অপূর্ব লাগল। বর্ডার হল রক্তবীজের ঝাড়। এক জায়গায় ভাঙলে আরেক জায়গায় গজিয়ে ওঠে।
অনেক ধন্যবাদ, স্বাতীদি। আপনার কথাটা একেবারে মোক্ষম - বর্ডার হল রক্তবীজের ঝাড়। এক জায়গায় ভাঙলে আরেক জায়গায় গজিয়ে ওঠে। ভবিষ্যতে কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারি। :)
টিম, না, না, গল্প ত বটেই। যে ইতিহাসে এটি আধারিত, সেটি গল্প নয়। কিন্তু এই লেখাটি কাল্পনিক।
দু, এই গল্পের চরিত্ররা সবাই কাল্পনিক। আর তাই, কল্পনার বিস্তার চলতেই পারে।
সুলিখিত। "আমি ভেবে পাই না লোকে কেন বর্ডার দেয়। কেন বর্ডার পার হতে হয়। এমন হয় না, পৃথিবীতে কোথাও কোন বর্ডার থাকবে না?" এই কথাগুলো মারাত্মক।
চণ্ডালের দু পয়সা, এই গল্পে কথিত "পানাম" ঢাকার উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম, এক সময় এর একাংশে মুঘল আমলের শহর "পানাম নগর" ছিল, পুরো নগরের ভগ্নাবশেষ অবিকল এখনো টিকে আছে, বেশ কয়েক বছর আগে পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো সংস্কার করা হয়েছে, রীতিমতো দর্শনীয় স্থান, এখনো পানামের মসলিনের সুখ্যাতি রয়েছে।
আরো দেখুন : https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE_%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0
বিপ্লবদা, ধন্যবাদ। মানুষের ইতিহাস বলে, আজ যা মারাত্মক, কাল তা অতি সাধারণ হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। মুস্কিল হচ্ছে, বর্ডার এক আজব চীজ, এক জায়গায় ভাঙ্গলে আরেক জায়গায় গড়ে ওঠে। এক যুগে ভাঙ্গলে, আরেক যুগে গড়ে ওঠে। তাই, সম্ভবতঃ শিশুর কল্পনায় ছাড়া আর কোথাও বর্ডার-হীন দুনিয়ার অস্তিত্ব নেই। তবে মানুষ চাইলে, আর কিছু না হোক, বর্ডার-এর কাঠিন্য হয়ত কমতে পারে। তাই বর্ডার না থাকার স্বপ্ন দেখে যাওয়াটা জরুরী।
এই গল্পের চরিত্ররা কাল্পনিক। কিন্তু খুব কাছে থেকে দেখা মানুষদের ছায়া পড়েছে তাদের মধ্যে। এই মানুষদের একজন ছিলেন আমার বাবা। পানামে যাঁর জন্ম হয়েছিল বস্ত্রব্যবসায়ী পরিবারে। ঐ পাকা বাড়িগুলোর কোন একটাতে বড় হয়ে ওঠা। একসময় নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় কিছুদিনের জন্য কাজ, তারপর বর্ডারের অন্য পারে বাস্তুহারার জীবনসংগ্রাম। মা ছিলেন ফরিদপুরের। ঠাকুমা বিক্রমপুরের। তাই, ওপার বাংলার গল্প আমার শৈশব জুড়ে ছিল। পানাম নিয়ে ওয়েব লিংকের জন্য অনেক ধন্যবাদ। পরে ভালো লাগল খুব।
অরণ্য, একদম খাঁটী কথা, মানুষ বর্ডার দ্যায়, আবার মানুষ-ই বর্ডার খুলে দ্যায়, সরিয়ে ফেলে। ভালো লাগার জন্য অনেক প্রীতি-ভালোবাসা জানবেন।