অজ্জিত, ধরো অমার পুল পার্টনার এর গাড়ি নেই। হপ্তায় একবার তেল ভরতে গিয়ে ভাগ করে নিলাম পয়সা - তা'লে?
- এই corruption করে যচ্ছি বেশ কয়েক বছর হল। একলা গড়িতে তেড়ে ঘুম চলে আসে - তার বেলা?
byaang | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৯ | 122.172.9.151
শুধু ক্যালেন্ডার!! আর মুখোশগুলো? সেগুলো কোথায় ? কার কাছে?
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৬ | 203.83.248.37
এর দুটো দিক আছে, আইনি দিক আর ভদ্রতার দিক। ভদ্রতার বিচার একেক জনের কাছে একেকরকম। সে নিয়ে তক্ক হয়না।
আইনের ব্যাপারে আমি এখনও পুরোনোপন্থী। মনে করি মানুষের সুবিধের জন্যে আইন, উল্টোটা নয়। দেশে লাইসেন্সরাজ করাপশনের আঁতুড়। যত আইন, তত ঘুষের সুযোগ।
u | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৫ | 61.12.12.83
সুচেতনাদির জন্য কোলকাতা থেকে গুরুচণ্ডালি ক্যালেন্ডার পাঠিয়েছে।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৪ | 61.95.144.122
সেরকম নিয়মই লিখেছে তো কাগজে।
Netai | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৩ | 121.241.98.225
আড়াই ফুট মানে অনেকখানি এগিয়ে খেলেছিল বলে? কিন্তু লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে টপ্পা খেলে লেগ বিফোর না দেওয়ার যেরম নিয়ম আছে তেমন কফুট এগিয়ে খেললে লেগ বি দেওয়া যাবেনা তেমন কিছু কি স্পেসিফাই করা আছে?
r.h | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩৩ | 203.132.214.11
প্রাইভেট বা কমার্শিয়াল যেকোন গাড়িতেই এই গড়িয়া গড়িয়া সল্লেক সল্লেক বলে লোক তোলাটা বোধয় বেআইয়্নী। মানে বাস অটো ট্যাক্সি, এরা কে কিভাবে ভাড়া খাটবে তার কি সব নিয়মকানুন আছে। যেমন মেট্রো শহরে অটোরিক্সারও শেয়ারে ভাড়া খাটার কথা নয়। নিজেদের মধ্যে কারপুলটাতো অন্য রকম, খরচতা ভাগাভাগি হচ্ছে, বাণিজ্য তো নয়। (এইসব শাটল গাড়ি পেলে আমিও চাপি, তাই বেশী বলা কোনভাবেই উচিত নয়...)
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩২ | 61.95.144.122
কারপুল বা রাইডশেয়ারের আইডিয়াল সীনারিও হল হপ্তায় দুদিন আমি গাড়ি বের করলাম, দুদিন তুমি করলে - পয়সার আদানপ্রদানের দরকার পড়ে না। তেল বাঁচলো, পল্যুশন কম হল, রোজ গাড়ি চালানোর কষ্ট কমলো, বেআইনীও হল না।
kc | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:৩১ | 89.203.49.18
এইসম ছোটখাটো ব্যাপারকে করাপশন বললে করাপ্শন শব্দটাই ক্লিশে হয়ে যায়। তাইলে গান / আঁকা শেখার টীচারকে রসিদ ছাড়া মাইনে দেওয়া, কাজের মাসীকেও উইদাউট সাইন্ড ক¾ট্রাক্ট কাজ করানো এবঁ মাইনে দেওয়া সব করাপ্শন।
ব্যাঙকে মাসীমার খবর্দারিটা কি ভালো লাগল!মায়েদের তুলনা নেই।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২৮ | 61.95.144.122
করছেই তো। অটোয় সামনে ডানদিকে বসা বেআইনী - যে চড়ায় আর যে চড়ে, দুজনেই দোষী। সেম ফর টু-স্ট্রোক অটো - কলকাতা পুলিশের এরিয়ায়। অ্যাণ্ড সেম ফর বেআইনী শাট্ল্স।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২৬ | 61.95.144.122
নেতাই - আড়াই ফুট।
Arya | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২৬ | 125.16.82.195
তাহলে তো যারা চড়ছে, প্রাইভেট নম্বর প্লেট দেখে, তারাও বেআইনী কাজ করছে। তাই না। তবে এর একটা ভাল দিক ও আছে, পলুশান কম হবে যদি সবাই গাড়ী না বার করে শেয়ার করে।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২৪ | 61.95.144.122
হ্যাঁ, ওদেশে হয় জানি - সম্ভবতঃ আইনে সেই প্রভিশন আছে। তবে আইন ছাড়াও এটা আমার নিজের কেমন একটা লাগতো/লাগে বলে কখনো করিনি। নিউক্যাসল ইউনিতে নিয়ম ছিলো অফিসিয়াল কাজে নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে মাইলেজ হিসেব করে তেলের খরচ দিত - এক দুবার সেটা করে হিসেব করে দেখেছিলাম ট্রেনে গেলে সস্তা হয়, তাই আর গাড়ি নিয়ে যাইনি কখনো।
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২২ | 203.83.248.37
কারপুলও একধরণের কমার্সিয়ালাইজেশন।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২০ | 61.95.144.122
নিজেরা নিজেরা কারপুল করলে কি হয় জানি না। তবে প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশনের গাড়ি ভাড়া খাটানো যায় না। এই লিফ্ট দিয়ে পয়সা নেওয়াটা কিন্তু ভাড়া খাটানোই।
বাই দ্য ওয়ে - শনিবার একটা টিকিট খেলাম। গোলপার্কে সিগন্যালে পৌঁছনোমাত্র হলুদ হল, থামা সম্ভব নয় বলে পেরিয়ে গেলাম, পুলিশে আটকে দিলো। লাইসেন্স নিয়ে একটা লম্বা কাগজ দিলো, বল্ল গড়িয়াহাট ব্রীজের নীচের আপিসে ফাইন দিতে হবে। ঘন্টাখানেক পর ফেরার সময় ফাইন দিতে সাথে সাথে লাইসেন্স ফেরত দিলো।
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১৭ | 203.83.248.37
তুলনা দিচ্ছি। আমি স্যান হোজে থেকে স্যান ফ্র্যান্সিসকো যাব। অফিসের কো-ওয়ার্কার যাচ্ছে। আমাকে জিগেস করল, রাইড নেবে? আমি বললাম হ্যাঁ। স্যান ফ্র্যানসিসকো পৌঁছে টোল ও গ্যাসের দাম বাবদ আমার টাকা দশেক অফার করা দস্তুর।
byaang | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১৭ | 122.172.9.151
কাতারে কাতারে লোক ঢুকছে, বেশির ভাগই ইন্ডিয়ার জার্সি পরে। অনেককে আবার দেখলাম ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাগ দিয়ে জোব্বা বানিয়ে পরেছে, মাথায় তেরঙা পাগড়ি। বসতে না বসতেই কোলকাতা থেকে মাতৃদেবীর ফোন, বেশি সামনে যেন না বসি, পিছনদিকের কোনো কোনায় শেডের নীচে যেন বসি, খবরে নাকি দেখিয়েছে লুরুতে বৃষ্টি হতে পারে। দাঁতে দাঁত চেপে বললুম - ""শুকনো খটখট করছে চারিদিক, কটকট করছে রোদ্দুর।'' অম্নি উপদেশ এল - ""তাহলে তো রোদ্দুর লেগে সর্দিগর্মি হবে, ভুলে যাস না ছেলেটার পরীক্ষা চলছে, ছায়া দেখে বস একদম পিছনদিকে''। উফ্ফ।।।।।
এদিকে ঋভুর সঙ্গে ভাব জমিয়ে নিয়েছেন সামনের সারির এক ভদ্রলোক। গোমড়ামুখো ঋভুকে তিনি বললেন - এরকম মুখ দেখলে তো তেন্ডুলকর সেঞ্চুরি মিস করে ফেলবে। স্ক্রীনে তখন দুই দলে কে কে খেলবে তাদের ছবি, নাম, রেকর্ড ইত্যাদি দেখাচ্ছে। ""ঋভু, ঐ দ্যাখ জুবরাজ সিং খেলেছে আজকে''। ""মা, আস্তে বল। ওটা ইউভরাজ সিং, তুমি সবসময় জুবরাজ বল!''
কিছুক্ষণ বাদে আবার উত্তেজিত হয়ে ""পীযুষ চাওলাও খেলবে আজকে'' ""আবার আবার তুমি ওরম করে বলছো? বল পীয়ুষ চাভলা''
এমন সময়ে হইহই করে হলুদ রঙের জার্সি পরে জনা তিরিশেক পুরুষমহিলা ঢুকলেন বিভিন্ন বয়সের (পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ) । তাদের জার্সিতে লেখা আইসিডি। আমি ভাবছি আইসিডি আবার কোন কম্প্যানী রে বাবা! এদিকে আইসিডিরা মাঠে ঢুকেই অলরেডি যারা সীটে বসে আছেন তাদের তুলে দিতে চেষ্টা করছেন, নিজেরা পাশাপাশি তিরিশজন বসবেন বলে। আমার সামনের রোয়ের লোকজনদের যেই না বলা উঠে যেতে, আমি পিছনের রো থেকে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে উঠেছি - ""না আমরা কেউ এখান থেকে নড়বো না, ওনারা অনেক আগে থেকে এসে এখানে বসেছেন, তোমাদের কথাতে উঠবেনই বা কেন?''
আইসিডিরা জানালেন - ""আন্টি, আমরা তো উঠে যেতে বলি নি, শুধু উঠে যেতে অনুরোধ করেছি মাত্র। আমরা তিরিশজন আছি, একসঙ্গে বসে ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।''
""তাই নাকি, মাত্র তিরিশজন! রোসো, আমি তিনশোজনকে নিয়ে আসছি, তারপরে তোমাদের তুলে দেব, আমরা তিনশোজন পাশাপাশি বসে ম্যাচ দেখতে চাই বলে। তোমাদের অনুরোধের উত্তর পেয়ে গেছ নিশ্চয়ই''
আইসিডিরা আমার অমন রুদ্রমূর্তি দেখে সাময়িকভাবে পিছু হটলেন, মুখে তাদের গুরগাঁও-দিল্লির বুলি (গালি)। স্থানীয় লোকেরা ভারি খুশি আমার অমন পারফরম্যান্সে। একজন এসে অভিনন্দন জানালেন ""ম্যাডাম, ইউ টট দেম আ গুড লেসন''। আরেকজন কন্নড়মেশা হিন্দি-ইংরেজিতে ""কারেক্ট, ম্যাডাম। ইয়ে নর্থ ইন্ডিয়ান আইটিওয়ালাজ ব্যাঙ্গালোর সিটিকো খারাপ করতা হ্যায়। কচড়া বোলতা হ্যায়''
এদিকে আইসিডিরা নতুন পন্থা নিয়েছেন, প্যাঁটরা প্যাঁটরা আইসিডি লেখা হলুদ টিশার্ট বিলি করতে শুরু করেছেন গ্যালারিতে। যারাই লোভে পড়ে হাত পাতছেন, তাদের অম্নি টিশার্ট দিয়ে দিচ্ছেন বিনামূল্যে। কিছুক্ষণ বাদেই ""আঙ্কল থোড়া শিফ্ট হো জাইয়ে, টিশার্ট মিলা না? আব থোড়া কম্প্রোমাইজ করনা ভি সিখো''
এবারে ভালো করে এদের টিশার্ট নজর করে দেখি, এরা একটি ফ্যান ক্লাবের সদস্য, পুরো নাম ইন্ডিয়া ক্রিকেট ডান্ডি।
Netai | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১৬ | 121.241.98.225
কাল ইয়ান বেলের বেলের বিপক্ষে করা লেগ বিফোরের আপিল। বিলি বাউডেন নাকচ করল। যুব্রাজ রিভিউ তে গেল। হক আই পরিস্কার দেখাল বল মিডল লেগ এ লাগছে। তাও অরিজিনাল ডিসিসন বহাল রইল। আমি বুঝতে পারিনি কেন।
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১৫ | 203.83.248.37
অ, সেই লাইসেন্সরাজ! বজ্র-আঁটুনি ফসকা-গেরো।
তো কারপুল করাও বেআইনি তা'লে!
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১৩ | 61.95.144.122
মাইরি বলছি ন্যাড়াদার প্রশ্নটা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১০ | 61.95.144.122
হলুদ নাম্বারপ্লেটওয়ালা গাড়িই একমাত্র কমার্শিয়ালি ব্যবহার করা যায়।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:১০ | 61.95.144.122
সরি - রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশনের কাগজেই লেখা থাকে।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:০৯ | 61.95.144.122
প্রাইভেট গাড়িতে লিফ্ট দিয়ে পয়সা নেওয়া বেআইনী। প্রাইভেট গাড়ির লাইসেন্স আর কমার্শিয়াল লাইসেন্সে আলাদা। কাজেই এটা করাপশন ছাড়া আর কিছুই নয়।
Bratin | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:০৭ | 122.248.183.1
কোরাপশনের সম্পর্ক নেই।শুধু নিজের গাড়ি ভাড়া খাটিয়ে এই ১০/১৫ টাকা রোজগার টা চোখে লাগে।
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:০৫ | 203.83.248.37
ধরে নিচ্ছি এটা তাদের নিজেদের গাড়ি।
nyara | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:০৪ | 203.83.248.37
সুট-বুট পরা-বা-না-পরা লোক গাড়িতে কাউকে পৌঁছে দিয়ে পয়সা দিলে অসুবিধেটা কোথায়? এটার সঙ্গে কোরাপশনেরই বা সম্পর্ক কী?
Bratin | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:০১ | 122.248.183.1
অরিজিতের কথা একদম ঠিক। আমি ও এরকম স্যুট বুট পরিহিত লোক কে গাড়িতে ৩/৪ লোক তুলতে দেখেছি।
একদম ঠিক আমি একদিন সিংহবাড়ি থেকে লাল ওয়াগনার করে অফিসে এসেছি ভদ্রলোক দামী ব্লেজার পরেছিলেন...২৫ টাকা চাইল, ৩০টাকা দিলাম(খুচরো ছিলনা ৫টাঃ) মাইরী দাঁত বের করে বল্লো--পাঁচটাকা খুচরো নেই...
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:৫৭ | 61.95.144.122
TOI আপডেট অনুযায়ী পোনব্বাবু ইন্দ্রকে ডাকাডাকি করছেন।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:৫৫ | 61.95.144.122
না, ওদের মধ্যে একটা অংশ আবার আছে যারা স্যুট বুট পরে হাইটেক্ আপিসে কাজ করতে যায়, যাওয়ার সময় চারজনকে লিফ্ট দিয়ে পয়সা নেয় (মাইরি নিজে দেখেছি), আর আপিসে ঢুকে করাপশনকে খিস্তি দেয় (এটা অ্যাজাম্পশন অবশ্য, তবে ৯৭% প্রোব্যাবিলিটি)...
সে যাক, এই স্পিসিজগুলো সবসময় থাকবে।
কিন্তু ইদানিং এই সব হুকুম দেখে আমার হীরক রাজার দেশে-র সেই লোকজনকে ঠেলে শামিয়ানার মধ্যে পুরে দেওয়ার সীনটা মনে পড়ছে।
ওরাই তো গণশক্তি আর জাগোবাংলা কে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাই পুলিশ ও ওদের স্বার্থ দেখে...
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:৩২ | 61.95.144.122
মন্ত্রী আসছেন, তাই রাস্তার দুপাশ পোস্কার হবে। কিভাবে? না ডেজিগনেটেড অফিসিয়াল পেইড পার্কিং এরিয়া থেকে গাড়ি সরাতে হবে। কোথায়? তার আমরা কি জানি। নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বলেছে সরাতে হবে, তো সরাতে হবে। নইলে গাড়ি টো করে (পড়ুন বাম্পার ভেঙে) নিয়ে যাওয়া হবে। -- পুলিশের বক্তব্য।
অথচ, প্রতিদিন আরডিবির আশেপাশের রাস্তায় বেআইনী ভাবে গাড়ি পার্ক করা থাকে। বেআইনী শাট্ল আর প্রাইভেট গাড়িকে শাট্ল হিসেবে ব্যবহার করা তো বাদই দিলাম।
siki | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:২৬ | 123.242.248.130
বাজেটের হাইলাইটস কোথাও পাওয়া যাচ্ছে?
sayan | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:২৪ | 98.225.200.39
ব্যাঙদি'র ঋভু-সংবাদ পড়ার জন্য উৎসুক হয়ে রইলাম। ঃ-)
কালকের টাই রিলায়্যান্স কাপ (নাকি প্রুডেন্সিয়াল! না বেনসন অ্যান্ড হেজেস!!) কোয়ার্টার ফাইন্যালে ইংল্যান্ডের হাতে ভারতের হার মনে পড়িয়ে দিল। ইয়ান বথাম'এর সেই নাচ, রবিন স্মিথ'এর কভার ড্রাইভ, ডেভিড গাওয়ারের রাজসিক ব্যাটিং, গুন্ডা গ্যাটিং, ফিলিপ টাফনেল, রিচার্ড স্নেইল, গ্ল্যাডস্টোন স্মল ... নাহ্ বুঢ়াপা নকিং অন দ্য ডোর!
ও ব্যাঙদি, তুমি বরং গ্যালারির কথাই লেখো।
byaang | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:২৩ | 122.172.9.151
ম্যাচ শুরু ছিল আড়াইটেতে। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার সকাল সাড়ে আটটায় হাজির আমাদের তক্ষুনি মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার তখনও প্রায় কোনো কাজই সারা হয় নি। কোনো মতে ছেলেকে দু মুঠো গিলিয়ে, ছেলের আর আমার চান সারা হতে হতেই দশটা বাজে। বেরিয়ে পড়লাম। সাড়ে দশটায় মাঠে পৌঁছে দেখি বিশাল লম্বা লাইন। যাই হোক আমাদের এন স্ট্যান্ডের টিকিট ছিল, সেখানে অত লম্বা লাইন ছিল না। মাঠে ঢোকার মুখে বিতিকিচ্ছিরি ঝামেলা - আমি নাকি ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে পারবো না, আর ওদিকে তিনটে লোক ঋভুকে নিয়ে টানাটানি। একজন ঋভুর হাতে বিশাল পতাকা ধরিয়ে দিয়ে আমার থেকে একশো টাকা চাইছে, আরেকজন ঋভুর এক গালে পোস্টার কালার দিয়ে তেরঙা স্ট্রাইপ এঁকে দিয়ে তিরিশ টাকা চাইছে। পার গাল রেট নাকি তিরিশ টাকা, দুই গাল আঁকালে দশ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে পঞ্চাশ টাকা। তিন নম্বর লোকটা ঋভুর অন্য গালে আঁকার জন্য দুই নম্বর লোকটার সঙ্গে ঝগড়া করছে। মাঝখানে ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া ঋভু। ছেলেকে উদ্ধার করে তাদের পাওনা মিটিয়ে গেটের পুলিশগুলোকে হুমকি দিলাম, "এই নিন আমার ব্যাগ, এর ভেতরে টাকাপয়সা, ক্রেডিটকার্ড, প্যানকার্ড, বাড়ির চাবি সব রয়েছে, আর এই নিন আমার ঠিকানা, ব্যাগটা আমার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আর আমাদের বাড়ি ফেরার অটোভাড়াও দিন"। এইসব বলে চেঁচামেচি করতে না করতেই একজন বললেন - ""মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ অ্যালাওড, তবে ভিতরে কোনো খাদ্যদ্রব্য থাকলে দয়া করে বার করে দিন।'' সাধে আমি বলি লুরুর পুলিশরা হল গিয়ে দেশের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট, শান্তিপ্রিয় (মতান্তরে ভীতু) পুলিশ! আমার ব্যাগ ঘেঁটে বেরোলো শুকনো আমলকী, তিন চারটে ফাইভ স্টার আর ডেয়ারি মিল্ক চকোলেট, এক বোতল গ্যাটোরেড পানীয়। পুলিশরা কাঁচুমাঁচু মুখে "ম্যাডাম প্লিজ' শুরু করতেই আমি হেব্বি ঘ্যাম নিয়ে বললাম - হ্যাঁ হ্যাঁ এগুলো সব রেখে দিন, আমার দরকার নেই। ছেলেকে নিয়ে স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি, তখনি প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে বেশির ভাগ সিট। আমরা বসার জায়গা পেলাম, টিভি ক্যামেরার বক্সের ঠিক পাশে। এক সাদা সাহেব আর এক কালো সাহেব বিশাল বিশাল ক্যামেরা আর যন্ত্রপাতি নিয়ে তাক করে বসে আছেন। আমি ভাবলুম ভালো জায়গা পাওয়া গেছে, এখান থেকেই সবচেয়ে ভালো ভিউ পাওয়া যাবে। খেলা শুরু হওয়ার পরে বুঝলাম এরকম জায়গা বেছে নেওয়াটা কতটা ভুল কাজ হয়েছিলো!
siki | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:১৯ | 123.242.248.130
কাল ফর আ চেঞ্জ আমিও লাস্ট কয়েক ওভার দেখলাম। ভারত একটা জেতা ম্যাচকে টাই করল, আর ইংল্যান্ড একটা হারা ম্যাচকে টাই করল।
মেয়ে কালকের পর থেকে আরো বেশিমাত্রায় ব্রিটিশবিদ্বেষী হয়ে গেছে। :(
ক্রিকেট মাঠে গ্যালারির খেলাই তো সেরা... সেই যে, ইডেনে শুনতাম ঐ দেখ সেনসেক্স বাড়াতে এবার ইমরাণ ছুটবে... ঃ)
byaang | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:৫১ | 122.172.9.151
ম্যাচ টাই হয়ে যাওয়ার পরে ঋভুর সে কি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না! আর বেশ কিছু অপরিচিত মানুষ ঋভুকে জড়িয়ে ধরে বিভিন্ন ভাষায় সান্ত্বনা দিতে লাগলেন। সবচেয়ে মজার সান্ত্বনা/উৎসাহ এল দুই ইংরেজ সাহেবের থেকে। তাঁরা ঋভুকে ইংল্যান্ড যেতে বললেন ম্যাচ দেখতে, সেখানে নাকি ইংল্যান্ড ইচ্ছে করে হেরে গিয়ে ইন্ডিয়াকে জিতিয়ে দেবে ঋভুকে খুশি করার জন্য। এদিকে রোজ ঝাঁসীর রাণী সিরিয়াল দেখে দেখে ঋভু একটি পাক্কা ইংরেজবিদ্বেষী হয়ে উঠছিলো, কিন্তু কাল সাহেবদের সহৃদয় ব্যবহারে সে চমৎকৃত। ঃ-))
তোমরা খেলার কাঁটাছেঁড়া কর, আমি খেলাটার কিছুই বুঝি না, আমি বরং সারাদিনে যখনই সময় পাব, এসে গ্যালারির গল্প লিখে যাব।
Arijit | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:৪৭ | 61.95.144.122
হুঁ।
আমি বহু বহু দিন পর (২০০৩-এর পর) খেলা দেখছিলুম - তাও পুরোটা দেখা গেলো না। কাঁধ ঝুলে যাচ্ছে, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নেই, শুরুর দিকে ভাবটা ছিলো জিতেই তো গেছি খেলে কি হবে, আর কিছুক্ষণ পর হেরেই তো গেছি খেলে কি হবে। এচ্চেয়ে পুঁচকে টিমগুলোর মধ্যে প্যাশন বেশি - হারানোর কিছু নেই বলেই হয়তো।
যেমন কালকের বার্মিংহ্যাম।
Bratin | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:৪৪ | 122.248.183.1
/৩৩৮
Bratin | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:৪৩ | 122.248.183.1
৩৩৪ রান ডিফেন্ড করতে না পারলে লোকে বোলিং কেই দোষ দেবে !! ঃ-))
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন