@ সৈকত দা, "নির্বাচিত সরকার হয় ৫ বছরের। নেট খুলে দেখি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারই নাকি ৬ বছরের। প্রথমে ভাবলাম, গুল। তারপর মনে হল, হতেও পারে। কতকিছুই তো নতুন হচ্ছে। সেনাবাহিনী সমর্থিত, এনজিও পরিচালিত, বিপ্লবী সরকার - এরকম ভুতুড়ে জিনিস তো আগে দেখিনি। পড়িওনি। সিলেবাসের বাইরে। সবই সম্ভব। "
বিনয় করে বলি, সম্ভবত এই লেখায় বেশ কিছু তথ্য বিভ্রাট আছে।
১
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত দেশের সংবিধানেই আছে, সংকটের সময় এই সরকার দায়িত্ব পালন করবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু এই অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নাই।
এই সুযোগে নানা গুজব- জল্পনা- কল্পনা ডালপালা মেলেছে।
২
কিন্তু এ সরকার তার মেয়াদের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টার রাষ্ট্রের নানা সংস্কারের কথা বলছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরাতে এটি এখন সময়ের দাবি। এ জন্য ইউনূস সরকারকে কিছু সময় দিতেই হবে।
৩
এর আগে ২০০৬-২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দীনের এক-এগারোর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে বিদায় নিয়েছে।
সেই থেকে অনেকের ধারণা এই সরকারও হয়তো বছর দুয়েক ক্ষমতায় থাকতে পারে, এইটুকু মাত্র।
৪
বাংলাদেশ একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, এ সময় মূল ধারার মিডিয়ার বাইরে স্যোশাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ানো নানান তথ্যে বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ আছে বৈকি। অতএব সাধু সাবধান।
অনেক ধন্যবাদ