অ্যাকচুয়ালি ঢাকাইয়া কন্যাদের ভালো রাঁধুনি বলে নাম আছে। যতবার খেয়েছি তাঁদের হাতের রান্না, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। আমার যার হাতের রান্না এখনো অবধি সেরা লাগে, তিনি ঢাকার মেয়ে - আমার মেজোমামী। জাস্ট একটা কচুল্লতি কি রসুন ফোড়ন দিয়ে লালশাক কি ফুলের মত ফুটে ওঠা কচি পটলভাজা ফট করে নামিয়ে দেবে (আমিষ ছেড়েই দিলাম) - স্বর্গের কাছাকাছি পৌঁছে যাবো।
অবশ্য এটা ঠিক, যাবতীয় সবজীকে অসামান্য দক্ষতায় বেটেবুটে গোল্লা পাকিয়ে শরবতি কোফতা বানিয়ে ফেলবার ক্ষমতা বাঙালদের নেই।
সর্বানী - একটু লড়ে যাই। আমার ঠাকুমা - ঢাকার মানুষ, বাপের ও শ্বশুর বাড়ি। অতি অখাদ্য রাঁধতেন। আমার দিদিমা খুলনার মানুষ। শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর। সাংঘাতিক ভালো রাঁধতেন। আমার আরেক দিদিমা (মায়ের কাকীমা) সিলেটে বাপের বাড়ি ঢাকায় শ্বশুর বাড়ি। তিনিও অসম্ভব ভালো রাঁধতেন। আমি এখানে শুধু নিরামিষ রান্নার কথাই বলছি। শুক্তো, বিভিন্ন শাক (পালং পুঁই জাতীয় শাক ছাড়াও, মটর শাক, পাট পাতার শাক, কচুর শাক,কলমী শাক, হিঞ্চে শাক, মেথি শাক.....,নানা ধরনের ডাল(ছোলার, মটরের, ভাজা ও কাঁচা মুগের, অড়হড়, বিউলী, মুসুর, আম/কামরাঙ্গা/চালতা দিয়ে টক ডাল, এঁচোড়ের বিচি দিয়ে ও অবশ্যই মাছের মাথা দিয়ে), কলমী শাক দিয়ে পাঁচমিশালী তরকারী, সীম পাতুরী, বেগুন পোড়া, পুঁই শাক ইলিশের কাঁটা দিয়ে........... এর মধ্যে কোনটাতেই পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধও থাকতো না। আপনার দিদার দুর্ভাগ্য, উনি বোধহয় আমার ঠাকুমা জাতীয় কারুর রান্না খেয়েছিলেন।
Bratin | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:৫৭ | 122.248.183.1
এত আলোচনার পরে আমি নীচে গিয়ে একটা আলুর চপ, একটা পেঁয়াজী আর একটা ডালুরি খেয়ে এলাম!!
Bratin | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:৫৪ | 122.248.183.1
হি হি লোকজন আমার ফাঁদে পা দিয়েছে!! আবার ঘটি বাঙাল লেগে গেছে!! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে ঃ-))
til | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:১৭ | 220.253.76.122
যাই শুয়ে পড়িগে, কাল অফিস করেই সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল; হলে গুটি কয়েক লোক। গতবছর জিন্না বলে একটি পাকি সিনেমা দেখিয়েছিল, অপূর্ব!
shrabani | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:১৫ | 124.124.86.85
যদিও বাঙাল ঘটির ঝগড়ায় যেতে চাইনা তবু আমার দিদার একটা থিওরী ছিল ( এতখানি বয়সে এনার মত স্বাদের রান্না কোনো বাঙাল বা আর কোনো ঘটিকে রাঁধতে দেখিনি)। দিদা বলত বাঙালরা তরিতরকারী রাঁধতে জানেনা, সেসব রান্না খুব খারাপ হয়। ডোবার দেশের লোক তাই ওদের মাছের রান্না অনেক রকমারী এবং ভালো তবে তরকারীর অভাবে যা পায় তাই খায় টাইপের মাছ খায়। বাকী সব রান্নায় পেঁয়াজ রসুন আর লঙ্কা দিয়েই মাত করতে চায় তাই এদের সেসব রান্নার একই টেস্ট হয়।
til | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:১২ | 220.253.76.122
অন্য প্রসঙ্গে। সিটি সেন্টার ২ তে বাটার দোকানটা রেকো করলাম, খুব ভাল স্টক ও কর্মচারীরা হেল্পফুল।
Arpan | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:১০ | 216.52.215.232
কেসি বাওয়া সেমসাইড কোরো না।
ভালো করে দ্যাখো পালং-পোস্ত শোলমাছ দিয়ে রাঁধার কথা লিখেছে।
তোমাদের পেটে তো আবার ও মাছ সহ্য হয় না।
kc | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৯ | 194.126.37.76
তিলবাবু, শিয়ালদার মেস আজও আছে। পান্থতীর্থ হোটেলও আছে। বৈঠকখানা লেনও আছে। সাধুর হোটেল আজও চলে। শবরী মেসও আছে। শুধু সোমেন্দা একটু অসুস্থ।
Arpan | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৭ | 204.138.240.254
ধুর বাওয়া। ওয়েবসাইট থেকে এটাই বোঝা যায় বাংলাদেশে কী কী রান্না চলে।
প্রণ তন্দুরি তো সাবেকি বাংলা রেসিপি না। আধুনিক রান্না ক্যাটেগরিতে ঢুকেছে।
Arijit | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৫ | 61.95.144.122
সিটি সেন্টার ওয়ানে একটা দোকান আছে - তাতে রকমারি বাদাম-নারকোল ইত্যাদির মিষ্টি পাওয়া যায়।
kc | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৫ | 194.126.37.76
অর্পণ জালিটা কত্তে গিয়ে একটা জালি সাইটের পাল্লায় পড়েছে। পালং পোস্ত বলে একটা রান্নাতো এইমাত্রই দেখলাম। কড়াই ডালও দেখলাম মনে হল যেন।
til | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৪ | 220.253.76.122
এরা সব বেহালার লোকজন। ৩এ বাস যেত কি? দুটি ছেলেকে পড়াতে যেতাম সপ্তাহে দুদিন , ১০০ টাকা মোট; থাকতাম শিয়ালদার মেসে, সীট ভাড়া ১৮ টাকা, খাওয়া ৯০+-। সেসব মেস কবেই উঠে গেছে, সাবিত্রীরা কই আর সেখানে বাসন মাজে!
kumudini | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:০৩ | 59.178.130.209
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন