এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মেটিরিয়া মেডিকার কাব্য – ( পর্ব - ১৪ )

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৬ মে ২০২২ | ১৩০৮ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)

  • কাট থ্রি। দু’হাজার দুই সালের বিজয়া দশমী’র পরের দিন।

    আপিস থেকে বেরিয়ে শ্যামবাজারের মিনি ধরে এ ভি স্কুল। গন্তব্য আমার গিন্নির সেজ মাসীর বাড়ি। উপলক্ষ বিজয়ার প্রণাম। গিন্নি টবিন রোড থেকে বাস ধরে উল্টোপারের বাস স্টপেজে। অতঃপর ট্যাঁপা ট্যেঁপি হাত ধরাধরি করে সেই – গিন্নি’র গুণ্ডিচা বাড়ি।

    প্রণাম ইত্যাদি সেরে ফিশফ্রাই খেতে খেতে ডান চোখে একটা অস্বস্তি। দেখতে কেমন লাগছে যেন। যেন ঘরের সবকিছুর ডাইমেনশন ঠিক নেই মনে হচ্ছে। এচোখ ওচোখ খোলা বন্ধ করেও সেই একই অনুভূতি। একজনকে দিয়ে আনালাম একটা মামুলি আই ড্রপ। চোখে দিলামও। কিন্তু নো রেজাল্ট !  অতঃপর ওখান থেকেই আমার চোখের ডাক্তারবাবুকে ফোন। শুনেটুনে বললেন চেম্বারে চলে যেতে। দমদম স্টেশনের কাছে।

    একটা ট্যাক্সি নিয়ে ছুট ছুট ছুট। ততক্ষণে দুরের টিউবলাইট গুলো সবুজ। সোজা টিউবলাইট যেন এঁকেবেঁকে পথ যদি না শেষ হয়। সাদা হয়ে গেল সবুজ।

    সব রোগী দেখা শেষ করে ডাক দিলেন ডাক্তারবাবু। ততক্ষণে আমি বুঝে গেছি যে একটা বড় কিছু গড়বড়। শুয়ে পরলাম টেবিলে। অনেকক্ষন ধরে সেই কয়লাখনির হেডলাইট লাগিয়ে আর পেরেকের মাথা দিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে সাঙ্গ করলেন চোখ-পরীক্ষা। বললেন আবার আগামীকাল সকালে উনি আরেকবার দেখবেন। বাড়ি গিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা শুধু। ডিট্যাচমেন্ট হয়েছে – মানে রেটিনা ছিঁড়েছে। উনি জানেন যে আমি আবার শঙ্কর নেত্রালয় ভক্ত। উনিও সেখানকার ছাত্র ছিলেন। বললেন যতো তাড়াতাড়ি চেন্নাই যাওয়া যায় ততই মঙ্গল।

    ক্রমে ক্রমে সেই বার্তা রটি গেল বটে। পরের দিন আমার অফিস থেকেই টিকিট কাটা হয়ে গেল। প্লেনের। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সন্ধ্যেবেলার ফ্লাইটে। প্রচুর ভাড়া তখন। এসব প্রাইভেট এয়ারলাইন্স তখনো বহুদূর। দুদিনের জন্য আমাদের অফিস গেস্ট হাউসটাও পাওয়া গেল। রাত পৌনে দশটায় পৌঁছলাম নেত্রালয়ে।

    শঙ্কর নেত্রালয়ের কলেজ রোডের এমার্জেন্সি ৩৬৫ X ২৪ ঘন্টাই খোলা। মাত্র দুটো পেশেন্ট সাথে বাড়ির লোকজন। আরেকজনও একই ফ্লাইটে গেছেন কলকাতা থেকে।

    আমার এমআরডি (ওখানকার ৬৯ঙ) নাম্বার জিজ্ঞেস করলেন ডাক্তার। গোটা শঙ্কর নেত্রালয় তখন সুন্‌নুনাটা। ডাক্তার এক সিকিউরিটিকে ডেকে আমার নাম্বার দিয়ে ফাইলটা আনতে বললেন। বিশ্বাস করুন ঠিক পাঁচ মিনিট। আমার সেই “এ্যালারজিক টু সালফার” লেখা ফাইল ডাক্তারবাবুর টেবিলে। তখন ডানচোখ পুরো অন্ধকার। কালো – নিকষ কালো।

    যদিও প্রথম দেখেই ডাক্তার জানালেন যে ভর্তি হতে হবে কিন্তু তারপরে সম্ভবত সিনিয়রকে ফোনে জানালেন। স্থির হ’ল পরের দিন সকাল আটটা নাগাদ আবার এই এমার্জেন্সিতেই আসতে হবে।

    হাসপাতাল থেকে অটো ধরে গ্রীমস্‌ লেন। গেস্ট হাউসে ঢোকা গেল। আমার দৃষ্টি কেবল একটা চোখেই। দুর্গা নাম জপতে জপতে রাত্তিরটা কাটলো কোনো রকমে। উৎকণ্ঠায় ঘিরে আছে মনের অন্দরমহল। ফিরে পাবো তো ডান চোখের আলো !!

    যথারীতি পরেরদিন হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে পৌঁছনো মাত্রই শুরু হয়ে গেল ডাক্তারদের ব্যাপক কর্মকাণ্ড। ভর্তি হয়ে আমার জায়গা হ’ল একটা কেবিনে। আর সারাদিন ধরে অজস্র ডাক্তারদের আসাযাওয়া আর চোখে সেই হেডলাইটের জোরালো আলোয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। যদিও ওই জোরালো আলোর বিন্দুমাত্র জেল্লা ঢুকছিলো না চোখে। জানলাম আমায় যিনি অপারেশন করবেন তাঁর নাম ডাক্তার মুনা ভিণ্ডে। পরেরদিন ঠিক সকাল আটটায় আমায় দিয়ে সেদিনের অপারেশন শুরু হবে। এমার্জেন্সি এতটাই…।

    হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে কথা কইতে কইতে আমায় সেদিন সকালে অপারেশন থিয়েটারে ঘরে পৌঁছে দিল দুজন। স্ট্রেচারের বিছানায় শুয়ে শুয়ে অজ্ঞান করার আগে অব্দি দেখছিলাম একটা সুশৃঙ্খল টিমওয়ার্কের সুনিপুন ব্যস্ততা। আমাকে পুরো অজ্ঞান করে দেওয়া হল। সাড়ে চার ঘন্টার অপারেশন।

    জ্ঞান যখন এলো তখনো আমি সম্ভবত ওটি’র বাইরের ঘরে। তারপরে ঘুম ঘুম আর ঘুম। আর কিছুই মনে নেই সেদিনের সন্ধ্যে অব্দি। 

    সেই সকাল থেকে একটানা অপারেশন করে ডাক্তার ম্যাডাম যখন আমার কেবিনে এলেন তখন চেন্নাই-এর আকাশ বেশ অন্ধকার। শঙ্কর নেত্রালয়ের ডাক্তারদের একদিন আউটডোর আর পরের দিন ওটি। এমন ভাবেই শিডিউল তৈরি থাকে। আর চোখের যে স্পেশালাইজেশন হয় তা বুঝেছিলাম এখানে এসেই। কেউ রেটিনা, কেউ কর্নিয়া, কেউ গ্লুকোমা ইত্যাদি নানান ভাগ। অর্থাৎ সাধারণভাবে যিনি ছানি অপারেশন করছেন তিনি রেটিনা অপারেশন করেনই না। এছাড়া সিনিয়র ডাক্তারদের ওখানে পড়াতেই হয় মাস্টার্স করতে আসা স্টুডেন্টদের।

    ডাক্তার ম্যাম দেখা করে দুচারটে কথা বলে বিদায় নিলেন। রাতের খাওয়া খেয়ে আবার ঘুম। পরের দিন টানা রেস্ট। ডান চোখ তখনো অন্ধকার।

    রেস্টের দিন ছিল রবিবার। বেশ মনে আছে। সেদিন অল্প হাঁটা চলার অনুমতি মিলেছিল। সক্কাল থেকেই একটা ঘটাংঘট আওয়াজ পাচ্ছিলাম মাঝে মধ্যেই। এসব ব্যাপারে আমার উৎসাহ অনেকটা ফেলুদার কাছাকাছি। জিজ্ঞেস করতে করতে গিয়ে জানা গেল, রবিবার যেহেতু আউটডোর বন্ধ তাই শঙ্করা নেত্রালয়ের যতোগুলি লিফট্‌ আছে সেসবগুলোর টেস্ট চলছে যাতে অন্যদিনগুলোয় যেন গড়বড় না করে। নিয়মিত তাই লিফটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলে প্রতি রবিবার।

    আরেকটা কথা বলে ফেলি এই ফাঁকে। অবাক হয়ে আগের দেখেছিলাম এই কলেজ রোড এর মেন বিল্ডিং-র প্রতি ফ্লোরেই একটা ছোট্ট লিফট্‌। সাইজ যার এই ধরুন দু ফুট বাই দেড় ফুট। অনুসন্ধানে জানা গেল যে এগুলো ওই পেশেন্টদের ফাইল বয়ে বেড়ায়। ফাইলগুলো যেহেতু থাকে বেসমেন্টে তাই প্রতিদিন প্রয়োজনমত ফাইলগুলো সেখান থেকে নির্দ্দিষ্ট ফ্লোরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যে ফ্লোরের ফাইল সেই ফ্লোরে ওই লিফটের ওপরের একটা আলো জ্বলে ওঠে। উল্টোদিকে বসে থাকা সিস্টারের সেই ফ্লোরের নির্দিষ্ট ফাইল বার করে নেন তৎপরতায়। কি অসাধারণ সিস্টেম !  আমাদের দেশ এই ভারতেই।

    প্রসঙ্গত বলি, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট এর দুবছরের কোর্স আগেই চালু করেছিল শঙ্করা নেত্রালয় চেন্নাই। এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে নানান ধরনের চোখের চিকিৎসা ও ম্যানেজমেন্ট কোর্স। ভাবলেই কেমন যেন মাথা ঘোরে আমার !  এই ম্যানেজমেন্ট যদি শুধুমাত্র আমাদের যে কোনো একটা মিউনিসিপ্যালিটি চালাতো শুধু টেস্ট করতে তাহলে ভারতের চেহারা অন্যরকম হতই হ’ত। এদের পরিচালিত কোর্সগুলো জানতে নিচের লিংক দেখতে পারেন - 
    http://wwwthesnacademyacin/

    এই হল ডাক্তার এস এস বদ্রীনাথ-র (Dr Sengamedu Srinivasa Badrinath(Dr SSB)স্বপ্নের ফসল। যা আজ সারা ভারত শুধু নয় ভারতের বাইরেও যথেষ্ট পরিচিত শুধুমাত্র চোখের হাসপাতাল বলে নয়, প্রত্যেক বছর এক দল করে চোখের ডাক্তার ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা ভারতে।

    সেঙ্গামেডু শ্রীনিবাস বদ্রিনাথ (জন্ম ২৪ফেব্রুয়ারি ১৯৪০) হলেন ভারতের অন্যতম বৃহত্তম দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল, চেন্নাইয়ের শঙ্করা নেত্রালয় -এর ভারতীয় প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ইমেরিটাস। তিনি ন্যাশনাল একাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সের একজন নির্বাচিত ফেলো। তিনি ১৯৯৬ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্রের তৃতীয়-সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেন। তিনি পদ্মশ্রী এবং ডঃ বিসি রায় পুরস্কার সহ আরও অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

    আরো বিশদে জানতে https://enwikipediaorg/wiki/S_S_Badrinath

    একটা মাত্র মানুষ ইচ্ছে করলে কি কি করতে পারে তার অনেকগুলো উদাহরণ আছে আমাদের দেশেই। কি কি করতে পারার সাথে অবশ্যই জড়িয়ে থাকে দেশের মানুষের মঙ্গল। আবার এ দেশে এমনও উদাহরণ আছে যে সামাজিক কর্তব্য তো দূরের কথা যারা গোটা দেশটাকেই- হাতের মুঠোয় পুরে ফেলার লক্ষ্য নিয়েই অবিচল থাকে। সেই সমস্ত মানুষজন প্রয়োজনে দেশের আইন অব্দি বদলে দিতে পারে যা শুধু তাদের পরিবারেরই স্বার্থ রক্ষা করবে। সামাজিক দায়িত্ব তো দূরের কথা !

    এই বয়সে এসে নিজের ওপরে খুবই ঘেন্না করে। আমাদের ছাত্র জীবনে কতো না শ্লোগান শুনেছি – ‘টাটা-বিড়লার কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’। অথচ এই টাটা-বিড়লা-গোয়েঙ্কা ইত্যাদি সে সময়ের পুঁজিপতিরা সামাজিক দায়িত্ব পালনে অনেকখানি ভূমিকা নিয়েছিলেন।

    ……চলবে……পরের পর্বে…
    #
    ©গৌতমদত্ত

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৬ মে ২০২২ | ১৩০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন