এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জামাত নিষিদ্ধ ও অন্যান্য! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ৭৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • জামাত অবশেষে নিষিদ্ধ হল। এমন সময় হল আর এমন ভাবে হল যে মন খুলে উল্লাসও করা যাচ্ছে না। যে চোরাবালিতে বাংলাদেশ পড়েছে সেখান থেকে উত্তরণের কোন সম্ভাবনাই দেখছি না। অস্থির একটা সময়। ভোর হচ্ছে আতঙ্ক নিয়ে যে আজকে আবার না জানি কী হয়। দৈনিক একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছি আমরা এই চোরাবালিতে।  খড়কুটো যা পাচ্ছি তাই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু সবই বিফলে যাচ্ছে। সবচেয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকেই গন্তব্য মনে হচ্ছে আমাদের। দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধ? আজকে একজন আমাকে বলল দেশে না  কি বিপ্লব হচ্ছে, আমরা তা ধরতে পারছি না, পুরাতন চিন্তা ভাবনা আমাদেরকে নতুন চিন্তা করতে দিচ্ছে না। ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে বলেছে যে আমি বুঝি না কারণ  বিপ্লব বুঝতে হলে প্রেম করতে হয়, যেহেতু আমি প্রেম করি নাই তাই আমি বিপ্লব বুঝি না! বিপ্লব বুঝতে হলে প্রেম করতে হলে আমার দ্বারা আর হল না মনে হয়, এই বয়সে প্রেম করে বিপ্লব বুঝতে যাওয়া আমার পক্ষে একটু কঠিনই হয়ে যাবে!    

    জামাত নিষিদ্ধ আমাদের প্রজন্ম, যারা জন্মের পর থেকে জামাতের আস্ফালন দেখে বড় হয়েছি তাদের বড় একটা দাবী ছিল। জামাত নিষিদ্ধ হল সন্ত্রাস বিরোধী আইনে। আমরা আশা করেছিলাম যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেই  নিষিদ্ধ করা হবে। এই দলের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য ফাঁসি দেওয়া  হয়েছে, তাহলে সংগঠন কীভাবে শাস্তির বাহিরে থাকে? ৭২ সালের সংবিধানে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয় একটু অন্য ভাবে, দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারবে  না, এমন একটা ধারা ছিল। আমি মনেপ্রাণে এই  ধারাটাকেই চাচ্ছিলাম। বহুকিছুর সমাধান হত এতে। যাক, তবু তো হল নিষিদ্ধ। এখন জামাতের প্রতিষ্ঠান গুলো সম্পর্কে একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। টাকা পয়সায় হাত না দিলে এদেরকে বিপদে ফেলা যাবে না। দেশে  শিবিরের কোন কর্মী নাই অথচ সময় মতো সবাই হাজির।  এদেরকে টিকিয়ে রাখেই জামাতের এই প্রতিষ্ঠান গুলো। যেমন ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস, এখানে  কর্মীর সংখ্যা  প্রায় চার হাজার। অথচ বেক্সিমকো ইবনে সিনা থেকে অন্তত তিন চার গুণ বেশি বড় একটা প্রতিষ্ঠান, তাদের ওখানে কর্মীর সংখ্যা চার  হাজার সাতশ! এই বিপুল কর্মীদেরকে লালন পালন করা হয়, যারা আসলে শিবির কর্মী। এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক জামাত। এগুলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত দ্রুত। 

    কিন্তু এখন আসলে এগুলা কোন কিছুই কোন অর্থ রাখছে না। গতকালও দেশের নানা জায়গায় তুমুল গণ্ডগোল  হয়েছে। ছাত্র মৃত্যুর সংবাদ পাইনি। খুলনায় পিটিয়ে একজন পুলিশকে মেরে ফেলেছে! পুলিশ সদস্যার স্ত্রীর আহাজারি দেখলাম! একই রকম আহাজারি কত ছাত্রের মা বাবা করছে, কয়জনের কথা বলব? তীব্র আন্দোলন চলছে, একপক্ষ জীবন দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে, অন্য পক্ষ কোনমতেই সংযত হতে পারছে না। একটু যে স্থির হবে, একটু যে ভাববে, মাথাঠাণ্ডা করে দেখবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে তার কোন লক্ষণ নাই! জীবন দিতে চাচ্ছে কেন? এত সহজ জীবন দিয়ে দেওয়া?  সরকার পতনও কী  একটা জীবনের মূল্যের সমান? সব পোকামাকড়ের ম তো আগুনে ঝাপ দিচ্ছে! আশ্চর্য! কেন? আমি আমার সংস্পর্শে যাদেরকে পেয়েছি তাদেরকে বুঝতে পারছি।  বলছি তোরা আমাকে শুধু একবার বুঝা যে তোরা কী চাচ্ছিস এখন? নয় দফা দাবী তো ভুয়া, নয় দফা মানলেও এখন আন্দোলন বন্ধ হবে? আরও নতুন দফা এসে হাজির হবে না? সরকার পতনের অর্থ  বুঝতে হবে না? একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিপ্লব করি  চল বলে বের হয়ে পড়লে বিপ্লব হয়ে যাবে? হুট করে রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ জেগে উঠল আর সমস্ত সিস্টেম তোমার পায়ের তলে এসে দাঁড়াবে? কেন কারণ অকাতরে জীবন দিতে পারি! এ তো ভালো বিপদ! 

    দুনিয়ায় যত বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে তার সব গুলাই সফল হয়নি। মনে হয়েছে সফল, প্রাথমিক অবস্থায় মনে হয়েছে জিতছি, পতন হয়েছে সরকারের। কিন্তু পরে দেখা গেছে বড্ড ভুল হয়ে গেছে। গাদ্দাফি খুব খারাপ, টেনে নামাল হল, এখন এমন অবস্থা গাদ্দাফিকে দেবতা মনে হয়! আরব বসন্ত কোন দেশের জন্য মঙ্গল হয়ে আসছে? একটু চোখ খুলে দেখলেই তো দেখা যায়। যে বিপ্লব সফল হয়েছে বলে মনে করা হয় তার প্রতিটাই দুর্দান্ত নেতৃত্বের কারণেই সফল হয়েছে। যেটার নেতা ছিল না সেটাই শেষ! 

    আমাকে প্রেম দিয়ে বুঝানো হয়েছে। আসলেই তাই, বিপ্লবের সাথে রোমান্টিসিজম তো জড়াজড়ি করেই আছে। আর এই রোমান্টিসিজম যে কত ধ্বংসের করণ তার হিসাব নিবে না কেউ? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরের সময়ই এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মাত্র স্বাধীন হওয়া একটা দেশকে এই সস্তা রোমান্টিসিজম এক ধাক্কায় গহ্বরে ফেলে দিয়েছিল না? আবার একই চিত্র দেখছি এখন। যা বুঝি  না, যার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নাই সেই জিনিস নিয়ে দৌড়াচ্ছি। যা আমার মুখে ধরবে না তা খাওয়ার জন্য হা করছি, হজম করতে পারব কি না তার তো হদিস নাইই!  

    আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নাই এই সরকার চলে গেলে। কিন্তু আমি আহাম্মকের মতো আগে নামুক পরে দেখা যাবে ধরণের তত্ত্বে বিশ্বাস আনতে পারব না। এই সরকার বা শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কেন? কারণ এই দেশের মাটিতে রাজাকারদের ফাঁসি একমাত্র উনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। যারা রাজাকারদের আস্ফালন না শুনেছে  তাদের পক্ষে ওই গর্জনের কষ্ট বুঝা মুশকিল। কিসের মুক্তিযুদ্ধ, দেশে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, হয়েছে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া! এগুলা শুনে শুনে বড় হয়েছি। কামরুজ্জামানকে কাছ  থেকে দেখছি। ওরে বাপরে! কী তাদের প্রতাপ! যেদিন কামরুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়  তখন আব্বা বাজার থেকে এসে আমাকে ডাক দিল। বলল একজনের কথা, সে বাজারে আব্বাকে জরায় ধরছে, কান্না করছে, বলছে বিচার হইছে রাজ্জাক ভাই বিচার হইছে! আব্বা হতভম্ব! যুদ্ধের সময়  আব্বা ছিল পাকিস্তানে বন্দী। ফিরেছেনও অনেক পরে। যুদ্ধের ভয়াবহতা তিনি দেখেন নাই। শুনছেন, চাকরি করছেন আবার গভীর করে ভাবেন নাই। এতদিন পরে আব্বার যেন চোখ খুলে গেল! বাড়িতে ফিরেও ঘোর কাটছে না উনার। আমি জিজ্ঞাস করলাম কে? কার কথা বলছেন? নাম  বললেন। আমি চিনলাম। বললাম উনার ছেলেকে ব্রিজের নিচে গিয়ে গুলি করে মেরেছিল কামরুজ্জামান। উনি এত বছর ধরে বসে ছিলেন যে একদিন এই মাটিতে শাস্তি হবে। কামরুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই যুদ্ধের পরে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা  ছিলেন, বলে গেছিলেন নিজের মাকে যে এই যে রাজাকারের সাথে বিয়ে দিলে, একদিন বিচার হবে, একদিন তোমার মেয়েকে কাঁদতে হবে! এমন হাজার হাজার মানুষের কাঙ্ক্ষিত এই বিচার! আমার আর কিছু চাওয়া নাই। শহীদ পরিবারেরা যখন দেখত রাজাকারের গাড়ি জাতীয় পতাকা পতপত করে উড়ছে এরচেয়ে কষ্টের, এরচেয়ে কুৎসিত কিছু তাদের জন্য মনে হয় না আর কিছু ছিল। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষিত বিচার এই দেশে  হয়েছে।  এরপরে আর আমার ব্যক্তিগত ভাবে কিচ্ছু চাই না আর। এই কারণে আমি কৃতজ্ঞ। শেখ হাসিনা ভালো মতে চলে যেতে পারলে ভালো। না হলে আমার কিছু বলার নাই।     

    কারণ বর্তমান সময়ে যা হচ্ছে তা মেনে নেওয়ার মতো না। সমাধানের পথে যাওয়ার পরে সমাধান না হলে এক কথা। যারা বিপ্লবের ভূত মাথায় নিয়ে ঘুরছে তাঁকে আপনি ফিরাবেন গুলি মেরে? প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়ে আসবে না? কী সেই সমাধান তা আমি জানি না। এইটা আপনাদেরই বের করতে হবে যারা এইটা সৃষ্টি করেছেন। আপনারা আমাদেরকে ফেলেছেন উভয়সংকটে। এই আন্দোলনের চালিকা শক্তি ধীরে ধীরে জামাত বিএনপির হাতে চলে যাচ্ছে। আমাদের পক্ষে তাদের সাথে গলা মেলানো সম্ভব না। আমাদের পক্ষে আবার দৈনিক নিয়ম করে লাশ পড়বে আমাদের অর্ধেক বয়সই কোন একজনের, এইটাও মেনে নেওয়া সম্ভব না। 
    জামাত বিএনপির প্ররোচনায়ই হোক বা এই প্রজন্মের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ নাই দেখেই  হোক, এখনই আগস্টের শোক নিয়ে মজা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। ১৫ আগস্ট এইটা আরও ভয়ংকর হয়ে যাবে  নিশ্চিত। সব ছাত্ররা মিলে যদি কেক কাটে আমি আশ্চর্য হব না। এখন কেউ আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝাক কেন আমার এরপরে তাদের সাথে থাকতে হবে? 

    ভবিষ্যৎ কী? অন্ধকার! আর কিছুই বলার নাই এখন। নিকষ কালো অন্ধকার। তুমুল গতিতে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি। সরকারের সাথে যতদিন আর্মি আছে ততদিন পতন হবে না এই সরকারের। আর্মির ভিতরে বিদ্রোহ হতে পারে। দুইটাই গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা আরও তীব্র করবে। বিএনপি জামাত হিসাব করে দেখেছে হয়ত এইটাই রাস্তা। এ ছাড়া কোনদিন ক্ষমতার আশেপাশেও তারা যেতে পারবে কি না সন্দেহ।  শেখ হাসিনার কোন সেফ এক্সিট রুট নাই। এইটাই আরও বেশি ভয়ংকর করে তুলছে পরিস্থিতি। আপনাকে টিকে থাকতেই হবে আর না হলে শেষ!  কাজেই মরিয়া হয়েই টিকে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। 
    প্রথম বাধাতেই  তৃণমূল কর্মীরা হাত গুটিয়ে নিয়েছে। যে যে কয় পয়সা বানাতে পেরেছে সে ভাবছে ওইটাই আগে রক্ষা করি। চুপ করে বসে আছে এরা। ১৫ বছর  ক্ষমতায় থেকে এইটা হচ্ছে প্রাপ্তি আওয়ামীলীগের। সরকার গর্ব করে বলে  ৫০০ মসজিদ বানিয়েছে।  যেন এই  ৫০০ মসজিদ না হলে বাংলা  মানুষ  নামাজ না পড়ে বসে ছিল। অথচ এই টাকায় লাইব্রেরী বানানো যেত, উন্নত মানের গবেষণাগার বানানো যেত,  হাসপাতাল বানানো যেত। দেশ  ধীরে ধীরে মৌলবাদের কবলে ঢুকে গেছে এখন আফসোস করছে সবাই এমন কেন?    

    এখন দেশে এক দফা চলছে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু শুরুতেই যা বললাম তারপরে কী?  তারপরে কী জিজ্ঞাস করা না কি বুমারদের লক্ষণ! আমরা মিলেনিয়াল বুমার হওয়ার লজ্জা(!) নিব না নিজেদের বুমার মনে করে  বসে যাব বুঝতেছি না। এই আন্দোলন শুরুর পর থেকেই শুনছি জেন জি বিরাট কিছু! ভীষণ স্মার্ট! এখন আমাদের কী হবে? আমাদের সরকার একটা স্মার্ট আইডি কার্ড দিছে ওইটাও ফটোকপি করেই কাজ করতে হয়! কী একটা যন্ত্রণা না?                     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ৭৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • +-×÷ | 2001:67c:198c:906:1f::***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৪৫535628
  • এই দেশের ঐতিহ্য নিয়ে শ্রদ্ধাবোধ জিনিসটা জাস্ট দাঁড়ায়না। মানে ধরুন এপারে টিনেজারদের বাঘা যতীন কি করেছিলেন জানতে চাইলে সম্ভবত নব্বই ভাগ বলতে পারবে না। অথচ ব্রিটিশরা কম মারেনি, দেশভাগের মতো ট্র্যাজেডি ভারতের স্বাধীনতার সংগে জুড়ে আছে, আবার এও ঠিক প্রচুর লোক ব্রিটিশদের সংগে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু একটা সময় পর এসব শুধু ইতিহাস হয়ে থাকাই কাম্য। অমুক তমুককে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রত্যাশায় বসে থাকা পাগলের লক্ষণ। ফরগিভ এন্ড ফরগেট সময়ের ধর্ম। ফলে টিনেজারদের ঐতিহ্য নিয়ে শ্রদ্ধাবোধ না থাকাই পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়ম। চরমপন্থীদের উত্থান অবশ্যই বাংলাদেশের চিন্তার কারণ, কিন্তু সেটার কাউন্টার মুক্তিযুদ্ধের আবেগ উস্কে করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রগ্রেসিভরা পাতি ছড়িয়েছে।
  • Guru | 2409:4060:380:13c:36dd:2144:7f18:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ০৫:৪৪535629
  • শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা খুব খোশমেজাজেই আছেন মনে হচ্ছে। তেমন হলে আগরতলা চলে যাবেন উনি। যেমন ১৯৭১ সালে গেছিলেন। গিয়ে মুজিবনগর সরকার ভার্সান ২ বানাবেন। কিছু মনে করবেন না, হাসিনা নির্বাচনটা মুক্ত ও অবাধ করলে ওনার এই দশা হতো না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া বা এরশাদেরও এতখানি খারাপ অবস্থা হয় নি। আসলে হাসিনা কখনোই তার পরিবারের মৃত্যূর জন্যে বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষমা করতে পারেন নি। উনি বাংলাদেশকে কখনোই ভালোবাসেন নি এই দেশটাকে নিজের জমিদারী মনে করেছিলেন।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:193a:65a:6ea9:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ০৬:১২535630
  • জামাত যেমন বাঙালির রগ কেটে হাত পাকায় সেই রকম?
  • Guru | 2401:4900:735a:c70c:a5c6:8eec:1004:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১১:৩১535631
  • @পলিটিশিয়ান,
    পুরো ব্যাপারটাকেই হাসিনা বনাম জামাত এই বাইনারি সমীকরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করাটা কি অতিসরলীকরণ নয়? আফটার অল বাংলাদেশে সরকারী হিসাবমতো ১ কোটি তিরিশ লক্ষ্য শিক্ষিত বেকারের কি হিসাব এই আপনার হাসিনা জামাত বাইনারি দিয়ে করতে পারবেন?? দুর্নীতি নেপোটিজম রগকাটা এসবের কি ব্যাখা দেবেন ?? তিন তিনটে নির্বাচন রিগিং করবার কি ব্যাখ্যা দেবেন? অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন হাসিনা করতে দিলে এসবের কিছুই হতো না।
  • কিংবদন্তি | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১১:৪০535633
  • +-×÷ , একটা সময় পরে ইতিহাস হয়ে থাকাই কাম্য। কিন্তু আমাদের এখানে হয় নাই, কেন হয় নাই এইটাই হচ্ছে প্রশ্ন! স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন এই প্রশ্ন হাজির হচ্ছে? আমাদের এখানে বাঘা যতিনকে অপমান করা হয়েছে, নাম নিশানা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে, অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে যখন এদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, ওইটাই একটা হাতিয়ার হয়ে আসছে। যে অস্ত্রকে ভাবা হয়েছে মোক্ষম অস্ত্র। ভাবা হয়েছে সব সময়ই কাজ করবে। তা হবার নয়! 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১১:৪৩535634
  • যদিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক না ,তবু ব্যক্তিগত মতামত তো থাকতেই পারে। বাংলাদেশে স্বৈরাচারী আওয়ামী লিগ , জাতীয়তাবাদী বিএনপি আর মৌলবাদী জামাত তিনটেরই শক্তি ক্ষয় হোক। প্রথমটা স্বৈরাচারী বলে দ্বিতীয় আর তৃতীয়টা বিকল্প নয় তো। বাংলাদেশে বরং সিপিবি , বাসদ ইত্যাদি কমিউনিস্ট পার্টিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার গড়ুক। তবে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ হবে ,মানুষের রুটি রুজির প্রশ্নগুলোও উঠবে। 
  • Guru | 2401:4900:735a:c70c:a5c6:8eec:1004:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১২:৩৫535637
  • @কৌতুহলী, 
    বাংলাদেশে মুক্ত ও অবাধ ​​​​​​​নির্বাচন ​​​​​​​হলে হয়তো ​​​​​​​সেটাই ​​​​​​​হবে ​​​​​​​যেটা আপনি chaichen l but who will bell the ক্যাট ​​​​​​?
  • Guru | 2401:4900:735a:c70c:a5c6:8eec:1004:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫৭535640
  • শরিফ,
    আপনাকে গত বছরেই আমি বলেছিলাম যে বাংলাদেশে এখন একটা aspiring class তৈরী হয়েছে হাসিনার আমলের সুশাসনের ফলেই। এই ব্যাপারটা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। আইয়ুব খাঁনের শাসনেও এইরকম হয়েছিলো। এই aspiring classer আশা আকাঙ্খা না মেটাতে পারলে তো ১৯৬৯ ফিরে আসবেই। আইয়ুব খান সময় মত গদি ছেড়ে দিয়ে বেঁচে গেছলেন। এর সঙ্গে বাঘা যতীন আর জামাতের কি সম্পর্ক? আবার বলছি হাসিনা এবছর মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনে গেলে আজকে আপনাকে এই দিন দেখতেই হতো না।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:ba7b:f99f:5058:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৩535648
  • প্রশ্নটা ব্যাখ্যার নয়। প্রশ্নটা কনসিকোয়েন্স ভেবে কাজ করার। চাটু গরম বলেই আগুনে ঝাঁপ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না।
  • দীপ | 2401:4900:3fbb:9dad:37d6:1aca:1164:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৪০535649
  •  
    বাংলাদেশ নিয়ে তসলিমার মন্তব্য
     
    'আমাতি vs জামাতি+বামাতি"
  • | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৮535654
  • সাদেক, 
     
    আমার প্রশ্ন শেখ হাসিনা ব্যপারটাকে এই জায়গায় যেতে দিলেন কেন?
     বিডিয়ার বিদ্রোহের সময় হাসিনা বিডিয়ার ব্যারাকে  গিয়ে কথা বলেছিলেন। আমি সেই রেকর্ডিং শুনেছি, সচলে এসেছিল। বিডিয়ার বিদ্রোহের নাম করে বাংলাদেশের সেরা ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ যারা জামাতের বিভিন্ন ফ্যাকশান আর তার রঙ বদলানো চেহারা জানতেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।  আনসারুল্লা বাংলা বা জামাতুল মুজাহিদিনের  উত্থান বা আল কায়েদার সাথে লিংকেজ ইত্যাদি সহজ হয়েছিল এই মাথাগুলো সরিয়ে দেওয়ায়। তো গুলশানে হোলি আর্টিজান ম্যাসাকারের পর শেখ হাসিনা এদেরও ভালভাবেই দমন করেন। সেইসময় বেশ কিছু জঙ্গী এপারেও পালিয়ে এসে লুকায়। 
     
    যাই হোক যেটা বলছিলাম বিডিয়ার ব্যারাকে হাসিনার কথা শুনে সাহস দেখে আমূল চমকে গেছিলাম আমি।  কি অসম্ভব সাহসী হলে ওইভাবে বিদ্রোহীদের মধ্যে গিয়ে তাদের সাথে  কথা বলা যায়! সেই ভদ্রমহিলা একবার,  একটিবার এই বাচ্চাগুলোর সাথে কেন বসলেন না, বসতে চাইলেন না? যেখানে সরকারও কোটা তুলেই দিতে চেয়েছিল সেখানে অনেক আগেই ওদের সাথে বসা, ওদের কথা শোনা দরকার ছিল।  আর হেলমেট হাতুড়িবাহিনীর উপরে উনার কন্ট্রোল কি আর একেবারেই নেই? সুপ্রীম কোর্টের রায় আসার পরেও ওইভাবে  নিরীহ মানুষ মারছে টার্গেট করে করে?  একজন একটা বাড়ির কার্নিশে কোনমতে ঝুলে আছে তাকে একদম সোজা টার্গেট করে মেরে ফেলল! এরকম অজস্র ভিডিও আসছে রোজ। যত এগুলো দেখছে তত বাচ্চারা পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে যাচ্ছে। 
     
    যারা নির্ভয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে বলে বুক পেতেছি গুলি করো তাদের গুলি করে দমানো যাবে না। যাবেই না। বরং যত অত্যাচার তত আন্দোলনের রাশ এক্সট্রিমিস্ট জেহাদীদের হাতে যাবে কারণ তারা অত্যন্ত শ্রুড।  এতদিন ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছে এখন সুযোগ তাদের হাতেই এসে ধরা দিচ্ছে। 
     
    আর একটা কি বলুনতো, হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ওয়েপনাইজ করতে করতে আর কোনরকম ডিসেন্টকে গ্রাহ্য না করতে করতে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছেন যে এখন এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই বিদ্রুপ করতে শুরু করেছে। আর একটা রাজনৈতিক  বোধহীন জিপিএ সর্বস্ব প্রজন্ম তৈরীর পেছনেও শিক্ষাব্যবস্থার অবদান আছে। সেই রাজনৈতিক বোধহীনতাই জামাতের ট্যাগলাইনগুলো চিনতে পারছে না।  আরো একটা কথা, জামাত হলেও তাকে বিনাবিচারে গুলি করে মেরে ফেলা যায় না। তা যদি যেত তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দরকারই হোত না। 
     
    নাহ হাসিনা খুব খুউউউব খারাপভাবে হ্যান্ডল করছেন। 
  • Guru | 157.4.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪১535667
  • @দ দিদি ,                                                                            ছাত্রেরা কি সত্যই রাজনৈতিক বোধহীন প্রজন্ম ? আমার তো নিচের লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছেনা l https://www.prothomalo.com/bangladesh/m26rb2yl7v
  • Guru | 157.4.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৫535668
  • আচ্ছা পুরো সমস্যাটাকেই এখানে হাসিনা বনাম জামাত বলে দেখানোটা কি over-simplification নয় ? হাসিনা চলে গেলেই জামাত ফিরে আসবে এটা কি এতো সোজা ব্যাপার ? 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:1423:837:4ceb:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০০:০১535670
  • তাহলে কে আসবে? রাশিয়ান রুলেট খেলায় আমার রুচি নেই।
  • কিংবদন্তি | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৩535672
  • দ দিদি, সহমত। খুব বাজে ভাবে হ্যান্ডেল হয়েছে সব। নির্বিচারে গুলি চালানো, ছাত্র হত্যা এগুলার কোন ব্যাখ্যা নাই, এগুলা মেনে নেওয়ার মতো কিছু না। এই বিষয় নিয়ে কোন যদি কিন্তু নাই, কোন অজুহাতও আমি দিচ্ছি না। এইটা স্রেফ মেনে নেওয়ার মতো না। 
     
    বর্তমান সময়ে অনেকেই এই প্রজন্মকে খুব প্রশংসা করছে তাদের এই মুভমেন্টের জন্য। আমি এই প্রজন্মকে ভয় পাই। এরা যে কোন মাপের ধর্মান্ধ তা বলে বুঝানো মুশকিল। টাকনুর উপরে প্যান্ট পরার স্টাইল নিয়ে আসছে এরাই। বোরকার হরেক রকম নিয়া আসছে, নকশা, ডিজাইন নানা কিছু। স্কুল কলেজে গেলে দম বন্ধ হয়ে যায় আমার। বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা এই গরমে বোরকা পরে বসে আছে! এরাই পয়লা বৈশাখ নিয়ে বিদ্রূপ করে, শহীদ মিনারে যাওয়া নিয়ে হাদিস শেখায়। মুশকিল হচ্ছে ওইটা যেটা আপনি লিখেছেন, এদেরকে তৈরিও করেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থাই। আমি লিখেছি ৫০০ মসজিদ তৈরি করেছে সরকার! কী জরুরি বিষয়টা! ১৩ সালে হেফাজতের ধাক্কা খেয়ে এমন ডর ডরাইছে সরকার যে সমস্ত মোল্লাদেরকে খুশি করতে গেছে। ফলাফল হাতের সামনে। 
    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশে সব সময়ই টিকে থাকবে, আওয়ামীলীগ বেশি ব্যবহার করছে এই জিনিস। এর কারণও আছে, কারণ বিরোধিরা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে এইটার বিরোধিতা করে বসে! লাভ হয় আওয়ামীলীগের। এখনও এই দেশে রাজাকার ঘৃণিত শব্দ। দিদি, আমি লিখেছি যে আমার চাওয়া নাই আর। রাজাকারদের ফাঁসি দেখে ফেলছি আমি। এরপরে সত্যিই আমার আর চাওয়া নাই। এখন শেখ হাসিনা  নেমে গেলে ভালো, ভালো ভাবে নামলে বেশি ভালো, খারাপ ভাবে নামলেও আমার কিছু বলার নাই কারণ খারাপের রাস্তাটা তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। 
     
    কালকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। কালকে আওয়ামীলীগ মাঠে নামবে। আজকে যখন আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ডাক দিলেন আর ওরা তা ফিরিয়ে দিল তখন ব্যাপারটা ভিন্ন রূপ নিলো। এখন আওয়ামীলীগ এইটাকে রাজনৈতিক ভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। মাঠ দখলের খেলা শুরু করবে। মাঠে আওয়ামীলীগের সাথে টিকে থাকা কঠিন। আরও লাশ, আরও মৃত্যু!  দম বন্ধ লাগে এখন। আর মেনে নেওয়া যায় না। আমার ভাগ্নি ভাগনা সব টগবগ করে ফুটছে। রাস্তায় নামতে চায়! নানান বুঝ দিয়ে রাখছি। আবোলতাবোল বুঝ দিচ্ছি। কিন্তু ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া পুলাপান, ওরা আমার বুঝ কতক্ষণ মানবে? আমি জানি আন্দোলনের একটা দুর্দান্ত নেশা আছে। আমি ১৩ সালে শাহবাগে ছিলাম তো, জানি। এদেরকে ফিরিয়ে রাখতে পারব কতক্ষণ জানি না।
     
    সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হচ্ছে শেখ হাসিনার কোন সেফ এক্সিট নাই। এইটা তাঁকে এবং দলকে ভয়ংকর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হাতে যত ক্ষমতা আছে, যত অস্ত্র আছে সব প্রয়োগ করবে চূড়ান্ত পতনের আগ পর্যন্ত। পতনের আগে ১৪৪ ধারার চেষ্টা করবে, তাও না মানলে জরুরি অবস্থা জারি করবে।  এই ধাপ গুলোর পরে হচ্ছে পতন। এই ধাপ গুলো পার হতে আরও মৃত্যু, আরও লাশ! এত কিছু করে টিকে গেলেই তাকে টিকে যাওয়া বলা যাবে? জানি না। 
     
    আমি সরাসরি আন্দোলনকারীদেরকে সমর্থন দিচ্ছি না কারণ আমার এদের উপরে ভরসা নাই, লক্ষণ  বলছে এরা ভাত মাখিয়ে লোকমা করে মুখে তুলে দিচ্ছে বিএনপি জামাতের! তৃতীয় কারও  আসার সম্ভবনা খুব কম। নানান জটিলতা আছে। সাংবিধানিক ভাবে আর্মি আসতে পারবে না, আর্মি আসবেও না। শেখ হাসিনা রক্ত পরীক্ষা করে একেকজন সেনা প্রধান বানিয়েছেন। বেইমানির সম্ভবনা নাই বললেই চলে। তাহলে কে আসবে? কোন সিস্টেমে ক্ষমতা নিবে? জানি না। মাথায় ধরে না আমার। 
    এখন শেষ হলেই শান্তি। সেটা কবে কে জানে! 
  • jojo | 2001:67c:2628:647:a::***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০০:৫৪535675
  • এতো চিন্তার কি আছে? পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীরা এককালে আওয়াজ তুলেছিলেন 'যে আসে আসুক, সিপিএম যাক।' এই গুরুতেই এসব ইতিহাস খোদিত আছে। আপনারাও বলুন যে আসে আসুক , হাসিনা যাক। ফুরিয়ে গ্যালো।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:886d:b184:81fe:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৩২535685
  • শরিফ, তোমার লেখাগুলো আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। অন্য এক টই তে ছাত্রদের দাবীগুলো পড়লাম।  স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ - এর বিরুদ্ধে স্বর উঠছে, খুবই ভাল। কিন্তু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে কোন কথা নেই, এটা দুঃখের । নতুন বাংলাদেশ তৈরী হবে, অথচ ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা, সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা  -এ নিয়ে কোন দাবি নেই, রাষ্ট্রধর্ম ব্যাপারটা নাকচ করার চেষ্টা নেই - এগুলো দুশ্চিন্তার 
    বর্তমান প্রজন্ম সম্বন্ধে তোমার ধারণা (গোঁড়া ধার্মিক ইঃ ) ভুল হলেই খুশি হব। দেখা যাক 
  • . | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৫৩535686
  • বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় মৌলবাদ আগামী একশো বছরেও যাবার নয়।
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9279:90e9:9026:82d8:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৮:০২535688
  • এক বাংলাদেশী  লেখকের কথা।
     
    " সরকার পতনের পর যারা আল্লার আইন আর ইসলামিক রিপাবলিক অব খিলাফতের স্বপ্নদোষে আক্রান্ত তাদের আবারো জানিয়ে রাখি, ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশের’ ঘোষণা দিতে পারেননি ভারতের ভয়ে!
     
     ১৫ আগস্ট হত্যার পর মেজর ডালিম রেডিওতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে এবং এখন থেকে বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিগণিত হবে’। এই ঘোষণায় পাকিস্তান উল্লাসে ফেটে পড়ে। পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হেনরি বাইরোড নিজ দেশকে এক বার্তায় জানান, পাকিস্তানের সরকার, গণমাধ্যমসহ সাধারণ মানুষ মেজর ডালিমের এই ঘোষণায় বাংলাদেশের সঙ্গে কনফেডারেশ করা যায় কিনা সে বিষয়ে আশান্বিত হয়ে উঠে।
     
     ডালিমের ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট মোশতাক কি বলেন সেটা জানার আগ্রহ ছিলো সকলের। প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বাংলাদেশের অবস্থান পরিস্কার না করে বরং ঘোলাটে করে রাখলেন। তিনি বললেন না বাংলাদেশ এখন থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র। তিনি আসলে ডালিমের ঘোষণার পর চারদিকে ছড়িয়ে পড়া ‘বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র’ এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত কি বলে সেটার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
     
    ভারতের তখনকার রাষ্ট্রদুত সমর সেন খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে দেখা করে ভারতের অবস্থান জানিয়ে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে সমর সেন ভারতের ফ্রন্টলাইন পত্রিকার সঙ্গে ১৯৯৮ সালে ২১ নভেম্বর কথা বলেছিলেন এবং কোলকাতার স্টেটসম্যান পত্রিকার সম্পাদক মানস ঘোষ এক কলামে একই রকম বিবরণ দিয়েছেন যা সমর সেন ফ্রন্টলাইনে দিয়েছিলেন। সমর সেন জানান, কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে লেখা ছিলো, ‘যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং কোনো দেশের সঙ্গে কনফেডারেশন করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’ (তথ্য সূত্র : ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি, আবেদ খান। মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড, মিজানুর রহমান খান। ফ্রন্ট লাইন, ২১ নভেম্বর ১৯৯৮)
     
    এই ২০২৪ সালে এসেও মনে রাখবেন বাংলাদেশের তিনদিকে মতান্তরে চারদিকে ভারত, ভারতকে বাদ দিয়ে চলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিকভাবেই সম্ভব নয়। ভারত কোনদিন চাইবে না এখানে আফগান স্টাইলের সরকার হোক। কাজেই শায়েখদের খায়েশ মেটা এত সহজ না।
     
    বামদের কী মনে হচ্ছে লেনিনের মত ক্ষমতা দখল করবেন? এটাও স্বপ্নদোষ! অন্যের ঘাড়ে চেপে বিপ্লবের স্বপ্ন ইরানের বামরা পেয়েছিল হাতেনাতে। কুকুরের মত গুলি করে ছিল খোমিনি কমিউনিস্টদের। বাংলাদেশের অরাজকতা হলে বামদের কপালে হালুয়া রুটি জুটবে না নিশ্চিত। 
     
    তাহলে আমার ভয় বা আশংকাটা কি?
     
    আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসা শেষ!  এই বিশ বছরে ইসলামী ব্যবসা তাদের চেতনা ব্যবসা শেষ করে দিয়েছে। জনসমর্থন এক শতাংশও নেই। স্বৈরাচারী শাসন, অহংকার, দম্ভ সাধারণ মানুষের মনে যে ক্ষোভ তার প্রতিফলন এই আন্দোলনে সব শ্রেণি পেশার মানুষের সমর্থন। 
     
    তাহলে কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ? 
     
    এই ছাত্ররা কি সেটা জানে? কারা বসবে ক্ষমতায়?  
    বাংলাদেশ বিশাল হেডামওয়ালা দেশ হয়ে গেছে এটা শেখ হাসিনা আমাদের বুঝাতো। আদতে বাংলাদেশ একটা বিদেশে কামলাখাটা দেশ ছাড়া আর কিছু না। দুই একটা দেশের নিষেধাজ্ঞাই কোমর ভেঙে যাবে। উপরে খন্দকার মুস্তাকের উদাহরণ দিয়েছি। আনু মোহাম্মদ আসিফ নজরুল জামাত চরমোনাই পীর এরকম হাঁসজারু দিয়ে কোন আদর্শ হয় না। আর কোন সুনির্দিষ্ট আদর্শ ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হয় না। ছাত্রদের আজকের একদফা সরকার পতনের আন্দোলনের ডাকের পর এই ভাবনা আসবে তারা কাকে ক্ষমতায় চায়? কাকে ডেকে এনে বসাতে চায়?
     
    আমি এখন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অনিশ্চিত যাত্রা দেখছি। এটাই আমার ভয় শংকা।  সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার আওয়ামী লীগেের প্ল্যান কী রকম দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো তারচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশে বিকল্প কোন শক্তি নেই। আওয়ামী লীগ একা ডুবল না গোটা দেশ ডুবল। কোথায় যাচ্ছে দেশ সে সম্পর্কে কারোর কোন ধারণা আছে বলে মনে হচ্ছে না।
     
    বারবার বলেছি ক্ষমতা পরিবর্তনের স্বাভাবিক পথ না থাকলে অস্বাভাবিক পথ দিয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা হবেই। 
     
    আপনি যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকেন আর অন্যায়ের বিপক্ষে থাকেন তাহলে সকালে সরকারের দালাল বলে গালি খাবেন, রাতে জামাতের দালাল বলে গালি খাবেন। কোন একটি দল গ্রুপের একরোখা অন্ধ সমর্থক কোন মুক্তচিন্তকের পক্ষে সম্ভব নয়। "
  • Guru | 2409:4060:380:13c:924:b905:a675:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:১২535693
  • আমি নিজে মনে করিনা একেবারেই যে ভারত আবার সামরিক হস্তক্ষেপ করবে ! এটা ১৯৭১ নয় ২০২৪ সাল l আর তাছাড়া হস্তক্ষেপ করবে কেন ? ১৯৭১ সালে নাহয় একটা রিফিউজি ইস্যু ছিলো এবারে কি ? একজন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ডিকটেটর কে ক্ষমতাতে রাখতে ?? তাহলে এটাকে বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবেনা l তাছাড়া এমনিতেই আমরা পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে একটা টু ফ্রন্ট সিচুয়েশনে আছি , জম্মুতেও অশান্তি বাড়ছে কাশ্মীরে আবার সামনেই ভোট আছে মনিপুরেও শান্তি নেই এখন কি আমাদের তাকত বাকি আছে বাংলাদেশে হাত ঢোকানোর জন্যে ?                                                এসবের পরেও যদি উনিজি বাংলাদেশে সেনা পাঠান , আমি মনে করি আরেকটা আফগানিস্তান আমাদের দোরগোড়াতে আগামী ২০ বছরের জন্যে তৈরী হোবে l 
  • | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৬:২৭535718
  • হ্যাঁ সাদেক জেন জিয়ের  একটা  অংশ ধর্মান্ধ সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি।   আমারো আশঙ্কা এরা বিএনপিকে  মুখে তুলে দিচ্ছে। sad
  • কিংবদন্তি | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৩২535722
  • সারাদিন শেষে এসে পরিস্থিতির ভয়াবহতা যা বুঝলাম তা কল্পনাতীত। টেলিভিশনে ৫০/৬০ মারা গেছে দেখাচ্ছে। আহত আরও কত কে জানে! এই মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে কীভাবে আমি জানি না। এখন থামা উচিত এইটা বুঝতেছি। আর পারি না। কোন একটা সেফ এক্সিট খুঁজে বের করে নেমে যাক সরকার। জরুরি অবস্থা দিক, যা ইচ্ছা তাই করুক, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল এখনই থামাতে হবে! সামলাতে না পারলে নামতেই হবে। মোবাইল নেট বন্ধ, ব্রডব্যান্ড কোনমতে চলছে। জীবন থমকে দাঁড়িয়ে গেছে। মানুষ প্রাণ খুলে কথা বলছে কবে ভুলে যাচ্ছে, হাসছে কবে মনে করতে পারছে না, এইটা জীবন না। 
     
  • . | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৩০535723
  • শরীফ,
    সাবধানে থাকিস। আবেগ নয়, বুদ্ধি আগে।
  • Guru | 2409:4060:380:13c:fda1:78eb:95f5:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৩535726
  • শরীফ ,                                                                           আপনার সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আমার মতবিরোধ থাকলেও আজকের দিনে সেসবের কোনো মানে নেই l ভালো থাকুন l আশা করি একদিন সব শান্ত হবে l 
  • Guru | 2409:4060:380:13c:fda1:78eb:95f5:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৭535727
  • হাসিনা জামাত বাইনারি নিয়ে এই টইতে অনেকেই বলেছেন l এই নিয়ে প্রথম আলোর লেখাটি পড়তে পারেন l আমার মনে হয় এই লেখাটি পড়লে হাসিন জামাত বাইনারি নিয়ে অন্য একটা দিক খুলে যাবে l https://www.prothomalo.com/opinion/column/y4bfwqjo54
  • Tirtho Dasgupta | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৪535739
  • আপনার আশংকা, আপনার বিপন্নতা এবং অনিশ্চয়তা খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে এসেছে আপনার লেখায়। এই প্রথম পড়লাম । গুরুতে আমি নতুন । আমি পক্ষে বিপক্ষে অনেকের কথাই শুনছি । বাংলাদেশের বন্ধুদের কাছ থেকে , বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে অথবা সাংবাদিক বন্ধুদের পক্ষ থেকেও খবর পাচ্ছি । একটা কথা বলুন , এই আন্দোলন , বিক্ষোভ, এসব কি inevitable ছিল না ? এর ফল যাই হোক ! তরুণরা কবেই বা এত চিন্তা করে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে । আগুনে ঝাঁপ দেওয়া তাদের ধর্ম । কিন্তু সেই আগুন কেন তৈরি হল ? 
  • কিংবদন্তি | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৫535740
  • @Tirtho Dasgupta  সেই আগুন তৈরির দায় তো বেশখানিকটা সরকারেরই। দম্ভ, অহংকার এগুলা ছিল হয়ত এর পিছনে। একটু নরম হয়ে শুনলেই হত। অবশ্য দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য একটা টিভি শোয়ে দামি একটা কথা বলেছেন, বলেছেন এইটা যদিও ম্যানেজ করা যেত কিন্তু আজ হোক কাল হোক এই দম্ভ, অহংকার, কেউ আমার সামনে নাই এই গরম তা একদিক দিয়ে না একদিক দিয়ে বের হতই। এখানে না হলে অন্য কোথাও এমন দম্ভ প্রকাশ পেত, এমন ম্যাসাকার তৈরি হত। আমি এইটা বলছি এইটা ধরে নিয়ে যে সরকারি দায়ী পুরোটার জন্য। এই খেলার আসল খেলোয়াড়রা হয়ত অন্য কোথাও অন্য কিছু ভাবছে, যা এখন পর্যন্ত আমরা জানি না। 
  • . | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫০535741
  • হাসিনা অত্যন্ত ক্ষমতালোভী। এ পর্যন্ত যা বুঝলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন