এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর - শীর্ষ আদালতের শুনানি - তৃতীয় দিন - সেপ্টেম্বর ৩০ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৭৫ বার পঠিত
  • আগের দিনের শুনানিঃ  https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=31100

    আজকের শুনানির দুটো কৌতুহলোদ্দীপক জায়গা। এক, গত তিনটি শুনানি ধরে সিসিটিভি সাতাশ মিনিটের নাকি পুরো আছে, এ নিয়ে প্রচুর জল্পনা শুনেছি। আজ সেটা ভ্যানিশ। আশা করি বিভ্রান্তি মিটেছে, কিন্তু পাবলিককে জানানোর কোনো প্রয়োজন কেউ বোধ করেননি। দুই, জুনিয়ার ডাক্তারদের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার সারাক্ষণ বলে গেলেন জু-ডা রা সমস্ত এসেনশিয়াল সার্ভিস পালন করছেন (যার মধ্যে আইপিডি এবং ওপিডি অন্তর্ভুক্ত)। এটা কি ডাক্তাররা জানেন? নাকি জেনে বুঝেই এইরকম কৌশল নেওয়া হয়েছে। 
     
    যা হোক, এই হল আজকের মোটামুটি অনুলিপি। হুবহু শব্দ ধরে ধরে নেই। মোটামুটি ভাবানুবাদ আছে। কানে শুনতে শুনতে লেখা। ফলে একটু আধতু ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। 

     
    ---------------
    বিচারকঃ আমরা শুরু করব পাঁচ মিনিট পরে। 
    তুষারঃ পরিবর্তে পরে একদিন কি হতে পারে? 
    বিচারকঃ না, আজই শুনব, বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। 

    পাঁচ মিনিট পরে শুরু হয়।
    বৃন্দাঃ নির্যাতিতার ছবি, ভিডিও,  ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হচ্ছে, যেটা খুবই সমস্যাজনক।
    করুণাঃ রিলও. হিন্দি গানের সঙ্গে বেরোচ্ছে। 
    তুষারঃ আদালত ইতিমধ্যেই সাধারণ নির্দেশিকা দিয়েছে, আবার বলার প্রয়োজন নেই। এট রাজ্যের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের বললে আমরাও দেখব। 
    বিচারকঃ আমরা আদেশ দিয়েছি। এবার রাজ্য সরকার দেখুক। 
    রাজ্যঃ আমরা দেখব। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্তরেও দেখতে হবে।
    আইনজীবীঃ  পুলিশের আধিকারিক, যাঁকে বদলি করা হয়েছিল, তিনি প্রেস কনফারেন্সে নিজেই নাম ফাঁস করেছেন। 
    ইন্দিরাঃ   আরজিকর ঘটন নিয়ে কালকে একট সিনেমাও বেরোবে। ইউটিউবে। সকলেরই কথা বলার অধিকার আছে। কিন্তু এটা কি তদন্ত  প্রক্রিয়ায় ছাপ ফেলবেনা? দ্বিতীয়ত, কীভাবে দেখানো হবে নির্যাতিতা কে। 
    বিচারকঃ যদি একটা সিনেমা রিলিজ করে এবং আপনি সেটা থামাতে চান, তাহলে আপনাকে আলাদা আইনী প্রক্রিয়ায় ঢুকতে হবে। 
    ইন্দিরাঃ  আমি শুধু বলছি, যদি ভারত রাষ্ট্রের কোনো এক নোডাল অফিসার থাকেন, তাহলে আমরা যোগাযোগ করতে পারি। তারপর তাঁর ব্যবস্থা নেবেন। 
    বিচারকঃ সলিসিটার আপনি এক নোডাল অফিসারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। 
    তুষারঃ হয়ে যাবে। 
    করুণাঃ নির্দেশে একটা লাইন যোগ করলে ভালো হয়। 
    বিচারকঃ আগেই দিয়েছি তো। 
    করুণাঃ সেট শুধু উইকিপিডিয়া নিয়ে।
    বিচারক এই ব্যাপার নির্দেশ দেন। যাতে সামাজিক মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করা ইত্যাদি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
    আইনজীবীঃ মন্ত্রক একটা গাইডলাইন দিক। 
    তুষারঃ ইতিমধ্যেই আছে। 
    বিচারকঃ যদি কোনো খামতি থাকে, আমাদের জানান। 
    ইন্দিরাঃ এই নির্দেশটাকে বিরাটভাবে ছড়াতে আদেশ দিন রেজিস্ট্রারকে।
    তুষারঃ দরকার নেই। এমনিই যথেষ্ট ছড়াবে। আরও বেশি হলে, হয়তো শেষমেশ মেয়েটিকে ডিফেমই করা হবে।  
    বিচারকঃ এবার আমরা পরের বিষয়ে আসি। 
    আইনজীবীঃ আমার একটাই কথা আছে। পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো এফ আই আর হয়নি। উনি নাম প্রকাশ করে দেন হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়।
     

    বিরতি। 

    তুষারঃ পাতা ৯।
    বিচারকঃ  সিবিআই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ লিড এসেছে।  তারা একটা বিশদ স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছে। এবং এখন কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। সিবিআইকে নিজের কাজ করতে দেওয়া হোক। তারা খুন ধর্ষণ এবং অর্থনৈতিক গোলমাল দুটো নিয়েই রিপোর্ট দিয়েছে। মিস্টার সলিসিটর একটা কথা বলুন, মৃতার আঘাত বেড়েছিল কারণ তিনি ব্রেস আর চশমা পরে ছিলেন। যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন কি আক্রমণ হয়েছিল? ওই সময় চশমা  পরে ছিলেন কীকরে? 
    ফিরোজঃ চশমা ভাঙা ছিল। পাশে পড়ে ছিল। ম্যাট্রেসে পাওয়া গেছে। 
    তুষারঃ হয়তো ক্লান্তিতে চশমা খোলেননি। শুতে যাবার সময়। 

    ফিরোজঃ সিবিআই কি আইপিডিআর রিপোর্ট জমা করেছে?  কারণ এটা সবকিছু বদলে দিতে পারে। এটাকে বলে ইন্টারনেট প্রটোকল ডিটেল রিপোর্ট। যেটা দেখাবে, অভিযুক্ত, মৃতা এঁদের ফোনে কী ট্রাফিক যাতায়াত করেছে। 
    বিচারকঃ অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ? 
    ফিরোজঃ সব কিছুই হতে পারে। সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়। 
    তুষারঃ আমরা সংগ্রহ করেছি। 
    ফিরোজঃ সংগ্রহ করা নয়। আমি রিপোর্টটা চাই। 
    বিচারকঃ এখন শুধু এইটুকু বলা যাক, যে, সিবিআই ওটা সংগ্রহ করেছে। এখন তদন্ত করছে।
    ফিরোজঃ দ্বিতীয় যে বিষয়টা। আমি জানিনা ওঁরা দেবাশিস সোমকে জেরা করেছেন কিনা। তিনিই প্রধান ব্যক্তি। তিনিই প্রথমে পরীক্ষা করেন। তারপর হাসপাতালে ভর্তি হন। ১২ তারিখে রিলিজ করা হয় সেখান থেকে। তিনি ফরেনসিকের প্রধান ব্যক্তি। যদি ফরেনসিকে কোনো কারচুপির চেষ্টা হয়ে থাকে। তিনি নর্থ বেঙ্গল লবির অংশ। 
    তুষারঃ জেরা করা হয়েছে। 
    ফিরোজঃ ১২ তারিখের আগে। তারপর তিনি হাসপাতালে চলে যান। খবরের কাগজ তাই বলছে। 
    বিচারকঃ উনি কি কলকাতা পুলিশের? 
    ফিরোজঃ না, আরজিকরের ডাক্তার। ফরেনসিক। মলয় ব্যানার্জি না চ্যাটার্জি, তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ। 
    বিচারকঃ রিপোর্টে দেখান তো। 
    তুষারঃ  এই যে এইখানে আছে। ওঁকে জেরা করা হয় হাসপাতালে যাবার আগে। এর বেশি আর কিছু বলবনা এই মুহূর্তে।
    ফিরোজঃ রিপোর্ট কি চন্দন সেনের ব্যাপারে কিছু বলছে? ব্যাপারটা জরুরি, কারণ, এই চন্দন সেন রানাঘাট মিউনিসিপ্যাল হসপিটালের। তিনি ২০০৩ সালে খুন হন। একই রকম ঘটনা। চক্রটা কি? জাল ওষুধের। একটা বাংলাদেশী যোগও ছিল, যেরকম রিপোর্ট ছিল সেই সময়। আরজিকরেও খুন এবং একটা বাংলাদেশী যোগ। জৈব বর্জ্য পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশে। 
    তুষারঃ কোর্টে এইসব বলার থেকে লিখিত কিছু দিন। 
    বিচারকঃ আমরা ইতিমধ্যেও অনুমতি দিয়েছি, যে, যে কেউ, যদি চান ..
    তুষারঃ সিল করা খামে দেবেন, ওইভাবেই পাঠিয়ে দেব। এইভাবে জোরে জোরে এইগুলো বলা ঠিক না। 

    এরপর একটা ছোট্টো বিরতি। 

    ফিরোজঃ কলকাতা আজ জ্বলছে কেন? কারণ ২১ বছর আগে ওই চন্দন সেনের খুনে অভিযুক্তরা নিচের কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলেও উপরের কোর্টে ছাড়া পেয়ে যায়। কলকাতার পুরোনো লোকজনের সেইসব কথা মনে পড়ছে। 
    ইন্দিরাঃ আমি আগের দিন কিছু নাম দেব বলেছিলাম। যারা ক্রাইম সিনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষের আমন্ত্রণে। তাদের কলেজে কিছুই করার ছিলনা। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই উপস্থিত হন। 
    বিচারকঃ সাতটা নাম? 
    ইন্দিরাঃ আমার কাছে চারটে নাম আছে। সাতটা নয়। 
    বিচারকঃ সিবিআই রিপোর্টে যাদের নাম আছে? 
    ইন্দিরাঃ তাদের পদাধিকার সহ দিয়েছি। কেউ কেউ মেডিকাল কাউন্সিলের। সেই জন্যই আমরা বলছি এটা শুধু একটা সাধারণ খুন ধর্ষণের মামলা নয়। আরও অনেক কিছু ঘটেছে। 
    বিচারকঃ এই মুহূর্তে এইটুকুই বলার আছে, যে, সিবিআয়ের রিপোর্ট নির্দিষ্ট করে এই বিষয়টা উত্থাপন করেছে। এখানেই ছেড়ে দিন। 
    ইন্দিরাঃ আমি খোলা কোর্টে নামগুলো বলিনি। দুটো নাম সলিসিটর জেনারালকে দিয়েছি। বাকি দুটো বন্ধ খামে দেব। 
    বিচারকঃ ছয়ের পাতায় নয় নম্বরে। 
    তুষারঃ ছয় আর সাত। এই এই লোক, এখানে এখানে এখানে, যা জয়সিং বলছেন। 
    করুণাঃ আরেকটা কথা। আমাকে বলা হয়েছে, এর মধ্যে অনেকেই সিবিআই এর অনুসন্ধানে আছেন। এঁরা এখনও ক্ষমতার অধিকারী। আজকের দিনেও। এটাই থ্রেট কালচার, থ্রেট কালচারের এনেবলিং। প্রাইমা ফেসির ভিত্তিতে এঁদের সকলকেই সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা যেতে পারে, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে। 
    ইন্দিরাঃ আমরাও এই আবেদনই করেছি। এখন ক্রমাগত বলা হচ্ছে, ডাক্তাররা কাজে যাচ্ছেন না। প্রথম কথা হল, রাজ্য সরকার তার চিঠিতে স্বীকার করেছে, যে, সবাই কাজে ফিরে গেছেন। এইটা রেকর্ড করা হোক। 
    তুষার আপত্তি করেন। কী বলেন শোনা যায়নি। 
    ইন্দিরাঃ না, মিস্টার মেহতা, বিষয়টা সংযুক্ত। আমি ব্যাখ্যা করছি, কেন ৫১ দিন সময় লাগল কাজে ফিরে যেতে। আমি আগেরদিন বলেছিলাম, ডাক্তাররা জিবি করে কাজে ফিরে যাবে। আমি সেই দায় থেকে মুক্ত হতে চাইছি, এই কথাটা বলে, যে, তারা সবাই কাজে যোগ দিয়েছে এবং রাজ্য সেটা মেনে নিয়েছে। কাজেই ওই বিষয়টা এখন শেষ। দ্বিতীয়ত, আমরা বলেছি, যে সাতজনকে সিবিআই তদন্তের আওতায় রেখেছে, তারা এখনও আরজিকরেই কাজ করছে। আমরা শুধু অনুরোধ করছি সাময়িক সাসপেনশন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত। যাতে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই, যে, তারা আমাদের টার্গেট করবেনা। আমি জানি, আমি বলেছি, আমাদের টার্গেট করা হচ্ছেনা। আমি বলেছি কথাটা। কিন্তু সেই কলেজে সেই লোকেরা এখনও ক্ষমতায়, তারপর ডাক্তাররা কীকরে কাজ করবে? তাই শুধু এঁদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে। আমি জানি শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না, যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সাসপেন্ড তো করা যেতে পারে। 
    তুষারঃ আমরা এই ব্যাপারে রিপোর্টে রেখেছি। স্পষ্ট করে না হলেও ইঙ্গিত আছে। অমুক অমুক, অমুক অমুকের সদস্য, তাঁরা দাবী করেছেন, তাঁরা জুডা দের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু জুডারা বলছেন, যে এঁরা, প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। আরও তদন্ত প্রয়োজন।
    ইন্দিরাঃ না না, প্রতিবাদের কথা বাদ দিন।
    করুণাঃ এটা শুধু আরজিকরের ব্যাপার না। ক্ষমতার আসনে যাঁরা আছেন, পরীক্ষা টেন্ডার মেডিকাল কাউন্সিল, সর্বত্র। 
    বিচারকঃ সলিসিটর। পরের দিন, একটু জানান। যেকোনো লোক, ভুলে যান তাঁরা আদৌ কোনো ষড়যন্ত্রে যুক্ত কিনা, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা বাদ দিন, যেকোনো লোক যাঁদের নিয়ে অর্থনৈতিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে, সেটা একটু জানান। 
    ইন্দিরাঃ খুন অথবা দুর্নীতি। 
    তুষারঃ কোনো একটা, বা দুটোই। 
    রাজ্যঃ সিবিআই আমাদের জানাক, কারা সেই লোক এবং আমরা ব্যবস্থা নেব। 
    ইন্দিরাঃ আমরা নাম দেব। 
    বিচারকঃ সলিসিটর, শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া রাজ্যেরই হাতে। কোনো তথ্য ছাড়া ওই নিয়ে কোনো নির্দেশ দেওবার মানে হল কর্তৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেওয়া। তাই এই মুহূর্তে যেটা দরকার, সেটা হল তাদেরকে তথ্য দেওয়া। কারণ, ধরুন তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে চায়, তার বিরুদ্ধে একটা পিটিশন হয়, তখন প্রথম প্রশ্ন হবে, কীসের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা। দ্বিতীয়ত, অবশ্যই সম্ভাব্য তদন্ত আন্দাজ করে কিছু  ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতেও হাতে কিছু থাকতে হবে। রাজ্য, আপনারা কোনো ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন কি? 
    রাজ্যঃ পাঁচজন ডাক্তারের কথা বলা হয়েছে। তাঁরা সাসপেন্ডেড। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যখনই সিবিআই জানাবে, কেউ অভিযুক্ত, কারণ তদন্ত তো অনেক বড়। 
    বিচারকঃ এই পাঁচজন কে? 
    ফিরোজঃ পোস্টমর্টেমের কর্তাই হলেন থ্রেট কালচারের মাথা। 
    ইন্দিরাঃ আরও অনেক আছে। আমরা রাজ্যকে নাম দিতেই পারি। অন্তত ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে তো। নইলে বারবার আমাদের বলা হবে, তোমরা প্রতিবাদ করছ, কাজে যাচ্ছনা। আমরা ওদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, ওরা কাজে ফিরে গেছে। কিন্তু যেজন্য আমি এই কথাটা বলছি, সেটা হল, আমি আবার কোর্টে ফিরে এসে বলতে চাইনা, আবার ব্যাপারটা শুরু হয়েছে। ওদের ছুটিতে পাঠানো হোক। আমি নাম দিতে পারি। 
    রাজ্যঃ সিবিআইকে নাম দিন। 
    করুণাঃ আমিও নাম দেব। 
    ইন্দিরাঃ চিফ জাস্টিস বলছেন, নাম রাজ্যকে দেবার কথা। 
    জনৈক আইনজীবী আন্তরাজ্য মাফিয়ার কথা তোলেন। বিচারক বলেন এটা এই মুহূর্তের ফোকাস না। ওটা পরে হবে। সলিসিটরকে একবার দেখতেও বলেন। 
    ইন্দিরাঃ আমার কাছে নাম আছে, কিন্তু নাম প্রকাশ্যে বলছিনা, কারণ আমরা খুবই সতর্ক। 
    রাজ্যঃ না, বিভিন্ন ডাক্তার এবং তাদের সংগঠন নিজেদের ক্ষোভের কারণে নানা নাম বলছেন, স্রেফ এই জন্যই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তাররা যখন দেখা করেন, তাঁরা পুলিশ কমিশনার ইত্যাদিদের ট্রান্সফারের অনুরোধ করেন। তাঁদের সবাইকেই ট্রান্সফার করা হয়েছে। 
    করুণাঃ পদত্যাগ চাওয়া হয়েছিল। 
    রাজ্যঃ পদত্যাগ, সরিয়ে দেওয়া, ট্রান্সফার- এইটাই মূল সমস্যা। 
    বিচারকঃ এটা তো একটা চ্যালেঞ্জ। আদৌ দাঁড়ায়? ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়েছে। 
    ইন্দিরাঃ এরকম কোনো দাবী করছিনা। শুধু ছুটিতে পাঠান। 
    রাজ্যঃ এই কটাই  নাম দেওয়া হয়েছে। এর পরও সিবিআই যদি জানায়, অমুক অভিযুক্ত, বা অমুককে সরিয়ে দেওয়া দরকার, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো সমস্যা নেই।
    তুষারঃ আমি ওঁদের অনুরোধ করব, আমাকে বন্ধ খামে নাম দিন, আমি সিবিআইকে পাঠিয়ে দেব। 
    ইন্দিরাঃ রাজ্যকে দিতে চাই। 

    বিচারক নির্দেশ দেন। সংক্ষেপে, এখন বিচার চলছে। খুব বেশি কিছু বলা যাবেনা।  খুনের সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক আছে কিনা, সেটাও তদন্তের বিষয়। ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা তাঁদের উদ্বেগ জানিয়েছেন। স্টেটাস রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এসব নিয়েই তদন্ত চলছে। ছুটি বা সাপপেনশন রাজ্য সরকারের ব্যাপার। রাজ্য বলেছে যদি সিবিআই কিছু প্রিলিমিনিনারি জিনিস দেয়, রাজ্য ব্যবস্থা নেবে। 

    বিচারকঃ পরের কথায় আসার আগে এক সেকেন্ড দিন। টয়লেট, সিসিটিভি, নিরাপত্তা, ডিউটি রুম, বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস এইসব নিয়ে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে? 
    রাজ্যঃ এফিডেভিট ফাইল করা হয়েছে। আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে। পাতা ৫ দেখুন। লজিস্টিকাল ডিলে, বন্যা, এইসব কারণে। 
    বিচারকঃ কতগুলো সিসিটিভি বসানো হয়েছে? 
    রাজ্যঃ ২৬% হয়েছে। বাকিগুলো ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিগুলো হয়ে যাবার সম্ভাবনা।
    বিচারকঃ ৫০% এর উপরে তো কিছুই হয়নি। ডিউটি রুম ৪৯%। লাইটিং ৩৩%। সিসিটিভি ২৬%। এত ধীরে কেন? 
    রাজ্যঃ অক্টোবর ১৫র মধ্যে হয়ে যাবে। 
    বিচারকঃ এরা তো বলেছে ৩১ অক্টোবর। আপনি বলছেন ১৫। 
    রাজ্যঃ ওরা ৩১ ই চেয়েছিল। আমিই বলেছি ১৫। তার মধ্যে বেশিরভাগটাই হয়ে যাবে। আরজিকরে টেন্ডার ইত্যাদি হয়েছে। 
    বিচারকঃ এখন আরজি করের প্রিন্সিপাল কে? কাউকে নিয়োগ করা হয়েছে? 
    রাজ্যঃ ডঃ মানস ব্যানার্জি। 
    বিচারকঃ উনি কি বাইরে থেকে এসেছেন? নাকি আরজি করেরই ডাক্তার? 
    রাজ্যঃ চার বছর আগে আরজিকরে ছিলেন। বারাসত মেডিকাল কলেজে ছিলেন। এমএসভিপি ডঃ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জি। 
    বিচারক এই সংক্রান্ত তথ্য নির্দেশে নথিভুক্ত করেন। ৩১ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 
    কয়েকজন আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারক বলেন, প্রতিষ্ঠানকে কোনো কোনো সময় আগে থেকে জানাটাও জরুরি। প্রথমেই সন্দেহ করার মতো কিছু হয়নি। 
    করুণাঃ এখনই সন্দেহজনক কিছু হয়নি। কিছু হলে জানাব। 
    রাজ্যঃ আরজিকরে টেন্ডার হয়ে গেছে। কিন্তু সিবিআই এর ক্লিয়ারেন্স দরকার। 
    তুষারঃ প্রথম পাঁচদিনে  যা করার কথা নয়, সবই করেছে। এখন আরও কিছু দরকার হলে করবে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। 
    বিচারকঃ এটা শুধু ওদের জানিয়ে দিন। 
    রাজ্যঃ সিবিআইই আমাদের আটকেছে, তাই অনুমতি দরকার। নইলে আমরা করে ফেলতাম। 
    ফিরোজঃ চার বছর আগে এই লোকটি যখন আরজিকরে ছিল, তখন বাচ্চা বিক্রির জন্য ইনি দায়ী ছিলেন। হাইকোর্টে সেই বিষয়টা এখনও পেন্ডিং। 
    রাজ্যঃ এসব খুবই অযৌক্তিক। সিবিআইকে তদন্ত করতে দিন। 
    বিচারকঃ আপনি এরকম একটা অভিযোগ স্রেফ ভাসিয়ে দিতে পারেন না। পরের দিন আমাদের কিছু একটা দেখান, যাতে এর ভিত্তি কিছুটা বোঝা যায়। 
    ফিরোজঃ আমার কাছে সাক্ষ্য আছে। ডিএনএ হয়েছিল হাইকোর্টের অর্ডারে। 
    বিচারকঃ রেকর্ডে রাখুন। এরকম করলে তো ...
    রাজ্যঃ উনি এসব কোথা থেকে আনছেন, এটাও জানা দরকার। 
    বৃন্দাঃ উনি কার প্রতিনিধিত্ব করছেন? 
    রাজ্যঃ আমার আরও গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আছে। বলা হচ্ছে, সব ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন। কিন্তু তাঁরা কেবল এমার্জেন্সি ডিউটি করছেন। 
    ইন্দিরাঃ ভ্রান্ত তথ্য। 
    বিচারকঃ ইন্দিরা জয়সিং জানিয়েছেন সমস্ত ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন। 
    রাজ্যঃ ওপিডি আর আইপিডি করছেন না। 
    বিচারকঃ এর উত্তরে জয়সিং বলেছেন, ডাক্তাররা সব ডিউটি পালন করছেন। 
    ইন্দিরাঃ সমস্ত এসেনশিয়াল এবং এমার্জেন্সি সার্ভিস সহ। এই অভিব্যক্তিটা নিয়ে একটু তর্ক আসছে। এসেনশিয়াল সার্ভিস পালন করা হচ্ছে। 
    বিচারকঃ সমস্ত ডিউটি পালন করা হচ্ছে, ঠিক? আপনিই তো বললেন। 
    ইন্দিরাঃ তাঁরা নিজেদের এফিডেভিটে সেই কথাই লিখেছেন।
    রাজ্যঃ ওঁরা বলেছেন, আইপিডি আর ওপিডি নয়। 
    ইন্দিরাঃ এটাই থ্রেট কালচারের অংশ।
    রাজ্যঃ আমি কাউকে অভিযুক্ত করছিনা। ডাক্তাররা যা বলেছেন, তাইই বলছি। 
    বিচারকঃ (ইন্দিরাকে) আমরা তো আপনার কথা রেকর্ড করেছি, যে ডাক্তাররা সব ডিউটি পালন করছেন। এখন সেটা মেনে চলুন। 
    করুণাঃ ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন। এফিডেভিটেই লেখা আছে। 
    ইন্দিরাঃ তাহলে এইসব কোথা থেকে আসছে। 
    বিচারকঃ আপনার বক্তব্য, ডাক্তাররা সব ডিউটি পালন করছেন। 
    রাজ্যঃ করছেনা। 
    ইন্দিরাঃ এরকম চলতে দেওয়া যায়না। ওঁকে বলুন আলাদা একটা আবেদন করতে। 
    বিচারকঃ মিস জয়সিং, আপনি কি এই বয়ানটা দিচ্ছেন, যে, ডাক্তাররা আইপিডি এবং ওপিডির কাজ করছেন? 
    ইন্দিরাঃ হ্যাঁ, এইটা আমার বয়ান। ওঁরা সব এসেনশিয়াল এবং এমার্জেন্সি ডিউটি করছেন। তার মধ্যেই ওপিডি আছে। 
    বিচারকঃ তাহলে ওঁরা সব এসেনশিয়াল সার্ভিস দিচ্ছেন। আমরা এইভাবে রেকর্ড করছি, যে, তার মধ্যে আইপিডি আর ওপিডি আছে।   
    ইন্দিরাঃ সেটা তো এসেনশিয়াল সার্ভিসের অংশ। এটা তো মেডিকাল নাম। 
    বিচারকঃ ঠিক। তার মানে কি, একটা বাচ্চা যদি সাধারণ সমস্যা নিয়ে আসে, তাকে চিকিৎসা করবেন না, কিন্তু গুরুতর রোগির চিকিৎসা করবেন।
    ইন্দিরাঃ না না। ওপিডি এসেনশিয়াল সার্ভিসের মধ্যেই পড়ে। 
    রাজ্যঃ আইপিডি, ওপিডি সহ? 
    ইন্দিরাঃ তারা বলেছে, তারা কাজে ফিরে গেছে। এইরকম করে চলতে থাকলে আমি আরেকটা ধর্মঘটের ঝুঁকি নেব না। 
    বিচারকঃ তাহলে আপনি বলছেন, সমস্ত এসেনশিয়াল কাজ করছেন, আইপিডি আর ওপিডি সহ। 
    ইন্দিরাঃ ওটা তো এসেনশিয়াল সার্ভিসের অংশ। আমি কোনো বিভ্রান্তি চাইনা। 
    বিচারকঃ ( নির্দেশ দেন) নির্দিষ্ট করে বললে, সমস্ত ডাক্তাররা সমস্ত এসেনশিয়াল এবং এমার্জেন্সি কাজ করছেন এবং করবেন, আইপিডি এবং ওপিডি সহ। 
    করুণাঃ এর মধ্যে দুটো আক্রমণ হয়েছে। সাগর দত্তে মব আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ পালিয়ে যায়। 
    বিচারকঃ (রাজ্যকে) আপনারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তো। 
    রাজ্যঃ   একজন রোগি মারা যায়, কারণ তাকে বেড দেওয়া হয়নি। খুব ক্রিটিকাল ছিল। কোনো ডাক্তার অ্যাটেন্ড করেননি। 
    করুণাঃ এই অভিযোগগুলো করা যায়না। 
    বিচারকঃ কার গলায় কত জোর তা দিয়ে তো এগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না। রেকর্ড আসতে হবে আমাদের কাছে। রাজ্য একটা কথা বলেছে, আপনি অস্বীকার করছেন। 
    বিচারকঃ সলিসিটর, আপনি কবে আমাদের স্টেটাস রিপোর্টটা দেবেন? 
    দিনক্ষণ আলোচনা হয়। 
    এরপর পুলিশ কমিশনার, টাস্ক ফোর্স, নির্বাচন, এইসব নিয়ে কথা হয়। পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জেঠমলানি, টাস্ক ফোর্সে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব নেই, কলেজে এখনও নির্বাচন হচ্ছেনা, অভিযোগ করেন জয়সিং। আদালত কোনোটাই আলাদা করে শোনেনি, বা মান্যতা দেয়নি, কোনো নির্দেশও না।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কোন পক্ষের হয়ে লড়ছেন কোন আইনজীবী? | 165.225.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০২:৫৮538157
  • আনন্দবাজার থেকে: 
     
    • রাজ্যের হয়ে গত শুনানিগুলিতে লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
    • সিবিআইয়ের হয়ে আদালতে লড়বেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
    • নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে থাকবেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার ও শামিম আহমেদ।
    • ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের হয়ে লড়বেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ।
    • জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গলের হয়ে লড়বেন আইনজীবী করুণা নন্দী ও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
    • ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিংহ।
    • দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে রয়েছেন আইনজীবী বিজয় হংসরিয়া।
    • কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী হিসাবে থাকছেন সিদ্ধার্থ লুথরা ও বাঁশরী স্বরাজ।
    • অপর জনস্বার্থ মামলাকারী বিজয়কুমার সিঙ্ঘলের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।
  • :|: | 174.25.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:২৩538160
  • ২টো ৫৮ -- আর সন্দীপ সঞ্জয় অভিজিতের হয়ে? সেই সব উকিলেরা কারা? 
  • বনানী রায় ভট্টাচার্য | 117.194.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২২538170
  • আইনজীবীদের গীতা স্পর্শ করে সত্যবাদীতার শপথ নিতে হয় না  বোধহয় । 
  • PRABIRJIT SARKAR | ০১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৯538173
  • সন্দীপ সঞ্জয় অভিজিৎ শিয়ালদা কোর্টে উকিল দিয়েছে। ওদের সুপ্রিম কোর্টে বিচার হচ্ছে না। যদি ওরা চায় জামিনের জন্য হাই কোর্ট যাবে। তারপর দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আপিল করবে হাই কোর্টের রায় পছন্দ না হলে। সুপ্রিম কোর্টে খুন প্রমাণ লোপের মামলা হচ্ছে না। সিবিআই তদন্ত করছে হাইকোর্টের আদেশে আর সুপ্রিম কোর্ট আগ বাড়িয়ে সেই তদন্ত মনিটর করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

RGKar
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন