এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • **কাশ্মীরে পেহেলগাঁও তে ভয়ঙ্কর জ*ঙ্গি আক্রমণ, কিছু জরুরী কথা এবং উত্তর না থাকা কিছু প্রশ্ন**

    Kausik Maiti লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৪৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • **কাশ্মীরে পেহেলগাঁও তে ভয়ঙ্কর জ*ঙ্গি আক্রমণ, কিছু জরুরী কথা এবং উত্তর না থাকা কিছু প্রশ্ন**

    আমরা ভারতবাসী। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাশ্মীরে এই সময় পর্যটনের সময় এবং ট্যুরিস্টে ভর্তি ছিল কাশ্মীর। বাংলা থেকে হাজারে হাজারে মানুষ কাশ্মীরে ঘুরতে গেছেন। এসবের মধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে ভয়""ঙ্কর জ**ঙ্গি হামলা হল। প্রাণ গেল ৩০ এর কাছাকাছি ট্যুরিস্টের৷ পর্যটকদের উপর এত বড় হামলা গত কয়েক দশকে হয়ত কেউ শোনেনি। 
    আমি কোনো সিকিউরিটি এক্সপার্ট নই। একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে কিছু জিনিস পড়ার ও বোঝার চেষ্টা করলাম। 

    ১. কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীন রাজনীতির জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তার থেকে বেশি কিনা জানিনা তবে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাকিস্তানের কাশ্মীর দখলের স্বপ্নকে কেন্দ্র করে ওখানে একটা ইকো সিস্টেম কাজ করে। যার মাথা অবশ্যই ISI. ওদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কাশ্মীর দখল বা কাশ্মীরে জে*হাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    ২. পাকিস্তানের সরকার যখন খুব দুর্বল হয়, অর্থনৈতিক সমস্যায় পাকিস্তান ভোগে তখন কাশ্মীরকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু করে তোলা হয়। এছাড়া যেকোনো সময়ে ISI ও মিলিটারির একটা অংশ সারাক্ষণ ভারত বিরোধী কাজে নিয়োজিত থাকে। 

    ৩. স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীরে তিন ধরণের মানুষ আছে বা ছিল- ক. স্বাধীনতাপন্থী, খ. পাকিস্তানপন্থী এবং গ. ভারতপন্থী৷ স্বাধীনতাপন্থী লোক প্রায় নগন্য হয়ে গেছে। পাকিস্তানপন্থী লোক কমেছে। ভারতপন্থী লোক বেড়েছে বলেই প্রচার চলেছে। আমারও তাই ধারণা। 

    ৪. পুলওয়ামার রেশ কেটে যাওয়ার পর কাশ্মীর গত কবছর গ্লোবাল স্কেলে আলোচনায় ছিল না। কাশ্মীরকে আন্তরাষ্ট্রীয় খবরে রাখতে চায় পাকিস্তান। এটা ডিসপিউটেড টেরিটোরি দেখানো ওদের উদ্দেশ্য। এই সময় ভারতে এসেছেন আমেরিকার উপ রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স। এই সময় আক্রমণ অনেক বেশি গ্লোবাল খবর তৈরি করবে৷ তাই সময়টা যথোপোযুক্ত। 

    ৫. PoK তে অনেক কটা জ''ঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড আছে। ওখানে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ওরা। এই জঙ্গীরা ইসলামিস্ট টেরোরিস্টই হয়। লস্কর-ই-তৈবা এক্ষেত্রে কুখ্যাত নাম৷ যেসব জঙ্গিদের ব্রেন ওয়াশ করা হয় তাদের ধর্মীয় লাইনেই ব্রেন ওয়াশ করা হয়৷ ভারতে ঢুকে ম*রবে সেটা জেনেই আসে, আসে শহীদ হতে। আসে পরপারে জন্নাতের কথা ভেবেই। সেই স্বপ্নই দেখানো হয়। লস্কর- এ - তৈবা কদিন আগেই PoK তে বিশাল সভা করে গু**লিতে ঝাঁঝরা করার হুঙ্কার দিয়েছিল। হুমকি দিয়েছিল পার্ক সেনার উচ্চ কর্তাও। 

    ৬. পেহেলগাঁও LOC র কাছে নয়। ৪০০ কিমি দূরে। শ্রীনগর থেকে বর্ডারের দিকে নয়, বরং লাদাখের দিকে। 

    ৭. উরি, পাঠানকোট ও পুলওয়ামাতে আক্রমণের পর অনেক বেশি সক্রিয় ভারতীয় মিলিটারি ও গোয়েন্দা সংস্থা। জ+ঙ্গিবাদ ধ্বংস করার স্বপ্ন দেখিয়ে নোট বন্দি করেছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীর কে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়েছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে। 

    ৮. গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কাশ্মীরকে পর্যটকদের জন্য স্বর্গ বানানোর সদর্প ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৮ এপ্রিল বলবান, চানক্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে ভারত সরকার কাশ্মীরে সন্ত্রা*স-বাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। কোনো জ-:ঙ্গি নেই কাশ্মীরে।

    ৯. গত ১৯ এপ্রিল খারাপ আবহাওয়ার কারণ দেখিয়ে কাশ্মীরে গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রজেক্টের উদ্বোধন বাতিল করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। মাথায় রাখবেন। এ নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। 

    ১০. পেহেলগাঁও কাশ্মীরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিলিটারি প্রবণ তিনটে অঞ্চলের মধ্যে একটা। অমরনাথ যাত্রা শুরু হয় এখান থেকেই। এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টে অত্যন্ত কড়াকড়ি হয়৷ অনেকের বক্তব্যও শুনলাম। 

    ১১. ভরা ট্যুরিস্ট সিজন। পেহেলগাঁও তে থাকা বৈসারণ ভ্যালিতে মিনি সুইজারল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্ট স্পট। সারা ভারত, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের পর্যটক ওখানে ছিল। হাজার হাজার ট্যুরিস্ট৷ 

    ১২. পাকিস্তান থেকে জ,,ঙ্গি এসেছিল এবং তাদের সাথে ছিল কাশ্মীরের স্থানীয় জ'"ঙ্গি- এটাই মিডিয়ায় সর্বত্র শুনছি। আগেই বলেছি পেহেলগাঁও বর্ডার থেকে ৪০০ কিমি দূরে। এরা অস্ত্র নিয়ে কিভাবে বিনা বাধায় ঢুকে গেল এতদূর, তা আমার ভাবনা- চিন্তার বাইরে। 

    ১৩. কয়েকজন জ**ঙ্গি (প্রথমে বলা হচ্ছিল ২-৩ জন, এখন বলা হচ্ছে ৫-৬ জন) ভরা ট্যুরিস্ট এলাকায় এল, ফাঁকায় গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হ. ত্যা করলো, তারপর জঙ্গল দিলে পালালো। পৃথিবীর অন্যতম ঘন মিলিটারি এলাকায় কেউ কিছুই বুঝতে ও করতে পারলো না। 

    ১৪. কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল৷ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুলিস নেই। পুলিস, মিলিটারি, প্যারা মিলিটারি ও গোয়েন্দা দপ্তর সবই কেন্দ্র সরকারের অধীন। অর্থাৎ মোদী ও অমিত শাহর কন্ট্রোলে।

    ১৫. বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন যে পাইন গাছের জঙ্গল থেকে এলোপাথাড়ি গু;লি ছুটে এসেছে। একজন খুন হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী মিডিয়াতে বলছেন যে, হিন্দু না মুসলিম জিজ্ঞেস করেছে জ#ঙ্গিরা। কলমাও নাকি পড়তে বলেছে। প্যান্ট খুলে চেক করেছে। তারপর হিন্দু বুঝে খু%ন করেছে। অর্থাৎ শেষটি পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে খুন। এই রিপোর্ট কেউ জানবে না। ব্যালিস্টিক্স রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে, গু+লি দূর থেকে লেগেছে, না সামনে থেকে করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট কোনো সাধারণ মানুষ জানবে না। 

    ১৬. জ,,ঙ্গিরা এল। ধর্ম জিজ্ঞেস করলো। কলমা পড়তে বলল। প্যান্ট খুলতে বলল। তারপর লি-ঙ্গ চেক করে গুলি করলো। এই প্রসেসটা অনেকটা সময় সাধ্য। এবং তারা এতজনকে খু*ন করে বেরিয়ে গেল। তারমধ্যে পুলিস- সিকিউরিটি কাউকে দেখা গেল না৷ কেন দেখা গেল না? গোপন কোনো কারণ আছে? থাকলে আমি বা আমরা জানি না, জানতেও পারবো না। আমরা প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশ্বাস করি৷ কিন্তু অবিশ্বাসের যুক্তিযুক্ত কারণ থেকে যাচ্ছে না?

    ১৭. কাশ্মীর শান্ত। আ"ত'ঙ্কবাদ শেষ হয়ে গেছে। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জ*'ঙ্গিমুক্ত কাশ্মীর তৈরি হয়েছে। এই কথাগুলো বাস্তব না। সেটা প্রমাণিত। গত দু বছর আগেই মুর্শিদাবাদের ৬ জন বাঙালি শ্রমিককে (ধর্মে মুসলমান) খু!ন করেছিল জ!'ঙ্গিরা। তাহলে কি অমিত শাহ, মোদী ও ভারতীয় মিডিয়া সারাক্ষণ ভারতীদের মিথ্যে বলে ও মিথ্যে তথ্য দেয়?

    ১৮. আমি মিডল-ইস্ট এশিয়া সহ নানা জায়গায় জ:ঙ্গি হামলা নিয়ে প্রচুর তথ্য বহুল ডকুমেন্টারি দেখেছি। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটা প্রচুর ঘটনা সম্পর্কে পড়ার ও জানার  চেষ্টা করি। রিসার্চও করি বলা যায়।  আমি যেটুকু বুঝেছি যে এমন কোনো এটাক নেই যার কিছু তথ্য ইন্টেলিজেন্সের কাছে বিন্দুমাত্রও ছিল না৷ কখনও কখনও ইন্টেলিজেন্স দেরিতে পেলে আর কিছু করার থাকে না, আক্রমণ হয়ে যায়। আর একটা জিনিস হয় যে খণ্ড খণ্ড ইমফরমেশন আসে৷ তার থেকে পুরো গল্প এক করা যায় না। তখন সেটাকে একশনেবল ইন্টেল হিসাবে না ধরে অনেক সময় ইগনোর করা হয়৷ এখানে পেহেলগাঁওতে কোনটা হয়েছে? ইন্টেল ছিল? না কি উপেক্ষা করা হয়েছে? 

    ১৯. পুলওয়ামাতে সেনা কলামে কিভাবে ৩৫০ কেজি RDX নিয়ে জ''ঙ্গিদের গাড়ি ঢুকলো তার উত্তর কেউ জানে না৷ কোনো রিপোর্ট বেরোয়নি। সবাই আন্দাজ করে মাত্র। কারা দোষী সেটাও জানা যায়নি। অর্ণব গোস্বামী বা রাজদীপ সরদেশাই- কেউ এই প্রশ্ন কখনই করবে না। কিন্তু আপনি কি এই প্রশ্ন করেন? না, এই প্রশ্নকে ভয় করেন আপনি?

    ২০. লস্কর- এ - তৈবা হুঁশিয়ারি দিল, পাক সেনা হুঁশিয়ারি দিল, আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি ভারত সফরে- এত কিছুর পর কি ইন্টেলিজেন্স ও মিলিটারি অতি সক্রিয় থাকার কথা না? আপনার বুদ্ধি কি বলে? মিডিয়া নয়, নিজের বুদ্ধিতে জোর দিন। আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টনের ভারত সফরকালে কাশ্মীরে বিরাট জ**ঙ্গি হামলা হয়েছিল। এই সময়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, এটা সকলে জানে। এর মধ্যে বর্ডার থেকে এত ভেতরে পেহেলগাঁও তে হামলার কোনো আন্দাজ RAW, TAS, NIA, Army কারোর কাছে ছিল না?

    ২১. ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগর ও তারপর পেহেলগাঁও গেছেন। নিহতদের কফিনে মালা দেওয়ার সময় রেড কার্পেট বিছানো হয়েছিল। ভাবুন! তিনি যখন নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলছিলেন, তখন নানা ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা উঠতেই ANI সহ সব মিডিয়া ভয়েস মিউট করে সম্প্রচার করে। যারা মারা গেছে জ;;ঙ্গি হামলায়, সেখানে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে থাকা পরিবারের লোকজনের কথা চেপে দিতে কেন এত সক্রিয় বিজেপি ও ভারতীয় মিডিয়া? প্রশ্নটা অযৌক্তিক?

    ২২. ঘটনার দু ঘন্টার মধ্যে টিভিতে বসে সব বিস্তারিত বলে দিচ্ছে অনেক তথাকথিত এক্সপার্ট। কে কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে এসেছে, কোন জ::ঙ্গি সংগঠন ইত্যাদি। যদি ধরে নিই এদের কথা সত্যি। তারা ২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে এসব জানতো না? এরা এত কিছু জানলে ইন্টেলিজেন্স কত কিছু জানে। তাহলে আটকানো গেলনা কেন? হয় ইন্টেলিজেন্স সব জানতো, তা থেকে এরা জেনেছে। বা, এরা কিছুই না জেনে টিভি-মিডিয়া গরম করছে মাত্র। 

    ২৩. কাশ্মীরে পর্যটন ব্যবসার বিশাল ক্ষতি৷ জীবন-জীবিকা ধ্বংস হল কাশ্মীরে৷ আগামীতে বেশ কিছু সময় মোদি ও অমিত শাহর বক্তব্যে ভরসা করে কাশ্মীর যাবেনা অধিকাংশ পর্যটক। ব্যাহত হল কাশ্মীরের মূল স্রোতে ফেরা৷ এটাই চায় পাকিস্তান। এটাই চায় জ!!ঙ্গিরা। এটাই চায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু ভারত সরকার বা বিজেপি কি চায়? সামনে বিহারের ভোট থাকা আদৌ বিচার্য বিষয় এক্ষেত্রে? ভারতের চূড়ান্ত খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভুলিয়ে দিতে এই হামলা কোনো সাহায্য করবে কাউকে? এর কোনো উত্তর আমার কাছে নেই৷ 

    ২৪. আমরা সাধারণ ভারতবাসী৷ আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। শান্তি চাই৷ পর্যটন চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাই। পাকিস্তানকে ও জঙ্গিদের শিক্ষা পেতে দেখতে চাই। ভারত সরকার কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই চোখ থাকবে। 

    ২৫. করোনা ও পরবর্তীকালে সেনায় নিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের অবসর হয়ে গেছে। এদিকে নতুন নিয়োগ হয়নি৷ পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা কাশ্মীরে গ্রাউন্ডে অনেক আর্মি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ভারত সরকার আর্মিতে নিয়োগ করেনি। এই প্রয়োজনীয় কথাগুলো যারা বলছে না, যেসব ব্যক্তি বা মিডিয়া- তারা কি আদৌ ভারতের ভালো চায়? আপনার নিরাপত্তা চায়?

    ২৬. "অগ্নিবীর" আসলে সেনায় ৪ বছরের কাজ। অগ্নিবীর যারা কাশ্মীরে পোস্টেড, তারা জানে তাদের চাকরি মাত্র ৪ বছর, তারা কি প্রাণ দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকে গুরুত্ব দেবে? আপনার কি মনে হয়? অগ্নিবীর ও সেনার মধ্যে তালমেল হচ্ছে না?

    ২৭. টিভি মিডিয়ায় আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে সবাই গতকাল জানলো যে কাশ্মীরে জ::ঙ্গিরা ধর্মে মুসলিম। আগে কি ভাবতো? এগুলো পার্সি বা ইহুদি জ,,ঙ্গি? নতুন শুনলো নাকি! আক্রমণ আটকাতে মিলিটারি বা সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে হিন্দু-মুসলিমই একমাত্র ন্যারেটিভ? এই আক্রমণকে দুভাবে তো দেখা যায়। দুটোই সত্য। মুসলিম জ:'ঙ্গিরা হিন্দুদের মেরেছে। আর একটা, হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হিন্দু হৃদয় সম্রাট মোদি ও শাহ। এটাকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা নয়তো?

    ২৭. এই লেখাটা নিজের মতো করে লিখলাম। যে প্রশ্ন গুলো আমার মনে বা আপনার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, তার উত্তর কি কোনোদিন পাওয়া যাবে? নাকি, আদৌ অন্য কোনো এঙ্গেল নেই? ভারতের মিলিটারি ও ইন্টেলিজেন্স কিছু জানতোই না যে এসব হতে পারে। বর্ডার পেরোলো, অ!"স্ত্র এল। এখানকার জঙ্গিদের সাথে প্ল্যানিং ও ট্রেনিং হল। সব হল৷ কিন্তু কেউ কিছুই জানতো না৷ আমি ও আপনি নিষ্পাপের মতো এটা বিশ্বাস করলে তো পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে৷ আর্মিকে ও গোয়েন্দা সংস্থাকে অযোগ্য বলা হবে।  আমরা এটা ভুলেও ভাবতে চাই না। তাহলে সত্য কি? ভাবুন। আমার জানা নেই। তবে আসুন, মিডিয়া নিয়, পার্টি নয়। নিজেদের মগজের উপর ভর করে সকলে ভাবি৷
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৫542614
  • সত্যজিতের সিনেমার সংলাপ: রাজাবাবু যুদ্ধু করবে না যুদ্ধু!
    সেই অবস্থা দাঁড়িয়েছে বা করা হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন