এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ

  • স্বপ্নদীপের মৃত্যু আর একটি অকিঞ্চিৎকর ছেলের গল্প

    অরিত্র হালদার
    আলোচনা | সমাজ | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১১৮০ বার পঠিত | রেটিং ৩.৭ (৩ জন)

  • একটা গল্প বলি।

    একটা ছেলে, বছর বারো বয়স। শান্ত প্রকৃতির। অনুভূতিপ্রবণ। ছবি আঁকতে ভালোবাসে। খেলাধুলোয় খুব চৌকস নয়। কিন্তু খেলা দেখতে বা খেলতে বেশ ভালোবাসে। গল্পের বই পড়ার খুব নেশা। এমনিতে অন্তর্মুখী, কিন্তু ঠিকঠাক সঙ্গী পেলে প্রাণ খুলে আড্ডা মারতে ভালোবাসে। বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে। পড়াশোনায় মন্দ নয়। সোজা কথায় দিব্যি ছেলে।

    ছেলেটার সবই ভালো, কিন্তু হাঁটাচলায় একটু নমনীয় ভাব। ওই মাচো ব্যাপারটা নেই। এবার একদিন হঠাৎ করে দেখল তার বন্ধুরা তাকে লেডিস বলে ডাকতে শুরু করেছে। ছেলেটা বুঝতে পারছে না, হঠাৎ কি হয়ে গেলো যে ওকে মেয়েলি বলে মনে করা হচ্ছে। ওর মধ্যে সেরকম কোনো ভাবনা চিন্তা নেই। বয়ঃসন্ধির নিয়ম অনুসারে ওর শরীর মনে যত রকম পরিবর্তন আসার কথা, সেগুলো সবকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ওর সাথে হয়ে চলেছে। কোথাও ওর নিজেকে অন্য রকম বলে মনে হয় নি। এদিকে লেডিস কথাটার সাথে যে একটা ব্যঙ্গাত্মক দ্যোতনা জড়িয়ে আছে সেটা ওকে ভীষণভাবে পীড়া দিচ্ছে।

    দু’দিন পরে সেই ব্যঙ্গ বিদ্রূপ একটু চড়া দাগ নিলো। হাঁটতে চলতে হঠাৎ করে পিছন থেকে কেউ টিটকিরি কাটছে। উৎকট আওয়াজ বের করছে গলা দিয়ে। ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা কিছু বলছে না। ওর সাথে বিদ্রূপ না করলেও, এই টিটকিরির প্রতিবাদও করছে না। ওর ভীষণ একা লাগে।

    কিছুদিন পরে ও দেখল ওর ক্লাসের বন্ধুরা এবার নতুন নাম জোগাড় করেছে। বিজ্ঞানে ওরা পড়েছে কেঁচো হল উভলিঙ্গ প্রাণী। ওকে এবার পেছন থেকে সেই বন্ধুরা এই নামেই ডাকা শুরু করেছে। প্রতিদিন যেন আরো বিষাক্ত হয়ে উঠছে ওর কাছে। ক্লাস এইট থেকে নাইন হয়ে টেনে উঠে পড়েছে ছেলেটা। কিন্তু এই বিদ্রূপ বন্ধ হয় নি। নিজেকে ডুবিয়ে দিচ্ছে নিজের ভালো লাগার বিষয়গুলোতে। কাছের কিছু বন্ধুর সাথে অন্যান্য বিষয় আলোচনা করে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রাখছে। কিন্তু মনের কোনায় কোথায় যেন একটা গুমোট ভাব। সারাক্ষণ। কানের মধ্যে সেই কেঁচো কেঁচো ডাকটা ঘুরে বেড়ায়।

    ছেলেটা জানে ওকে জীবনে অনেক কিছু করতে হবে। লম্বা দৌড়। ও দৌড়ে নেবে। কিন্তু এই অপমান ও আর নিতে পারছে না। মাঝে মাঝে ক্লাসে/বাসে/রাস্তায় ও ভায়োলেন্ট হয়ে উঠছে। অবচেতন হয়তো ভাবছে এইভাবেই ও নিজের স্টিগমা কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু কষ্টটা আরো চেপে বসছে গলার ওপর।

    মাধ্যমিক এগিয়ে আসছে। স্কুলের টেস্ট পরীক্ষার পরে শেষ কটা সপ্তাহ। সবাই খুব উৎসাহিত, দুঃখিতও বটে। আর যে বন্ধুদের সাথে মজা করা হবে না। এদিকে ছেলেটা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। আর ওই ক্লাসরুমে যেতে হবে না। আর শুনতে হবে না ওই অসহ্য ডাক। স্কুলের শেষদিনে সবাই ঠিক করেছে ফটো তোলা হবে। শেষ স্মৃতি। সবাই মিলে একসাথে। সারা জীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকবে। জীবনে এই দিন একবারই আসে। মধ্যবয়সে স্মৃতিচারণ করতে হবে না?

    ছেলেটা আগের দিন রাতে ঠিক করলো স্কুলে যাবে না। যে স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল, যে স্কুলে ওর জীবনের প্রথম সবকিছু, বন্ধুতা, উদযাপন, সেই স্কুলের শেষদিনে ও ঠিক করলো ও আর বন্ধুদের সাথে দেখা করবে না। যারা খারাপ তাদের সাথে না, যারা ভালো তাদের সাথেও না। ছেলেটা বাড়িতে বসে উত্তর লেখা অভ্যেস করলো। বন্ধুরা ছবি তুলল, অনেক মজা, স্মৃতি, উচ্ছ্বাস।

    মাধ্যমিক হয়ে গেলো, বন্ধুরা ছড়িয়ে গেলো বিভিন্ন স্কুলে। ছেলেটা আর চেয়েও সেই দিনটা ফেরত পেলো না। মুহূর্তের কাছে ঋণী হয়ে রইলো ওর চেপে রাখা কষ্টগুলো।

    অনেক অনেক বছর পরে যখন সোশ্যাল মিডিয়া এসে গেলো, বন্ধুরা আবার জুড়তে শুরু করলো। পুরোনো অ্যালবাম ঘেঁটে সবাই সেই স্কুলের শেষ দিনের স্মৃতিচারণ করে। ছেলেটার জীবনে সেই স্মৃতির কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণটা ও জানে। ক'জন সেটা জানে বা মনে রেখেছে সেটা ওর জানা নেই।

    এখন ওকে লেডিস, কেঁচো ইত্যাদি বলে কেউ আর bully করে না। ছেলেবেলার ওই ট্রমার কথাও ওর অত মনে পড়ে না আর। কিন্তু এই স্মৃতি না থাকার ক্ষত ওর সারা জীবনের জন্য বন্ধু হয়ে থেকে গেলো। হয়তো থেকে যাবে শেষ দিন অবধি। কেন ওরা এরকম করতো বা করেছিল সেটা ও আজও বুঝতে পারলো না। ও কিন্তু কোনোদিনও ওদের সাথে দুর্ব্যবহার করেনি। খুব বন্ধুত্ব হয়তো ছিল না। কিন্তু শত্রুতাও তো ছিল না। তবু কেন করতো ওরা এরকম? উত্তর চাইলেও আজ আর পাবে না ও। সেই বন্ধুরা তো মনেই করতে পারবে না। হয়তো অস্বীকার করবে।

    ছেলেটা কোনোদিনও কাউকে বলেনি এসব। মা, বাবা, প্রিয় বন্ধু, প্রেমিকা কাউকে নয়। এখন সবই ধোঁয়াশার মত লাগে। হয়তো দুঃস্বপ্ন। ভ্রম। হবেই বা। হলেই বা কী! এখন সবাই তো নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছে। কি আর হবে এসব ভেবে।

    একদিন সেই বন্ধুদের মধ্যে একজন যোগাযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিব্যি আলাপচারিতা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেসোনেটও করে দু’জন। ছেলেটার মনে পড়ে পুরোনো কথা। আবার। মুচকি হেসে এগিয়ে যায় ও। স্মৃতি সততই সুখের নয়। কিন্তু কোথাও গিয়ে অতীত আর বর্তমান মেশে। স্মৃতির ভারে উপচে পড়ে চোখের কোণ।



    ওপরের গল্পটা বাংলার বা ভারতের বা পৃথিবীর হাজার হাজার ছেলের গল্প। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কখনো এর চেয়েও অনেক হাজারগুণ বেশি bullying আর সিস্টেম্যাটিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়। তাদের মধ্যে কিছু স্বপ্নদীপ থাকে, যাদের উপর অত্যাচার এমনভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় যে বেচারাদের আর লড়াই করার ইচ্ছেটুকুও আর বেঁচে থাকে না। উপরের গল্পের ছেলেটা লড়াইটা লড়তে পেরেছিল। যুদ্ধটা ওর জন্য অতটাও কঠিন ছিল না।

    একটা একটা করে স্বপ্নদীপ নিভে যায়। আমাদের অন্তরাত্মা কেঁদে ওঠে। জনমানসে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে। বাজারি আনন্দের পাতায় ঝলসে ওঠে সাংবাদিক/সাহিত্যিক/সম্পাদকের কলম। প্রাক্তন হেনস্থাকারী রাস্তায় নামে কালো পতাকা নিয়ে। টিভির পর্দায় মুচমুচে গসিপ। বাইট দিয়ে চলে যায় কলেজ পড়ুয়া, পথচারী, চেনা জানা মুখ। পণ্ডিত লোকজন সিপিএম তৃণমূলের কাজিয়ায় মন দেন। শ্রেণী সংগ্রামের যোদ্ধারা শহর-মফস্বলের দ্বান্দ্বিকতার গভীর বিশ্লেষণ করেন।

    কেউ একবার অন্দরমহলে উঁকি মেরে দেখে না সর্ষের মধ্যেই ভুত আছে কিনা। পৌরুষ কি? ঘরে ঘরে ক্যাজুয়াল আলোচনায় queer সমাজের প্রতি হালকা বিদ্বেষ আর তাচ্ছিল্য যেভাবে আমরা অগোচরে শিশুদের মনে রোপণ করছি, করে চলেছি তার খোঁজ কেউ রাখে না। আজও পুত্রসন্তান তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ করে ফেললে অনেক বাবা এবং ক্ষেত্র বিশেষে মা'ও বলে ওঠেন "মেয়েদের মত কাঁদছিস কেন?" যেন কান্নাটা অভিযোজনের ফলে শুধু স্ত্রীলিঙ্গের জন্যই নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।

    একটা ছেলেকে ম্যাসকুলিনিটির পাঠ দেওয়া হয় খুব ছোট থেকে। কখন যে নিখাদ ম্যাসকুলিনিটি টক্সিক ম্যাসকুলিনিটিতে বদলে যায় তার হিসেব পাওয়া দায়। নিৎশের ubermensch এর একটা কদর্য রূপ এই সমাজ প্রোথিত করে চলেছে দীর্ঘকাল ধরে। Ubermensch এর আদর্শ সত্যি হলে এই সমাজের প্রতিটা পুরুষ কনভেনশনাল মরালিটির ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজস্ব ভ্যালু সিস্টেমকে অগ্রাধিকার দিত। সেই নিজস্ব ভ্যালু সিস্টেম তৈরি করতে হলে সর্বাগ্রে এই আদারিং কে বন্ধ করতে হয়। আমরা তা না করে ছেলেদের শেখাই কিভাবে নিজের সুপিরিয়রিটি অন্য সব স্তরের মানুষের সামনে এস্ট্যাবলিশ করে যেতে হয়। সেটা না করতে পারলে ছেলেটি হয় ন্যাকা, দুর্বল বা ক্যাবলা।

    মানুষকে এই হেটেরোনর্মেটিভ জেন্ডার আইডেন্টিটির বাইরে গিয়ে আশেপাশের লোকেদের দেখতে শিখতে হয়। সে পথ সোজা নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের সমাজ/শিক্ষা ব্যবস্থার, যে বুনিয়াদি স্তরে সেই ভাবনার কোনো বীজ বপনের চেষ্টা কোনো কারিকুলাম/পেডাগজি আজ পর্যন্ত করেনি।

    যতদিন না এই টক্সিক ম্যাসকুলিনিটিকে গ্লোরিফাই করা বন্ধ হবে, নমনীয়তা বা ভদ্রতাকে দুর্বলতার সাথে ইকুয়েট করা বন্ধ হবে, ততদিন এরকম কত শত স্বপ্নদীপ যে লড়াইয়ের ময়দানটা ছেড়ে দেবে বা হার মেনে নিতে থাকবে সেটা ভাবার সময় এসেছে। বাকি রাজনীতি/লিগেসি বা অন্য সব রকমের আঙ্গিক সত্য। কিন্তু সেগুলো পেরিফেরাল, ইনসিডেন্টাল। কখনোই root cause নয়।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১১৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • লেখক শংকর হালদার | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০১522456
  • ভীষণভাবে দুঃখজনক ঘটনা। এভাবে রেগিং হতে থাকলে ছাত্রদের জীবনের ভবিষ্যৎ কি?
    শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে কোন নিরাপত্তা নেই, এর জন্য দায়ীকে রাজ্য সরকার না কেন্দ্রীয় সরকার।
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:২৪522480
  • ''এখন ওকে লেডিস, কেঁচো ইত্যাদি বলে কেউ আর bully করে না। ছেলেবেলার ওই ট্রমার কথাও ওর অত মনে পড়ে না আর।'' /''একটা ছেলেকে ম্যাসকুলিনিটির পাঠ দেওয়া হয় খুব ছোট থেকে। কখন যে নিখাদ ম্যাসকুলিনিটি টক্সিক ম্যাসকুলিনিটিতে বদলে যায় তার হিসেব পাওয়া দায়।''/ '' Ubermensch এর আদর্শ সত্যি হলে এই সমাজের প্রতিটা পুরুষ কনভেনশনাল মরালিটির ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজস্ব ভ্যালু সিস্টেমকে অগ্রাধিকার দিত। সেই নিজস্ব ভ্যালু সিস্টেম তৈরি করতে হলে সর্বাগ্রে এই আদারিং কে বন্ধ করতে হয়। আমরা তা না করে ছেলেদের শেখাই কিভাবে নিজের সুপিরিয়রিটি অন্য সব স্তরের মানুষের সামনে এস্ট্যাবলিশ করে যেতে হয়।'' 
    আশেপাশের লোকদের দেখতে শেখার ভ্যালু সিস্টেমটা গড়ে উঠেনি বাংলাদেশেও। একই রোগের জীবানু বহন করে চলেছি আমরাও যুগযুগান্তর ধরে। 
  • Ranjan Roy | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪০522481
  • মামুনভাই ঠিক জায়গাটা ধরেছেন।
     সরকারের দায়িত্ব আলাদা।
    রোগটা রয়েছে আমাদের ভেতরেই।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2d6c:baa8:b8d5:***:*** | ১৬ আগস্ট ২০২৩ ০৭:০৩522526
  • ভাল লেখা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন