এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • বটগাছ

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০২ মে ২০২৩ | ৮৮১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মেট্রো স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার পথে অটোটা ঠিক পাঁচবার বাঁক নেয় – অমিত হিসেব করে দেখেছে। সুধীন সমাদ্দারের বাড়ি ঠিক তিন নম্বর বাঁকের মুখে। সুধীন সমাদ্দারকে অমিত চেনে না। কিন্তু রোজই দেখে তাকে তাঁর বাড়ির বারান্দায় বসে লিখতে। সুধীন সমাদ্দার ছোট ছোট কবিতা লেখেন আর লিখে বাড়ির দরজা বা বাইরের দেওয়ালে আটকে দেন। তলায় সই – সুধীন সমাদ্দার। অমিত তাই সুধীন সমাদ্দারের নাম জানে। নইলে জানার কথা না। কবিতা লিখে দেওয়ালে টাঙ্গানো অদ্ভুত নিশ্চয়ই, কিন্তু আরো অদ্ভুত কবিতার বিষয়বস্তু। কবিতা বলতে অমিতের ধারণা ছিল খুব বায়বীয় কিছু ব্যাপার, তাই কোনদিনই কবিতার ধারপাশ মাড়ায় নি সে। সুধীনের কবিতা একদমই সেরকম নয়। বরং সুধীন সমাদ্দারের কবিতা তাঁরই  দৈনন্দিন জীবন নিয়েই। যেমন মাসখানেক আগের একটা কবিতা ছিল এইরকম – “সৎ পথে চললে/ কোনদিন হবে না তো টাকা/মিছে কথা বলি নাই/আমার পকেট তাই ফাঁকা”। অমিত খেয়াল করে দেখেছে, বিভিন্ন বিষয়ে লেখা হলেও, সব কবিতার মধ্যেই একটা ব্যঙ্গের সুর আছে। অমিত যাতায়াতের পথে রোজ সুধীন সমাদ্দারের কবিতা পড়ে। তার মধ্যে দিয়ে যেন তাঁর জীবন দেখতে পায়। এই যেমন গত পরশু সুধীন সমাদ্দার লিখেছিলেন “আলুর বেজায় দাম/ পেঁয়াজও আগুন/সাদা ভাত খাই তাই/তার সাথে নুন। অমিত পড়তে পড়তে দেখতে পায়, প্রৌঢ় সুধীন দুপুরবেলা একা একা নুন দিয়ে ভাত মেখে খাচ্ছেন। সুধীন সমাদ্দার যে একা মানুষ সেটা অবশ্য অমিতের ধারণা। সুধীন সমাদ্দারের ঘরটা রাস্তার পাশেই, দরজাও সবসময় খোলাই থাকে। অটো থেকে ঘরের যে ঝলক দেখা যায় তাতে সুধীন সমাদ্দার যে একা মানুষ সেটা বোঝার জন্য ফেলুদা হতে হয় না। আসবাবহীন একটা ঘর। তাতে শুধু একটা তক্তপোষ, একটা আলমারি আর একটা স্টীলের আলমারি। ঘরটার মধ্যেই, এককোণে মাটিতে রাখা একটা গ্যাসের উনুন আর রান্নার টুকিটাকি সরঞ্জাম।

    এভাবেই চলছিল। সুধীন সমাদ্দারের বাড়ির দেওয়াল যেন তাঁর ফেসবুকের পাতা। তাঁর জীবনের নানান ওঠাপড়া উঠে আসে সেখানে। অমিত জানতে পারে কবে কাগজওয়ালা তাঁকে ভিজে কাগজ দিয়েছে, কবে বিড়ির দাম বাড়ল আবার কবে তরকারিওয়ালা সুধীনবাবুকে পোকা বেগুন দিয়ে গেছে। এর মধ্যেই হঠাৎ একটা কবিতা পড়ে একটু যেন আশঙ্কিতই হল অমিত। বাইরের দেওয়ালে অমিত দেখল লেখা আছে “প্রোমোটার ভাঙ্গবেই/বলে গেছে বাড়ি/উকিল বাঁচাতে পারে/দিলে টাকাকড়ি”। সেদিন অটোর পেছনের ডানদিকে বসেছিল অমিত। তাই খুব তাড়াতাড়ি লেখাটায় চোখ আটকে যায়। অমিত ভাবার চেষ্টা করে পরিস্থিতিটা। হয়ত শরিকি বাড়ি, বাকি লোকেরা একজোট হয়ে চাইছে বাড়ি ভেঙ্গে ফ্ল্যাট হোক। সুধীন বাবু হয়ত তা চান না, কিন্তু তিনি অসহায়। অথবা হয়ত সুধীনবাবু ভাড়াটে, বাড়িওয়ালা চাইছে সুধীনবাবুকে তুলে দিয়ে ফ্ল্যাট করতে। ঠিক কী হয়েছে অমিত তার কিছুই জানে না। কিন্তু ওর মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। অমিত চাকরি পেয়েছে কয়েকমাস হল। সুধীন সমাদ্দারকে সে চেনে না।  কিন্তু এই ক’মাসেই সুধীন সমাদ্দারের সাথে যেন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক হয়ে গেছে অমিতের। প্রতিদিনের দেওয়াল-নামচা থেকে অমিত খোঁজ পেত একটা লোকের জীবনের। সেটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভেবে মনটা একটু খারাপই লাগে অমিতের। সেদিন অফিসে ঢুকে একটু অন্যমনস্ক হয়েই বসে ছিল অমিত। ব্যাপারটা চোখ এড়ায়নি ওর সহকর্মী কুন্তলের। কুন্তল জিজ্ঞেস করল,” কী হয়েছে বস? প্রেমে ছেঁকা খেলে নাকি?” অমিত হাসে। বলে, “দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন অ্যান্ড আর্থ কুন্তলবাবু, যা তোমার নেটফ্লিক্স ভাবতেই পারবে না। দুটো চা বল। বলছি”। কুন্তল তাদের অফিস পিওন কার্তিককে দুটো চা আনতে বলে। তারপর অমিত পুরো গল্পটা বলে। শুনে কুন্তলও বেশ অবাকই হয়। জিজ্ঞেস করে, “তা, একবার যাবি নাকি ব্যাপারটা দেখতে? মানে ধর যদি কিছু হেল্প-টেল্প করা যায়।” অমিত কিছু বলার আগে কার্তিক দু-কাপ চা নামিয়ে দিয়ে বলে, “আপনি পাগলা সুধীনের কথা বলছেন? ও তো স্যার এই এরিয়ায় ফেমাস”। অমিত আর কুন্তল দুজনেই জিজ্ঞাসু চোখে কার্তিকের দিকে তাকায়। কার্তিক এই অঞ্চলেরই লোক।  কার্তিক বলে চলে, “সুধীনদা’র স্যার বরাবরই একটু মাথায় ছিট। বউ মারা যাবার পর আরো বেড়েছে। ওর এক ছেলে আছে - বিল্টু। ওদের ছোটবেলা থেকেই চিনি। সে বউ-বাচ্চা নিয়ে ওই বাড়িরই পেছন দিকে থাকে। সুধীনদার সাথে ওদের বনে না। উনি আলাদাই রান্না খাওয়া করে। বিল্টু, ওর কাকা-জেঠাদের সাথে মিলে বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়েছে। বলাইদা করছে তো প্রোমোটারি। শুনেছি বিল্টুরা দুটো ফ্ল্যাট পাবে। একটায় বিল্টুর ফ্যামিলি, আরেক্টায় সুধীনদা। তা সুধীন পাগলা নাকি যেতে চাইছে না। স্যার, ফ্ল্যাট কিনবেন নাকি? আমি আবার সাইডে এই সব খোঁজখবর করি একটু”। অমিত বা কুন্তল কারোই ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা নেই। তারা কার্তিককে বিদায় দিয়ে যার যার ডেস্কে ফেরে। অমিত ভাবতে থাকে। সে যা ভাবছিল তা ঠিক নয় তাহলে। অত্যাচারী প্রোমোটারের হাতে নিপীড়িত জনগণ – এই হেডলাইনে ঠিক খাপ খায় না গল্পটা। আর পাঁচজনের মত বিল্টুও স্বপ্ন দেখে সাজানো ফ্ল্যাটে উঠে যাওয়ার। তার বাবা এই অগোছালো বাড়িতেই থাকতে চান, কবিতা লাগাতে চান বাইরের দেওয়ালে। বিল্টু আর তার বাবার মধ্যে কে ঠিক বুঝতে না পেরে অমিত জানলা দিয়ে বাইরে তাকায়। অফিস বাড়ির একটা দেওয়াল এই জানলা দিয়ে নজরে পড়ে। অমিত দেখতে পায় একটা বটের চারা দেওয়াল ফুঁড়ে বেরোচ্ছে। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে, সেই জলে বটের পাতাগুলো চকচক করছে। অমিতদের অফিসবাড়ি রঙ হয় নি অনেকদিন। ধুসর, বিবর্ণ দেওয়ালের মধ্যে এক টুকরো সবুজ দেখতে দেখতে অমিত ভুলে যায় বটের শিকড় দেওয়াল ফাটিয়ে দিতে পারে। সে খানিক মুগ্ধতা নিয়েই তাকিয়ে থাকে হাওয়ায় মাথা দোলাতে থাকা বটের চারায়। চমক ভাঙ্গে কার্তিকের ডাকে, “স্যার, একটু ঊঠে আসুন”। অমিত তাকিয়ে দেখে কার্তিকের সাথে আরো দুটো লোক। দুজনেরই পরনে বিবর্ণ টি-শার্ট আর টেরিকটের প্যান্ট, একজনের কোমরে গামছা বাঁধা। দেখে মনে হয় এরা মিস্ত্রীর কাজ করে। অমিত ডেস্ক ছেড়ে উঠতেই,  কার্তিক লোকদুটোকে জানলার ধারে নিয়ে গিয়ে বলে, “ওই দেখ বটের চারা গজিয়েছে। দেখেছিস। এগুলো সব তুলতে হবে”। লোকদুটো মাথা নেড়ে চলে গেলে অমিত জিজ্ঞাসু চোখে কার্তিকের দিকে তাকায়। কার্তিক বলে, “অফিসবাড়ি রঙ হবে স্যার। জায়গায় জায়গায় বটের চারা বেরিয়েছে । সেগুলো তুলবে আগে। বটের চারা খুব ডেঞ্জার জিনিস! বাড়ি ফাটিয়ে দিতে পারে”। অমিত মাথা নাড়ে, সে জানে।

    এরপর থেকে অমিত প্রায় প্রতিদিনই খেয়াল করত সুধীন সমাদ্দার কী লেখেন। কবিতা থেকে বোঝা যেত সুধীন সমাদ্দার আইনের লড়াইতে জড়িয়ে পড়ছেন। বা পড়ছেন না। মনে হচ্ছে যেন আইনের লড়াই ছেড়ে উনি শুধু ওনার কথা জানিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। একদিন অমিত দেখল সুধীন সমাদ্দার লিখেছেন, “আজ ছিল গোটা বাড়ি/কাল যাবে বাড়ি ভাঙ্গা/ছেলে পাবে টাকা,গাড়ি/বাবা যাবে আমডাঙ্গা”। পাড়ার লোক হয়তো হাসাহাসি করছে এইসব পড়ে। হয়ত মজাই পাচ্ছে পাগলের প্রতিরোধ দেখে। অমিতের কোথাও একটু কষ্টই লাগে। প্রতিদিনের লেখা পড়তে পড়তে অমিত বুঝতে পারে বাড়ি ভাঙ্গা পড়ার দিন এগিয়ে আসছে। শেষ যে লেখাটা অমিতে পড়েছিল সেটা হল, “কাল আসবে বুলডোজার/সুধীন হল পগারপার”। পরের দিন থেকে বাড়ি ভাঙ্গা শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবে লেখা টাঙ্গানোও বন্ধ হয়ে যায়। সুধীন সমাদ্দারকেও আর কোনদিন দেখতে পায় নি অমিত। বাড়ি ভেঙ্গে, বাড়ি তৈরি শুরু হয়। অমিত একদিন কার্তিককে জিজ্ঞেস করে, “সুধীন সমাদ্দারের খবর কিছু জানো কার্তিক?” কার্তিক বলে, “ওরা স্যার ভেতরের দিকে কোন ফ্ল্যাটে চলে গেছে। শুনলাম বিল্টুর ফ্ল্যাট কেনা ছিল। সেখানেই চলে গেছে। নতুন ফ্ল্যাট ওরা বিক্রি করে দেবে শুনছি। কিনবেন নাকি স্যার? আমি যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি”। ফ্ল্যাট বিক্রিতে উৎসাহী কার্তিককে বিদায় দিয়ে অমিত অন্যমনস্ক ভাবে জানলা দিয়ে বাইরে তাকায়। তাদের অফিসবাড়ি রঙ হচ্ছে। দেওয়ালের বটের চারা উধাও।

    অমিতদের অফিস এখন নতুন রঙে ঝকঝকে। বছর ঘুরে আসে। সুধীন সমাদ্দারের বাড়িতেও ফ্ল্যাট উঠছে পুরোদমে। সামনের দিকটা, যেখানে সুধীন সমাদ্দার বসতেন, সেখানে দুটো দোকানের আদল যেন। নিচে দোকানঘর, ওপরে বসতবাড়ি। যেমন হয় আজকাল। পেছন দিকটায় মনে হয় গ্যারেজের ব্যবস্থা। প্রতিদিন অটোতে যাওয়ার সময় অমিত লক্ষ্য করার চেষ্টা করে সুধীন সমাদ্দারকে কোথাও দেখতে পাওয়া যায় কিনা। কিন্তু নাঃ! সেরকম কিছু নজরে পড়ে না। এরপর একদিন অমিত দেখতে পায় ফ্ল্যাট বাড়ির সামনে ম্যাটাডর। মাল নামাচ্ছে কেউ, নতুন ফ্ল্যাট মালিকরা আসতে শুরু করেছে তার মানে। অফিসে পৌঁছে ঠিক যেন কাজে মন বসে না অমিতের। মনে হতে থাকে আর কিছুদিনের মধ্যে সুধীন সমাদ্দার সম্পূর্ণ মুছে যাবে সবার স্মৃতি থেকে। সবকিছুই হয়ে যাবে, আর পাঁচটা পাড়ায় যেরকম হয় সেরকমই। দশটা-পাঁচটার অফিস, পাঁচটা-দশটার সংসার। কিন্তু তা নিয়ে মনে খারাপের কী আছে অমিত ভেবে পায় না। অমিত নিজেও তো সেরকমই একটা জীবনে আছে। তবু একটা হাল্কা মন খারাপ যেন দানা বাঁধে গলার নিচে। অমিত জানলা দিয়ে তাকায় বাইরের দিকে। দেখে তাদের নতুন রঙ করা দেওয়ালে নতুন একটা বটের চারা মাথা তুলছে। এখন শ্রাবণ মাস। বৃষ্টির জলে ভিজে কেমন চকচক করছে পাতাগুলো। “বটের চারা ডেঞ্জার স্যার” – কার্তিকের সাবধানবাণী মনে পড়ে। তবু সে কার্তিককে ডেকে দেখায় না। একটু যেন আনন্দই হয় তার একটুকরো সবুজ দেখতে পেয়ে। তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ে সে।

    আশ্বিন মাস পড়ে গেছে বোধহয়। নীল আকাশ, সাদা মেঘ। কেমন যেন পূজো পূজো ভাব। কিন্তু একটা ভ্যাপসা গরম রয়েছে। অমিত মাঝেমাঝেই দেখে নতুন কোন ফ্যামিলি ফ্ল্যাটবাড়িটায় ঢুকছে। যাওয়া আসার পথে, নতুন কেউ এলো কিনা দেখে নেওয়াটা অমিতের অভ্যেসই হয়ে গেছে বলা যায়। সেদিনও সেরকমই নজর করে দেখল একটা ট্রাক দাঁড়িয়ে আর তার পেছনের গাড়ি থেকে স্বামী,স্ত্রী আর বাচ্চার একটা ছোট পরিবার নামছে। প্রায় সব ফ্ল্যাটেই লোক চলে এল এরকম ভাবতে ভাবতেই অমিতের অটোটা এগিয়ে এল বেশ খানিকটা। এসে দাঁড়ালো। কেউ হাত দেখিয়েছে অটোতে উঠবে বলে। আর তখনই অমিতের চোখে পড়ল কাগজটা। একটা ল্যাম্পপোস্টের গায়ে লাগানো। তাতে লেখা চারটি লাইন – “ফাটিয়ে পাঁচিল/উঠবেই বটচারা/থাকলে মুরোদ/উপড়ে দেখা তোরা”। হাতের লেখাটা খুব চেনা অমিতের। বটের চারা সত্যি ডেঞ্জারাস। অমিতের মন ভালো হয়ে যায়।  ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও ঠান্ডা লাগতে শুরু করে তার। চোখ বুজে, মনে মনে হেসে ফেলে অমিত।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০২ মে ২০২৩ | ৮৮১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০২ মে ২০২৩ ১২:১৮519281
  • অনেকদিন বাদ ফিরে এলেন। পড়ে আমিও মনে শান্তি পেলাম। দারুণ লেখা। মনটা অন্যরকম হয়ে গেল। তবে শেষটা আরেকটু যেন কিছু ডিমান্ড করছিল। একটু অন্যভাবে শেষ হলে বেটার লাগতো। কি অন্যভাবে সেটা বলতে পারবো না। কিন্তু সুধীনবাবু যেন বড়ো ডিরেক্টলি আক্রমন শানালেন শেষের কবিতা দিয়ে। কি জানি, যেটা মনে বল ভাগ করে নিলাম। ভাল থাকবেন।
  • বর্ণালী মুখার্জি | 42.***.*** | ০২ মে ২০২৩ ১৬:২২519289
  • চমৎকার 
  • Ranjan Roy | ০২ মে ২০২৩ ১৮:৩৫519306
  • মুখুজ্জেমষাই-- অ্যাজ ইউজুয়াল-- ফাটাফাটি।
  • Dipankar Banerjee | 42.***.*** | ০৬ মে ২০২৩ ০৭:৪৮519469
  • খুব ভালো লাগলো।গল্পর ফাকে ফাকে  ছড়া গুলো দারুন লাগলো 
  • kumarjit mandal | ০৭ মে ২০২৩ ২৩:৫৯519516
  • বাহ্! দারুণ জমাটি একটা গল্প।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন