প্রথমে ত সকাল হল। আর তারপর, মিতুল – ও হো, বলাই ত হয়নি মিতুল কে। ঠিক ধরেছ। মিতুল একটি ছোট্ট মেয়ে। তুমি ত অনেক বড় হয়ে গেছ। কত কি জানো, কত কথা বল। মিতুল তোমার মত বড় নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কথা বলে যে সবাই বলে,
– বাব্বাঃ, মিতুল দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে!
মিতুল এখনো অনেক কিছুই জানে না। কিন্তু জানতে চায় অনেক। যেমন, সেদিন সকাল হতেই মিতুলের খুব জানতে ইচ্ছে করছিল বাইরেটা এখন কেমন। সে তাকিয়ে দেখল, মা ঘুমিয়ে আছে, বাবাও। মিতুলের নিজের একটা ছোট্ট বিছানা আছে, মা-বাবার বিছানাটার ঠিক পাশে। সেটা থেকে নেমে পড়ল ও। তারপর টুক টুক করে হেঁটে জানালার পাশে এসে দাঁড়াল।
জানালার সামনে মিতুলের বাবা ওর জন্য একটা ছোট টুল বসিয়ে রেখেছে। ও সেটার উপর উঠে পড়ে জানালার বাইরে তাকাল। সামনে বাগান। সকালের আলোয় বাগানটা কি সুন্দর দেখতে হয়েছে! আচ্ছা, বাগানে কি কেউ এসেছে!
ও মা! শালিক পাখিটা এসে গেছে! মিতুল শালিক পাখিটাকে ডাকল। মনে মনে ডেকেছে। কিন্তু শালিক ঠিক শুনতে পেয়েছে। সে ওর দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। হাসল। মিতুল তখন তাকে জিজ্ঞেস করল
– আজকে কি নাম তোমার?
তুমি ভাবছ নাম আবার কারো পাল্টায় নাকি! ঐ শালিকটার পাল্টাত। রোজ না, যেদিন ইচ্ছে হত। মিতুল ঠিক বুঝতে পারত কবে ওর নাম পাল্টে গেছে। শালিক পাখিটা বলল
– আজকে আমার নাম কিচকিছুনা।
– কি করছ তুমি কিচকিছুনা?
– হটর খাচ্ছি।
এই বলে ঠোঁট দিয়ে ঘাসের ভিতর থেকে কি একটা তুলে দেখাল। মিতুল হাসল। কিচকিছুনা সব কিছুর নূতন নাম দ্যায়, খাবারেরও। আগে আরেকদিন এই খাবারটার নাম অন্য কিছু বলেছিল। হি হি। সে কিচকিছুনাকে বলল,
– জানো, কাল আমার জন্মদিন ছিল।
কিচকিছুনা বলল,
– জানি, কেক কাটা হয়েছে, কেক খেয়েছ সবাই।
কথা বলতে বলতে কিচকিছুনা হটর খেয়ে যাচ্ছিল। ওকে সমানে খেতে দেখে মিতুলেরও একটু খিদে পেল। কিন্তু মা না উঠলে ত খাবার পাওয়া যাবে না! থাক গে, আর একটু পরেই মা উঠে যাবে, তখন খাবে। মিতুল যখন এইসব ভাবছে তখন কিচকিছুনা উড়ে গিয়ে জানালার সামনে ডালটায় বসেছে। যেই বসেছে, ডালটা থেকে ধপ করে কি একটা নীচে পড়েছে।
কাঠবিড়ালিটা! ওটাও রোজ সকালে আসে। আজকে ঐ ডালটায় সে একটা লাল ফল খেতে যাচ্ছিল। হঠাৎ কিচকিছুনা সেখানে উড়ে আসায় – কাঠবিড়ালি ধপাস!
এই কাঠবিড়ালিটার একটাই নাম – তর্পিও। মিতুল জানে। সে ওর দিকে তাকিয়ে হাসল। তর্পিও কিচকিছুনার উপর খুব রাগ করতে যাচ্ছিল। কিন্তু মিতুলকে হাসতে দেখে সেও হেসে ফেলল। এবার তর্পিও উপরে তাকিয়ে দেখে, কিচকিছুনাও একটা ডানা তুলে মুখটা একটু আড়াল করে হাসছে। তর্পিও তখন তার মোটা লেজটা গোল করে পাকিয়ে মাটিতে পেতে, সেটার উপর আর দু’পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে উঠল। তারপর হাতদু’টো সামনে বাড়িয়ে বলল,
– অত হাসবার কিছু হয়নি। চলতে গেলে সবাই পড়ে।
এই বলে তর্পিও আবার চার হাত-পায়ে হাঁটার মত হয়ে গেল। লেজটা পিঠের উপর কায়দা করে বাঁকিয়ে, খাড়া করে ধরে একটা ঝাঁকুনি দিল। তারপর লাফিয়ে সামনে এগিয়ে গেল। এদিক ওদিক তাকাল। আরো একটা ছোট্ট লাফ দিল। তারপর একবার ঘুরে তাকাল মিতুলের দিকে।
মিতুলের খুব ইচ্ছে করছিল তর্পিওর সাথে সেও ঘুরতে যায়। তর্পিও সেটা ঠিক বুঝতে পেরেছে। সে কি করল জানো? নিজের মোটা লেজটা মিতুলের দিকে বাড়িয়ে দিল। সেটা লম্বা হতে হতে যেই মিতুলের হাতের কাছে এসে গেল, মিতুল লেজটা ধরে ফেলল। তার পরেই তর্পিও তার লেজটা ছোট করে ফেলল। আর লেজের সাথে সাথে, লেজের টানে টানে মিতুল জানালা গলে বাইরে চলে এল।
মিতুল তর্পিওর দিকে তাকিয়ে একটা খুব খুশীর হাসি দিল। তর্পিও বলল
– কি, কোন দিকে যেতে চাও তুমি?
মিতুল সামনের দিকে হাত দেখিয়ে দিল।
চলতে চলতে কত রকমের গাছ দেখল ওরা, কত ফুল, কত সুন্দর গন্ধ, কত রকমের রং! কত পাখী, কত তাদের ঢং! কেঊ ছুটে বেড়াচ্ছে, কেউ দোল খাচ্ছে। কেউ উড়ে উড়ে গান গাইছে। চলতে চলতে একসময় ওরা একটা বিরাট ঝোপের সামনে এসে পড়ল। ঝোপের ভিতর থেকে হাতীর শুঁড়ের মত একটা প্রাণী বের হয়ে এলো।
না ভুল হ’ল। হাতীর শুঁড়ের মত না। মিতুল একদিন ওর বাবার সাথে অ্যাকোয়ারিয়াম দেখতে গিয়েছিল। সেখানে একটা প্রাণী দেখেছিল। তার নাম অক্টোপাস। আটটা শুঁড় ছিল তার। বাবা বাড়ি ফিরে এসে অনেক গল্প করেছিল অক্টোপাস নিয়ে। এই শুঁড়টা ঐ অক্টোপাসের শুঁড়ের মত দেখতে। শুঁড়টার হাতে একটা ঝুমঝুমি ধরা। কি সুন্দর ঝুমঝুমিটা! শুঁড়টা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝুমঝুমি বাজিয়ে মিতুলকে ডাকছিল। মিতুল এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। ঝুমঝুমি নিয়ে আর খেলে না ও। কিন্তু এই ঝুমঝুমিটা এত সুন্দর, আর, শুঁড়টা এত ভাল করে ওটা বাজাচ্ছিল যে মিতুলের ইচ্ছে হল ওটার আরো কাছে গিয়ে দেখে। মিতুল পা বাড়াল।
ঠিক তখনি কানের পাশে কে যেন বলে উঠল,
– সাবধান! সাবধান!
মিতুল তাকিয়ে দেখে, একটা প্রাণী তার লম্বা গলা নামিয়ে মাথাটা মিতুলের কাছে নিয়ে এসেছে। মিতুল চিনতে পারল তাকে, বইয়ে তার ছবি দেখেছে, একটা জিরাফ। জিরাফটা একটা ছোট গাছের ডাল মুখে নিয়ে তার লম্বা গলাটা বাড়িয়ে ডালটা ঝুমঝুমির কাছে নিয়ে গেল। সাথে সাথে শুঁড়টা কিরকম একটা ঝটকা দিয়ে ডালটাকে পেঁচিয়ে ধরল। তারপর সেটাকে টেনে জঙ্গলের ও পাশে কোথায় নিয়ে গেল। আর তার এ পাশ ও পাশ থেকে আরো কত যে শুঁড় বেরিয়ে এলো। মিতুলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকল শুঁড়গুলো।
মিতুল উল্টোদিকে ফিরে দৌড় দিতে যাচ্ছিল। জিরাফ বলল
– দাঁড়াও। মুখ ফিরিও না। মুখ ফিরালে ওরা আরো তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসবে।
মিতুল আর জিরাফ সামনে তাকিয়ে একটু একটু করে পিছনে হাঁটতে থাকল। জিরাফটা এবার আরেকটা ডাল তুলে নিয়ে একটা শুঁড়ের দিকে লাঠির মত বাগিয়ে ধরল। শুঁড়গুলো এবার গর্জন করতে থাকল। আর, একটা শুঁড় কোথা থেকে কালো ধোঁয়ার মত কিছু ওদের দিকে ছুঁড়ে দিলো। চারদিক কালো কুয়াশায় ঢেকে অন্ধকার হয়ে এলো।
মিতুলের একটু একটু ভয় করছিল এখন। জিরাফকে আর ঠিকমত দেখতে পাচ্ছিল না ও। তর্পিও-কেও কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এখন কি হবে? এই সময় একটা নীল তারা ওর পাশে এসে দাঁড়াল। মিতুল পরিষ্কার শুনতে পেল তারাটা তাকে বলছে ভয় না পেতে। মিতুল তার দিকে সরে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল,
– তুমি কে?
সে বলল,
– আমায় চেনো না? আমি অভি।
মিতুল বুঝল, বাবা-মা এর কথাই কয়েকদিন ধরে বলছে। এই ত সবাইকে অন্ধকারে পথ দেখায়। মিতুল জিজ্ঞেস করায় মা একদিন বলেছিল এ একজন অনেক বড় তারা। বলেছিল, মিতুল বড় হলে সব বুঝতে পারবে। আর বলেছিল, এই তারার আলো যার কাছে থাকে তার মন থেকে ভয় চলে যায়। মিতুলেরও এখন আর ভয় লাগছিল না।
নীল-তারাকে আসতে দেখেই শুঁড়গুলো পিছোতে শুরু করেছিল। এখন মিতুল আর নীল-তারা একসঙ্গে সামনে এগোতেই সব কটা শুঁড় একসঙ্গে গুটিয়ে নিয়ে ভয়ানক প্রাণীটা কোথায় পালিয়ে চলে গেল। কালো ধোঁয়াগুলোও অনেকটা মিলিয়ে গেছে। চারদিকে এখন আবার দিনের আলো ফিরে এসেছে।
শুঁড়-ওয়ালা প্রাণীটা চলে যাওয়ার পর নীল-তারাও মিতুলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তার নিজের দেশে চলে গেল। যাওয়ার আগে মিতুলের হাতে এক টুকরো আলো তুলে দিল। আলোটা মিতুলের সাথে মিশে গেল। ঠিক এই সময় তর্পিও কোথা থেকে লাফাতে লাফাতে এসে হাজির। এসেই বলে কি
– অনেক দেরী হয়ে গেছে এখানে। চলো এবার অন্যদিকে যাই।
কিন্তু মিতুলের এখন আর কোথাও যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। বাবা-মাকে কতক্ষণ দেখেনি! জিরাফের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মিতুল আর তর্পিও তাই মিতুলের ঘরের দিকে ফিরে চলল। বাড়ির কাছে যখন এসে গেছে, ততক্ষণে মিতুলের খুব খিদে পেয়ে গেছে। সে মনে মনে বলল
– আমি খাবো।
সেই শুনে তর্পিও বলল
– কি খাবে?
মিতুলের মনে হল কাল রাতে তার জন্মদিনের কেকটা আরো খেতে পারলে বেশ হয়। সে বলল
– কেক।
যেই মিতুল এই কথা বলেছে, সাথে সাথে চারদিক নানা রং-এর আলোয় ঝলমল করে উঠেছে। মিতুল চমকে এদিক ওদিক মাথা ঘুরিয়ে দেখে গাছের পর গাছে সরু সরু ডাল থেকে কত যে রং বেরং-এর ছাতা ঝুলছে! সব কটা ছাতার হাতল থেকে একটা করে কাপ ঝুলছে। আর, কাপের মধ্যে কি আছে? ঠিক ধরেছ – ছোট ছোট কেক, নানা রং-এর কাপ-কেক। একটা ছাতার মাথায় বসে তর্পিও সেই ছাতার নীচের কেকটা ধরতে চাইছে, পারছে না, ওর হাত পৌঁছচ্ছে না। তর্পিও বারে বারে মিতুল-এর দিকে তাকাচ্ছে। কিন্তু মিতুল কি করে পাবে কেকগুলো! সেগুলো ত অনেক উঁচুতে! কি হবে এখন!
এই সময় মিতুলের ঠিক পিছনে কে যেন বলে উঠল
– আমার সাথে এসো।
মিতুল ঘুরে দেখে কিচকিছুনা, তার একটা ডানা বাড়িয়ে রেখেছে। সে হাত বাড়িয়ে কিচকিছুনার ডানা ধরতেই কিচকিছুনা এত্ত বড় হয়ে গেল। মিতুল তখন কিচকিছুনার ডানা ধরে তার পিঠে চেপে বসল। কিন্তু মিতুল যদি পড়ে যায়! কিচকিছুনাকে সে কথা বলতেই কিচকিছুনা তার ডানা থেকে কয়েকটা পালক খাড়া করে মিতুলের চারদিকে একটা সুন্দর ঘর বানিয়ে ফেলল। তারপর মিতুলকে পিঠে নিয়ে কিচকিছুনা উড়তে শুরু করে দিল। দুজনেই উড়ে উড়ে অনেক কেক খেল। কি ভালো যে খেতে! খাওয়ার শেষে সুন্দর দেখতে দুটো কেক মিতুল মা আর বাবার জন্য নিয়ে নিল। তারপর সে আর কিচকিছুনা মাটিতে নেমে এল। মিতুল কিচকিছুনার পিঠ থেকে মাটিতে নেমে পড়ল।
তর্পিও এই সময়টা এ গাছে ও গাছে ছুটে ছুটে ফল খাচ্ছিল। এবার সে দৌড়ে চলে এল তাদের কাছে। বলল
– আমার জন্য কেক আনলে? খুব ভালো।
মিতুল বলল
– এই যা! আমি যে এ দুটো মা আর বাবার জন্য আনলাম? জানো, আমার মা-বাবা দু’জনেই কেক খেতে খুব ভালোবাসে!
তর্পিও বলল
– তা হলে আজ আর আমরা ঘুরতে যাব না।
এই বলে সে মিতুলকে তার লেজে তুলে নিয়ে লেজটা জানালা দিয়ে ঢুকিয়ে মিতুলকে একেবারে ওর বিছানায় এনে শুইয়ে দিল।
তর্পিওর লেজটা জানালা দিয়ে মিলিয়ে যেতেই মিতুল বিছানায় উঠে বসল, বলল
– মা-বাবা, কেক।
মিতুলের বাবা-মা একটু আগেই ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিল। বাবা টেবিলে বসে চা খাচ্ছিল। এখন মিতুলের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল
– ঘুম ভেঙ্গেই কেক খেতে ইচ্ছে করছে?
মিতুল বাবার দিকে হাতের মুঠো বাড়িয়ে দিয়ে বলল
– তোমরা খাবে।
শুনে মিতুলের বাবার যে কি আনন্দ হল! বলল
– বাঃ বাঃ! মিতুল মামণি দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে!
মা ছিল বাবার পাশে। খুশীতে সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। আর বলছে,
– শুনেছ ও কি বলছে! ও আমাদের কেক খাওয়াবে বলছে। শুনেছ, শুনেছ!
মা-বাবার খুশী দেখে মিতুলের ইচ্ছে করছিল এক্ষুণি ওদের সমস্ত গল্পগুলো বলে। কিন্তু এ কি! মিতুলের মুঠো যে ফাঁকা! কেক কোথায় গেল? কেক-দুটো কি তবে জানালা দিয়ে ঢুকে আসার সময় বাগানে পড়ে গেল? তর্পিওটা এমন হুস করে ওকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে দিল! তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে টুলে উঠে জানালায় উঁকি দিল মিতুল। নীচে তাকাল। নাঃ! জানালাটার সামনে কোন কেক পড়ে নেই! মাথা তুলে দেখে তর্পিও অনেকটা দূরে বসে আছে। হাত দুটো সামনের দিকে তোলা, বুকের কাছে জড়ো করা। আর তার মুখটা ফোলা, নড়ছে মনে হয়, তার মানে কিছু খাচ্ছে।
এইবার মিতুল সব বুঝতে পারল। আহা রে! কিচকিছুনা আর মিতুল যখন উড়ে উড়ে কেক খাচ্ছিল, তর্পিও ত তখন একটা কেকও খেতে পায়নি। দৌড়ে দৌড়ে শুধু ফল খেয়ে বেড়িয়েছে। ভেবেছিল মিতুল ওর জন্য কেকে নিয়ে আসবে। তাও হয়নি। মিতুল ওর জন্য কোন কেক আনে নি। তাই বাগানে পড়ে থাকা কেক দেখে তর্পিও আর লোভ সামলাতে পারে নি।
বেচারা তর্পিও! মিতুলের এখন আর কেক আনতে পারেনি বলে অতটা খারাপ লাগছিলনা। ঠিক আছে, ছোট ঐ কেকদুটো তর্পিওই খাক। ওদের নিজেদের জন্য ত কালকের বড় কেকটার অনেকটা আছেই। সেইটা থেকেই ওরা সবাই খেতে পারবে। পরে, মিতুল যখন অনেক বড় হয়ে যাবে, মাকে-বাবাকে অনেক, অনেক কাপ-কেক কিনে দেবে। আর এখন, মা-বার কাছে গিয়ে সব গল্পগুলো বলতে হবে। বলতে হবে, নীল-তারা অভি কেমন করে তাড়িয়ে দিয়েছিল কালো ধোঁয়া ছুঁড়ে দেওয়া শুঁড়-গুলোকে। বলতে হবে, মিতুলের কাছেও এখন আছে নীল-তারার আলো।
[সচলায়তনে পূর্ব-প্রকাশিত। গল্পে আজকের দিনের এক তারা হয়ে যাওয়া মানুষের কথা এসেছে। সচেতন পাঠক চেনেন তাঁকে।]