয়ার কারণে ইম্যুনিটি কমে যাওয়া - ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ...

    এবারে প্রশ্ন হলো, ভারতবর্ষের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা সেই বিপুল সংখ্যক জনতা যদি আদিম হুঙ্কারে গর্জন করে যে - ভাত চাই ! তবেই লক ডাউন মানব ! না হলে আমরা এমনিও মরি অমনিও মরি, করোনায় আমাদের কি যায় আসে হে?

    তখন কি হবে? কি হবে, হ্যাঁ?

    যুদ্ধের সিনেমায় দেখে থাকবেন হয়তো, মানুষ কাঁটাতার গলে পালাতে গিয়ে ইলেক্ট্রিফায়েড হয়ে (কাঁটাতারের বেড়ায় হাই ভোল্টেজ কারেন্ট থাকে) বা সীমান্তরক্ষীর গুলিতে মারা যায়। তারা জানে যে মারা যেতে পারে। তাও পালাতে যায় - কারণ বন্দিশিবিরে থাকলেও মরবে, কাঁটাতার পেরোনোর সময়ও মরবে, কিন্তু যদি কোনোভাবে একবার কাঁটাতার গলে বেরিয়ে যেতে পারে, তাহলে অন্তত কিছুদিনের জন্য বেঁচে যাবে।

    আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের অবস্থাটাই ওরকম। ঘরে থাকলে ভুখা মরবে, বাইরে বেরোলে করোনায়। তাদের তাই মাথায় এইটাই কাজ করবে যে, ঘরে থাকলে মরবেই মরবে, করোনা হলে তাও বাঁচার আশা আছে, ফলে যে ভাবে হোক বেরিয়ে কিছু খাবার যদি জুটিয়ে ফেলতে পারে তাহলে আরো অন্তত কিছু দিন বাঁচে, মাথায় থাক লকডাউন। এই `যে ভাবে হোক' এর ডেসপেরেশন ঠিক কোন মাত্রার, তা আমার আপনার মতো মানুষ বুঝতে পারবো বলে ভেবেছেন? কালাহান্ডি আমলাশোলে গিয়ে বলুন না, করোনা আর সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং এর কথা?

    এতে করে কিন্তু আমরাও রেহাই পাবো না। এরা লক ডাউন ভেঙে বেরোলে যে রোগ ছড়াবে তা আমাদের ও ছাড়বে না। এরা নিরাপদ না থাকলে আমরাও নিরাপদ নই। আমরাও মরবো। মরবোই !

    অথচ সম্ভব ছিল। ভারতবর্ষের সাধারণ দরিদ্র মানুষ সামাজিক ভাবে বরাবর ই খুব বাধ্য। এটা হয়তো আমাদের সামাজিক গুরুবাদের প্রভাৱ। সভ্যতার আদিকাল থেকে, একজন অথরিটেটিভ ফিগার যা বলবেন, সমাজের বাকিরা তা চোখকান বুজে মেনে নেবে, এই সামাজিক গুরুবাদেই দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষ আবহমান কাল ধরে বড় হয়েছেন। এই মুখ বুঝে মেনে নেওয়ার বাধ্যতা কাজে লাগিয়ে লকডাউন পুরোপুরি সফল করে ভারত একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো পৃথিবীর কাছে করোনা আটকানোর ব্যাপারে - যদি রাষ্ট্র, বেঁচে থাকার জন্য আনুষঙ্গিক জিনিসগুলোর ব্যবস্থা করতো দারিদ্রসীমার নিচে বা কাছাকাছি থাকার মানুষদের জন্য। কিন্তু রাষ্ট্র তা করলো না। কখনো করে না। রাষ্ট্র নিজের স্বার্থ দেখে। রাজনীতি করে। বরাবর করে এসেছে আবহমান কাল ধরে। এখনো করছে। করেই যাবে।

    লক ডাউন অতি অবশ্য দরকার। এটি একটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এবং যে ছোঁয়াচে রোগের ওষুধ বেরোয়নি তাকে সামলাতে লকডাউন ছাড়া গতি নেই। কিন্তু ক্ষিদের চোটে ধুঁকতে থাকা আসমুদ্র হিমাচল ভারতবাসীকে ভাত না জুগিয়ে, প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ (অন্য রোগের) না জুগিয়ে, শুধু লকডাউন করে করোনা আক্রমন রোধ করে ফেলা যাবে ভাবছেন? প্রাণ বাঁচাবেন ভাবছেন নিজের?

    মশাই, মূর্খের স্বর্গে আছেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ এপ্রিল ২০২০ | ৩৯১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ধীমান মন্ডল | ১২ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৯92243
  • সোজাসাপ্টা কিছু সত‍্যিকথা বললেন। করোনা তো এখন একটা Sentiment এর নাম। তাই করোনা নিয়ে ঘটা অসভ‍্যতা নিয়েও কিছু বলা যাবে না। ওই যে মাথায় ভরে রেখেছি গুরুবাদ।
  • aranya | 162.158.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৭:০৪92251
  • ঠিকঠাক, জরুরী লেখা
  • r2h | 172.69.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:২৩92458
  • ওনেক টাই প্যানিক মিডিয়া র দৌলতে
    আসলে একটু বাজে টাইপ এ ফ্লু
    80 পার্সেন্ট ফুল রিকভারি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন