এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মেটিরিয়া মেডিকার কাব্য – ( পর্ব - ১০ ) 

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২১ এপ্রিল ২০২২ | ১৩৩০ বার পঠিত
  •  
    অবশেষে সেই কলিগ-দাদার যোগাযোগে যাওয়া হল মধ্য কলকাতার এক চর্ম-বিশেষজ্ঞের স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে। সব শুনলেন টুনলেন, তারপরে আগের প্রেস্ক্রিপশনখানা দেখলেন। শুরু হল ব্যবস্থাপত্র লেখা। প্রথমের মান্তু পরীক্ষা। আমার ওই সাতাশ বছরে মান্তু টেস্ট করতে হবে শুনেই বেশ বিরক্তি জন্মালো। শুনেছিলাম এই টেস্ট সাধারণতঃ শিশুদের করা হয়। তাই এহেন বিরক্তি। পজিটিভ এল সে পরীক্ষায়। এবারে রঞ্জন-রশ্মি’র অদৃশ্য আলো আমার বুকটাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিলে গা ! পরে সেই নেগেটিভ প্লেট আর রিপোর্টে কিস্যু পাওয়াই গেল না। পনেরই অক্টোবর উনিশশ’ বিরাশি সালে শুরু করলাম যক্ষা বা টিবি’র ওষুধ খাওয়া। আইসোনেক্স  আর মাইকোবুটাল এর সাথে একটা করে ভিটামিন প্রত্যহ শুরু হ’ল। সাথে ছিল কড়া’টায় লাগানোর জন্য একটা সলিউশন যার মধ্যে অন্যতম এক তরল ছিল স্যালিসাইলিক এ্যাসিড। ডান পা গরম জলে ডুবিয়ে রেখে কড়া’টা নরম হলে পরে ওই সলিউশনটা লাগাতে হতো। এই তরল প্রয়োগের আগে নিতে হয়েছিল টিটেনাস টক্সাইডের নির্দিষ্ট ইঞ্জেকশন।

    সে সময় আমার প্রায়ই খুব জ্বর হতো। কিন্তু এই টিবি’র ওষুধগুলো পড়াতে সেসব উপসর্গ উধাও হয়ে গেল। কিন্তু সেই কড়া’টা ধ্যানগম্ভীর বুদ্ধমূর্তির মতো অবিচল, স্থির। না বাড়ে না কমে ! আরো মনে পড়ছে যে এই ডাক্তারবাবুটি বলেছিলেন আর এক নিদারুণ পরীক্ষা করতে। তাও করেছিলাম। গরম জলে পা-এর কড়াটা নরম হলে পরে দাড়ি কামানোর ব্লেডের ধারহীন দিক’টা দিয়ে ঘষে যদি তুলে ফেলা যায় ছাল-চামড়া !

    তাও নো রেজাল্ট ! এরপরে তিনি নিদান দিলেন “Excersion Biopsy”-র। তিরাশি’র পলাশ গাছে তখন ফুটি-ফুটি কুঁড়ি। ‘জয় জয় দেবী চরাচর সারে’ উচ্চারিত হয়েছে সমবেতে। বসন্তের হাওয়ায় কোথায় এক পূর্ণ যুবকের মন আকুলিবিকুলি করে উঠবে তা নয়, তার সমস্ত অবচেতনে এক ভয়াল ভ্রুকুটির দ্রুতগামী সঞ্চারণ। এই অভাগার শরীরে কি এতো কষ্ট সহ্য হবে ?

    বায়াপ্সি’র কথা শুনলেই যে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ওজন কমে যায় শুনতাম এই নিদানের আগে অব্দি। প্রমাণিত হ’ল নিজের ওপরেই। এক অজানা আতঙ্কের কর্কটি-হুল যে কতোখানি আচ্ছন্ন করে রাখে নিজের সত্ত্বাকে তা বুঝেছিলাম এই কটা দিনেই। সেই উৎকণ্ঠা’র সত্যিই কোনো হিসেব মেলে না।

    মুখের মধ্যে এক উদ্বিগ্নতা লক্ষ্য করে অফিসের আর এক দাদা জানতে চাইলেন কি হয়েছে ? আমার এই চিকিৎসার অনেকটা জানলেও ওই দাদাকে বলিই নি এই বায়োপ্সি’র কথা। শুনে তিনিও অল্প ঘাবড়ালেন যথারীতি।

    দুই রামকৃষ্ণ দাদা’র যুগল মিলন হ’ল এবারে। শ্রীরামকৃষ্ণের নামাঙ্কিত মিশনের স্কুলের ছাত্র হওয়ার সুবাদে ঠাকু্র-মা-স্বামিজী’র ওপর এক ধরণের আবেগ তো ছিলই আমাদের। এছাড়া আমার একটু বেশিমাত্রাতেই ভালোলাগা ছিল এই তিনজনের ওপরে। এটা আমাদের স্কুলের অবদান নিঃসন্দেহে।

    আমার অফিসের সেই রামকৃষ্ণদা’র জ্যাঠতুতো দাদাও ছিলেন আরেক রামকৃষ্ণদাদা ওরফে সেজদা। ওই তিরাশি সালে তিনি রোজ ডিউটি করছেন আর জি কর হাসপাতালের টেলিফোন অপারেটর হিসেবে। তখনো মোবাইলের যুগ কয়েক কদম দূরে। যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ছিল ওই কলকাতা টেলিফোনস্‌-র কালো ঢাউশ ফোনগুলোই। ওই ঘরেই আড্ডা জমাতো সিনিয়র  ছাত্ররা। এমনকি সিনিয়র ডাক্তারদেরও অনেকেই ফোন করার প্রয়োজনে রামকৃষ্ণদা’র শরণাপন্ন হতেন। সেই সেজদার পরামর্শ অনুযায়ী গোদা বাংলায় লিখে ফেললাম তিনপাতার ইতিহাস। তারপরে সেটা দুই রামকৃষ্ণদাদা পার হয়ে পৌঁছলো এক সিনিয়র ছাত্রের হেফাজতে। তখনো অব্দি বায়োপ্সি করাই-ই নি।
     
    কোনো এক বুধবারের সকাল ন’টার সাইরেনের ভোঁ শুনলাম সেজদা’র ঘরে পৌঁছোনোর পর। সেজদা ফোনে ডেকে নিলেন সেই ডাক্তার ছাত্রটিকে। সেই ডাক্তার আমাকে বগলদাবা করে নিয়ে চললেন আর জি কর হাসপাতালের চর্মরোগের আউটডোরের দোতলার ঘরটিতে। থিকথিক করছে মানুষ। ডাক্তারেরা একটা বড় টেবিলের চারধারে বসে। আর ওনাদের স্যার ডাক্তার শ্যামল সিনহা এক এক করে পেশেন্ট দেখছেন আর ছাত্রদের বোঝাচ্ছেন বা জিজ্ঞেস করছেন রুগীর কি হয়েছে। স্যারকে বোধহয় বলাই ছিল ওই ছাত্র ডাক্তারটির। এর মধ্যেই একজনকে দিয়ে আমার আউটডোরের স্লিপ বা টিকিট রেডি। ডাক্তার সিনহা আমার দিকে তাকিয়েই বললেন দেখাতে ওই কড়া’টা। বুঝলাম স্যারকে ওয়াকিফ-হাল করা হয়ে গেছে ছাত্র ডাক্তারটির।

    পা-এর গোড়ালির কাছটা একটু উঁচু করে তুলে দেখালাম সেই বায়োপ্সি’র নিদান-হাঁকা পা-এর কড়া’টা। ভাল করে দেখেই ছাত্রদের বলতে শুরু করলেন – ‘এই দেখো, স্কিন টিবির এক রূপ’। এক দঙ্গল ছেলে-মেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লো প্রায় আমার পা-এর ওপরে। কয়েক মিনিট মাত্তর। আমার চিকিৎসা শেষ।  

    স্যারের এক ছাত্র লিখে দিলেন প্রেস্ক্রিপশন ওই হাসপাতালের মেমো’তে। স্ট্রেপ্টোমাইসিন সালফেট ইঞ্জেকশন রোজ একটা করে এক মাস, সাথে ওই আইসোনেক্স ফোর্ট রোজ একটা করেই। এছাড়া ভিটামিন আর একটা অন্য ওষুধ। টেস্ট করতে দিলেন প্লেটলেট কাউন্ট আর প্রোথোমবিন টাইম এর। রেজাল্ট নিয়ে এক মাস পরে আবার যেতে বলে দিলেন।

    এবারে আবার এক রামকৃষ্ণদা ভরসা আমার। আমাদের পারিবারিক ডাক্তার সেই কে পি বসাকে’র বিশ্বস্ত কম্পাউনডার। ইঞ্জেকশন কিনে নিয়ে গিয়ে রামকৃষ্ণদার হাতে দিতেই দেখেশুনে নিয়ে সেই লম্বা কাঠের সোফা-কাম-বেঞ্চে শুয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন। কোমরে ফোটাবেন ওই সিরিঞ্জের ছুঁচ। তখনো এক প্ল্যাস্টিকের ডিসপোসিবিল সিরিঞ্জ দেখিনি। সেই ব্যবহৃত কাঁচের ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ দিয়ে স্পিরিট জাতীয় কিছু টেনে নিয়ে সিরিঞ্জ আর ছুঁচখানা পরিষ্কার করে, আরেকটা স্পিরিট ভেজানো তুলো দিয়ে আগে কোমর ঘষে নিয়ে তারপরে মুখ উঁচু চোখ নিচে করে বাইফোকাল চশমার তলা দিয়ে দেখে নিলেন বুদুবুদ রয়ে গেল কিনা !

    রামকৃষ্ণদার অভিজ্ঞ হাত বুঝতেই দিত না ছুঁচ ফোটানোর ক্ষণিক ব্যথা। আর আজকাল কলকাতার বিখ্যাত সব নার্সিং হোম বা হাসপাতালে প্রতিবার রক্ত নিতে গিয়ে সেখানকার নামধারী নাইটিঙ্গেলরা কতো স্থানে যে ছুঁচ ফুটিয়ে চলেন তার হিসাব কে রাখে ? অথচ আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্যাথোলজি সেন্টারের সিনিয়রেরা বা মেট্রন পদমর্যাদার সিস্টারেরা এক চান্সেই শিরা ফুঁড়ে কি অবলীলায় রক্ত টেনে নেন।     

    হপ্তাখানেক মাত্র !  নড়াচড়া শুরু করলো আমার শরীরে সেঁটে থাকা বছর চারেকের সেই কড়াটা। আস্তে আস্তে গুটোতে লাগলো। যতো গুটোয় ততো হাল্কা হই বায়োপ্সির তাড়া করা ভুতের হাত থেকে। একমাস পরে ডাক্তার সিনহাকে দেখাতেই ছাত্রদের নিয়ে আবার মগ্ন হলেন আমার পা-এর ওপরে। কি বলবো ওনাকে। উনি সেসময় ছিলেন আর জি কলেজের ডার্মাটোলজির প্রোফেসর। পরবর্তিকালে আমাদের যোগাযোগ আরো গাঢ় হয়েছে। রিটায়ার করে প্রাইভেটে দেখতেন তিনি।

    অনেকদিন যোগাযোগ নেই। দেখাবো দেখাবো করে যাওয়াই হয়নি নানান কারণে। এই দিন কয়েক আগে একটা সমস্যার জন্য মোবাইল নাম্বারে ফোন করতেই এক মহিলার কণ্ঠ। জিজ্ঞেস করলেন লাস্ট কবে দেখিয়েছি ওনাকে ? বললাম যে তা প্রায় বছর তিনেক তো হবেই। উনি জানালেন বছর দুই হ’ল উনি আর নেই। জানলাম স্ত্রী বলছেন। নাম্বারটা শুধু রয়ে গেছে।
     
    ……চলবে……পরের পর্বে…
    #
    ©গৌতমদত্ত
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২১ এপ্রিল ২০২২ | ১৩৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ayantika | 2400:1a00:b040:e5b7:bdf7:689f:7a23:***:*** | ২১ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১০506750
  • অসাধারণ !!
  • নির্মাল্য কুমার মুখোপাধ্যায় | 223.223.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২২ ১৮:২৯506752
  • বাহ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন