এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • বাংলা পরিভাষা

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ০৫ জুলাই ২০২৩ | ১৬২৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৫ জন)
  • বাংলায় শিক্ষা-টিক্ষা চালু করার কথা এলে, সেই রবীন্দ্রনাথের আমল থেকে দুটো কথা উঠে আসে। পৌনপনিক দশমিকের মতো এসেই চলেছে। এক, বাংলার পরিভাষাগুলো কিম্ভূত। ছোটো থেকে শুনে আসছি, গতিজাড্য, ভরবেগ, জ্যা, ব্যাসার্ধ, কূটাভাষ, চলগতিবিদ্যা, বস্তুবাদ, যুক্তিবাদ, তাত্ত্বিক প্রস্থানবিন্দু, এইসব নাকি খুব কঠিন কথা। 'উদস্থৈতিক কূট'? হ্যাহ্যাহ্যা সেটা আবার কী? মফঃস্বলবাসীরা শুনে-শুনে পচিয়ে ফেলেছি। অথচ, কথাটা একেবারেই ফালতু। মায়ের পেট থেকে পড়েই 'হাইড্রোস্ট্যাটিক প্যারাডক্স' কাকে বলে কেউ বুঝে যায়না, আর অ-ইংরেজভাষীদের পক্ষে, খুব অভ্যাস না থাকলে, বলতে দাঁত খুলেও যেতে পারে। স্ট্যালাগটাইট, স্ট্যালাগমাইট, ইন্টারডিসিপ্লিনারি-ডিসকোর্স, এসবই চোয়াল-ভাঙা কঠিন জিনিস। বৈজ্ঞানিক নামগুলো তো, ওরে বাবা। পেরিপ্ল্যানেটা আমেরিকানা, মানে নাকি আরশোলা, হোমো-স্যাপিয়েন্স মানে মানুষ। তার আগে ছিল নিয়েন্ডারথাল, হোমো-ইরেকটাস। প্রচুর মুখস্থ না করলে মনে রাখা সম্ভব না। আমাদের পন্ডিতদের যেমন তৎসমের উপর একটা ঝোঁক ছিল, পশ্চিমের পন্ডিতদের ছিল লাতিনের উপরে। সব একই রকম খটোমটো। অভ্যাস করলেই অভ্যাস হয়ে যায়। নইলে হয়না।

    দ্বিতীয় যে জিনিসটা শোনা যায়, সেটা হল পরিভাষা, বা আধা-পরিভাষা - এদের নাকি ঠিক আক্ষরিক অর্থ পাওয়া যায়না। পরিভাষা ছাড়ুন, বাংলায় যখন 'চিন্তাশীল' শব্দটা লেখা শুরু হয়, তখনও বহুলোকে খুঁত ধরেছিলেন, এটা তো বাবা ঠিক থটফুলের বাংলা হলনা, কারণ চিন্তা বলতে বাংলায় দুশ্চিন্তা বোঝায়। কথাটা একেবারেই ভুল না, কিন্তু তার সঙ্গে আরও একটা কথা ঠিক, অর্থের সংকোচন-প্রসারণ-প্রতিসরণ - এইসব হয়ে থাকে। এই এখানেই প্রতিসরণ শব্দটা ধরুন ব্যবহার করলাম 'সারপ্লাস-মিনিং'এর বদলে। বুঝতে কিস্যু অসুবিধে হচ্ছেনা। কিন্তু সারপ্লাস-মিনিং আর প্রতিসরণের অর্থ কি এক? একেবারেই না। কিন্তু বাক্যে দিব্যি চলে গেল। এবং এই যে একের-সঙ্গে-এক প্রতিশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা, এটা কি ওই ভাষার দুর্বলতা? মোটেই না, ওটাই ভাষার জোর। এস্কিমোদের ভাষায় বরফের নাকি নটা প্রতিশব্দ আছে, কী-কী আমি জানিনা, সসুর লিখেছিলেন। তার কোনোটা দিয়েই ঠিক বরফ আর তুষার বোঝানো যায়না, আরও সূক্ষ্ণ-সূক্ষ্ণ ভাগ। সেটা কি ওই ভাষার দুর্বলতা? হ্যাহ্যা, দেখ, বরফেরও প্রতিশব্দ নেই? না। ওটাই জোরের জায়গা এবং বাংলা বা ইংরিজির দুর্বলতা। একই ভাবে, ধরুন, ইংরিজিতে বলা হয়, 'দিস স্টেটমেন্ট ইজ প্রবলেমেটিক'। এই প্রবলেমেটিক এর সরাসরি কোনো হুবহু প্রতিশব্দ বাংলায় নেই। বাংলায় যা-যা আছে, তা কিন্তু অনেক। ভজকট, গোলমেলে, সমস্যার, সমস্যাজনক, সঙ্কটপূর্ণ, ইত্যাদি-প্রভৃতি। 'প্রবলেমেটিক'এর সূক্ষ্ণ-সূক্ষ্ণ ভাগ। 'ইন্টারেস্টিং' ও তাই। কৌতুহলোদ্দীপক, আকর্ষণীয়, চিত্তাকর্ষক, মনোযোগ-উদ্রেককারী, মনমোহিনী, যা খুশি হতে পারে। এবার আপনি যদি ইংরিজিতে ভাবেন, 'প্রবলেমেটিক', কিংবা 'ইন্টারেস্টিং' আর তারপর সেটা বাংলায় লিখতে যান, তো সমস্যা হবেই। আপনি হুবহু প্রতিশব্দ খুঁজে পাবেননা। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এটা ভাষার সমস্যা মনে হয়, তো তার মানে বাংলা ভাষার জোরের জায়গাটাই আপনি বোঝেননি। জোরের জায়গাটা হল, ব্যাপারটাকে আরও সূক্ষ্ণভাবে প্রকাশ করার কলকব্জা তৈরি করে রাখা হয়েছে। প্রেক্ষিত অনুযায়ী জুৎসই জায়গায় ঠিক শব্দটা প্রয়োগ করতে হবে। না পারলে সেটা আপনার অক্ষমতা। কাটানোর জন্য বাংলায় ভাবুন, ভাষাটা শিখুন। সমস্যাটা ভাষার না। 

    হ্যাঁ, এর পরেও, হুবহু প্রতিশব্দ প্রচুর লাগে। যেমন ধরুন সার্নে কী একটা যন্ত্র আছে, ইংরিজিতে যাকে বলে পার্টিকল-অ্যাক্সিলেটর। এবার এটার একটা হুবহু প্রতিশব্দ নিশ্চয়ই দরকার। কিন্তু যেই বানাবেন, আগের দুটো সমস্যা এসে হাজির হবে। ধরুন বললেন কণা-ত্বরণকারী, ব্যস হইহই পড়ে যাবে, ও বাবা, কী কঠিন। অথচ এই পার্টিকল-অ্যাক্সেলেটর ইংরিজিতেও একটা খটমট এবং বানানো শব্দ। কিন্তু সবই অভ্যাসের মাহাত্ম, অথবা প্রভুদের কঠিন, কঠিন না। এবার ধরুন খটমটত্ব কাটাতে সোজা বাংলায় বললেন কণা-তাড়ানোর-কল। এবার তো প্রথমে হ্যাহ্যা, এটা কী হয়েছে? বাংলায় ধারাভাষ্য শুনলে যেমন করে লোকে। তারপর বলা হবে, ত্বরণ আর তাড়ানো কি এক হল? আরে ভাই, এটা তো একটা নাম, (বা চিহ্ন, যা কিনা সবসময়ই উলোঝুলো)। যদি গুপিযন্ত্রই দেন, তাতে কী আর এসে যায়। লোকের নাম তো মনোহর ও হয়, তাকে কি দারুণ দেখতেই হবে? ইংরিজিতে কম্পিউটারের সমস্যাকে 'বাগ' বলতে আটকায়না, সেখানে তো সত্যিই পোকা ঢুকে বসে থাকেনা। বলতে-বলতে অর্থটা প্রসারিত বা প্রতিসারিত হয়ে গেছে। প্রতিশব্দের ক্ষেত্রেও তাই। চালু করে দিন, অর্থ এমনি ওর ভিতরে ঢুকে যাবে, যেমন বোতলে ঢোকে দৈত্য। 

    এরপরও অবশ্য আরেকটা কথা থাকে। যেটা রবীন্দ্রনাথের আমলে শোনা যেত কিনা জানিনা ঠিক। সেটা হল, সবকিছুর বাংলা করার দরকারটা কি? চেষ্টা করে খামোখা চালু শব্দের খটমট প্রতিশব্দ বানাব কেন? এটা সত্যি কথা। রকেট,বাস-ট্রাম-টেম্পো - এসব বাংলা কথা। যেমন বাবা-আব্বা-আলমারি। কিন্তু কিছু আবার বাংলা নয়। যেমন 'কাউন্টারসার্ভিলিয়েন্স' বাংলা নয়। 'বাট' বাংলা নয়, সে ইঙ্গবঙ্গরা যতই 'আমার তো যাবার উইশ ছিল, বাট যেতে পারবনা রে' বলুননা কেন। কথা হল, এই যে বলে দিলাম, এইটা বাংলা ওইটা নয়, কীকরে বললাম? সোজা ব্যাপার। একটা লোক খুঁজে বার করুন, যে ইংরিজি জানেনা। সে যা জানে, সেটা বাংলা, যা জানেনা, সেটা নয়। খুঁজে না পেলে আন্দাজ করে নিন। যেমন, 'ড্রাইভারটা তো অপঘাতে মরল, না না রোডে না, সুইসাইড করল' - এই রোড, ড্রাইভার, সুইসাইড নিঃসন্দেহে বাংলা শব্দ। অভিধানেও ঢোকা উচিত। কিন্তু 'অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথে হসপিটাল ক্লিয়ারেন্স পাওয়া কঠিন' এর মধ্যে হাসপাতাল বাদে আর কিছুই বাংলা না। এগুলোর পরিভাষা দরকার। 'দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে হাসপাতালের ছাড়পত্র পাওয়া কঠিন' এই জাতীয়। এই পুরোটাই পরিভাষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। অবশ্য এতে একটা সমস্যাও আছে, একটাই। সেটা হল, বিজ্ঞান বা কলা, যেখানেই হোক, উচ্চশিক্ষিত লোকেদের মধ্যে শুধু বাংলা জানে, ইংরিজি জানেনা, এরকম লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে আর কি, মোটামুটিকরণ করে চালাতে হবে। এখানে এই মোটামুটিকরণ শব্দটা লক্ষ্য করবেন, তাতেই ব্যাপারটার আন্দাজ পাবেন। আপনি ইংরিজিশিক্ষিত হলে মোটামুটিকরণ কথাটা বলতেননা। অন্য একটা শব্দ বলতেন। কিন্তু ওটা ইংরিজি শব্দ, আমরা মোটামুটি জানি, তাই আমি বাংলায় লিখলাম। দিব্যি বোঝা গেল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ জুলাই ২০২৩ | ১৬২৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    লোকটা - Kunal Basu
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিএস | 103.99.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৩ ১০:৫০521015
  • প্রতি জেনারেশনে এই বস্তুটি ঘটে। বাংলা পরিভাষা ইত্যাদি।

    রবিবাবু, সত্যেন বসু - সুভাষ মুখুজ্যে, পবিত্র সরকার - সুনীল গাঙ্গুলী, সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কতখানি কী হয়, হয়েছে, কে জানে, সরকারি অফিস - কোর্ট - হাসপাতাল ইত্যাদি জায়গায়।
     
  • Kuntala | ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৩521028
  • বাহ, বেশ ভাল লাগল পড়ে। চমৎকার লিখেছেন।
    আমি ভূগোল চর্চা করি, সেই সুবাদে ভূগোলের ইতিহাস ও দর্শন নিয়ে বই লিখতে শুরু করি উনিশশো নব্বইয়ের গোড়ার দিকে। তৎসম শব্দগুলো না জানা থাকলে বইটা লিখে উঠতে পারতাম না। যেমন ধরুন spatial শব্দটি। এটি ভূগোলের মূল শব্দ অথচ এর বাংলা 'দৈশিক' শুনলেই খটোমটো লাগে। 
  • kk | 2607:fb91:890:635e:10f:2604:f23b:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৩521030
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় আমার কমেন্ট করার ক্ষমতা কিম্বা সাহস হয়না বিশেষ। তবু বলছি, এই লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৯521127
  • আমা দু পয়সা -আমার পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমেই - ফলে সরণ, ত্বরণ এইসবই শিখে বড় হয়েছি - তাতে কান কটকট করেনি মোটেই। কিন্তু সেই concept গুলো english এ পড়ে মনে হয়েছে - অনেক objective ভাল ইংলিশ এ লেখা যায়। 
     
    কিছুদিন আগে একজন অফিসার suspend হওয়াতে আবাপ লেখে - 'নিলম্বিত আধিকারিক' - ভাবা যায়? যেমন - solar cooker এর প্রতিশব্দ 'রবি ঠাকুর' [ শেখর মুখো উবাচ]।
     
    Practical use না থাকলে সেটা পরবর্তীতে সুবিধার থেকে অসুবিধাই তৈরি করে বেশি বলে আমার মনে হয়। যারা জাপান বা ফিনল্যান্ডের উদাহরণ দেন এ প্রসঙ্গে তাঁদের কাছে জিজ্ঞাস্য - এখানে কি সেরকম একই ভাষায় চাকরির তুলনীয় বাজার আছে? না হলে এত পরিভাষা আরোপিত হয়েই থাকবে - সেই বাহন এর বদলে বহন করেই চলতে হবে।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৮521128
  • পুনশ্চ: "পৌনপনিক দশমিকের" দেখে মনে পড়ল - 
    "ব্যাটার ধ্যাড়ারাড়া চলেছে যেন রেকারিং ডেসিমাল।" - সেখানে হাসতে তো আমাদের তখনো কষ্ট হয়নি - তাহলে পৌনপুনিক শব্দ না থাকলে কি ক্ষতি হত? তর্জমা আর পাণ্ডিত্য বিচার না করে শিক্ষার মূলে জোর দিলে বোধহয় আখেরে ভাল।
  • Ipsita Pal Bhowmick | ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৯521913
  • ক:দিন ধরে ভাটে নানা বাংলা পরিভাষা, প্রতিশন্দ নিয়ে পোস্ট আসছে, এখানে একজায়গায় থাকুক না, খুঁজেপেতে সুবিধে হয়! 
  • Sumanta Bhaumik | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৬521929
  • লেখাটা পরিভাষা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা উসকে দিল। সরকারি পরিভাষার একটা বই ছিল। একটা চেষ্টা হয়েছিল সরকারি কাজ বাংলা ভাষায় চালু করার। কর্মচারী আমলাদের সদিচ্ছার অভাবে সে উৎসাহে ভাটা পড়েছিল। অবশ্য সরকারও যে পরে সেটা নিয়ে খুব উদ্যোগী ছিল তাও বলা যায় না। আরও কয়েকটা এপিসোড লিখুন। একসময় খবরের কাগজ গুলো চেষ্টা করেছিল। যানজট, তড়িদাহত, বাতানুকূল এরকম শব্দ বোধহয় খবরের কাগজেরই অবদান। 
  • Bratin Das | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:৫১521934
  •  এই প্রসঙ্গে  একটা মজার কথা মনে পরে গেল। তখন কগনিজেন্টে। আমেরিকান ক্লায়েন্ট  এসেছে। খুব জলি এটার বাংলা,ওটা র বাংলা জিজ্ঞেস  করছ 
     তখন আমাদের টিমের এক "বদমাশ " বলছে... hey Steve u know what..sometimes u have to ask, can u plz come again or I do not understand what u are talking ".....All these stuffs can be summarized in one bengali word.."অ্যাঁ"!!wink
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন